15/06/2025
ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, বা প্যারাসাইট যেটা দিয়েই রোগ হোক না কেন, রোগ আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার চেয়ে রোগ প্রতিরোধ করাই সবচেয়ে উত্তম।
আসুন জেনে নেই যে সব খাবার এবং অভ্যাস শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে এবং একটি শিশুর স্বাস্থ্যকর জীবনাচরণ কেমন হওয়া উচিত।
➡️১। খাবার:
♦️বাচ্চাদের খাবার হবে প্রোটিন সমৃদ্ধ। প্রোটিন যুক্ত খাবার বেশি বেশি দিন, যেমন -দেশি ডিম, মাছ (বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ), মাংস, দুধ, টক দই, ডাল, বিভিন্ন ধরনের বাদাম।
♦️ভাল কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা দিন। কার্বোহাইড্রেট প্রকৃতিতে যেভাবে পাওয়া যায় সেভাবে। প্রসেসড বা রিফাইন্ড কার্বহাইড্রেট নয়।
পুষ্টি, ভিটামিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ কার্বহাইড্রেট যেমন- লাল চালের ভাত, ওটস, লাল চিড়া,লাল আটার রুটি, গোল আলু, মিষ্টি আলু ইত্যাদি।
♦️ভাল ফ্যাট দিন। শরীরের কোষ গঠনে, ব্রেইন গঠনে,বিভিন্ন হরমোন এবং এনজাইম তৈরিতে গুড ফ্যাট অপরিহার্য। বাজে ফ্যাট দিলে, শরীরের কোষ ঐ বাজে ফ্যাট দিয়েই তৈরি হবে এবং সেই কোষ সহজেই রোগ আক্রান্ত হবে।
কিছু ভাল ফ্যাট যেমন: খাটি ঘি,খাটি নারিকেল তেল, খাটি অলিভ অয়েল, খাটি সরিষার তেল।
♦️প্রচুর শাকসবজি এবং সিজনাল ফলমূল খাওয়ান। যে সিজনে যেটা পাওয়া যায়। সব ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেল এর চাহিদা পূরন হবে।
যথাসম্ভব প্রাকৃতিক খাবার দিতে হবে এবং প্রকৃতির সাথে সম্পর্ক যুক্ত রাখতে হবে।
♦️সেই সাথে অবশ্যই বাজারের সব ধরনের প্রসেস ফুড, প্যাকেটজাত খাবার এবং চিনি পরিহার করতে হবে।
➡️২। নিয়মিত এবং পর্যাপ্ত ঘুম: রাত ৯টা-১০টার মধ্যে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুমানোর অন্তত ২-৩ ঘন্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে ফেলা। ভাল ঘুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং আমাদের মেটাবলিজম ভাল রাখতে সহায়তা করে।
➡️৩। নিয়মিত খেলাধুলা: চেষ্টা করতে হবে নিয়মিত বাসার বাহিরে প্রকৃতির মাঝে খেলা করা, ব্যায়াম করা এবং নিয়মিত গায়ে রোধ লাগানো যাতে ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরন হয়।
ভিটামিন ডি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সপ্তাহে অন্তত চার দিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এই সময়টায় অন্তত ৩০ মিনিট গায়ে রোধ লাগাতে হবে,তাহলে ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরন হবে।
ডা.মোহাম্মদ রফিক উদ্দিন
নবজাতক ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ
এমবিবিএস, ডিসিএইচ (শিশু স্বাস্থ্য)
বি এম ইউ (ঢাকা পিজি হাসপাতাল)।
কনসালট্যান্ট -শিশু স্বাস্থ্য।