Dr. Shuvro Ghosh

07/07/2025

26/05/2025

স্পিচ ডিলে (Speech Delay) বা বাচ্চার কথা বলতে দেরি হলে বাবা-মায়ের ধৈর্য্য ও সঠিক পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে করণীয় কিছু বিষয় নিচে দেওয়া হলো:

১. **শিশুর সাথে বেশি বেশি কথা বলুন**
প্রতিদিনের কাজগুলো (গোসল, খাওয়া, খেলা) সম্পর্কে বর্ণনা করুন। যেমন: "এখন আমরা হাত ধুবো," "এইটা লাল বল।"
সহজ ও ছোট বাক্য ব্যবহার করুন, উচ্চারণ স্পষ্ট করুন।
শিশুর আওয়াজ বা শব্দের উত্তর দিন (যদি সে "বা-বা" বলে, আপনি বলুন "হ্যাঁ, বলো বাবা !")

২. **ইন্টারেক্টিভ খেলা বাড়ান**
গান, ছড়া, আঙুলের খেলা (যেমন: "টোকা-টোকি মনিমনি") বলুন।
পুতুল/স্টাফড অ্যানিম্যাল দিয়ে স্টোরি টেলিং করুন।
বাচ্চাকে জিজ্ঞাসা করুন: "বলটা কোথায়?" বা "কুকুরটা কি বলছে?"

৩. **বাচ্চার যোগাযোগের চেষ্টাকে উৎসাহিত করুন**
যখন সে আঙুল দিয়ে কিছু দেখায় বা শব্দ করে, সেটার নাম বলুন (যেমন: "ওহ, তুমি গাড়ি দেখেছো! গাড়ি যায় ব্রুম ব্রুম!")।
তাকে কথা বলার সময় দিন, জবাব দিতে চাপ দেবেন না।

৪. **বই পড়ার অভ্যাস করুন**
রঙিন ছবির বই দিন, গল্প বলুন এবং তাকে ছবি দেখিয়ে নাম বলতে উৎসাহিত করুন।
একই বই বারবার পড়ুন—এটি শব্দ শেখার জন্য সহায়ক।

৫. **স্ক্রিন টাইম কমিয়ে দিন**
টিভি/মোবাইল শিশুর ভাষা বিকাশে বাধা দেয়। বদলে লাইভ ইন্টারঅ্যাকশন গুরুত্বপূর্ণ।

৬. **শিশুর শুনার দক্ষতা পরীক্ষা করুন**
যদি শিশু নাম ধরে ডাকলে সাড়া না দেয় বা শব্দের দিকে না তাকায়, অডিওলজিস্টের পরামর্শ নিন।

৭. **বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন**
যদি ২ বছর বয়সে ৫০টির কম শব্দ বলে বা ২-৩ শব্দের বাক্য না বোঝে, **স্পিচ থেরাপিস্ট** বা **শিশু বিকাশ বিশেষজ্ঞ** (Pediatrician/Developmental Specialist) দেখান।
অটিজম বা অন্য ডেভেলপমেন্টাল ডিলে আছে কিনা তা নির্ণয় করুন।

৮. **ধৈর্য্য রাখুন ও ইতিবাচক থাকুন**
শিশুর ছোট ছোট প্রচেষ্টাকে প্রশংসা করুন (হাসি, ক্ল্যাপ, জড়িয়ে ধরা)।
তুলনা করবেন না—প্রতিটি শিশুর বিকাশের গতি আলাদা।

৯. **সামাজিক মিথস্ক্রিয়া বাড়ান**
পার্কে বাচ্চাদের সাথে মিশতে দিন। দেখাদেখি শব্দ শেখার সুযোগ পাবে।

১০. **বাড়ির পরিবেশ পরীক্ষা করুন**
অতিরিক্ত শোরগোল বা স্ট্রেসফুল পরিবেশ ভাষা শিখতে বাধা দিতে পারে।

**মনে রাখবেন:** অনেক শিশুই স্পিচ ডিলে কাটিয়ে পরে স্বাভাবিকভাবে কথা বলে। তবে প্রাথমিক হস্তক্ষেপ (Early Intervention) সবচেয়ে কার্যকরী। যদি চিন্তা হয়, দেরি না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

25/05/2025

🌼 নবজাতকের যত্ন (Newborn Care)

১. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা:
• হাত ধুয়ে নবজাতককে ধরতে হবে।
• শরীর প্রতিদিন গরম জলে পরিষ্কার করতে হবে।
• নাড়ি শুকানো পর্যন্ত শুকনো ও পরিষ্কার রাখতে হবে।

২. খাওয়ানো (Breastfeeding):
• জন্মের ১ ঘণ্টার মধ্যে বুকের দুধ খাওয়ানো শুরু করা উচিত।
• প্রথম ৬ মাস শুধুই বুকের দুধ (exclusive breastfeeding)।

৩. ঘুম:
• নবজাতক সাধারণত দিনে ১৬–১৮ ঘণ্টা ঘুমায়।
• তাকে পিঠের উপর শুয়ে রাখতে হবে, পাশে বা উপুড় করে না।

৪. তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ:
• নবজাতককে অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা যেন না লাগে।
• নরম কাপড়ে মোড়ানো উচিত।

৫. ডাক্তারি পরামর্শ:
• জন্মের পর নিয়মিত ডাক্তার দেখাতে হবে।
• টিকাদান সময়মতো করাতে হবে।

22/05/2025

শিশুকে কোলে নেওয়ার সময় সতর্কতা এবং সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ শিশুর ঘাড় ও শরীর খুবই নরম ও সংবেদনশীল হয়। নিচে সঠিকভাবে শিশুকে কোলে নেওয়ার ধাপগুলো দেওয়া হলো:

✅ সঠিকভাবে শিশুকে কোলে নেওয়ার পদ্ধতি:

⸻

১. হাত ধুয়ে নিন:

শিশুকে কোলে নেওয়ার আগে আপনার হাত পরিষ্কার করুন, কারণ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকে।

⸻

২. শিশুর ঘাড় ও মাথা সমর্থন করুন:

শিশুর ঘাড়ের পেশি প্রথম দিকে শক্ত হয় না, তাই মাথা ঝুলে পড়তে পারে।
➡️ এক হাত দিয়ে শিশুর মাথা ও ঘাড়ের নিচে সমর্থন দিন।

⸻

৩. শরীরের নিচে আরেক হাত দিন:

অপর হাত দিয়ে শিশুর পিঠ ও নিতম্বের নিচে সমর্থন দিন।

⸻

৪. ধীরে ধীরে তুলে নিন:

দুই হাত দিয়ে সাবধানে শিশুকে নিজের বুকের কাছে তুলে নিন।

⸻

৫. বুকে ধরে রাখুন:

শিশুকে নিজের বুকের সাথে চেপে রাখলে সে বেশি নিরাপদ অনুভব করে এবং আপনার হৃদস্পন্দন শুনে শান্ত বোধ করে।

⸻

🧷 বিকল্প ভঙ্গিগুলো:

🟢 ক্রেডল (Cradle Hold):
• একটি হাত মাথা ও ঘাড়ে, আরেকটি হাত কোমরের নিচে।
• শিশুকে কাত করে নিজের বাহুতে শোয়ান।

🟢 শোল্ডার হোল্ড (Shoulder Hold):
• শিশুকে নিজের কাঁধে এমনভাবে রাখুন যাতে তার মাথা আপনার কাঁধে থাকে।
• এক হাত দিয়ে পিঠ ও ঘাড় সমর্থন দিন।

🟢 সিটিং হোল্ড (Sitting Hold):
• বাচ্চাকে বসানো ভঙ্গিতে কোলে নিন।
• মাথা ও পিঠ সমর্থন দিতে হবে।

⸻

⚠️ সতর্কতা:
• শিশুকে কখনই এক হাতে টানবেন না।
• মাথা ও ঘাড় কখনোই ঝুলে পড়তে দেওয়া যাবে না।
• উচ্চতা থেকে কোলে নেওয়া বা ছেড়ে দেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে।

আপনি যদি সদ্যজাত শিশুর কথা বলছেন (০–৩ মাস), তাহলে আরও বাড়তি সাবধানতা প্রয়োজন। চাইলে সেই বয়সভিত্তিক গাইডলাইনও দিতে পারি।

20/05/2025

এই গরমে বাচ্চাদের স্ক্যাবিস? সতর্ক হোন এখনই!

গরমকাল মানেই ঘাম, ধুলাবালি আর জীবাণুর উপদ্রব। এই সময়ে এক সাধারণ কিন্তু খুব বিরক্তিকর চর্মরোগ হচ্ছে স্ক্যাবিস। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বেড়ে যাচ্ছে।

স্ক্যাবিস কীভাবে চিনবেন?
• তীব্র চুলকানি, বিশেষ করে রাতে
• আঙুলের ফাঁকে, কানের পেছনে, কোমড় বা পেটের কাছে লাল গুটি বা ফুসকুড়ি
• পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যেও একই রকম চুলকানি

# বাচ্চাদের scabies হলে চিকিৎসা বাসায় কিভাবে চিকিৎসা শুরু করবেন?

#আপনার বাচ্চার যদি scabies হয় তাহলে আপনি দিবেন Elimate plus lotion/Lorix cream
#ব্যবহারের নিয়ম কি?
✅রাতের বেলা ঘুমানোর আগে মুখ ও মাথা বাদে আপনার বাচ্চার সারা শরীরে এই লোশন লাগাবেন।
✅১২ ঘন্টা পর সকাল বেলা হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করিয়ে দিবেন।
✅পরিবারের সকল সদস্য একসাথে একই নিয়মে বাব্যহার করবেন।
✅ব্যবহার্য সকল কাপড় চোপড় ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।লেপ তোষক রোদে দিবেন।
✅একই নিয়মে ৭ দিন পর এই লোশন ব্যবহার করবেন।

#ডোজ কি?
১-৫ বছরের বাচ্চাদের জন্য : 1/4th tube (৪ ভাগের ১ ভাগ)
৬-১২ বছরের বাচ্চাদের জন্য : 1/2th tube (অর্ধেক)
১২ বছরের বেশি বয়সী বাচ্চাদের জন্য : apply full tube

19/05/2025

অনেক সময় আমরা ভাবি, “বাচ্চারা তো এমনই হয়!” কিন্তু অতিরিক্ত অস্থিরতা, মনোযোগের ঘাটতি, বা নিয়ম মানতে না পারা যদি নিয়মিত ঘটে, তাহলে সেটা হতে পারে ADHD (Attention Deficit Hyperactivity Disorder)।

ADHD কী?
ADHD হলো শিশুদের মধ্যে দেখা দেওয়া একধরনের নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার, যেখানে তারা মনোযোগ ধরে রাখতে, চুপচাপ বসে থাকতে বা কোনো নিয়ম মানতে হিমশিম খায়।

ADHD বাচ্চাকে কীভাবে চিনবেন?
• সবসময় দৌড়ঝাঁপ করে
• মনোযোগ ধরে রাখতে পারে না
• এক কাজ শেষ না করেই আরেকটা শুরু করে
• কথার মাঝখানে কথা বলে
• নিয়ম মানতে কষ্ট হয়

ADHD কেন হয়?
এর সঠিক কারণ এখনও পরিষ্কার না হলেও, কিছু সম্ভাব্য কারণ হতে পারে:
• জেনেটিক (পরিবারে কেউ থাকলে ঝুঁকি বেশি)
• গর্ভাবস্থায় মাতার ধূমপান
• প্রিম্যাচিউর বেবি
• ব্রেনের কিছু অংশের কার্যক্ষমতা কম হওয়া

কোন কোন খাবার ADHD বাড়াতে পারে?
• অতিরিক্ত চিনি
• কৃত্রিম রং ও ফ্লেভার দেওয়া খাবার
• প্রসেসড ফুড (জাংক ফুড)
• ক্যাফেইনযুক্ত খাবার (চকলেট, কোমল পানীয়)

ADHD আর Autism কি এক জিনিস?
না, একেবারেই নয়।
Autism বাচ্চাদের সামাজিক ও যোগাযোগ দক্ষতায় সমস্যা তৈরি করে। ADHD বাচ্চারা বেশি অস্থির ও মনোযোগহীন হয়। তবে কখনো কখনো দুটি সমস্যা একসাথেও থাকতে পারে।

16/05/2025

ডায়রিয়াতে বমি বন্ধের মূল ওষুধ হলো খাবার স্যালাইন। কারণ স্যালাইনে বিদ্যমান লবণ রক্তে শোষিত হয় যা বমি কমাতে সহায়তা করে।

14/05/2025

🩺 বাচ্চাদের দাঁদ রোগ: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার

বাচ্চাদের ত্বকে দাঁদ (Ringworm) হওয়া খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। এটি মূলত এক ধরনের ছত্রাকজনিত সংক্রমণ, যা সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে।

# লক্ষণসমূহ:

✅ গোলাকার লালচে দাগ, মাঝখান ফ্যাকাশে
✅ চুলকানি ও খোসা উঠতে থাকা
✅ সংক্রমিত স্থান ধীরে ধীরে বড় হতে থাকা

# কারণ:

🔹 অপরিচ্ছন্নতা ও ঘাম জমে থাকা
🔹 সংক্রমিত ব্যক্তি বা পশুর সংস্পর্শে আসা
🔹 ভাগ করে ব্যবহৃত পোশাক, তোয়ালে বা চিরুনী

# প্রতিকার:

✔ সংক্রমিত স্থানে খোঁচাখুঁচি করা এড়িয়ে চলুন
✔ শিশুর পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করুন
✔ সংক্রমিত কাপড়-চোপড় গরম পানিতে ধুয়ে রোদে শুকান

# পরামর্শ:
দাঁদ দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই শিশুর বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। সুস্থ থাকুন, শিশুকে সুস্থ রাখুন!

13/05/2025

বাচ্চাদের কফযুক্ত কাশির জন্য প্রাকৃতিক সমাধান! 🌿✨

অনেকে আছেন, যারা বাচ্চাদের কফযুক্ত কাশিতে নেবুলাইজার ব্যবহার করতে চান না। তাদের জন্য কিছু প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে, যা কফ পাতলা করে বের হতে সাহায্য করতে পারে—

1) গরম ভাপ (Steam Therapy):
একটি গামলায় গরম পানি রেখে বাচ্চাকে তার বাষ্প শ্বাস নিতে দিন (সরাসরি নয়, নিরাপদ দূরত্বে)। বাথরুমে গরম পানির শাওয়ার ছেড়ে দিয়েও এই কাজ করা যায়।

2) মধু ও গরম পানি:
১ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য এক চা-চামচ মধু হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। এটি গলায় শ্লেষ্মা কমাতে সহায়ক।

3)গরম তরল পানীয়:
গরম স্যুপ, আদা-লেবুর চা (যদি বয়স উপযুক্ত হয়) বা উষ্ণ পানি কফ পাতলা করে ও বের হতে সাহায্য করে।

4)হিউমিডিফায়ার বা ঘরের আদ্রতা বজায় রাখা:
শুষ্ক বাতাস কফকে আরও ঘন করে তোলে, তাই রুমে হালকা আর্দ্রতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

5)পিঠে হালকা চাপ (Chest Percussion):
বাচ্চার পিঠে আলতোভাবে থাপড়ে দিলে কফ বের হতে সাহায্য করে।

❗ কখন ডাক্তার দেখাবেন?

#যদি কফ খুব বেশি ঘন হয় ও বের না হয়

#যদি শিশুর শ্বাস নিতে কষ্ট হয়

#যদি জ্বর, কাশি ১০ দিনের বেশি স্থায়ী হয়

চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই জরুরি! ❤️

12/05/2025

আপনার শিশুর Lactose Intolerance আছে কিনা কিভাবে বুঝবেন?

অনেক শিশুই দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পর পেটে ব্যথা, গ্যাস্ট্রিক, ডায়রিয়া বা ফাঁপা অনুভব করে। এটি হতে পারে Lactose Intolerance এর লক্ষণ।

লক্ষণসমূহ:

🔹 দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে—
✔️ পেটব্যথা
✔️ ফোলাভাব বা গ্যাস
✔️ ডায়রিয়া
✔️ বমি বমি ভাব

সমাধান কী?

1) Lactose-free দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার ব্যবহার করুন
2) সয়া দুধ, আমন্ড মিল্ক বা ওট মিল্ক খেতে দিন
3) দুধের বিকল্প হিসেবে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার (পাতাযুক্ত শাকসবজি, বাদাম, বীজ) দিন

11/05/2025

আপনার শিশুকে প্রতিদিন বিকেল বেলা খেলার সুযোগ করে দিন। নিয়মিত খেলাধুলা শিশুর শারীরিক গঠন এবং মানসিক বিকাশে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। বিকেল বেলা শিশুকে পড়তে বসাবেন না।