01/09/2025
এলার্জি হলো পরিবেশের ক্ষতিকারক কিছু পদার্থের প্রতি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা, যা সাধারণত অন্য মানুষের কোনো সমস্যা সৃষ্টি করে না। এর ফলে নাক ও চোখের চুলকানি, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ত্বকের লালচে ভাব ও চুলকানি ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যেতে পারে। খাদ্য, পরাগ রেণু (pollen), পোকামাকড়, বা ত্বকের সংস্পর্শে আসা কোনো পদার্থের প্রতি এই প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
এলার্জির কারণ
অ্যালার্জেন:
যে পদার্থগুলো অ্যালার্জির সৃষ্টি করে, সেগুলোকে অ্যালার্জেন বলা হয়।
ইমিউন সিস্টেমের প্রতিক্রিয়া:
অ্যালার্জিতে আক্রান্ত ব্যক্তি অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে এলে তার শরীরের ইমিউন সিস্টেম ভুলভাবে এটিকে 'হুমকি' হিসেবে চিহ্নিত করে এবং একটি অনুপযুক্ত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
সাধারণ লক্ষণ ও উপসর্গ
শ্বাসকষ্ট:
ফুসফুসে শ্লেষ্মা বৃদ্ধি, কাশি, এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
নাক ও চোখের সমস্যা:
নাক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি, নাক বা চোখের চুলকানি এবং লালচে ভাব দেখা যায়।
ত্বকের সমস্যা:
অ্যালার্জিক ডার্মাটাইটিস বা একজিমার মতো ত্বকের প্রদাহ, লালচে ভাব এবং চুলকানি হতে পারে।
খাদ্যজনিত অ্যালার্জি:
কিছু খাবার, যেমন – দুধ, ডিম, চিনাবাদাম, সয়াবিন, বা শস্যের প্রতি অ্যালার্জি হতে পারে।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?
যদি অ্যালার্জির লক্ষণ গুরুতর হয়, যেমন – শ্বাসকষ্ট, শ্বাস নিতে সমস্যা, বা ত্বকে র্যাশ, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কিছু ক্ষেত্রে, যেমন – পোকামাকড়ের কামড় বা খাদ্যে অ্যালার্জির কারণে অ্যানাফিল্যাক্সিস নামক একটি মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হতে পারে, যেখানে শ্বাসকষ্ট, ফোলাভাব ও রক্তচাপ কমে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়।
প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
অ্যালার্জেন এড়িয়ে চলা:
যে সকল পদার্থের প্রতি আপনার অ্যালার্জি রয়েছে, সেগুলো থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার:
ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল যেমন - কমলালেবু, স্ট্রবেরি, আপেল, তরমুজ অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত জল পান করা:
অ্যালার্জি হলে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা জরুরি, যা নাক থেকে আসা অস্বস্তিকর গলার ড্রিপ কমাতে সাহায্য করে।