14/11/2022
#আপনার # কি জ্বিন যাদুর সমস্যা তাহলে এই পরামর্শ:
💎জ্বিন আসরের লক্ষণ এবং জ্বিনের ক্ষতি থেকে বাঁচার উপায় ও পরামর্শ।
----------আজ শুরুতে আমরা জ্বিন আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ জানবো। আগের পর্বে আলোচনা করা হয়েছে, মানুষ কয়েকভাবে জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত হয়। আমাদের সমাজে যেটাকে জ্বিনে ধরা বলে এটাকেই শুধু জ্বিনের সমস্যা ভাবা হয়, পুরো শরীর পজেসড না হলে সচরাচর কেউ বিশ্বাস করে না যে জ্বিন আছে শরীরে। কিন্তু আসলেই এটা সম্ভব যে, কারো শরীরে জ্বিন ঢুকে আছে.. আর দিনের পর দিন ধীরেধীরে সে মানসিক এবং শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখা জরুরী, আমরা যে লক্ষণগুলো আলোচনা করতে যাচ্ছি এক-দুদিন এসব দেখলেই জ্বিন আক্রান্ত হয়েছে ভাববার কারণ নেই, কারণ এগুলো স্বাভাবিক অসুখবিসুখ এর কারণেও হতে পারে। এই লক্ষণগুলো কারো মাঝে যদি দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান থাকে, তাহলে ধরে নিবেন সমস্যা আছে।
আলোচনার সুবিধার্থে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলোকে আমরা দুই ভাগে ভাগ করে নিচ্ছি। ঘুম সংক্রান্ত এবং অন্য সময়ের..।
এবার আমরা লক্ষণ সমূহ বর্ণনা করবো খুব ভালোভাবে খেয়াল করুন........
#ঘুম_সংক্রান্ত_লক্ষণ_সমূহঃ
১। নিদ্রাহীনতা: যার জন্য সারারাত শুধু বিশ্রাম নেয়াই
হয়, ঘুম হয়না
২। উদ্বিগ্নতা: যেজন্য রাতে বার বার ঘুম ভেঙে যাওয়া।
৩। বোবায়ধরা: ঘুমের সময় কেউ চেপে ধরেছে,
নড়াচড়া করতে পারছে না। প্রায়ই এমন হওয়া
৪। ঘুমের মাঝে প্রায়শই চিৎকার করা,
গোঙানো, হাসি-কান্না করা
৫।উদ্বিগ্নতা:: হঠাৎ ঘুমের ভিতর লাফিয়ে ওঠা।
৬। ঘুমন্ত অবস্থায় হাটাহাটি করা
৭। --স্বপ্নে বিভিন্ন জিনিস খাওয়া।
৮। স্বপ্নে নিজেকে অনেক উঁচু কোনো যায়গা থেকে
পড়ে যেতে দেখা
৯। কোনো গোরস্থান বা পরিত্যক্ত যায়গা, অথবা
কোনো মরুভূমির সড়কে হাটাচলা করতে দেখা বা
সাগর, নদীর পাড়ে নিজেকে দেখা।
১০। বিশেষ আকৃতির মানুষ দেখা। ভয়ংকার কাউকে দেখা যেমন: অনেক লম্বা, খুবই খাটো, খুবই সাদা, খুব কালো কুচকুচে অথবা কেউ আপনাকে হত্যা করার চেষ্টা করছে ইত্যাদি।
১১। জ্বিন-ভুত দেখা
১২।স্বপ্নে কারো সাথে ফিজিক্যাল রিলেশন
করা।
১৩--বেশি বেশি স্বপ্নদোষ হওয়া।
১৪--স্বপ্নে নিজেকে উড়তে দেখা।
১৫--কোন বিপদ হলে সেগুলো আগে স্বপ্ন
দেখা।
১৬।স্বপ্নে কোনো প্রাণিকে আক্রমণ করতে বা ধাওয়া করতে দেখা। বিশেষতঃ কুকুর, বিড়াল, ইঁদুর, উট, সিংহ, শিয়াল, সাপ, পেঁচা,বানর, ষাঁড়, পাখি (*)
আবার এমন হতে পারে এই প্রাণীগুলো আপনাকে আক্রমণ করতে চায় অথবা আক্রমণ করে।
দ্রষ্টব্যঃ যদি স্বপ্নে সবসময় দুইটা বা তিনটা প্রাণী আক্রমণ করতে আসছে দেখে, তাহলে বুঝতে হবে সাথে দুইটা বা তিনটা জ্বিন আছে।
#ঘুম_ব্যতীত_অন্য_সময়ের_লক্ষণ
১। দীর্ঘ মাথাব্যথা, ডাক্তারের চিকিৎসায় তেমন কোন
কাজ হয়না।(চোখ, কান, দাত ইত্যাদি সমস্যার কারণে নয়, এমনিই)
২। ইবাদত বিমুখতা: নামাজ, তিলাওয়াত,
যিকির আযকারে আগ্রহ উঠে যাওয়া।
সালাত,যিকির, তিলাওয়াতে সময় দিতে ইচ্ছে
করে না। মোটকথা, দিনদিন আল্লাহর থেকে
দূরে সরে যাওয়া
৩।শ্বাসকষ্ট হওয়া যায় সাধারণত ডাক্তারি
চিকিৎসায় ভালো হয়না।
৪। মেজাজ বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকা, কিছুতেই মন না
বসা..অল্পতেই প্রচন্ড রেগে যাওয়া।
৫। ব্যাপক অলসতা; সবসময় অবসন্নতা ঘিরে রাখা
৬। মৃগীরোগ
৭--একা একা কথা বলা আবার অনেক সময় ভিন্ন
ভাষায় কথা বলা যে ভাষায় কথা বলতে সে অভ্যস্ত
নয়।
৮--একটুতেই মানুষের গায়ে হাত তোলা বিশেষ করে
স্ত্রীর গায়ে।
৯-- নিজের অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেক সময় মাথায় অশ্লীল
চিন্তা ঘোরাফেরা করা।
১০--প্রায়ই অদ্ভুত আওয়াজ শোনা অথবা পেশেন্টের
নাম ধরে ডাকা যা পেশেন্ট ব্যতীত অন্য কেউ শুনতে
পায় না।
১১--মাঝে মাঝে কোন কিছুই ভালো লাগেনা আত্মহত্যা
করতে ইচ্ছে করে।
১২-- ভালো মানুষ হঠাৎ মানসিক সমস্যা দেখা দেওয়া।
১৩--ভালো মানুষ হঠাৎ নাস্তিক টাইপের কথা বলা।
১৪--প্রায় সময় মনে হয় কেউ একজন ফলো করছে
অথবা পিছনে পিছনে হাঁটছে।
১৫--অনিয়মিত পিরিয়ড হওয়া, যেমন:: এক মাসে
দুইবার হওয়া আবার অনেকের দুই মাসেও একবার
হয় না।
১৬-- প্রায় সময় ঘুম থেকে উঠার পর কোন কারণ ছাড়াই লজ্জাস্থানে ব্যথা অনুভব হওয়া
১৭। শরীরের একাধিক স্থানে ব্যথা দৌড়াদৌড়ি করা কিংবা কোন অঙ্গ অকেজো হয়ে যাওয়া যাওয়া,যা সাধারণত ডাক্তারি চিকিৎসায় ভালো না হওয়া।
আবারও মনে করিয়ে দেই, শারীরিক রোগের কারণেও এসব হয়ে থাকে। তবে যখন দীর্ঘদিন যাবত যখন এসব লক্ষণ দেখা যাবে, তখন ভাববেন কোনো সমস্যা আছে।
এছাড়াও আরো অনেক কারণ রয়েছে,আচ্ছা যাই হোক,
#এখান থেকে যদি বেশিরভাগ লক্ষন আপনার সাথে মিলে যায় তাহলে আপনি সরাসরি অভিজ্ঞ রাক্বীর কর্তিক রুকইয়াহ করান।
দুই একটা মিললেও আপনার উচিত রুকইয়াহ করা।
-------------------------------------------------------
যাইহোক আমি এখানে জন্য আপনার জন্য সেলফ রুকইয়াহ কতগুলো পরামর্শ এবং ট্রিটমেন্ট বলে দিচ্ছি।
খুব ভালোভাবে খেয়াল করে পড়ুন।
🚩রুকইয়ার আমল গুলো করার ক্ষেত্রে আপনার জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন হবে কবিরাজ, জ্যোতিসবীদ, ওঝা ইত্যাদি এদের থেকে যথাযথ দূরত্ব বজায় রাখা, এদের কথাকে সত্যায়ন না করা, এদের কোন কথায় বিশ্বাস স্থাপন না করা। আর অতীতে যদি এরকম কিছু হয়ে থাকে, তাহলে সেদিক বিবেচনায় আল্লাহ তা'য়ালার কাছে তাওবা করা। তার পাশাপাশি শুধু আল্লাহ তা'য়ালার উপর ভরসা করে রুকইয়ার আমল করে আগিয়ে যাওয়া ও আল্লাহ তা'য়ালার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে থাকা।
কোন ভাবেই রুকইয়ার আমলে ফাকি দেয়া যাবেনা। একদম নিয়মিত রুকইয়ার সব আমল গুলো করে আগাতে হবে।
🌲যেকোন সময় যেকেউ আপনার কোন প্রসংশা করলে আপনি আলহামদুলিল্লাহ অবশ্যই বলবেন। তা নাহলে আপনি আরো গভীর ভাবে বদনজরের খারাপ প্রভাবে আক্রান্ত হবেন। নিজের ব্যাপারে নিজেও যখন কোন
প্রশংসামূলক কথা বলবেন তখনো আলহামদুলিল্লাহ এর সাথে বলবেন অর্থাৎ নিজের অথবা অন্য যে কারও কোন কাজ যেটা আপনাকে মুগ্ধ করে সেটা প্রকাশ করার ক্ষেত্রে মাশা'আল্লাহ অথবা আলহামদুলিল্লাহ বলবেন
শরীয়তের বিধি-নিষেধের ব্যাপার গুলো,বিশেষ করে হালাল-হারাম ও বিশেষ করে পর্দার ব্যাপার গুলো ভালো করে জানুন এবং সে অনুযায়ী জীবন যাপন করার তৌফিক চেয়ে আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করুন এবং সেভাবেই চলার চেষ্টা করুন।
🔥🌲 সেলফ রুকইয়াহ পরামর্শ.......
১. প্রথম এক সপ্তাহ প্রতিদিন রুকইয়াহ Evil Eye শুনবেন (link এর ১নং রুকইয়াহ)
দ্বিতীয় ৩ সপ্তাহ প্রতিদিন রুকইয়াহ জাদু,সেহের ব্লাক ম্যাজিক টা শুনবেন (link এর ৩ নং রুকইয়াহ)
২. প্রতিদিন হার্কের রুকইয়াহ শুনবেন (link এর ৫নং রুকইয়াহ)
৩.প্রতিদিন জাদু ঘরের প্রতি অভিশাপ (অর্থাৎ
রূকইয়াহ কার্স লিংকের ১০ নং রুকইয়াহ)
৪।প্রতিদিন জিন জ্বাদুর রুকইয়াহ শুনবেন (খালিদ
আল হিবসি link এর ১৯ নং রুকইয়াহ)
৫. প্রতিরাতে ঘুমের আগে ৮ সূরার রুকইয়াহ শুনে শেষ
করে তারপর ঘুমাবেন (link এর ৮ নং রুকইয়াহ)
রুকইয়ার audio গুলো download করার ক্ষেত্রে নাম গুলো মিলিয়ে নিবেন।
অডিও লিংক
( https://mobile.facebook.com/notes/3116163451745532?_rdc=1&_rdr)
এখানে link দেয়া আছে। আপনার প্রয়োজনীয় রুকইয়ার Audio গুলো download করে নিয়মিত রুকইয়ার আমল গুলো করতে থাকুন।
এখানে যেভাবে যেভাবে বলা আছে ঠিক সেভাবে ৪১দিন আগান তারপর আবার update জানাবেন।
যেমনঃ রুকইয়াহ শুনার সময় কেমন লাগে।
🚩৪. নিয়মিত ৪১দিন বড়ইপাতার রুকইয়ার গোসল করবেন
বরই পাতা গোসলের পানি তৈরী করার নিয়মঃ
একটা বালতিতে পানি নিবেন, তারপর ৭টা বরই পাতা বেটে পেষ্ট করে ওই পানিতে মিশিয়ে নিবেন এবং কুরআনের যে আয়াত গুলো পড়বেন:
১. সুরা ফাতিহা ৭বার
২. আয়াতুল কুরসি ৭/৩বার
৩. সূরা আ'রাফ (আয়াত-১১৭-১২২)
وَأَوْحَيْنَا إِلَىٰ مُوسَىٰ أَنْ أَلْقِ عَصَاكَ ۖ فَإِذَا هِيَ تَلْقَفُ مَا يَأْفِكُونَ - فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ - فَغُلِبُوا هُنَالِكَ وَانقَلَبُوا صَاغِرِينَ - وَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِينَ -قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِينَ - رَبِّ مُوسَىٰ وَهَارُونَ৭/৩ বার- ০
৪. সূরা ইউনুস (আয়াত-৮১-৮২)
فَلَمَّا أَلْقَوْا قَالَ مُوسَىٰ مَا جِئْتُم بِهِ السِّحْرُ ۖ إِنَّ اللَّهَ سَيُبْطِلُهُ ۖ إِنَّ اللَّهَ لَا يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِينَ - وَيُحِقُّ اللَّهُ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ০
৭/৩ বার
৫. সূরা ত্বহা (আয়াত-৬৯)
وَأَلْقِ مَا فِي يَمِينِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوا ۖ إِنَّمَا صَنَعُوا كَيْدُ سَاحِرٍ ۖ وَلَا يُفْلِحُ السَّاحِرُ حَيْثُ أَتَىٰ৭/৩ বার-০
৬. সুরা কাফিরূন ৭বার
৭. সুরা ইখলাস ৭বার
৮. সুরা ফালাক্ব ৭বার
৯. সুরা নাস ৭বার
এগুলো পড়ে পানিতে ফু দিবেন।যদি গোসলের পানিটা খাওয়ার উপযুক্ত হয়, তাহলে ওখান থেকে ২/৩গ্লাস পানি নিয়ে জিন, যাদু বা বদনজরে আক্রান্ত বেক্তিকে পান করানোর জন্য রাখবেন যেটা গোসলের পর তাকে মধু, ভিনেগার আর কালোজিরা মিশিয়ে পান করাবেন।তবে গোসলের পানিটা যদি খাওয়ার উপযুক্ত না হয়, তাহলে গোসলের পর খাওয়ার জন্য রুকইয়াহ করা সাধারণ খাওয়ার পানি হলেও চলবে।
🌲রাতে ঘুমানোর আগে রুকইয়াহ করা অলিভ অয়েল, মাথা থেকে পা পর্যন্ত হালকা ভাবে মেখে নিবেন এবং সাধারণ রুকইয়াহ করা ১গ্লাস পানির সাথে ২চামচ মধু, ২চামচ এ্যাপেল সিডার ভিনেগার (Apple cider vinegar) এবং ২১টা কালোজিরা মিলিয়ে খেয়ে নিবেন। Patient (অসুস্থ্য ব্যক্তি) যদি ১৮ বছরের কম বয়সী হয়, তাহলে ভিনেগারটা বাদ দিবেন। সম্ভব হলে জমজমের পানিকে রুকইয়াহ করে খাওয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারেন বা বৃষ্টির পানি। এই ধরনের পানি সাধারণ পানির চেয়ে তুলনামূলক ভাবে বেশী উপকারী হয়।
যাইহোক এটা শিফার দিক করে খাবেন, স্বাদ অনুভব করার জন্য নয়।কারণ মধুর মধ্যে যে মানবজাতির জন্য শিফা রয়েছে, একথা সরাসরি আল্লাহ তা'য়ালা বলেছেন। আর কালোজিরার ব্যাপারে রাসূল (সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ এটা মৃত্যু ব্যতীত সকাল রোগের জন্য শিফা। তাই এই দিক গুলো বিবেচনা করলে বুঝা যায় যে জিনিসটা আসলেই খুব বেশি উপকারী।
ঠিক তেমনিভাবে সকালেও গোসলের পর ১গ্লাস পানির (গোসলের পানি থেকে সংগ্রহ করা পানি) সাথে মধু আর কালোজিরা মিশিয়ে পান করবেন।
পানির সাথে অন্য পানি মিশাবেন না, এমনিই গোসল করবেন। আর এসব অবশ্যই টয়লেটের বাহিরে এনে পড়বেন। প্রথমে এই পানি দিয়ে গোসল করাবেন। খেয়াল রাখবেন শরীরের সমস্ত স্থানে যেন পানি পৌছায়। আর এই পানি দিয়ে গোসলের সময় সাবান, শ্যাম্পু ইত্যাদি কোনকিছু ব্যবহার করা যাবেনা।তবে যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে বরই পাতার পানি দিয়ে গোসল করে তারপর অন্য পানি দিয়ে ইচ্ছামত গোসল করবেন।
সুবিধার জন্য একটা সহজ পদ্ধতি বলে দেই। আপনি সম্ভব হলে ৭০টা বড়ই পাতা একসাথে বেটে পেষ্ট করে সেগুলো দিয়ে ১০টা বল বানাবেন। তাহলে গড়ে ১টা বলে (৭০÷১০=)৭টা করে পাতা হয়ে যাবে। এবার এগুলো deep frize এ রেখে দিবেন। প্রয়োজন বোধে ১টা বল=(৭টা পাতার পেষ্ট) বের করে ১বালতি পানিতে মিশিয়ে গোসল জন্য তৈরী করবেন। আপনার জন্য প্রয়োজন হচ্ছে গোসলের আগে ঐ বড়ই পাতার রুকইয়ার গোসলের পানি দিয়ে সারা শরীর ভিজানো। আর এজন্য ২/৪ মগ পানি আস্তে আস্তে ঢাললেই হয়ে যাবে। আর বাকি পানিটা আরেক দিন গোসলের জন্য রেখে দিন। এভাবে করলে ১বালতি বড়ই পাতার রুকইয়ার গোসলের পানি দিয়ে আপনি ৩/৪ দিন গোসল করতে পারবেন।
💎🚩রুকিয়ার আমলের ক্ষেত্রে তিনটা মৌলিক দিক খুব সতর্কতার সাথে খেয়াল রাখা উচিত।
১. অন্তর থেকে স্বচ্ছভাবে রুকিয়ার জন্য নিয়ত করা।
নিয়ত টা হবে এরকম,'ইয়া আল্লাহ! আমার মধ্যে যত প্রকার সমস্যা আছে, তার মধ্য থেকে যেগুলোর ব্যাপারে আমি জানি এবং যেগুলোর ব্যাপারে আমি জানিনা। সকল প্রকার সমস্যা থেকে, ইয়া আল্লাহ আপনি আপনার কালাম দ্বারা আমাকে শিফা দান করুন।
২. নিয়ত অনুযায়ী আল্লাহ তা'য়ালার উপর পরিপূর্ণ আস্থা, বিশ্বাস এবং ভরসা রাখা।
সেটার জন্য মনে মনে এরকম ধারণা করা, আল্লাহ তা'য়ালা সর্বশক্তিমান শিফা দান কারী সত্তা। একমাত্র আল্লাহ তা'য়ালাই আছেন এবং আল্লাহ তা'য়ালা অবশ্য অবশ্যই আমাদের সাহায্য করবেন
৩. এবং সবশেষে নিয়ত এবং বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে রুকাইয়ার আমল নিয়ে আল্লাহ্ তা'আলার পক্ষ থেকে রহমতের আশায় ধৈর্য এবং সবরের সাথে এগিয়ে যাওয়া। এবং খেয়াল রাখা কোনোভাবেই যেন অধৈর্য বা বিরক্তির ভাব প্রকাশ না পায়। মনে রাখবেন, জিন, শয়তান নিজের পথ সহজ করার জন্য, ও সে যেন তার স্বাভাবিক গতিতে আগাতে পারে এজন্য যে রুকইয়ার আমল গুলো করে, তাকে বিভিন্ন ভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করে। তাই আপনার কাজ হবে শয়তানের ধোকায় না পরে একমাত্র আল্লাহ তা'য়ালার উপর ভরসা করে রুকইয়ার আমল গুলো নিয়মিত করে এগিয়ে যাওয়া ও আল্লাহ তা'য়ালার উপর ভরসা রাখা।
🌲🌲জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মনে রাখবেন আল্লাহ তা'য়ালার প্রতিটি সিদ্ধান্ত নির্ভুল এবং আল্লাহ তা'য়ালার প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য কল্যাণকর।
আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন এবং কবুল করুন, আমীন
আরেকটি প্রয়োজনীয় ব্যাপার হচ্ছে আপনাকে খুব বেশি পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। ২৪ ঘন্টা অজু অবস্থায় থাকবেন। প্রয়োজন বোধে আপনি দিনে দু'বার গোসল করবেন। এই ধরনের জিনেরা পরিচ্ছন্নতা সহ্য করতে পারেনা এরা অপরিচ্ছন্ন থাকাটা বেশি পছন্দ করে। যেকোন সময় অজু ভেঙ্গে যায় আবার অজু করে নিবেন। আর রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই অজু করে ঘুমাবেন।
🌲আর রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াত তিলাওয়াত করে ঘুমাবেন। আপনি ছেলে হন বা মেয়ে, সবসময় আপনার গোপনাঙ্গ একদম পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন। টয়লেট ও প্রশ্রাব করার পর ঢিলা/ টিশু ব্যবহার করবেন ঘায়ে,কাপড়ে যেন নাপাকি সিটা না পড়ে খেয়াল রাখবেন।
রাতে ঘুমানোর আগে সারা শরীরে রুকইয়াহ করা Extra Virgin Olive Oil মাসাজ করে নিবেন। আপনি যখনি যে যেকোন আমল করবেন এই Extra Virgin Olive oil এ ফূ দিয়ে রাখবেন।
★ যারা সহী ভাবে কুরআন তিলাওয়াত করতে পারেন না, যত
তারাতাড়ি সম্ভব শিখে নিবেন।
★ বেশি বেশি ইস্তিগফার পড়বেন।
★ বেশি বেশি সলাতুল হাজত নামাজ পড়বেন।
★চেষ্টা করবেন প্রতিদিন
যারা পরিপূর্ণ সহী ভাবে কুরআন তিলাওয়াত করতে পারেন তারা, প্রতিদিন উচ্চস্বরে সূরা বাকারা পুরোটা তিলাওয়াত করবেন। সারাদিন কম্পক্ষে ১ হাজার বার লা ইলাহা ইল্লাল্লহ পড়বেন।বেশি পড়তে পারলে আরো বেশি ভালো।
ফজরের পর সূরা ইয়াসীন (২২/২৩ পারা)
যোহরের পর সূরা ফাতহ (২৬ পারা)
আওসরের পর সূরা নাবা (৩০পারা)
মাগরিবের পর সূরা ওয়াক্বিয়াহ (২৭পারা) এবং
ইশার পর সূরা মুলক (২৯পারা) তিলাওয়াত করবেন।
-----------------------------------------------
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রতি আরো বেশি যত্নবান হোন।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর এবং রাতে ঘুমের আগে
★ সূরা ফাতিহা তিন বার,
★ আয়াতুল কুরসী তিন বার,
★ সূরা কাফিরূন তিন বার,
★ সূরা ইখলাস তিন বার,
★ সূরা ফালাক্ব তিন বার,
★ সূরা নাস তিন বার পড়ে হাতে ফু দিয়ে শরীরে জড়িয়ে নিন এবং এর পাশাপাশি খাবার পানিতে ফু দিয়ে রাখুন।
প্রতিদিন নিয়মিত রুকইয়ার গোসল করুন।তবে স্বাভাবিক ভাবেই ২৪ ঘন্টা অজু অবস্থায় থাকবেন। এমনটা যেন না হয়, যে চেষ্টা করেছি পারিনি।
# ঘুম না আসলে, এই দু'আটা পড়তে থাকবেন।যতক্ষন ঘুম না আসবে, পড়তেই থাকবেন।
بِسْمِكَ رَبِّيْ وَضَعْتُ جَنْبِيْ، وَبِكَ اَرْفَعُهُ، فَاِنْ اَمْسَكْتَ نَفْسِيْ فَرْحَمْهَا، وَاِنْ اَرْسَلْتَهَا فَحْفَظْهَا، بِمَا تَحْفَظُ بِهٖ عِبَادَكَ الصَّالِحِيْنَ০
# মনের মধ্যে যখনি বাজে চিন্তা বা প্রশ্ন উদিত হবে অথবা যখন খুব বেশি রাগ লাগতে থাকবে বা খুব অস্থির/বিরিক্ত লাগবে বা মরে যেতে ইচ্ছা করবে সাথে সাথে ৪টি কাজ করবেন।
১. কমপক্ষে ৩ বার বা তার বেশি
০اَعُوْذُ بِاللّٰهِ العَظِيْمِ
০بِوَجْهِهِ الْكَرِيْمِ
০وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيْمِ
০مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ
২. কমপক্ষে ৩ বার বা তার বেশি
০هُوَالْأَوَّلُ وَالْاٰخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ
০وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْمِ
৩. কমপক্ষে ৩ বার বা তার বেশি
০لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللّٰهِ الْعَلِّى الْعَظِيْمِ
৪.কমপক্ষে ৩ বার বা তার বেশি
০اٰمَنْتُ بِاللّٰهِ وَرُسُلِهٖ
বিঃদ্রঃ আরবি শব্দের উচ্চারণ কখনই বাংলায় পরিপূর্ণভাবে আদায় করা যায় না। তাই বাংলায় এই দোয়া গুলোর উচ্চারণ খোজার চেষ্টা করবেন না পর্দার বিধান অনুযায়ী আপনার পরিচিত কোন দ্বীনি ভাই/বোন, যে কিনা সহি ভাবে কোরআন তিলাওয়াত করতে পারে তার কাছ থেকে এই দোয়া গুলোর সহীহ উচ্চারণ শিখে তারপর মুখস্ত করে নিবেন।
🚩মনে রাখতে হবে
# রুকইয়াহ শুনার সময় যদি ঘুম আসে তাহলে কোন ভাবেই ঘুমানো যাবেনা জেগে থাকার চেষ্টা করবেন ও চোখ খোলা রাখার চেষ্টা করবেন।
# খুব কান্না আসতে পারে, যদি আসে খুব করে কাদবেন। তারপরও রুকইয়ার audio বন্ধ করবেন না।
# শরীরের যেকোন জাগায় ব্যথা বা শিরশির করতে পারে।
# মুখ থেকে বারংবার লালা বা থু থু আসতে পারে বা বমির ভাব হতে পারে অথবা বমিও হতে পারে। এতে ঘাবড়ে যাবেন না, এটা স্বাভাবিক। থু থু, লালা, বমি ইত্যাদি যাকিছুই হোকনা কে আপনি ফেলে দিতে থাকবেন।
রুকইয়াহ অডিও শুনবেন হেডফোন কানে দিয়ে পুল চাউন্ড বাড়িয়ে দিয়ে।
# মনোযোগ দিয়ে রুকইয়াহ শুনবেন এবং রুকইয়ার মাঝে break দিবেন না।
মোটকথা রুকইয়ার audio শোনার সময় আপনার যে রকমই অনুভূতি আসুক না কেন, কোনভাবেই audio শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত বন্ধ করা যাবেনা।
প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে নিয়মিত দুই রাতাক বা চার রাকাত নামাজ পড়বেন। দুই রাকাত পড়লে নিয়মিত দুই রাকাতই নিয়মিত পড়বেন, আর ৪ রাকাত পড়লে নিয়মিত ৪ রাকাতই নিয়মিত পড়বেন। নামাজ শেষে নিজের সকল প্রকার প্রয়োজন, চাহিদা, আকাংখা, অভিযোগ, ব্যর্থতা ইত্যাদি সবকিছু উল্লেখ করে আল্লাহ তা'য়ালার কাছে দু'আ করবেন। দীর্ঘ সময় দু'আ করবেন এবং দু'আর মাঝে খুব করে কাদবেন। কান্না না আসলেও কান্নার মতো করতে থাকবেন। প্রতিরাতেই এভাবে দু'আ করবেন, আর আমার জন্যেও একটু একটু দু'আ করবেন।
🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲...........................................__________________
#সবশেষে খবিস জ্বিনের ক্ষতি থেকে বাঁচতে কয়েকটি মৌলিক বিষয় জেনে নিন।
১। জামা'আতে নামাজ আদায় করা। তাহাজ্জুদ পড়া। এই দুটি আপনার আত্মিক শক্তি বৃদ্ধি করে।
২। গানবাজনা থেকে বিরত থাকা।
৩। সর্বদা পাকপবিত্র থাকা। বিশেষত: ঘুমের আগে অযু করে বিছানায় যাওয়া।
৪। ঘুমের আগে আয়াতুল কুরসি এবং সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়া।
৫। সব কাজে বিসমিল্লাহ বলা, বিশেষত: খাবার সময় এবং ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করতে। এছাড়া উঁচু থেকে লাফ দেয়ার সময়, কিছু ফেলার সময়, অন্ধকারে কিছু করার সময়ও বিসমিল্লাহ বলা ভালো।
৬। কুকুর - বিড়াল না মারা, সাপ মারতে চাইলে আগে জোর আওয়াজে ৩বার বলা "জ্বিন হলে চলে যাও.."
৭। কোনো গর্তে প্রসাব না করা। হাদিসে এব্যাপারে পরিষ্কার নিষেধাজ্ঞা আছে।
৮। ঘরে প্রবেশের এবং বের হওয়ার দোয়া পড়া, দোয়া না জানলে অন্তত বিসমিল্লাহ বলা।
৯। সন্ধ্যার সময় ঘরের জানালা বন্ধ করা, বাচ্চাদের বাহিরে বের হতে না দেয়া। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পর বাচ্চাদের বের হতে কিংবা জানালা খুলতে পারেন।
১০। স্ত্রী সহবাসের পুর্বে অবশ্যই দু'আ পড়া। বিয়ের প্রথম রাতের দোয়াটি পড়া।
১১। টয়লেটে ঢোকার সময় দু'আ পড়া।
১২। প্রতিদিন "লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা-শারীকালাহ, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ওয়াহুওয়া 'আলা কুল্লি শাই ইং ক্বদীর" ১০০বার পড়া। একশতবার না হলে, অন্তত সকাল - সন্ধ্যায় ১০বার করে পড়া। দোয়া গুলো আরবিতে সহিভাবে শিখে নিবেন। বাংলাতে শুদ্ধ উচ্চারণ হয়না।
১৩। সকাল সন্ধ্যার অন্যান্য মাসনুন আমলগুলো
নিয়মিতভাবে প্রতিদিন করা।
মাসনুন আমল জিন, জাদু, এবং অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচার উপায়। লিংক
https://www.facebook.com/332175011035877/posts/503832233870153/
১৪। সুরা ইখলাস ফালাক নাস, তথা তিনকুল-এর আমল গুরুত্ব সহকারে করা।
আয়েশা সিদ্দীকা রা. থেকে এব্যাপারে চল্লিশটিরও বেশি সনদে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সা. জীবনের শেষ পর্যন্ত এর আমল করেছেন।
আমল হলো, রাসূল সা. প্রতিরাতে ঘুমানোর পূর্বে সূরা ইখলাস তিনবার, সূরা ফালাক তিনবার ও সূরা নাস তিনবার পড়ে দুইহাতের তালুতে ফুঁ দিতেন। ফুঁ এর সাথে হালকা থুতু বেরিয়ে আসতো। এরপর সমস্ত শরীরে হাত বুলিয়ে নিতেন।
দ্বিতীয়ত: প্রতিদিন ফজর ও মাগরিবের নামাযের পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার সূরা ইখলাস, একবার সূরা ফালাক ও একবার সূরা নাস এভাবে তিন সূরা তিনবার পড়তেন।
(পড়া শেষে হাতে ফুঁ দিয়ে শরির মাসেহ করবেন)
হাদীসের শেষাংশে আল্লাহর রাসূল সা বলেন, এআমলই তোমার জন্য যথেষ্ট।অন্য হাদিসের আছে এই সুরাগুলো পড়ে বাচ্চাদের ফুঁ দিয়ে দিতেন।
আর উপরে বলা কিছু দুয়া প্রসিদ্ধ অনেক বইতে পাবেন, যেমনঃ হিসনে হাসিন, গুলজারে সুন্নাহ, হিসনুল মুসলিম। আরো সহজে পাবেন নুরানী মাদরাসার বাচ্চারা একটা নীল রঙের বই পড়ে (নুরানী পদ্ধতিতে কোরআন শিক্ষা এরকম নাম), বেলায়েত সাহেবের লেখা, সেখানে।
----------------------------------------
যেকোন এমার্জেন্সিতে আমাদের রুকইয়াহ সেন্টারে ভিজিট করুন।
সরাসরি রুকইয়াহ প্রয়োজন বোধে আমাদের হটলাইনে ফোন করুনঃ
রাক্বী ফরিদ আল আনসারী
(কনসালটেন্ট রাক্বী)
#হিজামা প্ল্যানেট নারায়নগঞ্জঃ কাপিং ও রুকইয়াহ সেন্টার । 01889992883
#হিজামা প্ল্যানেটঃ নোয়াখালী কাপিং ও রুকইয়াহ সেন্টার: 01894430677
🤲আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সবাইকে প্রতিটা মূহুর্ত আল্লাহ তা'য়ালার সন্তুষ্টি অনুযায়ী ব্যয় করে শিরক ও কুফর মুক্ত ঈমান নিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত এগিয়ে যাওয়ার তাওফীক দান করুন।
আমীন!
(নিজে জানার পর লেখাটি অন্যদের সাথেও শেয়ার করুন)
Posted by Raqi Forid Ansari
আপনার কাছাকাছি ব্রাঞ্চে
এ্যাপয়েন্টমেন্ট করতে ফোন করুনঃ
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
+88.0161.2877464 (Dhanmondi, Dhaka)
+88.01610.445262 (Banani, Dhaka)
+88.01841.445262 (Chittagong)
+88.01615.445262 (Khulna)
+88.0188.9992885 (Gazipur)
+88.0188.9992883 (Narayanganj)
+88.0189.4430.677(Noakhali)
+88.0188.9992882 (Mymensingh)
+88.0188.9992900 (Kuakata)
+88.0188.999.2898 (Cox's Bazar)
+88.01842.787924 (Jhalokati, Barisal)
+88.0184.2877464 (Bogra)
+88.0188.999.2881 (Cumilla)
+88.0188.999.2863 (Muradnagar, Cumilla)
+1(716)495-4435 (Buffalo, New York, USA)
+1(512)686-6819 (Arlington, Virginia, USA)
+39(347)604-1636 (Italy)
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬