
27/09/2024
আমি ডাক্তার , কিন্তু মেধাবী নই ।
স্কুল জীবনে খুব লম্বা, শুকনা, দুর্বল ছিলাম , তাই খেলাধুলায় কেউ আমাকে নিতো না। দৌড়াতে পারতাম না, ঠ্যাং এর সাথে ঠ্যাং বাড়ি খাইতো। ফুট বলে লাথি দিলে চার ফুট ও যাইতো না, তাই ফুটবল খেলায় পোলাপান আমাকে বানাইতো গোলকীপার।দাঁড়াইয়া থাইকা শুধু চিল্লাইতাম আর ডিফেন্ডারদের গালাগালি করতাম, গোল খাইলে তাদের ঘাড়ে দোষ চাপাইতাম।
ক্রিকেটের অবস্থা তো আরও খারাপ। ব্যট আলগাইতে পারতাম না , ভারি । দৌড়াইতে পারি না , ব্যাটিং বোলিং পারি না , ঠিকমতো চোখে দেখি না , তো আমাকে দিয়ে কি হবে? আমি হইতাম আম্পায়ার । সেখানেও বিপত্তি , অন্যমনস্ক হইয়া যাইতাম , কেউ সাত বল কইরা ফেলছে অথচ আমি বলতেছি ওভার শেষ হয়নি। চোখে যেহেতু ঠিকমতো দেখি না , ওয়াইড বল , নো বল , এলবি ডাব্লিউ এ সমস্যা । কাজেই আমার আম্পায়ারশীপও হারাইতে হইলো ।
অতঃপর ঘুড়ি উড়ানো শুরু করলাম। সেখানেও ব্যর্থ। সুতা মাঞ্জন করার সিস্টেম ছিল আগে। শত চেষ্টা করেও আমি কোনদিন কারও গুড্ডি কাটতে পারিনি।
চারিদিকে ব্যর্থ হইয়া পড়ালেখায় মন দিলাম । পোলাপান ব্যাস্ত বাইরে খেলাধুলায় , আমি পড়ার টেবিলে। ব্যস এই সুযোগটাই কাজে লাগালাম । বলতে পারেন ফাকা মাঠে গোল দেয়া । ওরা যদি খেলা বাদ দিয়ে পড়ায় মন দিতো তাইলে নিশ্চিত, আমি এই লাইনেও ব্যার্থ হইতাম। যাই হোক , এই লাইনে সফলতা পাইলাম , স্কুল , কলেজ , অতঃপর মেডিকেল এ ভর্তি । তারপর ধীরে ধীরে আজ এখানে ।
কিন্তু আমি আসলে মেধাবী না , আমার ব্রেইন খুব স্লো কাজ করে, মেমোরি কার্ডে যায়গা কম, আর খালি বারবার ডিস্টার্ব দেয়। ডাটা ডিলিট হয়ে যায়, নয়তো এক ডাটার মধ্যে আরেকটা ঢুকে যায় ।
এখন আবার শুরু হইছে , দেশ সংস্কার । কি করিলে জনগণ সত্যিকার অর্থেই স্বাস্থ্য সেবা পাইবে , সেটা ভাবতে ভাবতেই দিন শেষ। AMC প্রিপারেশন নিবো কখন?