Fayezia Homoeo Pharmacy

  • Home
  • Fayezia Homoeo Pharmacy

Fayezia Homoeo Pharmacy মানব সেবাই এক মাত্র উদ্দেশ্য।

27/09/2024

إِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا

08/05/2024

আল্লাহ কষ্টের পর স্বস্তি দান করবেন।
আয়াত-৭ সুরা-ত্বালাক্ব।

26/12/2022

অর্শ রোগের চিকিৎসায় ডা. নরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেশি পছন্দের কয়েকটি ওষুধের ব্যবহারিক লক্ষণ সহ দেয়া হলো-

০১. 01. Aesculus Hippocastanum (ইস্কিউলাস হিপ)
চরিত্র- নীলাভ, পুরাতন, বাহ্যবলি, আভ্যন্তরিক, চুলকানি, বৃহৎ, মলত্যাগ বাধাপ্রাপ্ত হয়, অবরুদ্ধ।
বৃদ্ধি- রাত্রে, অন্ধবলি, দাঁড়ালে, হাঁটলে, মলত্যাগের পর শৌচ করলে।
হ্রাস- গরম আবহাওয়ায়।
রক্ত- রক্ত যায়।
সরলান্ত্র- ফাটা।
ব্যথা- জ্বালাকর।
কারণ- গর্ভাবস্থায়।
মলদ্বারে অস্বস্তিবোধ। কটিবাত বা কোমরে ব্যথা। ভ্রমণশীল বেদনা। অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ভারবোধ বা পূর্ণতাবোধ। অর্শ রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের বক্ষবেদনা।

০২. Collinsonia Canadensis (কলিনসোনিয়া ক্যানাডেন্সিস)
চরিত্র- হৃদস্পন্দনের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে, পুরাতন, রক্তসঞ্চয়যুক্ত, বাহ্যবলি, চুলকানি।
বৃদ্ধি- রাত্রে, ঋতুস্রাবের সময়ে।
হ্রাস- প্রাতে।
রক্ত- রক্ত যায়।
ব্যথা- জ্বালাকর।
কারণ- গর্ভাবস্থায়।
অর্শরোগ যন্ত্রণাকর হয়। রক্ত পড়ে সাথে কোষ্ঠবদ্ধতা, হৃদরোগ সংক্রান্ত অর্শ। স্ত্রীলোকদের অর্শ, গর্ভাবস্থায় অর্শ।
সরলান্ত্রে তীক্ষè কাঠিসমূহ অবস্থান করছে এরূপ অনুভূতি, সঙ্কোচন অনুভূতি। হৃৎপিÐের লক্ষণাবলী উপশমিত হলে অর্শ অথবা ঋতু প্রত্যার্বতন করে।

০৩. Sulphur (সালফার)
অর্শবলি :
চরিত্র- নীলাভ, পুরাতন, রক্তসঞ্চয়যুক্ত, বাহ্যবলি, আভ্যন্তরিক, চুলকানি, বৃহৎ, অবরুদ্ধ, চাপা পড়া।
বৃদ্ধি- প্রাতে, প্রাতে জাগিয়ে তুলে, রাত্রে, বিয়ার, মদে, ঋতুস্রাবের সময়ে, ঋতুস্রাবের অবরোধ কালে, প্রসব ক্ষেত্রে, দাঁড়ালে, স্পর্শে, হাঁটলে, মলত্যাগের পর শৌচ করলে।
রক্ত- রক্ত যায়।
সরলান্ত্র- ফাটা।
ভগন্দর।
ব্যথা- জ্বালাকর।
কারণ- গর্ভাবস্থায়।
অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্নতা। প্রাতঃকালে মলত্যাগ ও মধ্যাহ্ন ক্ষুধা। স্নানে অনিচ্ছা, দুগ্ধে অরুচি।
ব্রহ্ম তালু, হাতের তালু ও পায়ের তলায় উত্তাপ বা জ্বালা। সব রন্ধ্রপথ লাল।

৪. Acid Muriaticum (এসিড মিউরিয়েটিকাম)
অর্শবলি :
চরিত্র- নীলাভ, শিশুদের, রক্তসঞ্চয়যুক্ত, বাহ্যবলি, চুলকানি, বৃহৎ, মলত্যাগকালে নির্গত হয়।
ব্যথা- জ্বালাকর ব্যথা মলত্যাগকালে।
বৃদ্ধি- প্রাতে, সঞ্চালনে, প্রসব ক্ষেত্রে, মলত্যাগকালে নির্গত হয়, স্পর্শে, মূত্রত্যাগ কালে বলি নির্গত হয়, হাঁটলে, মলত্যাগের পর শৌচ করলে।
হ্রাস- বাহ্যিক উত্তাপে।
সরলান্ত্র- ফাটা।
ব্যথা- জ্বালাকর।
রক্ত- রক্ত যায়।
মুখে ঘা, ঘা কালো নীল। জিহŸায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গভীর ক্ষত। জিহŸা শুষ্ক চামড়ার ন্যায় ও ক্ষুদ্র। অর্শের বলি অত্যন্ত স্পর্শকাতর, বাহ্যবলী। প্রস্রাব করার সময় মলদ্বার বের হয়ে পড়ে, চুলকায়। রোগী অত্যন্ত খিটখিটে ও বদরাগী।

৫. Hamamelis Virginica (হ্যামামেলিস ভার্জিনিকা)
অর্শবলি :
চরিত্র- নীলাভ, বাহ্যবলি, চুলকানি, বৃহৎ।
রক্ত- রক্ত যায়।
ব্যথা- জ্বালাকর।
রক্তস্রাব কালচে, আক্রান্ত স্থানে টাটানি ব্যথা, রক্তস্রাবের আগে মাথায় তীব্র যন্ত্রণা। রক্ত অল্প অল্প করে নির্গত হয়, রোগী দুর্বল ও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। অর্শের বলিগুলো লাল বা নীল রঙের, গুহ্যদ্বারে জ্বালা ও টাটানো ব্যথা। বাহ্য বলিতে ভালো কাজ করে।

৬. Aloe Socotrina (এলো সকোট্রিনা)
অর্শবলি :
চরিত্র- কটিবাতের সঙ্গে, পুরাতন, বাহ্য বলি, চুলকানি, বৃহৎ, অবরুদ্ধ।
বৃদ্ধি- প্রাতে,প্রাতে জাগিয়ে তুলে, রাত্রে, বিয়ার, মদে, ঋতুস্রাবের সময়ে,মূত্রত্যাগ কালে বলি নির্গত হয়।
হ্রাস- ঠাÐায় উপশম।
রক্ত- রক্ত যায়, ভগন্দর।
ব্যথা- জ্বালাকর।
কারণ- জোলাপ খাওয়ার পর।
মলদ্বারের অক্ষমতা ও অসাড়ে মলত্যাগ। মলদ্বারে পূর্ণতাবোধ ও অতিরিক্ত বায়ুনিঃসরণ। আহারে বৃদ্ধি, প্রাতঃকালে বৃদ্ধি। ঠাÐা পানিতে অর্শের উপশম।

৭ Nux Vomica (নাক্স ভমিকা)
অর্শবলি :
চরিত্র- পুরাতন, রক্তসঞ্চয়যুক্ত, মাতালদের, উত্তেজনা দেখা দেয়, বাহ্যবলি, আভ্যন্তরিক, চুলকানি, বৃহৎ, অবরুদ্ধ, চাপা পড়া।
বৃদ্ধি- বিয়ার, মদে, স্পর্শে।
রক্ত- রক্ত যায়।
সরলান্ত্র- ফাটা।
ব্যথা- জ্বালাকর।
কারণ- গর্ভাবস্থায়, জোলাপ খাওয়ার পর।
অতিরিক্ত মানসিক পরিশ্রম বা অতিরিক্ত ইন্দ্রিয় সেবা কিংবা অতিরিক্ত রাত জাগরণজনিত অসুস্থতা। বারবার মলত্যাগের ব্যর্থ প্রয়াস এবং মলত্যাগের পর উপশম বোধ। জিদ বা মনের দৃঢ়তা, ঈর্ষা ও হঠকারিতা।
শীতকাতরতা, স্পর্শকাতরতা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা।

৮. Paeonia officinalis (পিওনিয়া অফিসিন্যালিস)
অর্শবলি :
চরিত্র- রক্তসঞ্চয়যুক্ত, বাহ্যবলি, চুলকানি, মলত্যাগ বাধাপ্রাপ্ত হয়, অবরুদ্ধ, ক্ষতজনক।
বৃদ্ধি- মলত্যাগের পর শৌচ করলে।
রক্ত- রক্ত যায়।
সরলান্ত্র- ফাটা।
ব্যথা- জ্বালাকর।
রোগী কোন দুঃসংবাদ শ্রবণ করার ভয়ে ভীত: অল্পে কাতর। অর্শ ,ভগন্দর, মলদ্বারের মুখ ফুলে উঠে। মলদ্বারের চারপাশ নীলবর্ণ ও তথায় অসহনীয় যন্ত্রণা। মলদ্বারে ক্ষত। ক্ষত হতে দূর্গন্ধ রস বের হয়। মূত্রাশয়ে সংকোচণ বশতঃ ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব হয়।

৯. Ratanhia Peruvana (র্যাটানহিয়া পেরুভিয়ানা)
অর্শবলি :
চরিত্র- বাহ্যবলি, চুলকানি।
বৃদ্ধি- মলত্যাগকালে নির্গত হয়, স্পর্শে।
রক্ত- রক্ত যায়।
সরলান্ত্র- ফাটা।
ব্যথা- জ্বালাকর।
মলদ্বারে কাঠির কুঁচি থাকার মতো যন্ত্রণা, মলত্যাগের পর আক্ষেপ, জ্বালা এবং বেদনা থাকে, শীতল পানি প্রয়োগে উপশম, মলত্যাগ কষ্টসাধ্য। স্তন বৃন্তের ফাটা, আলপিনের ন্যায়, কৃমি বহু সূত্রবৎ।

১০. Arsenicum Album (আর্সেনিক এল্বাম)
অর্শবলি :
চরিত্র- নীলাভ, রক্তসঞ্চয়যুক্ত, মাতালদের, বাহ্য বলি, আভ্যন্তরিক, চুলকানি, বৃহৎ, অবরুদ্ধ, চাপা পড়া।
বৃদ্ধি- রাত্রে, হাঁটলে।
হ্রাস- বাহ্যিক উত্তাপে।
রক্ত- রক্ত যায়।
সরলান্ত্র- ফাটা।
ব্যথা- জ্বালাকর।
নিদারুণ দুর্বলতা, অস্থিরতা ও মৃত্যুভয়। মধ্যদিবা বা মধ্যরাতে বৃদ্ধি কিংবা মধ্যদিবা এবং মধ্যরাতে বৃদ্ধি।
প্রবল পিপাসা সত্তে¡ও ক্ষণে ক্ষণে স্বল্প পানি পান এবং পানি পান মাত্রই বমি। জ্বালা ও দুর্গন্ধ।

ডা. ফারুকী
০১৭১১০৩৯২৩৯

16/05/2022

*স্বাস্থ্য সম্পর্কে মনে রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলি :*-

1. রক্তচাপ: 120/80
2. পালস: 70 - 100
3. তাপমাত্রা: 36.8 - 37
4. শ্বসন: 12-16
5. হিমোগ্লোবিন: পুরুষ (13.50-18)
মহিলা (11.50 - 16)
6. কোলেস্টেরল: 130 - 200
7. পটাসিয়াম: 3.50 - 5
8. সোডিয়াম: 135 - 145
9. ট্রাইগ্লিসারাইডস: 220
10. শরীরে রক্তের পরিমাণ:
পিসিভি 30-40%
11. চিনি: শিশুদের জন্য (70-130)
প্রাপ্তবয়স্ক: 70 - 115
12. আয়রন: 8-15 মিগ্রা
13. শ্বেত রক্তকণিকা: 4000 - 11000
14. প্লেটলেট: 150,000 - 400,000
15. লোহিত রক্তকণিকা: 4.50 - 6 মিলিয়ন..
16. ক্যালসিয়াম: 8.6 - 10.3 mg/dL
17. ভিটামিন D3: 20 - 50 ng/ml (ন্যানোগ্রাম প্রতি মিলিলিটার)
18. ভিটামিন বি 12: 200 - 900 পিজি/মিলি

*যারা ৪০ উর্ধ্ব বয়সে পৌঁছেছেন তাঁদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলি:*-

*প্রথম পরামর্শ:*
আপনার তৃষ্ণা না লাগলেও বা প্রয়োজন না হলেও সর্বদা জল পান করুন... সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য সমস্যা এবং তার বেশিরভাগই শরীরে পানির অভাব।
প্রতিদিন সর্বনিম্ন 2 লিটার (24 ঘন্টা)।

*দ্বিতীয় পরামর্শ:*
এমনকি আপনি যখন আপনার ব্যস্ততার শীর্ষে থাকেন তখনও খেলাধুলা করুন...শরীরকে অবশ্যই নড়াচড়া করতে হবে, এমনকি যদি শুধুমাত্র হাঁটা...বা সাঁতার কাটা...অথবা যেকোনো ধরনের খেলাধুলা করে।
🚶 হাঁটা শুরুর জন্য ভালো...

*তৃতীয় পরামর্শ:*
খাবার কমিয়ে দিন...

অত্যধিক খাবারের লোভ ত্যাগ করুন... কারণ এটি কখনই ভালো করে না।
নিজেকে বঞ্চিত করবেন না, তবে পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রোটিন বেশি ব্যবহার করুন, কার্বোহাইড্রেট ভিত্তিক খাবার কম করুন।

*চতুর্থ বিষয়*
যতটা সম্ভব, একেবারে প্রয়োজন ছাড়া গাড়ি ব্যবহার করবেন না... আপনি যা চান (মুদিখানা, কাউকে দেখা...) বা যে কোনও লক্ষ্যের জন্য আপনার পায়ে হাঁটার চেষ্টা করুন। এলিভেটর, এসকেলেটর ব্যবহার না করে সিঁড়ি দাবি করুন।

*পঞ্চম বিষয়*
রাগ ছেড়ে দিন..
রাগ ছেড়ে দিন..
রাগ ছেড়ে দিন..
দুশ্চিন্তা বাদ দিন....ছোট ছোট বিষয় উপেক্ষা করার চেষ্টা করুন...

ঝামেলার পরিস্থিতিতে নিজেকে জড়াবেন না.. এগুলি সব স্বাস্থ্যকে হ্রাস করে এবং আত্মার জাঁকজমক কেড়ে নেয়। যারা ইতিবাচক তাদের সাথে কথা বলুন। আরও শুনুন।

*ষষ্ঠ পরামর্শ*
যেমন বলা হয়..আপনার টাকা সূর্যের মধ্যে ছেড়ে দিন.. এবং ছায়ায় বসুন.. নিজেকে এবং আপনার আশেপাশের লোকদের সীমাবদ্ধ করবেন না... অর্থ এটি দ্বারা বাঁচার জন্য তৈরি করা হয়েছিল, এটির জন্য বাঁচার জন্য নয়।

*সপ্তম পরামর্শ*
কারো জন্য নিজেকে দুঃখিত করবেন না, এমন কিছুর জন্য যা আপনি অর্জন করতে পারেননি বা এমন কিছুর জন্য যা আপনি নিজের করতে পারেননি।
উপেক্ষা করুন, ভুলে যান।

*অষ্টম বিষয়*
নম্রতা.. তারপর নম্রতা.. অর্থ, প্রতিপত্তি, ক্ষমতা এবং প্রভাবের জন্য... এগুলি এমন সব জিনিস যা অহংকার এবং অহংকার দ্বারা কলুষিত হয়..
নম্রতাই মানুষকে ভালোবাসার সাথে আপনার কাছাকাছি নিয়ে আসে।

*নবম বিষয়*
যদি আপনার চুল ধূসর হয়ে যায় তবে এর মানে জীবনের শেষ নয়। এটি প্রমাণ যে একটি উন্নত জীবন শুরু হয়েছে।
আশাবাদী হোন, স্মরণের সাথে বেঁচে থাকুন, ভ্রমণ করুন, নিজেকে উপভোগ করুন। স্মৃতি তৈরি করুন!

*সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন*
(সংগৃহীত)

ডা. জর্জ ভিথোলকাসের সাক্ষাৎকার-------------------------------------অনুবাদ: ডা. শাহীন মাহমুদ:জর্জ ভিথোলকাস:পৃথিবীখ্যাত হো...
29/07/2021

ডা. জর্জ ভিথোলকাসের সাক্ষাৎকার
-------------------------------------
অনুবাদ: ডা. শাহীন মাহমুদ:

জর্জ ভিথোলকাস:
পৃথিবীখ্যাত হোমিওপ্যাথদের একজন, যাকে হোমিওপ্যাথির সর্বকালের সবচেয়ে ভালো শিক্ষক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ‘হোমিওপ্যাথিক শিক্ষার পুনরূদ্ধার ও হোমিওপ্যাথদের সর্বোচ্চ মানের প্রশিক্ষণপ্রদানের অবদানের জন্য’ ১৯৯৬ সালে তিনি ‘Right Livelihood Award’ (‘বিকল্প নোবেল পুরস্কার’ নামে খ্যাত) সম্মানে ভূষিত হন। ১৯৯৫ সালে তিনি গ্রিসের এলোনিসসে ‘International Academy of Classical Homeopathy’ প্রতিষ্ঠা করেন- যেখানে তিনি ‘Educational Department’ এর প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এই একাডেমিটিতে তিনি তার ৪০ বৎসরের অভিজ্ঞতাপ্রসূত জ্ঞান থেকে শিক্ষা প্রদান করেন এবং ‘Levels of health’ প্রসঙ্গে তার সর্বসাম্প্রতিক তত্ত্বের শিক্ষা প্রদান করেন। হোমিওপ্যাথিক শিক্ষাপদ্ধতি সম্বন্ধে ডা. জর্জ ভিথোলকাসের এই সাক্ষাৎকারটি Hpathy Ezine –এর সম্পাদকদের একজন ডা. মণীষ ভাটিয়া নিজেই গ্রহণ করেন এবং তা ২০১৩ সালের আগস্ট মাসের সংখ্যায় তাতে প্রকাশ করেন।

মণীষ ভাটিয়া: প্রফেসর ভিথোলকাস, আপনাকে Hpathy এর আলোচনায় স্বাগতম। এই মাসে, আমরা আমাদের লেখক ও হোমিওপ্যাথিক শিক্ষার ব্যাপারে আলোকপাত করছি। আপনাকে হোমিওপ্যাথির শিক্ষকদের শিক্ষক বলা হয়, কাজেই হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা নিয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে আপনার চেয়ে উপযুক্ত আর কেউ নেই। আপনি কয়েক দশক ধরে পৃথিবীর সর্বপ্রান্তের হোমিওপ্যাথদের শিক্ষাপ্রদান করে আসছেন। বিশ্বজুড়ে হোমিওপ্যাথিক শিক্ষার মানের ব্যাপারে আপনার সাধারণ অভিব্যক্তি কি?

জর্জ ভিথোলকাস: শিক্ষা বর্তমান সময়ে হোমিওপ্যাথির সবচেয়ে উত্তপ্ত ইস্যু। আমি যা বলতে চাচ্ছি: হয় আমরা হ্যানিমানিয়ান ধারায় সঠিক শিক্ষাকে তার বিস্ময়কর ফলপ্রসূতা নিয়ে অনুসরণ করবো- অথবা আমরা ধ্বংস হয়ে যাবো এবং সেই জায়গাটিতে আসন গাড়বে চালিয়াতি, কল্পনা ও উন্মত্ততার কালো ছায়া। হোমিওপ্যাথি ফলপ্রসূ হতে তাকে যথাযথভাবে পড়তে হবে এবং গভীরভাবে বুঝতে হবে।

আমি এ ব্যাপারে সতর্ক যে, বর্তমানে পৃথিবীজুড়ে বেশ কয়েকটি নিষ্ঠাবান শিক্ষাকেন্দ্র রয়েছে যারা পড়াশুনার জন্য সুবিস্তৃত প্রোগ্রাম তৈরি করে হোমিওপ্যাথিক শিক্ষার পূর্ণতার জন্য প্রয়োজনীয় আদর্শ মানকে নির্দিষ্ট করার চেষ্টা করছে। সেই সব শিক্ষাক্ষেন্দ্রগুলো যা বুঝতে পারেনি তা হচ্ছে- কারো শেখানোর অধিকার অর্জনের আগে শিক্ষার্থীদের সামনে চিকিৎসার মাধ্যমে তার রোগী আরোগ্য করতে পারা উচিৎ- যাতে তার জ্ঞান ও শিক্ষা সঠিক হিসাবে প্রমাণিত হয়। যদি এই নিয়মটির বাস্তব প্রয়োগ না হয়, তাহলে সর্বধরণের শিক্ষকগণ যা শেখাবে তা হোমিওপ্যাথি নয়, সেটা তাদের নিজ নিজ খেয়াল ও বাতিক। যদি কেউ তার প্র্যাকটিসের কিছু সফল কেইস বেছে নেয় এবং তা জনসাধারণের সামনে তুলে ধরে- তার শিক্ষাপ্রদান করার যোগ্যতার ব্যাপারে এই প্রমাণটি যথেষ্ঠ নয়। একাধিক ঔষধ ব্যবহার না করে, সঠিক ঔষধ অনুসন্ধানে তার লাগাতার সফলতা এবং সদৃশবিধানের প্রয়োগই হচ্ছে একমাত্র প্রমাণ।

আজ প্রকৃত জ্ঞানের কদর করা হয় না- কারণ তা বাস্তবায়ন করতে একটি উঁচুমাত্রার নিষ্ঠা এবং পূর্ণরূপে দখলদারিত্ব আনতে পড়াশুনার প্রয়োজন হয়। অপরদিকে, একজন ‘শিক্ষক’ শিক্ষার্থীদের যতবেশি ‘মজাদার’ আবর্জনা দিয়ে বিনোদন দিয়ে যাচ্ছে, সে তত বেশি মারাত্মক একটি ব্যর্থতার পথ তাদের অনুসরণ করতে প্রলোভিত করছে। আমি ‘মারাত্মক’ শব্দটি বুঝে-শুনেই ব্যবহার করেছি, কারণ প্রকৃত শিক্ষার অজ্ঞতা তার রোগীদের মৃত্যু ও তার প্র্যাকটিসকে একটি কানাগলির দিকে নিয়ে যাবে।

মণীষ ভাটিয়া: হ্যা, তত্ত্ব ও বাস্তব অনুশীলন একইভাবে মিলেমিশে চলা উচিৎ। এবং এটিও সত্য, সঠিক পথে হোমিওপ্যাথিক প্র্যাকটিস করা সহজ নয়। ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষা তাকে আরো কঠিন করে তোলে। হোমিওপ্যাথিক শিক্ষার মান এক দেশ থেকে আরেক দেশে ভিন্ন হয় এবং হোমিওপ্যাথির ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে অভিন্ন আদর্শ মান গৃহীত হতে আরো বহু সময় লাগবে। সে পর্যন্ত একজন হোমিওপ্যাথির শিক্ষার্থী, তার উন্নত শিক্ষা- যা তাদের ভালো হোমিওপ্যাথ হতে সাহায্য করবে – তা নিশ্চিত করার জন্য কি করতে পারে?

জর্জ ভিথোলকাস: প্রিয় মণিষ, একটি অভিন্ন হোমিওপ্যাথিক শিক্ষাব্যবস্থার স্বপ্ন বাস্তবতা থেকে বহু দূরে। কারণটি হচ্ছে- আদর্শবাদ, যা আত্মিকতার দিকে প্রবণতাযুক্ত সমাজগুলোকে উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে পারতো তার বদলে সেখানে আমাদের বর্তমান আধুনিক সমাজ বস্তুবাদ ও শক্তিপ্রয়োগের নীতির দ্বারা চালিত হচ্ছে। কেবলমাত্র ওরকম সমাজগুলোই ক্লাসিক্যাল হোমিওপ্যাথির মতো মেডিক্যাল কেয়ার সিস্টেমগুলোকে গ্রহণ করে নিয়ে তার অগ্রগতির প্রচেষ্টা করতে পারতো।

তারপরও এরকম সঠিক জ্ঞানের শিক্ষাকেন্দ্র এখনো আছে, কিন্তু শিক্ষার্থীদেরকে প্রকৃত হোমিওপ্যাথিক শিক্ষার জন্য সেইসব উৎসগুলোর অনুসন্ধান করা উচিৎ- যেগুলো বিশাল সব ডিগ্রির আড়ম্বরে জনসাধারণের চোখের আড়ালে পড়ে আছে কিন্তু বাস্তব প্রয়োগ, পরীক্ষামূলক কাজ ও গবেষণার উন্নয়নে ও অগ্রগতিতে ভিত্তিমূলক কাজ করে যাচ্ছে।

এই রকম ইন্সটিটিউশন এবং একাডেমি বর্তমান কিন্তু সেগুলো খুঁজে পাবার জন্য এই পরম নিয়মটিকে মনে রেখে শিক্ষার্থীদের সতর্ক অনুসন্ধান চালানো উচিৎ যে, সেইসব শিক্ষালয় যা প্রতিজ্ঞা করেছে তা তারা প্রদান করতে পারবে: রোগীর আরোগ্য! তারা যদি ভুল শিক্ষাদর্শকে বিশ্বাস করে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক হবে- কারণ ভুল শিক্ষাটি সবসময়ই তার নিজের পথে এগিয়ে যাবে এবং পরবর্তীতে তা থেকে বেরিয়ে আসা সাংঘাতিক মুশকিল হয়ে যাবে।

মণীষ ভাটিয়া: আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপারটিকে সহজ করার লক্ষ্যে, বিশ্বজুড়ে হোমিওপ্যাথিক শিক্ষাকে অভিন্ন মানে উন্নীত করতে হোমিওপ্যাথিক কম্যুনিটি কি করতে পারে? এই দুঃসাধ্য কাজটি কিভাবে সম্পন্ন করা যেতে পারে?

জর্জ ভিথোলকাস: বেশ! এটি একটি চমৎকার প্রশ্ন; আমি নিজে এটা নিয়ে বহু ভেবেছি কিন্তু কোন সন্তোষজনক উত্তর পাইনি। একটি সমাধান হতে পারে যে ইউনিভার্সিটি, একাডেমি এবং কলেজগুলো ও হোমিওপ্যাথির স্বীকৃত মাস্টার্স প্রোগ্রামগুলোর জন্য হোমিওপ্যাথিক শিক্ষাপ্রদানের বর্তমান কাঠামোতেই তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষা দেয়া যেতে পারে এবং তা করা উচিৎ। আসলে, এক্সপার্টদের এই ধরণের দূর-শিক্ষনের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রদানের পদ্ধতি ক্রমান্বয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে এবং আমি এর সাথে একমত। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে বৈরিতা। প্রতিটি ইউনিভার্সিটি, কলেজ ও একাডেমির শিক্ষাপ্রদানে তাদের নিজেদের পথ ও পদ্ধতি রয়েছে এবং যদি এক্সপার্টদের মতামত এবং শিক্ষা, যা ইতোমধ্যে কলেজে শেখানো হয়েছে- তার সাথে কারো সাথে না মেলে, দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষগণ এই সাংঘর্ষিক প্রোগ্রামের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সমস্যায় পড়ে যাবে।

এই সমস্যার জন্য আমার কাছে একটা সমাধান আছে কিন্তু আমি ভয় পাচ্ছি, তা হয়তো বাস্তবমূখী বলে মনে হবে না।

মণীষ ভাটিয়া: সমাধানটি কি?

জর্জ ভিথোলকাস: ৫ জন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথ নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা উচিৎ এবং সমস্ত হোমিওপ্যাথিক ইন্সটিটিউশন, যারা তাদের মূল্যায়নের জন্য কমিটিটিকে আমন্ত্রণ প্রদান করার মতো যথেষ্ঠ আত্মবিশ্বাসী- তাদের সেই ইন্সটিটিউশনগুলোতে কমিটিটি পরিদর্শন করবে এবং দুই বছরের অনুসন্ধানের শেষে, সেই সমস্ত হোমিওপ্যাথিক শিক্ষাদান কেন্দ্রগুলোকে মূল্যায়ন করে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে। এই রিপোর্টটিকে বিশেষজ্ঞদের করা এক্সপার্ট মতামত হিসাবে বিবেচনা করা হবে। এভাবে একপ্রকারের ঐক্যমত্য গঠন করার প্রস্তুতি শুরু করা যেতে পারে- যা সর্বোচ্চ সিরিয়াস শিক্ষাকেন্দ্রগুলো দ্বারা গৃহীত হবে।

এজন্য অবশ্য ব্যাপক পরিমাণ অর্থনৈতিক সাপোর্টও প্রয়োজন হতে পারে- যেখানে লোকজনকে দুই বছর ধরে বেতন দিয়ে যেতে হবে। LIGA Medicorum Homeopatica Internationalis এই খরচ বহন করতে পারে এবং লোকদেরও নির্বাচন করতে পারে।

আমার বিশ্বাস, মূল্যায়নের জন্য খুব বেশি ইন্সটিটিউশন আবেদন করবে না কিন্তু এই বাস্তবতাটিই সেই সব শিক্ষাকেন্দ্রগুলোর অধিকাংশকেই অপসারিত করবে, যারা হোমিওপ্যাথি শিক্ষা দিচ্ছে বলে দাবি করে (অথচ বাস্তবে তার বিপরীত)।

মণীষ ভাটিয়া: আপনার দুটো আইডিয়াই আমার চমৎকার লেগেছে! হোমিওপ্যাথির উন্নত শিক্ষাকেন্দ্রগুলোকে চিহ্নিত করতে লিগার মতো একটি আন্তর্জাতিক হোমিওপ্যাথিক প্রতিষ্ঠান-স্বীকৃত হোমিওপ্যাথিক কলেজগুলোর সাথে এক্সপার্টদের একটি দলের সহযোগিতার ধারণা- শিক্ষার্থীগণ যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন তার একটি বাস্তব সমাধান।
আন্তর্জাতিক শিক্ষাগুরুদের নিকট থেকে শিক্ষাগ্রহণের জন্য অনলাইন মাধ্যমকে ব্যবহারও যথেষ্ঠ অর্থ বহন করে। পৃথিবীর বৃহত্তর অংশে থাকা দ্রুতগতির ইন্টারনেট ও যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে ভৌগোলিক অবস্থান আজ অধর্তব্যে পরিণত হয়েছে। আমেরিকা ও ইউরোপের বেশিরভাগ ইউনিভার্সিটি বর্তমানে অনলাইন স্টাডি প্রোগ্রামগুলোকে অনুমোদন করে। আপনার একাডেমিও হোমিওপ্যাথিক শিক্ষার্থী ও প্র্যাকটিশনারদের জন্য দূরশিক্ষণ কোর্স সুলভ করেছে, যার মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের মানুষ আপনার কাছ থেকে শিখতে পারবে। এই কোর্সের যাত্রা শুরু হলো কিভাবে? অনুগ্রহ করে যদি বিস্তারিত বলতেন!

জর্জ ভিথোলকাস: এই কোর্সটি প্রাণ পেয়েছে একজন অনন্য ব্যক্তিত্ব Maria Chorianopoulou PhD এবং গ্রিসের ই-লার্নিংয়ের অন্যতম অভিজ্ঞ গুরুদের একজন Mr. Christos Aposkitis এর অনুপ্রেরণায়। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, শিক্ষাজগৎটি একটি নতুন যুগে প্রবেশ করেছে, যেখানে শিক্ষার্থীগণ তাদের নিজেদের গৃহত্যাগ না করেও সরাসরি এক্সপার্টদের কথা শোনার সুযোগটি পেতে পারে। ইন্টারনেট বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতির যে ক্ষতিটা করে যাচ্ছে এবং নীতি ও নৈতিকতার যে পদস্খলন ঘটাচ্ছে- ইন্টারনেটের এই আশির্বাদটি তার ক্ষতিপূরণ বলা যেতে পারে। যে পরীক্ষাটি আমরা শুরু করেছি- আমরা যা আশা করেছিলাম সেটা তার চেয়ে বহুগুণ ভালোভাবে চলছে এবং নিজেদের ঘরে থাকা বা তাদের নিজেদের শহরে থাকা ছোট ছোট দলবদ্ধ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যে সাড়া পাচ্ছি- তা চমকপ্রদ।

আমি জার্মান শিক্ষার্থীদলকে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত ৪ বৎসরে- বৎসরে দুইবার করে যা দিচ্ছিলাম, সেগুলোই শিক্ষাদানের বিষয়বস্তুগুলোর অন্তর্ভুক্ত। মূল কোর্সের বাইরে, শিক্ষার্থীগণ তাদের পোস্টগ্রাজুয়েট কোর্স চালিয়ে যেতে পারে- যার মধ্যে, আজ পর্যন্ত আমি যা শিখিয়েছি তা অন্তর্ভুক্ত, এবং প্রধানত তা লাইভ কেইস এনালাইসিস এবং ফলো-আপ। আমরা সেই কোর্সগুলো তৈরি করছি যা ক্ল্যাসিকাল হোমিওপ্যাথি অনুশীলনের জন্য অত্যন্ত দিক-নির্দেশক হবে। অর্গাননের উপর লেকচারও যোগ করা হবে।

শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে যে মন্তব্যগুলো পাচ্ছি তা এত উৎসাহব্যঞ্জক যে, আমরা সবাই ফলাফল নিয়ে খুবই আনন্দিত।

আমার বিশ্বাস, এই কোর্সগুলো শিক্ষার্থীদের মাঝে সঠিকভাবে ক্ল্যাসিকাল হোমিওপ্যাথি অনুশীলন করার একটি জোর তাগাদা ও শক্তিশালী উদ্দীপনা বয়ে আনবে এবং এই সত্যিকারের পবিত্র আরোগ্যকারী কলার ব্যাপারে তাদের একটি উচ্চতর দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করবে।

মণীষ ভাটিয়া: অনলাইনে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রদানের প্রতিবন্ধকতাগুলো কি? সামনা-সামনি শিক্ষাপ্রদানের সাথে এই প্রক্রিয়াটি কতটা ভিন্ন?

জর্জ ভিথোলকাস: শুরুতে এটা ভিন্ন বলে মনে হতে পারে, এবং যারা আমার শিক্ষাগুলোর ক্রমোন্নতিকে ঘৃণা করে তাদের দ্বারা প্রচুর নেতিবাচক মন্তব্যও করা হয়। কিন্তু যখন শিক্ষার্থীদের মন্তব্যগুলো এসে পৌঁছে, এটি সুস্পষ্ট হয় যে- এই শিক্ষাপ্রদান পদ্ধতিটি লাইভ সেসনের মতো একইভাবে ফলপ্রসূ। আসলে বরঞ্চ এটা আরো উন্নত- কারণ এতে টেক্সটগুলো এডিট করা হয়েছে এবং এটিতে সময়ের কোন অপচয় হয় না- লাইভ সেসনগুলোতে সাধারণত যা হয়ে থাকে।

মণীষ ভাটিয়া: ইন্টারনেট পৃথিবীকে বিশ্বপল্লীতে পরিণত করেছে এবং জাতিগুলোর ভৌগোলিক সীমাকে তুচ্ছ করে কারো জ্ঞানের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভবপর করেছে। কিন্তু শিক্ষাব্যবস্থা ও চিকিৎসাচর্চার আইনগত ভিত্তি প্রতিটি দেশে ভিন্ন। আপনি অনলাইন কোর্স প্রদানের আইনগত দিকটির কি ব্যবস্থা করবেন?

জর্জ ভিথোলকাস: আজকের দিনের যে কেউ জানে, ইন্টারনেট একটি মাধ্যম- যাকে গঠনমূলক অথবা বিধ্বংসীরূপে বিবেচনা করা যেতে পারে। আমি মনে করি যে, এর ব্যাপক সৃষ্টিশীল সম্ভাবনাগুলোর মধ্যে একটি- “বিশেষায়িত জ্ঞান”-কে সময়ের কোন বাঁধা ছাড়াই পৃথিবীজুড়ে মানুষের কাছে পৌঁছানোর মধ্যে নিহিত।

যদি একটি প্রোগ্রাম ভালোরকমে সংগঠিত হয়, সঠিক ও ফলপ্রসূভাবে প্র্যাকটিস করতে যে জ্ঞানগুলো মানুষের প্রয়োজন- তার সমস্তকিছু পেতে আদৌ কোন সমস্যা হবে না। আমাদের প্রোগ্রাম সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ ও সবচেয়ে সম্পূর্ণ প্রোগ্রাম যা শিক্ষার্থীকে হোমিওপ্যাথির সর্বদিকের জ্ঞান প্রদান করবে। যদি নিজেদের দেশে প্র্যাকটিস করার আইনগত বৈধতা তাদের থেকে থাকে, এই জ্ঞানগুলো তাহলে একিউট ও ক্রনিক কেইসগুলো চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে তাদের অস্ত্রভাণ্ডারে যোগ করতে পারবে। ইতোমধ্যে আমরা যে সাড়া পেয়েছি তা আসলেই দারুন।

মণীষ ভাটিয়া: এ ব্যাপারটি যথেষ্ঠ অর্থবহন করে। জ্ঞানকে ভৌগলিক সীমার মাঝে আবদ্ধ করা উচিৎ নয় কিন্তু শিক্ষার্থীদের কেবল যদি তাদের নিজেদের দেশের আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য যোগ্যতা থেকে থাকে, তবে সেই আইন অনুসরণ করেই এই জ্ঞানকে তাদের প্র্যাকটিসে ব্যবহার করা উচিৎ। আপনার কোর্সগুলো সত্যিই চমৎকার এবং এটি আরো বৃহত্তর ব্যাপার যে, পৃথিবীজুড়ে থাকা শিক্ষার্থীগণ আপনার কাছ থেকে বিশেষ জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে পারবে। আমি আপনার কোর্সের লিংকটি শিক্ষার্থী ও হোমিওপ্যাথদের দিতে চাচ্ছি-

* E-Learning Program by International Academy of Classical Homeopathy, Greece
* E-course on Levels of Health by George Vithoulkas

ধন্যবাদ প্রফেসর ভিথোলকাস, আপনার মূল্যবান সময় আমাদের দেবার জন্য এবং হোমিওপ্যাথিক শিক্ষার ব্যাপারে আপনার অন্তর্দৃষ্টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

মূল সাক্ষাৎকারটি পড়ুন নিচের লিংক থেকে-
https://homeodigest.com/%e0%a6%a1%e0%a6%be-%e0%a6%9c%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9c-%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%a5%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7/

পৃথিবীখ্যাত হোমিওপ্যাথদের একজন, যাকে হোমিওপ্যাথির সর্বকালের সবচেয়ে ভালো শিক্ষক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ‘হোমি....

16/07/2021

রোগীর কোন অবস্থায় মায়াজম নিয়ে ভাববো?
১. কোন রোগীর যে কোন রোগের চিকিৎসা করার পর, সে রোগী যখন পুনঃরায় একই রোগে আক্রান্ত হয়ে বারবার ফিরে আসে, তখন আপনাকে ভাবতে হবে এর কারণ কি?
২. একই পরিবেশে বসবাস করে কেউ অসুস্থ হচ্ছে, আবার কেউ স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করছে। কেউ অসুস্থ হচ্ছে, আবার কেউ সুস্থ থাকছে। এর কারণ কি তা আপনাকে ভাবাচ্ছে।
৩. বংশগত কারণে কোন রোগ চিররোগে রূপান্তরিত হলে ঐ রোগের মুলোচ্ছেদ করতে আপনাকে বিচার করে দেখতে হবে যে, উক্ত রোগের মূলে সোরিক, সিফিলিটিক, সাইকোটিক ও টিউবারকুলার কোন দোষটি বিদ্যমান।
৪. রোগীর চিকিৎসা চলছে ওষুধেও কাজ করছে, হঠাৎ নির্বাচিত ওষুধে কাজ করছেনা। তখন আপনাকে ভাবতে হবে এর কারণ কি?
৫. রোগীর চিকিৎসা চলছে ওষুধেও কাজ করছে তবে তা খুবই ধীর গতি সম্পূর্ণ। তখন আপনাকে ভাবতে হবে এর কারণ কি? কেনই বা এতো ধীর গতি?
৬. রোগীর চিকিৎসা চলছে ওষুধেও কাজ করছে, রোগীর বর্তমান কষ্টের উপশম হচ্ছে কিন্তু রোগী মানসিকভাবে প্রশান্তি পাচ্ছে না। এই সময় আপনাকে ভাবতে হবে, রোগী যে মায়াজমে আক্রান্ত ওষুধটি সে মায়াজমেটিক কিনা?
৭. একই সঙ্গে জন্ম হওয়া শিশু একজন দ্রæত বৃদ্ধি পাচ্ছে, একজন স্বাভাবিক গতিতে বাড়ছে অন্যজন খুবই ধীর গতিতে বাড়ছে, আর একজন কিছটাু বৃদ্ধি হয়ে আর বাড়ছে না তখন আপনাকে ভাবতে হবে এর কারণ কি?
৮. একই মায়ের গর্ভে জন্ম, একই সাথে বসবাস কিন্তু একজনে দুধ খেলে ভালো থাকে, আর একজনের দুধ খেলে পেট খারাপ করে, অন্যজন দুধ খেতেই চায় না এই রকম হওয়ার কারণে আপনাকে ভাবাবে এইরূপ হচ্ছে কেন?
৯. একই মায়ের গর্ভে জন্ম, একই সাথে বসবাস কিন্তু একজন অনেক কথা বলে, আর একজনকে প্রশ্ন করলেও জবাব দিতে চায় না, সে কথা কম বলে। একজন শান্ত, অন্যজন রাগী। একজন শীর্ণকায়, অন্যজন মেদপ্রবণ। একজন মেধাবী, অন্যজনের মেধাকম এই সকল ক্ষেত্রে আপনাকে ভাবতে হবে এর কারণ কি?
১০. একই মায়ের গর্ভে জন্ম, একই সাথে বসবাস কিন্তু একজনের শরীরে প্রায় খোস পাঁচড়া লেগেই থাকে। আর একজনের বারবার মুখে ঘা হয় কিংবা শরীরের কোথাও আঁচড় লাগলেই তা ক্ষতে পরিণত হয়ে যায়। অন্যজনের হাতে পায়ে আঁচিল, টিউমার, অর্শ আর একজনের প্রায় ঠান্ডালাগে যা সহজে সারে না। এইরূপ ব্যতিক্রমি সমস্যা দেখলে আপনাকে ভাবাবে এইরূপ কেন হয়?
১১. রোগীকে সম্পূর্ণভাবে তরুণ কিংবা চিররোগ থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তির জন্য যাকে প্রয়োজন। যা না হলে রোগীর রোগ থেকে স্থায়ীভাবে মুক্ত হওয়া সম্ভব নয়।
লেখক- ডা. ফারুকী

03/07/2021

আলোচ্য বিষয় : রোগীলিপি প্রস্তুতকরণ।
কেইস রেকর্ডকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করে করা যেতে পারে :
১) বর্তমান(পা থেকে মাথা পর্যন্ত সব সমস্যা)।
২)অতীত (সারাজীবনে রোগী যে সকল রোগে আক্রান্ত হয়েছে তার বিবরণ,টিকা, মানসিক ও শারীরিক আঘাত,অপারেশন,আগুনে পোড়া,সাপ ও কুকুরের কামড়,ধারালো কিছুতে কেটে যাওয়া,বিষ খাওয়া ইত্যাদি)।
৩) বংশ (রক্তের সম্পর্কীয় সবার কার কি রোগ আছে বা ছিল)।
৪) মানসিক (ইচ্ছাবৃত্তি,বুদ্ধিবৃত্তি,স্মৃতিশক্তি,স্বপ্ন)।
৫)সার্বদৈহিক (শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রমসমূহ যেমন-ঘাম,ঘুম,লালা,মল,মূত্র,ক্ষুধা,পিপাসা,কাতরতা,
খাদ্য-ইচ্ছা,অনিচ্ছা,অসহ্য,হ্রাস বৃদ্ধি,ব্যথার ধরণ,ঋতুস্রাবের প্রকৃতি ইত্যাদি )।
----এভাবে উল্লেখিত পাঁচ ধাপে সহজেই সম্পূর্ণ
রোগীলিপি প্রস্তুত করা সম্ভব হয়।
এটি গেল রোগীলিপির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা।নিচে একটি রোগীলিপির ফরম বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
কেস হিস্ট্রি
কেইস নং-
বর্তমান
তারিখ :
রোগীর নাম :
বয়স :
মোবাইল :
উচ্চতা :
গায়ের রং :
শারীরিক গঠন :
পেশা :
রক্তচাপ :
পালস :
পিতা/স্বামীর নাম :
বিবাহিত না অবিবাহিত :
সন্তান/সন্ততির সংখ্যা (নরমাল/সিজার) :
চুলের রং :
ওজন :
ধর্ম :
বর্তমান সমস্যাগুলো কী কী?
১.
২.
৩.
৪.
৫.
৬.
৭.
৮.
৯.
১০.
কতদিন যাবৎ ভুগছেন ?
রোগের শুরু কিভাবে হয়?
রোগের কারণ কী?
উত্তেজক ও পরিপোষক কারণ,মানসিক আঘাত,ভয়,মৃত্যু ,প্রেমে ব্যর্থতা ,পরীক্ষায় ফেল,ব্যবসায় লস,দুর্ঘটনা,অপারেশন,
কোন রোগের পর,বিষাক্ত খাদ্য খাওয়া,টীকা,তেল,
মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া,ভুল ঔষধ খাওয়া,রাসায়নিক ঔষধ গ্রহণ,সময়মতো না ঘুমানো,ইলেকট্রনিক গেজেট ব্যবহার করা।
রোগ কখন,কিসে,কি খেলে বাড়ে ?-চাপলে,ঘষলে,টাই
পড়লে,দড়ি পেচালে,বসলে,
শুইলে,দাড়ালে,
হাটলে,নির্দিষ্ট ঋতুতে বা ঋতুর পরিবর্তনে,
ঘুমে,খালিপেটে,
ভরাপেটে,বদ্ধরুমে থাকলে,খোলা জায়গায় গেলে,উদ্বিগ্নতার সময়।
রোগ কখন,কিসে,কি করলে,কি খেলে কমে ?
রোগের যন্ত্রণার ধরণ কেমন এবং কিভাবে এর মোকাবেলা করেন ?
রোগ বৃদ্ধির সময় আপনার কেমন অনুভূতি হয় ?
শারীরিক এবং মানসিক কোন ধরণের বিকৃতি এবং অসুবিধা আছে কিনা ?
মাথা :
ব্যথা,গরম,
জ্বালাপোড়া,
মাথাঘোরা,বমিবমিভাব,টাক,চুলপড়া,
খুসকি,উকুন।
চোখ :
চোখ উঠা,ছানি,
গ্লুকোমা,চোখে কালি পড়া,পাতা নাচা,অঞ্জনি,কম দেখা,নালিঘা,চোখ লাল,এলার্জি,চোখে আঘাত,দিনকানা,
রাতকানা,টেরা চক্ষু,চোখে ব্যথা,চোখ করকর করা,চোখ দিয়ে পানি পড়া,চোখে পিচুটি জমা।
নাক :
সাইনুসাইটিস,
পলিপাস,নাক বন্ধ,কোল্ড এলার্জি,সর্দি,হাচি,
কাশি,সামান্যতেই ঠান্ডা লাগা,শ্বাসপ্রশ্বাসে দুর্গন্ধ,নাকের হাড়ে ক্ষত,নাক দিয়ে রক্তপাত,নাকের স্রাবের ধরণ- আঠালো,পাতলা,রং হলুদ,সাদা।নাক ডাকা,ঘ্রাণশক্তি কম,
ফ্যার্রংজাইটীস।
কান :
মুখ :
দুর্গন্ধ,জিহ্বায় ক্ষত,টনসিলাইটিস,
আলজিহ্বা ফোলা,তোৎলা,বোবা,মাঢ়ী থেকে রক্ত পড়ে।
স্বাদ -লোনা,তিতা,ঝাল।
জিহ্বা :
কম্পমান জিহ্বা,লাল টকটকে জিহ্বা,জিহ্বায় ঘা ও ফাটল।
দাত :
দন্তক্ষয় (আগা থেকে/গোড়া থেকে)।দাতে ব্যথা,দাগ,দাতের বিন্যাস ও আকৃতি (করাতের মতো,এলোমেলো)।দাত ভঙ্গুর।
গলা :
ব্যথা,ঢোক গিলতে অসুবিধা,গলায় কাটা ফুটে থাকার অনুভূতি, গলায় গোলা/বল/ঢিবলির মতো কিছু আটকে আছে এমন অনুভব।গলগন্ড,স্বরভঙ্গ,গলনালী সংকোচন,ক্ষত,
হাইপোথাইরয়েডিজম।
বুক :
ব্যথা,চাপবোধ,
ভারীবোধ,শূণ্যবোধ,যক্ষ্মা,ফুসফুস ও হার্টের সমস্যা,সৃষ্ট শব্দ।পানি ও শ্লেষ্মা জমা,গড়গড় আওয়াজ,
পালপিটেশন,
ব্রেস্টে সমস্যা,নিপল ফাটা-ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়া,ব্যথা,চাকা।
পিঠ :
ব্যথা,মেরুদন্ডে সমস্যা ও ব্যথা,বিকৃতি,মেরুদন্ডের যে কোন অংশে
সমস্যা।
চর্ম :
দাদ,একজিমা,
আচিল,টিউমার।ফাটা,শুষ্ক,আর্দ্র,তেল চকচকে।
পেট এবং কোমর :
ব্যথা,সাইড,লিভার,কিডনি,মৃত্রনালী,পাকস্থলী,
প্যনক্রিয়াস,গলব্লাডার,বায়ুজমা,গ্যাস্টাইটিস,বদহজম,ঢেকুর উঠা,এপেনডিসাইটিস,পেটে
জল জমা,আলসার।
হাত-পা :
জ্বালাপোড়া,ব্যথা,
আঙ্গুল হাড়া,নখকুনি,কড়া,
একজিমা,সোরাইসিস,
নখ-ভঙ্গুর-ক্ষয়প্রাপ্ত,এবড়ো থেবড়ো।
পুরুষ জননাঙ্গ :
স্ক্রুটামে সমস্যা,ফোলা,অন্ডকোষ শক্ত,নরম।পেনিসে অসুবিধা।পেনিসের সমস্যা,
উত্থানে দুর্বল।
স্ত্রী জননাঙ্গ :
প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া,ওভারীতে সিস্ট,জরায়ুতে টিউমার,ভ্যাজাইনা শুষ্ক,স্যাঁতস্যাঁতে।
ইউটেরাইন প্রোলাপস।
শারীরিক অবস্থা :
দুর্বল,সবল,সিড়ি বেয়ে উঠানামায় কষ্ট,পরিশ্রম করতে পারেনা।
রোগীর বাসস্থান :
শুকনো,স্যাঁতস্যাঁতেভাব,সাগর তীরে,পাহাড়ে,ডোবা ও নর্দমার পাশে,বস্তি
এলাকায়,রাস্তার পাশে কোলাহল ও ধুলিময় স্থানে,বাসায় বন্যার পানি উঠে কিনা,অপরিচ্ছন্ন কিনা,আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা আছে কিনা,রাসায়নিক কারখানার কারখানার পাশে কিনা।
অতীত:
গর্ভে থাকাকালীন সময়ে মায়ের যে সকল শারীরিক ও মানসিক অসুবিধা,দুর্ঘটনা এবং রোগ ছিল তার বিবরণ এবং কি কি চিকিৎসা হয়েছিল তার বিবরণ।
জন্ম হওয়া থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত রোগী যে সকল রোগ হয়েছিল তার নাম,ভোগকাল,ধরণ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত।
যেমন-চুলকানি,
পাচড়া,দাদ,
একজিমা,
নিউমোনিয়া,
টাইফয়েড,যক্ষ্মা,হাম,কালাজ্বর,পক্ষাঘাত,উন্মাদ,আচিল,
ক্যান্সার, আলসার,ফোড়া,
ফিস্টুলা,
ইরিসিফেলাস,বাগী,
যৌনরোগ।-সিফিলিস,গণোরিয়া,
প্রস্রাবে ইনফেকশন,বসন্ত,
বাত,জন্ডিস,প্লুরিসি,
হাইপারটেনশন,ম্যালেরিয়া,
কুষ্ঠ,যক্ষা,আমাশয়,
গলস্টোন,রেনাল স্টোন,পাইলস।
মানসিক আঘাত আছে কিনা ?-প্রেমে ব্যর্থতা,পরীক্ষায় ফেল,ব্যবসায়ে আর্থিক ক্ষতি,অপমানের কুফল,ডিভোর্স,নিকট জনের মৃত্যু,তীব্র আতংকিত হওয়া বা ভয়
পাওয়ার ইতিহাস।
শারীরিক আঘাত আছে কিনা ?
একসিডেন্ট,হাড় ভাঙা, মচকে যাওয়া,হাড়ে ফাটল,অপারেশন,ধারালো কিছু দিয়ে কেটে যাওয়া,পুড়ে যাওয়া,লাঠির আঘাত,গুলির আঘাত,মাথায় আঘাত,মেরুদন্ডে আঘাত,বিষ খাওয়ার ইতিহাস,কুকুর-সাপ-বিড়াল এবং মৌমাছি ভীমরুলসহ বিষাক্ত পোকামাকড়
কামড়ের ইতিহাস।
টীকা নেওয়ার ইতিহাস ও দাগ (D.P.T,পোলিও ও অন্যান্য)।
এক্সরে ও বৈদুতিক শকের ইতিহাস।
বংশ :
বংশে কার কি রোগ আছে তার বিবরণ।
ম্যালেরিয়া,জন্ডিস,হাপানী,নিউমোনিয়া,যক্ষ্মা,ডায়াবেটিস,
স্ট্রোক,হার্ট ডিজিজ,বাত ব্যথা,চর্মরোগ,উন্মাদ,প্রতিবন্ধি,আত্মহত্যা,মানসিক রোগ।
মা-
বাবা-
ভাই-
বোন-
দাদা-
দাদি-
নানা-
নানি-
চাচা-
ফুপু-
মামা-
খালা-
চাচাতো/ফুপাতো/মামাতো/খালাতো ভাইবোন-
মানসিক লক্ষণ :
১.স্বভাব :
রাগী/শান্ত-রাগের ধরণ।-কতক্ষণ থাকে,কেন রাগে,রাগলে কী করতে ইচ্ছে হয় ?
ভাঙতে,মারতে,
কাটতে,আগুন লাগিয়ে দিতে,গালি দিতে,খুন করতে,নিজেকে আঘাত করতে।
রাগলে কেমন প্রতিক্রিয়া হয় ?
কান্না করে,শরীর কাপে,ঝগরাটে,
গালিগালাজপূর্ণ।
শান্তনায় রাগ বাড়ে নাকি কমে ?
খিটখিটে মেজাজ।
২.স্মরণশক্তি প্রখর,ভুলে যায়- নাম,ঠিকানা,
বাজারের লিস্ট,পড়া।
৩.ভয়- মৃত্যুভয়,অপমানের ভয়,কুকুর,সাপ,
বিড়াল,পোকামাকড়,তেলাপোকা,ইদুর,
অন্ধকার,জীনভূত,
একা থাকলে,পরীক্ষাভীতি,পুলিশ,রক্ত,
বজ্রপাতে,সুইভীতি।
৪.বুদ্ধি- বেশি,কম,চালাক,
সৃজনশীল,বোকা,
উদাসীন,সচেতন।
৫.প্রধান চিন্তা ও দুশ্চিন্তাসমূহ- যে সকল বিষয় নিয়ে রোগী বেশি ভাবে,যে চিন্তাগুলো বারবার মনে আসে,যে সকল বিষয় নিয়ে রোগী বারবার দুশ্চিন্তা করে এবং মানসিক চাপে থাকে।
৬.দয়ালু/নিষ্ঠুর- দানশীল,
সহানুভূতিশীল,
অতিথি আপ্যায়ন করে,ক্ষমা করে,ক্ষমায় শর্ত দেয়,অহংকারী,
একগুয়ে,মানুষ ও পশুপাখিকে কষ্ট দেয়,গালি দেয়।
৭.সাহসী/ভীতুপ্রকৃতির/লাজুকতা/প্রতিবাদ।
৮.ইনট্রোভারটেড/এক্সট্রোভারটেড/লোকসঙ্গ চায় নাকি অপছন্দ করে।
৯.Honest/Dishonest.
১০.অলস/কর্মঠ।
১১.প্রফুল্ল/বিষন্ন/হাসিমুখ-মুচকি হাসে, উচ্চশব্দে হাসে,ক্রন্দনশীল।
১১.কথা বেশি বলে (বাচাল)/কথা কম বলে/চাপাস্বভাব/গম্ভীর/গোপনপ্রিয়।
১২.মিথ্যা বলার অভ্যাস আছে কিনা/সত্যবাদী।
১৩.ঘরমুখী/ভ্রমণের ইচ্ছা।
১৪.মনে কোন ধরণের চাপা কষ্ট বিরাজ করছে কিনা?করলে সেটি কোন বিষয়ে?
১৫.হিসেবী/বেহিসেবী।
১৬.আত্মহত্যার ইচ্ছা।
১৭.সন্দেহপরায়ণ,
হিংসুক।
১৮.কথাবার্তা এবং পোষাক শালীন/অশালীন।
১৯.প্রেম এবং যৌনতা।যৌনজীবন সম্পর্কে হতাশা।
২০.অতিপরিষ্কার নাকি নোংরা।
গোছালো/অগোছালো।
২১.গান বাজনায় প্রতিক্রিয়া কেমন?
সঙ্গীতপ্রিয়।
২২.ধর্মের প্রতি আসক্তি কেমন?ধর্মোম্মাদ।
২৩.
আশংকাপরায়ণতা।
২৪.ধীরগতির/দ্রুত কাজকর্ম করে,দ্রুত হাটে,লিখে বা কথা বলে।
২৫.ডেলুশন বা ভ্রান্তি :
নিজেকে বড় মনে করে,পেছনে কেউ আসছে মনে করে,কেউ তাকে নিয়ন্ত্রণ করছে মনে করে,কাল্পনিক শব্দ এবং নির্দেশ শুনে,শরীরে ময়লা লেগে আছে মনে করে ,দুর্গন্ধ পায়।
জীন ভূত দেখে,সাপ দেখে।
চর্তুদিকে বিষ ও কীটনাশক ছড়ানো আছে দেখে।
২৬.ড্রীম-
প্রাণী,বিড়াল,কুকুর,সাপ,চোর,ডাকাত,
ভূত,পানি,গাছ,নদী,সমুদ্র,আকাশে উড়া,পুলিশ,খুন,
অগ্নিকান্ড,ঝড়,বৃষ্টি,
দৈনন্দিন কাজকর্ম,মৃত মানুষ ও আত্মীয়স্বজন,যৌনতা,
একই স্বপ্ন বারবার।
২৭.হতাশা ও অস্থিরতা।
২৮.রোগী নিজের মনের কথাটা কতটা জোড়ালোভাবে প্রকাশ করতে পারে নাকি ভাব প্রকাশে অক্ষম।
বদঅভ্যাস :
১. ধূমপান।
২. মদ্যপান।
৩. পতিতালয়ে যাওয়া।
৪.হস্তমৈথুন করা।
৫. পর্ণগ্রাফি দেখা।
৬. রাত্রি জাগরণ করা।
৭. সবসময় ফাস্ট ফুড খাওয়া।
৮. দীর্ঘ সময় অভুক্ত থাকা।
৯. নিয়মিত গোসল না করা।
১০. সারাক্ষণ ইলেকট্রনিক গ্যাজেট
ব্যবহার করা।
সার্বদৈহিক :
ঘাম : বেশি,কম,অনুপস্থিত।দেহের কোন অংশে ঘাম হয়?গন্ধ,বর্ণ।
ঘুম : যে পজিশনে ঘুমায়,দাত কাটে,এপাশ ওপাশ করে কিনা,নাক ডাকে কিনা,অনিদ্রা,
তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙে যায় কিনা।
লালা : কখন লালা পড়ে ?
মল : কতদিন পরপর ? শক্ত /নরম,খাওয়ার পরে, ধরণ ? প্রথমে শক্ত,পরে নরম ?প্রথমে নরম,পরে শক্ত ?
মূত্র : বেশি,কম,ঘনঘন।প্রস্রাবের সময় ও আগে বা পরে যন্ত্রণা।গন্ধ,দুর্গন্ধ,ঝাঝালো গন্ধ,প্রস্রাবে পুজ বের হয়।
ক্ষুধা : কম/বেশি।ক্ষুধা কখন লাগে ? প্রতিক্রিয়া কেমন হয় ?-গা কাপে,মাথা ঘুরায়,দুর্বল লাগে,মেজাজ খারাপ হয়।
পিপাসা : আছে,নেই,বেশি।
কাতরতা/Thermal relation : গরমকাতর /শীতকাতর /উভয়কাতর।
খাদ্য :মাছ,মাংস,ডিম,দুধ,চর্বি,
পিয়াজ,রুটি,চা,কফি,
অখাদ্য।
-পছন্দ :
-অপছন্দ :
-অসহ্য :শাক,দুধ,চর্বি,আলু,চিনি।
স্বাদ :টক,ঝাল,মিষ্টি,তিতা,লবণ।
-পছন্দ :
-অপছন্দ :
ঋতুস্রাব : অনিয়মিত,নিয়মিত,
কতদিন,স্রাবের পরিমাণ,বর্ণ,গন্ধ,বেদনা।
ব্যথার ধরণ :
হ্রাস :
বৃদ্ধি :

02/07/2021

Ovarian Cysts কি?
Ovarian Cysts কি এটা জানতে হলে প্রথমে আমাদের জানতে হবে O***y কাকে বলে ? O***y হল মহিলাদের ডিম্ব পূন উৎপাদন প্রক্রিয়ার একটি অংশ । ইহার অবস্থান তলপেটের জরায়ুর উভই র্পাশ্বে। মহিলাদের ২টি করে ওভারী থাকে যার কাজ হচ্ছে ডিম উৎপাদন করা এবং ইস্টোজেন প্রজেজস্টরেন হরমোন সৃষ্টি করা। প্রতিটি ডিম্বাশয়ের আকার একটি আখরোটের মত । ওভারী মহিলা হরমোনের প্রধান উৎস যা শরীরের বিভীন্ন আকৃতি যেমন, শরীরের বিভীন্ন অংশের লোম, চুল, স্তন, এবং মেয়েদের শারীরিক বৈশিষ্ট্য ও উন্নয়ন নিয়ন্ত্রন করে এবং মাসিক চক্রের সাথে সাথে গর্ভাবস্থা নিয়ন্ত্রন করে।

 লক্ষণ / উপসগ:
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই Ovarian cysts এর কোন লক্ষণ বা ঊপসর্গ থাকে না । Ovarian cysts বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বেদনাহীন এবং উপসর্গ ছাড়াই দেখা দেয় ।
তথাপি কিছু কিছু লক্ষন আছে যা Ovarian cysts অর্ন্তভুক্ত হতে পারে ।
যেমন :
১। পেটে ফুসকুড়ি বা ফুলে যাওয়া ।
২। পায়খানা করার সময় কুন্থন দিলে ব্যাথা অনূভব করা ।
৩। ঘনঘন পস্রাব কিন্তু প্রতিবারে অর্পূনতা ।
৪। মাসিক চক্রের আগে বা সময় প্যাঁচানো ব্যাথা ।
৫। ঘুমঘুম ভাব হাপানী বা হাপিয়ে যাওয়া।
৬। বেদনাদায়ক যৌন সঙ্গম ।
৭। ইন্টারকোর্সে যন্ত্রনা স্তন ফুলে যাওয়া এবং স্তন অনূভূতিহীন হওয়া ।
৮। তল পেটে বা উরুতে ব্যাথা।
৯। বমি বা বমি বমি ভাব । ইত্যাদি
এই উপসর্গ গুলি ছাড়াও বেশকিছু গুরূত্বর্পুন উপর্সগ আছে যা দেখা দিলে তাৎক্ষনিক ভাবে চিকিৎসকের পরার্মশ নেওয়া উচিৎ। যেমন:
১। তীব্র বা তীব্র প্যাচাঁনো ব্যাথা ।
২। র্দূবলতা বা মাথাঘোরা।
৩। দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাস ইত্যাদি।
এই উপসর্গ গুলি একটি বিকৃত Ovarin Cysts এর নির্দেশ দিতে পারে । যার পরিণতি খারাপ হতে পারে। তাই তাড়াতাড়ী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিৎ ।
 প্রকারভেদ:
Ovarian Cysts বিভীন্ন প্রকার হতে পারে তবে প্রধান হল ২ প্রকার -
1. Functional Ovarian Cysts/Simple Cysts
2. Pathological Cysts / Complex Cysts

নিম্মে তাদের সংঙ্গা তুলে ধরা হল :
 Functional Ovarian Cysts/Simple Cysts: এটি একটি সাধারন Cysts ইহা উৎপন্ন হয় যখন ডিম্বাশয় থেকে ডিম অবমুক্ত করতে র্ব্যথ হয় অথবা যখন Follicle ডিম অবমুক্ত করার পরও ডিম্বাশয়ে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় । ইহা সাধারনত মাসিক চক্রের কারনে গঠিত হয় । Functional বা simple cysts এ সাধারনত কোন লক্ষণ থাকেনা ।

 Functional Ovarian Cysts/Simple Cysts: কে আবার ২ ভাগে ভাগ করা হয় । যেমন:
• Follicular Cysts : মহিলাদের মাসিক চক্রের সময় একটি ডিম্বানু যে Sac এর মধ্যে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় তাকে Follicular Cysts বলে। Sac ডিম্বাশয়ের ভিতরে অবস্থান করে । সাধারনত Follicular অথবা Sac ভেঙ্গে গিয়ে ডিম মুক্ত করে দেয়। কিন্তু যদি Follicular না ভাঙ্গে তাহলে এর ভীতরে তরল জমা হয়ে Ovari তে ডিম্বাশয়ের Cyst উৎপন্ন হয় ।
• Luteal ovarian Cysts : এটি খুব বেশী কমন Cyst নহে । এটা ডিম স্ফুটনের পর ইহা হতে অনান্য কোষ বের হয়ে যায় যা কর্পাস লিউটিয়াম রং পূর্ণ হয়ে লিউটিয়াল Cysts এ পরিনত হয় । এ ধরনের Cysts কয়েক মাসের মধ্যেই মিলিয়ে যায় । যাই হোক , ইহা কখনো ভেঙ্গে যেতে পারে আবার কখনো হঠাৎ ব্যাথা সৃষ্টি হতে পারে ।

2. Pathological Cysts / Complex Cysts: এটা সাধারনত মাসিক চক্রের সাথে সম্পৃক্ত না ।
Complex Cysts সাধারনত ৩ ধরনের হতে পারে ।

Dermoid Cyst: যে cysts এর মধ্যে চর্বি এবং অনান্য টিস্যু, চুল ধারন করে sac এর মত বৃদ্ধি পায় তাকে Dermoid Cysts বলে ।



Cystadenomas Cysts: Ovari বাইরে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় এবং ইহাতে তরল ও মিউকাস থাকে ।

Endometriomas cysts: এটি একটি কোষ যা সাধারনত বৃদ্ধি পায় uterus ভিতরে বা বাহিরে এবং বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়ে ovari সাথে মিলে cysts সৃষ্টি হয় ।

আরেক প্রকারের Ovarin Cysts দেখা যায় যাকে আমরা Polycystic Ovarian বলি ।
যখানে ছোট ছোট সিষ্ট একসঙ্গে অনেকগুলি থাকে তাকে Polycystic Ovarian বলে। এর কারনে ovari আকৃতি বড় হয়ে যায়।
প্রতি মাসে মাসিকের সময় একটি করে ডিম্বানু বের হয়ে আসে যার ফলে মাসিক চক্র ঠিক থাকে । কিন্তু যাদের cysts হয় তাদের একাধিক ডিম্বানু পরিপক্ক হবার চেষ্ঠা করে শেষ পর্যন্ত কোনটাই পরিপক্ক হতে পারে না । যে কারনে মাসিক অনিয়মিত হয় ।

 কোন বয়সী মহিলাদের এই সমস্যা হতে পারে ?
যাদের মাসিক শুরু হয়েছে এবং এখনো মাসিক বন্ধ হয়নি সে ধরনের মহিলাদের ক্ষেত্রে Ovarin Cysts বেশী দেখা য়ায় । তবে ডিফারেন্স সাইজের সিস্ট ক্যন্সার সাধারনত একটু বেশী বয়সী মহিলাদের হতে পারে । যেমন ৬০ বা ৭০ বছর বয়সী বা এর উপরে মহিলাদের বেশী হতে পারে। সিস্টিক ওভারী মধ্য বয়সী মহিলাদের বেশী হতে পারে । তবে স্বাধারনত ৩২ থেকে ৩৫ বছর বয়সী মহিলাদের ওভারিয়ান সিস্ট বেশী দেখা দেয় ।
 জটিলতা :
বেশীর ভাগ ডিম্বাশয়ের ফ্যাক্টর হল বিনয়ী এবং স্বাভাবিক ভাবে চিকিৎসাহ ছাড়াই আপনা আপনী চলে যায়। কিন্তু একটি ক্ষেত্রে ডাক্তার পরিক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে Ovarin Cysts সনাক্ত করতে পারে ।
ওভারিয়ান টরশন ওভারিয়ান সিস্ট এর একটি বিরল জটিলতা । ইহা হয় যখন একটি বৃহৎ সিস্ট ওভারিতে প্যাঁচানো বা আসল অবস্থান হতে সরে যায় । এতে ওভারিতে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং যদি চিকিৎসাহ করা না হয় তাহলে ওভারিয়ান টিস্যুর ক্ষতি বা মৃত্যু ঘটায় । যদিও ইহা সচরাচর কম দেখা যায় । ওভারিয়ান টরশন আক্রান্ত ৩ শতাংশের জরুরী শল্য চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। তবে ওভারিয়ান সিস্টের ক্ষেত্রে নিম্মোক্ত সমস্যা গুলি দেখা দিতে পারে । যেমন:
• মাসিক চক্রের পরির্বতন হবে ।
• চলমান পিঠ ব্যাথা হবে ।
• ক্ষুধামন্দ্য ।
• স্বাভাবিক ওজন হ্রাস।
• পেটে পুর্ণতা বোধ।

 ডাইগোনোসিস: একজন ডাক্তার একটি রুটিং পেলভিক পরীক্ষার সময় একটি ডিম্বাশয়ের সিস্ট সনাক্ত করতে পারে। তারা আপনার ডিম্বাশয়ের একটি নির্দ্রিষ্ট স্থানে একটি আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করতে পারে আপনার সিস্টটি কোথায় অবস্থান করছে।
একটি আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষা ( আলট্রসনোগ্রাফী ) একটি ইমেজিং পরীক্ষা যা আপনার অভ্যন্তরীন অঙ্গগুলির একটি ইমেজ তৈরীর জন্য উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে । আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষা গুলী একটি সিস্ট এর আকার, আকৃতি , অবস্থান এবং গঠন (কঠিন বা তরলে ভরা ) ইত্যাদি নির্নয় করতে সাহায্য করে। সিস্ট সনাক্তকরনের জন্য ব্যবহৃত ইমেজিং সিস্টেম গুলির রয়েছে-
• সিটি স্ক্যান ।
• এম আর আই ।
• আলট্রাসাউন্ড মাধ্যম ।

 কারন: স্বাধারনত ওভারিয়ান সিস্টের তেমন কোন কারন খুজে পাওয়া যায় না । তবে কিছু কারন আছে যার কারনে ওভারিয়ান সিস্ট হতে পারে, যেমন:
• অভিসিটি বা স্থূলতা।
• অধিক খাদ্য গ্রহন।
• জেনেটিক কারন ।
• Infertility.

তবে যদি কোন মহিলার মাসিক অনিয়মিত হয় , সেই সাথে ওজন বেড়ে যায় এবং শরীরে অবাঞ্চিত লোম দেখা দেয় তবে অবশ্যই ডাক্তারের সরনাপন্ন হওয়া উচিত।
 ওভারিয়ান সিস্ট রোগের চিকিৎসাহ কৌশল :
ওভারিয়ান সিস্ট রোগের আক্রান্ত রোগী সম্পূর্ণ আরোগ্য দেয়ার ক্ষেত্রে একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসককে ৩টি ধাপে লক্ষণ সংগ্রহ কতে হয় ।
১। ফিজিক্যাল লক্ষন
২। জেনারেল লক্ষন ।
৩। মনো লক্ষন ।

এখন আমি ওভারিয়ান সিস্টের ফিজিক্যাল লক্ষন নিয়ে আলোচনা করবো:
Female অধ্যায়ের কিছু প্রয়োজনীয় লক্ষন
Female - CYSTS, genitalia = সিস্ট স্ত্রী জননাঙ্গে।
Female - DISPLACEMENT, of uterus= স্থানচ্যূতি জরায়ুর ।
Female - DISTENDED, uterus, as if, filled with wind= ফাপা যেন জরায়ু, তাতে যেন বায়ু ভর্তি রয়েছে।
Female - DULL, pain, genitalia, constant= হালকা ব্যাথা অবিরত, স্ত্রী জননাঙ্গে ।
Female - FIBROIDS, ovaries= ফাইবরইড টিইমার, ডিম্বকোষে।
Female - FIBROIDS, uterus= ফাইবরইড জরায়ু।
Female - FULLNESS, uterus=পূর্ণতাবোধ জরায়ুতে।
Female - GRASPING, pain, ovaries= হাত দিয়ে চেপে ধরার মত বেদনা, ডিম্বকোষে।
Female - GNAWING, pain, genitalia= চিবানোর মত বেদনা, স্ত্রীজননান্দ্রিয়ে।
Female - GRINDING, pain, ovaries= পিষণ করার মত বেদনা, ডিম্বকোষে।
Female - HEAVINESS, sensation, genitalia= ভারবোধ অনূভুতি, স্ত্রীজননান্দ্রিয়ে।
Female – INFERTILITY= বন্ধ্যাত্ব, স্ত্রী জননাঙ্গে।
Female - INSUFFICIENCY, of ovaries= অপ্রতুলতা, ডিম্বকোষে।
Female - MENOPAUSE, general= ঋতুলোপকাল।
Female - OOPHORITIS, inflammation, ovaries= ওভেরী প্রদাহ।
Female - OVARIES, complaints following surgery= ডিম্বকোষের সমস্যা, সার্জারীর কারনে।
Female - PRE-MENSTRUAL syndrome (PMS) = ঋতুর্পূববর্তী অস্বাভাবিকতা।
Female - SENSITIVE, genitalia= র্স্পশকাতর, স্ত্রী জননাঙ্গে।
Female - SQUEEZING, ovaries= ডিম্বকোষ হাত দিয়ে চাপছে এমন অনূভ’তি।
Female - TIGHTNESS, in ovarian region, on raising arms= টান টান ভাব ডিম্বকোষ অঞ্চল, হাত উপর দিক উঠালে।
ঋতুস্রাব ব্যতীত রক্তপাতের লক্ষণ :
Female - BLEEDING, uterus, metrorrhagia= রক্তপাত,
Female - BLEEDING, uterus, metrorrhagia - anemia, with= রক্তপাত, রক্তাল্পতার সহিত।
Female - BLEEDING, uterus, metrorrhagia - backache, with, amel. by pressure and sitting= রক্তপাত পিঠের বেদনার সহিত, বসলে এবং চাপলে উপশম।
Female - BLEEDING, uterus, metrorrhagia - between, the menstrual periods= রক্তপাত, দুই ঋতুস্রাবের মধ্যবর্তী সময় ।
Female - BLEEDING, uterus, metrorrhagia – black= রক্তপাত, কালো।
Female - BLEEDING, uterus, metrorrhagia - bright, red= রক্তপাত, উজ্জ্বল লাল।
Female - BLEEDING, uterus, metrorrhagia - cachectic females, in= রক্তপাত, বহুদিনের রোগাক্রান্ত মহিলাদের।
Female - BLEEDING, uterus, metrorrhagia - changeable in color and flow= রক্তপাত, রক্তের রং ও প্রবাহ পরির্বতনশীল ।
Female - BLEEDING, uterus, metrorrhagia - comes, suddenly and ceases suddenly= রক্তপাত, হঠাৎ করে শুরু হয় এবং হঠাৎ করে বিরত হয় ।
Female - BLEEDING, uterus, metrorrhagia – continuous= রক্তপাত, একটানা
Female - BLEEDING, uterus, metrorrhagia - curettage, from= রক্তপাত, কিউরেটেজ ব্যবহাওে ফলে।
Female - BLEEDING, uterus, metrorrhagia - dark, blood= রক্তপাত, কালচে রক্ত।
Female - BLEEDING, uterus, metrorrhagia - dark, clots, mixed with= রক্তপাত, কালচে ক্লোট মিশ্রিত ।
Female - BLEEDING, uterus, metrorrhagia - fibroids, from= রক্তপাত, ফাইবরয়েড টিউমারের ফলে।
Female - BLEEDING, uterus, metrorrhagia - headache, with congestive= রক্তপাত, রক্তসঞ্চয় জনিত মাথা ব্যথার সহিত।
Female - BLEEDING, uterus, metrorrhagia - infertile, women= রক্তপাত, বন্ধ্যা স্ত্রী লোকদের।
Female - BLEEDING, uterus, metrorrhagia - intermittent, flow= রক্তপাত, থেমে থেমে নির্গত হয় ।
Female - BLEEDING, uterus, metrorrhagia - menopausal period, during= রক্তপাত, ঋতুলোপ কালে ।
Female - BLEEDING, uterus, metrorrhagia - me**es, between= রক্তপাত, দুই ঋতুস্রাবের মধ্যবর্তী সময় ।
Female - BLEEDING, uterus, metrorrhagia – painless= রক্তপাত, ব্যথাহীন
Female - BLEEDING, uterus, metrorrhagia – persisting= রক্তপাত,অবিরত।
Female - BLEEDING, uterus, metrorrhagia - plethoric, women, in= রক্তপাত, রক্তাধিক্য পূর্ণ স্ত্রীলোকদের ।
Female - BLEEDING, uterus, metrorrhagia - puberty, at= রক্তপাত, বয়ঃসন্ধিকালে।
Female - BLEEDING, uterus, metrorrhagia – scanty= রক্তপাত, পরিমানে অত্যল্প।
Female - BLEEDING, uterus, metrorrhagia - thick, blood= রক্তপাত,ঘন।
Female - BLEEDING, uterus, metrorrhagia – watery= রক্তপাত, পানীর মত।
Female - BLEEDING, uterus, metrorrhagia - weakly, women = রক্তপাত, দূর্বল স্ত্রী লোকদের ।
ঋতুস্রাব অনুপস্থিত সর্ম্পকিত লক্ষণ :
Female - AMENORRHEA, me**es absent= ঋতুস্রাব অনুপস্থিত।
Female - AMENORRHEA, me**es absent - girls, in young= ঋতুস্রাব অনুপস্থিত, অল্পবয়স্ক বালিকাদের।
Female - AMENORRHEA, me**es absent - molimen only= ঋতুস্রাব অনুপস্থিত, শুধুমাত্র ঋতুস্রাব হওয়ার চাপ অনুভুত হয়।
Female - AMENORRHEA, me**es absent - strain, after psychical and mind = ঋতুস্রাব অনুপস্থিত, মানসিক ও শারিরীক স্ট্রেইনের পড়ে।
Female - AMENORRHEA, me**es absent - women, in, feeble= ঋতুস্রাব অনুপস্থিত, থলথলে মোটা স্ত্রী লোকদের ।
কষ্টরজ ঋতুস্রাব সম্পর্কিত লক্ষণ :
Female - DYSMENORRHEA, painful me**es= কষ্টরজ, যন্ত্রনাদায়ক মাসিক।
Female - DYSMENORRHEA, painful me**es - beginning at = কষ্টরজ, যন্ত্রনাদায়ক মাসিক, শুরুতে।
Female - DYSMENORRHEA, painful me**es - blood, black, with = কষ্টরজ, কালো ঋতুস্রাবের সহিত ।
Female - DYSMENORRHEA, painful me**es - cold, after becoming = কষ্টরজ, ঠান্ডা হওয়ার পরে।
Female - DYSMENORRHEA, painful me**es - coldness, with = কষ্টরজ, শীতলতার সহিত।
Female - DYSMENORRHEA, painful me**es - colic, after = কষ্টরজ, শূল বেদনার পরে।
Female - DYSMENORRHEA, painful me**es - discharge of clots amel. = কষ্টরজ, চাপ চাপ ঋতুস্রাব হলে উপশম।
Female - DYSMENORRHEA, painful me**es - end, of me**es = কষ্টরজ, ঋতুস্রাবের শেষে।
Female - DYSMENORRHEA, painful me**es - fainting, with = কষ্টরজ, মূর্ছা কল্পতার সহিত।
Female - DYSMENORRHEA, painful me**es - few drops of blood, with = কষ্টরজ, কয়েক ফোটা রক্ত ঋতুস্রাবের সহিত।
Female - DYSMENORRHEA, painful me**es - first day = কষ্টরজ, প্রথম দিনে ।
Female - DYSMENORRHEA, painful me**es - flow, amel. = কষ্টরজ, প্রবাহিত হলে উপশম।
Female - DYSMENORRHEA, painful me**es - infertility, in = কষ্টরজ, বন্ধ্যাত্বের সময়।
Female - DYSMENORRHEA, painful me**es - menopausal, period = কষ্টরজ, মেনোপজ পিরিয়ড় ।
Female - DYSMENORRHEA, painful me**es - nausea and vomiting, with = কষ্টরজ, বমি ভাব এবং বমির সহিত।
Female - DYSMENORRHEA, painful me**es - puberty, at = কষ্টরজ, বয়ঃসন্ধিকালে ।
Female - DYSMENORRHEA, painful me**es - thighs down = কষ্টরজ, উরুর।

Address


Opening Hours

Monday 09:00 - 21:00
Tuesday 09:00 - 21:00
Wednesday 09:00 - 21:00
Thursday 09:00 - 21:00
Friday 14:00 - 21:00
Saturday 09:00 - 21:00
Sunday 09:00 - 21:00

Telephone

+8801812850020

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Fayezia Homoeo Pharmacy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Fayezia Homoeo Pharmacy:

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Opening Hours
  • Alerts
  • Contact The Practice
  • Claim ownership or report listing
  • Want your practice to be the top-listed Clinic?

Share