12/03/2025
পর্যটন নগরী কক্সবাজার ভ্রমন-পিপাসুদের জন্য প্রশান্তির জায়গা হলেও, কক্সবাজার বাসীর জন্য এক অবহেলিত জায়গার নাম।
আজকে আমরা কথা বলবো কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যাপারে কক্সবাজার-বাসীর প্রতি যে অবিচার করা হয়েছে তা নিয়ে।
২০০৮ সালে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। দীর্ঘ ১৭ বছর পার হওয়ার পরে আজও অনিয়মের বেড়াজালে আটকে আছে হাসপাতাল নিমার্ণের কাজ। বারবার আশা দিয়েও নিভিয়ে নেওয়া হয়েছে আলোর প্রদীপ।
কক্সবাজারে স্থায়ীভাবে ৩০ লক্ষ লোকের বাস। এর বাইরে ১৫ লক্ষের অতিরিক্ত চাপ এই জেলাকে সহ্য করতে হচ্ছে। বিশাল এই জনসংখ্যার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে একটা টারশিয়ারি মেডিকেল কলেজের কোনো বিকল্প নেই। এ হাসপাতাল না হওয়ায় মাত্রাতিরিক্ত চাপ পড়েছে সদর হাসপাতালে, যা ২৫০ বেড হলেও রোগীর সংখ্যা সবসময় ৭০০ এর উপরে থাকে। পা ফেলার পর্যন্ত জায়গা হয় না। এত রোগীর চাপ তার উপর আবার সদর হসপিটালে নেই নিউরোলজি, নেফ্রোলজি, কার্ডিওলজি, রেডিওলজি এর মত গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। তাই এসব রোগে আক্রান্ত রোগীকে রেফার করা হয় চট্টগ্রামে কিংবা ঢাকায়। অনেকসময় যাত্রাপথে আ্যম্বুলেন্সে হারাতে হয় প্রিয়জনকে।
কক্সবাজার-বাসী আফসোস করে, আজ যদি আমাদের কোনো মেডিকেল কলেজ থাকতো, তাহলে স্ট্রোক করা বাবার চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া লাগতোনা। যদি PCI সুবিধা থাকতো যাত্রাপথে হারাতে হতোনা হার্ট-অ্যাটাক করা বড় ভাইকে।
কক্সবাজার বাসীর একটাই দাবী, তাদের প্রতি দীর্ঘ ১৭ বছর যে অবহেলা করা হচ্ছে, তার দ্রুত অবসান হোক। তাদের চিকিৎসা নামক মৌলিক অধিকার তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। তাদের বহুল কাঙ্ক্ষিত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অতিদ্রুত নিমার্ণ কাজ শুরু হোক।