Nurul Hasan Abu Aminah

Nurul Hasan Abu Aminah জ্বীন,জাদু,বদনজর,হাসাদ,ওয়াসওয়াসা এবং এগুলোর প্রভ সৃষ্ট শারীরিক মানসিক সমস্যার নববী সমাধান ও পরামর্শ

08/02/2024
30/01/2024

রুক‌ইয়াহ শর‌ঈয়্যাহ নিয়ে এক সন্ধ্যায় প্রাণবন্ত আলোচনা । শুনে ফেলুন।অনেক কিছুই জানা হবে ইনশাআল্লাহ।

21/01/2024

ইনশাআল্লাহ আসছে .....

18/12/2023

পেটে জাদু থাকলে পেটে সমস্যা লেগেই থাকে। ঘুটঘুট পুটপুট করে। প্রচুর গ্যাস হয়।যারা স্বপ্নে খেতে দেখেন ,তারা ক্ষতিকারক জিনিস খেয়ে থাকেন।স্বপ্নে জিনেরা জাদু খাওয়ায়।

10/07/2023

প্রকৃত মানুষ রূহ দিয়ে, দেহ দিয়ে নয়।
পাখি যেমন খাঁচা থেকে ছুটতে পারলে মুক্ত হয়ে যায়, মুমিন তেমনি মরতে পারলে মুক্ত হয়ে যায়। পিঞ্জিরা পাখির জন্য ভালো জিনিস না। তেমনি মুমিনের জন্য এই দুনিয়া ভালো নয়।সুখের নয়।
আমাদের রূহটা আসলে এই জগতের জিনিস না। একটা উর্ধ্ব জগতের জিনিস।
এর যাত্রা ক্ষমতা আরশে আজিম পর্যন্ত।
হারাম সন্দেহজনক খাবার একে দুর্বল করে দেয়, উড়ার ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।
ঈগল মরা প্রাণীর গোস্ত খায় না সে যদি সেটা খায় তাহলে সে আর উচ্চতায় উড্ডয়ন করতে পারবেনা।

এই দুনিয়ার জীবন খেল তামাশা ছাড়া আর কিছুই না। ছোট বাচ্চারা যেমন ঝোলাপাতি খেলে, পিছামিছি খাবার দাবারের অভিনয় করে। ধুলাবালি মাটি ও কাঁঠাল পাতা দিয়ে। আসলে সেগুলো হাকিকতে কিছুই না। দুনিয়ার জীবনটা এমনই। আসল জীবন আখেরাত।

আসল রান্নাবান্নার তুলনায় বাচ্চাদের ওই ঝোলাপাতি খেলাটা যেমন, পরকালের তুলনায় জান্নাতের তুলনায় এই দুনিয়ার খাবার-দাবার সুখ শান্তি জীবন যাপন সব এমনই মিছামিছি খেলা ধুলা।

আল্লাহর প্রেমিকারা দুনিয়াতে থাকা পছন্দ করে না থাকা লাগবে ফায়সালা তাই থাকতেছে।

পাখির ডানা ভার হয়ে গেলে দুর্বল হয়ে গেলে পাখি উড়তে পারে না।
তেমনি হারামের কারনে নফসিয়াতের কারণে আমাদের রুহের উডেন ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। ডানায় কাদা লাগলে উড্ডয়ন করার জন্য সেই ডানা শুকাতে হয়। আমাদের হৃদয়ের ডানায় লাগা কাঁদা মুজাহাদার সাধনার রোদে শুকাতে হবে।
শুকিয়ে গেলে কাদামাটি পড়া যাবে। তখন ডানা হালকা হলে উড়াল দেওয়া যাবে।

#তাযকিয়া
#আত্মশুদ্ধি
#পরকালের পথে যাত্রা।

গতকাল আমাদের এই পেশেন্টকে জিন ব্রেইন কন্ট্রল নিয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। হায়াত আছে তাই আল্লাহ তাআলা বাঁচিয়ে দিয়েছেন। ম...
19/06/2023

গতকাল আমাদের এই পেশেন্টকে জিন ব্রেইন কন্ট্রল নিয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। হায়াত আছে তাই আল্লাহ তাআলা বাঁচিয়ে দিয়েছেন। মৃত্যুর সময় নির্ধারিত। এক মুহুর্ত আগেও হবে না পরেও হবে না।
শয়তান সাময়িক কষ্ট দিতে পারে এতটুকুই।
অবস্থাটা কল্পনা করুন! কতো ভয়াবহ !
ঐ ভাইটি কিন্তু এটা মেনে নিয়েছেন । তিনি সাধ্যমত তার স্ত্রীকে সুস্থতার জন্য সাহায্য করতেছেন। জিনের রোগীদের কষ্টগুলো রব ছাড়া কেউ জানে না।
এমন ঘটনা আপনার স্ত্রীর হলে মেনে নিতেন ?

18/06/2023

আমরা রুক‌ইয়াহ করে কয়জনকে আর কুফর শিরক থেকে বাঁচাইতেছি ? ঐদিকে হাজার হাজার মানুষ হুমড়ি খেয়ে অনলাইন থেকে জাদুর ব‌ই কিনতেছে । আফসোস!

18/06/2023

নগ্ন ছবি আঁকা জাদুর ব‌ইয়ের এডে অনেক হুজুর কেনার জন্য লাইন ধরেছে।জাদুকরদেরকে প্রাপ্য শাস্তি দেয়া ছাড়া শুধু রুকইয়াহ করে কুফর শিরক দূর করা পসিবল না।

18/06/2023

[ঘটনাঃ চার] “শয়তানের নাতির ইসলাম গ্রহণের ঘটনা”
হযরত উমর (রা) এর বর্ণনাঃ
আমরা রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর সাথে ‘তিহামা’-র পাহাড়গুলোর মধ্যে একটি পাহাড়ে বসেছিলাম। এমন সময় হাতে লাঠি নিয়ে এক বৃদ্ধ আমাদের সামনে উপস্থিত হয়ে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে সালাম দিলেন। তিনি সালামের জবাব দিয়ে তার ভাষাতেই তাকে (ইবলিশের নাতিকে) জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কে?”
সে বলল, “আমি হামাহ্ বিন হাইম বিন লাকীস বিন ইবলিশ।”
নবীজী বললেন, “তাহলে তোমার আর ইবলিশের মাঝে মাত্র দুই পুরুষের ব্যবধান। আচ্ছা, তুমি কত যুগ পার করেছ?”
সে বলল, “আমি দুনিয়ার আয়ু শেষ করে ফেলেছি। কেবল সামান্য কিছু বাকি আছে। কাবীল যখন হাবিলকে কতল (হত্যা) করেছিল সে সময় আমি ছিলাম মাত্র কয়েক বছরের শিশু; কথা বুঝতে পারতাম, ছোট ছোট পাহাড়ে বা টিলায় লাফালাফি করতাম, খাবার নষ্ট করে দিতাম, আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট করার হুকুম দিতাম...।”
তখন রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম বলেন, “বিচ্ছেদ সৃষ্টকারী বৃদ্ধ এবং অলসতা সৃষ্টকারী যুবকের কাজ বড়ই জঘন্য।”
সে আগুন্তক বৃদ্ধ তখন বলে উঠল, “আমাকে এ বিষয়ে ক্ষমা করুন। আমি আল্লাহর কাছে তওবা করেছি। আমি হযরত নূহ্ (আ)-এর সাথে তিনার মসজিদে সেসব লোকের সাথে ছিলাম যারা তার সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে তার প্রতি ঈমাণ এনেছিল। আমি সব সময় হযরত নূহ (আঃ)-কে নিজ সম্প্রদায়কে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার জন্য তিরস্কার করতাম। শেষ পর্যন্ত তিনি কেঁদে দেন এবং আমাকেও কাঁদান। তিনি বলেছিলেন- আমি যদি তোমার কথা শুনে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া ছেড়ে দেই, তাহলে অপমানিত অবস্থায় পতিত লোকদের শামিল হওয়া থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাই।”
আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, “হে নূহ্ (আঃ) আমি হলাম তাদের একজন, যারা কাবীল বিন আদম কর্তৃক ভাগ্যবান শহীদ হাবীলের হত্যাকাণ্ডে অন্তর্ভুক্ত ছিল। আপনি কি মনে করেন আল্লাহ‘র দরবারে আমার তওবা কবুল হবে?”
তিনি বললেন, “হে হামাহ্, সওয়াবের ইচ্ছা কর এবং দুঃখ-অনুতাপে ভেঙে পড়ার আগে সৎকাজে লেগে পড়। আল্লাহ তায়ালা আমার উপর যা নাজিল করেছেন তাতে আমি পড়েছি, যে ব্যক্তি পরিপূর্ণ দ্বীনদারীর সাথে আল্লাহ্‘র পথে ফিরে আসে অর্থাৎ তওবা করে, আল্লাহ্ তা‘য়ালা তার তাওবা কবুল করেন। ওঠ, ওযূ করে দু’রাকাত নামায পড়।”
কাজেই তখনই আমি হযরত নূহ্ (আঃ)-এর নির্দেশ অনুযায়ী আমল করা আরম্ভ করি। এরপর তিনি আমাকে ডেকে বললেন, “মাথা তোল, তোমার তওবা কবুল হওয়ার খবর আসমান থেকে নাজিল হয়েছে।”
“তাই আমি আল্লাহ‘র ওয়াস্তে এক বছর ধরে সিজদায় পড়ে থাকলাম। আমি হযরত হুদ (আঃ)-এর সাথেও সিজদায় শরীক ছিলাম, যখন তিনি নিজ কওমকে সাথে নিয়ে সিজদা করেছিলেন। তাকে আমি তার অজ্ঞ সম্প্রদায়কে বারবার দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার কারণে তিরস্কার করতাম। শেষ পর্যন্ত নিজ কওমের কথা ভেবে তিনিও কাঁদেন এবং আমাকেও কাঁদান।
আমি হযরত ইয়াকূব (আঃ)-এর সাথেও দেখা করতাম এবং হযরত ইউসূফ (আঃ)-এর মজলিশে বিশ্বস্ততার পদে আসীন ছিলাম।
হযরত ইলিয়াস (আঃ)-এর সাথে উপত্যকায় দেখা করতাম এবং এখনও তার সাথে দেখা করি।
আমি হযরত মূসা (আঃ)-এর সাথেও সাক্ষাৎ করেছি, তিনি আমাকে ‘তাওরাত’[৩] শিখিয়ে বলেছিলেন যদি হযরত ঈসা (আঃ)-এর সাথে তোমার সাক্ষাৎ হয়, তাহলে তাঁকে আমার সালাম বলবে। আমি হযরত ঈসা (আঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করেছি এবং হযরত মূসা (আঃ)-এর সালামও তাঁকে জানিয়েছি।”
এসব কথা শুনে রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) অশ্রুসিক্ত হয়ে কাঁদতে লাগলেন। এরপর বললেন, “ঈসা (আঃ)-এর প্রতিও দুনিয়া থাকা পর্যন্ত সালাম (শান্তি) বর্ষিত হউক এবং হে হামাহ্, আমানত পৌঁছানোর জন্য তোমার প্রতিও সালাম।”
হামাহ্ তখন বলেন, “হে আল্লাহ‘র রাসূল, আপনি আমার সাথে তাই করুন, যা করেছিলেন হযরত ‘মূসা বিন ইমরান’ (আঃ)। তিনি আমাকে তাওরাত শিখিয়েছিলেন।”
রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে (শয়তানের নাতিকে) ‘সূরা ওয়াক্বিয়াহ’, ‘সূরা মুরসালাত’, ‘সূরা আম্মা ইয়াতাসায়ালূন’, ‘সূরা ইযাশ্ শামসু কুউবিরাত’ এবং ‘মুআউওয়াযাতাইন’ (মুআউওয়াযাতাইন হলঃ সূরা ফালাক্ব-নাস) ও ‘কুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ’ শেখালেন এবং বললেন, “হে হামাহ্, নিজের প্রয়োজনের কথা আমাকে বল আর আমার সাথে যোগাযোগ রাখা বন্ধ করে দিও না।”
পরবর্তীতে হযরত ওমর (রাঃ) বলেছেন, “পরে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর ইন্তিকালের হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটল এবং তার খবর আমরা আর পেলাম না। জানিনা সে জীবিত আছে নাকি মারা গিয়েছিলো।”
[৩] আসমানী কিতাব ১০৪ খানা; বড় কিতাব শুধুমাত্র ৪ খানা, তন্মধ্যে ‘তাওরাত’ একটি।
[তথ্যসূত্রঃ কিতাবুদ্ দুআফা আক্বীলী। দালায়িলুন্ নুবুয়াত, আবূ নুআইম আসবাহানী; ১৩১]
জ্বিনঃ
মানুষ যেমন স্বতন্ত্র এক সৃষ্টি তেমনি জ্বিন জাতি মানুষের থেকে আলাদা এক সৃষ্টি। জ্বিন শব্দের আভিধানিক অর্থ গুপ্ত, অদৃশ্য, লুক্কায়িত, আবৃত ইত্যাদি। জ্বিন্নাত বা জ্বিন জাতির কুকুর ও ইতর শ্রেনিকে বলা হয় জ্বিন।
জানঃ
‘জান’ হচ্ছে জ্বিন জাতির আদিপিতা।
শয়তানঃ
‘শয়তান’-রা হচ্ছে এক ধরণের জ্বিন যারা আল্লাহর অবাধ্য এবং এরা (অভিশপ্ত) ইবলিশের বংশোদ্ভূত। [তথ্যসূত্রঃ কিতাবুল ফুনুন]
মারাদাহঃ
জ্বিন জাতির মধ্যে সেইসব জ্বিনকে ‘মারাদাহ’ বলা হয় যারা খুবই অবাধ্য ও চূড়ান্ত পর্যায়ের পথভ্রষ্ট।
জ্বিন জাতি কত শ্রেণি?
হাফিয ইবনে আবদুল বার্ বলেছিলেনঃ ভাষাতত্ত্ববিদদের মতে, জ্বিনদের কয়েকটি শ্রেণি রয়েছে। যেমনঃ-
ক) জ্বিনঃ অর্থাৎ সাধারণ জ্বিন।
খ) আমির; বহুবচনে উম্মারঃ যারা মানুষের সাথে থাকে।
গ) আরওয়াহ্ঃ যারা সামনে আসে।
ঘ) শয়তানঃ যারা উদ্ধত, অবাধ্য।
ঙ) ইফরীতঃ যারা শয়তানের চেয়েও বিপজ্জনক।
জ্বিন জাতির সৃষ্টির দিনঃ
আল্লাহ তায়ালা বুধবার ফিরিশতাদের, বৃহস্পতিবার জ্বিন্দের, এবং হযরত আদম (আঃ)-কে শুক্রবার সৃষ্টি করেছেন।
[তথ্যসূত্রঃ কিতাবুল আযামাহ]
জ্বিনদের দেখা কি সম্ভব?
কাযী আবু বকর বাকিলানী (রঃ) বলেছিলেনঃ “আমার কথা হচ্ছে যারা জ্বিনদের দেখেছে, আসলেই তারা তাদের দেখেছে। কেননা আল্লাহ্ তা‘য়ালা জ্বিনদের দৃশ্যরুপ সৃষ্টি করেছেন এবং যাদের দৃশ্যরুপ সৃষ্টি করেননি তাদের কেউ দেখতে পারে না। এসব জ্বিনেরা বিভিন্ন সুরতের ও কোমল শরীর বিশিষ্ট হয়।”
জ্বিন সৃষ্টির উপাদানঃ
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ
“আদমের আগে আমি জ্বিন সৃষ্টি করেছি সামূমের[১] উত্তপ্ত আগুন দিয়ে।” [সূরা আল-হিজর, আয়াতঃ ২৭]
[১] জ্বিন সৃষ্টি করা হয়েছে ‘সামূম’-এর আগুন দিয়ে। যা জাহান্নামের আগুনের ৭০ ভাগের এক ভাগ এবং দুনিয়ার আগুন সে ‘সামূম’ আগুনের ৭০ ভাগের এক ভাগ।
জ্বিনের প্রকারঃ
হযরত আবু দারদা (রাঃ)-এর বর্ণনা অনুযায়ী, “রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ্ তায়ালা ৩ প্রকার জ্বিন সৃষ্টি করেছেন। প্রথমতঃ জ্বিন হল সাপ, বিচ্ছু ও জমিনের পোকামাকড়। দ্বিতীয়তঃ যে জ্বিন থাকে শূণ্যে হাওয়ার মত, আর তৃতীয় প্রকার জ্বিন হল- এমন জ্বিন যাদের জন্য রয়েছে (পরকালের) হিসাব ও আযাব।”
সাপের সুরতে জ্বিন
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, “রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ সাপ হচ্ছে রুপান্তরিত জ্বিন, যেমন বাঁদর ও শুকরে রুপান্তরিত হয়েছিল বণী ইসরাঈলের কিছু লোক।”
জ্বিন সম্পর্কে কিছু বিস্ময়কর তথ্য -
[[‍প্রাথমিক তথ্য]]
✓ কোনো কোনো কুকুরও জ্বিন।
✓ কালো কুকুর হচ্ছে শয়তান।
✓ খর্বকায় জ্বিন; বেঁটে বামনঃ এই জ্বিনের উচ্চতা মাত্র ২ আঙুল।
✓ শয়তান বাম হাতে খাবার খায়।
✓ জ্বিনদের মধ্যে বিয়ে-শাদি হয় এবং জ্বিনদের সন্তানাদিও হয়।
✓ ইবলিশের স্ত্রী সম্পর্কিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
✓ হিজড়ারা জ্বিনদের সন্তান। [তথ্য বিস্তৃত]
✓ রাণী বিলকিসের মা একজন ‘জ্বিন’ ছিলেন।
✓ জ্বিনদের মধ্যে ‘ফিরকা’ আছে।
✓ জ্বিনদের মধ্যে মুসলিম ও মুশরিক (হিন্দু) জ্বিনও আছে।
✓ জ্বিনদের মধ্যে কোনো নবী-রাসূলগণের আগমন ঘটেনি।
✓ জ্বিন-ইনসান সকলের নবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
✓ ‘বিসমিল্লাহ’ হচ্ছে জ্বিনদের সামনে পর্দা।
✓ জ্বিন সম্প্রসায় ২ ভাগে (মুসলমান ও কাফির) বিভক্ত।
✓ জ্বিনদের মধ্যে দল-উপদল আছে।
✓ মুমিন জ্বিনরা মানুষের কুরআন তিলাওয়াত শোনে।
✓ সব মসজিদে জ্বিনেরা নামায পড়ে।
✓ জ্বিনেরা লেবু বিদ্যমান ঘরে প্রবেশ করে না। (তথ্য প্রযোজ্য)
✓ বিসমিল্লাহ বলে ব্যক্তি খাওয়া শুরু করলে জ্বিনদের খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
✓ মানুষের মধ্যে মুগরাবীন (মুগরাবীন- যেসব জ্বিন মানুষের সাথে থাকে) মিশে থাকে।
✓ ইবলিশের ডিমঃ ইবলিশ ৫টি ডিম পেড়েছে। তার বংশধর সে ডিম থেকেই হয়েছে।
✓ রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, “হামাহ্ বিন হাইম বিন লাকীস (ইবলিশের নাতি) জান্নাতে যাবে।” [তথ্যসূত্রঃ ঘটনা শূণ্য]
✓ আল্লাহ্ তায়ালা মানব জাতি ও জ্বিন জাতিকে দশটি ভাগে (৯ ভাগ জ্বিন ও এক ভাগ মানুষ) ভাগ করেছেন। যখন একটি মানবসন্তান জন্মায়, জ্বিনদের তখন ৯টি সন্তান জন্ম নেয়।
✓ জ্বিন বহুরুপী হতে পারে। যেমনঃ চতুষ্পদ পশু, সাপ, বিচ্ছু, উট, গরু, ছাগল, ঘোড়া, খচ্চর, গাধা, এবং পশুপাখির প্রভৃতি রুপ ধারণ করতে পারে।
✓ খারাপ জ্বিনদের বাসস্থান ইরাকে। কারণ, শতকরা ৯০ ভেল্কি (জাদু) সেখানে আছে, পাপী জ্বিনরা সেখানে থাকে এবং মানুষকে অচল করে দেওয়ার মত রোগও সেখানে আছে।
✓ গোশতের চর্বি লাগা কাপড়ে ‘খবীস’-রা (দুষ্ট জ্বিনরা) অবস্থান করে।
✓ জ্বিনদের ঘর হচ্ছে গর্ত; পানিতে এবং জলাভূমির বিলেও জ্বিনেরা থাকে।
✓ মানুষদের মতো জ্বিনরাও খাওয়া-দাওয়া করে। হাড়, কয়লা, গোবর, উটের লাদি এবং বিভিন্ন ধরণের খাবার হচ্ছে জ্বিনদের খাদ্য। [সংক্ষিপ্ত বর্ণনা]
✓ মানব সমাজের জাদুকরদের (ভেল্কিবাজ) মত জ্বিনদের জাদুকর (ভেল্কিবাজ) আছে। জাদুকর জ্বিনদের ‘গাইলন’ জ্বিন বলা হয়। এই জাদুকর জ্বিন (গাইলন জ্বিন) মানুষদের পথ ভুলিয়ে দেয় (অর্থাৎ গোলকধাঁধায় ফেলে)।
✒ টীকাঃ গাইলন দেখতে পেলে আযান (নামাযের মধ্যে যে আযান দেওয়া হয়) দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যার (আযানের) বরকতে আল্লাহর ফিরিশতারা পথহারা মানুষদের সঠিকপথে (যাতায়াত পথ) এনে দেয়।
[[মাধ্যমিক তথ্য]]
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ)-এর রেওয়াতে বলা হয়েছে, হযরত ওয়াহাবের বর্ণনাঃ আল্লাহ্ তা‘য়ালা সৃষ্টি করেছেন-
“জাহান্নামের আগে জান্নাতকে। গযবের আগে আপন রহমতকে। যমীনের আগে আসমানকে। নক্ষত্ররাজীর আগে সূর্য ও চন্দ্রকে। রাতের আগে দিনকে। স্থলভাগের আগে পানিভাগকে। পাহাড়-পর্বতের আগে সমভূমিকে। জ্বিনদের আগে ফেরেশতাদেরকে। মানবজাতির আগে জ্বিন জাতিকে। স্ত্রীজাতির আগে পুরুষজাতিকে।” [তথ্যসূত্রঃ কিতাবুল আযামাহ (আবূ আশ্-শাইখ)]
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছিলেনঃ “বেশ কিছুকাল পর ইবলিশ বৃদ্ধ হয়ে যায়, এরপর আবার সে ত্রিশ বছরের বয়সে (যুবক বয়সে) ফিরে আসে।” [তথ্যসূত্রঃ গরাইবুস্ সুনান; ইবনে শাহীন]
‘আল-অস্ওয়াসিল খান্নাস’
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছিলেনঃ শয়তান মূলত বেজীর ন্যায় মানুষের মনের গর্তে নিজের মুখ রাখে এবং তা দিয়ে মনের মধ্যে অস্ওয়াসা(২) দেয়। মানুষ যখন আল্লাহ্‘র যিকর করে তখন শয়তান চলে যায় এবং যখন নীরব থাকে তখন সে ফিরে আসে। একেই বলে ‘আল্-অস্ওয়াসিল খান্নাস।’ [তথ্যসূত্রঃ যাম্মুল অস্ওয়াসাহ্, ইবনু আবী দাউদ]
(২) অস্ওয়াসাঃ এটি এমন একটি উহ্য বিষয় যার দিকে মনের প্রবৃত্তি ও মনের গতি-প্রকৃতি আপনা থেকেই আকৃষ্ট হয়। অন্যভাবে বলা যায়- অস্ওয়াসা হচ্ছে মন-মগজকে বাতিল চিন্তা-চেতনার আলোকে প্ররোচনা দান। এই অস্ওয়াসা মূলত শয়তান সৃষ্টি করে। [অস্ওয়াসা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা]
[[পরিপূর্ণ তথ্যঃ ঘটনাবহ]]



[ঘটনাঃ এক]
এক জ্বিনের বিয়েতে হযরত আ’মাশ (রহ) উপস্থিত ছিলেন। বিয়েটি হয়েছিল মানুষ ও জ্বিনের মধ্যে। তিনি জ্বিনদের জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কোন খাবার বেশি পছন্দ কর?” তারা বলল, “ভাত।” ফলে লোকেরা জ্বিনদের কাছে ভাতের খাঞ্চা আনতে লাগল আর ভাত শেষ হতে লাগল কিন্তু (খানেওয়ালাদের) হাত দেখা যাচ্ছিল না।



[ঘটনাঃ দুই] “এক জ্বিন নারীর ঘটনা”
হযরত আবু ইউসুফ সারুজী (রহ) বর্ণনা করেছেনঃ একবার মদিনায় এক মহিলা এক ব্যক্তির কাছে এসে বলল, ‘আমরা তোমাদের বসতির কাছে এসে নেমেছি, কাজেই তুমি আমাকে বিয়ে করে নাও।’
মহিলার প্রস্তাবে লোকটি তাকে বিয়ে করল। রাত হলে সে মহিলার বেশ ধরে স্বামীর কাছে আসত। একদিন সে জ্বিন মহিলাটি স্বামীর কাছে এসে বলল, ‘আমরা চলে যাব; সুতরাং এখন তুমি আমাকে তালাক দিয়ে দাও।’
লোকটি তাই করল। পরবর্তীতে কোনো এক সময় সে লোকটি মদীনার কোনো এক রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল হঠাৎ সে জ্বিন মহিলাটিকে রাস্তায় শস্যদানা কুড়ানো অবস্থায় দেখতে পেল। তা দেখে লোকটি বলল, ‘আরে! তুমি এখানে দানা কুড়াচ্ছ?’
এ কথা শুনে মহিলাটি লোকটির দিকে চোখ পাকিয়ে তাকাল এবং বলল, ‘তুমি আমাকে কোন চোখ দিয়ে দেখেছ?’
লোকটি বলল, ‘এ চোখ দিয়ে।’
তখন মহিলাটি নিজের আঙুল দিয়ে ইশারা করা মাত্রই লোকটির চোখ উপড়ে বাইরে বেরিয়ে পড়ল।



[ঘটনাঃ তিন] “শয়তানদের তথ্য চুরি”
একবার রাসূলুল্লাহ (সঃ) সাহাবীদের নিয়ে উকায বাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তখন শয়তানদের সামনে আসমানে যাওয়া ও সেখান থেকে খবরাদি সংগ্রহ করে আনার কাজে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিল এবং তাদের উপর উল্কাপিণ্ড নিক্ষিপ্ত হল। এমন অবস্থা দেখে শয়তানরা তাদের কওমের কাছে গিয়ে বললঃ
— “আমাদের এবং আসমানের খবরাদি সংগ্রহের মধ্যে কোনো জ্বিনিস বাঁধা হতে পারে না। মনে হচ্ছে কোনও নতুন কিছু ঘটেছে।”
— “তোমরা পৃথিবীর চারদিকে ঘোরাঘুরি কর। দেখ যে, কোন জ্বিনিস তোমাদের ও আসমানের খবর সংগ্রহের মধ্যে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
সুতরাং তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিমে খোঁজাখুঁজি শুরু করতে লাগল। তাদের মধ্যে একটি দল ‘তিহামার’-এর দিকে ঘুরতে ঘুরতে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর দিকে এল। সে সময় রাসূলুল্লাহ (সঃ) সাহাবীদের নিয়ে ‘নাখলা’ এলাকায় ফজরের নামায পড়ছিলেন। জ্বিনের দলটি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর মুখে কোরআন পাক শুনে তিনার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বলতে লাগলঃ
— “আল্লাহর কসম! এ সে বিষয়, যা আমাদের ও আসমানের সংবাদ সংগ্রহের মধ্যে বাঁধা হয়েছে।”
এরপর তারা নিজেদের কওমের কাছে ফিরে গিয়ে বলতে লাগলঃ
— “হে আমাদের (জ্বিন) সম্প্রদায়! আমরা তো এক চমৎকার কোরআন শুনেছি, যা সঠিক পথ নির্দেশ করে, তাই আমরা সে কুরআনের উপর ঈমাণ এনেছি এবং আমরা কখনও আমাদের প্রতিপালকের সাথে কোনো কিছুকে শরিক করব না।”
[তথ্যসূত্রঃ বুখারী শরীফ]



[ঘটনাঃ পাঁচ] “মু’মিনের সাথে ৩৬০ জন ফেরেশতা”
হযরত আবু উমামা (রাঃ) বলেন, নবী করীম সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমালেন, “প্রতিটি মু’মিন লোকের সাথে তিনশত ষাটজন ফেরেশতা থাকেন। যে মুছিবত মানুষের উপর লিখা নেই তা মু’মিন লোকের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেন। শুধু চোখের জন্য সাতজন ফেরেশতা। এসব ফেরেশতা মানুষের নিকট থেকে বালা-মুছিবত এভাবে দূরে সরাতে থাকেন যেমনিভাবে গ্রীষ্মকালের মধুর পেয়ালা থেকে মাছি দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ সমস্ত ফেরেশতাকে যদি তোমাদের সামনে প্রকাশ করে দেওয়া হয়, তাহলে তোমরা তাদের প্রত্যেককে খোলা মাঠে ও প্রতিটি পর্বতে হাত এবং মুখ খোলা অবস্থায় দেখতে পাবে। আর যদি মানুষের মুছিবতকে (রোগ-ব্যধি, দুঃখ-দূর্দশা) চোখের পলকের জন্য তার সত্ত্বাকে (নিজের দেহকে বা স্বকীয় বৈশিষ্ট্যকে) অর্পণ করা হয় তাহলে তার উপর শয়তান দ্রুত আক্রমণ করবে।”
[তথ্যসূত্রঃ কানযুল উম্মাল]
[ঘটনাঃ ছয়] “দুই নবীর প্রতি ঈমান আনয়নকারী জ্বিন”
একবার আমি (সাহল) আদ্ জাতির এক অঞ্চলে গিয়েছিলাম; সেখানে একটি খননকৃত গুহা আমার দৃষ্টিগোচর হয় এবং সেই গুহার মাঝে একটি পাথরের বাড়ী ছিল যেখানে জ্বিনেরা বসবাস করত। সেই বাড়ীতে আমি প্রবেশ করলাম এবং দেখলাম একজন বিরাটাকায় বৃদ্ধ কা’বার দিকে মুখ করে নামায পড়ছেন। বৃদ্ধের গায়ে পরিহিত ছিল চকচকে এক পশমের জুব্বা যা তার বিশালাকার চেহারার চেয়ে অত্যন্ত উজ্জ্বল ও সজীব ছিল! তাকে আমি সালাম দিলাম। তিনি আমার সালামের জওয়াব দিলেন এবং বললেনঃ “হে সাহল! পোশাককে শরীর পুরোনো করে না এবং পোশাককে পুরোনো করে পাপের দুর্গন্ধ আর হারাম খাদ্য। এ জুব্বা আমি সাতশ’ বছর ধরে পরিধান করে আছি। এ জামাটি পরিধান করে আমি হযরত ঈসা (আঃ) ও হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সাক্ষাৎ করেছি এবং তাদের প্রতি ঈমান এনেছি।”
আমি (সাহল) বললামঃ “আপনি কে?”
তিনি বললেনঃ আমি সে ব্যক্তি (জ্বিন)-দের অন্তর্গত; যাদের সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে নাযিল হয়েছিল ‘সূরা জ্বিনের’ প্রথম আয়াতঃ “আপনি বলুন, ওহীর মাধ্যমে আমি অবগত হয়েছি যে; জ্বিনদের একটি দল কুরআন তিলাওয়াত শুনেছে-।”
[তথ্যসূত্রঃ সিফাতুস সফওয়াহ্, ইবনে জাওযী (রহঃ)]
[ঘটনাঃ সাত] “হাজ্জাজ বিন ইউসুফের ঘটনা”
একবার হাজ্জাজ বিন ইউসুফের সামনে এক লোককে হাজির করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল জাদুর।
হাজ্জাজ তাকে জিজ্ঞাসা করলেন- ‘তুমি কি জাদুকর?’
সে বলল- ‘না।’
হাজ্জাজ তখন একমুঠো কাঁকর নিয়ে সেগুলো গুণতে থাকেন। এরপর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করলেন- ‘আমার হাতে কত সংখ্যক কাঁকর আছে?’
‘এত সংখ্যক।’ -অভিযুক্ত লোকটি বলল।
হাজ্জাজ তখন সে কাঁকরগুলো ফেলে দিয়ে পুনরায় আরব একমুঠো কাঁকর নেন এবং না গুণেই জিজ্ঞাসা করলেন- ‘এখন আমার কতটি কাঁকর আছে?’
লোকটি বলল- ‘আমি জানিনা।’
হাজ্জাজ জিজ্ঞাসা করলেন- ‘প্রথমবার তুমি ঠিকঠাক বলে দিলে কিন্তু দ্বিতীয়বার তুমি পারলে না কেন?’
‘প্রথমবার আপনি জেনেছিলাম; এর দ্বারা আপনার অস্ওয়াসাও জেনে গিয়েছিল এরপর আপনার অস্ওয়াসা আমার অস্ওয়াসাকে জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু পরেরবার আপনি নিজেও অবগত ছিলেন না তাই আপনার অস্ওয়াসাও জানেনি সেজন্যে আপনার অস্ওয়াসা আমার অস্ওয়াসাকেও বলতে পারেনি। যার দরুন আমি নিজেও জানতে পারিনি।’ -লোকটি উত্তরে বলল।
[তথ্যসূত্রঃ আল-অস্ওয়াসাহ্, ইবনে আবী দাউদ]
[ঘটনাঃ আট] “জ্বিন ছাড়ানোর তাদবীর”
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেছিলেনঃ মদীনার এক রাস্তা দিয়ে আমি ও রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাচ্ছি। এমন সময় দেখতে পেলাম একজন মৃগী রোগী। আমি তার কাছে গিয়ে তার কানে কুরআনের কিছু আয়াত তিলাওয়াত করার পরে সে সুস্থ হয়ে উঠল। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ‘তুমি তার কানে কি পড়লে?’
আমি বললাম- ‘আফাহাসিবতুম আন্নামা খালাকানাকুম অবাসাউঁ অ আন্নাকুম ইলাই্না লা তুরজ্বাঊন অর্থাৎ সূরা মু‘মিনূনের আয়াত নং ১১৫ থেকে শেষ পর্যন্ত তিলাওয়াত করেছি।’
নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ‘যাঁর হাতে আমার জীবন, সে সত্ত্বার কসম! কোনো মু’মিন যদি ইহা কোনো পাহাড়ের উপরেও পড়ে, তাহলে সে পাহাড়ও হটে যাবে।’
[তথ্যসূত্রঃ হাকিম; তিরমিযী; আবূ ইয়া‘লা, ইবনে আবী হাতিম, আকীলী...]
জ্ঞাতব্যঃ দুনিয়াতে মুসলমানদের দুঃখ-কষ্ট, দৈন্য-দূর্দশা, হতাশা-চিন্তা প্রভূত পরকালে ও ক্ষেত্রবিশেষে দুনিয়াতে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি এবং পরকালে অপার পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য; যা (পরকালের পুরস্কারপ্রাপ্তি) কোনো মুসলমান ও কূল-কায়নাতের কারো পক্ষে অনুমেয় নয়। তদুপরি কাফেরদের ক্ষেত্রে মুসলমানের বিপরীত অর্থাৎ তারা দুনিয়াতেই আরাম-আয়েশ, ভোগ-বিলাসের উপকরণ হতে শুরু করে যা চায় তা অনায়াসেই পেয়ে যায়। আল্লাহ্-কে চেনার আগে শয়তানকে চেনা জরুরী। কারণ, শয়তান আমাদের রগ-রেড়ষায় মিশে থাকে এবং আল্লাহ্ তা‘য়ালা আমাদের অন্তরের অনঃস্থলে থাকেন।
(আল্লাহ্ আমাদেরকে অন্তর্দৃষ্ট চক্ষু দান করুন।)
“শাকিল ওসমান” || ‘জ্বিন জাতির ইতিবৃত্ত’

জিন ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও এবং সেই ছাত্র স্বেচ্ছায় হেল্প করতে চাওয়ার পর‌ও যেই আলেম জিনদের সাহায্য নেননি এবং প্রস্তাব প্র...
14/06/2023

জিন ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও এবং সেই ছাত্র স্বেচ্ছায় হেল্প করতে চাওয়ার পর‌ও যেই আলেম জিনদের সাহায্য নেননি এবং প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।

বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও বৃহৎ এক মাদ্রাসার শাইখুল হাদিসের নিকট একদিন গিয়েছিলাম কিছু ফায়দা হাসিলের জন্য।

আগেই জানতে পেরেছিলাম তিনি টুকটাক ঝাড়ফুঁক করেন । ফলে উনার কাছে গিয়ে বিনয়ের সাথে জানতে চাইলাম যে, আপনি কিভাবে মানুষকে ঝাড়ফুঁক ও চিকিৎসা করেন?

উনি আমাকে বিনয়ের সাথে উনার কার্যপদ্ধতি বিস্তারিত জানালেন। এত বড় মাপের একজন আলেম হওয়া সত্ত্বেও উনার মধ্যে নূন্যতম অহংকার বোধ ছিল না। রুক‌ইয়া এবং জিন জাদুর চিকিৎসা সংক্রান্ত আমাদের আকাবির ওলামায়ে কেরামের অনেক ঘটনা তিনি উল্লেখ করলেন।

সাধারণত জাহেল কবিরাজরা অনেক অহংকারী হয়ে থাকে এবং তাদের কার্য পদ্ধতি অন্য কারো নিকট কখনো প্রকাশ করে না।
কিন্তু আমাদের আলোচ্য শাইখুল হাদিস তিনি হলেন নববী ইলমের ধারক বাহক। উত্তম আখলাকের জন্য তিনি ছাত্র উস্তাদ ও এলাকার মানুষ সবার নিকট অনেক প্রীয়।

আলোচনার একপর্যায়ে তিনি জানালেন , উনার এক ছাত্র ছিল জিন। সে অনেক বছর ধরে এখানে পড়ালেখা করেছে। কিন্তু তিনি জানতেন না সে যে জিন। একদিন সেই জ্বীন উনার পার্সোনাল রুমে হাজির হয়ে জানালো যে, হুজুর আমি আপনার ছাত্র অমুক। আমি আসলে জিন।
হুজুর উনার খাদেমকে ক্লাসে পাঠালেন যে গিয়ে দেখো ওমুক নামে আমাদের ক্লাসে যে ছাত্র পড়তো সে আসলে ক্লাসে আছে কিনা।
উদ্দেশ্য হলো ক্লাসে যদি এই নামে ছাত্র বহাল থাকে তাহলে এখানে যে হাজির হয়েছে সে মিথ্যা বলতেছে। হুজুর খুঁজ নিয়ে দেখলেন যে, ক্লাসে এই নামে ছাত্র নেই। মানে এখানে যে হাজির হয়েছে সেই ওই ছাত্র। এবং সে আসলেই জিন।

সে হুজুরকে প্রস্তাব দিল যে, " হুজুর ! আপনি রাজি থাকলে আমি আপনাকে এই ঝাড়ফুঁক ও চিকিৎসার কাজে সাহায্য করবো"

হুজুর তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন।

আমি হুজুরকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কেন তার প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করলেন?

হুজুর বললেন এরা মিথ্যা কথা বলে এবং ফাসাদ তৈরি করে।
মানে আপন ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও হুজুর সেই জ্বীনের সাহায্য নেননি।

আর এখন অনেক মানুষ জিনকে পাওয়ার জন্য সাধনা করে মূর্খতার কারণে।

এই জন্য কখনো এই কামনা করবেন না যে,
ইশ! যদি একটা জিন আমার অনুগত হতো !
ইশ! জিন দিয়ে কাজ করায় এমন ভালো কাউকে যদি পেতাম!

কারণ জিনের সাথে যে কানেক্টেড হয়েছে, সে নিজেই ফাহাদের মধ্যে রয়েছে । আরেকজনকে সে কী হেল্প করবে !
জিনের সাথে যে কানেক্টেড হয়েছে জিন তাকে ধোঁকা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করবেই।

দুই জেনারেশন পূর্বে জিনদেরকে পড়িয়েছেন, ইসলাম শিখিয়েছেন , এমন কয়েকটি আলেম পরিবার পেয়েছি । পরবর্তী জেনারেশনকে জিনেরা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কারণ জিনদের চরিত্রে খারাবী, উগ্রতা, বিদ্বেষ ও অন্যকে ক্ষতি করার প্রবণতা অনেক প্রবল।

জীবনের কোনো ক্ষেত্রেই জিনদের থেকে সাহায্য নেওয়ার আমাদের প্রয়োজন নেই। আমাদের কুরআন সুন্নাহ‌ই যথেষ্ট। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো জিনদের সাহায্য নেননি।‌কোনো সাহাবী কখনো জিনদের সাহায্য নেননি। আমাদের সালাফদের মধ্যেও কেউ জিনদের সাহায্য নেননি।

যে যতো বেশি তাক্ব‌ওয়া ত্বাহারাত মেনে চলবে জিন ও মানুষ শয়তানেরা তাকে ততো ভয় পাবে ও সমীহ করে চলবে। এজন্য আমাদেরকে তাক‌ওয়া ত্বাহারাত মেনে চলা এবং শয়তানের ধোঁকা ও চক্রান্ত সম্পর্কে সঠিক ইলম রাখা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত আমল ও নিয়ম নীতির দিকে ফোকাস রেখে মেনে চলার চেষ্টা করাই কর্তব্য।

Nurul Hasan Abu Aminah

ঘর বন্ধের কবিরাজ এক ভাইকে তার বাসায় রাখার জন্য এই জিনিসটা দিয়েছে। এই কবিরাজরা যে অদ্ভুত কত কিছু আবিস্কার করলো ! এই জিন...
14/06/2023

ঘর বন্ধের কবিরাজ এক ভাইকে তার বাসায় রাখার জন্য এই জিনিসটা দিয়েছে। এই কবিরাজরা যে অদ্ভুত কত কিছু আবিস্কার করলো ! এই জিনিস দিয়ে আদৌ ঘর বন্ধ হবে ?
বাস্তবেও ঘর বন্ধ হয়নি। জিনের ডিস্টার্ব চলতেছিলো। অবশেষে তারা রুক‌ইয়াহ সেশন নিলেন।
মুমিন কখনো উল্টাপাল্টা জিনিসে স্বস্তি বোধ করবে না।
বাড়ী বন্ধের সঠিক নিয়ম জানতে এই লেখাটি পড়ুন।

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1294820858132309&id=100028132218552&mibextid=Nif5oz

দুঃস্বপ্ন দেখলে যা করবেন। আবূ কাতাদাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ব...
07/06/2023

দুঃস্বপ্ন দেখলে যা করবেন।

আবূ কাতাদাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, الرُّؤْيَا সু-স্বপ্ন আল্লাহর তরফ হতে, আর الْحُلْمُ দুঃস্বপ্ন শাইতানের তরফ থেকে। অতএব তোমাদের কেউ যখন এমন কোন ব্যাপারে স্বপ্নে দেখে, যা সে পছন্দ করে না, তখন সে যেন তার বাম পাশে তিন বার থুথু ফেলে এবং (আউযুবিল্লাহ্ বা সূরা আল ফালাক ও সূরা আন নাস পড়ে) স্বপ্নের অনিষ্ট হতে আশ্রয় চায়। কারণ (এভাবে করলে) তা তার কোন খারাবী করতে পারবে না। রাবী বলেন, আমি এমন স্বপ্নও দেখতাম যা আমার জন্য পাহাড়ের চাইতেও কঠিন (ও ভয়াবহ) কিন্তু এখন অবস্থা এই যে, এ হাদীস যখন আমি শুনে ফেলেছি, এখন আর সে সবের পরোয়া করি না।
সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
অধ্যায়ঃ ৪৩। স্বপ্ন (كتاب الرؤيا)
হাদিস নম্বরঃ ৫৭৯৩

বেশির ভাগ জিনের রোগীদের একটা সমস্যা হলো,তারা স্বপ্নে প্রচুর এটাসেটা দেখে। অনেকে আছে চোখ বন্ধ করলেই ভয়ংকর বিরক্তিকর এটা সেটা শয়তান দেখাতে থাকে।‌

এর কারণ হলো ব্যক্তির ঘুমে ডিস্টার্ব করা। অথবা জিন যে সব জায়গায় যাচ্ছে বা যা কিছু করতেছে , ব্যক্তিও সেগুলোর ফিলিংস পাওয়া।

এজন্য জিন জাদু আক্রান্তদেরকে আমরা বলে থাকি, স্বপ্নে ভয়ঙ্কর এবং বিরক্তিকর যা কিছু দেখবেন এগুলোকে গুণায় ধরা যাবে না। ব্যাস।

স্বপ্নে ভয়ঙ্কর ও বিরক্তিকর কিছু দেখে ঘুম ভেঙ্গে গেলে , বাম পাশে তিন বার থুথু ফেলে এবং (আউযুবিল্লাহ্ বা সূরা ফালাক ও নাস পড়ে) স্বপ্নের অনিষ্ট হতে আশ্রয় চাইবেন। কারণ (এভাবে করলে) তা ব্যক্তির কোন খারাবী করতে পারবে না। এগুলো নিয়ে এর বেশি আর কোন চিন্তা করবেন না।

জিনের রোগীদের অনেকেরই এই সমস্যাটা হয় যে, উল্টাপাল্টা স্বপ্ন দেখে ভয় পেয়ে ঘুম ভেঙ্গে যায়।তারা আরেকটা কাজ করতে পারেন, তা হলো সূরা বাকারার অডিও প্লে করে শোনতে শোনতে ঘুমিয়ে যাবেন। যতক্ষণ সূরা বাকারার অডিও চলবে ততক্ষণ আর শয়তান ডিস্টার্ব দিতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।

Nurul Hasan Abu Aminah

জিন শয়তানদের থেকে নিরাপদ থাকার দশটি উপায়।এক নাম্বার উপায় হল শয়তান থেকে মহান আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাওয়া।মহান আল্লাহ ব...
04/06/2023

জিন শয়তানদের থেকে নিরাপদ থাকার দশটি উপায়।

এক নাম্বার উপায় হল শয়তান থেকে মহান আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাওয়া।মহান আল্লাহ বলেন:
وَإِمَّا يَنْزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ إِنَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
আর যদি শয়তানের প্ররোচনা আপনাকে প্ররোচিত করে, তাহলে আল্লাহর শরণাপন্ন হোন, তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী।
(সূরাঃ আল আ'রাফ, আয়াতঃ ২০০)

২. সূরা ফালাক এবং নাস পাঠ করা।
কেননা শয়তানের ক্ষতি থেকে বাঁচতে এবং শয়তানকে প্রতিরোধ করতে এই দুটি সূরার মাধ্যমে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করার মধ্যে বিস্ময়কর প্রভাব রয়েছে। এ কারণে নবী সাঃ বলেন
مَا تَعَوَّذَ النَّاسُ بِأَفْضَلَ مِنْهُمَا
মানুষ এদুটির চেয়ে উত্তম কিছু দ্বারা আশ্রয় প্রার্থনা করতে পারে না।
সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) হাদিস নম্বরঃ ৫৪২৮
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি রাত্রে ইখলাস, ফালাক, নাস দ্বারা আশ্রয় গ্রহণ করতেন।

‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, প্রতি রাতে নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বিছানায় যেতেন তখন সূরাহ ইখ্লাস, সূরাহ ফালাক ও সূরাহ নাস পাঠ করে দু’হাত একত্র করে হাতে ফুঁক দিয়ে যতদূর সম্ভব সমস্ত শরীরে হাত বুলাতেন। মাথা ও মুখ থেকে আরম্ভ করে তাঁর দেহের সম্মুখ ভাগের উপর হাত বুলাতেন এবং তিনবার এরূপ করতেন।
সহীহ বুখারী (তাওহীদ) হাদিস নম্বরঃ ৫০১৭

3.আয়াতুল কুরসি পাঠ করা

4.সূরা বাকারাহ পাঠ করা।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لاَ تَجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ مَقَابِرَ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَنْفِرُ مِنَ الْبَيْتِ الَّذِي تُقْرَأُ فِيهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ ‏"‏ ‏.‏
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের ঘরগুলোকে কবরস্থান বানিও না। যে ঘরে সূরা বাকারা পাঠ করা হয় শয়তান সে ঘর থেকে পলায়ন করে।
সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) হাদিস নম্বরঃ ১৬৯৭

5.সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়া।
عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ مَنْ قَرَأَ الآيَتَيْنِ مِنْ آخِرِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ فِي لَيْلَةٍ كَفَتَاهُ ‏"‏
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি রাতে সূরাহ বাকারার শেষ দু আয়াত তিলাওয়াত করে, তা তার জন্য যথেষ্ট।
সুনানে ইবনে মাজাহ
হাদিস নম্বরঃ ১৩৬৯
হাদিসের মান, সহিহ।

৬. এটি পড়া।
لا إله إلا الله وحده لا شريك له، له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير
বুখারী ও মুসলিমের হাদিসে আছে কেউ যদি এটা দিনে একশত বার করে পাঠ করবে
তাহলে দশটি গোলাম আযাদ করার সমান সাওয়াব তার হবে। তার জন্য একশটি সাওয়াব লেখা হবে এবং আর একশটি গুনাহ মিটিয়ে ফেলা হবে। ঐদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সে শয়তান হতে মাহফুজ ও নিরাপদ থাকবে। কোন লোক তার চেয়ে উত্তম সাওয়াবের কাজ করতে পারবে না। তবে হ্যাঁ, ঐ ব্যক্তি সক্ষম হবে, যে এর চেয়ে ঐ দু‘আটির ‘আমল বেশি পরিমাণ করবে।
সহীহ বুখারী (তাওহীদ) হাদিস নম্বরঃ ৩২৯৩
এটা অত্যন্ত বেশি উপকারী একটি কালেমা।
আল্লাহতালা যাদেরকে সহজ করে দেন তাদের জন্য এটি আমল করার অত্যন্ত সহজ।

৭.অধিক পরিমানে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের জিকির করা। কারণ আল্লাহর জিকির শয়তানকে তাড়িয়ে দেয়। সূরা নাসের মধ্যে এ বিষয়টার দিকে ইঙ্গিত রয়েছে। কেননা সেখানে শয়তানের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়েছে যে সে হলো খান্নাস। খান্নাস হলো সে, বান্দা তার রবকে স্বরণ করলে যে পিছু হটে।আর যখন বান্দা উদাসীন হয় তখন সে অন্তরকে গ্রাস করে এবং অন্তরে ওয়াসওয়াসা নিক্ষেপ করে। সুতরাং বান্দা নিজেকে শয়তান থেকে একমাত্র আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমেই সুরক্ষিত রাখতে পারে।

৮.অজু এবং নামাজ‌ । বান্দা শয়তান থেকে সুরক্ষা পাওয়ার উত্তম দুটি উপায় হলো এগুলো।
বিশেষ করে রাগ এবং প্রবৃত্তির কামনা দমন করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর। রাগ হলো একটি আগুন যা বনি আদমের অন্তরে সৃষ্টি হয়।তিরমিজির বর্ণনায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

9.অপ্রয়োজনে তাকানো , অনর্থক কথা, অপ্রয়োজনে খাওয়া, অপ্রয়োজনে মানুষের সাথে মিশা।কারণ শয়তান এই চারটি দরজা দিয়েই আদম সন্তানের কাছ থেকে তার লক্ষ্য অর্জন করে।
কেননা অনর্থক তাকানোর দ্বারা দেখা জিনিসের ব্যাপারে হৃদয়ে কৌতূহল জাগে, আগ্রহ তৈরি হয় এবং সেটা নিয়ে হৃদয় ব্যস্ত থাকে।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ
(হে নবী আপনি)মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে। আন-নূর, আয়াতঃ ৩০

আর অতিরিক্ত কথা বান্দার জন্য অকল্যাণের সব দরজা খুলে দেয়। এসব দরজা দিয়ে শয়তান প্রবেশ করে। দরকারবিহীন কথা থেকে বিরত থাকাটাই সেসব দরজা কে বন্ধ করে দেয়।
যুগে যুগে কত যুদ্ধবিগ্রহ শুধু একটি কথার দ্বারাই সৃষ্টি হয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
وَهَلْ يَكُبُّ النَّاسَ فِي النَّارِ عَلَى وُجُوهِهِمْ أَوْ عَلَى مَنَاخِرِهِمْ إِلاَّ حَصَائِدُ أَلْسِنَتِهِمْ
মানুষকে শুধুমাত্র জিহবার উপার্জনের কারণেই অধঃমুখে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।তিরমিজী,হাদিস-২৬১৬

অধিকাংশ পাপ জন্ম হয় অনর্থক কথা এবং দৃষ্টি দ্বারা। আর এই দুটি শয়তান প্রকাশের সবচেয়ে প্রশস্ত দরজা।কেননা এদুটির ক্ষতি অবিশ্রান্ত ও অবিরাম চলতেই থাকে।এর বিপরীত হলো পেট। কেননা পেট পূর্ণ হলে তার আর খাবারের চাহিদা থাকে না। কিন্তু চোখ এবং জিহ্বাকে ছেড়ে দিলে অবিরাম কাজ করতেই থাকে।সালফে সালেহীন অতিরিক্ত দৃষ্টি ও নজর থেকে সতর্ক থাকতেন।
এবং তারা বলতেন,
ما من شيء أحوج إلى طول السجن من اللسان
"জিহ্বার চেয়ে দীর্ঘ কারাবাসের প্রয়োজন আর কিছুর নেই।"

আর অতিরিক্ত কথা, এটা নানা রকম অকল্যাণ ডেকে আনে। অতিরিক্ত কথা অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে পাপে উদ্বুদ্ধ করে। এবং ইবাদতকে বোঝা বানিয়ে দেয়।আর বান্দার অকল্যাণের জন্য এটাই যথেষ্ট। অসংখ্য পাপ ও অবাধ্যতার জন্ম হয় এই তৃপ্তি ও অতিরিক্ত খাবার থেকে। এজন্য সালাফরা বলতেন, "ضيقوا مجاري الشيطان بالصوم"
রোজা রাখার মাধ্যমে শয়তান চলাচলের পথ সংকীর্ণ করো"

পেট খাদ্যে পরিপূর্ণ হলে, আল্লাহর স্মরণ থেকে দিলকে উদাস করে ফেলে। ফলে অন্তর যখন আল্লাহর স্মরণ থেকে এক মূহুর্তের জন্য গাফেল হয়, শয়তান অন্তরের উপর তখন প্রবল হয়ে ওঠে এবং অন্তরকে ইচ্ছে মতো পেয়ে বসে। কেননা নফস যখন তৃপ্তি সহকারে খাবার পায় তখন মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। আর যখন ক্ষুধার্ত হয় তখন চুপ হয়ে যায় এবং দূর্বল হয়ে পড়ে।হাদিসে আছে,

মিকদাম ইবনু মা’দীকারিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : মানুষ পেট হতে অধিক নিকৃষ্ট কোন পাত্র পূর্ণ করে না। মেরুদন্ড সোজা রাখতে পারে এমন কয়েক গ্রাস খাবারই আদম সন্তানের জন্য যথেষ্ট। তার চেয়েও বেশি প্রয়োজন হলে পাকস্থলীর এক-তৃতীয়াংশ খাদ্যের জন্য, এক-তৃতীয়াংশ পানীয়ের জন্য এবং এক তৃতীয়াংশ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য রাখবে।
তিরমিজি, হাদিস নং ২৩৮০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

শয়তানকে দুর্বল করার জন্য আরেকটা কাজ করতে হবে তা হলো, নিজেকে যথাসম্ভব গুটিয়ে রাখতে হবে।অতি প্রয়োজন ছাড়া কারো সাথে দেখা সাক্ষাৎ করার দরকার নেই। মানুষের সাথে প্রয়োজন ছাড়া মেশা বর্জন করতে হবে। যতো বেশি সম্ভব নিজের ইলম, ঈমান, আমল,চরিত্র উন্নয়নে সময় দিতে হবে। জেনারেল লাইনের লোক হলে কোনো উস্তাদের নিকট সরাসরি ইলম অর্জন করতে হবে। আর আলেম হলে শায়েখদের সাথে ইসলাহ ও আত্ম সংশোধনের সম্পর্ক রাখতে হবে।

এতক্ষণ যা পড়লেন, এগুলোর অধিকাংশ কথা ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহর লেখা থেকে অনুবাদ করেছি।

মোট কথা জিন ও শয়তানের ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকতে হলে আমাদেরকে কিছু বিষয় তো মেনে চলতেই হবে। ঈমান, আমল, আখলাকের উন্নয়নের ব্যাপারে সাধ্যানুযায়ী অব্যাহত চেষ্টা চালু রাখতে হবে। এসব ব্যাপারে যারা উদাসীন এবং গা ছাড়া ভাব নিয়ে জীবন যাপন করে,তারা দুনিয়া ও আখেরাতে নিরাপত্তা ও সফলতা কিভাবে আশা করতে পারে !
আল্লাহ তাআলা সবাইকে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

Nurul Hasan Abu Aminah

জিন জাদু আক্রান্ত মহিলাদের প্রেগনেন্সি প্রসঙ্গে দুটি কথা।জিন জাদু আক্রান্ত মহিলাদের অনেকেই ভয়ে থাকেন, জিন জাদুতে আক্রান...
28/05/2023

জিন জাদু আক্রান্ত মহিলাদের প্রেগনেন্সি প্রসঙ্গে দুটি কথা।

জিন জাদু আক্রান্ত মহিলাদের অনেকেই ভয়ে থাকেন, জিন জাদুতে আক্রান্ত অবস্থায় পেটে বাচ্চা নিলে বাচ্চার কোন ক্ষতি হবে কিনা। বাচ্চা কোন ধরনের পঙ্গুত্ব নিয়ে জন্ম হয় কিনা। ভাই এই ধরনের অন্য কোন জটিল সমস্যা দেখা দিবে কিনা। এই ভয়ে থাকেন। তাদের জন্য আজকে দুটি কথা।

যাদের কনসিভ হয়নি বা কনসিভ হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে তাদের জন্য আলাদা আলোচনা রয়েছে।

আজকে আলোচনা করব জিনে আক্রান্ত মহিলাদের সুস্থ বাচ্চা হওয়া সম্ভব কিনা এই বিষয়ে।

কঠিনভাবে জ্বীন জাদুতে আক্রান্ত তিনজন পেশেন্ট, যারা আমাদের পরামর্শ যতটুকু সম্ভব সাধ্য অনুযায়ী মেনে চলছিলেন, আল্লাহ তাআলা রহমতে সুস্থ সবল ভাবে বাচ্চা জন্ম দিয়েছেন। মা এবং সন্তান নিরাপদ ছিলেন আল্লাহ তাআলার রহমতে। আলহামদুলিল্লাহ। এই তিনজনের প্রত্যেকেই ছিলেন কঠিন ভাবে জিন এবং জাদুতে আক্রান্ত। এদের একজন এতটাই গুরুতর অসুস্থ ছিলেন, দিনে কয়েকবার বেহুশ হয়ে পড়ে যেতেন।
বেহুশ হয়ে পড়ে থাকতেন দিনে কয়েকবার। কিন্তু যতটুকুই পারতেন আন্তরিকভাবে সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করতেন আমাদের পরামর্শ মেনে চলার জন্য। বাকি দুইজনও কঠিন ভাবে জিন জাদু আক্রান্ত ছিলেন। জিন জাদুর কারণে তাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক সমস্যা তৈরি হতো।

তাদের প্রত্যেককেই তাদের প্রেগনেন্সির সময়গুলোতে আমাদের সাথে যোগাযোগ রেখে পরামর্শ নিচ্ছিলেন। আমাদের এতটুকু বিশ্বাস ছিল যে, বান্দা তার সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করবে ,বাকি সব আল্লাহ তায়ালা দেখবেন।

আলহামদুলিল্লাহ বাস্তবে তাই হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের‌ই সুস্থ সবল বাচ্চা জন্ম হয়েছে।
মা এবং সন্তান উভয়ে নিরাপদ ছিলেন।

এখান থেকে আমাদের শিক্ষা হলো
বান্দা সাধ্য অনুযায় চেষ্টা করলে বাকি বিষয়গুলো আল্লাহতালাই দেখেন। শয়তান জাস্ট সাময়ীক পেরেশানি তৈরি করতে পারে। এর বেশি কিছু না।

তাই বাচ্চা নিতে আগ্রহী জিন জাদুতে আক্রান্ত মহিলাদের প্রতি আমাদের পরামর্শ থাকে ,
রুক‌ইয়া এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় মেনে চল মেনে চলবেন। কন্সিভ করার জন্য চেষ্টা করবেন। শারীরিক কোন সমস্যা থেকে থাকলে সেটার জন্য ডাক্তারদের চিকিৎসা নিবেন।

আল্লাহর রহমতে কনসিভ যদি কনফার্ম হয় তাহলে রুক‌ইয়া ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলো ঠিক ঠাক ভাবে মেনে চলবেন। প্যারানরমাল সমস্যার জন্য রাকীর সাথে যোগাযোগ রাখবেন।

যদি আপনি আপনার সাধ্য অনুযায়ী নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলো মেনে চলেন, তাহলে শয়তান আপনার পেটের বাচ্চাকে কোন ক্ষতি করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।

একটি মর্মান্তিক কাহিনী আজকে আপনাদেরকে শেয়ার করি।
এক বোন তার এই মর্মান্তিক কাহিনী আমাদেরকে শুনিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন প্রবলভাবে জিন জাদু আক্রান্ত। কিন্তু তখনও তারা বিষয়টা জানতেন না। এই অবস্থায় তারা প্রথম সন্তান কনসিভ করলেন। প্রেগনেন্সির বয়স যখন সাত মাস হল, তখন পেটে এমন পেইন উঠল, কোনভাবেই সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না।
পরে তারা সিদ্ধান্ত নিলেন বাচ্চাকে সিজার করে বের করে ফেলে দিবেন। পরে তাই করা হলো।
এই বোনের সাথে তখন অবস্থানকারী আত্মীয় বলেছেন, বাচ্চাটার প্রায় পুরো শরীরের গঠন চলে এসেছিল। তবে মায়ের পেটের বাহিরে কোন ভাবে বাঁচানোর মতন বয়স ছিল না । তাই বাচ্চাটাকে বাঁচানোর জন্য তাদের কোন পদক্ষেপও ছিল না। বাচ্চাটা সিজারের পর ছটফট করতে করতে মারা যায়। দৃশ্যটা অত্যন্ত মর্মান্তিক ছিল, একটা জীবন্ত বাচ্চা ছটফট করতে করতে মারা যাচ্ছে।

কোটিপতি দম্পতির এটা ছিল প্রথম বাচ্চা।সেই যে বাচ্চা নষ্ট হয়েছে। এরপর থেকেই এই পর্যন্ত অনেক বছর গড়িয়ে গেছে। কয়েকটি দেশে তারা চিকিৎসা নিয়েছেন। কাজ হয়নি। পরে আর কনসিভ হয়নি। সন্তানের জন্য এখন তাদের হাহাকার চরম পর্যায়ে।

আফসোসের ব্যাপার হল। ওই পেইনটা ছিল শয়তানের তৈরি করা। শয়তান সেই পেইনটা তৈরি করেছিল যেন বাচ্চাটাকে নিয়ে তারা বেকায়দায় পড়ে। ফলাফল যা হবার তাই হল।

বহু বছর পর তারা বুঝতে পেরেছে তাদের জিন জাদুর সমস্যা। এবং এখন এটাও বুঝতে পেরেছে ওই পেইনটা ছিল শয়তানের সৃষ্ট। তখন যদি তাদের রাকীর সাথে যোগাযোগ থাকত, তাহলে রাকী তাদেরকে বলে দিত, ব্যথার জায়গায় হাত রেখে রুক‌ইয়া শুরু করেন, আর ব্যথার জায়গায় হাত রেখে রুক‌ইয়া শুরু করলে আল্লাহর রহমতে শয়তানের চক্রান্ত ধ্বংস হয়ে যেত বিইযনিল্লাহ।

এমনিতেও জিন জাদু আক্রান্তদের শরীরে নানান জাগায় অকারণে ব্যথা শুরু হয়। তখন সেখানে অলিভ ওয়েল মেখে দুরুদ ফাতিহা ফালাক নাস পড়তে পড়তে মেসেজ করতে থাকলে আল্লাহর রহমতে ব্যথা চলে যায়। আমাদের পেশেন্টদের অনেকেরই এই বিষয়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা রয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।

Nurul Hasan Abu Aminah

Address

Dhormopur Moddho Choumohoni, Model Sadar
Cumilla

Telephone

+8801330418659

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nurul Hasan Abu Aminah posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Nurul Hasan Abu Aminah:

Videos

Share

Nearby clinics



You may also like