Dr. Sourav Saha: Nephrologist & transplant specialist

Dr. Sourav Saha: Nephrologist & transplant specialist kidney is one of the most important organ.its better to prevent kidney diseases than to treat.so love kidney,live your life happily

অ্যাকিউট কিডনি ফেলিওর কী ? সম্পূর্ণরূপে সাধারণ কর্মক্ষম কিডনি কোনও কারণে হঠাৎ করে ক্ষতিগ্রস্ত হবার ফলে অল্প সময়ের জন্য ...
17/12/2024

অ্যাকিউট কিডনি ফেলিওর কী ?

সম্পূর্ণরূপে সাধারণ কর্মক্ষম কিডনি কোনও কারণে হঠাৎ করে ক্ষতিগ্রস্ত হবার ফলে অল্প সময়ের জন্য কাজ বন্ধ করে দেয় , এ অবস্থাকে অ্যাকিউট কিডনি ফেলিওর বলে ।

অ্যাকিউট কিডনি ফেলিওর হবার কারণ কী?

অ্যাকিউট কিডনি ফেলিওর হবার কারণগুলি হল : ১. অত্যধিক বমি , পায়খানা হবার ফলে শরীরে জলের মাত্রা কমে যাওয়া এবং রক্তচাপ কমে যাওয়া।

২. ফ্যালসিফেরাম ম্যালেরিয়া , লেপ্টোস্পাইরোসিস ।
৩. G6PD Deficiency হওয়া । এই রোগে রক্তের রক্তকণিকা কিছু ওষুধ ব্যবহারের ফলে ভঙ্গুর হয়ে যায় , এবং হঠাৎ কিডনি ফেলিওর হয়ে যায় ।

৪. পাথরের কারণে মূত্রমার্গে বাধা সৃষ্টি ।

এছাড়া রক্তে গভীর সংক্রমণ ( Septicemia ) , কিডনির গভীর সংক্রমণ , কিডনির বিশেষ প্রকার রোগ ( Glomerulonepritis ) মহিলাদের প্রসবের সময় অত্যধিক রক্তচাপ বা অত্যধিক রক্তক্ষয় , ঔষধের খারাপ বা বিপরীত প্রভাব , সর্পদংশন , অত্যধিক স্নায়ুচাপের ফলে উৎপন্ন বিষাক্ত পদার্থের কিডনির উপর খারাপ প্রভাব ইত্যাদি হল অ্যাকিউট কিডনি ফেলিওরের মুখ্য কারণ ।

অ্যাকিউট কিডনি ফেলিওরের লক্ষণ কি?

এই ধরনের কিডনি ফেলিওরে , সম্পূর্ণরূপে কার্যরত কিডনি হঠাৎ করে খারাপ হবার কারণে লক্ষণ খুবই অধিক মাত্রায় প্রকট হয় । এই লক্ষণগুলি রোগীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন মাত্রায় প্রকাশ পায় । অ্যাকিউট কিডনি ফেলিওরে দুটি কিডনি হঠাৎ করে খারাপ হয় বলে , লক্ষণ অধিক মাত্রায় দেখা যায়।

অ্যাকিউট কিডনি ফেলিওরের লক্ষণগুলি হল নিম্নরূপ : ● ক্ষুধামান্দ্য , অস্বস্তি , বমিভাব , হেঁচকি । • প্রস্রাব কমে যাওয়া বা বন্ধ হয়ে যাওয়া । • মুখমণ্ডল বা শরীরে ফোলাভাব , শ্বাসকষ্ট , রক্তচাপ বৃদ্ধি । • শারীরিক দুর্বলতা , অনিদ্রা , স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া , ইত্যাদি । • রক্তবমি এবং রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রাবৃদ্ধি ( যার কারণে হৃৎপিণ্ড হঠাৎ বন্ধ হতে পারে ) কিডনি ফেলিওরের লক্ষণ ছাড়াও যে কারণে কিডনি খারাপ হয়েছে সেই রোগের লক্ষণও রোগীদের মধ্যে দেখা যায় যেমন , বিষাক্ত ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর ।

অ্যাকিউট কিডনি ফেলিওরের নির্ণয় কিভাবে সম্ভব?

কোনও রোগের কারণে কিডনি ফেলিওর হবার আশঙ্কা হয় , বা রোগীর শারীরিক লক্ষণ দেখে কিডনি ফেলিওরের আশঙ্কা হয় , তাহলে তৎক্ষণাৎ রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া দরকার । রক্তে ক্রিয়েটিনিন আর ইউরিয়ার বর্ধিত মাত্রা কিডনি ফেলিওরের সংকেত দেয় । প্রস্রাব এবং রক্ত পরীক্ষা সোনোগ্রাফি ইত্যাদির দ্বারা অ্যাকিউট কিডনি ফেলিওরের নির্ণয় , তার কারণ নির্ণয় এবং অ্যাকিউট কিডনি ফেলিওরের কারণে উদ্ভূত অন্যান্য খারাপ প্রভাবের লক্ষণও জানা যায় ।

অ্যাকিউট কিডনি ফেলিওর প্রতিরোধের উপায় কি?

বমি , পায়খানা , ম্যালেরিয়ার মতো কিডনি খারাপ হওয়ার রোগের শীঘ্র নির্ণয় এবং চিকিৎসার দ্বারা অ্যাকিউট ফেলিওর প্রতিরোধ করা সম্ভব । এই রোগের দ্বারা পীড়িত রোগীদের— • রোগের শুরুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া উচিত । পরে যদি প্রস্রাব কম হয় তাহলে শীঘ্র ডাক্তারকে জানানো দরকার , আর প্রস্রাবের মাত্রার সমান জল খাওয়া দরকার । • কিডনি - ক্ষতিকারক কোনও ওষুধ খাওয়া উচিত নয় । ( বিশেষভাবে যন্ত্রণানাশক)

অ্যাকিউট কিডনি ফেলিওরে কিডনি কত সময় পরে পুনরায় কাজ করে ?

চিকিৎসা শুরুর মাত্র ১ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যেই অধিকাংশ রোগীদের অ্যাকিউট কিডনি ফেলিওরে দুটি কিডনির কার্যক্ষমতা অল্প সময়ের মধ্যে অল্প দিনের জন্য কমে যায়।
পরে কিডনি পুরোপুরি কাজ করতে শুরু করে । এইসব রোগীদের চিকিৎসা পুরো হবার পরে ওষুধ খাবার বা ডায়ালিসিস করানোর দরকার হয় না । কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগ অল্প সারতে পারে বা একদম নাও সারতে পারে । তিন মাস পরে না সারলে তা ক্রনিক কিডনি ফেলিওর হয়ে যায় । ২. খাদ্য - পানীয়র নিয়ন্ত্রণ । ৩. ওষুধ দ্বারা চিকিৎসা । ৪. ডায়ালিসিস । অ্যাকিউট কিডনি ফেলিওরের চিকিৎসা এই রোগের চিকিৎসা রোগের কারণ , লক্ষণ আর ল্যাবরেটরি পরীক্ষার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন রোগীদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন হয় । শীঘ্র গভীর চিকিৎসার দ্বারা রোগী যেমন পুনর্জন্ম পেতে পারে , ঠিক তেমনি বিনা চিকিৎসার ফলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে । অ্যাকিউট কিডনি ফেলিওরের মুখ্য চিকিৎসাগুলি হল : ১. কিডনি খারাপ হওয়ার কারণের চিকিৎসা । ২. কিডনি খারাপ হওয়ার কারণের চিকিৎসা : • কিডনি ফেলিওরের মুখ্য কারণের মধ্যে বমি , পায়খানা বা ফ্যালসিপেরাম ম্যালেরিয়া হতে পারে , যেগুলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সঠিক চিকিৎসা করানো দরকার । রক্তের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিশেষ অ্যান্টিবায়োটিক্স দ্বারা চিকিৎসা করা হয় । রক্তকণা ক্ষয় হলে রক্ত দেওয়া দরকার । • পাথরের কারণে মূত্রমার্গে অবরোধ হয়ে থাকলে , দূরবিন দ্বারা বা অপারেশন দ্বারা চিকিৎসা করা যায় । • শীঘ্র এবং সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে কিডনিকে বেশি খারাপ হবার হাত থেকে বাঁচানো যায় এবং এর ফলে কিডনি পুনরায় সম্পূর্ণরূপে কাজ করতে শুরু করে । • কোনো কোনো কারণে অ্যাকিউট রেনাল ফেলিওর চিকিৎসা পরে সম্পূর্ণ নিরাময় হয় না । তখন ক্রনিক রেনাল ফেলিওর হয়ে যায় । সাধারণত তিনমাস পরে এই অবস্থা বোঝা যায় । ২. খাদ্য পানীয়র নিয়ন্ত্রণ : এই রোগের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত কিডনি , সঠিক চিকিৎসার পরে ঠিক হয়ে পুনরায় কাজ করতে থাকে।

ডা . সৌরভ সাহা এমবিবিএস , এমডি ( নেফ্রোলজী ) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনী ডিজিজেস এণ্ড ইরােলজি মেম্বার অব ISN,
সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান , কিডনী বিভাগ ময়নামতি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল , কুমিল্লা।
কিডনী ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
চেম্বারঃ মুন হসপিটাল ঝাউতলা কুমিল্লা।
রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার
দুপুর ৪.০০টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা
বিস্তারিত জানতে : +8801737392172

সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত।
16/05/2024

সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত।

অনিবার্য কারনবশত ডাঃ সৌরভ সাহা স্যার এর চেম্বার আগামী১৭|০৩|২৪ রবিবার বন্ধ থাকবে১৮|০৩|২৪ সোমবার থেকে চেম্বার নিয়মিত খোলা ...
14/03/2024

অনিবার্য কারনবশত ডাঃ সৌরভ সাহা স্যার এর চেম্বার আগামী১৭|০৩|২৪ রবিবার বন্ধ থাকবে

১৮|০৩|২৪ সোমবার থেকে চেম্বার নিয়মিত খোলা থাকবে।
সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত।

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে, ডাঃ সৌরভ সাহা স্যার এর মুন হসপিটালের চেম্বারের পরিবর্তিত সময়সূচি দুপুর ৩টা থেকে  সন্ধ্যা ৬টা প...
10/03/2024

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে, ডাঃ সৌরভ সাহা স্যার এর মুন হসপিটালের চেম্বারের পরিবর্তিত সময়সূচি
দুপুর ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত
(রবিবার-বৃহস্পতিবার)

শুভ জন্মদিন ডাঃ সৌরভ সাহা সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান কিডনি বিভাগ ময়নামতি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।এডমিন।
06/02/2024

শুভ জন্মদিন ডাঃ সৌরভ সাহা
সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান কিডনি বিভাগ ময়নামতি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
এডমিন।

কিডনি রোগে (কিডনি ফেইলুর) এর উপসর্গঃ প্রাথমিক উসর্গঃসাধারণভাবে যখন বৃক্কের (কিডনি) ক্ষমতা বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন...
27/01/2024

কিডনি রোগে (কিডনি ফেইলুর) এর উপসর্গঃ

প্রাথমিক উসর্গঃসাধারণভাবে যখন বৃক্কের (কিডনি) ক্ষমতা বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখনও মানবশরীরের কাজকর্ম ঠিকভাবেই চলতে থাকে। কাজেই, প্রথমদিকে CKD-র উপসর্গ তেমনভাবে পরিলক্ষিত হয় না। CKD-র প্রাথমিক উপসর্গ সাধারণভাবে অস্পষ্ট। এই সব উপসর্গের মধ্যে আছে:
ক্ষুধামান্দ্য।
বমিভাব।
শুষ্ক ত্বক এবং চুলকানি (প্রুরিটাস)।
মাথাধরা।
শরীর খারাপ লাগার অনুভূতি ।
ক্লান্তি।
নিজের চেষ্টা না থাকা সত্বেও ওজনহ্রাস, যে উপসর্গের কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। যদি নিয়মিত রক্ত বা মুত্র পরীক্ষা করে কিছু সমস্যা চিহ্নিত হয় তাহলে এরকম প্রাথমিক পর্যায়ে CKD নির্ণয় সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায়ে CKD নির্ণয় এবং চিকিৎসা সম্ভব হলে ব্যাধির বৃদ্ধি রোধ সম্ভব হতে পারে।
ডা . সৌরভ সাহা এমবিবিএস , এমডি ( নেফ্রোলজী ) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনী ডিজিজেস এণ্ড ইরােলজি মেম্বার অব ISN,
সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান , কিডনী বিভাগ ময়নামতি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কুমিল্লা।

চেম্বারঃ মুন হসপিটাল ঝাউতলা কুমিল্লা
রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জানতে : +8801737392172
রুম নাম্বার (৬১৩)

কিডনির সুরক্ষার উপায়:কিডনির বেশ কিছু রােগ খুব সংকটপূর্ন হয় । আর এই রােগের সময়ে চিকিৎসা না হলে ক্ষতি হতে পারে । ক্রনিক...
09/12/2023

কিডনির সুরক্ষার উপায়:

কিডনির বেশ কিছু রােগ খুব সংকটপূর্ন হয় । আর এই রােগের সময়ে চিকিৎসা না হলে ক্ষতি হতে পারে । ক্রনিক কিডনি ফেইলিওরের মতাে রােগ পুনরায় পুরােপুরি ঠিক হয় না । অন্তিম পর্যায়ে এর চিকিৎসা যেমন ডায়ালাইসিস আর কিডনির প্রতিস্থাপন খুবই ব্যয়বহুল । এইসব সুবিধা সব জায়গাতে পাওয়া যায় না । এই কারণে , ‘ Prevention is Better Than Cure ' এই প্রবাদবাক্যের অনুসরণ করা দরকার । কিডনিকে খারাপ হবার হাত থেকে বাঁচানাের জন্য প্রয়ােজনীয় তথ্য সবার জানা দরকার । এটি নিম্নলিখিত দুই ভাগে বিভক্ত –

ক) স্বাভাবিক ব্যক্তির জন্য তথ্যঃ

১. কিডনিকে স্বাস্থ্যবান রাখার জন্য সাধারণ সূচনা :
• রােজ 3 লিটারের বেশি ( ১০-১২ গ্লাস ) জল পান করা দরকার ( যাদের শরীরে ফোলাভাব দেখা যায় না )।
• নিয়মিত শরীরচর্চা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।
• 40 বছরের বেশি বয়স্কদের খাবারে লবনের মাত্রা কম করা। • ধূমপান , তামাক , গুটকা , মদ্যপান না করা।
• ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অনাবশ্যক ওষুধ না খাওয়া।

২. পরিবারে ডায়াবিটিস , উচ্চ রক্তচাপের এবং পলিসিসটিক কিডনির রােগী থাকলে প্রয়ােজনীয় সূচনা :
ডায়াবিটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের রােগ বংশানুক্রমিক । যদি পরিবারে এই রােগ থেকে থাকে তাহলে পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের বিশ বছর বয়সের পর থেকে বছরে একবার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখে নেওয়া দরকার যে এই দুটি রােগের উপস্থিতি আছে কি না।

৩. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষাঃ
৪০ বছর বয়সের পর থেকে , শরীরে কোনও অসুবিধা না থাকা সত্ত্বেও , পরীক্ষা করালে উচ্চ রক্তচাপ , ডায়াবিটিস , মূত্র , ক্রিয়েটিনিন এবং ইউরিক অ্যাসিড ইত্যাদি কিডনির অনেক রােগ সংক্রান্ত লক্ষণ জানতে পারা যায়।

খ) কিডনির রােগ হবার পর প্রয়ােজনীয় সাবধানতাঃ

১. কিডনি রােগের তথ্য এবং প্রাথমিক রোগ নির্ণয় :
মুখমণ্ডল আর পায়ে ফোলাভাব , খাবারে অরুচি , বমিভাব , রক্ত ফ্যাকাসে হওয়া , দীর্ঘ সময় ধরে দুর্বলতা , রাত্রে অনেক বার প্রস্রাব করতে ওঠা , প্রস্রাব করতে অসুবিধা হওয়ার মতাে লক্ষণ কিডনি রােগের সংকেত হতে পারে । এইসব অসুবিধায় পীড়িত ব্যক্তির যত তাড়াতাড়ি সম্ভব , পরীক্ষা - নিরীক্ষার জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়া দরকার । উপরােক্ত লক্ষণের অনুপস্থিতিতে , যদি প্রস্রাবে প্রােটিন লক্ষ করা যায় , বা রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায় , তাহলেও কিডনির রােগ হয়ে থাকতে পারে । কিডনি রােগ প্রাথমিক অবস্থাতে নির্ণয় , রােগের প্রতিরক্ষা , নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিকারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২. ডায়াবিটিসের রােগীদের জন্য প্রয়ােজনীয় সাবধানতা : ডায়ালিসিসে আসার রােগীদের প্রত্যেক তিনজনের মধ্যে একজনের কিডনি পুরােপুরি বিকল হবার কারণ হল ডায়াবিটিস । এই গভীর সমস্যাকে প্রতিরােধ করার জন্য ডায়াবিটিসের রােগীদের সর্বদা ওষুধ এবং চিকিৎসার দ্বারা ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার । প্রত্যেক রােগীর কিডনির উপর ডায়াবিটিসের প্রভাব তাড়াতাড়ি জানার জন্য প্রতি তিন মাসে একবার রক্তচাপ এবং প্রস্রাবে প্রােটিনের মাত্রা পরীক্ষা করানাে দরকার । রক্তচাপের বৃদ্ধি , প্রস্রাবে প্রােটিনের উপস্থিতি , শরীরে ফোলাভাব , রক্তে বারবার শর্করার ( গ্লুকোজ ) মাত্রা কমে যাওয়া বা ডায়াবিটিসের জন্য প্রয়ােজনীয় ইনসুলিনের মাত্রা কমে যাওয়া ইত্যাদি কারণে কিডনি খারাপ হবার সম্ভাবনা । যদি রােগীকে ডায়াবিটিসের কারণে উদ্ভুত চোখের সমস্যার জন্য লেজার চিকিৎসা । করানাে হয়ে থাকে , তাহলে এইসব রােগীর ক্ষেত্রে কিডনি খারাপ হবার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে । কিডনিকে খারাপ হওয়া থেকে বাঁচানাের জন্য , ডায়াবিটিসের কারণে কিডনির প্রাথমিক চিকিৎসা দরকার । এজন্য প্রস্রাবের মাইক্রোঅ্যালবুমিন , ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষাই হল একমাত্র এবং সর্বশ্রেষ্ঠ পরীক্ষা।

৩. উচ্চ রক্তচাপ রােগীদের জন্য প্রয়ােজনীয় সাবধানতা : উচ্চ রক্তচাপ ক্রনিক কিডনি ফেলিওরের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ । অধিকাংশ রােগীদের ক্ষেত্রে রক্তচাপের কোনও লক্ষণ না থাকার কারণে , রােগী ব্লাড প্রেসারের ওষুধ অনিয়মিত ভাবে খায় বা বন্ধ করে দেয় । এইসব রােগীদের উচ্চ রক্তচাপ দীর্ঘ সময় ধরে বজায় থাকার ফলে কিডনি ফেল হবার আশঙ্কা থাকে । সেজন্য উচ্চ রক্তচাপ রােগীদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই দরকার । আর কিডনির উপর এর প্রভাবের শীঘ্ন নির্ণয়ের জন্য বছরে একবার প্রস্রাবের এবং রক্তের ক্রিয়েটিনিনের পরীক্ষা করানাের পরামর্শ দেওয়া হয়।

৪. ক্রনিক কিডনি ফেলিওরের রােগীদের জন্য প্রয়ােজনীয় সাবধানতা : যদি কিডনি ফেলিওরের রােগী কঠোরভাবে খাদ্যপানীয় নিয়ন্ত্রণ , নিয়মিত চিকিৎসা এবং ঔষধ সেবন করেন তাহলে কিডনি বিকল হবার প্রক্রিয়াকে মন্থর করা সম্ভব এবং ডায়ালিসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের মতাে চিকিৎসাকে এড়ানাে সম্ভব।

৫. বংশানুক্রমিক রােগ পি . কে . ডি’র শীর্ষ নির্ণয় ও চিকিৎসা :
পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ ( পি . কে . ডি ) একটি বংশানুক্রমিক রােগ । সেজন্য পরিবারে কোনও একজনের এই রােগ হলে পরিবারের বাকি সদস্যদের একবার পরীক্ষা করে এই রােগের অস্তিত্ব তাদের শরীরে যাচাই করে নেওয়া দরকার।

৬. বয়স্কদের প্রস্রাবে বার বার সংক্রমণের উচিত চিকিৎসা : যে কোনও বয়সে , যদি প্রস্রাব বার বার হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসে , তাহলে এর কারণ জানা দরকার । এর কারণ মূত্রমার্গে বাধা , পাথর ইত্যাদি হলে উচিত সময়ে চিকিৎসার দ্বারা কিডনিকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচানাে সম্ভব।

৭. পাথর এবং বি . পি . এইচ . এর সঠিক চিকিৎসা : বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিডনি অথবা মূত্রমার্গে পাথরের নির্ণয় হওয়া সত্ত্বেও বিশেষ কিছু অসুবিধা হবার কারণে রােগীর চিকিৎসার প্রতি অবহেলা হয়ে থাকে । একইভাবে , বয়সকালে প্রস্টেটের অসুবিধার ( বি . পি . এইচ ) কারণে উৎপন্ন লক্ষণের প্রতি অবহেলা করে থাকে । এইসব রােগীদের ক্ষেত্রে দীর্ঘসময় পরে কিডনির ক্ষতি হবার ভয় থাকে । এইজন্য সময় থাকতে ডাক্তারের পরামর্শমতাে চিকিৎসা শুরু করা দরকার।

৮. কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপের জন্য পরীক্ষা - নিরীক্ষা : সাধারণ 30 বছরের কমবয়স্ক ব্যক্তিদের উচ্চরক্তচাপ অস্বাভাবিক । কম বয়সে উচ্চরক্তচাপের অন্যতম প্রধান কারণ হল কিডনির রােগ । এইজন্য কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ হলে কিডনির পরীক্ষা অবশ্যই করানাে দরকার।

৯ , অ্যাকিউট কিডনি ফেলিওরের শীঘ্র চিকিৎসা :
হঠাৎ কিডনি খারাপ হবার কারণগুলি হল , ডাইরিয়া , বমি , ম্যালেরিয়া , অত্যধিক রক্তস্রাব , রক্তের মারাত্মক সংক্রমণ , প্রস্রাবে বাধাঁ ইত্যাদি । এই সব সমস্যাগুলির শীঘ্র , উচিত এবং সম্পূর্ণ চিকিৎসার মাধ্যমে কিডনিকে খারাপ হবার হাত থেকে বাঁচানাে সম্ভব।

১০. ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধসেবন :
সাধারণত দীর্ঘ সময় ধরে যে ঔষধগুলি সেবন করা হয় ( যেমন যন্ত্রণা কমানাের ঔষধ ) সেগুলি দীর্ঘদিন খেলে কিডনি খারাপ হবার সম্ভাবনা থাকে । সেজন্য অনাবশ্যক ওষুধ খাওয়ার প্রবৃত্তিকে এড়ানাে দরকার , এবং অনাবশ্যক ঔষধাবলি ডাক্তারের পরামর্শ মতাে নির্ধারিত মাত্রা এবং সময়েই নেওয়া লাভজনক । সমস্ত আয়ুবেদিক ওষুধই ভাল এবং উপকারী — এটি একটি ভুল ধারণা । বেশ কিছু ভারী ধাতু কিডনির জন্য খুবই ক্ষতিকারক।

১১. একটি কিডনিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য প্রয়ােজনীয় সাবধানতা : এক কিডনিযুক্ত ব্যক্তিদের অধিক জল খাওয়া , প্রস্রাবের অন্যান্য সংক্রমণের শীঘ্র এবং উচিত চিকিৎসা করানাে এবং নিয়মিত রূপে ডাক্তার দেখানাে খুবই জরুরি।

ডা . সৌরভ সাহা
এমবিবিএস , এমডি ( নেফ্রোলজী ) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনী ডিজিজেস এণ্ড ইরােলজি মেম্বার অব ISN,
সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান , কিডনী বিভাগ ময়নামতি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল , কুমিল্লা।
চেম্বারঃ মুন হসপিটাল ঝাউতলা, কুমিল্লা।
রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত
বিস্তারিত জানতে : +8801737392172.

seminar on management of Anaemia in CKD.Keynote speaker Associate Professor Dr. Sourav Saha
29/09/2023

seminar on management of Anaemia in CKD.
Keynote speaker Associate Professor Dr. Sourav Saha

কিডনীতে পাথরঃকিডনি স্টোন বা বৃক্কে পাথর জমার সমস্যার কথা এখন প্রায়ই শোনা যায়। কিডনির সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম হল এই স্...
24/09/2023

কিডনীতে পাথরঃ
কিডনি স্টোন বা বৃক্কে পাথর জমার সমস্যার কথা এখন প্রায়ই শোনা যায়। কিডনির সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম হল এই স্টোন বা পাথর হওয়ার সমস্যা।
কিডনি স্টোনের প্রাথমিক লক্ষণগুলি নির্ভর করে স্টোন কিডনির কোথায় এবং কী ভাবে রয়েছে। কিডনিতে স্টোনের আকার-আকৃতিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পাথর খুব ছোট হলে সেটি কোনও ব্যথা-বেদনা ছাড়াই দীর্ঘদিন পর্যন্ত শরীরে থাকতে পারে! ফলে টেরও পাওয়া যায় না।

কিডনিতে পাথর হওয়ার উপসর্গ:
• রক্তবর্ণের প্রসাব।
• বমি বমি ভাব। অনেক সময় বমিও হতে পারে।
কিডনির অবস্থানে (কোমরের পিছন দিকে) ব্যথা। এই ব্যথা তীব্র তবে সাধারণত খুব বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয় না। ব্যথা কিডনির অবস্থান থেকে তলপেটেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

চিকিত্‍সা:
কিডনির অবস্থানে ব্যথা এবং রক্তবর্ণের প্রসাব হলে চিকিত্সকরা সাধারণত দুটো সম্ভাবনার কথা চিন্তা করেন। একটি হল কিডনির ইনফেকশন, অন্যটি কিডনিতে পাথর। তাই কিডনির এক্সরে, আলট্রা সনোগ্রাম এবং প্রসাবের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল আর যথাযথ ওষুধ খেলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে অস্ত্রপচারই একমাত্র উপায়।

সতর্কতা:
• কিডনি স্টোন-এর ঝুঁকি এড়াতে হলে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে।
• কখনও প্রসাব আটকে বা চেপে রাখবেন না! প্রসাবের বেগ আসলে চেষ্টা করবেন সঙ্গে সঙ্গে প্রসাব করার।
• প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান।
• দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় না খাওয়াই ভাল।
• বারবার ইউরিন ইনফেকশন দেখা দিলে দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।

ডা . সৌরভ সাহা এমবিবিএস , এমডি ( নেফ্রোলজী ) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনী ডিজিজেস এণ্ড ইরােলজি মেম্বার অব ISN,
সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান , কিডনী বিভাগ ময়নামতি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল , কুমিল্লা।
চেম্বারঃ মুন হসপিটাল ঝাউতলা কুমিল্লা।
রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
বিস্তারিত জানতে : +8801737392172

Address

Moon Hospital, Shahid Khawaja Nizamuddin Road, Jhawtala
Cumilla
3500

Opening Hours

Monday 09:00 - 20:00
Tuesday 09:00 - 20:00
Wednesday 09:00 - 20:00
Thursday 09:00 - 20:00
Sunday 09:00 - 20:00

Telephone

+8801737392172

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Sourav Saha: Nephrologist & transplant specialist posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Sourav Saha: Nephrologist & transplant specialist:

Share

Category