24/08/2025
আপনারা যারা টিসিভি তথা টাইফয়েড ভ্যাকসিনের ব্যপারে এখনো কনফিউজড অথবা আপনার সন্তানকে টাইফয়েড ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে দিবেন কি দিবেন না সিদ্ধান্ত হীনতায় ভুগছেন। আপনাদের অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর নিচে পেয়ে যাবেন ।কষ্ট করে একটু পড়ে দেখতে পারেন- কাজে লাগবে।
✅১/টিসিভি এই টিকা কোন রোগের জন্য দেওয়া হয়?
বাংলাদেশে বহুল পরিচিত রোগ, টাইফয়েড এর বিরুদ্ধে এই টিকা দেওয়া হয় ।
✅২/ এই টিকা কি বর্তমানে বাজারে প্রচলিত আছে? দাম কত?
জী, এই টিকা বহু আগে থেকেই বাজারে পাওয়া যায়, অনেক শিশু কিশোরয় শিশু বিশেষজ্ঞ পরামর্শক্রমে বহু আগ থেকে এই টিকা নিয়ে থাকে। এক ডোজ টিকা কিনতে আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়।
✅৩/এই টিকা কি ভালো? যদি এতই দামি হবে তাহলে সরকার কেন এ টিকা বিনামূল্যে দিচ্ছে?
জী, সরকারিভাবে যেসব টিকা দেওয়া হয় এগুলো বহু পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ প্রমাণিত হওয়ার পর' ই কেবল জাতীয় পর্যায়ে প্রধানের অনুমতি দেওয়া হয় ।
সরকার এই টিকা বিনামূল্য দিচ্ছে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে, কারণ টিকা খাতে রাষ্ট্র যদি এক ডলার বিনিয়োগ করে তাহলে চিকিৎসা ব্যয় হতে রাষ্ট্রের প্রায় ২৫ ডলার সাশ্রয়ী হয়, কারন মানুষ কম অসুস্থ হয়। সেজন্যই টিকা খাতে রাষ্ট্র এত বড় বিনিয়োগ করে।
✅৪/ আমাদের দেশ ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোন দেশে কি সরকারি ভাবে এই টিকে দেওয়া হয়েছে?
জী, মুসলিম দেশ সহ এ পর্যন্ত পাঁচটি দেশে সরকারিভাবে এই টিকা সফলভাবে প্রদান করা হয়েছে।
✅৫/ এই টিকার কি কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে?
প্রত্যেক টিকার'ই কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে, তবে সেগুলো খুবই মৃদু। এই টিকা ও তার ব্যতিক্রম নয়, টিকার স্থানে ব্যথা, সামান্য ফুলে যাওয়া, শরীর ব্যথা করা, সামান্য জ্বর আসা ইত্যাদি, মারাত্মক কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এই টিকার ক্ষেত্রে নাই বললেই চলে। তবে অনেক সময় টিকা দেওয়ার পূর্বে বা দেওয়ার সময় বা দেয়ার পরপরই অনেক বাচ্চাকে অসুস্থ হতে দেখা যায়, যেটা টিকার জন্য নয়, সেটা মূলত ভয়ের কারণে হয়ে থাকে। এ ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে ভয় না পেয়ে বাচ্চাকে পায়ের নিচে একটা বালিশ দিয়ে মাথার দিকে একটু নিচু করে আলো বাতাসের ব্যবস্থা করে একটু শুইয়ে দিলেই ২-১ মিনিটের মধ্যে সুস্থ হয়ে যায়।
✅৬/ করোনা টিকার ক্ষেত্রেওতো আপনারা এরকম বলেছিলেন কিন্তু সারা দেশের মানুষ চুলকানিতে, এলার্জিতে আক্রান্ত।
জী, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সারা দেশেই চুলকানির পাদুর্ভাব ব্যাপক হারে বেড়েছে।সাধারণ মানুষ যেটাকে এলার্জি বলছে আমরা চিকিৎসকরা কিন্তু এলার্জি পাচ্ছি না আমরা দেখতে পাচ্ছি মানুষ খোস-পাঁচড়া, যেটাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাসায় স্ক্যাবিস যেটি একটি পরজীবি গঠিত রোগ এবং দাউদ, যেটাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় টিনিয়াসিস, এটিও একটি জীবাণু ঘটিত রোগ ,এই দুই ধরনের রোগের খুব বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এই দুটি রোগী অতিমাত্রায় ছোঁয়াচে রোগ। একজনের কাছ থেকে আরেক জনের কাছে খুব সহজে ছড়ায়।পরিবারের বা কোনো প্রতিষ্ঠানের যদি একজনের স্ক্যাবিস হয় তার কাছ থেকে সবাই আক্রান্ত হয় এবং চিকিৎসার সময় চিকিৎসকের দেওয়া সকল স্বাস্থ্য উপদেশ যথাযথভাবে পালন না করলে সফল চিকিৎসার পরও পূনঃ পূনঃ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে এ ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে । এসব রোগের সাথে করোনা টিকার কোন সম্পর্ক পাওয়া যায় নাই। এটা কেবলমাত্র একটি দৈব ঘটনা।
✅৭/ এই টিকা কোথায় পাওয়া যাবে?
১২ই অক্টোবর @@@থেকে ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময়ে প্রথম ১০ কর্ম দিবস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং পরবর্তী ৮ কর্ম দিবস নিকটস্থ টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই টিকা প্রদান করা হবে, তবে টীকা নিতে আসার আগে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে, এবং টিকা গ্রহণ করতে আসার সময় সেই রেজিস্ট্রেশন কার্ডটি সঙ্গে আনতে হবে।
✅৭/রেজিস্ট্রেশন কিভাবে করতে হবে?
রেজিস্ট্রেশন করতে
vaxepi.gov.bd লিংকে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।
পূর্বে HPV টিকায় নিবন্ধন করা থাকলে নতুন রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই লগইন করে টাইফয়েড টিকার জন্য প্রোগ্রামে নিবন্ধন করা যাবে।
পূর্বে নিবন্ধনকৃতরা মোবাইল নম্বর ভুলে গেলে " Forget mobile number অপশনটি ব্যবহার করুন।
পহেলা আগস্ট ২০২৫ থেকে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং টিকাদান ক্যাম্পেইন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত যে কোন দিন যেকোনো সময় রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
✅৮/ HPV টিকা কি এখনো দেওয়া যাবে?
জী, দেওয়া যাবে তবে এখন আর ক্যাম্পেইন হবে না নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এটাকে , HPV টিকার জন্যও একই সার্ভারে ঢুকে কাঙ্খিত শিক্ষার্থীর অনলাইন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। নতুন করে যারা পঞ্চম শ্রেণীতে অথবা সমমান শ্রেণীতে এই বছর উঠেছে অথবা যেসব কিশোরীর বয়স বর্তমানে ১০বছর কেবলমাত্র তাদেরকে ১ ডোজ টিকা দেয়া হবে, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য সহকারী/ নিয়মিত টিকা দান কর্মীরাই এই কার্যক্রম স্বাস্থ্য বিভাগের অস্থায়ী নিয়মিত টিকা দান কেন্দ্রগুলোতে করছেন। তবে আপনারা যদি মনে করেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে করলে ছাত্রীদের জন্য সুবিধা হবে, তবে বছরে একবার এই সুবিধা স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের নিজস্ব কর্মীর মাধ্যমে দিতে পারে, সে ক্ষেত্রে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মহোদয়ের সাথে অথবা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য সহকারীর সাথে যোগাযোগ করলে হবে।
Vaxepi server এর লিংক ব্যবহার করে HPV রেজিস্ট্রেশন করা যাবে .
✅৯/ রেজিস্ট্রেশন করতে কি কি লাগবে?
একটি মোবাইল নাম্বার যেটাতে ওটিপি আসবে এবং যার রেজিস্ট্রেশন করা হবে তার ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নাম্বার প্রয়োজন হবে।
✅১০/ রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে তালিকায় আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম পাওয়া যাচ্ছে না সেটার জন্য কি করনীয়?
আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম আমাদেরকে পাঠিয়ে দিন শীঘ্রই আমরা এটার সমাধান করে দেব।
✅১১/ কারা এ টিকা প্রদান করবে? তারা কি টিকা প্রদানে অভিজ্ঞ?
এই টিকা প্রদান করবে স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মিত টিকা দান কর্মীরাই, স্বাস্থ্য সহকারী, এ এইচ আই, ইন্সপেক্টর এরাই। এরা ১৯৭৯ সাল থেকে নিয়মিত টিকা দিয়ে এ কাজে যথেষ্ট অভিজ্ঞ, তাছাড়াও টিকা দেওয়ার পূর্বে তাদেরকে পুনরায় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে, অতএব কারণে তারা এই কাজে খুবই পারদর্শী।
✅১২/ এই টিকার গুনগত মান কেমন?
শুধুমাত্র সরকারি টিকার ক্ষেত্রে গুণগত মনের শতভাগ নিশ্চয়তা দেয়া যায়, কারণ এটা উৎপাদন পর্যায় থেকে পরিবহন এবং টিকাদান, সর্বস্তরে সঠিক তাপমাত্রা বজায় রাখা হয়। বাজার থেকে কেনা টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে সেটা সব ক্ষেত্রে বজায় নাও থাকতে পারে।
✅১৩/ কত বয়সী শিশুদেরকে টিকা দেওয়া হবে? বড়রা কি সরকারি ভাবে এই টিকা নিতে পারবে?
পূর্ণ নয় মাস অর্থাৎ ২৭১ দিন বয়স থেকে ১৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত অর্থাৎ চৌদ্দ বছর ১১ মাস ২৯ দিন পর্যন্ত বয়সী শিশুদেরকে সরকারিভাবে এই টিকা দেওয়া হবে, বড়দেরকে সরকারিভাবে/ বিনামূল্যে এই টিকা দেওয়ার সুযোগ আপাতত নেই।
✅১৪/ শুধু শিশুদেরকে কেন এ টিকা দেওয়া হবে বড়দের কি টাইফয়েড হয় না?
২০২১ সালের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বাংলাদেশ প্রতি ১ লাখে ২৯০ জন লোক টাইফয়েডে আক্রান্ত হয় তার মধ্যে আটষট্টি শতাংশই শিশু যাদের বয়স ৯ মাস থেকে পনেরো বছরের মধ্যে। যেহেতু বেশিরভাগ আক্রান্ত রোগী এই বয়সের, তাই এই বয়সের শিশুদেরকেই কেবলমাত্র সরকারিভাবে বিনামূল্যে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে।
✅১৫/ টাইফয়েড রোগ তো এন্টিবায়োটিক এর মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায় তাহলে টিকা দেওয়ার কি দরকার?
জী, আপনি ঠিক'ই বলেছেন, টাইফয়েড এন্টিবায়োটিক এর মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায়, তবে পূর্বে টাইফয়েড যেসব এন্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা যেত বর্তমানে সে সব এন্টিবায়োটিক এর মাধ্যমে টাইফয়েড এখন আর ভালো হচ্ছে না, ফলে দিন দিন ঔষধ প্রতিরোধী টাইফয়েড জীবনু দ্বারা সংক্রমণের হার বেড়ে চলছে, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও ভয়াবহ। তাছাড়া একবার টাইফয়েডের চিকিৎসা করতে প্রায় ১৪ দিন অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন চালাতে হয় যার বাজার মূল্য কোম্পানি ভেদে ১৪ থেকে ২০ হাজার টাকা হতে পারে। এছাড়াও চিকিৎসকের ফি, পরীক্ষা নিরীক্ষা, হাসপাতালে ভর্তি , শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কর্মস্থলে অনুপস্থিতি ইত্যাদি আর্থিক বিবেচনায় অনেক ব্যয়বহুল। তাছাড়াও রোগ নির্ণয়ে দেরি হওয়ার কারণে টাইফয়েডের কারণে অনেক সময় অনেক জটিলতা হয়, এমনকি মারাও যেতে পারে। বিশ্বব্যাপী টাইফয়েডে আক্রান্ত রোগীর এক শতাংশ মারা যায়, বাংলাদেশে এই সংখ্যা আরো অনেক বেশি, ১.৬০%
✅১৬/ একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কয়দিন টিকা দেওয়া হবে?
ক্যাম্পেইন চলাকালীন অর্থাৎ পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে ত্রিশ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রথম ১০ কর্ম দিবসে সাধারণত একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একদিন এই টিকা দেওয়া হবে, তবে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা যদি বেশি হয় সে ক্ষেত্রে একাধিক দিনও দেওয়া হতে পারে। ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময়ে কমিউনিটি পর্যায়ে আমাদের যে নিয়মিত অস্থায়ী টিকা দান কেন্দ্র আছে সেগুলোতে একদিন করে টিকা প্রদান করা হবে।
✅১৭/ কেউ যদি নির্দিষ্ট দিনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিকা গ্রহণ করতে না পারে তাহলে কি করবে?
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে টিকা গ্রহণ করতে না পারলে স্থায়ী কেন্দ্র অর্থাৎ উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের যে কেন্দ্র রয়েছে সেখান থেকে টিকা গ্রহণ করতে পারবে। এছাড়াও কমিউনিটি ক্যাম্পেইনের সময় নিয়মিত অস্থায়ী টিকা দান কেন্দ্র থেকেও টিকা নিতে পারবে।
✅১৮/ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তো নবম শ্রেণী পর্যন্ত টিকা প্রদান করা হবে, নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া কোন শিক্ষার্থীর বয়স যদি ১৫ বছরের বেশি হয় তাহলে কি সে টিকা পাবে?
যেকোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া কোন শিক্ষার্থী যদি নবম শ্রেণীতে হয় তার বয়স ১৫ বছরের বেশি হলেও অনলাইনে তাকে রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব হবে এবং টিকা দেওয়া যাবে।
✅১৯/ যাদের কোনো কারণে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করা যাচ্ছে না তাদেরকে কি টিকা দেওয়া যাবে? কিভাবে টিকে দেওয়া হবে?
জি আমাদের লক্ষ্য যে একটি শিশু যেন বাদ না পড়ে, তাই তাদেরকেও টিকা দিতে হবে, তবে তাদের ক্ষেত্রে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে ।যাদের জন্ম নিবন্ধন কার্ড আছে কিন্তু কোন কারণে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব হচ্ছে না তাদেরকে হোয়াইট লিস্টিং করে টিকা দেওয়া হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে তাদের তালিকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেইল থেকে নির্দিষ্ট ছকে এক্সেল সিটে এমআইএস এবং উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের মেইলে নির্দিষ্ট ছকে পূরণ করে পাঠাতে হবে
কমিউনিটি ক্যাম্পেইনের ক্ষেত্রে কারো যদি জন্ম নিবন্ধন কার্ড না থাকে তবে তাদেরকে লাইন লিস্টিং করে টিকা প্রদান করা হবে, সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ছকে চাহিত তথ্য প্রদান করতে হবে, তবে যারা হোয়াইট লিস্টিং এবং লাইন লিস্টিং করে টিকা দিবে তারা অনলাইন থেকে টিকার কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন না।
✅২০/ এই টিকা কি হালাল?
দেশের ইসলামিক স্কলার বৃন্দ এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন বলে আমার জানা নাই। টিকা বা ঔষধের ক্ষেত্রে হালাল-হারামের কোন বিষয় আছে কিনা? যদি থাকতো তাহলে ইসলাম কি স্কলার বিন্দু নিশ্চয় প্রশ্ন তুলতেন। তাছাড়াও এখানে উপস্থিত আমাদের ইসলামী স্কলার বৃন্দ, কওমি শিক্ষকবৃন্দও ভালো বলতে পারবেন, তবে
ইতিমধ্যে পাকিস্তানসহ মুসলিম দেশ সমূহের শিশুদেরকে এই টিকা দেওয়া হয়েছে।
✅২১/ কাদেরকে দেওয়া যাবে না?
যাদের বয়স নয় মাস পূর্ণ হয়নি এবং
যাদের বয়স ১৫ বছর পূর্ণ হয়ে গিয়েছে, অথবা নবম শ্রেণী অতিক্রম করেছে
যিনি এলার্জির জনিত কারণে বর্তমানে চুলকানির মত অসুস্থতায়/ হঠাৎ করে গায়ে লালচে চাকা চাকা রেশ দেখা দিয়েছে, এই মুহূর্তে আক্রান্ত আছেন
যিনি এই মুহূর্তে গুরুত্ব ভাবে অসুস্থ আছেন
✅২২/ টিকা দেওয়ার দিন কি বাচ্চারা খেয়ে আসতে হবে? নাকি খালি পেটে আসতে হবে?
এই টিকা দেওয়ার সাথে খালি পেট বা ভরা পেটের তেমন কোন সম্পর্ক নেই তবে অতীত অভিজ্ঞতা আমরা দেখেছি যে অনেক বাচ্চা'ই আসেন সকালে নাস্তা না করে/ ভাত/ খাওয়ার না খেয়ে এবং সেসব বাচ্চাগুলোই হঠাৎ অজ্ঞান বেশি হয়। তাই সকালে খেয়ে এসেছে কিনা সেটা নিশ্চিত করতে হবে তবে সাধারণত খাবার দুই ঘন্টা পরে টিকা দেয়া ভালো কারণ কোন বাচ্চা হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে গেলে বমি করার আশঙ্কা থাকে, খাওয়ার দু-তিন ঘন্টা পরে অজ্ঞান হলে বমির আশঙ্কা কমে যায়।