কেন হিজামা করাবো?
১.দেহ থেকে toxin( জীব দেহে উৎপাদিত বিষ) দূর করে।
২.আমাদের দেহে অনবরত metabolism বা বিপাক ক্রিয়ার কারণে অতিরিক্ত heat বা তাপ উৎপন্ন হয়।খাওয়ার পর আমাদের দেহে বিভিন্ন কেমিক্যাল রিয়েকশন হয়।হিজামা করলে দেহ থেকে সেই অতিরিক্ত তাপ বের করে দেয়।
৩.আমাদের দেহে অনবরত inflammation বা প্রদাহ তৈরি হচ্ছে যা আমাদের দেহের জন্য ভালো নয়।আমাদের দেহে অনবরত ক্যান্সার সেল তৈরি হচ্ছে। হিজামা নিলে
প্রদাহ কম হয় এবং ক্যান্সার সেল ধ্বংস হয়।।
রাসুল সাঃ বলেছেন,, যত রকম চিকিৎসা পদ্ধতি আছে তার মধ্যে হিজামা সর্বোত্তম।। (আবু দাউদ)
রাসুল সাঃ বলেছেনঃ হিজামা রক্ত বের করে দেয়,,মেরুদণ্ড শক্ত করে এবং দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে।(জামউল ওয়াসাঈল)
আল্লাহ আমাদের এই সুন্নাহ চিকিৎসা গ্রহনের মাধ্যমে রাসুল সাঃ এর সুন্নাহ পালন ও সুস্থ থাকার তাওফিক দিন।।
কাপিং থেরাপীর আন্তর্জাতিক সংস্থা ICTA থেকে হিজামার কিছু উপকারিতা:
১)মানুষের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
২)আমরা যে ওষুধ খাই তার প্রভাবকে আরো কার্যকরী করে
৩). অনেক রোগ সৃষ্টিকারী এবং শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর পদার্থ রক্ত থেকে নিঃসৃত করে।
তারা তাদের গবেষণায় দেখিয়েছেন প্রচলিত ওষুধ এর ১৫ শতাংশ কম সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। হিজামা যখন ওষুধের সাথে নেয়া হয় তখন তা ১৫৬ শতাংশ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আর ওষুধ ছাড়া একক ভাবে হিজামা কাজ কড়ে ১৩৩ শতাংশ হারে।
৪). দীর্ঘ মেয়াদী রোগ কমায়:
গবেষণায় আরো পাওয়া গেছে যে, হিজামা থেরাপি ব্যবহারে দীর্ঘমেয়াদী ব্যথার তীব্রতা হ্রাস পায়।
টেস্টের রিপোর্ট থেকে পাওয়া গেছে এক মাস পর ৩৪%, দুই মাস পর ৪০% এবং তিন মাস পর প্রায় ৬০% শতাংশ ব্যথা কমেছে।
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা গেঁটে ব্যথা, বাতের ব্যথা,পিঠের ব্যথা ও মেরুদন্ডের ব্যথা, ফিব্রোমায়ালজিয়া, হাটুর অস্ট্রিওআর্থারাইটিস অর্থাৎ হাটু ক্ষয়, হার্ণিয়ার সমস্যা, ঘাড় ও কাঁধের ব্যথা, দীর্ঘকালীন পিঠের ব্যথা, মাংশপেশীর ব্যথা, মচকে যাওয়া , পায়ে পানি আসা, ফুলে যাওয়া কিংবা আঘাতের কারণে ফেটে যাওয়ার ব্যথায় হিজামা খুব ভালো কাজ করে।
৫) ভাইরাল এবং ইনফেকশাস রোগ কমায় ও প্রতিরোধ বাড়ায়
হারপিস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ভাইরাল হেপাটাইটিস, ব্রণ, ডার্মাটাইটিস, এবং সেলুলাইটিস এসব স্বাস্থ্য সমস্যা যা হিজামা থেরাপি দ্বারা চিকিৎসা করা যায়।
একযোগে একাধিক শারীরিক উপশমে ভূমিকা রাখে স্নায়ুতন্ত্রের সিস্টেমে সেরোটোনিন, ডোপামাইন, এন্ডোরিফিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটার এর মাধ্যমে।
এছাড়াও হিজামাতে তে যে সাময়িক সংকুচন-প্রসারণ ও কাটা হয় তা প্রতিরোধ সিস্টেমকে সক্রিয় করে রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে।
৬) কার্ডিওভাস্কুলার রোগের জন্য উপকারী:
স্টাডির রিপোর্ট অনুযায়ী উচ্চরক্তচাপ, হার্ট এটাক, হাত-পায়ের খিচুনী, DVT (Deeop vein Thrombosis for blood clot in deep vein), মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন যার কারণে ঘাড় ও গলায়, কাঁধে, বাহুতে, পিঠে অথবা চোয়ালে ব্যথা হয় নিয়মিত হিজামা থেরাপিতে কমে।
৭) মাথা ব্যথা কমায়
মানুষকে সরাসরি কষ্ট দেয় এমন রোগ মানেই ব্যথা। আর তাদের ভেতর মাথা ব্যথা অন্যতম। এর কারণে রোগী এতটা দূর্বল হয়ে পড়ে যে সুস্থ ভাবে চিন্তা করতে অক্ষম হয়ে পারে। এমনকি তা আর্থিক কাজেও সমস্যা করে। ভাল খবর হলো ক্লিনিক্যালি হিজামা মাথা ব্যথার জন্য খুব ভালো ওষুধ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
Related article: Holding This Point On Your Body Can Melt Stress and AnxietyA joint research study between the Kermanshah University of Medical Sciences in Iran and the University of Alabama at Birmingham, USA দেখিয়েছেন হিজামা (Wet Cupping) মাথাব্যথার জন্য উপকারী।
তাদের এ স্টাডি থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে রোগীরা ২৮ দিনের ভেতর ৩ বার হিজামা করিয়েছে তাদের ব্যথার তীব্রতায় ৬৬% সুস্থতা এসেছে।
তাদের এই পেপারের মত হিজামার উপর কৃত অনেক পেপার ই স্বীকার করেছে ক্লিনিক্যালি হিজামা মাথাব্যথার জন্য উপকারী।
এছাড়াও হিজামার সাথে অন্যান্য রোগের রিসার্চে হিজামার উপকারিতার কথাই কেবল উঠে এসেছে যা আমাদের
♦রাসূল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ১৪০০ বছর আগেই বলে গিয়েছিলেন-
হযরত আবু হুরাইরা রদিয়াল্লহু আনহু থেকে বর্ণিত : রসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “ হযরত জিবরীল আমাকে জানিয়েছেন যে, মানুষ চিকিৎসার জন্য যতসব উপায় অবলম্বন করে, তম্মধ্যে হিজামাই হল সর্বোত্তম।”
আল-হাকিম, হাদীছ নম্বর : ৭৪৭০