ইনসাফ রুকিয়াহ সার্ভিস -Insaf Ruqiyah Service

  • Home
  • Bangladesh
  • Cumilla
  • ইনসাফ রুকিয়াহ সার্ভিস -Insaf Ruqiyah Service

ইনসাফ রুকিয়াহ সার্ভিস -Insaf Ruqiyah Service ইনসাফ রুকিয়াহ সার্ভিস- জিন-জাদু, নজর-হাসাদ ও ওয়াসওয়াসার কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক নববী চিকিৎসা কেন্দ্র।

18/06/2024

জিন-সিহর সহজ জিনিস নয়।
বাদশাহকে ফকির বানিয়ে দিতে জিন-সিহরই যথেষ্ট।
সাজানো গোছানো সংসারকে তছনছ করে দিতে জিন-সিহরই যথেষ্ট।
মানুষের জীবনে পদে পদে সমস্যা তৈরি করতে জিন-সিহরই যথেষ্ট।
লাইফকে হেল করে দিতে জিন-সিহরই যথেষ্ট।
জিন-সিহর কী কী করতে পারে জানতে হলে কমেন্টে দেখুন।

👉 জিন-সিহর থেকে গ্যারান্টি সহকারে মুক্ত হতে চাইলে যোগাযোগ করুন পেজে দেওয়া নাম্বারে।

18/06/2024

৯০% এর বেশি ডিভোর্স হয় বিচ্ছেদের জিন-সিহরের কারণে। বিচ্ছেদের জিন-সিহর থাকলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আস্তে আস্তে মনোমালিন্য তৈরি হবে। অতি নগন্য বিষয় নিয়েও ঝগড়াঝাটি হবে৷ স্বামী বা স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়বে৷ এভাবে একপর্যায়ে সুখের সংসার ভয়ানক অশান্তির আখড়ায় পরিণত হবে। শেষপর্যন্ত অনেকে ডিভোর্স করে ফেলে। আর অনেকে জীবিত থেকেও মৃত হয়ে সংসার করে।

আবারো বলছি ৯০% তালাক ঘটে কেবলমাত্র বিচ্ছেদের জিন-সিহরের কারণে।

30/05/2024

স্বপ্নের প্রকারভেদ
- শায়েখ ইয়াসির কাদি

আমরা কুরআন এবং সুন্নাহ থেকে জানতে পারি যে, স্বপ্ন আসতে পারে আল্লাহ সুব হানাহু ওয়া তায়ালার কাছ থেকে, স্বপ্ন আসতে পারে শয়তানের কাছ থেকে এবং আপনি নিজের কল্পনা থেকেও স্বপ্ন দেখতে পারেন। সুতরাং স্বপ্নের তিনটি বিভাগ রয়েছে। আল্লাহর কাছ থেকে স্বপ্ন। নবীরা এ ধরনের স্বপ্ন দেখে থাকেন। তাঁরা অন্য দু'ধরনের স্বপ্ন দেখেন না। এটা নবীদের বেলায় ঘটে। নবীরা শুধু আল্লাহর কাছ থেকে স্বপ্ন দেখেন। আল্লাহ তাদের স্বপ্ন শয়তানের আক্রমণ থেকে রক্ষা করেছেন। এবং আল্লাহ তাদের নিজেদের কল্পনা থেকেও তাদের স্বপ্নকে সংরক্ষিত করেছেন। আর তাই যখনই একজন নবী একটি স্বপ্ন দেখেন সেটা অহি হিসেবে গণ্য করা হয়। এটাকে আল্লাহর নিকট থেকে অহি হিসেবে দেখা হয়। একজন নবীর প্রতিটি স্বপ্ন হল আল্লাহর নিকট থেকে অহি। আমরা ব্যাপারটি ইব্রাহীম (আ) এর পরিবারের বেলায় দেখেছি। ইব্রাহীম (আ) এর কি ঘটেছিল? তিনি ইসমাইল (আ) এর ব্যাপারে একটি স্বপ্ন দেখেন। তিনি দেখেন যে, তিনি ইসমাইল (আ) কে কুরবানি করছেন। 'ইন্নি আরা ফিল মানামে আন্নি আজবাহুক' আমি স্বপ্নে দেখেছি যে আমি তোমাকে জবেহ করছি।

তাহলে নবী ইব্রাহীম (আ) আমাদেরকে স্বপ্নের বাস্তবতা সম্পর্কে বলেছেন। তাঁর পরবর্তী বংশধর ইউসুফ (আ)ও একটি স্বপ্ন দেখেন। সুতরাং স্বপ্ন এমন একটা বিষয় যা আল্লাহর নবীদের সাথে সম্পর্কযুক্ত। কিন্তু এটা একমাত্র নবীদের সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়। এটা সম্ভব যে, নবী নয় এমন মানুষও এ ধরনের স্বপ্ন দেখতে পারেন। তিরমিজি শরিফের একটি হাদিসে রাসূল (স) বলেন- নবুওতের অংশ থেকে শুধু 'মুবাশশিরাত' বা সুসংবাদ অবশিষ্ট রয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল - 'মুবাশশিরাত' কি? হে আল্লাহর রাসূল (স)। তিনি বলেন- "এমন স্বপ্ন যা তুমি দেখ বা অন্য কেউ দেখে যেখানে তুমি রয়েছ।" হয় তুমি দেখেছ বা অন্য কেউ দেখেছে আর সে এসে তোমাকে বলে যে, ভাই আমি আপনাকে একটি স্বপ্নে দেখেছি। আমি এরূপ এরূপ দেখেছি। এটাকে বলা হয় 'মুবাশশির'। 'মুবাশশির' শব্দের অর্থ কি? এর অর্থ হল - সুসংবাদ।

সুতরাং এখান থেকে আমরা জানতে পারি যে, যখনি আল্লাহ কাউকে স্বপ্ন দেখান সেটা সবসময় ইতিবাচক কিছু। আপনার স্বপ্নের মাঝে একটি সুসংবাদ রয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে। স্বপ্ন সম্পর্কে একটু বিস্তারিত বলতে গেলে... আমরা বলেছি যে- স্বপ্ন তিন ধরনের।

এক নাম্বারঃ এমন স্বপ্ন যা আপনার কল্পনা থেকে আসে।

আরবিতে একে বলা হয় 'হাদিসুন নাফস'। এটা আপনার কল্পনাশক্তি থেকে আসে। উদাহরণ স্বরূপ - আমাদের কেউ একজন দামী একটি গাড়ি চাইছেন। তিনি জাগুয়ার, মার্সিডিজ বা এরকম লেটেস্ট মডেলের কোন গাড়ি কিনতে চান। আপনি সব সময় এটা নিয়ে চিন্তা করছেন। তারপর আপনি ঘুমাতে গেলেন আর স্বপ্নে দেখেন যে, আপনি সেই গাড়িটি চালাচ্ছেন। এটা আপনার 'হাদিসুন নাফস' বা কল্পনা শক্তি থেকে উদগত। বিজ্ঞানীরা বলেন - মুসলিম স্কলাররা না- বিজ্ঞানীরা বলেন... বিজ্ঞানীরা স্বপ্ন অধ্যয়ন করেন। বিশেষ ধরনের বিজ্ঞানীরা স্বপ্ন অধ্যয়ন করে। আমার কাছে এটা খুবই মজার মনে হয় যে তারাই একমাত্র মানুষ যারা ঘুমন্ত অবস্থায়ও চাকরি করেন। তো, বিজ্ঞানীরা স্বপ্ন অধ্যয়ন করেন।

এইসব বিজ্ঞানীরা আমাদের বলেন যে, এই ধরণের স্বপ্ন প্রতি রাতেই ঘটে। আমাদের ঘুমের একটা পর্যায় আছে যখন সবাই স্বপ্ন দেখে। এই ধরণের স্বপ্নের লক্ষণ হল জেগে উঠার সাথে সাথে স্বপ্নের সবকিছু আপনার মনে থাকে। কিন্তু তারপর পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে আপনি সব ভুলে যান। এটাই এই ধরণের স্বপ্নের লক্ষণ; আপনার কল্পনা শক্তি থেকে উৎসারিত স্বপ্ন। আপনার বাহ্যিক আবেগ অনুভূতি দ্বারা এই স্বপ্ন প্রভাবিত হয়। যেমন, কেউ যদি আপনাকে পানি নিক্ষেপ করে তখন আপনি হয়তো স্বপ্নে দেখবেন আপনি পানিতে ডুবে যাচ্ছেন। আপনার অ্যালার্ম বেজে উঠলে কোনভাবে এটাও আপনার স্বপ্নকে প্রভাবিত করতে পারে। ঠিক? কিছু একটা ঘটবে আপনার স্বপ্নের মাঝে।

কেউ যদি ফজরের সময় আপনাকে এই বলে জাগায়- জেগে উঠো, জেগে উঠো। এটাও আপনার স্বপ্নে পরিবর্তিত কোন এক রূপে দেখা দেবে যে কেউ একজন আপনাকে জাগাচ্ছে। ঠিক না? এই ধরণের স্বপ্নের সাথে ভাল মন্দের কোন সম্পর্ক নেই। এসব আপনার নিজস্ব কল্পনা প্রসূত স্বপ্ন বা হাদিসুন নাফস। এই ধরণের স্বপ্নের লক্ষণ হল আপনি এর কিছুই মনে রাখতে পারেন না। পাঁচ মিনিটের মধ্যে বা দিনের অর্ধেক পার করতেই আপনি সব ভুলে যান। সুতরাং এটা হল হাদিসুন নাফস।

দ্বিতীয় শ্রেণীর স্বপ্ন হল- আরবিতে একে বলা হয় 'আল হুলম'। আল হুলম হল অশুভ স্বপ্ন, যাকে আমরা দুঃস্বপ্ন বলি। এ ধরণের স্বপ্ন আসে শয়তানের পক্ষ থেকে। এ ধরণের স্বপ্নের লক্ষণ হল এটা দেখার পর আপনি প্রচণ্ড ভয় পেয়ে যাবেন। এ ক্ষেত্রে আপনি অশুভ, জঘন্য, ঘৃণ্য প্রকৃতির কিছু দেখতে পান। আপনি দেখেন আপনার নিকটতম কারো করুণ মৃত্যু, দেখেন যে আপনি নিজে গাড়ি দুর্ঘটনার কোলে পড়েছেন, দেখতে পান এলিয়েন বা কোন ভয়ংকর প্রাণী আপনাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। এই ধরণের স্বপ্নের মানে হল - এই ধরণের স্বপ্নের মাধ্যমে শয়তানেরা আপনাকে জ্বালাতন করতে চায়। তারা আপনাকে নিয়ে শুধু কৌতুক করল। এই ধরণের স্বপ্ন কস্মিনকালেও সত্য নয়। কারোই এই ধরণের স্বপ্নে বিশ্বাস করা উচিত নয়। কারোই দুঃস্বপ্নে বিশ্বাস করা উচিত নয়।

আমাদের রাসূল (স) বলেন- "দুঃস্বপ্নের কথা কাউকে বলা উচিত নয়।" আপনি কোন দুঃস্বপ্ন দেখলে মানুষকে বলবেন না। কেন? কারণ শয়তান আপনাকে বোকা বানাচ্ছে। একদা এক লোক রাসূল (স) এর কাছে এসে বললেন- ও আল্লাহর রাসূল (স)! আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, আমার মাথা কেটে ফেলা হয়েছে এবং সেই কর্তিত মস্তক বলের মত ঘুরপাক খেতে লাগলো। আর একে তুলে নিতে আমি এর পিছে পিছে ছুটতে লাগলাম। রাসূল (সঃ) বললেন- "শয়তান গত রাতে তোমাকে নিয়ে কিভাবে মজা করেছে তা মানুষকে বলে বেড়িও না।" মানুষকে বলো না। সে এখন হাসছে কারণ তুমি সেটা বিশ্বাস করেছ। এই ধরণের স্বপ্নের লক্ষণ কি? আপনি প্রচণ্ড ভীত হয়ে জেগে উঠেন। গভীর রাতে ঘর্মাক্ত অবস্থায় জেগে উঠেন। এটা কি ছিল? কি দেখলাম আমি? এ লক্ষণগুলো বলে দেয় যে এটা শয়তানের পক্ষ থেকে। শয়তান ভবিষ্যৎ জানে না। রাতে যদি আপনি নিজেকে কোন গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়তে দেখেন আর সকালে আপনার বসকে ফোন করে বলেন আমি আজ চাকরিতে আসতে পারবো না, কারণ আমি ড্রাইভ করতে চাই না। তখন শয়তান আপনাকে নিয়ে হাসা হাসি করে। কারণ আপনি তাকে বিশ্বাস করেছেন।

দুঃস্বপ্নগুলোকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে, কারণ এতে সত্যের কোন লেশমাত্র নেই। আপনি যদি তা অনুসরণ করেন বা বিশ্বাস করেন তবে শয়তানের জয় হল। আপনি যদি এ ধরণের কোন দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম থেকে জেগে উঠেন, আমাদের রাসূল (স) বলেন - আপনি আল্লাহর নিকট শয়তানের আক্রমণ থেকে আশ্রয় চাইবেন। বলবেন- আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম এবং আপনার বাম পার্শ্বে থুতু নিক্ষেপ করবেন। আমাদের রাসূল (স) এখানে এমনভাবে থুতু নিক্ষেপ করতে বলেছেন যাতে শুধু আওয়াজ হবে কিন্তু আপনার মুখ থেকে কোন লালা বের হবে না। এভাবে থু থু… একে বলা হয় 'নাফাস', যাতে আওয়াজ করা হয় কিন্তু সত্যিকারের কোন থুতু বের হয় না। এটা করা হয় শয়তানকে তাড়ানোর জন্য--আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম।

আমাদের রাসূল (স) আরও বলেন আপনি যে পার্শ্বে থাকেন তা পরিবর্তন করে অন্য পার্শ্বে শয়ন করুন। কেন? কারণ শয়তান যখন আপনাকে বিরক্ত করছে সে হয়তো আপনার পাশে বা আপনার উপর বসে আছে; তাই আপনি যখন আউজুবিল্লাহ বলেন এবং পার্শ্ব পরিবর্তন করেন তখন তাকে পালিয়ে যেতে হয়। রাসূল (সঃ) আরও বলেন স্বপ্ন যদি খুবই খারাপ হয়ে থাকে তাহলে উঠে দু'রাকাত নামাজ পড়ুন। এর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চান এবং আল্লাহর সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করুন। আপনার এই স্বপ্নের কথা আপনার প্রিয় কাউকে, স্বামী/ স্ত্রীকে বা বন্ধু কাউকে জানাবেন না; কাউকে না। এই ধরণের স্বপ্নের কথা ভুলে যান।

প্রসঙ্গতঃ স্বপ্নদোষ বা অশ্লীল স্বপ্ন এগুলোও শয়তানের পক্ষ থেকে। এ ধরণের স্বপ্ন দেখাতে একজন পুরুষ বা নারীর কোন দোষ নেই। যাইহোক, আপনারা সবাই এ বিষয়ে ফিকহ জানেন; এ রকম স্বপ্ন দেখলে এবং এটা হলে আপনাকে গোসল করতে হবে। এ স্বপ্ন শয়তানের নিকট থেকে, যদিও এতে আপনার কোন দোষ নেই কারণ আপনি আপনার স্বপ্ন নিয়ন্ত্রণ করেন না। এ কারণে নবীদের কখনো স্বপ্নদোষ হতো না। কোন নবীদের এটা হতো না। কারণ এ স্বপ্ন, এ রকম চরম নির্লজ্জতা শয়তানের নিকট থেকে। এটা প্রাকৃতিক, এতে আমাদের কোন অপরাধ বোধ করার প্রয়োজন নেই। একজন মানুষের জন্য এ পর্যায় অতিক্রম করা স্বাভাবিক। এর জন্য নিজের প্রতি কোন ঘৃণা অনুভব করার প্রয়োজন নেই। আমাদের উপলব্দি করা দরকার যে, শয়তানই এ রকম অশ্লীল দৃশ্য আমাদের দেখায় আর ভয়ংকর শীতের রাতে আমাদের গোসল করতে হয়। এটা আমাদের কাছ থেকে নয় বা আল্লাহর নিকট থেকেও নয়। এটা আসে শয়তানের কাছ থেকে। সুতরাং এটা আরেক রকম 'হুলম' বা অশুভ স্বপ্ন।

এ ক্ষেত্রেও আমরা মানুষদের এসব বলে বেড়াই না। আমরা কাউকে বলি না, কিন্তু স্পষ্টতঃ যদি আমরা এরূপ অবস্থায় জেগে উঠি আমাদের গোসল করতে হবে। তো, এটা হল দ্বিতীয় প্রকারের স্বপ্ন। প্রথম প্রকার কি ছিল? 'হাদিসুন নাফস'। দ্বিতীয় প্রকারঃ শয়তানের পক্ষ থেকে দুঃস্বপ্ন।

তারপর আছে তৃতীয় প্রকার। তৃতীয় প্রকার হল- মুবাশশিরাত। এটাকে আরবিতে আরও বলা হয়- রু'ইয়া। রু'ইয়া হল আল্লাহর পক্ষ থেকে দেখানো স্বপ্ন। এটা একটা ইতিবাচক স্বপ্ন। আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন স্বপ্ন দেখলে আপনি ভীত হয়ে জেগে উঠবেন না। আপনি আতঙ্কিত হবেন না। যদি এমন হত তাহলে তো আর একে মুবাশশির (সুসংবাদ) বলা হত না। মুবাশশির শব্দটি বাশির, বাশারা থেকে আগত। মুবাশশির অর্থ কি? সুসংবাদ, ভাল সংবাদ, আশাব্যঞ্জক কিছু অথবা যদি এটা ইতিবাচক নাও হয় তবু এটা হবে প্রকৃত সত্য কোন স্বপ্ন, ভয়ংকর কিছু নয়।

এখন এ ধরণের স্বপ্নের লক্ষণ কি? আপনি স্বপ্নে কি দেখেছেন তা স্পষ্টভাবে মনে রেখে জেগে উঠবেন। তাহলে এটা হাদিসুন নাফস নয়। আপনি আতঙ্কিত অবস্থায় জেগে উঠবেন না। যদি এ দুইটি শর্ত পূরণ করা হয় তাহলে সম্ভবত এটা একটা 'মুবাশশির'। কখনো কখনো আপনি ইতিবাচক কিছু দেখে জেগে উঠেন আবার কখনো কখনো আপনি স্বাভাবিক পক্ষপাতহীন অবস্থায় জেগে উঠেন। আপনি ভীত নন আবার খুশিও নন। আপনি হয়তো কিছুটা দ্বিধান্বিত? কি দেখলাম আমি? কিন্তু এ ধরণের স্বপ্নে আপনি কখনো ভীত অবস্থায় জেগে উঠবেন না। যদি আপনি ভীত অবস্থায় জেগে উঠেন তাহলে এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে নয়। এটা কার কাছ থেকে? শয়তানের কাছ থেকে।

আল্লাহর পক্ষ থেকে আগত স্বপ্ন দুই রকমের হতে পারে। প্রথম প্রকার- যেটা কম দেখা যায়- আপনি সরাসরি কোন ঘটনা দেখেন যেখানে আপনি নিজে রয়েছেন কোন ধরণের সাংকেতিক চিহ্ন ব্যতীত। আপনি এমন কোন ঘটনা দেখেন যা ভবিষ্যতে ঘটবে। আর এতে কোন সাংকেতিক চিহ্ন নেই, সরাসরি কোন ঘটনা; সরাসরি ভবিষ্যতের কোন ঘটনার বাস্তবায়ন। ঠিক এটাই ঘটবে। যেমন - রাসূল (স) স্বপ্নে দেখেন যে তিনি কাবা ঘরের চার পাশে তাওয়াফ করছেন। কোন বছর তিনি এটা দেখেন? হিজরতের ষষ্ঠ বছর। তিনি স্বপ্নে দেখেন যে তিনি কাবা তাওয়াফ করছেন। এ স্বপ্নে কোন সাংকেতিক চিহ্ন ছিল না। যখন তিনি এটা দেখেন তিনি বুঝতে পারেন যে এটা কোন সাংকেতিক স্বপ্ন নয়।

তাই তিনি বলেন - ও মুসলিম! আমি স্বপ্নে দেখেছি যে আমি কাবার চারপাশে তাওয়াফ করছি, চল ওমরা করতে চল। সে বছর কি ঘটেছিল? কুরাইশরা তাঁকে বাধা দিল, ফলে হুদায়বিয়ার সন্ধি হয়। আশা করি আমরা এক বা দুই বছর পর এ বিষয়ে কথা বলব, ইনশাআল্লাহ। যদি প্রতি বুধবারে এভাবে আল্লাহ আমাদের আসার তৌফিক দান করেন। অনেক দীর্ঘ সময় পর হতে পারে তিন বা চার বছর পর। ইনশাআল্লাহ আমরা কোন এক সময় এটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো কিভাবে রাসূল (স) কে মক্কা যেতে বাধা দেয়া হয়।

তিনি সরাসরি একটি স্বপ্ন দেখেন যাতে কোন সাংকেতিক চিহ্ন ছিল না। আমি নিজেকে তাওয়াফ করতে এবং মাথা মুণ্ডন করতে দেখেছি। এটা অবশ্যই ঘটবে। আল্লাহ কুরআনে বলেন- যে স্বপ্ন আপনি দেখেছেন এটা একটা সত্য স্বপ্ন। আপনি অবশ্যই মসজিদে হারামে প্রবেশ করবেন। এটা ঘটবে। এই বছর না, পরের বছর। তাহলে এটা ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে আগত দুই ধরণের স্বপ্নের প্রথম প্রকার। আপনি সত্যিকারের ঘটনার বাস্তবায়ন দেখবেন। এ ধরণের স্বপ্ন খুবই অপ্রতুল। কিন্তু এটা ঘটে। এটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নবীদের বেলায় ঘটে।

যেমন ইব্রাহীম (আ) দেখেন, কি দেখেন তিনি? 'ইন্নি আরা ফিল মানামে আন্নি আজবাহুক' আমি স্বপ্নে দেখেছি যে আমি তোমাকে জবেহ করছি। এখানেও কোন সাংকেতিক চিহ্ন ছিল না। এটা স্পষ্ট, পরিষ্কার এক স্বপ্ন। এ ধরণের স্বপ্ন নবীদের মাঝে বেশি দেখা যায়। এ ধরণের স্বপ্ন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আমাদের রাসূল (স) বর্ণনা করেন; আয়েশা (রা) আমাদের বলেন- কুরআন নাযিলের ছয় মাস পূর্ব থেকে রাসূল (স) প্রতি রাতে এ ধরণের স্বপ্নের কোনটা দেখতেন। ছয় মাস ক্রমাগত। রাসূল (স) ঘুমাতে গেলেই দেখতেন যে আগামী কাল কি ঘটবে। তিনি হয়তো স্বপ্নে দেখেন যে তিনি বাজার থেকে কিছু ক্রয় বিক্রয় করছেন। পরের দিন ঠিক তাই ঘটে। তিনি স্বপ্নে দেখেন যে তিনি কোন এক লোকের সাথে দেখা করছেন। পরের দিন ঠিক সেই লোক এসে তাঁর সাথে সাক্ষাত করে। একেবারে ঠিক বার ঘণ্টার মাঝে, তিনি যা দেখেন পরের দিন ঠিক তাই ঘটে। ছয় মাস ক্রমাগত, কেন? আল্লাহ তাঁকে বলছেন যে বিশেষ কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে। আল্লাহ তাঁকে ওহি নাযিলের জন্য প্রস্তুত করছেন। ছয় মাস যাবত এরূপ ঘটার পর 'ইকরা' অবতীর্ণ হয়। তাহলে এটা হল এ ধরণের স্বপ্নের একটা উদাহরণ।

আমরা বলেছি, আল্লাহর পক্ষ থেকে দুই ধরণের স্বপ্ন দেখানো হতে পারে। প্রথম প্রকার- কোন ধরণের সাংকেতিক চিহ্ন ছাড়া। আর দ্বিতীয় প্রকার হল- সাংকেতিক চিহ্নসহ স্বপ্ন। এ ধরণের স্বপ্ন বেশি কমন, এটা বেশি দেখা যায়। কোন কোন সময় নবীরা দেখেন। কিন্তু অধিকাংশ সময় এমনকি সাধারণ মানুষও এ ধরণের স্বপ্ন দেখেন। এ ধরণের স্বপ্নে আপনি যা দেখেন তা দ্বারা অন্য কিছু বুঝায়। যেমন - ইউসুফ (আ) এর স্বপ্নে শস্যের একটি পাতা এক বছরের পানি নির্দেশ করে। খুব মোটা গাভী নির্দেশ করে বাম্পার ফলন বা অতিরিক্ত ফলন। আর চিকন গাভী নির্দেশ করে কম ফলন। কেন? গাছ নির্দেশ করে এটা, বাছুর নির্দেশ করে ওটা, আলো অন্য কিছু নির্দেশ করে।

এক হাদিসে রাসূল (স) বলেন আমি পুরুষদের বিভিন্ন সাইজের পোশাক পরিধান করে থাকতে দেখেছি। কারো পোশাক গলা পর্যন্ত, কারো পেট পর্যন্ত আর আমি উমার ইবনে খাত্তাবকে দেখেছি তার পোশাক (এত বড় যে তা) শরীর ছাড়িয়ে পেছনে ঝুলছে। তাঁরা জিজ্ঞেস করলেন- কিভাবে আপনি এটা ব্যাখ্যা করবেন? তিনি বলেন- এর মানে হল ধর্ম।

ধর্মের প্রতি মানুষের আনুগত্য বিভিন্ন সাইজের। কারো ছোট, কারো বড়। ধর্মের প্রতি উমর (রা) এর আনুগত্য এত শক্তিশালী যে তা তাঁর শরীর ছাড়িয়ে পেছনে ছড়িয়ে গেছে। সুতরাং এই স্বপ্নে পোশাক মানে ধর্ম। প্রসঙ্গত এর মানে এই নয় যে, সকল স্বপ্নে পোশাক মানে ধর্ম। কিন্ত এই স্বপ্নে এর মানে পোশাক। সুতরাং এই ধরণের স্বপ্ন হল সাংকেতিক স্বপ্ন। আমরা ইউসুফ (আঃ) এর ঘটনায় এটা দেখেছি। কারণ তিনি এগারটি তারা দেখেন এবং চাঁদ ও সূর্যকে দেখেন। এটা সাংকেতিক। যা কিছু আপনি দেখেন- প্রতিটা রঙ, প্রতিটা প্রাণী, প্রতিটা ছবি, প্রতিটা গাছ, প্রতিটা বস্তু যা আপনি স্মরণে রাখেন এর দ্বারা অন্য কিছু বুঝায়। এই ধরণের সাংকেতিক স্বপ্ন সবাই ব্যাখ্যা করতে পারে না।

30/05/2024

নামাজে সমস্যা হওয়া ও কুরআন বিমুখতা জ্বীনাক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ।

আমাদের অনেকেই আছেন যারা কুরআন পড়তে গেলে স্বাদ পান না, একটু পরই অনীহা কাজ করে, কুরআন পড়তে গেলে আরো বিষন্ন লাগে, শরীর ভার লাগে, বিরক্ত লাগে, আনন্দ পাওয়া যায় না। কুরআন মুখস্ত হতে চায় না। কারো কারো যেকোনো কিছু ভুলে যাওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি। এটা মূলত আপনার শরীরে লুকিয়ে থাকা জ্বীনের প্রভাবে হয়ে থাকে। আমাদের সমাজের মানুষদের বড় একটি অংশ নামাজে মনোযোগ ধরে রাখতে পারেন না, বিভিন্ন চিন্তায় আচ্ছন্ন হয়ে যান নামাজের ভেতরেই। নামাজে রাকাত সংখ্যা, সিজদাহ সংখ্যা ভুলে যায়। এমনকি অনেকে নামাজে দাড়ালে দ্রুত নামাজ পড়ে, ছটফট করে। নামাজে দাড়ালে মানসিকভাবে অস্থির লাগে- রুকু, সিজদাহ, নামাজ শেষ করার জন্য। এটাও জ্বীন শয়তান দ্বারা আক্রান্ত (possessed) হওয়ার লক্ষন।

وعن عيينة بن عبد الرحمن: حدثني أبي عن عثمان بن أبي العاص قال: لما استعملني رسول الله صلى الله عليه وسلم على الطائف؛ جعل يعرض لي شيء في صلاتي، حتى ما أدري ما أصلي! فلما رأيت ذلك رحلت إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال: ابن العاص؟ قلت: نعم يا رسول الله! قال: ما جاء بك؟ قلت: يا رسول الله! عرض لي شيء في صلاتي حتى ما أدري ما أصلي! قال: ذاك شيطان، ادنُه. فدنوت منه، فجلست على صدور قدمي، قال: فضرب صدري بيده، وتفل في فمي وقال: اخرج عدو الله! ففعل ذلك ثلاث مرات ثم قال: الحق بعملك. أخرجه ابن ماجه 3548، والروياني في مسنده (وإسناده صحيح)

উসমান ইবনে আবুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে তায়েফের প্রশাসক নিযুক্ত করলেন। (তথায়) নামাযের মধ্যে আমার সামনে কিছু বাধা আসতে লাগলো। ফলে আমার মনে থাকতো না যে, আমি কত রাক’আত নামায পড়েছি। আমার এই অবস্থা লক্ষ্য করে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাথে সাক্ষাত করার জন্য রওয়ানা হলাম। তিনি (আমাকে দেখে) বলেনঃ আবুল আসের পুত্র নাকি? আমি বললাম, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি জিজ্ঞেস করেনঃ তুমি কেন এসেছো? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! নামাযের মধ্যে আমার সামনে কিছু বাধা আসে। ফলে আমি বলতে পারি না যে, আমি কত রাক’আত পড়েছি। তিনি বলেনঃ এটা শয়তান। আমার নিকট এসো। আমি তাঁর নিকট এসে হাঁটু গেড়ে বসলাম। বর্ননাকারী বলেন, তিনি নিজ হাতে আমার বুকে আঘাত করলেন এবং আমার মুখে লালা দিয়ে তিনবার বলেনঃ আল্লাহর শত্রু! বের হয়ে যা। অতঃপর তিনি বলেনঃ যাও, নিজের কাজে যোগ দাও। (ইবনে মাযাহ)



عن عثمان بن أبي العاص يقول: شكوت إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم نسيان القرآن، فضرب صدري بيده فقال: فذكره. قال عثمان: فما نسيت منه شيئا بعد؛ أحببت أن أذكره. . أخرجه الطبراني في المعجم الكبير، (وإسناده حسن).

উসমান ইবনে আবুল আস হতে বর্নিত। তিনি বলেন, আমি রাসুল সাঃ এর নিকট কুরআন ভুলে যাওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ করলাম। তিনি সাঃ তার হাত দ্বারা আমার বুকে আঘাত করলেন এবং বললেন, যাও মুখস্ত করো। অতঃপর উসমান বললেন, এরপর থেকে আমি কখনোই আর ভুলে যাইনি। বরং কুরআন মুখস্ত করতে ভালবাসতাম। (ত্বাবারানী)

এই হাদিস দ্বারা আরো দুটি ভ্রান্তির নিরসন হয়। আর তা হচ্ছে,

১) অনেকেই ভেবে থাকেন যে, আমি নামাজ কালাম পড়ি। সকাল সন্ধ্যার আযকার পড়ি। সুতরাং আমার জ্বীনের সমস্যা থাকার প্রশ্নই আসেনা।

২) জ্বীনের সমস্যা মানে অনেকে ভাবেন যে, রোগী সর্বদা চিৎকার চেচামেচি করবে, সেন্স থাকবেনা, পাগলামি করবে। কিন্তু ব্যাপারটা অদৌ সত্য নয়। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের জীবনও জ্বীন দ্বারা আক্রান্ত হয়ে তার জীবন টা দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে।

আমাদের সমাজে কি পরিমান মানুষ জ্বীনাক্রান্ত তা এসকল বাস্তবতা থেকে আচ করা যায়।

ইনসাফ রুকিয়াহ সার্ভিস -Insaf Ruqiyah Service
যোগাযোগঃ 01717-890035

অনিয়মিত পিরিয়ড ❗❗❗আপনি কি কখনও ভেবেছেন?যে অনিয়মিত পিরিয়ড কেন হচ্ছে?বারবার ডাক্তার দেখিয়েও সুস্থতা লাভ করতে পারছেন ন...
30/05/2024

অনিয়মিত পিরিয়ড ❗❗❗

আপনি কি কখনও ভেবেছেন?যে অনিয়মিত পিরিয়ড কেন হচ্ছে?
বারবার ডাক্তার দেখিয়েও সুস্থতা লাভ করতে পারছেন না?

খুব ই চমকপ্রদ এবং বাস্তবতামুখি এক সচ্ছল বর্ননা করেছেন আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

হাদিস লম্বা হবার কারণে সংক্ষেপে তুলে ধরছি
فقال لها انها ركضة من ركضات الشياطين
অর্থ: অনিয়মিত পিরিয়ড বা استحاضة সম্পর্কে তিনি বলেন নিশ্চয়ই এটা শা ই ত নে র লাথি বা স্পর্শ।
(আবূ দাউদ শরীফ,প্রথম অধ্যায়, হাদিস নং ২৮৭
মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ২৬৭)

এখানে শুধু,হাদিসের মূল বিষয়বস্তুর দিকে লক্ষ্য রেখে কারন টা বর্ননা করা হলো এবং হাদিসের তরজমা করা হলো।

মহাজ্ঞানী মহামানব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কতটা নিপুণভাবে আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞান আমাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।

অনিয়মিত পিরিয়ড অর্থাৎ সময় কাল অতিবাহিত হবার পর ও রক্তক্ষরণ হওয়া এবং অস্বাভাবিক ব্যাথা অনুভব করা যেমন মনে হয় কেউ তলপেটে চাক্ষু দিয়ে আঘাত করছে,এর সাথে আরো বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত থাকা।

রাক্বি আবূ ফাতেমা রাহিমাহূল্লাহ উক্ত হাদীসের বর্ণনায় বলেন,এমন অসুস্থতা শা ই ত নে র আইন হাসাদ এবং সিহর অথবা শারিরিক অসুস্থতার কারনে হয়ে থাকে।

আলহামদুলিল্লাহ ছূম্মা আলহামদুলিল্লাহ তার এ কথার সাক্ষী হয়ে,এমন বহু পেসেন্ট যারা এ সমস্যায় ভুগছেন, তাদের পিছনে ৯৯ পার্সেন্ট ই জিন্নাতের হাত পেয়েছি।

আর যে সমস্ত দ্বীনি বোনেরা এ সমস্যয় ভূগছেন তারা অতিতারাতারি ভালো কোন রাব্বির শরনাপন্ন হয়ে চিকিৎসা করুন ইনশাআল্লাহ
আল্লাহ শিফা দান করবেন।

এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এবং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থে আমাদের এই পোস্ট টি শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।
মোবাইলঃ 01717-890035

26/05/2024
26/05/2024

আজ শুরুতে আমরা জ্বিন আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ জানবো।আমাদের সমাজে whole body possession বা যেটাকে জ্বিনে ধরা বলে এটাকেই শুধু জ্বিনের সমস্যা ভাবা হয়, পুরো শরীর পজেসড না হলে সচরাচর কেউ বিশ্বাস করে না যে জ্বিন আছে শরীরে। কিন্তু আসলেই এটা সম্ভব যে, কারো শরীরে জ্বিন ঢুকে আছে.. আর দিনের পর দিন ধীরেধীরে সে মানসিক এবং শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখা জরুরী, আমরা যে লক্ষণগুলো আলোচনা করতে যাচ্ছি এক-দুদিন এসব দেখলেই জ্বিন আক্রান্ত হয়েছে ভাববার কারণ নেই, কারণ এগুলো স্বাভাবিক অসুখবিসুখ এর কারণেও হতে পারে। এই লক্ষণগুলো কারো মাঝে যদি দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান থাকে, তাহলে ধরে নিবেন সমস্যা আছে।

আলোচনার সুবিধার্থে পজেসড হওয়ার লক্ষণগুলোকে আমরা দুই ভাগে ভাগ করে নিচ্ছি। ঘুম সংক্রান্ত এবং অন্য সময়ের..।

ঘুম সংক্রান্ত লক্ষণ সমূহঃ

১। নিদ্রাহীনতা: যার জন্য সারারাত শুধু বিশ্রাম নেয়াই হয়, ঘুম হয়না
২। উদ্বিগ্নতা: যেজন্য রাতে বার বার ঘুম ভেঙে যাওয়া।
৩। বোবায়ধরা: ঘুমের সময় কেউ চেপে ধরেছে, নড়াচড়া করতে পারছে না। প্রায়ই এমন হওয়া
৪। ঘুমের মাঝে প্রায়শই চিৎকার করা, গোঙানো, হাসি-কান্না করা
৫। ঘুমন্ত অবস্থায় হাটাহাটি করা (Sleepwalking)
৬। স্বপ্নে কোনো প্রাণিকে আক্রমণ করতে বা ধাওয়া করতে দেখা। বিশেষতঃ কুকুর, বিড়াল, ইঁদুর, উট, সিংহ, শিয়াল, সাপ (*)
৭। স্বপ্নে নিজেকে অনেক উঁচু কোনো যায়গা থেকে পড়ে যেতে দেখা
৮। কোনো গোরস্থান বা পরিত্যক্ত যায়গা, অথবা কোনো মরুভূমির সড়কে হাটাচলা করতে দেখা
৯। বিশেষ আকৃতির মানুষ দেখা। যেমন: অনেক লম্বা, খুবই খাটো, খুব কালো কুচকুচে
১০। জ্বিন-ভুত দেখা

দ্রষ্টব্যঃ যদি স্বপ্নে সবসময় দুইটা বা তিনটা প্রাণী আক্রমণ করতে আসছে দেখে, তাহলে বুঝতে হবে সাথে দুইটা বা তিনটা জ্বিন আছে।

ঘুম ব্যতীত অন্য সময়ের লক্ষণ

১। দীর্ঘ মাথাব্যথা (চোখ, কান, দাত ইত্যাদি সমস্যার কারণে নয়, এমনিই)
২। ইবাদত বিমুখতা: নামাজ, তিলাওয়াত, যিকির আযকারে আগ্রহ উঠে যাওয়া। মোটকথা, দিনদিন আল্লাহর থেকে দূরে সরে যাওয়া
৩। মেজাজ বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকা, কিছুতেই মন না বসা..
৪। ব্যাপক অলসতা; সবসময় অবসন্নতা ঘিরে রাখা
৫। মৃগীরোগ
৬। শরীরের কোনো অংঙ্গে ব্যাথা কিংবা বিকল হয়ে যাওয়া। ডাক্তাররা যেখানে সমস্যা খুজে পেতে বা চিকিৎসা করতে অপারগ হচ্ছে।

আবারও মনে করিয়ে দেই, শারীরিক রোগের কারণেও এসব হয়ে থাকে। তবে যখন দীর্ঘদিন যাবত যখন এসব লক্ষণ দেখা যাবে, তখন ভাববেন কোনো সমস্যা আছে।

আমাদের সাথে যোগাযোগ : 01717-890035 (WhatsApp)

26/05/2024

জিন জাদুতে আক্রান্ত হওয়ার কারণে অনেকেই এই ভুলগুলো করে আরো সমস্যার সম্মুখীন হয়ে পড়েন।

আপনি যদি জিন যাদুতে ও অন্যান্য অসুস্থতার কারণে ভয় পেয়ে যান, এই ভয় পাওয়ার কারণে আপনি আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়বেন।

যখন কোন রোগী জানতে পারে যে, সে নিজে জ্বীন জাদুতে আক্রান্ত সাথে সাথে রোগী ও ফ্যামিলির সকলেই ভয় পেয়ে যান, এমনটা উচিত না‌। দেখুন আপনি এটা যত বেশি ভয় পাবেন এবং এটা নিয়ে যত বেশি টেনশন করবেন, আপনাকে তত বেশি শাইতন আক্রমণ করবে ও দুর্বল করে দিবে। তখন কি হবে জানেন? এই অসুস্থতা থেকে বের হতে আপনার অনেক অনেক বেশি সময় লেগে যাবে।

রুকইয়াহ ও সাপ্লিমেন্ট, রাকির পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ম তান্ত্রিকভাবে নিজেকে চালিয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত কোনটাই না করা অনুচিত।

অনেকেই এমনটা করেন যে জিন জাদুতে আক্রান্ত হওয়ার কারণে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সারাক্ষণ রুকইয়াহ ও সুরা শুনতেই থাকেন এমনটা ঠিক না, এর দ্বারা আপনার মানসিক অবস্থা খারাপ হতে থাকবে।
সারাদিনের মধ্যে রুকইয়াহ শুনতে হবে একটা টাইম মেনটেন করে ও অনেকক্ষণ সময় গ্যাপ গ্যাপ দিয়ে। একটা ফ্যামিলিতে অনেক কাজ থাকে সেগুলো করতে থাকতে হবে মোটকথা একটা নিয়ম তান্ত্রিক মতো চলতে হবে। এই বিষয়টা নিয়ে আমি সময় করে বুঝাবার জন্য সুন্দরভাবে একটা পোস্ট করব ইনশাআল্লাহ।

লেখাগুলো খুব সংক্ষেপে লিখলাম এরপরেও কিছু কথা না বললেই নয়।
দেখুন যতই কষ্ট হোক ফজরের সালাতের পরে ঘুমাবেন না।
মাসনুন আমল শেষ করে ব্যায়াম ও হাঁটাচলা করবেন, যেন শরীর থেকে ঘাম বের হয়।
এরপরে হালকা খাওয়া-দাওয়া করে রেস্ট নিতে পারেন।

অভিজ্ঞ রাকির পরামর্শ অনুযায়ী চলুন দেখবেন খুব দ্রুত এ সমস্ত সমস্যা থেকে বের হতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

সুস্থ করার মালিক আল্লাহ তা'আলা, বেশি বেশি আল্লাহতালার কাছেই সুস্থতা চাইতে থাকুন আর এর পাশাপাশি সুন্নতি ভাবে নিজের জীবনকে গড়ে তুলুন।
দেখবেন আপনার জীবনে বরকত এমনভাবে আসবে, যেটার খুশিতে আপনি নিজেই সুস্থ হয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ সুবাহানাহু তা'আলা সকলকে বুঝার ও আমল করার তৌফিক।

Raqi Mustafizur Rahman

অদৃশ্যভাবে রোগীর শরীরে ও মোবাইলে ছিটিয়ে করা যাদু।এসবের প্রভাবে রোগী অত্যন্ত মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে যায়। মানসিক সমস্য...
26/05/2024

অদৃশ্যভাবে রোগীর শরীরে ও মোবাইলে ছিটিয়ে করা যাদু।

এসবের প্রভাবে রোগী অত্যন্ত মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে যায়। মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হয়। এমনকি মোবাইলের প্রতি অনেক বেশি আকৃষ্ট করার জন্যও যাদু রিনিউ হতে পারে। যাতে করে ব্যক্তি নিজের জীবনকে অনর্থক কাজে ব্যয় করে সফলতা থেকে অনেক দূরে ছিটকে পড়ে।

রোগীর উপরে যখন জিনকে নিযুক্ত করে দেয়া হয়
রোগীর ক্ষতি করে যাদুকে শক্তিশালী করার জন্য।
তখন ঠিক এভাবেই দৃশ্য ও অদৃশ্য থেকে জিন রোগীর উপরে বিভিন্ন ধরনের যাদু প্রয়োগ করে থাকে।

কখনো ঘুমের মাঝে শরীরে পানি ছিটিয়ে অথবা খাবারের মাঝে কোন কিছু মিশিয়ে দিয়ে কিংবা বাসার বিভিন্ন স্থানে কোন কিছু রেখে যাওয়া বা ছিটিয়ে দেওয়া।

যাদুগ্রস্থ অনেক মানুষই যাদু রিনিউ হওয়ার
এই ব্যাপারগুলোর সাথে পরিচিত তবে
সরাসরি অদৃশ্য থেকে রক্ত সিঁদুর ইত্যাদি ছিটিয়ে যাদু করার বিষয়টি অনেকেই জানেন না বা যাদুর এই ভয়াবহ দিকগুলো কখনো কল্পনাও করতে পারেন না।

অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটা বাস্তব এবং এই মারাত্মক যাদুগুলো অনেকের উপরে প্রয়োগ হওয়া সত্ত্বেও তারা বুঝতে পারেন না।
তাদের সাথে ঘটে যাওয়া এই ভয়াবহ ঘটনা একেবারেই তাদের অজানা।

এমন সমস্যার ব্যাপারে যথাসাধ্য সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। রুকইয়াহ ও সকাল সন্ধ্যার আমলের প্রতি অধিক পরিমাণে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
অন্যথায় অভিজ্ঞ কোন রাকির শরণাপন্ন হন এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে এসব যাদু থেকে রক্ষা করুন।

রুকইয়াহ'তে বাধা১— এপয়েটমেন্ট নেয়ার পর প্রচুর অস্বস্তি লাগা। অকারণে মেজাজ খিটখিটে লাগা। দূর্বল লাগা।২— এপয়েটমেন্ট নেয...
12/05/2024

রুকইয়াহ'তে বাধা
১— এপয়েটমেন্ট নেয়ার পর প্রচুর অস্বস্তি লাগা। অকারণে মেজাজ খিটখিটে লাগা। দূর্বল লাগা।
২— এপয়েটমেন্ট নেয়ার পর প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে যাওয়া। শিডিউল নেয়ার পর কিছু পেশেন্টকে জ্বীন প্রচন্ড অসুস্থ করে দেয়, এটা অনেকেই বুঝতে না পেরে মেডিকেল চিকিৎসা নেয়, আর রুকইয়াহ শিডিউল ক্যানসেল করে দেয়।
৩— এপয়েটমেন্ট নেয়ার পর পরিবারের কেউ অসুস্থ হয়ে যাওয়া।
৪— প্রচুর দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগা; কিছু পেশেন্ট শিডিউল নেয়ার পর প্রচুর দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন যে রুকইয়াহর জন্য আসবে নাকি আসবে না।
৫— সুস্থ অনুভব করা; কিছু পেশেন্ট শিডিউল নেয়ার পর পুরোপুরি সুস্থতা অনুভব করেন।
৬— রুকইয়াহর জন্য টাকা রাখতে না পারা; রাখলেও কোনো না কোনোভাবে খরচ হয়ে যায়।
৭— শিডিউল নিবে নিবে ভেবেও শিডিউল নিতে না পারা।
৮— শিডিউল নেওয়া পর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝামেলা ও ঝগড়াঝাঁটি লেগে যাওয়া।
৯— এমন অনুভব করা যে - মনে মনে কেউ যেন বলছে রুকইয়াহ করে সুস্থ হবি না। রুকইয়াহ ভুয়া, রাকি ভুয়া।
১০— জ্বীন রোগীকে মেরে ফেলার ভয় দেখায়; মনে মনে বলে যে রাস্তায় তোকে গাড়ি থেকে ফেলে দিব, প্যারালাইজড বানিয়ে ফেলবো ইত্যাদি। অথচ কিছু ই করতে পারবেনা ইনশাআল্লাহ।
১১— প্রচুর পরিমাণে অজানা ও আত্মহত্যা বা গাড়ি থেকে পড়ে যাওয়ার ভয় হওয়া।
১২— অনেকের ক্ষেত্রে রোগীর মনে জ্বীন শয়তান রাকির ব্যপারে সন্দেহ সৃষ্টি করে।
১৩— কারো ক্ষেত্রে জ্বীন শয়তান রোগীকে অনভিজ্ঞ রাকি বা কবিরাজের কাছে যেতে বলে।
১৪— সেলফ রুকইয়াহ'র ক্ষেত্রে জ্বীন রোগীকে একেরপর এক বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত রাখে। এমনকি খুব সাধারণ কাজে যা না করলেও তেমন সমস্যা নেই।
১৫— হঠাৎ ফোন থেকে রুকইয়াহ ডিলিট হয়ে যাওয়া। জ্বীন শয়তান ডিলিট করে দেয় যেন রুকইয়াহ না করতে পারে।
১৬— জ্বীন শয়তান রোগীর মনে নানারকম কথাবার্তা, অযথা প্রশ্ন মনে করিয়ে দেয় যেন রাকিকে প্রচুর মেসেজ দেয় আর রাকি বিরক্ত হয়ে ব্লক মেরে দেয় এবং সাজেশন না দেয়।
১৭— রোগীর মনে এমন প্রশ্ন ও কথাবার্তা মনে করিয়ে দেয় এবং তা মেসেজ করে যেন রাকী ও রোগীর মাঝে ঝগড়া সৃষ্টি হয়, রাকি কষ্ট পায় এবং সাজেশন না দেয়।
১৮— প্রায়ই ইয়ারফোন নষ্ট হয়ে যাওয়া।
১৯— পরিবারের লোকজনের মনে ওয়াসওয়াসা দিয়ে রুকইয়ার প্রতি অনিহা ও অবিশ্বাস তৈরি করে যেন রোগীকে সাপোর্ট না দেয়।

এছাড়া আরো অনেক অনেক এমন অপকৌশল অবলম্বন করে। এগুলো অবশ্যই রোগী কে বুঝতে হবে। এইগুলো না বুঝলে জ্বীন শয়তানের সাথে যুদ্ধ করে পেরে উঠতে পারবেন না।

সন্তান বড় হলে, সন্তানের বিছানা আলাদা করা অবশ্য কর্তব্য! কেন করবেন?রিবা (ছদ্ম নাম)। বয়স সাত। ওয়ানে পড়ে। ধবধবে ফর্সা। মাথা...
12/05/2024

সন্তান বড় হলে, সন্তানের বিছানা আলাদা করা অবশ্য কর্তব্য! কেন করবেন?

রিবা (ছদ্ম নাম)। বয়স সাত। ওয়ানে পড়ে। ধবধবে ফর্সা। মাথা ভর্তি কোকড়ানো চুল। টলটলে চোখ। মনে হয় একটু ছুঁয়ে দিলেই ব্যস। চোখের মায়া আবীর হয়ে হাতে লেগে যাবে। প্রজাপতির রঙের মতো।

ওর মায়ের সাথে সেদিন চেম্বারে এসেছে। প্রসাবে জ্বালা পোড়া। তল পেটে ব্যথা। মায়ের ভাষ্য, ম্যাডাম, পিসাব করনের সময় খালি কান্দে আর লাফায়। পেট চেপে খিচ্চা বইসা থাকে।

পরীক্ষা করে দেখতে চাইলে, প্যান্ট খুলে রিবার মা যা দেখালো তার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না, বললেই ভালো। সরাসরি জিজ্ঞেস করলে মা বলবে, কী যে কন, ছোট মানুষ। মনেমনে দু-একটা গালিও যে দিবে না, বলা যায় না।

ডাক্তারদের এ এক জীবন! কত কী যে দেখতে হয়! ঘুরিয়ে প্যচিয়ে জিজ্ঞেস করি, বাড়িতে কে কে আছে?

ওর বাপ আর আমি।

আর কেউ না?

না ম্যাডাম। তবে পাশেই ভাসুরের বাসা।

ও কার সাথে খেলাধুলা করে?

আমার ভাসুরের পোলার সাথে। বয়স এগারো বারো। সিক্সে পড়ে। সারাদিন দৌড়াদৌড়ি ঝাঁপাঝাপি। ভিডিও গেমস, ইউটিউব নাকি কি কয় এসব নিয়া থাকে। সারা বাড়িতে আর বাচ্চাকাচ্চা নাই তো। অরা অরাই খেলে। আমিও তেমন খেয়াল করি না। আহারে বাচ্চারা!

বাড়িতেই তো থাকে সারাদিন। হয় দাদির ঘর, নয় চাচির ঘর। আসলে মাইয়া আমার এই একটাই। মিছা কইয়া লাভ নাই। চাচা চাচিও আদর করে। খুব। মিতুল (ছদ্ম নাম) তো বইন বলতে অজ্ঞান।

কখনো জিজ্ঞেস করেছেন, কি খেলা খেলে?

না ম্যডাম। কী খেলব আর, চোর পলান্তি। পুতুল খেলা। এই সব আরকি। জিগানোর কী আছে?

আছে, এখন জিজ্ঞেস করেন তো।

রিবা, মিতুল ভাইয়ার সাথে কি খেলাধুলা করো বলো তো মা?

বউ জামাই খেলি।

বউ জামাই খেলা কী করে খেলো?

মেয়ে যা বর্ণনা দিলো, শুনে মা মুর্ছা যান আরকি! ছোট বাচ্চার আর দোষ কি? বাচ্চারা অনুকরণ প্রিয়। এটা সবাই জানে। বড়রা অবিবেচকের মতো কাজ করবে আর বাচ্চাকাচ্চা দেখে শুনে চুপ করে বসে থাকবে, এটা ভাবার কারণ নেই। আসলেই নেই।

ওহ, ভালো কথা। রিবা, মিতুল কাকে অনুসরণ করল? বাবা মাকে? টিভি সিনেমাকে? নাকি ইউটিউবকে? কাউকে না কাউকে তো অবশ্যই।

রিবা, এ ধরনের খেলা তো ভালো না মা। এটা পঁচা কাজ। কথা শেষ করতে দেয়না পাকনি বুড়িটা। টাসটাস করে মুখের ওপর বলে ওঠে, বাবা-মা খেলে যে! তাহলে বাবা-মা কি পঁচা?

কী উত্তর দেবে রিবার মা? উত্তর দেয়ার কি মুখ থাকে? মহিলা হতবিহ্বল হয়ে পড়ে। যেনো পায়ের তলায় কোন মাটি নেই। বেচারা!

রিবার মাকে প্রশ্ন করি, আপনারা কি স্বামী-স্ত্রী রিবাকে নিয়ে এক বিছানায় ঘুমান?

হ ম্যাডাম। ছোট বাচ্চা। ওর বাপে কয়, কী বুঝব? ও ঘুমালেই তো কাদা। লোকটার খাই বেশি। বাচ্চা ঘুমালো কি ঘুমালো না। তর সয় না। আমি আগেই কইছিলাম। হাহাকার থই থই কান্না হয়ে ঝরে পড়ে। আহারে!

দেখুন, আমরা বাচ্চাদের যতটা নির্বোধ মনে করি, আসলে ততটা নির্বোধ ওরা না। বরং একটু বেশিই বুদ্ধি রাখে ওরা। শুধু আমরা বড়রাই এ কথাটা মানতে চাই না। আমাদের দিয়ে ওদের হিসেব করি। কিন্তু ওরা হিসেবে বাবা-মা'দের চেয়ে পাকা। যে কাজটা বাবা মা করে, সে কাজটা খারাপ কিভাবে হয়? কাজেই বাবা-মা, বউ-জামাই খেলা তারা খেলতেই পারে। তাদের তো দোষ দেয়া যায় না। একটু ভেবে বলুন তো, যায় কি?

আসলে একটা নির্দিষ্ট সময় পর সন্তানদের বিছানা আলাদা হওয়াই বাঞ্চনীয়। সবার পক্ষে হয়তো, সন্তানদের জন্য আলাদা আলাদা রুম দেয়া সম্ভব না। সে ক্ষেত্রে অন্তত বিছানাটা আলাদা করা যায়। বাবা-মায়ের বিছানাটা কাপড় দিয়ে পার্টিশন দেয়া যায়। মশারির মতো। আর নিতান্তই যদি সম্ভব না হয়, শিশু সম্বলিত সংসারে দম্পতিদের অবশ্যই সর্বোত্তম সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কী সেটা আমি জানিনা। আর সবার ঘরে নিশ্চয় একরকম ফর্মূলা চলবে না। নিজের ঘর অনুযায়ী নিজেদের ফর্মূলা তৈরী করুন প্রিয় অভিভাবক।

আমরা বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে ঘুরতে যাই। মজার মজার খাবার খাই। দামী দামী গেজেট দেই। নতুন নতুন ট্রেন্ডি জামা কাপড় পরাই। কিন্তু সবচেয়ে দামী যে লেসন সেটাই দেই না। হেলথ এডুকেশন, সেক্স এডুকেশন। কত্ত জরুরি যে এসব জীবনমুখী শিক্ষা। কী আজব আমরা! কবে বুঝব এর গুরুত্ব? আর কত ভুল বার্তা দেহ মনে নিয়ে বড় হবে আমাদের শিশুরা?

বাচ্চাদের কি কি করা উচিৎ আর কি কি না সেটা বলুন। ছোটদের কাজ, বড়দের কাজ কি কি জানান। ধীরে ধীরে নিজের শরীর সম্বন্ধে শিক্ষা দিন। গুড টাচ, ব্যাড টাচ সম্পর্কে জানান। নারী-পুরুষের যৌন জীবন সম্বন্ধে শিক্ষা দিন। ধীরে ধীরে, সহজ করে। কাজের লোক কিংবা ক্যানভাসারের কাছে ভুল জানার চেয়ে, বাবা মার কাছে জানা ভালো নয় কি?

প্রিয় অভিভাবকগন, সন্তানের কথা বিশ্বাস করুন। সন্তানের বন্ধু হোন। ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করুন এবং ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করুন। মনে রাখা ভালো, লালন পালন করাই কিন্তু শেষ কথা না। সন্তানকে সুরক্ষিত রাখাও বাবা-মার পবিত্র দায়িত্ব।

আসুন ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন করি। ওদের জীবনটা আরেকটু সহজ করি।

- ডাঃ সাবিকুন নাহার

Address

গৌরিপুর বাজার, দাউদকান্দি, কুমিল্লা।
Cumilla
3517

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ইনসাফ রুকিয়াহ সার্ভিস -Insaf Ruqiyah Service posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram