ডাঃ মোঃ নাজমুস সিহান

ডাঃ মোঃ নাজমুস সিহান সুস্থ্য শিশু, সুন্দর ভবিষ্যৎ

25/04/2025

📌শিশুদের বেসরকারি টিকা নিয়ে বিস্তারিত পোস্ট

১. রোটা ভাইরাস টীকা:

ডায়রিয়ার প্রধান কারণ।

১.৫ মাস বয়স থেকে শুরু, ৮ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে।

রোটা টেক: ২, ৪, ৬ মাসে ৩ ডোজ।

রোটা রিক্স: ২, ৪ মাসে ২ ডোজ।

২. ইনফ্লুয়েঞ্জা টীকা:

৬ মাস পর ১ মাস ব্যবধানে ২ ডোজ, তারপর প্রতি বছর।

উদাহরণ: ইনফ্লুভেক্স টেররা, ভ্যাক্সিগ্রিপ, ফ্লুয়ারিস্ক।

৩. টাইফয়েড টীকা:

২ বছর থেকে, ৩ বছর পর বুস্টার।

উদাহরণ: ভ্যাক্সফয়েড, টায়ফিম, টায়ফেরিস্ক।

৪. চিকেন পক্স টীকা:

৯ মাস বা ১ বছর বয়সে শুরু।

ভেরিলরিস্ক/ভ্যারিজোস্ট: ২ ডোজ।

ভেরিভ্যাক্স: ১ ডোজ (১২-১৫ মাস), ৪-৬ বছর বয়সে বুস্টার।

৫. নিউমোনিয়া (নিউমোভ্যাক্স-২৩):

২ বছর বয়স থেকে ১ ডোজ, ২৩টি স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে।

৬. হেপাটাইটিস-এ টীকা:

১ বছর পর ২ ডোজ (৬-১২ মাস ব্যবধানে)।

উদাহরণ: হ্যাভরিস্ক ৭২০, প্রিভা-এইচএভি।

৭. কলেরা টীকা:

কলভ্যাক্স: ১ বছর বয়স থেকে, ১৫ দিন ব্যবধানে ২ ডোজ।

ডুকোরাল: ২ বছর বয়স থেকে, ১ সপ্তাহ ব্যবধানে ২ ডোজ।

৮. মেনিনজাইটিস টীকা:

১ বছর বয়স থেকে ১ ডোজ।

উদাহরণ: মেন্সিভ্যাক্স, ইনগভ্যাক্স। কিছু ক্ষেত্রে একাধিক ডোজ লাগে।

নোট:
এই টীকাগুলো সবসময় পাওয়া না-ও যেতে পারে। বড় বেসরকারী হাসপাতাল বা ফার্মেসীতে খোঁজ করুন বা অর্ডার করে আনাতে পারেন। এরপর শিশু হাসপাতাল বা ক্লিনিকে দিয়ে টীকা দিতে পারবেন।

17/04/2025

বৃহত্তর কুমিল্লায় ২৪ ঘন্টা নবজাতকের যে কোন জঠিল সমস্যার চিকিৎসা সল্প খরচে, সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে, সার্বক্ষণিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ মোঃ নাজমুস সিহান স‍্যারের তত্ত্বাবধানে এখন কে,আলী মা ও শিশু হাসপাতালে সেবা প্রদান করা হয়।

01/04/2025

সুস্থ অবস্থায় বাবুটিকে তার বাবা মায়ের কোলে তুলে দেবার আনন্দই আমার এবারের ঈদ আনন্দ। ঈদ মোবারক

28/03/2025

দশ বছর হওয়ার আগেই শিশুকে শেখান!
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖

প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাপন সহজ করে দিচ্ছে। শিশুরাও খুব ছোট বয়সে নানা ধরনের গ্যাজেট চালাতে শিখে যায়। কিন্তু এসবই শিশু করছে মা–বাবার ছায়াতলে থেকে। কোনো কারণে যদি সে বিপদে পড়ে বা তাকে হঠাৎ করেই একা পথ চলতে হয়; তখন সে কী করবে?
তাই আপনার শিশুর বয়স ১০ বছর হওয়ার আগেই তাকে শিখিয়ে রাখুন কিছু জীবনদক্ষতা। জীবনচলার পথ তো শিশুর জন্য প্রস্তুত করে রাখা যায় না, তার চেয়ে বরং শিশুকেই প্রস্তুত করতে হবে।

এসব দক্ষতা তার জীবনকে যেমন সহজ করবে, তেমনি আপনাকেও করবে নিশ্চিন্ত। এসব শিক্ষা সাধারণত প্রথাগত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেওয়া হয় না। তাই এ ক্ষেত্রে শিশুর জীবনমুখী শিক্ষার শিক্ষক হয়ে উঠতে হবে মা-বাবাকেই।

👉 আত্মরক্ষার প্রথম পাঠ:

আত্মরক্ষার কৌশল শেখানোর আগে শিশুকে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে হবে। শিশুকে জানাতে হবে, কোনো পরিস্থিতিতেই মনোবল হারানো চলবে না, নিজের প্রতি বিশ্বাস হারানো যাবে না। শারীরিকভাবেও সুস্থ থাকা এবং দৌড়ের অভ্যাস জরুরি। আত্মরক্ষার প্রাথমিক পাঠ হলো কোথায় আ'ঘাত করতে হবে, সেটা জানা। শিশুর জন্য সহজ হলো আক্রমণকারীর হাঁটুতে আ'ঘাত করে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়া। এ ছাড়া আক্রমণকারীর ঘাড়, চোখ, কান ও নাকও সহজ লক্ষ্যবস্তু হতে পারে; যেখানে আ'ঘাত করলে সহজেই কিছু সময়ের জন্য হাম'লাকারীকে বিভ্রান্ত করা যায় ও ব্যস্ত রাখা যায়।

👉মানচিত্র শেখানো এবং দিক চেনানো:

এটা বেশ ছোট বয়স থেকেই শেখানো যায়। শিশুর হাতে একটি গ্লোব দিয়ে দিন কিংবা ঘরের দেয়ালে টানিয়ে দিন বড় একটি বিশ্বের মানচিত্র। শিশু নিজেই অনেক কিছু শিখে যাবে। ছুটির দিনে বা সময় পেলে তাকে নিয়ে বসে দিক চেনান, বাড়ির আশপাশের এলাকাগুলো চিনিয়ে রাখুন। এতে কোনো দিন পথ হারালে বা ভুল করেও যদি কখনো বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়, তাহলে সে নিজেই বাড়ি চিনে ফিরে আসতে পারবে।

👉বাড়ির ঠিকানা ও টেলিফোন নম্বর শেখানো:

যখনই শিশু কথা বলতে শিখবে, তাকে বাড়ির ঠিকানা ও মা–বাবার টেলিফোন নম্বর শিখিয়ে ফেলুন। যেন কখনো বিপদে পড়লে সে মা–বাবার নাম, ঠিকানা বা টেলিফোন নম্বর বলতে পারে।

👉বিপদের বন্ধু চেনান:

শিশুকে চেনান বিপদে কে বন্ধু হতে পারে। পুলিশের পোশাক, র‌্যাব বা সেনাবাহিনীর পোশাক চেনান। কখনো ভিড়ের মধ্যে আপনাকে খুঁজে না পেলে যেন সে পোশাক দেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাছে যেতে পারে এবং তাকে বিপদের কথা বুঝিয়ে বলতে পারে।

👉'না’ বলতে শেখান:

আপনার শিশুকে ‘না’ বলতে শেখান। যেন মনের বিরুদ্ধে গিয়ে কেবল সমাজের চাপে তাকে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে না হয়। ছোটবেলা থেকেই এই অভ্যাস গড়ে তুললে বড় হয়েও সে স্বাধীনভাবে নিজের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

👉প্রাথমিক চিকিৎসা:

খেলতে গিয়ে কে'টে-ছিঁড়ে গেলে কিংবা বন্ধুর হাত-পা কেটে গেলে শিশু যেন আতঙ্কিত না হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু দিতে পারে, তাকে সে জ্ঞান দিন। স্যাভলন বা অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে ক্ষতস্থান পরিষ্কার, ব্যান্ডেজ বাঁধার মতো সহজ কাজগুলো শিখিয়ে দিন। তাকে শেখান হাত কেটে গেলে তা ব্যান্ডেজ করে যেন ওপরের দিকে তুলে রাখে। আর ঠিক কতটুকু কেটে গেলে দ্রুত বড়দের সাহায্য নিতে হবে, তা–ও বুঝিয়ে বলুন।

👉অর্থ ব্যবস্থাপনা:

শিশুকে অর্থের মূল্য শেখান। তার হাতখরচ বা ঈদের সালামি যেন সে কোনো ভালো কাজে ব্যয় করতে পারে, সেটা শেখান। অযথা খেলনা বা খাবারে অর্থ খরচ না করে কীভাবে অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার করা যায়, টাকা জমিয়ে শখের জিনিস বা প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা যায়, সে শিক্ষা তাকে দিন।

👉রান্নাঘরের ছোটখাটো কাজ:

আজকাল বাজারে শিশুদের ব্যবহারের জন্য প্লাস্টিকের ছু'রি পাওয়া যায়। সেসব ব্যবহার করে টুকটাক সবজি কাটা, স্যান্ডউইচ বানানো, সাত বছর বয়সের পর মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহার শেখান। কোনো দিন মা–বাবা বাড়িতে না থাকলে সে যেন ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে গরম করে খেতে পারে বা নিজেই বড় পাত্র থেকে ছোট পাত্রে খাবার নিয়ে খেতে পারে, সেটুকু তাকে শিখিয়ে দিন।

তা ছাড়া বাড়িতে যখন আপনারা রান্না করবেন, তাঁকে সহায়তা করতে উৎসাহ দিন। ছোটখাটো কাজ, যেমন পেঁয়াজ-রসুনের খোসা ছাড়ানো, ফ্রিজ থেকে সবজি বের করে আনা, সিংক থেকে প্লেট-চামচ নিয়ে যথাস্থানে রাখা, খাবার টেবিলে প্রত্যেকের গ্লাসে পানি ঢেলে দেওয়ার মতো কাজের দায়িত্ব শিশুকে দিন।

👉এভাবে ছোটখাটো কাজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলে আপনার শিশু যেমন আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে, তেমনি ভবিষ্যৎ জীবনের জন্যও তৈরি হতে শুরু করবে। বাড়ি থেকে কখনো দূরে পড়তে গেলে বা নতুন পরিবেশে গেলে খুব সহজেই সে মানিয়ে নিতে পারবে, নিজের যত্ন নিতে পারবে।

সংগৃহীত। শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে।

17/03/2025
গুরুতর অসুস্থ বাচ্চার চিকিৎসাগুরুতর অসুস্থ নবজাতকের চিকিৎসার প্রয়োজনে বিশষ করে যেইসব বাবু শ্বাস কষ্ট জনিত কারনে Life sup...
10/02/2025

গুরুতর অসুস্থ বাচ্চার চিকিৎসা

গুরুতর অসুস্থ নবজাতকের চিকিৎসার প্রয়োজনে বিশষ করে যেইসব বাবু শ্বাস কষ্ট জনিত কারনে Life support এর মাধ্যমে চিকিত্সাধীন তাদের অনেকেরই Congenital Heart Disease অথবা heart failure থাকে। এই ধরনের রোগ সঠিকভাবে নিরুপন এবং সুচিকিৎসার জন্যে সারা বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক ভাবে প্রচলিত পদ্ধতি হল Point of care Ultrasound (POCUS)

POCUS এর মাধ্যমে মারাত্মক জটিল বাবুদের যারা life support এর মাধ্যমে চিকিত্সাধীন , তাদের Bed side Echocardiogram করে heart এর জটিল রোগ নিরুপন করে সঠিক চিকিৎসা সম্ভব । অনেক premature বাবুদের মস্তিস্কে রক্তক্ষরন হয়ে থাকে, যাঁদের Bed side Ultrasonography of Brain পরীক্ষা করে রোগ নিরুপন করে সুচিকিৎসা সম্ভব ।

দীর্ঘ দিন NICU তে কাজ করতে গিয়ে দেখতে পাই জন্মগত has হৃদরোগের জটিলতা নিরূপন করার জন্য অথবা Cardiac function assess করার জন্য ২৪ ঘন্টা Echocardiogram সুবিধা না থাকায় অনেক বাবুকে life support Ambulance এ করে উচ্চতর চিকিৎসার জন্যে ঢাকা প্রেরন করতে হত, অনেক বাবু পথিমধ্যে আরও খারাপ হয়ে যেত, নিজের কাছেও এই ব্যাপারটা অনেক পীড়াদায়ক ছিল।

দীর্ঘ ১ বছর পরিশ্রম করে অবশেষে মারাত্মক অসুস্থ বাবুদের জন্যে এই Certificate দুটো অর্জন করলাম বহু ত্যাগের মাধ্যমে , বরাবরের মতই আমার পরিবার কে বনচিত করে। সারা দিনের প্রচন্ড ব্যস্ততার মধ্যই পড়াশোনা করা আর ঢাকা কুমিল্লা যাতায়াত, এক যুদ্ধ !!

আলহামদুলিললাহ এখন থেকে কুমিল্লাতেই NICU তে এই সেবা সম্ভব।

NICU Storyজীবনধারনের জন্য মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের Electrolytes এর দরকার হয় , যা অতিরিক্ত বা কম মাএা উভয়ই শরীরের জন্য...
05/01/2025

NICU Story

জীবনধারনের জন্য মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের Electrolytes এর দরকার হয় , যা অতিরিক্ত বা কম মাএা উভয়ই শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারন ,এমনকি মৃতু্যর কারন হতে পারে। Electrolyte এর তারতম্য হলে রক্তের Ph পরিবর্তন হয়ে যায়, যার মান সাধারনত ৭.৪ এর আশেপাশে থাকে।

রক্তের Ph ৬.৮ এর নিচে হলে সাধারনত মানুষ মারা যায়,যাকে আমরা বলি Incompatible to life!

এই নবজাকতটি যখন আমার কাছে Refer হয়ে আসে তখন তার অনেক শাসকসট, খিচুনী, শরীরের বিভিন্ন জায়গা হতে রক্তক্ষরন হচ্ছিল ।বাচচাকে life support এ দেয়ার পর investigation দেয়া হয়। ABG report এ PH ৬.৭, যা মেডিকেলীয় ভাষায় incompatible to life!

হাল ছাড়িনি!!Patient এর বাবা মার আকুতি এবং বাচ্চার চিকিৎসার প্রতি Response দেখে চিকৎসা চালিয়ে যাই।

আলহামদুলিললাহ বাবুটি এখন সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত বাড়ী যাওয়ার জন্য!!

আমি কোন সপ্তাচর্য দেখিনি, আমার কাছে এটাই আশ্চর্য !!!

13/12/2024

শিশুর ডায়রিয়ায় যেসব খাবার দিতে হবে 🍚:

১. পানি, প্রচুর পরিমানে পানি এবং পানীয় খাদ্য দিতে হবে। এতে দেহের পানিস্বল্পতা পূরণ হবে। ওরস্যালাইন দিতে হবে, যতবার পাতলা পায়খানা করে ততবার ওরস্যালাইন দিতে হবে। এটি দেহে পানি এবং সোডিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখবে। ডাবের পানি দেওয়া যায়, যা শিশুর দেহের বিভিন্ন খনিজ পদার্থ যেমন ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি, ম্যাংগানিজ, পটাসিয়াম ইত্যাদির স্বল্পতা রোধ করবে। ভাতের মাড় অনেক উপকারী এক্ষেত্রে, এছাড়া রাইস স্যালাইনও দেওয়া যায়।

২.শিশুর ডায়রিয়াতে তাকে দিনে তিনবেলা করে ভরাপেট আহার না করিয়ে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে দিনে অনেকবার করে খাওয়াতে হবে। নরম করে ভাত রান্না করে শিশুকে খাওয়াতে হবে। কারণ এসময় শিশু অনেক দুর্বল হয়ে যায়, তার কার্বোহাইড্রেট এর চাহিদা ঠিকমত পূরণ করতে হবে। এছাড়া নরম ভাত শিশুর তরল পায়খানা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া সাধারণ ব্রেড টোস্ট দেওয়া যায়।

৩.প্রোটিন জাতীয় খাদ্যের জন্য দেহের ক্ষয় পূরণ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই কম চর্বিযুক্ত মুরগীর মাংস, মাছ কম তেল, মশলা দিয়ে রান্না করে দিতে হবে।

৪. শিশুকে ফলের মধ্যে কলা বেশি করে দিলে উপকার পাওয়া যাবে, কলাতে প্রচুর পরিমাণ পটাসিয়াম ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান আছে। গাজর, আপেলের ক্বাথ দেওয়া যেতে পারে।

৫. শিশুকে ভালো করে রান্না করা স্যুপ খেতে দিতে হবে, লবণ ভালো মত দিয়ে দিতে হবে। এতে শিশুর দুর্বলতা কমবে। মুরগী, সবজির পাতলা ক্লিয়ার স্যুপ দেওয়া যায়।

৬. শিশু মায়ের বুকের দুধ খেলে তা নিয়মিত ভাবে খাওয়াতে হবে, ডায়রিয়ার জন্য বন্ধ করা যাবে না। কারণ মায়ের দুধে শিশু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, এতে অনেক ধরনের এন্টিবডি থাকে।

৭. অল্পপরিমাণে ইয়োগার্ট বা দই দেওয়া যায় শিশুদের ডায়রিয়াতে, এতে ল্যাক্টোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া থাকে যা শিশুর অন্ত্রের জন্য উপকারী।

🥣ডায়রিয়াতে শিশুকে যেসব খাবার দেওয়া যাবেনাঃ🥃

১. তেল জাতীয় খাবার, অতিরিক্ত মশলা, ঝাল দিয়ে রান্না করা খাবার, ভেজে রান্না করা খাবার।

২. আঁশযুক্ত খাবার যেমন বিভিন্ন উচ্চ আঁশযুক্ত ফল, শাকসবজি, উচ্চ ফাইবার যুক্ত সিরিয়ালস ইত্যাদি।

৩. দই বাদে অন্যসব দুগ্ধজাত খাবার, গরুর দুধ, মিষ্টি জাতীয় খাবার, চকলেট।

🍵ডায়রিয়া পরবর্তী করনীয়🥣

• শিশুকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে রাখতে হবে।

• শিশু ডায়রিয়া থেকে সুস্থ হয়ে গেলে সাধারণ খাবার আবার শুরু করলে অনেক সময় আবার পাতলা পায়খানা শুরু হয়। তাই ডায়রিয়ার পরে সাধারণ খাবার শুরু করতে কিছুটা সময় নেয়া উচিত।
• ডায়রিয়া হলে শিশুর খাবারে রুচি চলে যায়, সে খেতে চাইবে না, তারপরও তাকে যেকোন ভাবে খাওয়াতে হবে। তা না হলে আরো দুর্বল হয়ে বিপদ হতে পারে।
🍖 ডায়ারিয়া পরবর্তী শিশুকে বার বার খাওয়াতে হবে এবং বেশি পরিমানে খাওয়াতে হবে।তাহলে ডায়রিয়া তে বাচ্চা যে ওজন হারায়, বার বার খাওয়ালে ওজন বেড়ে যাবে।

16/08/2024

Antibiotics এর অপব্যাবহার রোধ শিশুর বিকাশের জন্য অতীব জরূরীঃ

Antibiotic এর অতিরিক্ত প্রয়োগ এ বাচ্চা দের নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে,যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, সাভাবিক মানসিক এবং শারিরিক বৃদ্ধি না হওয়া, antibiotics resistance হওয়া অন্যতম। সাধারণ জর,কাশি তে antibiotics দরকার হয় না,এম্নিতেই ভালো হয়ে যায়।

যে কোন রোগ চিকিৎসার জন্য প্রথম রোগ diagnosis করা জরুরি, তার পরে সঠিক চিকিৎসা হলে বাচ্চা দের অযথা Antibiotics ব্যবহারের দরকার হয় না।

ফলে বাবুর শারিরিক এবং মানসিক বিকাশ ভাল হয়।

03/07/2024

২৮ সপ্তাহে ৮২০ গ্রাম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহন করে ২২ তম দিনে বাড়ী গেল এই বাবুটি।

আলহামদুলিললাহ।এটাই বোধ হয় ডাক্তার হিসেবে দিনশেষে অসীম সুখের কারন!!

ভাল থাকুক এই বাবুটি।

NICU তে life support এ থেকে বীরের বেশে মায়ের কোলে ফিরে যাওয়ার পর , বাবুটিকে দেখতে কেবিনে round এ গেলে বাবুটির পরিবারের প...
02/11/2023

NICU তে life support এ থেকে বীরের বেশে মায়ের কোলে ফিরে যাওয়ার পর , বাবুটিকে দেখতে কেবিনে round এ গেলে বাবুটির পরিবারের পক্ষ হতে আমাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান হয়।এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার নয়।সারাদিনের ক্লান্তি দূর করার জন্য এর চেয়ে বড় টনিক আর কি হতে পারে একজন নবজাতকের সেবকের জন্য?

আলহামদুলিললাহ, মহান আল্লাহর দরবারে অশেষ শুকরিয়া আমাকে নবজাতকদের সেবা করার এ সুযোগ দানের জন্য।

18/08/2023

শিশুর জ্বর, প্যারাসিটামল ও সাপোজিটরী

‘ডাক্তার সাহেব, কান্তার জ্বর 100° হওয়াতে দুচামচ প্যারাসিটামল দিলাম। জ্বর তো কমল না, উল্টো শরীর কেঁপে কেঁপে ১০৩°-এর ওপরে উঠে গেল আধ ঘণ্টার মধ্যে। তাড়াতাড়ি একটা সাপোসিটরি দিলাম ২৫০ মিলিগ্রাম। ঘণ্টাখানেক পর ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল।’

মুখে খেতে পারে?

‘হ্যাঁ। পারে।’

তাহলে সাপোসিটরি দিলেন কেন?

‘দিব না! এত জ্বর। তাড়াতাড়ি জ্বর কমার জন্য, এই যে প্রেসক্রিপশন Suppository-250 mg if temperature is 103°F

আমি প্রেসক্রিপশনটা দেখলাম। চিকিৎসক এভাবেই লিখেছেন।

তাকে ছোট্ট করে বললাম সাপোসিটরি দিলে আর মুখে প্যারাসিটামল খেলে জ্বর কমতে সমান সময়ই লাগে।

কান্তার মায়ের চোখে প্রশ্ন আর খানিকটা সন্দেহ। স্বগোতক্তি শুনলাম ‘জ্বর বেশি হলে তো আমি সাপোসিটরি দেই।’

আরেকটু স্পষ্ট করতে হয় সাপোসিটরি দিলে যতক্ষণে জ্বর কমে, মুখে খেলেও ততক্ষণে জ্বর নামে। অর্থাৎ সাপোসিটরি আর সিরাপ/ট্যাবলেটের কার্যকারিতা একই।

‘কিন্তু জ্বর যদি ১০৩°-১০৪° ফা. হয়ে যায়! তখন তো সাপোসিটরি লাগবে? সাপোসিটরি তাহলে কখন দেব?’

একই প্রশ্ন আবার করলেন। কয়েকভাবে। সংশয়-বিস্ময় কিছুতেই কাটছে না। এখন আরেকটু বিস্তারিত করলাম তখনো একই কথা। বাচ্চা মুখে খেতে পারলে মুখে ওষুধ খেতে পারলে মুখে খাওয়ান। আর না পারলে বা বাচ্চা খেতে না চাইলে সাপোসিটরি দিন। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাপোসিটরি তো দিতেই হবে, যেমন জ্ব¦রজনিত খিঁচুনি, বারবার বমি হচ্ছে, মুখে ঘা, গিলতে পারে না, শিশু অজ্ঞান হলে। শিশু স্বাস্থ্যবিষয়ক বিখ্যাত গবেষণা জার্নাল-Acta Pediatr Adolescent Med-এ ২০০৮ সালে প্রকাশিত মেটা অ্যানালাইসিসে গবেষকরা দেখিয়েছেন মুখে খাওয়ার প্যারাসিটামল আর পায়ুপথে দেওয়া প্যারাসিটামলের কার্যকারিতা সমান। মেটা অ্যানালাইসিস চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত উঁচুমানের গবেষণা পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃত। আবার কোনো কোনো গবেষণায় মুখে খাবার প্যারাসিটামল সাপোসিটরির চেয়েও ভালো কাজ করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

মুখে প্যারাসিটামল আর পায়ুপথে দেওয়া প্যারাসিটামলের শুরুর ডোজের কিছুটা ভিন্নতা আছে মুখে খাওয়ার ডোজ ১৫ মিগ্রা/কেজি আর সাপোসিটরি তথা পায়ুপথে দেওয়া প্যারাসিটামলের ডোজ ৩০ মিগ্রা/কেজি। কান্তার ওজন ২০ কেজি শুরুর ডোজ হিসেবে মুখে খাবে ৩০০ মিগ্রা বা ১২.৫ মিলি আর সাপোসিটরি দেবেন ৫০০ মিগ্রা (৬০০ মিগ্রা ওষুধ বাজারে নেই)।

‘আমি তো বোতলের গায়ের বয়স অনুযায়ী লেখা দেখে ওকে ১০ মিলি দিলাম। সে জন্যই তাহলে জ্বর কমছিল না। পরে দিলেও কি একই ডোজ’?

মুখে খাবার ওষুধ দিনে সর্বোচ্চ চারবার, ৪-৬ ঘণ্টা পরপর দিতে পারবেন। সাপোসিটরি দিনে সর্বোচ্চ তিনবার। এটাও ৪-৬ ঘণ্টা পর পর। ওষুধের গায়ে লেখা ডোজ ওই বয়সী বাচ্চাদের গড়পড়তা ওজন ধরে করা হয়। আমি যেটা বললাম সেটা আপনার বাচ্চার ওজন ২০ কেজি হিসাব করে। আপনার দেওয়া একটু কম হয়েছিল। আর এক ডোজেই যে জ্বর নেমে বেইস লাইনে চলে আসবে তেমন কিন্তু না। সাধারণত ২-৩° ফা. কমে।

‘কিন্তু মুখে ওষুধ দেওয়ার পর জ্বর যদি চার ঘণ্টার আগেই আবার বেড়ে যায়। তাহলে কী করব? সাপোসিটরি দিয়ে দেব?’

চার ঘণ্টার মধ্যে পরের ডোজ না দেওয়াই শ্রেয়। সাপোসিটরিও দেওয়া যাবে না; তাহলে তো একই ওষুধ ডাবল ডোজ হয়ে যাবে। এমন হলে গা মুছে দিন হালকা গরম পানি দিয়ে। আপনিও কিন্তু কান্তাকে দিয়েছিলেন। একটু চিন্তিত ভঙ্গিতে মাথা নাড়ালেন। প্যারাসিটামলের দুডোজের ব্যবধান চার ঘণ্টা মুখে বা পায়ুপথে যেভাবেই দেন। তবে ডেঙ্গুজনিত জ্বর না হলে আইব্রুপ্রোফেন জাতীয় ওষুধ দেওয়া যাবে। এটা প্যারাসিটামলের সঙ্গে চার ঘণ্টার মধ্যেও ব্যবহার করতে পারা যাবে। দিনে সর্বোচ্চ ৩ বার।

সংগৃহীত

Address

Room 605 (5 Th Floor), Moon Specialized Hospital, Shahid Khawaja Nizamuddin Road, , Room :222, Modern Hospital, Shaktola
Cumilla
3500

Telephone

+8801841525159

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ডাঃ মোঃ নাজমুস সিহান posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to ডাঃ মোঃ নাজমুস সিহান:

Share

Category