ডাঃ মোঃ নাজমুস সিহান

ডাঃ মোঃ নাজমুস সিহান সুস্থ্য শিশু, সুন্দর ভবিষ্যৎ

Token of love and satisfaction from my patients Amayra and Ameeza.May Allah bless all of my cute patients!!
20/09/2025

Token of love and satisfaction from my patients Amayra and Ameeza.

May Allah bless all of my cute patients!!

ইনফ্যান্টাইল কোলিক কি?৬ সপ্তাহ থেকে ৬ মাস বয়সী শিশুদের প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটা সময়  ৩ ঘন্টা করে সপ্তাহ ৩ দিনের অধিক কান্...
19/09/2025

ইনফ্যান্টাইল কোলিক কি?

৬ সপ্তাহ থেকে ৬ মাস বয়সী শিশুদের প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটা সময় ৩ ঘন্টা করে সপ্তাহ ৩ দিনের অধিক কান্নাকাটি করাকে ইনফ্যান্টাইল কোলিক বলে।

কান্নার পরিমান সাধারণত সন্ধ্যাবেলায় বেড়ে যায়, রাতেও কান্নাকাটি করে, এমন বেশি কান্নাকাটি করে যে, বাবা মা চিন্তায় পড়ে যায়, শিশুর না জানি কি হয়েছে!

অনেক বাবা মা এই কান্নাকাটি বন্ধ করার জন্য এক ডাক্তারের পর আরেক ডাক্তার পরিবর্তন করে থাকে. আবার কিছু মা আছে, শিশু বাচ্চাকে মেরে কান্না বন্ধ করাতে চেষ্টা করে।

🛑 লক্ষণ সমূহ-

১। সাধারণত ৬ সপ্তাহ থেকে ৬ মাসের শিশুদের এই সমস্যা দেখা যায়,

তবে দুই সপ্তাহের এবং ছয় মাসের বেশি বয়েসী শিশুদেরও হতে পারে।

২। প্রতিদিন তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে পরপর তিনদিন কিংবা সপ্তাহে তিনদিন করে তিন সপ্তাহ একটি নির্দিষ্ট সময়ে কান্নাকাটি করা, সাধারণত সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে।

৩। কান্নার সময় শিশু সাধারণত অস্থিরতা ভাব প্রকাশ করে, কান্না করতে করতে মুখমণ্ডল লাল করে ফেলে, নাক দিয়ে চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে যায়, এছাড়াও হাঁটু ভাঁজ করে পেটের দিকে রাখে, কপালে ভাঁজ এবং হাত শক্ত করে মুঠি করা থাকে।

🛑 কারণ -

১। পেট ব্যাথা বুঝাতে সাধারণত কোলিক শব্দ ব্যবহার হয়ে থাকে,

সাধারণত ২০-২৫% শিশু জন্মের দেড় মাস পর ইনফ্যান্টাইল কোলিকে আক্রান্ত হয়৷ তবে তার মধ্যে ৯৫% শিশুর কোলিক জনিত অতিরিক্ত কান্নার কারণ নির্ণয় করা যায়না, কেবল ৫% ক্ষেত্রে কারণ জানা যায়।

২। বাচ্চার মায়ের যদি এলার্জি থাকে, আর মা যদি এলার্জিক খাবার খায়, যথা গরুর গোস্ত, গরুর দুধ ইত্যাদি, তখন মায়ের দুধপানের মাধ্যমে বাচ্চার মধ্যেও এলার্জিক প্রতিক্রিয়া হয়ে বাচ্চার ইনফ্যান্টাইল কোলিক হতে পারে,

৩। বাচ্চাকে গরুর দুধ কিংবা পটের দুধ (কৃত্রিম দুধ) পান করানোর কারণেও ইনফ্যান্টাইল কোলিক হতে পারে।

৪। কোষ্ঠকাঠিন্যতা

৫। বদহজমি

৬। সঠিক পজিশনে বাচ্চাকে দুধ পান করানো না হলে দুধপানের সময় বাচ্চার পেটে বায়ু প্রবেশ করে পেটে গ্যাস তৈরি করে ইনফ্যান্টাইল কোলিক হতে পারে।

৭। দুধপান করানোর পর ব্যায়াম করানো না হলেও এমন সমস্যা হতে পারে...

৮। যেইসব বাচ্চার অন্ত্রে নরমাল গাট ফ্লোরার পরিমান কম থাকে, তাদের ও ইনফ্যান্টাইল কোলিক হতে পারে।

৯। পেটের সমস্যা যথা গ্যাস্ট্রাটিস জনিত সমস্যা

১১। শিশুকে ঠিকমতো কোলে না নেয়া থেকে স্ট্রেস।

১৩। শিশুর পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া।

Collected

10/09/2025



আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া, আল্লাহ আমাকে গুরুতর অসুস্থ নবজাতকের চিকিৎসা করার জন‍্য কবুল করেছেন।এসুবাধে মাঝে মধ্যেই অলৌকিক কিছু ঘটনার সাক্ষী হই!!

এ নবজাতক বাবুটি একজন ডাক্তারের নিকটাত্মীয়।বাবুটিকে আমি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় NICU তে ভর্তি করেছি এবং life support এর মাধ্যমে চিকিৎসা শুরু করি।

এক পর্যায়ে বাবুর বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয় এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।তাদের পূর্বের আরেকটি বাবু মারা যাওয়ার কারনে তারা এই বাবুকে নিয়ে চেষ্টার কোন কমতি করেননি।ঢাকায় একটি ভালোমানের NICU তে ভর্তি করিয়েছেন।পরে ঢাকা থেকে বলা হলো বাবুর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই।

কিন্তু তারা আবারও তাকে আমার অধীনে এনে কুমিল্লাতে ভর্তি করান।এক পর্যায়ে তারাও বাবুর বেঁচে থাকার আশা হারিয়ে ফেলেন।এবং বাবুকে life support থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে বলেন।

আমি তাদেরকে আল্লাহর উপর ভরসা করে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে বলি।আল্লাহর অশেষ রহমতে বাবুটিকে ২৬ দিন পর সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় ছুটি দেয়া হয়েছে।

এই বাবুটি আজকে ফলোআপে এসেছে। বাবুটির সুস্থতার জন্যে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করি।

25/08/2025

সবার জন্য জানা জরুরী

#সত্যই_কি_বুকের_দুধ_কম_হয়?

নবজাতক বিশেষজ্ঞ হিসাবে সবচেয়ে বেশী সময় দিতে হয় - Lactating মায়েদের কাউন্সিলিং-এ (Counselling) ।

সবচেয়ে সমস্যা হয়, বাচ্চা জন্মের প্রথম ২-৩ দিন বয়স পর্যন্ত! কারণ এই সময় শাল দুধ হয়, যার পরিমাণ ২৪ ঘন্টায় মাত্র ১-২ চামচ সমপরিমাণ! ফলে মায়েদের ধারণা, বাচ্চা দুধ পাচ্ছে না!

অথচ এই সামান্য দুধেই আছে নবজাতকের সম্পূর্ণ পুষ্টি! শুধু তাই নয়, এই দুধে আছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আর তাই শাল দুধকে নবজাতকের প্রথম ভ্যাকসিনও বলা হয়!

এছাড়াও জন্মের প্রথম ৪৮ ঘন্টা প্রস্রাব না হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু বাচ্চা যদি জন্মের ১০-১২ ঘন্টার মধ্যে প্রস্রাব না করে, মা-বাবা/বাড়ির মুরুব্বি অস্থির হয়ে যান।

আর প্রথম মা হলে তো, আরও বেশী দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। একদিকে শাল দুধ, যা পরিমাণে অত্যন্ত অল্প - তার সাথে যদি বাচ্চা কান্না করে, মা/মুরুব্বিদের প্রথম অভিযোগ থাকে বাচ্চা বুকের দুধ পাচ্ছে না।

ফলে এই প্রথম ২৪-৪৮ ঘন্টার মধ্যেই বেশীর ভাগ নবজাতক Infant formula পেয়ে থাকে। অথচ খুউব সহজেই এই সময়ে মাকে - Counselling করলে, এই অন্যায় প্রতিরোধ করা সম্ভব!

আবার ৩ সপ্তাহ বয়স হতে - বাচ্চারা Infantile colic নামে একধরনের পেট ব্যথায় কান্না করে। যার প্রধান কারণ - বুকের দুধের সাথে সাথে বাচ্চা বাতাস (Air) গিলে ফেলে!

অনেক মায়েরাই - এই সমস্যাকে গ্যাসের সমস্যা মনে করে থাকেন! ফলে অনেক মা এসেই বলেন - বাচ্চার জন্ম থেকেই গ্যাসের সমস্যা আছে। আবার অনেকে মনে করেন, বাচ্চা দুধ পাচ্ছে না - তাই কান্না করে!

অথচ এই রোগের চিকিৎসাই হলো - পেট থেকে বাতাস বের করে দেওয়া। যার কারণে ব্যথা, সেই কারণের (বাতাস) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।

ফলে এখানে counselling অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তা না হলে, মায়েরা বুকের দুধ কম হচ্ছে মনে করে - বাহিরের দুধ (Infant formula) খাওয়ানো আরম্ভ করে।

ফলে মাকে পেটের ব্যথার কারণ এবং কিভাবে পেট থেকে বাতাস বের করতে হয়, তা বুঝিয়ে বলতে হয়।

ে_কেন_অন্যায়_বলেছিঃ

অন্যায় বলার পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ - চিকিৎসা বিজ্ঞানে আছে, নবজাতক প্রথম ৬ মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র বুকের দুধ খাবে। এমন কি এক ফোঁটা পানি পর্যন্ত খাওয়ানো নিষেধ!

৬ মাস বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র বুকের দুধের বহু উপকারিতা আছে! যদি সংক্ষেপেও বলি - তাহলেও লেখা অনেক বড় হয়ে যাবে। কিন্তু আমার এলেখার উদ্দেশ্য বুকের দুধের উপকারিতা নিয়ে নয়।

তাই সে আলোচনায় যেতে চাচ্ছি না!

বুকের দুধ কম হওয়ায় বা infant formula বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য ভাল - এধরণের কোন কারণ দেখিয়ে, যদি বাচ্চাকে কেউ বাহিরের দুধ খাওয়ানোর উপদেশ দেয়, তার জন্য সরকার কঠোর আইন করেছে। যা অনেক স্বাস্থ্যকর্মী/অভিভাবক জানেন না।

-

এই আইনে বলা আছে - কোন স্বাস্থ্যকর্মী (চিকিৎসক/নার্স বা মায়ের সেবায় নিয়োজিত কোন ব্যক্তি) অথবা কোম্পানির লোকজন, বুকের দুধের পরিবর্তে অন্য কোন দুধ (Infant formula) খাওয়ার জন্য উপদেশ দেয় বা উৎসাহিত করে (এমন কি শুধুমাত্র লিফলেট বিলি করলেই অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে), তার জন্য ফৌজদারি অপরাধে দন্ডিত হবেন!

এই আইনে অপরাধী কোন জামিন পাবেন না। শুধু তাই নয় - অন্য যেকোন আইনই থাকুক না কেন, তাহাতে এই অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে কোন প্রভাব ফেলবে না।

#দন্ডঃ

অপরাধ সংঘটিত হলে ---

১) প্রথমবার অপরাধ করলে - ৩ বছরের জেল/৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।

২) পরবর্তীতে একই অপরাধ করলে - শাস্তি দিগুণ হবে। বারে বারে করতে থাকলে, প্রতিবারই আগের বারের দিগুণ শাস্তি ভোগ করতে হব।

৩) যদি এই অপরাধে বাচ্চা অসুস্থ অথবা মৃত্যু হয় - তাহলে ১০ বছরের জেল/৫০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। এই অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত বাচ্চার পরিবার পাবে।

উপরের আলোচনায় বুঝা গেল - কাউকে Infant formula খাওয়ার উপদেশ দেওয়া বা খাওয়াতে উৎসাহিত করা ফৌজদারি অপরাধ!

#তাহলে_এই_দুধ_কেন_বাজারে_পাওয়া_যায়??

এই Infant formula লেখার কিছু absolute indication (অকাট্য কারণ) আছেঃ

১) বাচ্চার জন্মের সাথে সাথে মা মারা গেলে বা পালক নবজাতক বাচ্চা হলে!

২) মা যদি ক্যান্সারের ঔষধ পায়!

৩) কিছু কিছু জন্মগত ত্রুটি - যেমন Galactosemia, যেখানে বুকের দুধ খেলে বাচ্চা অন্ধ হয়ে যায়।

৪) মা যদি Antithyroid drugs পায়।

৫) মা যদি antipsychotic drug পায় (অনেকে relative contraindications বলে থাকেন)

আরও কিছু কারণ আছে।

কিন্তু মা হেপাটাইটিস বি ভাইরাস/করোনা পজিটিভ, এইডস রোগে আক্রান্ত বা যক্ষা রোগ হলেও বুকের দুধ খাওয়াতে নিষেধ নাই। এইদেশের পরিপ্রেক্ষিতে অবশ্যই এইসব রোগে বুকের দুধ খাওয়াবেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিবেন!

উপরোক্ত absolute indication আছে বলেই - এখনো বাজারে Infant formula দুধ বাজারে এখনো পাওয়া যায়! নাহলে, হয়তো এদেশে এইসব দুধ নিষিদ্ধ হতো!

এছাড়াও পরিমিত বুকের দুধ হওয়ার জন্য বেশকিছু ব্যবস্থা নেওয়া আবশ্যক ----

১) মায়ের Privacy (নির্জন স্থান)। মা বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়, অবশ্যই নির্জনস্থানের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

২) জন্মের এক ঘন্টার মধ্যে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। কারণ এই সময় সবচেয়ে ভাল Sucking reflex (দুধ চোষার ক্ষমতা) থাকে। তারপর এই ক্ষমতা কমতে থাকে।

৩) স্বাভাবিক অবস্থায় মা যতটুকু খাবার খেতেন - তার দেড় গুণ বেশী খাবার খাবেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় - আগে যদি মা এক প্লেট (থালা) ভাত খেতেন, বুকের দুধ পরিমাণ মত হওয়ার জন্য দেড় প্লেট ভাত খাবেন। দুই টুকরো মাছ/মাংস খেলে - এখন তিন টুকরো খাবেন।

৪) মা প্রতিদিন Full cream/গরুর দুধ খাবেন। কারণ বাচ্চা বুকের দুধ খাওয়ায় - মায়ের প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম এবং ফসফেটের ঘাটতি পূরণ করতে হবে।

৫) প্রতিদিন প্রচুর পানি খাবেন। কারণ বুকের দুধে প্রচুর পরিমাণে মায়ের শরীরের পানি খরচ হয়।

৬) Position এবং Attachment - নতুন মায়ের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপদেশ। এমন কি, অনেক সময় একমাত্র কারণ। বাচ্চা কি ভাবে ধরবেন এবং অবশ্যই breast এর কালো অংশ যেন মুখের ভিতর থাকে। এই বিষয়ে সব মাদেরই উচিৎ একজন নবজাতক/শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া।

৭) রাতে অবশ্যই বুকের দুধ খাওয়াবে - কারণ বুকের দুধ রাতে বেশী হয় (Prolactin হরমোন, যার কারণে বুকে দুধ হয়, রাতে বেশী secretion হয়)।

৮) প্রতিবার বুকের দুধ খাওয়ানোর পর বাচ্চার ঢেকুর তুলবেন। না হলে, বাচ্চা পেটের ব্যথায় কান্না করবে (Infantile Colic), আর মা মনে করবে - বাচ্চা বুকের দুধ পাচ্ছে না।

৯) অনেক ক্ষেত্রে Breast এর বিভিন্ন রোগ যেমন- Breast ফুলে ব্যথা/বোটা (Ni**le) ফেটে যাওয়া, ফোঁড়া ইত্যাদি সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন!

#মাদের_কিছু_প্রশ্নের_উত্তরঃ

১) প্রথম ২-৩ দিন বুকের দুধ কম পাওয়ায়, মায়েরা বাহিরের দুধ দাবি করে। কোন দুধটি ভাল হবে?

উত্তরে বলি - যদি প্রথম ২/৩ দিন, শাল দুধ না হয়ে, স্বাভাবিক দুধ আসে, তাহলেই তো সমস্যা! কেন স্বাভাবিক দুধ আসলো? কারণ এই প্রথম ২-৩ দিন শাল দুধই আসতে হবে। ফলে প্রথম ২-৩ দিন দুধ বেশী হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই। কারণ এই সময় শাল দুধই প্রয়োজন। আর বেশী দুধ হওয়া অস্বাভাবিক!

২) বাচ্চা দুধ কম পাওয়ায় শুধু কান্নাকাটি করে!

উত্তরে বলি - বাচ্চা কান্নাকাটি আর বুকের দুধ (Suck) পান করা শিখেই পৃথিবীতে এসেছে। ফলে বাচ্চা শুধু ক্ষুধার জন্য কান্না করে না। প্রস্রাব/পায়খানা করলে, গরম/ঠান্ডা লাগলে বা এমন কি মায়ের কোলে যাওয়ার জন্যও কান্না করে!

তার হাসতে শিখতে সময় লাগবে!

৩) বুকের দুধ বা ফিডার দিলে তো কান্না থেমে যায়?

উত্তরে বলি - মুখ তো একটা, সেখানে একটি আঙুল দিলেও কান্না থেমে যাবে! যদি দুটো মুখ থাকতো - তাহলে এক মুখে কান্না করতো, আরেক মুখে হয়তো ফিডার খেতো! আর বাচ্চাতো এই Suck করা শিখেই পৃথিবীতে এসেছে। ফলে মুখে কিছু দিলেই - চুষতে থাকবে!

৪) বাচ্চা খাওয়ালেও শুধু কান্না করতেই থাকে!

উত্তরে Infantile Colic সম্পর্কে বলি - Role of 3 (Three), বুঝাই। বেশীর ভাগ মা, স্বীকার করে নেন - কাঁধে তুলে রাখলে, কিছুক্ষণ পর কান্নাকাটি কমে যায়।

আরও বলি পৃথিবীতে এমন কোন রোগ বা ঔষধ নাই, যার কারণে বুকের দুধ কমে যায়! একজন মা একসাথে তিনজন বাচ্চার প্রয়োজনীয় বুকের দুধ দিতে পারে। যা পরীক্ষীত!

এছাড়াও মাদের বলি - আচ্ছা মা, আপনি যদি বাহিরের দুধ কিনতে যান, কার টাকা খরচ হয়?

নিশ্চয়ই আমার টাকায় কিনেন না! তাহলে আমি কেন না করি?

কারণ আপনার বাচ্চার ক্ষতি হউক, আমি চাই না! আর এই বিষয় দেখাই আমার দায়িত্ব!

যদি কেউ দুধ লিখে দেয় - তিনি তার সঠিক দায়িত্ব পালন করেন নাই! আর একটা কারণ হতে, পারে আপনাদের (মাদের) বললাম না।

সবশেষে মাদের জিজ্ঞেস করি - বাচ্চা ঠিকমত বুকের দুধ পাচ্ছে বা পাচ্ছে না, তা কি ভাবে বুঝবেন??

প্রায় সবাই কান্নাকাটি করা বা না করার কথা বলেন! (যদিও একটি কারণ)

তাদের বলি - বাচ্চা যদি ২৪ ঘন্টায় ৬ বার বা তার বেশী প্রস্রাব করে এবং সঠিক ভাবে ওজন বাড়ে, তাহলেই বুঝতে হবে, বাচ্চা পরিমাণ মত দুধ পাচ্ছে (আমি এই দুটি কারণকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি)।

এই কথায় প্রায় সব মা বলেন - প্রস্রাব তো দিনে ১৫/২০ বার করে! তখন বলি - মা বাতাস খেয়ে কি এতো বার প্রস্রাব সম্ভব? নিজের (মা) ক্ষেত্রে দেখবেন - যেদিন কম পানি খাবেন, সেদিনই প্রস্রাব কমে যাবে।

সবশেষে বলতে চাই - বাচ্চার কান্না করা মানেই, বুকের দুধ কম পাওয়া নয়!

Dr. Mohammad Neamat Hossain
সহকারী অধ্যাপক (নিওনেটোলজী)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর।

রোগীর ভালবাসা বেবি অফ মরিয়ম, টুইন বেবি ৯৫০ গ্রাম আর ১১০০ গ্রাম যাদের ওজন। জন্ম হয়েছে একটি সরকারী হাসপাতালে, জন্মের পর ...
24/08/2025

রোগীর ভালবাসা

বেবি অফ মরিয়ম, টুইন বেবি ৯৫০ গ্রাম আর ১১০০ গ্রাম যাদের ওজন। জন্ম হয়েছে একটি সরকারী হাসপাতালে, জন্মের পর অনেক শ্বাস কষ্ট হয়, তাই ঢাকায় চিকিৎসা করাতে পরামর্শ দেয়া হয়েছিল।

ওনাদের পরিচিত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক আমার কাছে নিয়ে আসেন এবং NICU তে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন ।২ টা বাবুকেই তীব্র শ্বাসকষ্টের দরুন লাইফ সাপোর্ট এর প্রয়োজন হয়,আরও অনেক জটিলতা ছিল।

দীর্ঘ প্রায় ১ মাসের চিকিৎসার পর বাবুগুলি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।আর ওদের নাম রেখেছে আমার নামের সাথে মিলিয়ে, সিহান আর সিয়াম।

তাদের দাদী যে কিনা দীর্ঘ সময় বাবুদের সাথে হাসপাতালেই ছিল , উনি বাবুদের বাড়িতে আকিকার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন । আমার আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি ।

আজ ওনি ওনার পালিত হাঁস আর মুরগি নিয়ে চেম্বারে হাজির।সাথে পোলাওর চাল আর চিনিও ছিল।

আলহামদুলিল্লাহ আমার রোগীদের দোয়া আর ভালোবাসাই আমার পাথেয় ।

নবজাতক শিশুরা প্রায়শই দুধ খাওয়ানোর পর পরই বা কিছুক্ষণের মধ্যেই মলত্যাগ করে।এটা একদম স্বাভাবিক।একে গ্যাস্ট্রো-কোলিক রিফ...
19/08/2025

নবজাতক শিশুরা প্রায়শই দুধ খাওয়ানোর পর পরই বা কিছুক্ষণের মধ্যেই মলত্যাগ করে।এটা একদম স্বাভাবিক।
একে গ্যাস্ট্রো-কোলিক রিফ্লেক্স বলে।

√√গ্যাস্ট্রো-কোলিক রিফ্লেক্সের লক্ষণ:

* খাওয়ার সময় বা খাওয়ার পরপরই মলত্যাগ করে ফেলে।

* শিশু অস্বস্তি বোধ করে এবং কান্না করে।

* শরীর মোচড়াতে পারে।

* শিশুর পেট শক্ত মনে হতে পারে।

√√কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন

* শিশু যদি অতিরিক্ত কান্নাকাটি করে, যা সহজে থামে না।

* শিশুর পায়খানা খুব পাতলা বা ডায়রিয়ার মতো হলে।

* শিশু যদি খাবার খেতে অনীহা দেখায় ।

*শিশুর ওজন বৃদ্ধি না হয়।

যদি নবজাতকের গ্যাস্ট্রো-কোলিক রিফ্লেক্স নিয়ে আপনি উদ্বিগ্ন হোন তাহলে একজন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

জেলা শহরে NICU চিকিৎসা সুসম্পন্ন করার জন‍্য অন‍্যতম সমস্যা হল সুপ্রশিক্ষিত ডাক্তার,নার্স এর সল্পতা।দক্ষ লোকবল স্হানীয় ভ...
06/08/2025

জেলা শহরে NICU চিকিৎসা সুসম্পন্ন করার জন‍্য অন‍্যতম সমস্যা হল সুপ্রশিক্ষিত ডাক্তার,নার্স এর সল্পতা।

দক্ষ লোকবল স্হানীয় ভাবে তৈরী করার জন‍্য ট্রেনিং এর বিকল্প নেই।এ জন্য NICU পরিচালনার নিমিত্তে জরুরী বিষয় গুলোকে ট্রেনিং এর আওতায় নিয়ে আসার জন্যে আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা ।

অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে জানার এবং হাতে কলমে শেখার ব‍্যপক আগ্রহের কারনে এই সেশনটি খুবই ফলপ্রসূ হয় ।

এবারের টপিকঃ
১) Services provided in NICU
২) NICU admission criteria
৩) Criteria of an ideal NICU setup
৪) Basics of Mechanical ventilation

পরবর্তী সেশনের জন‍্য নতুন কেহ আগ্রহী হলে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করছি।

ধন‍্যবাদ K Ali NICU team এবং K Ali Hospital কর্তৃপক্ষকে সার্বিক সহযোগিতার জন‍্য।

সারা দিনের কাজের শেষে বাসায় ফেরার পর এই ছবি দেখে মুগ্ধ হই আর সব ক্লান্তি ভুলে যাই। আজ আমার NICU থেকে এক মায়ের তিনটি বাবু...
30/07/2025

সারা দিনের কাজের শেষে বাসায় ফেরার পর এই ছবি দেখে মুগ্ধ হই আর সব ক্লান্তি ভুলে যাই।

আজ আমার NICU থেকে এক মায়ের তিনটি বাবু ,যারা অনেক জটিলতা পেরিয়ে , সুস্থ হয়ে ,ছুটি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছে ।

আর আমার অন‍্য এক বোগীর বাবা, যিনি MAKERS Restaurant এর Manager তিনি আমার পছন্দের এরাবিয়ান খ‍্যবসা নিয়ে বাসায় হাজির।

আলহামদুলিল্লাহ। রোগীদের দোয়া ও ভালোবাসায় আল্লাহ আমাকে কবুল করুন।

25/04/2025

📌শিশুদের বেসরকারি টিকা নিয়ে বিস্তারিত পোস্ট

১. রোটা ভাইরাস টীকা:

ডায়রিয়ার প্রধান কারণ।

১.৫ মাস বয়স থেকে শুরু, ৮ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে।

রোটা টেক: ২, ৪, ৬ মাসে ৩ ডোজ।

রোটা রিক্স: ২, ৪ মাসে ২ ডোজ।

২. ইনফ্লুয়েঞ্জা টীকা:

৬ মাস পর ১ মাস ব্যবধানে ২ ডোজ, তারপর প্রতি বছর।

উদাহরণ: ইনফ্লুভেক্স টেররা, ভ্যাক্সিগ্রিপ, ফ্লুয়ারিস্ক।

৩. টাইফয়েড টীকা:

২ বছর থেকে, ৩ বছর পর বুস্টার।

উদাহরণ: ভ্যাক্সফয়েড, টায়ফিম, টায়ফেরিস্ক।

৪. চিকেন পক্স টীকা:

৯ মাস বা ১ বছর বয়সে শুরু।

ভেরিলরিস্ক/ভ্যারিজোস্ট: ২ ডোজ।

ভেরিভ্যাক্স: ১ ডোজ (১২-১৫ মাস), ৪-৬ বছর বয়সে বুস্টার।

৫. নিউমোনিয়া (নিউমোভ্যাক্স-২৩):

২ বছর বয়স থেকে ১ ডোজ, ২৩টি স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে।

৬. হেপাটাইটিস-এ টীকা:

১ বছর পর ২ ডোজ (৬-১২ মাস ব্যবধানে)।

উদাহরণ: হ্যাভরিস্ক ৭২০, প্রিভা-এইচএভি।

৭. কলেরা টীকা:

কলভ্যাক্স: ১ বছর বয়স থেকে, ১৫ দিন ব্যবধানে ২ ডোজ।

ডুকোরাল: ২ বছর বয়স থেকে, ১ সপ্তাহ ব্যবধানে ২ ডোজ।

৮. মেনিনজাইটিস টীকা:

১ বছর বয়স থেকে ১ ডোজ।

উদাহরণ: মেন্সিভ্যাক্স, ইনগভ্যাক্স। কিছু ক্ষেত্রে একাধিক ডোজ লাগে।

নোট:
এই টীকাগুলো সবসময় পাওয়া না-ও যেতে পারে। বড় বেসরকারী হাসপাতাল বা ফার্মেসীতে খোঁজ করুন বা অর্ডার করে আনাতে পারেন। এরপর শিশু হাসপাতাল বা ক্লিনিকে দিয়ে টীকা দিতে পারবেন।

17/04/2025

বৃহত্তর কুমিল্লায় ২৪ ঘন্টা নবজাতকের যে কোন জঠিল সমস্যার চিকিৎসা সল্প খরচে, সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে, সার্বক্ষণিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ মোঃ নাজমুস সিহান স‍্যারের তত্ত্বাবধানে এখন কে,আলী মা ও শিশু হাসপাতালে সেবা প্রদান করা হয়।

01/04/2025

সুস্থ অবস্থায় বাবুটিকে তার বাবা মায়ের কোলে তুলে দেবার আনন্দই আমার এবারের ঈদ আনন্দ। ঈদ মোবারক

28/03/2025

দশ বছর হওয়ার আগেই শিশুকে শেখান!
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖

প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাপন সহজ করে দিচ্ছে। শিশুরাও খুব ছোট বয়সে নানা ধরনের গ্যাজেট চালাতে শিখে যায়। কিন্তু এসবই শিশু করছে মা–বাবার ছায়াতলে থেকে। কোনো কারণে যদি সে বিপদে পড়ে বা তাকে হঠাৎ করেই একা পথ চলতে হয়; তখন সে কী করবে?
তাই আপনার শিশুর বয়স ১০ বছর হওয়ার আগেই তাকে শিখিয়ে রাখুন কিছু জীবনদক্ষতা। জীবনচলার পথ তো শিশুর জন্য প্রস্তুত করে রাখা যায় না, তার চেয়ে বরং শিশুকেই প্রস্তুত করতে হবে।

এসব দক্ষতা তার জীবনকে যেমন সহজ করবে, তেমনি আপনাকেও করবে নিশ্চিন্ত। এসব শিক্ষা সাধারণত প্রথাগত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেওয়া হয় না। তাই এ ক্ষেত্রে শিশুর জীবনমুখী শিক্ষার শিক্ষক হয়ে উঠতে হবে মা-বাবাকেই।

👉 আত্মরক্ষার প্রথম পাঠ:

আত্মরক্ষার কৌশল শেখানোর আগে শিশুকে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে হবে। শিশুকে জানাতে হবে, কোনো পরিস্থিতিতেই মনোবল হারানো চলবে না, নিজের প্রতি বিশ্বাস হারানো যাবে না। শারীরিকভাবেও সুস্থ থাকা এবং দৌড়ের অভ্যাস জরুরি। আত্মরক্ষার প্রাথমিক পাঠ হলো কোথায় আ'ঘাত করতে হবে, সেটা জানা। শিশুর জন্য সহজ হলো আক্রমণকারীর হাঁটুতে আ'ঘাত করে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়া। এ ছাড়া আক্রমণকারীর ঘাড়, চোখ, কান ও নাকও সহজ লক্ষ্যবস্তু হতে পারে; যেখানে আ'ঘাত করলে সহজেই কিছু সময়ের জন্য হাম'লাকারীকে বিভ্রান্ত করা যায় ও ব্যস্ত রাখা যায়।

👉মানচিত্র শেখানো এবং দিক চেনানো:

এটা বেশ ছোট বয়স থেকেই শেখানো যায়। শিশুর হাতে একটি গ্লোব দিয়ে দিন কিংবা ঘরের দেয়ালে টানিয়ে দিন বড় একটি বিশ্বের মানচিত্র। শিশু নিজেই অনেক কিছু শিখে যাবে। ছুটির দিনে বা সময় পেলে তাকে নিয়ে বসে দিক চেনান, বাড়ির আশপাশের এলাকাগুলো চিনিয়ে রাখুন। এতে কোনো দিন পথ হারালে বা ভুল করেও যদি কখনো বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়, তাহলে সে নিজেই বাড়ি চিনে ফিরে আসতে পারবে।

👉বাড়ির ঠিকানা ও টেলিফোন নম্বর শেখানো:

যখনই শিশু কথা বলতে শিখবে, তাকে বাড়ির ঠিকানা ও মা–বাবার টেলিফোন নম্বর শিখিয়ে ফেলুন। যেন কখনো বিপদে পড়লে সে মা–বাবার নাম, ঠিকানা বা টেলিফোন নম্বর বলতে পারে।

👉বিপদের বন্ধু চেনান:

শিশুকে চেনান বিপদে কে বন্ধু হতে পারে। পুলিশের পোশাক, র‌্যাব বা সেনাবাহিনীর পোশাক চেনান। কখনো ভিড়ের মধ্যে আপনাকে খুঁজে না পেলে যেন সে পোশাক দেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাছে যেতে পারে এবং তাকে বিপদের কথা বুঝিয়ে বলতে পারে।

👉'না’ বলতে শেখান:

আপনার শিশুকে ‘না’ বলতে শেখান। যেন মনের বিরুদ্ধে গিয়ে কেবল সমাজের চাপে তাকে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে না হয়। ছোটবেলা থেকেই এই অভ্যাস গড়ে তুললে বড় হয়েও সে স্বাধীনভাবে নিজের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

👉প্রাথমিক চিকিৎসা:

খেলতে গিয়ে কে'টে-ছিঁড়ে গেলে কিংবা বন্ধুর হাত-পা কেটে গেলে শিশু যেন আতঙ্কিত না হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু দিতে পারে, তাকে সে জ্ঞান দিন। স্যাভলন বা অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে ক্ষতস্থান পরিষ্কার, ব্যান্ডেজ বাঁধার মতো সহজ কাজগুলো শিখিয়ে দিন। তাকে শেখান হাত কেটে গেলে তা ব্যান্ডেজ করে যেন ওপরের দিকে তুলে রাখে। আর ঠিক কতটুকু কেটে গেলে দ্রুত বড়দের সাহায্য নিতে হবে, তা–ও বুঝিয়ে বলুন।

👉অর্থ ব্যবস্থাপনা:

শিশুকে অর্থের মূল্য শেখান। তার হাতখরচ বা ঈদের সালামি যেন সে কোনো ভালো কাজে ব্যয় করতে পারে, সেটা শেখান। অযথা খেলনা বা খাবারে অর্থ খরচ না করে কীভাবে অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার করা যায়, টাকা জমিয়ে শখের জিনিস বা প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা যায়, সে শিক্ষা তাকে দিন।

👉রান্নাঘরের ছোটখাটো কাজ:

আজকাল বাজারে শিশুদের ব্যবহারের জন্য প্লাস্টিকের ছু'রি পাওয়া যায়। সেসব ব্যবহার করে টুকটাক সবজি কাটা, স্যান্ডউইচ বানানো, সাত বছর বয়সের পর মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহার শেখান। কোনো দিন মা–বাবা বাড়িতে না থাকলে সে যেন ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে গরম করে খেতে পারে বা নিজেই বড় পাত্র থেকে ছোট পাত্রে খাবার নিয়ে খেতে পারে, সেটুকু তাকে শিখিয়ে দিন।

তা ছাড়া বাড়িতে যখন আপনারা রান্না করবেন, তাঁকে সহায়তা করতে উৎসাহ দিন। ছোটখাটো কাজ, যেমন পেঁয়াজ-রসুনের খোসা ছাড়ানো, ফ্রিজ থেকে সবজি বের করে আনা, সিংক থেকে প্লেট-চামচ নিয়ে যথাস্থানে রাখা, খাবার টেবিলে প্রত্যেকের গ্লাসে পানি ঢেলে দেওয়ার মতো কাজের দায়িত্ব শিশুকে দিন।

👉এভাবে ছোটখাটো কাজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলে আপনার শিশু যেমন আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে, তেমনি ভবিষ্যৎ জীবনের জন্যও তৈরি হতে শুরু করবে। বাড়ি থেকে কখনো দূরে পড়তে গেলে বা নতুন পরিবেশে গেলে খুব সহজেই সে মানিয়ে নিতে পারবে, নিজের যত্ন নিতে পারবে।

সংগৃহীত। শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে।

Address

Room 605 (5 Th Floor), Moon Specialized Hospital, Shahid Khawaja Nizamuddin Road, , Room :222, Modern Hospital, Shaktola
Cumilla
3500

Telephone

+8801841525159

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ডাঃ মোঃ নাজমুস সিহান posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to ডাঃ মোঃ নাজমুস সিহান:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category