Dr.Azad kamal

Dr.Azad kamal একজন ভালো ডাক্তার হিসেবে মানব সেবার জ?

📷দোয়া কবুল না হওয়ার ৫টি কারণ উল্লেখ করা হল, আপনি যদি এর একটার ভিতরও থাকেন তাহলে দোয়া কবুল হবেনা, আর যদি না থাকেন তারপরও ...
19/11/2020

📷দোয়া কবুল না হওয়ার ৫টি কারণ উল্লেখ করা হল, আপনি যদি এর একটার ভিতরও থাকেন তাহলে দোয়া কবুল হবেনা, আর যদি না থাকেন তারপরও দোয়া কবুল হচ্ছে না তাহলে বুঝতে হবে যে জন্য দোয়া করছেন ওটা আপনার জন্য অকল্যাণকর:
৫ টি কারণে আমাদের দু‘আ কবুল হয় না।
❑ যেসব কারণে দু‘আ কবুল হয় না:
[এক.] খাবার, পানীয় ও পোষাক হালাল না হওয়া।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আল্লাহ পবিত্র; তিনি কেবল পবিত্র বস্তুই গ্রহণ করেন।...তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেন—দীর্ঘ সফরের ফলে যার চুল উশকোখুশকো, চেহারা ধুলোবালিমাখা। সে হাত দুটো আকাশের দিকে উঠিয়ে বলছে, ‘হে আমার রব! হে আমার রব!’, কিন্তু তার খাবার হারাম, পানীয় হারাম, পোষাক হারাম আর তার পরিপুষ্টি হয়েছে হারাম দিয়ে; (এমতাবস্থায়) কীভাবে তার দু‘আয় সাড়া দেওয়া হবে?’’
[সহিহ মুসলিম: ১০১৫]
সফরে দু‘আ কবুল হয়, হাত উঠিয়ে দু‘আ করলে কবুল হয় এবং নিজেকে হীনজ্ঞান করে আল্লাহকে কায়মনোবাক্যে ডাকলেও দু‘আ কবুল হয়। এতগুলো শর্ত লোকটি পূরণ করার পরও তার দু‘আ কবুল হচ্ছে না, কেবল হারাম খাবার, পানীয় ও পোষাকের জন্য।
[ইবনু রজব হাম্বলী, জামি‘উল ‘উলূম ওয়াল হিকাম]
[দুই.] সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ হতে নিষেধ করা বন্ধ করে দেওয়া।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘শপথ সেই সত্তার, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! তোমরা অবশ্যই ভালো কাজের আদেশ দিবে ও অন্যায় কাজ হতে বাধা প্রদান করবে। নতুবা, অচিরেই এর ফলে আল্লাহ্ তোমাদের উপর শাস্তি পাঠাবেন। এরপর তোমরা তাঁর কাছে দু‘আ করবে, কিন্তু তোমাদের দু‘আয় সাড়া দেওয়া হবে না।’’
[তিরমিযি: ২১৬৯, হাদিসটি হাসান] হাত দিয়ে বাধা দেবার মত ঈমান না থাকলে অন্তর দিয়ে ঘৃণা করতে হবে।
[তিন.] দ্রুত ফল না পাওয়ায় দু‘আ বন্ধ করে দেওয়া।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘তোমাদের কেউ আল্লাহকে ডাকলে, তার ডাকে সাড়া দেওয়া হবে, যতক্ষণ না সে অধৈর্য হয়ে বলে ওঠে—‘আল্লাহকে তো ডাকলাম, কিন্তু কোনো সাড়া তো পাওয়া গেলো না।’
[সহিহ বুখারি: ৬৩৪০]
[চার.] গুনাহ বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নের দু‘আ করা।
[পাঁচ.] মহান আল্লাহর প্রজ্ঞা: তিনি দু‘আ সাথে সাথে কবুল না করে প্রার্থিত বস্তুর চেয়েও অধিক দেওয়ার জন্য রেখে দেন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যখনই কোনো মুসলিম পাপ ও আত্মীয়তা সম্পর্ক নষ্ট করা ছাড়া অন্য যে কোনো বিষয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে, তখনই আল্লাহ তার প্রার্থনা পূরণ করে তাকে তিনটি বিষয়ের একটি দান করেন: হয় তার প্রার্থিত বস্তুই তাকে দিয়ে দেন অথবা তার দু'আকে (দু'আর নেকি) তার আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে রাখেন কিংবা দু'আর পরিমাণ অনুসারে তার অন্য কোনো (অনাগত) বিপদ তিনি দূর করে দেন।’’ [তিরমিযি: ৫/৫৬৬, আহমাদ: ৩/১৮, সহিহ সনদ]
❑ দু‘আ কবুলের আবশ্যকীয় শর্তগুলো:
❖ শির্কমুক্ত দু‘আ: শর্তহীনভাবে শুধু আল্লাহর কাছেই বলা, মানুষকে দেখানো বা শোনানোর উদ্দেশ্য না থাকা।
আল্লাহ্ বলেন, ‘‘দ্বীনকে (ইসলামকে) আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠ করে শুধু আল্লাহকেই ডাকো।’’ [সূরা গাফির, আয়াত: ১৪]
❖ দু‘আ কবুলের পূর্ণ বিশ্বাস রেখে দু‘আ করা
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘তোমরা দু'আ কবুলের দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে আল্লাহর কাছে দু'আ করো।" [সহিহ আল জামে': ২৪৫, হাদিসটি হাসান]
❖ অন্তরকে সজাগ রাখা ও উদাসীনতা পরিহার করা।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘...কোনো বান্দা অমনোযোগী অন্তরে দু'আ করলে, আল্লাহ তার দু'আ কবুল করেন না।’’ [সহিহ আত তারগিব: ২/১৩৩, হাদিসটি হাসান]
❖ রাসূলের উপর দরুদ পাঠ করা।
আলি (রা.) বলেন, ‘‘সকল দু'আ পর্দার আড়ালে থাকবে, যতক্ষণ না নবির উপর সালাত পাঠ করবে।’’ [সিলসিলা সহিহাহ: ৫/৫৪-৫৮, সহিহ আত তারগিব: ২/১৩৮, হাদিসটি হাসান]
অন্য রেওয়ায়েতে এই কথাটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত হয়েছে।
❖ আল্লাহ্ যেকোনো দু‘আ কবুল করতে পারেন, (বৈধ) যেকোনো কিছু দিতে পারেন, এই বিশ্বাস রাখা।
এভাবে দু‘আ করতে হাদিসে নিষেধ করা হয়েছে যে, ‘হে আল্লাহ! তোমার ইচ্ছা হলে আমাকে দাও।’ [সহিহ বুখারি: ৬৩৩৮] সুতরাং, এভাবে দু‘আ করা যাবে না।
অন্য হাদিসে এসেছে, ‘‘আল্লাহর জন্য কোনো কিছুই এত বড় নয় যে, তিনি তা দিতে পারবেন না।’’ [সহিহ মুসলিম: ২৬৭৯]
সুতরাং, দু‘আ করতে হবে দৃঢ়তার সাথে।

19/11/2020

মানসিক রোগ চিকিৎসা: নেতিবাচক-ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি
📷
Byডা. কৃষ্ণ রায়

১৯৪৮ সালে দেওয়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংজ্ঞা অনুযায়ী, স্বাস্থ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ মানসিক স্বাস্থ্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মানসিক স্বাস্থ্য হলো, ‘শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আত্মিক সু-অবস্থা এবং কোনো রোগ বা বৈকল্য না থাকা।’ সহজ কথায়, মানসিক স্বাস্থ্য হলো এমন মানসিক অবস্থা, যে অবস্থায় একজন মানুষ তার নিজের ক্ষমতা বুঝতে পারে, জীবনের স্বাভাবিক চাপসমূেহর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে, উৎপাদনশীলতার সঙ্গে কাজ করতে পারে এবং তার স¤প্রদায়ের জন্য অবদান রাখতে পারে।
মানসিক সুস্বাস্থ্যের দরুন একজন মানুষ সেই ক্ষমতা অর্জন করে, যা তাকে নিজের সঙ্গে এবং তার চারপাশে থাকা অন্যান্যদের সঙ্গে যক্তু হতে বা একাত্ম হতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এই দক্ষতার জোরে মানুষ তার জীবনের নানাবিধ চ্যালেঞ্জকেও গ্রহণ করতে সক্ষম হয়।
আমাদের সকলকেই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে সাময়িকভাবে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয়। ব্যক্তিগত বা কর্মজীবনের চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবেলা করতে গিয়ে অনেক সময়েই মানসিক অবসাদ এবং উদ্বিগ্নতার শিকার হতে হয়। যখন আমরা দেখি আমাদের স্বাভাবিক কাজগুলো ব্যাহত হচ্ছে, তখনই মানসিক অসুস্থতার প্রশ্নটি সামনে আসে। যদি কারো চিন্তা, আবেগ, স্মৃতিশক্তি ও বিচার-বিবেচনার পরিবর্তন ব্যক্তির নিজের এবং অন্য মানুষের ক্ষতির কারণ হয় এবং লক্ষণগুলো টানা কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস থাকে তাহলেই বুঝতে হবে তার কোনো না কোনো মানসিক সমস্যা আছে।
আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাপনে শরীরের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা অসুখগুলোর বিষয়ে আমাদের মধ্যে যতটা সচেতনতা দেখা যায় মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে ততটা সচেতনতা দেখা যায় না; বরং অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় এ বিষয়ে কোনো কথা বলাই যেন নিষেধ। শরীরকে ভালো রাখার জন্য আমরা শরীর চর্চা করি, নিয়ম মেনে খাদ্য গ্রহণ করি কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্যটা থেকে যায় অবহেলাতেই। অথচ একটা মানুষের শারীরিক সুস্থতা তখনই আসবে যখন সে মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ থাকতে পারবে।
শরীর ও মন একই মদ্রুার এপিঠ-ওপিঠ। একটিকে ছাড়া অন্যটি অসম্পূর্ণ। বাগানের গাছগুলো বেড়ে ওঠার জন্য যেমন পরিচর্যা করতে হয়, তেমনি মনের সঠিক সুস্থতার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করতে হয়।
মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় কিছু করণীয়-
বন্ধু-বান্ধব আর পরিবারের সংস্পর্শে থাকুন
সমস্যাকে ভয় পাবেন না
কষ্ট চেপে রাখবেন না
প্রকৃিতর সান্নিধ্যে সময় কাটান
পরচর্চা ছেড়ে দিন
কাউকে বিপদে ফেলবেন না, কষ্ট দেবেন না বা ঈর্ষা করবেন না
প্রতিদিন সৃষ্টিশীল বা নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন
পরিকল্পনা করুন
শরীরের যত্ন নিন
পছন্দের লোকজনের সঙ্গে সময় কাটান
নিজের দেশ, নিজের মানুষদের ভালোবাসুন
স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করুন
শখের কাজ করুন
খাদ্যাভাস ভালো রাখুন
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ৫ জনে ১ জন মানুষ কোনো না কোনো মানসিক সমস্যায় ভোগেন। বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক অনেক সেবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা নিরলসভাবে আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চিকিৎসা দিয়ে থাকে। দেশের মোট ১৬ কোটি ১২ লাখ ৮৬৬ জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় দুই কোটি মানুষ মানসিক রোগে আক্রান্ত। মোট জনসংখ্যার ১৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষই ভুগছেন মানসিক ব্যাধিতে। এর মধ্যে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ স্নায়বিক পীড়ায়, ৪ দশমিক ৬ শতাংশ গভীর বিষণ্ণতায় এবং ১ দশমিক ১ শতাংশ সরাসরি মনোব্যাধিতে আক্রান্ত। এছাড়া ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ শিশু মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত এবং ৭৫ শতাংশ শিশু চিকিৎসাসেবার বাইরে থাকে। এতে জনগণের কর্মক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যা জাতীয় অগ্রগতি ও উন্নয়নের পথে বড়ো বাধা।
পরিহাসের বিষয়, উন্নত দেশের অবস্থা এর চেয়ে খুব বেশি ভালো নয়। খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শতকরা ৫০-৬০ ভাগ সিজোফ্রেনিয়া রোগী চিকিৎসাসেবা পায় না। এর প্রধান কারণ মানসিক রোগ চিকিৎসায় জনগণের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। তৃণমূল পর্যায়ের জনগণের জন্য সহজে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে মানসিক রোগ
বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক, মনোবিদ ও অন্যান্য সহায়ক পেশাজীবী ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা জরুরি।
মানসিক স্বাস্থ্য সংকট মোকাবেলায় বিশ্বের সব দেশই ব্যর্থ হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ল্যানসেট কমিশনের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো দেশই হতাশা-উদ্বেগ আর সহিংসতা-বিভীষিকা থেকে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবেলায় যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হয়নি। মানসিক স্বাস্থ্যের এই ভয়াবহ পরিস্থিতিকে তাঁরা বিশ্বের স্বাস্থ্য সংকট মোকাবেলার ক্ষেত্রে সম্মিলিত ব্যর্থতা আখ্যা দিয়েছেন। ল্যানসেটের ২৮ জন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এই পর্যবেক্ষণ হাজির করেছেন। তাঁরা বলছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের কারণে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ১৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
কিছু ভ্রান্ত ধারণা:
কারো অস্বাভাবিক আচরণ মানে তাকে জিনে বা ভূতে ধরেছে বা জাদুটোনা করা হয়েছে। অথচ এটা একটা ভ্রান্ত ধারণা।
মানসিক রোগী মানেই তিনি পাগল। এটা মারাত্মক ভুল ধারণা।
মানসিক রোগী কখনো ভালো হয় না।
অনেকে মনে করেন, মানসিক রোগের ঔষধ দীর্ঘদিন খেতে হয় এবং তা ব্রেইনের ক্ষতি করে। বিষয়টা আসলে সেরকম নয়।
মানসিক রোগ চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধগুলো আসক্তি তৈরি করে।
মানসিক রোগীকে হাসপাতালে বেঁধে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এটা বরং আধুিনক চিকিৎসানীতির পরিপন্থী। বর্তমানে কমিউনিটিভিত্তিক আধুনিক চিকিৎসা-পদ্ধতিই সবচেয়ে কার্যকর।
পলিসি পরামর্শ: এ বছরের মে মাসে সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় ৭২তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের অটিজম বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত সায়মা ওয়াজেদ বলেন, ‘নিন্দা ও কুসংস্কার বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবেলার ক্ষেত্রে দুটি প্রধান চ্যালেঞ্জ।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসইএআরও দেশগুলো যেসব অভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-নিন্দা ও কুসংস্কার, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পেশাজীবীর অপ্রতুলতা, স্বল্প বাজেট বরাদ্দ, মানসিক স্বাস্থ্য কর্মসূচি বাস্তবায়নে সমন্বয়ের অভাব ও বিশাল চিকিৎসাঘাটতি।’ মোট জনসংখ্যার বিপরীতে মাত্র ২৫০ জন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও ৬০ জন ক্লিনিক্যাল মনোবিজ্ঞানী রয়েছেন। এছাড়া শিশু মনোবিজ্ঞানী একেবারে নেই বললেই চলে। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক রয়েছেন ১০ হাজার জন এবং নার্স ১২ হাজার জন।
লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, ২০২০ সালের মধ্যে এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এটি মারাত্মক ব্যাধিতে রূপান্তরিত হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি ৪০ সেকেন্ডে ১ জন মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ৫০ ভাগ মানসিক রোগ ১৪ থেকে ২৫ বছর বয়সের মধ্যে তৈরি হয়। এজন্য শিশু ও তরুণদের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। সদ্য পাস হওয়া মানসিক স্বাস্থ্য আইন ২০১৮ বাস্তবায়নসহ এমবিএবিএস বা আন্ডারগ্র্যাজুেয়ট লেভেলে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে পড়াশোনা করাতে হবে। শিশুদের স্নেহ ছাড়াও সম্মান প্রদর্শন করে মানসিকভাবে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে রেফারেল সিস্টেম চালু করতে হবে বা সব হাসপাতালে এ বিষয়ক সেবা চালু নিশ্চিত করতে হবে। বাংলদেশ মানসিক স্বাস্থ্যনীতি ২০০৬ এবং ২০১১-এ যা নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ (NCD) এর নিরীক্ষণ ও প্রতিরোধের স্ট্যাটেজি ও কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই পলিসি অনযুায়ী মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবনাগুলো হলো:
কমিউনিটি পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার বিকাশ
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার একটি নিবিড় অংশ হিসেবে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার অন্তর্ভুক্তিকরণ
মানব সম্পদ, পরিবার এবং স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকারীদের অন্তর্ভুক্তকরণ
স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকারীদের মানবাধিকার সংরক্ষণ
অ্যাডভোকেসি ও প্রচারণা বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বাস্থ্য চাহিদা পূরণে সমতাভিত্তিক সম্পদের বিতরণ ও পুনর্বিন্যাস করে এর সহজলভ্যতা নিশ্চিতকরণ।
স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মান উন্নয়ন ও মনিটরিং সিস্টেমেরর বিকাশ। এই পলিসিতে মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু ঔষধও অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যেমন-antipsychotics, anxiytics, antidepressants, mood stabilizers and antiepileptic drugs ইত্যাদি।
মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির চাকরি, শিক্ষাসহ সকল অধিকার সুরক্ষার বিষয়টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার রক্ষার আন্তর্জাতিক আইনের (Convention on the Rights of the Persons with Disabilit) সঙ্গে মিল রেখে হতে হবে। কারণ, অনেক সময় মানসিক রোগের কারণে সাময়িক ও দীর্ঘমেয়াদি প্রতিবন্ধিতা হতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্যে মর্যাদাবোধ তৈরি মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য দরূীকরণ ও জনগণের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এজন্য জনসচেতনতা বিশেষত স্কুল, কলেজসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতামলূক কর্মসূচি আয়োজন ও এ বিষয়টি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রয়োজন।
মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিগণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক অবহেলা ও বৈষম্যের শিকার। এর অন্যতম কারণ মানসিক স্বাস্থ্য, রোগ ও এর চিকিৎসার প্রতি জনগণের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির রোগ নির্ণয় করে দ্রুত চিকিৎসা সেবার আওতায় নিয়ে আসতে পারলে তাদেরকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসা সম্ভব। মানসিক স্বাস্থ্যকে বাদ দিয়ে ও মানসিক রোগকে অবহেলা করে জাতীয় অগ্রগতি ও উন্নয়ন অসম্ভব।
সবার মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জনসচেতনতা ও সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা। প্রাথমিকভাবে জনগণের মধ্যে মানসিক রোগ বিষয়ক সচেতনতা তৈরি করতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কুসংস্কার দূর করতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। সমাজ থেকে কুসংস্কার দূর করতে না পারলে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা অনেকটাই অসম্ভব হয়ে পড়বে। গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখায় শব্দচয়নের ওপর খেয়াল রাখতে হবে। কোনোভাবেই মানসিক রোগীকে পাগল বলা যাবে না। নেতিবাচক প্রতিবেদন না লিখে, ইতিবাচক প্রতিবেদন লিখলে সমাজের ওপর ভালো প্রভাব পড়বে। একইসঙ্গে যারা মানসিক সমস্যা থেকে মুক্ত হয়েছেন, তাদের সুস্থ হওয়ার গল্পটা প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হলে সবার মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
সূত্র: লেখাটি মনের খবর মাসিক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত।

বার্ধক্যে মানসিক রোগ📷Byডা. সাইফুন নাহার সুমি৬০ বৎসর বয়সের ঊর্ধ্বে ১৫% মানুষ কোনো না কোনো মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।...
19/11/2020

বার্ধক্যে মানসিক রোগ
📷
Byডা. সাইফুন নাহার সুমি

৬০ বৎসর বয়সের ঊর্ধ্বে ১৫% মানুষ কোনো না কোনো মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। বার্ধক্যজনিত অক্ষমতার কারণগুলোর মাঝে ৬.৬% মানসিক এবং স্নায়বিক কারণে হয়ে থাকে। ২০১৫-২০৫০ সালের মধ্যে ৬০ বৎসরের বেশি বয়সের মানুষের সংখ্যা হবে দ্বিগুণ (অর্থাৎ, বর্তমানে আছে ১২%, তা বেড়ে হবে ২২%)।
বার্ধক্যে মানসিক রোগের কারণসমূহ
বয়সের সাথে সাথে মানুষের সার্বিক কর্মক্ষমতা লোপ পেতে থাকে; চুলে পাক ধরে, দাঁত পড়ে, ত্বকে ভাঁজ পড়ে, হাড় ক্ষয় হতে থাকে, প্রজনন ক্ষমতা থাকে না বা কমতে থাকে।
কর্মজীবন থেকে অবসরে যায়। সন্তানগণ বড়ো হয়, তাদের নিজস্ব জগৎ তৈরি হয়, অনেক সময় জীবিকার্জনের জন্য দূরে চলে যায় বা কর্মব্যস্ত হয়ে পড়ে; ইত্যাদি নানাবিধ কারণে বৃদ্ধ হলে আত্মবিশ্বাস কমে যায়, একাকিত্বের অনুভূতি শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা তৈরি করে।
মধ্যবয়স থেকেই মানুষ জীবনের হিসেব নিকেষের খাতা খুলে বসে; কী পেলাম, কী পেলাম না এসব ভেবে ভেবে অস্থির থাকে, মানসিক চাপ তৈরি হয়।
বয়স হলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, বিভিন্ন প্রকার দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক রোগ যেমন-ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ ও হাড়ক্ষয়রোগ ইত্যাদি দেখা দেয়। যেহেতু, মন আর শরীর অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত, তাই একটি খারাপ থাকলে অন্যটিও খারাপ থাকে। যেমন-হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাঝে বিষণ্ণতার হার শারীরিকভাবে সুস্থ ব্যক্তিদের চেয়ে বেশি। আবার যাদের হৃদরোগ ও বিষণ্ণতা রোগ আছে তারা যদি বিষণ্ণতা রোগের চিকিৎসা না নেন, তাহলে তা হৃদরোগের পরিণতিকে খারাপের দিকে নিয়ে যাবে।
তাছাড়া দ্রুত নগরায়ন, ভৌগোলিক পরিবর্তন, শিল্পায়ন, সংষ্কৃতিতে পাশ্চাত্যের প্রভাব, যৌথ পরিবার ভেঙে একক পরিবার গঠন ইত্যাদি বৃদ্ধ জনগোষ্ঠীর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।
বার্ধক্যজনিত মানসিক রোগের মাঝে বিষণ্ণতা রোগ, উদ্বেগজনিত রোগ, ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ রোগ, দেরিতে শুরু হওয়া সিজোফ্রেনিয়া, বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডার বা দ্বি-প্রান্তিক আবেগীয় রোগ, ঘুমের সমস্যা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
বার্ধক্যে মানসিক রোগের সাধারণ সতর্কতামূলক লক্ষণসমূহ হচ্ছে
একটানা হতাশা/ বিষণ্ণতায় ভোগা
ইতিবাচক আবেগ অনুভব না করা
অতিরিক্ত ঘুম, অথবা ঘুম না হওয়ার সমস্যা থাকা
আত্মঘাতী চিন্তা করা
ক্ষুধা, শক্তিস্তর অথবা মেজাজে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসা
মনোযোগে সমস্যা হওয়া, অস্থির থাকা
অতিরিক্ত চাপ বা উদ্বেগ অনুভূতি তৈরি হওয়া
স্বল্পমেয়াদি বা সাম্প্রতিক স্মৃতি শক্তি কমে যাওয়া বা লোপ পাওয়া
রাগ, আন্দোলন বা আগ্রাসন বৃদ্ধি পাওয়া
অবাধ্যতামূলক আচরণ করা
অস্বাভাবিক আচরণ বা চিন্তা করা
স্থায়ী পাচক সমস্যা, শরীর-মাথা ব্যথা, যা সুনির্দিষ্ট শারীরিক রোগের কারণে হচ্ছে বলে প্রমাণ বা ব্যাখ্যা করা যায় না-এমন লক্ষণ দেখা দেয়া।
বৃদ্ধদের মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে যা করণীয়
বৃদ্ধদের সেবা-শুশ্রুষার জন্য স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসকদের মানসম্মত প্রশিক্ষণ প্রদান।
বয়সজনিত দীর্ঘমেয়াদি মানসিক ও শারীরিক রোগ, মাদকাসক্তি ইত্যাদির সুব্যবস্থাপনা ও প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ।
বয়সবান্ধব সেবা এবং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা।
বয়স্কদের স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
মানসিক ও শারীরিক রোগ দ্রুত শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসা প্রদান অপরিহার্য।
মনোসামাজিক সহায়তা, কাউন্সেলিং এবং ঔষধের সমন্বয়ে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।
যেহেতু ডিমেনশিয়া সম্পূর্ণ ভালো করার কোনো ঔষধ আবিষ্কার হয়নি, সেহেতু ডিমেনশিয়া রোগী এবং তাদের পরিচর্যাকারীদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
বৃদ্ধদের নির্যাতন বন্ধে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা।
কমিউনিটিতে বিভিন্ন উন্নয়নমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করা।
বয়স্কদের মাঝে ঝুঁঁকিপূর্ণ আচরণ শনাক্তকরণ এবং তার ব্যবস্থাপনা করা।
বিদ্যমান স্বাস্থ্যসেবার সদ্ব্যবহার করা। কারণ, যদিও আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য সেবার সীমিত ব্যবস্থাপনা রয়েছে, যতটুকু রয়েছে তারও পুরোটা ব্যবহৃত হয় না অসচেতনতা, অজ্ঞতা আর কুসংস্কারের কারণে।
মানসিক স্বাস্থ্য এবং সার্বিক সুস্থতা বৃদ্ধ বয়সেও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ যতটা গুরুত্বপূর্ণ অন্য বয়সে। তাই, যদি কারো পরিবারের বয়স্ক সদস্যের মাঝে মানসিক রোগের উপসর্গ দেখা দেয়, তবে যত দ্রুত সম্ভব প্রাথমিক চিকিৎসক অথবা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করা উচিত, রোগ গুরুতর হওয়ার আগেই সম্ভাব্য মানসিক রোগ নিরূপণ ও সুষ্ঠু চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা উচিত।
সূত্র: লেখাটি মনের খবর মাসিক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত

 #অতিরিক্ত_মানসিক_চাপে_ভুগছেন?  #কি_হতে_পারে_এর_সমাধান?📷স্নায়ু বিশেষজ্ঞদের মতে আমাদের মস্তিষ্ক থেকে তখনই স্ট্রেস হরমোন ন...
13/11/2020

#অতিরিক্ত_মানসিক_চাপে_ভুগছেন?
#কি_হতে_পারে_এর_সমাধান?

📷
স্নায়ু বিশেষজ্ঞদের মতে আমাদের মস্তিষ্ক থেকে তখনই স্ট্রেস হরমোন নিঃসরিত হয় যখন আমরা খুব অপরিচিত এবং অনভ্যস্ত অবস্থায় পড়ে যাই। এটি যে কোন সময়ে যে কারও সাথেই হতে পারে। অনাকাঙ্ক্ষিত যে কোন কিছুই আমাদের মানসিক চাপের মাঝে ফেলে দেয় এবং আমাদের মস্তিষ্ক থেকে স্ট্রেস হরমোন নির্গত হয়। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলেও বিশেষ সমস্যার কারণ তখন হয়ে ওঠে যখন এর মাত্রা বেড়ে যায়।
মানসিক চাপের কারণে যখন আমাদের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যহত হয় তখনই এটি সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয় যার সমাধান করা অত্যন্ত প্রয়োজন।
যখন অধিক মাত্রায় স্ট্রেস হরমোন নিঃসরিত হয় আমাদের নার্ভাস সিস্টেম আমাদের হৃদ যন্ত্রের গতি বাড়িয়ে দেয়, শ্বাসপ্রশ্বাসের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, আমরা অধিক মাত্রায় ঘামি এবং আমাদের মানসিক উত্তেজনাও বেড়ে যায়। এভাবে যখন আমরা অত্যধিক মাত্রায় মানসিক চাপের মাঝে থাকতে শুরু করি আমাদের নার্ভাস সিস্টেম একেবারেই অনিয়ন্ত্রিত আচরণ করতে শুরু করে। মানসিক উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি না হলেও অকারণে আমাদের নার্ভাস সিস্টেম অনিয়ন্ত্রিত আচরণ করতে থাকে। এ কারণে, মানসিক চাপের স্থায়ী সমাধান করতে হলে আমাদের প্রথমে নার্ভাস সিস্টেমকে পুনরায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হবে। নাহলে কোন বড় ধরণের দুর্ঘটনা যে কোন সময় আমাদের সাথে ঘটতে পারে।
আমাদের নার্ভাস সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের প্রথমেই প্রয়োজন মস্তিস্ককে এই সংকেত পাঠান যে আমাদের চারপাশের পরিবেশ আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই সংকেত মস্তিষ্কে পৌঁছলে মস্তিষ্ক থেকে স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ বন্ধ হবে এবং আমাদের নার্ভাস সিস্টেম পুনরায় আমাদের নিয়ন্ত্রণে এসে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করবে।
অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকা মানুষ ঠিক এই কাজটিই করতে ব্যর্থ হয়। তারা মস্তিষ্ককে এই সংকেত পাঠাতে ব্যর্থ হয় যে আমাদের চারপাশের পরিবেশ আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ কারণে তদের নার্ভাস সিস্টেম স্বাভাবিক আচরণ না করে অনিয়ন্ত্রিত আচরণ করে। যেমন, কোন রকম মানসিক চাপে যদি আমাদের হৃদ যন্ত্রের গতি বেড়ে যায় আমরা এটা ভেবে নেই যে আমাদের হয়তো হার্ট এট্যাক করবে বা আরও খারাপ কিছু হয়ে যাবে। এতে আমাদের মস্তিষ্ক থেকে আরও বেশি পরিমাণে স্ট্রেস হরমোন নিঃসরিত হয় এবং আমাদের মানসিক চাপ আরও বৃদ্ধি পায়।
এই স্ট্রেস হরমোনের কারণে আমাদের শরীর ঘামতে শুরু করে এবং হৃদ যন্ত্রের গতি আরও বেড়ে যায়। এ সময় আমাদের মাঝে চিন্তা শক্তি লোপ পায় এবং এই পরিস্থিতি আমাদের মনে হার্ট এট্যাকের ধারণা আরও প্রবল হয় কিন্তু আসল পরিস্থিতি কিন্তু মোটেও তেমনটা নয়। এভাবেই পরিস্থিতির প্রতি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এবং মস্তিষ্ককে ভুল সিগন্যাল পাঠিয়ে আমরা অনেক ছোট বিষয়কেও অনেক বড় বানিয়ে ফেলি এবং অযথা অতিরিক্ত মানসিক চাপ আমাদের শারীরিক এবং মানসিক ক্ষতি সাধন করে।
একজন ব্যক্তি নিজের চেষ্টাতেই এই সমস্যার সমাধান করতে পারে। এজন্য প্রয়োজন স্থির মানসিক স্থিতি এবং ইচ্ছা শক্তি। ইচ্ছা শক্তি থাকলে মানুষ অনেক মানসিক চাপের মধ্যেও স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখতে পারে আবার স্বাভাবিক অবস্থাকেও অস্বাভাবিক করে তুলতে পারে। মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে আমাদের উচিৎ সে সব পরিস্থিতি এড়িয়ে চলা যা আমাদের মানসিক চাপ বাড়ানোর পেছনে কাজ করে। আমাদের শুধু আমাদের মস্কিস্ককে এই সিগন্যাল পাঠাতে হবে যে আমারা সব পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারি এবং সব কিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মস্কিস্ক যখন স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ করবেনা আমাদের নার্ভাস সিস্টেমও সুষ্ঠু ভাবে কাজ করতে পারবে।
এভাবে আমরা অতিরিক্ত মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ জীবন যাপন করতে পারব।
Collect from (monerkhobor)

 #স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
10/08/2020

#স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

08/08/2020
05/08/2020

#কারা দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি!

চিনে সুস্থ হওয়া রোগীদের মধ্যে প্রায় এক তৃতীয়াংশের শরীরে নতুন করে করোনার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় দুই শতাধিক মানুষ নতুন করে আক্রান্ত। খবর এসেছে জাপান ও ইরান থেকেও। এমনকি, ভারতেও দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে।

ফলে চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীদের কপালে যেমন চিন্তার ভাঁজ ও অস্বস্তি; তেমনি আতঙ্কে সাধারণ মানুষও।একাধিকবার রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরও কেন আবার রোগে পড়া!রোগ কেনফিরছে?
সংক্রামক রোগের চিকিৎসক অমিতাভ নন্দী জানিয়েছেন, ‘মূলত দু’টি কারণে এ রকম হতে পারে— হয় রোগটা আবার হয়েছে, অর্থাৎ, রোগের শিকড় শরীরেই ছিল। নয়তো ভাইরাস নিজেকে পাল্টে নতুনরূপে দেখা দিয়েছে। ’

তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা চলাকালীন যখন ওষুধে জীবাণুতে লড়াই হয়, জীবাণুরা চেষ্টা করে নিজেদের মিউটেট করে ওষুধকে হারাতে।

কিছু জীবাণু তা করেও ফেলে। ফলে রক্তে এরা বেঁচে থাকে। প্রথম বার রোগ সারার ২-৩ সপ্তাহ পর আবার ফিরে আসে একটু বাড়াবাড়ি রূপে। কোভিডের কোনও ওষুধ নেই। ফলে ভাইরাস শরীরে ঢুকলে তার সঙ্গে লড়াই করে শরীরের অ্যান্টিবডি।

প্রথম লড়াইয়ে ভাইরাস দমে গেলেও নিঃশেষ হয় না। তখন হয়তো ভাইরাস ও অ্যান্টিবডি থেকে যায় পাশাপাশি। যখন সময়ের সঙ্গে অ্যান্টিবডি কমতে শুরু করে, ফের মাথাচাড়া দেয় ভাইরাস। রোগ ফিরে আসে। আর যদি অ্যান্টিবডির সঙ্গে লড়তে লড়তে ভাইরাস মিউটেট হয়ে যায়, তাহলে যারা নিজেদের পাল্টাতে পারল না তারা মরে গিয়ে রোগ তখনকার মতো সারলেও পরিবর্তিত ভাইরাসগুলো আবার সময়ের সঙ্গে বংশবৃদ্ধি করে এবং রোগ হিসেবে ফিরে আসে। তখন কী কারণে রোগ ফিরে এল তা সঠিক ভাবে জানতে হলে রোগীর শরীর থেকে ভাইরাস নিয়ে তার জেনেটিক ম্যাপিং করতে হবে। ”

কাদের রোগ ফিরবে, কাদের নয় অমিতাভ নন্দীর মতে, নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যায় না এখনও। তবে মনে হয়, যাদের সংক্রমণ হালকা হয় ও উপসর্গ দেখা দিতে কিছুটা সময় পার হয়ে যায়, তাদের দ্বিতীয় বার রোগে পড়ার আশঙ্কা কম। কারণ ততদিনে ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে লড়তে প্রচুর অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। তারাই কাজ করে রক্ষাকবচ হিসেবে। তবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলে এই সুবিধে পাওয়া যায় না সব সময়।

সুস্থ হওয়ার কত দিন পর স্বাভাবিক জীবন ? অমিতাভ নন্দী বলেন,“রোগ ভালো হওয়ার দু’টি রূপ,
(১) উপসর্গ কমে রোগী সুস্থ হয়ে গেলেন,
(২) ভাইরাস নির্মূল হল।

শরীর যতক্ষণ না ভাইরাসমুক্ত হচ্ছে, আশঙ্কা থেকেই যায় যে আবার রোগে পড়তে পারেন বা রোগ ছড়াতে পারেন। তবে আবার বলছি, নিশ্চিত করে বলার সময় এখনও আসেনি। আসলে এই রোগের কোনও ওষুধ নেই বলেই সমস্যা হচ্ছে। অ্যান্টিবডির সঙ্গে লড়াইয়ে ভাইরাসের মাত্রা কমে, কিন্তু সব সময় নির্মূল হয় না।

কোন পরীক্ষায় জানা যাবে?
আরটিপিসিআর পরীক্ষা করলে জানা যায় শরীরে ভাইরাস আছে কি নেই। কিন্তু এই পরীক্ষা শেষ কথা বলবে সেটাও নয়। কাজেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসা মাত্র মেলামেশা করা ঠিক নয়। অন্তত দু’তিন মাস কড়া নজরদারিতে থাকতে হবে। ঘন ঘন টেস্ট করাতে হবে। তবে বলা যাবে তিনি স্বাভাবিক জীবনে কবে নাগাদ ফিরতে পারবেন।

সূত্র: আনন্দবাজার

Address

Cumilla
Cumilla

Telephone

+8801905288726

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.Azad kamal posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category