19/07/2025
এই গরমে ঠান্ডা, সর্দি ও কাশি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কারণ গরমে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান, এসি বা ফ্যানের নিচে ঘাম নিয়ে বসা, অথবা হঠাৎ তাপমাত্রার পরিবর্তনে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। নিচে কিছু কার্যকর পরামর্শ দিলাম যেগুলো মানলে ঠান্ডা-কাশি থেকে বাঁচা যেতে পারে।
বাঁচার উপায় ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা:
১. ঠান্ডা পানি ও বরফজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি, বরফমিশ্রিত শরবত বা আইসক্রিম একদম কম খান।
২. ঘাম নিয়ে ফ্যান বা এসির নিচে বসবেন না। ঘাম শুকিয়ে গেলে বা শরীর শুকিয়ে নিলে তারপর ঠান্ডা পরিবেশে থাকুন।
৩. পর্যাপ্ত পানি ও হালকা গরম তরল পান করুন।
হালকা গরম পানি, আদা-লেবুর চা বা তুলসী পাতার চা ঠান্ডা-কাশিতে উপকারী।
৪. বাতাসে ধুলোবালি এড়িয়ে চলুন।বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করুন। ধুলাবালিতে অ্যালার্জি বা সর্দি হতে পারে।
৫. রাতের বেলা গা ঢাকা দিয়ে ঘুমান।
রাতের ঠান্ডা হাওয়া শরীরে লাগলে ঠান্ডা লাগতে পারে।
৬. গার্গল বা গরম পানির ভাপ। গলা ব্যথা বা কাশি শুরু হলে হালকা লবণ পানি দিয়ে গার্গল করুন। গরম পানির ভাপ (steam) নিলে নাক ও গলা পরিষ্কার থাকে।
৭. ইমিউনিটি শক্তিশালী রাখুন। ভিটামিন সি জাতীয় ফল (লেবু, কমলা, আমলকি) বেশি খান। সঠিক ঘুম এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি।
যখন ডাক্তার দেখানো দরকার:
• ৩-৪ দিনের বেশি সর্দি বা কাশি থাকলে
•গলা অনেক ব্যথা হলে বা জ্বর আসে
•শ্বাস নিতে কষ্ট হলে
ঘরোয়া প্রতিকার:
১. আদা-লেবু-চা (Ginger Lemon Tea):
১ কাপ পানি ফুটিয়ে তাতে ১ চামচ আদা কুচি দিন। একটু লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খালি পেটে খেতে পারেন। দিনে ২ বার খেলে গলা ব্যথা ও কাশি কমে।
২. তুলসী পাতার চা:
৫-৬টি তাজা তুলসী পাতা ১ কাপ পানিতে ফুটান। চাইলে আদা বা মধু যোগ করতে পারেন। সর্দি, হাঁচি ও নাক বন্ধে দারুণ কাজ করে।
৩. মধু ও কালো গোলমরিচ:
১ চামচ মধুর সাথে এক চিমটি গুঁড়ো গোলমরিচ মিশিয়ে খেতে পারেন দিনে ২ বার। কাশি ও গলার খুসখুসে ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
৪. গরম পানির ভাপ (Steam Inhalation):
গরম পানিতে ১-২ ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল মিশিয়ে মুখ ঢেকে ভাপ নিন। নাক বন্ধ ও কফ পরিষ্কারে দারুণ কার্যকর।
৫. লবণ পানি দিয়ে গার্গল:
গরম পানিতে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে গার্গল করুন দিনে ২-৩ বার। গলার ব্যথা ও ইনফেকশন কমায়।
৬.পেঁয়াজ ও রসুন:
পেঁয়াজ কুচি ও রসুন খাওয়া শরীর গরম রাখে এবং ভাইরাস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
নোট:
এই সব পদ্ধতিগুলো সাধারণ ঠান্ডা-কাশিতে ভালো কাজ করে। তবে যদি জ্বর বেশি হয় বা ৩ দিনের বেশি থাকে ও কাশি খুব শুকনো বা গভীর হয়, তাহলে দ্রত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।