30/11/2016
মাথায় খুশকি কেন হয় এবং হলে কি কি করণীয়?
মাথার খুশকি কি কারণে হয়, সেটা এখনও সঠিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। এই আর্টিকেলটিতে খুশকি হওয়ার সম্ভাবনীয় কারণগুলো হল নিম্নরূপঃ
খুশকির কারণসমূহ-
১। সেবোরিক ডারমাটাইটিস (যন্ত্রনাদায়ক তৈলাক্ত ত্বক)- এই সমস্যায় যারা ভুগে, তাদের খুশকি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সেবোরিক ডারমাটাইটিস শরীরের অনেক জায়গায়, যেমন কানের পেছন, বুকের নিচের অংশ ও নাকের পাশের জায়গাগুলোতে প্রভাব বিস্তার বেশি করে। আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বক হয়ে উঠবে লালচে ও তৈলাক্ত এবং ত্বকের উপর সাদা সাদা বা হলদে স্পট ছড়িয়ে পড়ে।
সেবোরিক ডারমাটাইটিসের ‘মেলাসেযিয়া’ নামক এক ছত্রাকের সঙ্গে সম্পর্ক আছে। এই ছত্রাকটি মানুষের মাথায় স্বাভাবিক ভাবে বসবাস করে এবং এটা মাথার ত্বক থেকে ক্ষরিত তেল আহরন করে। সাধারণত এটি কোন ক্ষতির কারণ হয় না কিন্তু এটা অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেলে মাথার ত্বকে চুলকানি হয় ও মাথার ত্বকে অতিরিক্ত চামড়ার স্তর বৃদ্ধি পায়। এই অতিরিক্ত চামড়াগুলো পরে মরে যায় এবং মাথার তেলের সঙ্গে মিশ্রিত হয়ে খুশকিতে পরিণত হয়।
২। নিয়মিত চুল না আঁচড়ানো- যারা নিয়মিত চুল আঁচড়ায় না, তাদের খুশকি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি কারণ চিরুনি মাথার মরে যাওয়া চামড়াগুলোকে ঝড়ে পরতে সহযোগিতা করে।
৩। ইস্ট- যাদের ত্বক ইস্টের প্রতি সেনসিটিভ, তাদেরও খুশকি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যাদের ত্বকের অবস্থা এরকম তারা সাধারণত দেখে এই সমস্যা গ্রীষ্মকালীন সময় চলে যায় এবং শীতকালীন সময় বৃদ্ধি পায়।
৪। শুষ্ক ত্বক- যারা অতিরিক্ত শুষ্ক চামড়ায় ভুগে, তাদের খুশকি বেশি হয়। শীতের সময় বাহিরের শুষ্ক আবহাওয়া এবং রুমের ভেতর গরম বাতাসে খুশকি বেড়ে উঠে।
৫। যথেষ্ট পরিমাণে শ্যাম্পু না করা- যারা যথেষ্ট পরিমাণে শ্যাম্পু না করে, তাদের মাথায় তেল ও মরা চামড়া জমতে থাকে, জেতার কারণে চুলকনি ও খুশকি হয়।
৬। ‘স্কিন কন্ডিশন’- যাদের সোরায়সিস, একযেমা, ও ত্বকের অন্যান্য বিপর্যস্ত রোগে যারা ভুগে, তারা অন্যদের থেকে খুশকিতে বেশি ভুগে।
৭। চুল ও ত্বকের জন্য পণ্য ব্যবহার করায় অনেকের ত্বকের সঙ্গে খারাপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে, যার কারণে যন্ত্রণাদায়ক খুশকি হতে পারে।
৮। অসুস্থতার কারণ- যারা সন্ন্যাসরোগের আক্রমণ বা হৃদ রোগ থেকে সুস্থ হচ্ছে বা যাদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কম, তাদের খুশকি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
৯। ভোজনপ্রণালী- বিশেষজ্ঞরা বলে যারা জিঙ্ক, ভিটামিন বি এবং ফ্যাট যুক্ত খাবার কম খায়, তাদের খুশকি বেশি হয়।
১০। মানসিক চাপ- বিশেষজ্ঞরা বলেন, মানসিক চাপের কারণে নানা রকমের চর্মরোগ হতে পারে।
খুশকি সমস্যার সেরা সমাধান হল সিলেক্ট প্লাস শ্যাম্পু। আপনি যদি খুশকি সমস্যায় ভোগেন, তাহলে আপনি সপ্তাহে তিনদিন করে চার সপ্তাহ সিলেক্ট প্লাস ব্যবহার করুন। এতেই হবে আপনার চুল ১০০% ড্যান্ড্রাফ ফ্রি।