16/09/2025
Aconitum Napellus (অ্যাকোনাইটাম ন্যাপেলাস)
ভয়, উদ্বেগ, মানসিক এবং শারীরিক যন্ত্রণা, অস্থিরতা এবং হঠাৎ ভয়ের অবস্থা হলো অ্যাকোনাইটের সবচেয়ে প্রধান বৈশিষ্ট্য। এটি হঠাৎ এবং তীব্র আক্রমণকারী রোগ, যার সাথে জ্বর থাকে, সেগুলোর জন্য উপযোগী। রোগী স্পর্শকাতর থাকে এবং চায় না কেউ তাকে স্পর্শ করুক। হঠাৎ করে শারীরিক শক্তি মারাত্মকভাবে কমে যায়।
শুকনো ও ঠান্ডা আবহাওয়া, ঠাণ্ডা বাতাসের প্রবাহ, এবং ঘাম বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে সৃষ্ট রোগ বা অসুস্থতা। এছাড়াও, এটি খুব গরম আবহাওয়ার কারণে হওয়া গ্যাস্ট্রো-ইনটেস্টাইনাল (gastro-intestinal) সমস্যার জন্যও কার্যকর। এটি প্রদাহ এবং প্রদাহজনিত জ্বরের প্রথম দিকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ। এটি সেরাস মেমব্রেন (serous membranes) এবং পেশী টিস্যুগুলিকে প্রভাবিত করে। শরীরের ভেতরের অংশে জ্বালাপোড়া, শিহরণ, ঠান্ডা লাগা এবং অসাড়তা এর অন্যান্য লক্ষণ। এটি ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্যও ব্যবহৃত হয়। অ্যাকোনাইট ধমনীর ওপর চাপ বাড়ায় এবং মানসিক ও শারীরিক চাপজনিত অনেক লক্ষণ এর মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যায়। অ্যাকোনাইট কেবল কার্যগত সমস্যা সৃষ্টি করে, এটি টিস্যুর গঠনে কোনো পরিবর্তন ঘটায় না। এর প্রভাব স্বল্পস্থায়ী এবং নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা মেনে চলে না। এটি রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে কার্যকর এবং প্যাথলজিক্যাল (pathological) পরিবর্তন শুরু হলে এর ব্যবহার বন্ধ করা উচিত। এটি হাইপারেমিয়া (hyperæmia) এবং কনজেশনের (congestion) ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, তবে যখন রোগজনিত নিঃসরণ শুরু হয় তখন নয়।
(Mind):-
যে কোনো অসুস্থতার সাথে ভয়, উদ্বেগ এবং দুশ্চিন্তা থাকে। প্রলাপের সময় রোগীর মধ্যে হতাশা, দুশ্চিন্তা, ভয় এবং প্রলাপের লক্ষণ দেখা যায়, তবে খুব কম ক্ষেত্রেই রোগী অচেতন হয়। রোগী সর্বদা ভয় পায় এবং খারাপ কিছু ঘটার আশঙ্কা করে। রোগীর মধ্যে মৃত্যুর ভয় থাকে এবং সে বিশ্বাস করে যে সে খুব শীঘ্রই মারা যাবে; এমনকি সে মৃত্যুর দিনটিও বলে দিতে পারে। ভবিষ্যতে কী হবে, ভিড় এবং রাস্তা পার হওয়ার ভয়ও তার মধ্যে থাকে। রোগী অস্থির থাকে এবং ছটফট করে। চমকে ওঠার প্রবণতা দেখা যায়। রোগীর কল্পনা শক্তি তীব্র হয়, এবং কিছু ক্ষেত্রে তার মধ্যে দূরদর্শিতার ক্ষমতাও দেখা যায়। ব্যথা এতটাই অসহ্য যে রোগী পাগল হয়ে যায়। গান সহ্য করতে পারে না, গান শুনলে তার মন খারাপ হয়। সে ভাবে যে তার চিন্তাগুলো পেট থেকে আসছে। তার শরীরের কিছু অংশ অস্বাভাবিকভাবে মোটা হয়ে গেছে বলে মনে হয়। কিছুক্ষণ আগে যা ঘটেছে তা একটি স্বপ্ন ছিল বলে মনে হয়।
#মাথা_(Head):-
মাথা ভরা মনে হয়, ভারি, স্পন্দিত, গরম, ফেটে যাওয়ার মতো অনুভূতি, এবং ঢেউয়ের মতো সংবেদন। মাথায় ইন্টারক্র্যানিয়াল প্রেসার (Intercranial pressure) অনুভূত হয়। জ্বালাময় মাথাব্যথা, যেন মস্তিষ্ক ফুটন্ত জল দ্বারা নড়াচড়া করছে। মাথা ঘোরা, বিশেষ করে উঠে দাঁড়ালে এবং মাথা নাড়ালে এর তীব্রতা বাড়ে। মাথার তালুতে এমন অনুভূতি হয় যেন চুল টেনে ধরা হয়েছে বা দাঁড়িয়ে আছে। রাতে তীব্র প্রলাপ দেখা দেয়।
#চোখ_(Eyes):-
চোখ লাল এবং ফোলা। চোখ শুকনো এবং গরম মনে হয়, যেন ভেতরে বালি ঢুকে আছে। চোখের পাতা ফোলা, শক্ত এবং লাল হয়। আলো সহ্য করতে পারে না। শুকনো ও ঠাণ্ডা বাতাসে থাকলে, বরফের প্রতিফলন থেকে বা চোখে কোনো কিছু, যেমন ছাই, পড়ার পর চোখ থেকে প্রচুর জল পড়ে।
#কান_(Ears):-
রোগী শব্দের প্রতি খুব সংবেদনশীল থাকে; গান সহ্য করতে পারে না। কানের বাইরের অংশ গরম, লাল, বেদনাদায়ক এবং ফোলা থাকে। কানে ব্যথা হয়। বাম কানে যেন জলের ফোঁটা পড়েছে এমন অনুভূতি হয়।
#নাক_(Nose):-
ঘ্রাণ খুব সংবেদনশীল হয়। নাকের গোড়ায় ব্যথা হয়। সর্দি এবং প্রচুর হাঁচি; নাকের ছিদ্রে স্পন্দন অনুভূত হয়। উজ্জ্বল লাল রক্তক্ষরণ হয়। নাকের শ্লেষ্মা ঝিল্লি শুকনো থাকে, নাক বন্ধ থাকে; হয় শুষ্ক অথবা সামান্য জলীয় সর্দি থাকে।
#মুখ_(Face):-
মুখ লাল, গরম, ফোলা। একটি গাল লাল এবং অন্যটি ফ্যাকাশে থাকে। উঠে দাঁড়ালে লাল মুখ ফ্যাকাশে বা মৃতবৎ হয়ে যায়, অথবা তার মাথা ঘোরা শুরু হয়। গালে শিহরণ এবং অসাড়তা অনুভূত হয়। বিশেষ করে মুখের বাম দিকে ব্যথা, অস্থিরতা, শিহরণ এবং অসাড়তা দেখা যায়। চোয়ালে ব্যথা হয়।
#মুখ_(Mouth):-
মুখ অসাড়, শুকনো এবং শিহরণ থাকে। জিহ্বা ফোলা; জিহ্বার ডগায় শিহরণ হয়। দাঁত ঠান্ডা সংবেদনশীল। রোগী অবিরাম চোয়াল নাড়াচাড়া করে যেন কিছু চিবোচ্ছে। মাড়ি গরম এবং প্রদাহযুক্ত থাকে। জিহ্বা সাদা প্রলেপযুক্ত থাকে।
#গলা_(Throat):-
গলা লাল, শুকনো, সংকুচিত, অসাড়, কাঁটা কাঁটা, জ্বালাময় এবং ফোলা থাকে। টনসিল ফোলা এবং শুকনো থাকে।
#পাকস্থলী_(Stomach):-
বমি, যার সাথে ভয়, গরম লাগা, প্রচুর ঘাম এবং প্রস্রাব বৃদ্ধি পায়। ঠান্ডা জলের জন্য তৃষ্ণা থাকে। জল ছাড়া অন্য সব কিছুর স্বাদ তেতো লাগে। তীব্র তৃষ্ণা থাকে। রোগী জল পান করে, বমি করে এবং বলে যে সে মারা যাবে। বমি হয়, যা পিত্তযুক্ত শ্লেষ্মা, রক্তাক্ত এবং সবুজ বর্ণের হতে পারে। পাকস্থলীতে চাপ এবং শ্বাসকষ্ট হয়। রক্তবমি হয়। পাকস্থলী থেকে খাদ্যনালীতে জ্বালাপোড়া হয়।
#পেট_(Abdomen):-
পেট গরম, টানটান এবং ফোলা থাকে। স্পর্শকাতর। শূলবেদনা হয়, কোনো অবস্থানই আরাম দেয় না। গরম স্যুপ খেলে পেটের লক্ষণগুলো ভালো হয়। নাভির চারপাশে জ্বালাপোড়া হয়।
#মলদ্বার_(Rectum):-
রাতে মলদ্বারে ব্যথা, চুলকানি এবং সেলাই করার মতো ব্যথা হয়। ঘন ঘন, অল্প অল্প মল হয়, যার সাথে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে; মল সবুজ, যেন কাটা শাকের মতো। মলের রঙ সাদা এবং প্রস্রাব লাল থাকে। কলেরা-সদৃশ লক্ষণ, যার সাথে রোগীর পতন, উদ্বেগ এবং অস্থিরতা থাকে। রক্তক্ষরণজনিত অর্শ্বরোগ হয়। শিশুদের জলীয় ডায়রিয়া হয়। তারা খুব কাঁদে, ছটফট করে এবং ঘুমহীন থাকে।
#প্রস্রাব_(Urine):-
প্রস্রাব অল্প, লাল, গরম এবং বেদনাদায়ক হয়। মূত্রাশয়ের গলায় জ্বালাপোড়া হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে। মূত্রনালীতে জ্বালাপোড়া হয়। প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়, বা রক্তাক্ত হয়। প্রস্রাব শুরু করার সময় সর্বদা উদ্বেগ থাকে। প্রস্রাব আটকে যায়, যার সাথে রোগী চিৎকার করে এবং অস্থির থাকে ও যৌনাঙ্গ স্পর্শ করে। কিডনির জায়গা সংবেদনশীল থাকে। প্রচুর প্রস্রাব হয়, যার সাথে প্রচুর ঘাম এবং ডায়রিয়া থাকে।
#পুরুষ_(Male):-
পুরুষাঙ্গে যেন কিছু হামাগুড়ি দিচ্ছে এবং সেলাই করার মতো ব্যথা হয়। অণ্ডকোষে থেঁতলে যাওয়ার মতো ব্যথা, যা ফোলা এবং শক্ত থাকে। ঘন ঘন উত্থান এবং বীর্যপাত হয়। বেদনাদায়ক উত্থান হয়।
#মহিলা_(Female):-
যোনি শুষ্ক, গরম এবং সংবেদনশীল থাকে। ঋতুস্রাব খুব বেশি, তার সাথে নাক থেকে রক্ত পড়ে। ঋতুস্রাব দীর্ঘস্থায়ী এবং দেরিতে হয়। ঋতুস্রাব শুরু হলে রোগীর মধ্যে উন্মত্ততা দেখা যায়। ভয়, ঠান্ডা বা শারীরিক সক্ষমতার কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। ডিম্বাশয় ভিড়যুক্ত এবং বেদনাদায়ক থাকে। জরায়ুতে তীব্র তীক্ষ্ণ ব্যথা হয়। প্রসবের পরের ব্যথা হয়, যার সাথে ভয় এবং অস্থিরতা থাকে।
#শ্বাসযন্ত্র_(Respiratory):-
বাম বুকে ক্রমাগত চাপ থাকে; সামান্য নড়াচড়ায় শ্বাসকষ্ট বাড়ে। কণ্ঠস্বর কর্কশ, শুকনো, এবং কাশি কর্কশ হয়; শ্বাস-প্রশ্বাস জোরে এবং কষ্টকর হয়। কাশি হলে শিশু গলা ধরে। বাইরের বাতাস খুব সংবেদনশীল হয়। শ্বাস-প্রশ্বাসের স্বল্পতা থাকে। স্বরযন্ত্র সংবেদনশীল থাকে। বুকের মধ্য দিয়ে যেন কিছু সেলাই করছে এমন ব্যথা হয়। কাশি শুকনো, ছোট এবং হালকা হয়; রাতে এবং মধ্যরাতের পরে এটি বাড়ে। ফুসফুসে গরম লাগার অনুভূতি হয়। খকখক করে কফ তোলার সময় রক্ত আসে। কাশির পর বুকে শিহরণ অনুভূত হয়।
#হৃদয়_(Heart):-
হৃদস্পন্দন দ্রুত হয় (Tachycardia)। বাম কাঁধে ব্যথা সহ হৃদরোগ দেখা দেয়। বুকে সেলাই করার মতো ব্যথা হয়। উদ্বেগ, অজ্ঞান হওয়া এবং আঙুলে শিহরণ সহ বুক ধড়ফড়ানি হয়। নাড়ি পূর্ণ, শক্ত, টানটান এবং বাউন্ডিং থাকে; মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে যায়। বসে থাকলে কানের পাশে এবং ক্যারোটিড ধমনী অনুভূত হয়।
#পিঠ_(Back):-
পিঠ অসাড়, শক্ত, বেদনাদায়ক থাকে। হামাগুড়ি দেওয়ার মতো এবং শিহরণ অনুভূত হয়, যেন থেঁতলে গেছে। ঘাড়ের পিছনের অংশ শক্ত থাকে। স্ক্যাপুলার মাঝখানে থেঁতলে যাওয়ার মতো ব্যথা হয়।
#অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ_(Extremities):-
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অসাড় এবং শিহরণযুক্ত; তীর্যক ব্যথা হয়; হাত এবং পা বরফের মতো ঠান্ডা এবং অসাড় থাকে। বাহুগুলো দুর্বল, থেঁতলে যাওয়া, ভারী এবং অসাড় মনে হয়। বাম বাহুতে ব্যথা হয়। হাত গরম এবং পা ঠান্ডা থাকে। জয়েন্টগুলোতে বাতজনিত প্রদাহ হয়; রাতে এর তীব্রতা বাড়ে; জয়েন্টগুলো লাল, জ্বলন্ত ফোলা থাকে এবং খুব সংবেদনশীল হয়। হিপ-জয়েন্ট এবং উরু দুর্বল মনে হয়, বিশেষ করে শুয়ে থাকার পর। হাঁটু দুর্বল; পা বাঁকিয়ে রাখার প্রবণতা থাকে। সব জয়েন্টের লিগামেন্ট দুর্বল এবং শিথিল থাকে। কোনো ব্যথা ছাড়াই সব জয়েন্টে কটকট শব্দ হয়। উভয় হাতের হাইপোথেনার (hypothenar) অংশ উজ্জ্বল লাল থাকে। মনে হয় যেন উরু দিয়ে জলের ফোঁটা গড়িয়ে পড়ছে।
#ঘুম_(Sleep):-
দুঃস্বপ্ন দেখে। রাতে প্রলাপ বকে। উদ্বেগপূর্ণ স্বপ্ন দেখে। ঘুমহীনতা, যার সাথে অস্থিরতা এবং ছটফটানি থাকে। ঘুমের মধ্যে চমকে ওঠে। দীর্ঘ স্বপ্ন দেখে, যার সাথে বুকে উদ্বেগ থাকে। বয়স্কদের অনিদ্রা।
#ত্বক_(Skin):-
ত্বক লাল, গরম, ফোলা, শুষ্ক এবং জ্বলন্ত থাকে। মিজেরির মতো ফুসকুড়ি হয়। লোমকূপের গোড়া শক্ত হয়ে যায়। হামাগুড়ি দেওয়া এবং অসাড়তা অনুভূত হয়। পিঠ দিয়ে ঠান্ডা বাতাস এবং হামাগুড়ি দেওয়ার অনুভূতি হয়। উদ্দীপক ব্যবহার করলে চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
#জ্বর_(Fever):-
ঠান্ডা লাগার পর্যায়টি সবচেয়ে সুস্পষ্ট। ঠান্ডা ঘাম এবং মুখের বরফের মতো ঠান্ডা লাগা। ঠান্ডা এবং গরমের অনুভূতি পর্যায়ক্রমে আসে। বিছানায় যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই সন্ধ্যায় ঠান্ডা লাগা শুরু হয়। তার মধ্য দিয়ে যেন ঠান্ডা ঢেউ বয়ে যায়। তৃষ্ণা এবং অস্থিরতা সর্বদা উপস্থিত থাকে। শরীর থেকে কাপড় সরালে বা স্পর্শ করলে ঠান্ডা লাগে। শুষ্ক তাপ, লাল মুখ থাকে। মানসিক যন্ত্রণা, অস্থিরতা ইত্যাদির সাথে এটি একটি মূল্যবান জ্বর-নাশক ঔষধ। শরীরে ঘাম হলে সব লক্ষণ থেকে উপশম মেলে।
পরিবর্তনশীলতা (Modalities)
* উপশম: খোলা বাতাসে ভালো লাগে।
* বৃদ্ধি: গরম ঘরে, সন্ধ্যা এবং রাতে, আক্রান্ত পাশে শুয়ে থাকলে, গান শুনলে, তামাকের ধোঁয়া এবং শুকনো, ঠান্ডা বাতাসে।
বড় মাত্রায় ভিনেগার বিষাক্ত প্রভাবের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
#সম্পর্ক_(Relationship)
অ্যাসিড, ওয়াইন, কফি, লেমনেড এবং টক ফল এর কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।
অ্যাকোনাইট ম্যালেরিয়া এবং মৃদু জ্বরে, বা হেকটিক (hectic) এবং পাইমিয়া (pyæmic) অবস্থায়, এবং প্রদাহ যখন স্থানীয়করণ হয় তখন কার্যকর নয়। সালফার প্রায়শই এর পরে ব্যবহার করা হয়। তীব্র ব্যথা এবং ঘুমহীনতার ক্ষেত্রে ক্যামোমিলা (Cham) এবং কফিয়া (Coffea) এর সাথে এর তুলনা করা হয়।
অ্যাগ্রোসটিস (Agrostis) জ্বর এবং প্রদাহে অ্যাকোনাইটের মতো কাজ করে, তেমনি স্পাইরান্থেস (Spiranthes)-ও।
* পরিপূরক (Complementary): কফিয়া; সালফার। সালফারকে প্রায়শই দীর্ঘস্থায়ী অ্যাকোনাইট হিসাবে বিবেচনা করা হয়। প্রায়শই অ্যাকোনাইট দিয়ে শুরু করা আরোগ্যের প্রক্রিয়া সালফার সম্পন্ন করে।
* তুলনা: বেলাডোনা (Bellad); ক্যামোমিলা (Cham); কফিয়া (Coffea); ফেরুম ফস (Ferr, phos)।
অ্যাকোনাইটিন (Aconitine): ভারী অনুভুতি হয়, যেন সীসা দিয়ে তৈরি; সুপ্রাঅরবিটাল (supraorbital) স্নায়ুতে ব্যথা; বরফের মতো ঠান্ডা অনুভূতি শরীরে বয়ে যায়; জলাতঙ্কের লক্ষণ দেখা দেয়। কানে ভোঁ ভোঁ শব্দ হয় (3x)। শিহরণ সংবেদন।
অ্যাকোনাইটাম লাইকোটোনিয়াম (Aconitum Lycotonum): (হলুদ উল্ফসবেন (wolfsbane)) - গ্রন্থি ফোলা; হজকিন’স রোগ। শুয়োরের মাংস খাওয়ার পর ডায়রিয়া। নাক, চোখ, মলদ্বার এবং ভালভায় চুলকানি। নাকের ত্বক ফাটা; রক্তের স্বাদ।
অ্যাকোনাইটাম ক্যামারাম (Aconitum Cammarum): মাথা ঘোরা এবং কানে ভোঁ ভোঁ শব্দ সহ মাথাব্যথা। ক্যাটালেপ্টিক (Cataleptic) লক্ষণ। জিহ্বা, ঠোঁট এবং মুখে হামাগুড়ি দেওয়ার অনুভূতি।
অ্যাকোনাইটাম ফেরক্স (Aconitum ferox): (ইন্ডিয়ান অ্যাকোনাইট) - অ্যাকোনাইটাম ন্যাপেলাস-এর চেয়ে এটি আরও বেশি তীব্রভাবে কাজ করে। এটি আরও বেশি মূত্রবর্ধক এবং কম জ্বর-নাশক। কার্ডিয়াক ডিস্পনিয়া (cardiac dyspnœa), নিউরালজিয়া (neuralgia) এবং তীব্র গেঁটেবাতের ক্ষেত্রে এটি মূল্যবান প্রমাণিত হয়েছে। শ্বাসকষ্ট। রোগীকে বসে থাকতে হয়। দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস। শ্বাস-প্রশ্বাসের পেশীতে পক্ষাঘাতের অনুভূতির কারণে উদ্বেগ এবং দমবন্ধ ভাব। চেয়েন-স্টোকস (Cheynes-Stokes) শ্বাস-প্রশ্বাস।
#মাত্রা_(Dose):-
সংবেদনশীল রোগের জন্য ৬ষ্ঠ শক্তি; কনজেসটিভ (congestive) অবস্থার জন্য ১ম থেকে ৩য় শক্তি। তীব্র রোগে এটি ঘন ঘন পুনরাবৃত্তি করতে হবে। অ্যাকোনাইট দ্রুত কাজ করে। নিউরালজিয়াতে মূলের টিংচার প্রায়শই পছন্দ করা হয়, এক ফোঁটা করে (বিষাক্ত), বা রোগীর সংবেদনশীলতা অনুসারে ৩০তম শক্তি।