
01/08/2024
#ব্রেস্ট #ফিডিং (মাতৃদুগ্ধ পান)
★জন্মের পরে একটি শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধের বিকল্প নাই।
★★উপকারিতা
★মায়ের দুধের অ্যান্টিবডি শিশুর প্রথম টিকা হিসেবে কাজ করে।
★শিশুর দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা, বাড়ায়।
★শিশুকে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসনালির রোগ, হাঁপানি, অ্যালার্জি থেকে রক্ষা করে।
★মায়ের দুধ শিশুকে অন্ত্রের সমস্যা থেকে রক্ষা করে। এই দুধ তাড়াতাড়ি হজম হয় এবং এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় না।
★ সব সময় তৈরি থাকে মায়ের বানানোর ঝামেলা নাই।
★গরম করার প্রয়োজন হয়না।
★মা যখন চান,পান করাতে পারেন।
★এতে মাও বাচ্চার সম্পর্ক ভালো হয়।আস্থা তৈরি হয়।
★★কতদিন খাবে-
জন্মের পর থেকে ৬ মাস শুধু মায়ের দুধ পান করবে।
৬ মাস পর মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্য খাবার গ্রহন করবে। এইভাবে ২ বছর পর্যন্ত পান করবে। তবে ৬ মাস পর পান করানো আস্ত আস্তে কমিয়ে, শিশুকে ঘরের তৈরী খাবারে অভস্ত্য করতে হবে।২ বছরের আগে গরুর দুধ দেয়া যাবে না।
★★খাওয়ানোর নিয়ম-
*মা খাওয়ানোর আগে ২ গ্লাস পানি পান করবে।
*পিঠ সোজা করে বসবে।
*বাচ্চাকে লম্বা করে হাতে সোয়াবে।
*বাচ্চার মুখ পুরো খোলা থাকতে হবে।
*ব্রেস্টের নিপল এবং কালো অংশ বাচ্চার মুখে থাকবে।
*খাওয়ানোর পরেও ২ গ্লাস পানি পান করবে।
*খাওয়ানোর আগে পড়ে স্তন পরিষ্কার করে নিতে হবে।
★★কতবার খাওয়াবে-
*নবজাতককে ২-২.৫ ঘন্টা পর পর ২৫ -৩০ মিনিট খাওয়াবে দিনের বেলা। রাতে ৩-৪ ঘন্টা ব্যবধানে খাওয়াতে হবে,যদি ঘুমে থাকে।
★★কিভাবে বুঝা যাবে দুধ পর্যাপ্ত পাচ্ছে কিনা?
*বাচ্চা যদি এক্টিভ থাকে আর দিনে ৬ বার প্রস্রাব করলেই বুঝতে হবে বাচ্চা দুধ পাচ্ছে। এর পরেও যদি কান্না করে চিন্তা করবেন না। বার বার পান করাবেন। তবে কৌটার দুধ দিবেন না।
★★কিভাবে দুধের পরিমান বৃদ্ধি পাবে-
*পানির কোন বিকল্প নাই। ১৪-১৬ গ্লাস পানি পান করতে হবে।
*রসালো ফল খেতে হবে-তরমুজ,পেপে।
*লাউ, পেপের ঝোল।
*ছোট মুরগীর ঝোল, মাছের ঝোল।(শিং,শোল মাছ)
*ডিম,দুধ,বাদাম,মধু,খেজুর খাবারে রাখতে হবে।
*কালি জিরা,রসুন,মৌরি,মেথি,ওটমিল।
*সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ডি,মাল্টিভিটামিন মেডিসিন খাবেন।
*এর পরেও কম হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
★★কিভাবে সংরক্ষণ করবেন-
*যারা বাহিরে,অফিসে যান উনারা চাইলে দুধ সংরক্ষণ করতে পারেন।
*স্তন চিপে বা পাম্প করে ফিডারে বা কাচের ঝারে নিয়ে ৬ ঘন্টা রুমের তাপমাত্রায় রাখা যাবে। নরমাল ফ্রিজে রাখলে ২৪ ঘন্টা,ডিপে ৬ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। যখন পান করানো হবে, যতটুকু লাগে ওইটুকুই ফিডারে নিয়ে গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে গরম করতে হবে, সরাসরি চুলায় গরম করা যাবে না।
★★★ পরিশেষে বলবো,আল্লাহ মানুষের রিজিক দাতা৷ উনি যখন মানব সন্তান পাঠান, তার জন্য খাবারও নির্ধারণ করেন। কাজেই ধৈর্য্য ধরতে হবে।
মনোবল ঠিক রাখতে হবে। প্রথম তিন দিন পানি পানি হলুদ বর্নের,আঠালো দুধ আসে,যাকে আমরা শালদুধ বলি,এই দুধের পুষ্টি অনেক।৷ পরে দুধের পরিমাণ বাড়ে। তাই অস্থির হয়ে কৌটার দুধ দিবেন না।মা মানষিক ভাবে যদি শান্ত না থাকেন দুধ আসবে না।দুধ আসা যে হরমোনের উপর নির্ভের করে তা মাথা থেকে আসে। তাই গর্ভে বাচ্চা থাকা অবস্থায় নিজেকে মনষিক ভাবে প্রস্তুত করুন,প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।