26/02/2023
⭕রসুলুল্লহ সঃ এর হাদীস ও বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে হিজামা⁉️
⭕হাদীসের বর্ণনাঃ-
⭐️রাসুল (সা.) তার মাথা ব্যথার জন্য, পায়ে, পিঠে, পিঠের ব্যথার জন্য দুই কাঁধের মাঝখানে, ঘাড়ের দুই রগে ও হাড় মচকে গেলে। (বোখারি, হাদিস : ৫৭০০; নাসায়ি, হাদিস : ২৮৫২; আবুদাউদ, হাদিস : আরও বলেন, তোমরা যেসব পদ্ধতিতে চিকিৎসা করাও হিজামা সেগুলোর মধ্যে উত্তম ব্যবস্থা অথবা (বলেছেন) এটি তোমাদের ওষুধের মধ্যে অধিক ফলপ্রসূ।’ (মুসলিম, হাদিস : ৩৯৩০)
🌟হাদিসে আছে, জাবির বিন আবদুল্লাহ (রা.) অসুস্থ মুকান্নাকে দেখতে যান। এরপর তিনি বলেন, ‘আমি সরবো না, যতক্ষণ না তুমি হিজামা লাগাবে। কেননা আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, নিশ্চয়ই এর (হিজামার) মধ্যে নিরাময় রয়েছে।’ (বোখারি, হাদিস : ৫৬৯৭)
🌟আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) রাসুল (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, ‘রোগমুক্তি তিনটি জিনিসের মধ্যে নিহিত।
১.হিজামা করা
২.মধু পান করা এবং
৩.আগুন দিয়ে গরম দাগ দেওয়ার মধ্যে।
তবে আমি আমার উম্মতকে আগুন দিয়ে গরম দাগ দিতে নিষেধ করি।’ (বোখারি, হাদিস : ৫৬৮১)
🌟জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, নবী করিম (সা.)-এর (পায়ে) যে ব্যথা ছিল, তার জন্য তিনি ইহরাম অবস্থায় হিজামা লাগিয়েছিলেন। (নাসায়ি, হাদিস : ২৮৫২)
🌟আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) মিরাজে যাওয়ার সময় তিনি ফিরিশতাদের যে দলের কাছ দিয়ে অতিক্রম করেন, তারা বলেন, ‘আপনি অবশ্যই হিজামা করাবেন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৬২)
🌟মিরাজের রাত সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এই রাতে ফিরিশতাদের যে দলের সম্মুখ দিয়েই তিনি যাচ্ছিলেন, তারা বলেছেন, ‘আপনার উম্মতকে হিজামার নির্দেশ দিন।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৪৭৯; তিরমিজি, হাদিস : ২০৫২
⭕হিজামার কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যাঃ
💠লিম্ফেটিক সিস্টেমকে ক্লিন করে
ফলে ক্যান্সার সেলসহ
বিভিন্ন ক্ষতিকর ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া এবিং বিভিন্ন ক্ষতিকর কেমিক্যাল পরিষ্কারের সাহায্য করে।
💠হিজামা করার দ্বারা নাইট্রিক অক্সাইড রিলিজ হয় ফলে ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি পায় এবং কোষাভ্যন্তরে প্রয়োজনীয় নিউট্রিশন সহজেই পৌঁছাতে পারে।
💠রিফ্লেক্স সিস্টেমকে এক্টিভেট করার মাধ্যমে অটোনমিক নার্ভাস সিস্টেমকে কন্ট্রোল করে
৪.ব্লাড ডিটক্সিফিকেশনের মাধ্যমে রক্ত বিদ্যমান ক্ষতি করে ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, ক্রিয়েটিনিন কোলেস্টেরল, বিলিরুবিন ইত্যাদি নিস্কাশন করে এবং দ্রুত
সুস্থতায় সাহায্য করে।
💠এন্টিবডি তৈরির মাধ্যমে সার্বিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে বৃদ্ধি করে।
💢হিজামা চিকিৎসা দ্বারা কি কি রোগের উপকার হয়?
🩺যে কোন ধরনের বাত ও ব্যাথা
যেমনঃ মাথা ব্যাথা ( সাইনোসাইটিস, মাইগ্রেন ইত্যাদি ),
ঘাড় ব্যাথা, হাতে ব্যাথা, পিঠে ব্যাথা, কোমড় ব্যাথা, পায়ের পেশীতে চাবানো ব্যাথা,
হাটু ব্যাথা, গোড়ালী ব্যাথা ইত্যাদি।
🩺এছাড়াও যে কোন ধরনের চর্ম রোগ
যেমন: মুখে ব্রণ, মাথায় খুশকি, এলার্জি, সোরিয়াসিস ইত্যাদি।
তাছাড়াও চুল পড়া রোধে হিজামা অত্যন্ত কার্যকর।
🩺উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে হিজামা কার্যকর।
🩺এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অর্গান ভিত্তিক সমস্যা যেমন কিডনি ও লিভার ইত্যাদির সমস্যায় হিজামার দ্বারা দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
🩺এছাড়াও পেটের সমস্যায় ও যৌন সমস্যায়, অনিয়মিত মাসিক,
বন্ধ্যাত্ব ইত্যাদি।
এ্যাজমা সমস্যায় , ঘুম না হওয়া , থাইরয়েড সহ যে কোন হরমোনাল সমস্যা, স্বরণশক্তি বৃদ্ধিতেও হিজামা অতুলনীয়
নেশার আশক্তি কমাতেও হিজামা কার্যকর।
হিজামা কিওর সেন্টার
হাবিব কমপ্লেক্স ২য় তলা
মাজার রোড,
দক্ষিনখান বাজার
দক্ষিনখান, ঢাকা-১২৩০
☎️01969271272