Health Tips And Tricks

Health Tips And Tricks প্রতিদিন দারুণ দারুণ টিপস এবং ট্রিকস ?

24/11/2025

✅ শরীরের ব্যথা অনুযায়ী কোন ওষুধ ব্যবহার করা হয় (সাজানো তালিকা)

---

১) মাথাব্যথা

সম্ভাব্য ওষুধ:

Paracetamol (শিশু-বৃদ্ধ সবার জন্য নিরাপদ মাত্রায়)

Ibuprofen (অ্যাসিডিটি বা কিডনি সমস্যা থাকলে এড়ানো ভালো)

সতর্কতা:

ঘন ঘন হলে মাইগ্রেন হতে পারে — ডাক্তার দেখাতে হবে।

---

২) দাঁতের ব্যথা

সম্ভাব্য ওষুধ:

Paracetamol

Ibuprofen

Dental gel (e.g., Benzocaine gel)
সতর্কতা:

দাঁতের ব্যথা কখনোই শুধু ওষুধে ঠিক হয় না — ডেন্টিস্ট দেখাতে হবে।

---

৩) গলা ব্যথা / টনসিল

সম্ভাব্য ওষুধ:

Paracetamol

গরম পানি

লবণ পানি দিয়ে গার্গল

যদি ব্যাকটেরিয়াল হয়, ডাক্তার অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারেন — নিজে থেকে খাবেন না।

---

৪) পেট ব্যথা

কারণভেদে ভিন্ন ওষুধ লাগে।

গ্যাস / অ্যাসিডিটি

Antacid (জেলুসিল, ম্যাগালডি)

Omeprazole / Esomeprazole (ডাক্তারের পরামর্শে)

ডায়েরিয়ার সঙ্গে পেট ব্যথা

ORS

Zinc

Probiotics

কর্মাটিভ ব্যথা (গ্যাস জমা)

Simethicone

---

৫) বুক ব্যথা

এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ⚠️
ওষুধ না—ডাক্তারের কাছে দ্রুত যেতে হবে।

---

৬) কোমর ব্যথা / লোয়ার ব্যাক পেইন

Paracetamol

Ibuprofen

Muscle relaxant (e.g., Aceclofenac + Paracetamol + Chlorzoxazone) — শুধু ডাক্তারের পরামর্শে

---

৭) ঘাড় ব্যথা / কাঁধ ব্যথা

Paracetamol

Ibuprofen

মলম/জেল (Volini, Fast gel, Flexil)

গরম সেঁক

---

৮) জয়েন্ট ব্যথা (হাঁটু, হাত, কনুই)

Paracetamol

Ibuprofen

Diclofenac gel বা Emulgel

কোলাজেন বা ভিটামিন D — ডাক্তারের পরামর্শে

---

৯) পেশীর ব্যথা / শরীর ব্যথা

Paracetamol

Ibuprofen

Muscle relaxant (ডাক্তারের পরামর্শে)

গরম সেঁক

---

১০) মাসিকের ব্যথা

Mefenamic acid

Ibuprofen

Paracetamol

গরম সেঁক নিচের পেটে

---

১১) সর্দি-জ্বরের সঙ্গে শরীর ব্যথা

Paracetamol

Antihistamine (Cetirizine, Fexofenadine)

গরম পানি

বিশ্রাম

---

⚠️ গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা

গর্ভবতী, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি রোগী—নিজে থেকে কোনো ব্যথার ওষুধ খাবেন না।

Ibuprofen / Diclofenac—পেটে সমস্যা থাকলে এড়িয়ে চলুন।

ব্যথা ২–৩ দিনের বেশি থাকলে কারণ বের করানো জরুরি।

 #দাঁতের_ক্ষয়(Tooth Decay) কী?​দাঁতের ক্ষয় হলো প্ল্যাক (Plaque)-এ থাকা অ্যাসিড উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট এন...
23/11/2025

#দাঁতের_ক্ষয়(Tooth Decay) কী?
​দাঁতের ক্ষয় হলো প্ল্যাক (Plaque)-এ থাকা অ্যাসিড উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট এনামেল এবং ডেন্টিন -এর ক্রমাগত ভাঙন।
​সময়ের সাথে সাথে, এটি দাঁতকে দুর্বল করে দেয়, গহ্বর বা ক্যাভিটি তৈরি করে এবং যদি দ্রুত চিকিৎসা করা না হয়, তবে এটি সংক্রমণ (Infection) ও দাঁত হারানোর কারণ হতে পারে।

​🦷 #দাঁতের_ক্ষয়_বা_ক্যাভিটির_কারণ_কী?
​প্ল্যাক (Plaque)-এর ব্যাকটেরিয়া যখন শর্করা (Sugars) হজম করে এবং অ্যাসিড তৈরি করে, তখন এই অ্যাসিড বারবার এনামেলকে আক্রমণ করে, যার ফলে দাঁতের ক্ষয় হয়।
​উচ্চ শর্করাযুক্ত খাবার,ঠিকমতো দাঁত না মাজা (poor brushing), ঘন ঘন খাবার খাওয়া, মুখের শুষ্কতা (dry mouth), এবং কম ফ্লোরাইড প্রয়োগ (low fluoride exposure) এই ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দেয়।

​🛡️ #এটি_প্রতিরোধের_উপায়ঃ
​দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করুন:
★​ফ্লোরাইড টুথপেস্ট দিয়ে দিনে দু'বার দাঁত মাজুন।
★​দাঁতের মাঝের অংশ পরিষ্কার করুন (যেমন: ফ্লসিং বা ইন্টারডেন্টাল ব্রাশ ব্যবহার করে)।
★​শর্করাযুক্ত খাবার ও পানীয়ের পরিমাণ হ্রাস করুন।
★​ঘন ঘন পানি পান করুন।
★​ফ্লোরাইড মাউথ রিন্স ব্যবহারের কথা বিবেচনা করুন।
★​চিনিবিহীন চুইংগাম চিবান।
★​নিয়মিত দাঁতের পরীক্ষা এবং পেশাদার পরিচ্ছন্নতার (Professional Cleanings) জন্য দন্তচিকিৎসকের কাছে যান।

​🩺 #চিকিৎসার_বিকল্পসমূহ (TREATMENT OPTIONS)
👉​প্রাথমিক ক্ষত (Early lesions): #ফ্লোরাইড প্রয়োগ এবং উন্নত স্বাস্থ্যবিধির মাধ্যমে এটি পুনরায় খনিজায়িত (remineralized) করা যেতে পারে।
👉​ক্যাভিটি (Cavities): এর জন্য #ফিলিং (fillings) বা ভরাট করার প্রয়োজন হয়।
👉​বৃহত্তর ত্রুটি (Larger defects): এক্ষেত্রে #ক্রাউন (Crowns) বা মুকুটের প্রয়োজন হতে পারে।
👉​গভীর ক্ষয় (Deep decay): এর জন্য #রুট_ক্যানাল থেরাপি (Root Canal Therapy) প্রয়োজন।
👉​অ-পুনর্স্থাপনযোগ্য দাঁত (Non-restorable teeth): এই দাঁতগুলো #তুলে ফেলতে হয় এবং #ইমপ্ল্যান্ট (implants), #ব্রিজ (bridges), অথবা #ডেনচার (dentures) দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়।

ধন্যবাদ❤️

21/11/2025

✔ শীতকালীন সাধারণ রোগসমূহ

১. সর্দি–কাশি (Common Cold)

হালকা জ্বর

নাক বন্ধ, নাক দিয়ে পানি পড়া

গলা ব্যথা, কাশি

ঠান্ডা বাতাসে বেশি হয়

২. ইনফ্লুয়েঞ্জা / ফ্লু (Influenza)

উচ্চ জ্বর

শরীর ব্যথা

শুষ্ক কাশি

দুর্বলতা ও ঘাম

৩. নিউমোনিয়া

ফুসফুসের সংক্রমণ

কাশি ও শ্বাস নিতে কষ্ট

বুক ব্যথা

বয়স্ক ও শিশুদের বেশি ঝুঁকি

৪. ব্রংকাইটিস

ব্রংকাসে প্রদাহ

দীর্ঘমেয়াদি কাশি

বুকে শোঁ–শোঁ শব্দ

ঠান্ডা হাওয়া ও ধুলাবালি এর কারণ

৫. হাঁপানি (Asthma) বেড়ে যাওয়া

ঠান্ডা বাতাসে শ্বাসকষ্ট বাড়ে

বুকে চাপ

কাশি ও শ্বাসে বাঁশির মতো শব্দ

৬. ত্বক শুষ্ক হওয়া ও খসখসে ত্বক

পানি কম পান করা

পরিবেশের কম আর্দ্রতা

ত্বক ফেটে যাওয়া, চুলকানি

৭. ঠোঁট ফাটা (Chapped Lips)

ঠান্ডা ও শুকনো আবহাওয়া

পানি কম পান

লিপ বাম ব্যবহার না করা

৮. জয়েন্ট পেইন / বাতের ব্যথা

ঠান্ডায় রক্তসঞ্চালন কমে যায়

হাঁটু, কোমর, কাঁধে ব্যথা বৃদ্ধি

পুরোনো বাতের রোগীদের সমস্যা বাড়ে

৯. টনসিলাইটিস

গলা ব্যথা

গিলতে সমস্যা

হালকা জ্বর

ঠান্ডা খাবার বা আবহাওয়ায় বেশি দেখা যায়

১০. ডায়রিয়া (বিশেষ করে ভাইরাল)

শীতে অনেক সময় ভাইরাল ডায়রিয়া দেখা দেয়

শিশুদের বেশি হয়

১১. অ্যালার্জি সমস্যা

ধুলাবালি ও পলেনে অ্যালার্জি

নাক চুলকানো

চোখ লাল হওয়া

হাঁচি

১২. হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি

অতিরিক্ত ঠান্ডা রক্তনালী সংকুচিত করে

ব্লাড প্রেসার বেড়ে যেতে পারে

রোগীদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কিছুটা বাড়ে

---

✔ শীতকালে রোগ প্রতিরোধের উপায়

গরম কাপড় ব্যবহার

পর্যাপ্ত পানি পান

গরম পানি দিয়ে গোসল

ভিটামিন–সি সমৃদ্ধ খাবার

রাত জাগা কমানো

নিয়মিত হাত ধোয়া

ধুলাবালি এড়াতে মাস্ক ব্যবহার

শিশু ও বয়স্কদের অতিরিক্ত ঠান্ডা থেকে দূরে রাখা

19/11/2025

এলার্জি (Allergy) কী?

এলার্জি হলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার (Immune System) অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া, যখন কোনো নিরীহ পদার্থকে (যেমন—ধুলাবালি, পরাগরেণু, খাবার ইত্যাদি) শরীর বিপদজনক ভেবে প্রতিরোধ ব্যবস্থা সক্রিয় হয়। এতে বিভিন্ন অস্বস্তিকর লক্ষণ দেখা দেয়।

---

এলার্জির সাধারণ কারণ

শরীর যেসব জিনিসে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখায়, সেগুলোকে অ্যালার্জেন (Allergen) বলা হয়। যেমন—

১. পরিবেশগত অ্যালার্জেন

ধুলাবালি

ফুলের রেণু (Pollen)

ফাংগাস বা ছত্রাক

পশুপাখির লোম, পালক

২. খাবারজনিত অ্যালার্জেন

ডিম

মাছ বা চিংড়ি

গরু/মুরগির মাংস

বাদাম

দুধ

৩. ওষুধ

অ্যান্টিবায়োটিক

ব্যথানাশক ওষুধ

৪. পোকামাকড়ের কামড়

মৌমাছি

মশা

পিঁপড়া

---

এলার্জির সাধারণ লক্ষণ

হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া

চোখ চুলকানো, চোখ লাল হওয়া

ত্বকে চুলকানি, র‍্যাশ বা দানা

শ্বাস নিতে কষ্ট

কাশি বা ঘড়ঘড় শব্দ

ঠোঁট বা চোখ ফুলে যাওয়া (গুরুতর অবস্থা)

---

এলার্জির ধরন

অ্যালার্জিক রাইনাইটিস: নাক-চোখের এলার্জি

স্কিন অ্যালার্জি: একজিমা, চর্মরোগ

ফুড অ্যালার্জি: খাবারের প্রতি সংবেদনশীলতা

ড্রাগ অ্যালার্জি: ওষুধ গ্রহণে প্রতিক্রিয়া

অ্যানাফাইল্যাক্সিস: সবচেয়ে গুরুতর এলার্জি, জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন

---

চিকিৎসা ও করণীয়

১. অ্যালার্জেন এড়িয়ে চলা

ধুলাবালি থেকে দূরে থাকা

পুরনো বালিশ/তোশক নিয়মিত পরিষ্কার করা

ধূমপান বা ধোঁয়া এড়িয়ে চলা

২. ওষুধ

অ্যান্টিহিস্টামিন (যেমন: ফেক্সোফেনাডিন, সিটিরিজিন)

নাকের স্প্রে (ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী)

ত্বকের জন্য অ্যান্টি-এলার্জি ক্রিম

৩. গুরুতর এলার্জি

শ্বাস নিতে কষ্ট হলে জরুরি চিকিৎসা

অ্যানাফাইল্যাক্সিস হলে ইপি-পেন (EpiPen) — চিকিৎসকের নির্দেশে ব্যবহারযোগ্য

---

প্রতিরোধ

এলার্জি কোন কারণে হয়, সেটা শনাক্ত করা

আবহাওয়া পরিবর্তনে সাবধানতা

খাবারের লেবেল ভালো করে দেখা

প্রয়োজন হলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ বা অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া

16/11/2025
15/11/2025

✅ হাঁপানি (Asthma) কি?

হাঁপানি হলো শ্বাসনালীর একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত সমস্যা, যেখানে শ্বাসনালী সংকুচিত হয়ে যায় এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এটি হঠাৎ করে বাড়তে বা কমতে পারে।

---

⭐ হাঁপানির কারণ

হাঁপানি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন—

ধুলা, ধোঁয়া, ধুলাবালি

ঠান্ডা আবহাওয়া বা ঠান্ডা বাতাস

ধূমপান বা পরোক্ষ ধোঁয়া

অ্যালার্জি (ফুলের রেণু, পশুর লোম, কেমিক্যাল ইত্যাদি)

ভাইরাসজনিত সংক্রমণ (সর্দি-কাশি)

অতিরিক্ত পরিশ্রম বা ব্যায়াম

জিনগত কারণ (পরিবারে কারো থাকলে ঝুঁকি বেশি)

---

🔍 হাঁপানির লক্ষণ

হাঁপানির সময় সাধারণত দেখা যায়—

শ্বাস নিতে কষ্ট

হুইজিং (শোঁ-শোঁ শব্দ)

বুকে চাপ অনুভব

দীর্ঘদিনের কাশি

রাতে বা ভোরে বেশি সমস্যা

শ্বাস ছোট হয়ে আসা

---

⚠️ হাঁপানির আক্রমণের লক্ষণ

আক্রমণের সময় লক্ষণগুলো হঠাৎ বেড়ে যায়—

শ্বাস খুব দ্রুত চলা

বারবার কাশি

বুক ভারী লাগা

মুখ-ঠোঁট নীলাভ হয়ে যাওয়া (গুরুতর অবস্থায়)

কথা বলতে কষ্ট হওয়া

এ সময় দ্রুত ইনহেলার ব্যবহার বা চিকিৎসা প্রয়োজন।

---

💊 হাঁপানির চিকিৎসা

হাঁপানির চিকিৎসা সাধারণত দুইভাবে হয়—

১️⃣ রিলিফ (Rescue) ইনহেলার

দ্রুত শ্বাসকষ্ট কমায়

আক্রমণের সময় ব্যবহার করা হয়

২️⃣ কন্ট্রোলার মেডিসিন

প্রতিদিন ব্যবহার করতে হয়

প্রদাহ কমায়

আক্রমণ হওয়া ঠেকায়

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

---

🛡️ হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে করণীয়

নিজেকে সুস্থ রাখতে—

ধুলাবালি ও ধোঁয়া এড়িয়ে চলুন

ঠান্ডা বাতাসে মাস্ক ব্যবহার করুন

ঘরের পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন

পশুর লোম বা অ্যালার্জিক জিনিস থেকে দূরে থাকুন

নিয়মিত ইনহেলার ব্যবহার করুন

সর্দি-কাশি হলে দ্রুত চিকিৎসা নিন

---

🍃 জীবনযাপনের পরামর্শ

হালকা ব্যায়াম করুন

পর্যাপ্ত পানি পান করুন

ধূমপান পুরোপুরি বর্জন করুন

মানসিক চাপ কমিয়ে রাখুন

08/11/2025

টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়ানোর ১০টি সেরা উপায় (বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত)

১. ভালো ঘুম নিশ্চিত করুন
৭-৮ ঘণ্টা নিয়মিত গভীর ঘুম টেস্টোস্টেরন লেভেল স্বাভাবিক রাখে। ঘুম কম হলে হরমোন কমে যায়।

২. নিয়মিত ব্যায়াম করুন (বিশেষত kegel,ওজন তোলা ও HIIT)
স্ট্রেংথ ট্রেনিং ও হাই-ইনটেনসিটি ইন্টারভ্যাল ট্রেনিং টেস্টোস্টেরন দ্রুত বাড়ায়।

৩. সুষম খাবার খান (Protein + Fat + Zinc)
হাঁসের ডিম, সামুদ্রিক মাছ, গরুর মাংস, বাদাম, অলিভ অয়েল, দই, দুধ—এসব খাবার টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধিতে সহায়ক।

৪. ভিটামিন D লেভেল ঠিক রাখুন
সূর্যের আলো বা সাপ্লিমেন্টের মাধ্যমে ভিটামিন D গ্রহণ টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
Cap Vital D 40000 iu
৭ দিন পর পর ২ মাস

৫. Stress কমান (Cortisol কমান)
নেগেটিভ চিন্তা,অতিরিক্ত মানসিক চাপ কর্টিসল বাড়ায়, যা টেস্টোস্টেরন কমিয়ে দেয়।

৬. নেশা, গাজা ,অ্যালকোহল, ধূমপান ও মাদক থেকে দূরে থাকুন
এগুলো সরাসরি টেস্টোস্টেরন উৎপাদনে বাধা দেয় এবং শুক্রাণুর মানও নষ্ট করে।

৭. Healthy Body Weight বজায় রাখুন
অতিরিক্ত চর্বি বা স্থূলতা টেস্টোস্টেরন হ্রাসের বড় কারণ।

৮. যৌ-ন সক্রিয়তা বজায় রাখুন
নিয়মিত বৈবাহিক যৌ-ন জীবন টেস্টোস্টেরন লেভেল স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।

৯. Zinc ও Magnesium সমৃদ্ধ খাবার খান
কুমড়ার বিচি, কাজুবাদাম, পালং শাক, ডিম, মাংস—এগুলো টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধি করে।
Tab zincR
0+0+1… ১ মাস

১০. প্রতিদিন অন্তত ১৫-২০ মিনিট নিরিবিলি জায়গায় থাকুন ও মানসিক প্রশান্তি রাখুন
রোদে থাকা, ধ্যান, নামাজ, বা প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানো হরমোন ব্যালান্সের জন্য কার্যকর।
দোআ করুন বেশি বেশি ।

হাঁসের ডিম নিয়মিত খাচ্ছেন তো❤️🤫

05/11/2025

🧠 নার্ভের রোগ (Nerve Disease) সম্পর্কে বিস্তারিত

🔹 ভূমিকা:

নার্ভ বা স্নায়ু আমাদের শরীরের যোগাযোগ ব্যবস্থা। মস্তিষ্ক, মেরুদণ্ড ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে বার্তা আদান-প্রদান করে নার্ভ। এই নার্ভে কোনো সমস্যা বা ক্ষতি হলে তাকে নার্ভের রোগ বলা হয়।

---

🔹 নার্ভের রোগের প্রধান কারণসমূহ:

1. ডায়াবেটিস (Diabetes Mellitus)

দীর্ঘদিন রক্তে চিনি বেশি থাকলে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

2. ভিটামিনের অভাব (বিশেষ করে B ভিটামিন)

বিশেষ করে Vitamin B1, B6, B12 এর অভাবে নার্ভ দুর্বল হয়।

3. আঘাত বা দুর্ঘটনা

হাড় ভাঙা বা মেরুদণ্ডে আঘাত পেলে নার্ভে চাপ পড়ে।

4. ইনফেকশন বা ভাইরাস

যেমন: হের্পিস, গিলেন-বারে সিনড্রোম ইত্যাদি।

5. অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও অনিদ্রা

দীর্ঘ সময় স্ট্রেসে থাকলে নার্ভ দুর্বল হয়ে পড়ে।

6. বিষাক্ত পদার্থ বা মদ্যপান

অ্যালকোহল ও কিছু ওষুধ নার্ভে ক্ষতি করে।

---

🔹 নার্ভের রোগের সাধারণ লক্ষণসমূহ:

শরীরের নির্দিষ্ট অংশে ঝিনঝিনি বা অবশ অনুভূতি

চুলকানি বা জ্বালাপোড়া অনুভব

হাত-পা দুর্বলতা বা কাঁপুনি

ঘুম না আসা বা অতিরিক্ত ক্লান্তি

মনোযোগে ঘাটতি

ব্যথা বা খোঁচা লাগার মতো অনুভূতি

হাঁটতে বা বসতে কষ্ট হওয়া

---

🔹 নার্ভের রোগের ধরন:

1. Peripheral Neuropathy – হাত-পা ও শরীরের বাইরের অংশের নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

2. Autonomic Neuropathy – শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ যেমন হৃদযন্ত্র, হজমতন্ত্র প্রভাবিত হয়।

3. Cranial Neuropathy – মাথা ও মুখের নার্ভে সমস্যা দেখা দেয়।

4. Central Nervous System Disorders – মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডে সমস্যা (যেমন পারকিনসন, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস)।

---

🔹 চিকিৎসা ও করণীয়:

1. রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখা

2. পর্যাপ্ত ভিটামিন গ্রহণ (বিশেষ করে Vitamin B Complex)

3. স্ট্রেস কমানো ও পর্যাপ্ত ঘুম

4. হালকা ব্যায়াম ও নিয়মিত হাঁটা

5. চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন (যেমন: নিউরোবিয়ন, গ্যাবাপেন্টিন ইত্যাদি)

6. মদ্যপান ও ধূমপান পরিহার করা

---

🔹 প্রতিরোধের উপায়:

সুষম খাবার খাওয়া

নিয়মিত ব্যায়াম করা

মানসিক চাপ এড়ানো

ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা

---

💬 উপসংহার:

নার্ভের রোগ ধীরে ধীরে শরীরের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দিতে পারে। তাই প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু হয়, তত দ্রুত আরোগ্য লাভ সম্ভব।

03/11/2025

🫀 হার্টের রোগ সম্পর্কে সাজানো আলোচনা

🌿 ভূমিকা:

মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি হলো হার্ট (হৃদপিণ্ড)। এটি রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে পুরো দেহে অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করে। কিন্তু নানা কারণে হার্টের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটলে হার্টের রোগ দেখা দেয়।

---

❤️ হার্টের রোগ কী:

হার্টের রোগ বলতে হৃদপিণ্ড ও রক্তনালীর যে কোনো ধরনের অসুস্থতা বা ব্যাধিকে বোঝায়। যেমন – হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেলিওর, হার্টের ভালভের সমস্যা, করোনারি আর্টারি ডিজিজ ইত্যাদি।

---

⚠️ হার্টের রোগের প্রধান কারণসমূহ:

1. অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া 🍔

2. উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস 🩸

3. ধূমপান ও মদ্যপান 🚬

4. মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা 😔

5. অনিয়মিত জীবনযাপন ও ব্যায়ামের অভাব 🛋️

6. বংশগত কারণ 🧬

---

🩺 হার্টের রোগের লক্ষণ:

1. বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভব করা

2. শ্বাসকষ্ট

3. অতিরিক্ত ঘাম হওয়া

4. ক্লান্তি বা দুর্বলতা

5. হাত, ঘাড় বা পিঠে ব্যথা ছড়িয়ে পড়া

6. অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা মাথা ঘোরা

---

🍎 প্রতিরোধের উপায়:

1. প্রতিদিন নিয়মিত হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করা 🏃‍♂️

2. ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করা 🚭

3. ফল, শাকসবজি ও কম চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া 🥦

4. মানসিক চাপ কমানো 🧘‍♀️

5. নিয়মিত রক্তচাপ ও রক্তে চিনি পরীক্ষা করা 🩺

6. পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নেওয়া 😴

---

💊 চিকিৎসা:

হার্টের রোগের ধরন অনুযায়ী চিকিৎসা ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত ব্যবহৃত পদ্ধতি—

ওষুধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ

এঞ্জিওগ্রাম বা এঞ্জিওপ্লাস্টি

বাইপাস সার্জারি

চিকিৎসকের নিয়মিত পরামর্শ অনুযায়ী জীবনধারা পরিবর্তন

---

🌼 উপসংহার:

হার্টের রোগ এখন খুবই সাধারণ হলেও সচেতন জীবনযাপন, নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের মাধ্যমে এটি সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব। মনে রাখবেন —
👉 “সুস্থ হৃদয় মানেই সুস্থ জীবন।”

29/10/2025

পরিপাকতন্ত্রের রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা

👉 ভূমিকা:
পরিপাকতন্ত্র আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গতন্ত্র, যা খাবার হজম করে প্রয়োজনীয় পুষ্টি শরীরে সরবরাহ করে এবং বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়। কিন্তু এই তন্ত্রের কোনো অংশে সমস্যা দেখা দিলে তা বিভিন্ন পরিপাকতন্ত্রজনিত রোগ হিসেবে প্রকাশ পায়।

---

🩺 পরিপাকতন্ত্রের প্রধান অঙ্গসমূহ:

মুখ ও দাঁত

খাদ্যনালী (Esophagus)

পাকস্থলী (Stomach)

ক্ষুদ্রান্ত্র (Small Intestine)

বৃহদান্ত্র (Large Intestine)

যকৃৎ (Liver)

অগ্ন্যাশয় (Pancreas)

পিত্তথলি (Gallbladder)

---

⚠️ পরিপাকতন্ত্রের সাধারণ রোগসমূহ:

1. গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি (Gastritis):

কারণ: অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার, অনিয়মিত খাবার, মানসিক চাপ।

লক্ষণ: বুক জ্বালাপোড়া, পেটে ব্যথা, বমি ভাব, গ্যাস জমা।

2. অম্বল (Acidity / Indigestion):

কারণ: হজমে সমস্যা, অতিভোজন, তৈলাক্ত খাবার।

লক্ষণ: পেট ফাঁপা, ঢেকুর তোলা, বুক জ্বালাপোড়া।

3. আলসার (Ulcer):

কারণ: হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া, অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসরণ।

লক্ষণ: পাকস্থলীতে ব্যথা, ক্ষুধামান্দ্য, বমি, ওজন কমে যাওয়া।

4. লিভারের রোগ (Liver Diseases):

যেমন হেপাটাইটিস, ফ্যাটি লিভার, সিরোসিস।

লক্ষণ: ত্বক ও চোখ হলুদ হওয়া, দুর্বলতা, ক্ষুধামান্দ্য, বমি।

5. ডায়রিয়া (Diarrhea):

কারণ: দূষিত খাবার বা পানি, ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ।

লক্ষণ: বারবার পাতলা পায়খানা, পানিশূন্যতা, দুর্বলতা।

6. কোষ্ঠকাঠিন্য (Constipation):

কারণ: আঁশযুক্ত খাবারের অভাব, পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া।

লক্ষণ: পায়খানা করতে কষ্ট, পেট ব্যথা, অস্বস্তি।

7. পিত্তপাথর (Gallstones):

কারণ: পিত্তে কোলেস্টেরল জমে পাথর তৈরি হওয়া।

লক্ষণ: পেটে ডান পাশে ব্যথা, বমি, জ্বর, হজমে সমস্যা।

8. অগ্ন্যাশয়ের সমস্যা (Pancreatitis):

কারণ: অতিরিক্ত মদ্যপান, গলস্টোন, ইনফেকশন।

লক্ষণ: তীব্র পেট ব্যথা, বমি, জ্বর।

---

🍎 প্রতিরোধের উপায়:

নিয়মিত সময়মতো খাবার খাওয়া।

অতিরিক্ত মসলাযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার পরিহার করা।

প্রচুর পানি পান করা।

ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করা।

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা।

নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করা।

পুষ্টিকর ও আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া।

---

🩸 উপসংহার:

পরিপাকতন্ত্রের রোগগুলো সাধারণ হলেও অবহেলা করলে তা গুরুতর আকার নিতে পারে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, পরিমিত জীবনযাপন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শই পারে সুস্থ পরিপাকতন্ত্র বজায় রাখতে সাহায্য করতে।

⚠️ ভাবছেন, ভালো খাবার খেলেই সব কাজ শেষ? ভুল! পেটের ভেতরের 'কারখানা ও মেশিন'-এর সিক্রেট জানা জরুরি! 🎬খাবার থেকে শক্তি ও স...
28/10/2025

⚠️ ভাবছেন, ভালো খাবার খেলেই সব কাজ শেষ? ভুল! পেটের ভেতরের 'কারখানা ও মেশিন'-এর সিক্রেট জানা জরুরি! 🎬

খাবার থেকে শক্তি ও সুস্থতার (Digestive system)⁉️ পেছনের জটিল 'সিক্রেট টানেল ও প্লেয়ারদের'- এর গল্প জানুন!🤔

Digestive system এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ও বিবেচ্য যেসব বিষয় রয়েছে!🛍️

এটি কোনো সাদামাটা মেশিন নয়; এটি হলো আপনার শরীরের সবচেয়ে স্মার্ট এবং সবচেয়ে পরিশ্রমী এক ইন্টেলিজেন্ট সিস্টেম।

আমরা প্রায়ই এক সরল হিসাবে চলি: "পেটে ভালো খাবার দাও, আর অমনি শরীর শক্তি পেয়ে যাবে!" কিন্তু ব্যাপারটা যদি এতই সরল হতো, তাহলে তো পৃথিবীতে পেটের রোগ থাকতোই না!

এছাড়াও আমরা সবাই জানি, ভালো খাবার খেলে শক্তি মেলে। কিন্তু আপনি কি জানেন, আপনার খাবারকে শক্তিতে রূপান্তর করার জন্য আপনার পেটের ভেতরে বসে আছে এক জটিল, বুদ্ধিমান এবং দুর্দান্ত 'সুপারহিরো টিম'—যার নাম হজমতন্ত্র (Digestive System)!

চলুন, আজ এই টিমের A, B, C, D সদস্যদের সঙ্গে পরিচিত হই এবং দেখি, আমাদের শরীরের ভেতরে ঠিক কোথায় কোন জরুরি কাজটা চলছে! 👇

Team-A.📘🛍️ মূল অঙ্গগুলো (Primary Organs): টিমের স্টার্টিং সেভেন ⚽

এরা খাবার গ্রহণ থেকে বর্জ্য নির্গমন পর্যন্ত সরাসরি মাঠে খেলে, যেন এক ফুটবল ম্যাচ!

1. Mouth (মুখ): গেমের সূচনা! খাবার গ্রহণ, চিবানো এবং লালাগ্রন্থি থেকে আসা এনজাইম (Amylase) দিয়ে শর্করার প্রাথমিক হজম শুরু হয়।

2. Pharynx (গলবিল): মুখ থেকে খাবারকে নির্ভুলভাবে খাদ্যনালীতে পাঠানোর 'ট্রাফিক কন্ট্রোলার'।

3. Esophagus (খাদ্যনালী): পেরিস্টালসিস নামক এক বিশেষ তরঙ্গ গতির মাধ্যমে খাবারকে পাকস্থলীতে পাঠায়।

4. Stomach (পাকস্থলী): 'মিক্সার গ্রাইন্ডার'। অ্যাসিড ও এনজাইমের মাধ্যমে প্রোটিন ভাঙা শুরু করে এবং খাদ্যকে Chyme (স্যুপের মতো মিশ্রণ) এ রূপান্তর করে।

5. Small Intestine (ক্ষুদ্রান্ত্র): পুষ্টি শোষণের ভিআইপি জোন, যা নিচের তিনটি প্রধান অংশের সমন্বয়ে গঠিত:

🔹Duodenum (ডুওডেনাম): এটি ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রথম অংশ। পাকস্থলীর সঙ্গে যুক্ত থাকে।
এখানে পিত্ত ও প্যানক্রিয়াটিক এনজাইম এসে চর্বি ও কার্বোহাইড্রেট হজম করে।
এখানে পিত্তরস (bile) ও অগ্ন্যাশয়ের এনজাইম (pancreatic juice)- এসে খাবারের প্রোটিন, চর্বি, কার্বোহাইড্রেট হজম শুরু করে।

🔹Jejunum (জেজুনাম): এটি ক্ষুদ্রান্ত্রের মধ্যবর্তী অংশ।
দেয়ালের ভেতর থাকে অসংখ্য ভাঁজ ও ক্ষুদ্র চুলের মতো গঠন (villi), যা পুষ্টি শোষণ বাড়ায়।
খাবার থেকে হজম হওয়া অধিকাংশ পুষ্টি উপাদান (যেমন গ্লুকোজ, অ্যামিনো অ্যাসিড, ফ্যাটি অ্যাসিড) শোষণ করে রক্তে পাঠায়।

🔹Ileum (আইলিয়াম): এটি ক্ষুদ্রান্ত্রের শেষ অংশ। Jejunum এর পর শুরু হয় এবং Large Intestine এর সঙ্গে যুক্ত হয় (ileocecal valve) দিয়ে।
ভিটামিন B12, bile salts, ও বাকি পুষ্টি শোষণ করা।

6. Large Intestine (বৃহদান্ত্র / Colon): 'রিসাইক্লিং ইউনিট'। এখান থেকে জরুরি পানি ও ইলেকট্রোলাইট শোষণ করা হয়, এবং মল বা বর্জ্য তৈরি হয়।

7. Re**um ও A**s: তৈরি হওয়া বর্জ্য জমা রাখা ও সঠিক সময়ে নির্গমনের কাজ করে।

Team-B.📘🛍️ সহায়ক অঙ্গগুলো (Accessory Organs): গোপন অস্ত্রের জোগানদার 🛠️

এরা নিজেরা খাবারের সংস্পর্শে না এলেও, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এনজাইম বা হজমের 'রস' তৈরি করে প্রধান অঙ্গগুলোকে সাহায্য করে।

1. Salivary glands (লালাগ্রন্থি): মুখে হজম শুরু করতে লালা তৈরি করে।

2. Liver (যকৃৎ): শরীরের 'মেইন QC গেট'। পিত্তরস তৈরি করে (যা চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে) এবং অন্ত্র থেকে আসা সমস্ত রক্তকে ডিটক্সিফিকেশন ও প্রক্রিয়াজাত করে।

3. Gallbladder (পিত্তথলি): লিভারের তৈরি পিত্তরসকে জমা রাখে এবং প্রয়োজনে চাপ দিয়ে ক্ষুদ্রান্ত্রে সরবরাহ করে।

4. Pancreas (অগ্ন্যাশয়): 'মাল্টি-টাস্কিং কেমিস্ট'। শক্তিশালী হজমকারী এনজাইম তৈরি করে এবং একই সাথে ইনসুলিন তৈরি করে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে।

Team-C.📘🛍️ সহায়ক উপাদান ও বিবেচ্য বিষয়: পেটের অভ্যন্তরীণ ইন্টেলিজেন্স 💡

শুধু অঙ্গ নয়, হজম প্রক্রিয়ার জন্য ভেতরের এই "অভ্যন্তরীণ পরিবেশ" বা ইন্টেলিজেন্স অপরিহার্য।

1. Digestive Enzymes: এরা হলো 'খাবার কাটার সিজার'। যেমন Amylase, Protease এবং Lipase—যারা খাবারকে ক্ষুদ্র কণায় ভাঙে।

3. Gut Microbiota (গাট মাইক্রোবায়োম): আপনার পেটের 'ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন সহকারী'! এই উপকারী ব্যাকটেরিয়াই খাবার হজম, ভিটামিন তৈরি এবং ইমিউন সিস্টেমকে (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা) সক্রিয় রাখে।

4. Mucosal Lining (অন্ত্রের মিউকাস স্তর): এটি হলো পেটের দেয়ালের 'প্রতিরক্ষা প্রাচীর'। গাটকে সুরক্ষা দেয় ও পুষ্টি শোষণে সহায়তা করে।

5. Gut-Associated Lymphoid Tissue (GALT): পেটের ইমিউনিটি গার্ড! আপনার ইমিউন সিস্টেমের প্রায় ৭০% এখানেই থাকে, যা শরীরকে রোগ থেকে বাঁচায়।

6. Enteric Nervous System (ENS): আপনার পেটের "দ্বিতীয় মস্তিষ্ক"! এটি হজমের রিদম ও সংকেত নিয়ন্ত্রণ করে, প্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে।

7. Hormones & Neurotransmitters: এরা হলো 'অভ্যন্তরীণ মেসেঞ্জার'। যেমন Gastrin (হজম), Serotonin (মুড) এবং Ghrelin (ক্ষুধা), যা আপনার হজম, ক্ষুধা ও মুডে সরাসরি প্রভাব ফেলে।

Team-D.📘🧠 অন্যান্য সম্পর্কিত বা বিস্তৃত বিবেচনা: সুস্থতার ইকোসিস্টেম 🏞️

হজমতন্ত্রের কার্যকারিতা শুধু পেটের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। পুরো শরীরের ইকোসিস্টেমের ওপর এর গভীর প্রভাব রয়েছে।

1. Hydration (পর্যাপ্ত পানি গ্রহণ): হজমের রস উৎপাদন ও খাদ্যের মসৃণ চলাচলের জন্য অপরিহার্য 'লুব্রিকেন্ট'।

3. Dietary Fiber (আঁশযুক্ত খাবার): এই আঁশই আপনার উপকারী মাইক্রোবায়োম-এর প্রধান খাবার এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধের মূল চাবিকাঠি।

4. Lifestyle Factors (ঘুম, মানসিক চাপ, শারীরিক কার্যক্রম): অপর্যাপ্ত ঘুম বা অতিরিক্ত মানসিক চাপ সরাসরি হজম প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। সঠিক জীবনযাপন হজমের ছন্দ বজায় রাখে।

5. Antibiotic/Drug Effects (ওষুধের প্রভাব): সিন্থেটিক ও অ্যান্টিবায়োটিকের মতো ওষুধ পেটের উপকারী বন্ধু ও অন্যান্য সিস্টেমকে ধ্বংস করে হজমের ইকোসিস্টেম নষ্ট করে দেয়।

6. Liver–Gut–Brain Axis (ত্রিমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা): এই ট্রায়াডই প্রমাণ করে যে আপনার পেট, লিভার এবং ব্রেইন একে অপরের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগে করে থাকে—এজন্যই পেট ভালো তো মন ভালো!

✨🌿 শেষ ও মূল বার্তা💞
স্থায়ী ও দীর্ঘ মেয়াদি নিরাময় খুঁজুন!
আপনার হজমতন্ত্র একটি অলৌকিক বাস্তব সত্য টিমের সমন্বয়ে গঠিত।
এবং প্রত্যেকটা টিম ও টিমের সদস্যের দক্ষতা ও পারফরমেন্সের উপরেই আপনার স্বাস্থ্য, শক্তি ও ভবিষ্যৎ নির্ভর করে 🤔

তাই "দ্রুত স্বস্তি নয়, এর ভেঙে পড়া ইকোসিস্টেমকে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করে স্থায়ী নিরাময় খুঁজুন।"

শেয়ার করে অন্য বন্ধুকেও জানিয়ে দিন!!তাদের পেটের ভেতরে কী দারুণ কাজ চলছে!💖

আর সুস্থতা শুরু হোক পেট থেকেই!!!

কারণ, "পেট ঠিক তো, স্বাস্থ্য ও মন ঠিক; স্বাস্থ্য ও মন ঠিক তো, জীবন ও দুনিয়া ঠিক....

27/10/2025

🩸 লিভারের রোগ (Liver Disease) সম্পর্কে বিস্তারিত

🧠 লিভার কী ও এর কাজ

লিভার বা যকৃৎ মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি। এটি পেটের ডান পাশে থাকে এবং শরীরের রক্ত পরিশোধন, পুষ্টি সংরক্ষণ, ওষুধের প্রভাব নিয়ন্ত্রণ, ও বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করে।
লিভার ছাড়া মানবদেহ টিকে থাকা সম্ভব নয়।

---

⚠️ লিভারের রোগের প্রধান ধরনসমূহ

১. হেপাটাইটিস (Hepatitis) — ভাইরাসজনিত প্রদাহ (Hepatitis A, B, C, D, E)।
২. ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) — লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমা হওয়া।
৩. সিরোসিস (Cirrhosis) — লিভারের কোষ ধ্বংস হয়ে স্থায়ী ক্ষতি হওয়া।
৪. লিভার ক্যান্সার (Liver Cancer) — লিভারের কোষে ক্যান্সার সৃষ্টি।
৫. জন্ডিস (Jaundice) — বিলিরুবিন বৃদ্ধি পেয়ে চোখ ও ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া।
৬. লিভার ফেইলিউর (Liver Failure) — লিভার সম্পূর্ণভাবে কাজ বন্ধ করে দেয়।

---

😷 লিভারের রোগের সাধারণ লক্ষণ

ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া (জন্ডিস)

ক্লান্তি ও দুর্বলতা

ক্ষুধামন্দা ও বমি বমি ভাব

পেট ফেঁপে যাওয়া বা ব্যথা

প্রস্রাব গাঢ় রঙের হওয়া

ত্বকে চুলকানি

হাত-পা ফুলে যাওয়া

ওজন কমে যাওয়া বা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া

---

🍗 লিভারের রোগের কারণ

ভাইরাস সংক্রমণ (Hepatitis ভাইরাস)

অতিরিক্ত মদ্যপান

স্থূলতা ও উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার

ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ

ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ

দীর্ঘদিনের অপুষ্টি

---

🍎 লিভারের যত্ন ও প্রতিরোধের উপায়

✅ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন খাবার ও বিশুদ্ধ পানি পান করা
✅ অতিরিক্ত তৈলাক্ত ও ভাজা খাবার এড়িয়ে চলা
✅ ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করা
✅ নিয়মিত ব্যায়াম করা
✅ পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ কমানো
✅ নিয়মিত লিভার ফাংশন টেস্ট করা (বিশেষ করে যারা ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন)
✅ হেপাটাইটিস-বি টিকা গ্রহণ করা

---

🏥 চিকিৎসা

লিভারের রোগের চিকিৎসা নির্ভর করে রোগের ধরন ও মাত্রার উপর।

হেপাটাইটিসে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ব্যবহার হয়।

ফ্যাটি লিভারে ডায়েট ও ব্যায়াম জরুরি।

সিরোসিসে বিশেষ চিকিৎসা ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট প্রয়োজন হতে পারে।

---

🔍 উপসংহার

লিভারের রোগ প্রথমে খুব বেশি লক্ষণ দেখায় না, তাই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, এবং সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণই লিভারকে সুস্থ রাখার মূল চাবিকাঠি।

Address

Darsana
7221

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Health Tips And Tricks posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Health Tips And Tricks:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram