Dr Saifullah Rasel

Dr Saifullah Rasel Consultant
Department of Paediatrics

 # #আগুনেl দগ্ধ (Burn Injury) হলে দ্রুত ও সঠিক প্রাথমিlক চিকিৎসা দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সংক্রমণ, জটিলতা ও মৃত...
22/07/2025

# #
আগুনেl দগ্ধ (Burn Injury) হলে দ্রুত ও সঠিক প্রাথমিlক চিকিৎসা দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সংক্রমণ, জটিলতা ও মৃত্যুঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। নিচে ধাপে ধাপে আগুনে দগ্ধ ব্যক্তির জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো:

🔥 দগ্ধের ধরন বুঝে নিন (Burn Classification):

১. ১ম ডিগ্রি (Surface burn): শুধু চামড়ার উপরিভাগে, লালচে ও ব্যথাযুক্ত (যেমন: রোদে পোড়া)
২. ২য় ডিগ্রি (Partial-thickness): ফোসকা পড়া, ব্যথা, লালচে ও ফোলা পাওয়া যায়।
৩. ৩য় ডিগ্রি (Full-thickness): ত্বক সাদা বা কালো হয়ে যায়, গভীর পোড়া, ব্যথা কমও লাগতে পারে (কারণ পোড়ানো নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়)।

✅ প্রাথমিক চিকিৎসা ধাপসমূহ (First Aid for Burn):

🔹 ১. তৎক্ষণাৎ আগুন থেকে দূরে সরান

• আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিরাপদ স্থানে আনুন।
• আগুনে পোড়া জামা কাপড় (যদি জ্বলছে) দ্রুত খুলে ফেলুন, কিন্তু ত্বকে লেগে গেলে জোর করে টানবেন না।

🔹 ২. স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে ধুয়ে দিন

• পোড়া অংশটি ১৫–২০ মিনিট ধরে স্বাভাবিক তাপমাত্রার (বরফ নয়) পানি দিয়ে ধুয়ে দিন।
• এটি ব্যথা কমায়, ফোলা কমায় ও ত্বকের তাপমাত্রা স্বাভাবিক করে।

🔹 ৩. ত্বকের ফোসকা ফাটাবেন না

• ত্বকের ফোসকা থাকলে সেগুলো ফাটাবেন না। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।

🔹 ৪. পরিষ্কার ও শুকনো কাপড়ে ঢেকে দিন

• পরিষ্কার গজ, তুলা বা পাতলা সুতির কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন।
• শক্ত করে বেঁধে দেওয়া যাবে না।

🔹 ৫. ব্যথার জন্য ওষুধ দিন (প্রয়োজনে)

• ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন দেওয়া যেতে পারে (বয়স অনুযায়ী ডোজ)।
• শিশু হলে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে।

🔹 ৬. পানি ও তরল খাবার দিন (যদি জ্ঞান থাকে)

• দগ্ধ হলে শরীর থেকে পানি হারায়, তাই পর্যাপ্ত তরল দিন।
• তবে জ্ঞান না থাকলে কিছু খাওয়াবেন না।

🚫 যা করবেন না (What NOT to Do):

• বরফ লাগাবেন না
• মাখনের মতো কিছু লাগাবেন না
• ত্বকের ফোসকা ফাটাবেন না
• মলম বা ক্রিম নিজের ইচ্ছেমতো লাগাবেন না (ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া)
• কাপড় ত্বকে লেগে গেলে জোর করে খুলবেন না

⚠️ কখন দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে?

• ২য় বা ৩য় ডিগ্রির বার্ন
• মুখ, চোখ, হাত, পা, যৌনাঙ্গ বা গোঁড়ালিতে বার্ন
• ১০% এর বেশি শরীর পুড়লে
• শ্বাসকষ্ট হলে (ধোঁয়ায় দমবন্ধ)
• বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বার্ন
• শিশু বা বৃদ্ধ হলে
• জ্ঞান হারালে বা অসাড় হলে

🏥 পোড়া রোগীকে হাসপাতালে যে চিকিৎসাগুলো দেয়া হয়:

• Fluid therapy (IV saline)
• Dressing & antibiotics
• Pain management
• Skin grafting (গভীর পোড়া হলে)
• Physiotherapy

দয়াকরে আপনারা সবাই সচেতন হবেন।

মনে রাখবেন, আপনার সচেতনতা, আপনার জন্য আশীর্বাদ।

( collected)

Courtesy by

ডা. মানিক মজুমদার

 # #সারাদেশেই গত কিছুদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশে বর্ষা এবং তার পরবর্তী সময়গুলোতে সাধা...
16/07/2025

# #
সারাদেশেই গত কিছুদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশে বর্ষা এবং তার পরবর্তী সময়গুলোতে সাধারণত মশা ও পানিবাহিত বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি থাকে।

এদের মাঝে বেশিরভাগ রোগী শিশুরা। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে জ্বরে আক্রান্ত যে শিশুরা হাসপাতালের আউটডোর ও চেম্বারে আসছে তার বেশিরভাগই ভাইরাস জনিত জ্বর ।

আমাদের দেশে বাতাস ও শ্বাস- প্রশ্বাসের মাধ্যমে সাধারণত যে সকল ভাইরাস ছড়ায় তার মধ্যে Influenza, Adenovirus ,Coronavirus,
মশাবাহিত -Dengue and Chikungunya , পানিবাহিত Hepatitis A, hepatitis E ,Rota virus, Enterovirus,
স্কুল ও ডে কেয়ার সেন্টারগুলো থেকে Measles, Chicken pox ,Hand foot mouth disease.

জ্বরের প্রথম দিনের মাত্রা অনেক বেশি থাকে (>102-104°F), শরীরের বিভিন্ন মাংসপেশিকে প্রচন্ড ব্যথা, মাথাব্যথা, কারো কারো গলা ব্যথা, দুর্বলতা অনুভব করা, কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাথা ঘুরানো, কারো কারো শরীরে লাল দানা উঠা, সর্দি এবং কাশি।
জ্বরের মাত্রা বেশি থাকায় অভিভাবকরা অনেক চিন্তিত হয়ে পড়ে।

করণীয় ঃ

#দুশ্চিন্তা না করে শিশুর প্রতি অধিক যত্নশীল হওয়া

#জ্বর থাকাকালীন কপাল থেকে শুরু করে পায়ের পাতা পর্যন্ত ভালো করে স্পঞ্জিং করা

#ভাইরাসজনিত জ্বর ম্যাক্সিমাম সময় নিজে নিজে ভালো হয়ে যায় পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে

#চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শুধুমাত্র প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়ানো

#যদি জ্বরের মাত্রা ১০২.২° ফারেনহাইটের বেশি থাকে তাহলে ওজন অনুযায়ী সাপোজিটরি ব্যবহার করা

#শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি এবং স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়া নিশ্চিত করা

#সামগ্রিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা

#শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যথেচ্ছ ভাবে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা বিপদ ডেকে আনবে

#মনে রাখতে হবে এন্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে কিন্তু ভাইরাসজনিত জরে যদি এন্টিবায়োটিক দেই তাহলে তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেহের জন্য ক্ষতিকর

তবে ৫ দিন পার হয়ে যাওয়ার পরও যদি জ্বর না কমে, প্রচন্ড মাথা ব্যথা হওয়া, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট হওয়া, মাথা ঘুরানো না কমা এবং প্রেসার মাপলে যদি কম পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্ক হতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী চিকিৎসা নিতে হবে।

প্রতিরোধে করণীয়ঃ

মশার বংশবিস্তার রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ
ফোটানো পানি পান করা
খাওয়ার আগে পরে হাত ধোঁয়া
নিয়মিত টিকাদান

(Collected)

10/07/2025
 # #ডায়ালাইসিস চলাকালে রোগীর শরীর থেকে রক্ত বের করে লাল টিউবের মাধ্যমে ডায়ালাইসিস মেশিনে পাঠানো হয়, সেখান থেকে পরিশোধিত ...
08/07/2025

# #
ডায়ালাইসিস চলাকালে রোগীর শরীর থেকে রক্ত বের করে লাল টিউবের মাধ্যমে ডায়ালাইসিস মেশিনে পাঠানো হয়, সেখান থেকে পরিশোধিত রক্ত আবার নীল টিউব দিয়ে শরীরে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

এlই lপ্রক্রিয়া চলতে থাকে টানা চার ঘণ্টা, রোগীকে শুয়ে থাকতে হয় একটানা, নড়াচড়া ছাড়া।

একজন ডায়ালাইসিস রোগীকে সপ্তাহে তিনবার এ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়— মাসে ১২ বার, মোট ৪৮ ঘণ্টা যন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল জীবন।

অন্যদিকে, যারা সুস্থ—তাদের কিডনি এই কাজটি করে ফেলে দিনে ৩৬ বার, না কোনো যন্ত্রের সাহায্য, না কোনো কষ্ট, না কোনো সময়ক্ষেপণ।

“অতএব, (হে জ্বিন ও ইনসান) তোমরা তোমাদের রবের কোন্ নেয়ামতটি অস্বীকার করবে?” [সূরা আর-রহমান: ১৩]

সংগৃহীত

05/07/2025

বাচ্চাদের প্রয়োজনীয় vaccine / টিকা :

# # সরকারি ভাবে দেওয়া ১০ টা টিকা।

BCG, Pentavalent, PCV, Polio, MR.

এগুলো ছাড়া আরো যেসব vaccine দেওয়া উচিত:

# # Rota virus vaccine (Rotarix):
দুই ডোজ। জন্মের দেড় মাস থেকে ০৬ মাসের মধ্যে " মুখে (Oral) খাওয়াতে হয়"।

# # Typhoid vaccine (Vaxphoid):
দুই বছর বয়সের পর থেকে, প্রতি তিন বছর পরপর মাংসে (IM) দেওয়া যায়।


# # Influenza vaccine : (Influvax Tetra)
প্রতি বছরে ০১ টা।
জন্মের ০৬ মাস বয়স থেকে দেওয়া যায়।

# # Hepatitis A virus vaccine:
দুই ডোজ।
জন্মের ০১ বছর বয়স থেকে দেওয়া যায়।

# # Meningococcal vaccine:
০১ ডোজ।
দুই বছর বয়স থেকে দেওয়া যায়।
( সবার জন্য এটা লাগে না)

# এগুলোই আমাদের দেশের বাচ্চাদের জন্য প্রয়োজনীয় vaccine / টীকা।

রোগের চিকিৎসা করার চেয়ে প্রতিরোধ করা উত্তম।

(Collected)

 # #শিশুর মুখের ভেতরে ছত্রাক সংক্রমণ বা Oral Thrush.শিশুর মুখের ভেতরে ছত্রাক সংক্রমণ বা Oral Thrush, যা সাধারণত Candida ...
04/07/2025

# #
শিশুর মুখের ভেতরে ছত্রাক সংক্রমণ বা Oral Thrush.

শিশুর মুখের ভেতরে ছত্রাক সংক্রমণ বা Oral Thrush, যা সাধারণত Candida albicans নামক ছত্রাক দ্বারা হয়ে থাকে। এটি মূলত শিশুর মুখের ভেতরে জিভ, গাল, তালু ও ঠোঁটে দেখা যায়।

#
শিশুর মুখে ছত্রাক সংক্রমণ বা Oral Thrush এর কারণসমূহ

১. শিশুকে দুধ খাওয়ানোর পরে শিশুর মুখ পরিষ্কার না করা
২. শিশুকে অপ্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবনের পর শিশুর মুখে ছত্রাক বৃদ্ধি পাওয়া
৩. শিশুর দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা – যেমন নবজাতক বা প্রিম্যাচিউর শিশু
৪. Pacifier বা Bottle nipple's এর মাধ্যমে শিশুর মুখে ছত্রাক সংক্রমণ

#
শিশুর মুখে ছত্রাক সংক্রমণ বা Oral Thrush এর লক্ষণসমূহ

• শিশুর জিভে, গালের ভিতরে বা ঠোঁটে সাদা বা দুধের মতো আস্তরণ গড়ে ওঠে
• সাদা আস্তরণ কাপড় দিয়ে বা কিছু দিয়ে মোছার চেষ্টা করলে লাল ও রক্তঝরার মত অবস্থা তৈরি হয়
• খাবার খাওয়ার সময় শিশুর বিরক্তি প্রকাশ বা কান্না কাটি করে
• মায়ের বুকের দুধের নিপলে ছত্রাক সংক্রমণ বা Ni**le thrush দেখা যায়। মা শিশুকে স্তন্যপান করালে তাঁর Ni**les-এ ব্যথা পান, Ni**les-এ লালচে ভাব দেখা যায়।

মুখে ছত্রাক সংক্রমণ সবারই হতে পারে, তবে বেশী দেখা যায় বাচ্চাদের এবং বয়স্কদের। কারণ তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং দক্ষতা কম থাকে। স্বাস্থ্যবান মানুষের জন্য মুখে ছত্রাক সংক্রমণ তেমন কিছু সমস্যা নয় তবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং দক্ষতা যাদের কম তাদের জন্য এই রোগটি অত্যন্ত মারাত্মক এবং রোগটি নিয়ন্ত্রণে আনতে ভীষণ কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়।

#
শিশুর মুখে ছত্রাক সংক্রমণ বা Oral Thrush এর রোগ নির্ণয় (Diagnosis)

• শিশুর মুখ গহবর পরীক্ষা করে বা শিশুর চেহারা দেখেই শিশুর মুখে ছত্রাক সংক্রমণ বা Oral Thrush রোগটি সাধারণত বোঝা যায়
• শিশুর মুখে ছত্রাক সংক্রমণ বা Oral Thrush রোগটি নিয়ে সন্দেহ হলে মাইক্রোস্কোপিক পরীক্ষা করে সহজেই রোগটি নির্ণয় করা যেতে পারে

#
শিশুর মুখে ছত্রাক সংক্রমণ বা Oral Thrush রোগটির চিকিৎসা (Treatment)

১. শিশুর মুখের ঘা'য়ের জন্য ওষুধ:

• Nystatin oral suspension (পাশাপাশি জিভ, গাল, ঠোঁটে প্রয়োগ)
• Miconazole oral gel – সাধারণত ৪ মাস বয়সের নিচে দেয়া যায় না।
• প্রয়োজনে Fluconazole syrup

২. মায়ের চিকিৎসা (মায়ের যদি বুকের দুধের নিপলে ছত্রাক সংক্রমণ বা Ni**le thrush থাকে):

• Ni**les-এ Miconazole cream অথবা
• Nystatin ointment

#
শিশুর মুখে ছত্রাক সংক্রমণ বা Oral Thrush রোগটির প্রতিরোধ ব্যবস্থা

• শিশুকে দুধ খাওয়ানোর পর শিশুর মুখ পরিষ্কার করা
• প্রতিদিন ফিডার, পেসিফায়ার, বোতল সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করা
• শিশুর মায়ের স্তনবৃন্ত পরিষ্কার রাখা
• প্রয়োজনে নবজাতককে সরাসরি স্তন্যপান করানো

#
কখন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানো জরুরি:

• শিশুর মুখে ছত্রাক সংক্রমণ বা Oral Thrush রোগটির বারবার হচ্ছে
• শিশু খাবার খেতে চাচ্ছে না
• শিশুর মুখে ছত্রাক সংক্রমণ বা Oral Thrush রোগটির দীর্ঘদিনেও উপশম হচ্ছে না
• শিশুর দেহের ওজন কমছে

দয়াকরে আপনারা সবাই সচেতন হবেন।

মনে রাখবেন, আপনার সচেতনতা, আপনার সন্তানের জন্য আশীর্বাদ।

(Collected)

Courtesy by

ডা. মানিক মজুমদার

 # #অনেক সময় দেখা যায়, একজন অবিবাহিত মেয়ের হঠাৎ মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে। ডাক্তার দেখাতে গেলে প্রথমেই বলা হয় “প্রেগনেন্সি টেস...
03/07/2025

# #
অনেক সময় দেখা যায়, একজন অবিবাহিত মেয়ের হঠাৎ মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে। ডাক্তার দেখাতে গেলে প্রথমেই বলা হয় “প্রেগনেন্সি টেস্ট করে আসেন।”
পরিবারের কেউ হয়তো বলে বসে-
“এখনও তো মেয়ের বিয়ে হয়নি, প্রেগনেন্সি কীভাবে?”
ডাক্তার তখন স্পষ্ট জানিয়ে দেন -
“প্রেগনেন্সি টেস্ট ছাড়া রোগী দেখা সম্ভব নয়"
যাই হোক, টেস্ট হয়। রিপোর্ট পজিটিভ!!
পরিবার হতবাক। মেয়ে অজ্ঞান।
এবার শুরু হয় প্রশ্ন, কান্না, অস্বীকার-
রোগী বলছে, “আমি কিছু করিনি।”
পরিবার বলছে, “তাহলে পজিটিভ টেস্ট আসলো কীভাবে?”
কেউ কেউ বলে - “জীনের ব্যাপার! পেটে জীনের বাচ্চা আসছে"
তবে ডাক্তার তখন আসল কাজ শুরু করেন - “চলুন, আলট্রাসনোগ্রাফি করা যাক।”
আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে দেখা যায় — পেটে কোনো বাচ্চা নেই।
তাহলে? প্রেগনেন্সি টেস্ট পজিটিভ হলো কেন?
এই যে স্ট্রিপ দিয়ে টেস্ট করা হয়, ওটা আসলে “বাচ্চা শনাক্ত করার যন্ত্র” না।
এই টেস্টে চেক করা হয় শরীরে HCG (human chorionic gonadotropin) হরমোনের উপস্থিতি।
এই হরমোন গর্ভাবস্থায় শরীরে তৈরি হয় ঠিকই, কিন্তু একই হরমোন কিছু টিউমারের ক্ষেত্রেও নিঃসৃত হতে পারে, যেমন:
Choriocarcinoma
Germ cell tumor
Hydatidiform mole
Teratoma (with choriocarcinoma)
Seminoma
Islet cell tumor ইত্যাদি।
অর্থাৎ, হরমোন বাড়লেই আপনি গর্ভবতী বিষয়টি এমন নয়। কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো, এই ধরণের ভুল বোঝাবুঝি থেকে অনেক মেয়ে চরম মানসিক আঘাত পায়। অনেকে হতাশ হয়ে আত্মহত্যার কথা ভাবে। কারও চরিত্র নিয়ে চলে অযথা বিচার সমালোচনা।
একটা রিপোর্ট আসার পর সবকিছু ভেঙে পড়ার আগে একটু ভাবুন, ডাক্তার দেখান, পুরো ঘটনা বোঝার চেষ্টা করুন। আপনি সচেতন থাকলে, হয়তো কোনো একদিন কাউকে একটা বড় বিপদ থেকে বাঁচাতে পারবেন।

(Collected)

Courtesy by

ডা: এম মাহিদুল ইসলাম জিহাদ

NICU/SCANU....Noakhali Medical College & 250 Bed General Hospital,Maijdee,Sador,Noakhali
02/07/2025

NICU/SCANU....
Noakhali Medical College & 250 Bed General Hospital,Maijdee,Sador,Noakhali

 # #তোমার সন্তান তা-ই হবে, তুমি তাকে যা বলছো।তাকে স্মার্ট বলেছ,... সে বিশ্বাস করবে সে স্মার্ট।তাকে একরোখা বলেছ,... একটি ...
29/06/2025

# #
তোমার সন্তান তা-ই হবে, তুমি তাকে যা বলছো।

তাকে স্মার্ট বলেছ,... সে বিশ্বাস করবে সে স্মার্ট।

তাকে একরোখা বলেছ,... একটি গোঁয়ার তৈরি করে ফেলেছ তুমি।

যদি বলো─ "কিছুই মনে রাখতে পারো না তুমি!"... পরদিন থেকে স্কুলের পড়া মনে থাকবে না তার, এবং প্রায়ই কিছু-না-কিছু হারিয়ে ফেলবে।

তাকে "বেয়াদব" বললে,... তুমি কল্পনাও করতে পারবে না আগামীকাল কী প্রচণ্ড মাত্রার বেয়াদবি করবে সে তোমার সাথে, বন্ধুদের সাথে, এমনকি স্কুলেও!

তাকে যদি "লক্ষ্মী" বলো,... দেখবে─ যে-সহপাঠীটির সাথে কেউ খেলছে না, তাকে তোমার সন্তানটি ডেকে নিয়ে একসাথে খেলছে; দেখবে─ টিচারকে হেল্প করছে সে গড়িয়ে পড়ে যাওয়া মার্কার-পেনটি তুলে দিয়ে; দেখবে─ কান্নারত একটি শিশুকে আদর করছে সে।

বলো─ "তুমি বড়ো হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে 'পারবে'",... "তুমি ডাক্তার হতে 'পারবে'",... "গায়িকা হতে
পারবে' তুমি",... "তুমি বড়ো হয়ে পেইন্টার হতে 'পারবে'";... পরমুহূর্ত থেকেই তোমার সন্তান আপ্রাণ প্রচেষ্টায় থাকবে অমন হয়ে উঠতে।

গুরুত্ব দিলে, শিশু নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ভাববে।
অবহেলা করলে, সে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলবে।

শিশুকে, তার ক্ষমতা চিনিয়ে দিতে হয়;
তবেই সে হয়ে ওঠে যোগ্য মানুষ, নিজের মধ্যকার ক্ষমতা চিনে নিয়ে।

অতএব, তোমার শিশুসন্তানকে বলো─ "তুমি এই জগতের সুন্দরতম মানুষ।"
তোমার সন্তানটি হয়ে উঠবে তোমার জীবনের সুন্দরতম উদাহরণ।

সে তা-ই হবে, যা সে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে।

শিশুরা কথার জাদুতে গড়ে ওঠে। তাদের মগজ (neuro-plastic brain) ও মন এমন এক “নরম মাটির” মতো—যেখানে যে বীজ রোপণ করি, সেটিই চারা হয়ে বেড়ে ওঠে। ইতিবাচক শব্দ ও আস্থা-ভরা লেবেল তাদের আত্ম-ধারণা, আচরণ ও ভবিষ্যৎ সামর্থ্যের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। নীচে কুরআন-সুন্নাহ ও আধুনিক মনোবিজ্ঞানের আলোকে বুঝিয়ে দিচ্ছি, কেন “তুমি পারবে”, “তুমি লক্ষ্মী”-ধরনের উক্তি শিশুর মনস্তাত্ত্বিক বিকাশে এতো কার্যকর।

১. ইসলামী দৃষ্টিকোণ

“তুমি পারবে”— ইতিবাচক কথার শক্তি

ইসলাম, হাদীস ও মনোবিজ্ঞানের আলোকে শিশুর মানসিক গঠনে ভাষার প্রভাব

একজন শিশুর ভবিষ্যৎ গড়ার অন্যতম হাতিয়ার হলো—তার অভিভাবকের মুখে উচ্চারিত শব্দ। “তুমি পারবে”, “তুমি লক্ষ্মী”, “তুমি স্মার্ট”—এমন কথা শিশুর হৃদয়ে গভীর বিশ্বাস ও আত্মসম্মান জন্মায়। পক্ষান্তরে—“তুমি বেয়াদব”, “তুমি গোঁয়ার”, “তুমি কোনো কাজেই পারো না”—এই নেতিবাচক শব্দ শিশুর আত্মমর্যাদা ধ্বংস করে দেয়।

এই বক্তব্য শুধু আধুনিক মনোবিজ্ঞানেই প্রমাণিত নয়, বরং ইসলামের মূলনীতি ও হাদীসেও এর দারুণ সামঞ্জস্য পাওয়া যায়। নিচে ইসলামী সূত্র অনুসারে চারটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি, সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা ও দলিলসহ তুলে ধরা হলো—



১. নম্র ও সদাচারী ভাষা

মূলনীতি:
শিশুর সঙ্গে সদাচারী, দয়ালু ও শুভ বাক্য ব্যবহার করা।

সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
আল্লাহ তাআলা উত্তম বাক্যকে একটি শক্তিশালী, ডালপালা ছড়ানো ফলবান বৃক্ষের সঙ্গে তুলনা করেছেন। যেমন একটি গাছ বছরের পর বছর ধরে ফল দেয়, তেমনি একটি সুন্দর বাক্য শিশুর মনে স্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

দলিল:
📖 “তুমি কি লক্ষ্য করোনি, কিভাবে আল্লাহ উত্তম বাণীর দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন? তা হলো এক পবিত্র বৃক্ষের মত, যার মূল মজবুত এবং শাখা আকাশে।”
— সুরা ইবরাহ ১৪:২৪-২৫



২. নিন্দা ও কটুকথা নিষেধ

মূলনীতি:
অপমানজনক নাম বা নেতিবাচক ট্যাগ ব্যবহার না করা।

সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
কোনো শিশুকে “বেয়াদব”, “অসভ্য” বা “অযোগ্য” বললে সে নিজেকে তেমন ভাবতে শুরু করে এবং সেই আচরণে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। ইসলাম কুরআনে সরাসরি নিষেধ করেছে কাউকে কষ্টদায়ক উপনামে ডাকা।

দলিল:
📖 “তোমরা একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। বিশ্বাসের পর মন্দ নামে ডাকা একটি গোনাহ।”
— সুরা হুজুরাত ৪৯:১১



৩. ভালো সংবাদ ও দোআ দেওয়া

মূলনীতি:
শিশুকে আশাবাদী ভবিষ্যতের বার্তা ও দোআ প্রদান করা।

সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
রাসূল ﷺ শিশুদের ভালোবাসতেন এবং তাদের জন্য দোআ করতেন। তিনি হাসান ও হুসাইন (রাঃ)-কে “আমার দুই ফুল” বলে সম্বোধন করতেন। এই সম্মান ও ভালো শব্দ শিশুর মনের মধ্যে নিজের গুরুত্ব এবং ভালো হওয়ার আগ্রহ জাগায়।

দলিল:
📘 সুনান আন-নাসাই (সহীহ):
রাসূল ﷺ হাসান ও হুসাইন সম্পর্কে বলেছেন—
“হুমা রাইহানাতাইয়া মিনাদ-দুনিয়া”
— “তারা দুনিয়ার দুই ফুল।”



৪. শিশুদের প্রতি দয়া প্রদর্শন

মূলনীতি:
শিশুর প্রতি স্নেহ, উৎসাহ ও প্রশংসা প্রদর্শন করা।

সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
রাসূল ﷺ বলেছেন, ছোটদের প্রতি দয়া না করা এবং বড়দের সম্মান না করা ব্যক্তি তাঁর উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়। শিশুদের ওপর করুণা করা মানে তাদের ভালো বলা, উৎসাহ দেওয়া, এবং ভুলত্রুটি মাফ করা।

দলিল:
📗 তিরমিযি হাদীস ১৯১৯:
“مَنْ لَا يَرْحَمْ صَغِيرَنَا وَلَا يُوَقِّرْ كَبِيرَنَا فَلَيْسَ مِنَّا”
— “যে আমাদের ছোটদের প্রতি দয়া করে না এবং আমাদের বড়দের সম্মান করে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।”

শিশুর মন একটি শূন্য ক্যানভাস—আপনি যে ভাষায় রং তুলির আঁচড় দেবেন, সে জীবনভর সেই রঙেই নিজেকে দেখবে। ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে কেবল ভালো আচরণ নয়, বরং ভালো বাক্য-ও শিশু গঠনে অপরিহার্য। তাই আসুন, আমাদের সন্তানদের জন্য এমন শব্দ বেছে নেই, যা হবে দোআ, আশীর্বাদ ও ভবিষ্যৎ নির্মাণের হাতিয়ার।
বলুন—“তুমি পারবে”, “তুমি শ্রেষ্ঠ”, “আল্লাহ তোমাকে নেক বান্দা করুন”—এবং দেখুন, আপনার সন্তান কীভাবে হয়ে ওঠে আপনার জীবনের সেরা উপহার।

ফলাফল → ইতিবাচক ভাষার মাধ্যমে পিতা-মাতা সুন্নাহ পালন ও সন্তানের হৃদয়ে ঈমানী আত্ম-সম্মান গেঁথে দেন।

২. মনোবিজ্ঞানী দৃষ্টিকোণ
1. পিগম্যালিয়ন/রোসেনথাল এফেক্ট
• শিক্ষা-গবেষণায় দেখা গেছে, যে শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে শিক্ষক “তারা এগিয়ে যাবে”-ধরনের প্রত্যাশা পোষণ করেন, তারাই পরীক্ষায় ঝলসে ওঠে।
• বাচ্চাকে “স্মার্ট”, “লক্ষ্মী” বলা এই স্ব-সম্পূরক ভবিষ্যদ্বাণী (self-fulfilling prophecy) সক্রিয় করে।
2. লেবেলিং ও সেলফ-স্ক্রিপ্ট
• নেতিবাচক লেবেল (যেমন “বেয়াদব”) শিশুকে নিজেকে ঐ রূপে দেখতে শেখায়—ফলে আচরণেও তা ফুটে ওঠে (Labelling theory, Becker, 1963).
3. আত্ম-কার্যকারিতা (Self-Efficacy)
• আলবার্ট বান্দুরার মতে “আমি পারি”-বিশ্বাস কঠিন কাজেও অধ্যবসায় বাড়ায়। পিতা-মাতার “তুমি ডাক্তার হতে পারবে” উচ্চ-স্বপ্ন এই বিশ্বাস জাগায়।
4. গ্রোথ মাইন্ডসেট
• ক্যারল ডুএক দেখিয়েছেন, ক্ষমতা পরিবর্তনশীল—এমন বার্তা শিশুকে চ্যালেঞ্জে স্থিত রাখে। “পারবে”-ধরনের বাক্য এই মানসিকতা তৈরি করে।
5. অভ্যন্তরীণ উৎসাহ বনাম বাহ্যিক শাস্তি
• সদ্ভাষা ও স্বীকৃতি ছাত্রের ভেতরকার মোটিভেশন জাগায়; বারবার শাসন কেবল বাহ্যিক শৃঙ্খলা টিকে রাখে, কিন্তু সৃজনশীলতা দমিয়ে দেয় (Ryan & Deci, 2000).



৩. বাস্তব-প্রভাব: কীভাবে শিশুর বিকাশে সহায়তা করে?
• আত্ম-সম্মান বাড়ে → শিশুর Cortisol-স্তর কমে, উদ্বেগ-ভীতি ধরে না; শেখার জানালা প্রশস্ত হয়।
• সামাজিক সহমর্মিতা শেখে → “তুমি লক্ষ্মী” শুনে সে Empathy-র উদাহরণ দেখাতে চায়—বন্ধুকে খেলায় নেয়, ছোটদের আদর করে।
• ভাষা-আচরণে ইতিবাচক চক্র → ভালো কথা শুনে সে অন্যকেও ভালো কথা বলে; “আল-কালিমাহ আত-তইয়্যিবাহ”-র ধারাবাহিকতা গড়ে।
• লক্ষ্য-নির্দিষ্ট প্রচেষ্টা → “ডাক্তার হবে”-মন্ত্র শিশুকে পাঠ্যবই, কুদরতির ডায়াগ্রাম, STEM খেলনায় আগ্রহী করে তোলে; পরিকল্পনা-ক্ষমতা বাড়ে।
• ক্ষমতায়নের অনুভূতি → যে সন্তান বাড়িতে সম্মান পায়, বাইরের বিশ্বে অবমূল্যোচনার মুখেও ডিগ্রী হারায় না; রেজিলিয়েন্স তৈরি হয়।



৪. কীভাবে প্রয়োগ করবেন? ৫টি সহজ কৌশল
1. সুনির্দিষ্ট প্রশংসা দিন
• বলুন, “তুমি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করেছ, দারুণ!”—শুধু “ভাল” না বলে আচরণও উল্লেখ করুন।
2. নেতিবাচক ঘটনার “ব্যবহারিক ভাষা”
• “তুমি বেয়াদব” না বলে—“তোমার আচরণটা বন্ধুকে কষ্ট দিয়েছে; কীভাবে ঠিক করবো?”
3. দোআ ও শুভকামনা
• ঘুমানোর আগে মাথায় হাত রেখে “আল্লাহ তোমাকে নেক বান্দা করুন”—ইসলামি ইতিবাচক লেবেল।
4. মিশন-ভিত্তিক খেলা দিন
• “আজ আমরা ইঞ্জিনিয়ারদের মতো একটি সেতু বানাব”—লক্ষ্যের প্রতি মজার অনুশীলন।
5. নিজের ভাষার শুদ্ধি অনুশীলন
• এক সপ্তাহ “নিষিদ্ধ শব্দ তালিকা” রাখুন—নেগেটিভ ট্যাগ বললে নিজেকেই জরিমানা দিন; পরিবারে ইতিবাচক সংস্কৃতি গড়ুন।

উপসংহার

কুরআনের “পবিত্র বাক্য”-এর তুলনা ও নবী ﷺ-এর স্নেহব্যবহার আধুনিক মনোবিজ্ঞানের ফলাফলগুলোর সাথে মিলে যায়—ভালো কথা শিশুর মনের রাসায়নিক বাস্তবতা, মানসিক গঠন ও সামাজিক দক্ষতা রূপান্তরিত করে। কাজেই “তুমি পারবে”—এই বিশ্বাস-শব্দই আপনার সন্তানের জীবনের নকশা আঁকে। আওয়াজ দিন, ভালো শব্দ বুনুন; কাল সে-ই আপনার জীবনের সুন্দরতম উদাহরণ হয়ে ফিরবে—ইন-শা-আল্লাহ।

(Collected)

বর্তমানে স্ক্যাবিস মহামারী চলছে।  স্ক্যাবিসে আক্রান্ত শিশু রোগীর অভিভাবকদের প্রতি স্ক্যাবিস চিকিৎসা সম্পর্কে আমার কিছু প...
28/06/2025

বর্তমানে স্ক্যাবিস মহামারী চলছে। স্ক্যাবিসে আক্রান্ত শিশু রোগীর অভিভাবকদের প্রতি স্ক্যাবিস চিকিৎসা সম্পর্কে আমার কিছু পরামর্শ রয়েছে।

প্রথমেই আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, আপনার শিশুর স্ক্যাবিস সমস্যা সঠিকভাবে নিয়ম পালন করে চিকিৎসা করলে স্ক্যাবিস নিরাময়যোগ্য রোগ। আপনার শিশুর স্ক্যাবিস দূর করার ২০ টি সঠিক টিপস নিম্নে দিলাম। টিপস গুলো চেষ্টা করে দেখুন আপনার শিশুর স্ক্যাবিস ভালো হতে সময় লাগবে না।

১. শিশুর পুরো শরীরে Scabicidal Cream লাগান – শুধু চুলকানির জায়গাটুকুতে নয়।

যেমন: শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শিশুকে Permethrin 5% বা Benzyl Benzoate – শিশুর গলা থেকে পা পর্যন্ত লাগান রাতের ঘুমানোর আগে। বারবার ক্রীম লাগাবেন না – ৭ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার লাগানো যেতে পারে। প্রতি সপ্তাহে ব্যবহার করতে হবে এভাবে মোট চার সপ্তাহ সর্বোচ্চ।

২. সারা শরীরে মলম বা লোশন লাগানোর ৮–১২ ঘণ্টা পরে সকালবেলা কুসুম গরম পানি ও সাবান দিয়ে ক্রীম ও শরীর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

৩. শুধু শিশু রোগী নয় – একই ঘরের প্রত্যেককে একত্রে একসাথে চিকিৎসা করান। না হলে বারবার একজন শিশু থেকে অন্য শিশু বা শিশু থেকে বড়দের শরীরে স্ব্যাবিস ছড়িয়ে পড়বে এবং ইনফেকশন ফিরে ফিরে আসবে।

৪. “স্ক্যাবিস রোগের জীবাণু (Sarcoptes Scabiei) শুধু শরীরে নয়, ছড়ায় কাপড়, বিছানা এবং অবহেলায়!”

ব্যবহৃত জামা-কাপড়, চাদর, তোয়ালে ৬০°C গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এক্ষেত্রে কাপড় কাচার সোডা ব্যবহার করা বেস্ট হবে। কড়া রোদে ধোয়া কাপড় শুকানোর পর সে কাপড় ইস্ত্রী করতে হবে। এছাড়াও শিশুকে যেকোনো কাপড় পরানোর পূর্বে ইস্ত্রী করে পরাতে হবে এভাবে দুই সপ্তাহ চলবে কাপড়ের চিকিৎসা।

৫. আধোয়া কাপড়ে Sarcoptes Scabiei জীবাণু ৩–৪ দিন বেঁচে থাকে। কাপড় চোপড় ধোয়া না গেলে সেগুলো ৪–৫ দিন আলাদা ব্যাগে বন্দি করে রাখুন (এতে Sarcoptes Scabiei মারা যাবে)। এটা ১০০% কাজে দিবে।

৬. পোকা মরে গেলেও চুলকানি ২–৪ সপ্তাহ থাকতে পারে – ভয় পাবেন না। হতাশ হবেন না। চুলকানির জন্য Oral Antihistamine খেতে পারেন (যেমন Cetirizine, Loratadine) ঘুমানোর আগে খেলে বেশ আরাম পাওয়া যায়। এটা সাময়িক ভাবে ভালো কাজ দেয়। তাই এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ ছয় থেকে আট সপ্তাহ কন্টিনিউ করা লাগতে পারে বিশেষ করে যারা এটপিক পারসন।

৭. স্ক্যাবিস চিকিৎসার প্রথম দিনই খাবার ওষুধ আইবারমেক্টিন দিতে হবে যদি কোন কন্ট্রাইন্ডিকেশন না থাকে।

৮. স্ক্যাবিসের চিকিৎসায় কোনরকম Steroid ব্যবহার করা যাবে না পরবর্তীতে এটা ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে।

৯. শিশুর নখ কেটে পরিষ্কার রাখুন – স্ক্যাবিসের জীবাণু Sarcoptes Scabiei এর ডিম সবচেয়ে বেশি থাকে নখের নিচে।

১০. শিশুর চোখ, মুখ, যৌনাঙ্গ – বিশেষ এলাকায় ক্রীম ব্যবহারে সতর্ক হোন বা শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

১১. গর্ভবতী ও শিশুর জন্য ভিন্ন ওষুধ ব্যবহার হয় – শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখিয়েই শিশুর স্ক্যাবিসের চিকিৎসা শুরু করুন। শুধু লোশন, সাবানই ভালো।

১২. শরীরের ভাঁজ ভাঁজ অংশে বেশি মলম লাগান (আঙুলের ফাঁক, বগল, কোমর, যৌনাঙ্গ, পায়ের আঙুল)। কারণ এসব জায়গায় Sarcoptes Scabiei বেশি বাসা বাঁধে।

১৪. ঘরের বিছানা, বালিশ, সোফা ৩ দিন রোদে দিন বা কভার পাল্টান। বারবার এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন।

১৫. পোষা প্রাণী (cat/dog) থেকে Scabies হয় না – কিন্তু কাপড়-তোয়ালেতে Sarcoptes Scabiei ছড়ায়।

১৬. নিজে যাদের সাথে ঘনিষ্ঠ ছিলেন (শোয়ার সাথী), তাদের ও চিকিৎসা দিন। এটা অনেকেই অবহেলা করে।

১৭. সাবান দিয়ে শিশুর শরীর বারবার ধুয়ে চামড়া শুকিয়ে ফেলবেন না – এতে চুলকানি আরও বাড়ে।

১৮. রোগ না কমলে বা ইনফেকশন হলে Antibiotic Cream বা Tablet বা ক্যাপসুল বা শিশুকে সিরাপ খাওয়াতে বা মলম লাগতে পারেন
সাথে দাউদ ও থাকতে পারে ।

১৯. আগেই শুরু করলে সহজে ভালো হয় – দেরিতে চিকিৎসা মানেই পুরো পরিবারে ছড়ানো।

২০. একবার চিকিৎসা শেষ হলেও ২ সপ্তাহ পর পর শিশুকে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে Follow-up করানো ভালো – বিশেষ করে বাচ্চা ও গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে। অনেকেই শিশুকে ফলোআপ করায় না, তাতে সে শিশু সুস্থও হয় না।

Golden Line:

“স্ক্যাবিস মানেই গরিবি বা ঘৃণার রোগ নয় – এটা শুধু সচেতনতার অভাব।

সঠিক চিকিৎসা নিলে স্ক্যাবিস রোগ ৭ দিনে সারবে, অবহেলা করলে রোগটি আরো নতুন ৭ জনকে ধরিয়ে দেবে!”

বছর পার হলেও ভালো হবে না। সকলের সহযোগিতা এবং সচেতনতাই স্ক্যাবিস থেকে মুক্তি লাভ করা যায়

দয়াকরে আপনারা সবাই সচেতন হবেন।

মনে রাখবেন, আপনার সচেতনতা, আপনার সন্তানের জন্য আশীর্বাদ।

(Collected )

Courtesy by

ডা. মানিক মজুমদার

 # #বিশ্বাস, মস্তিষ্ক এবং বাস্তবতা নিয়ে দারুণ এক বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ...আমাদের বিশ্বাস কীভাবে মস্তিষ্ক এবং শরীরকে প্রভাবি...
23/06/2025

# #
বিশ্বাস, মস্তিষ্ক এবং বাস্তবতা নিয়ে দারুণ এক বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ...
আমাদের বিশ্বাস কীভাবে মস্তিষ্ক এবং শরীরকে প্রভাবিত করে। এই ধারণাটি কেবল আধ্যাত্মিক বা দার্শনিক নয়, বরং এর পেছনে রয়েছে সুদৃঢ় বৈজ্ঞানিক ভিত্তি। নিউরোসায়েন্স এবং সাইকোলজির সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো এই বিষয়ে আলোকপাত করেছে যে, আমাদের বিশ্বাস কীভাবে নিউরোট্রান্সমিটারের নির্গমন এবং মস্তিষ্কের গঠনকে প্রভাবিত করে, যা শেষ পর্যন্ত আমাদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে।

বিশ্বাস এবং নিউরোট্রান্সমিটারের সম্পর্ক:
আমাদের মন যখন কোনো নির্দিষ্ট বিশ্বাসকে ধারণ করে, তা ইতিবাচক বা নেতিবাচক যাই হোক না কেন, মস্তিষ্ক তৎক্ষণাৎ তার প্রতিক্রিয়া জানায়। এই প্রতিক্রিয়া মূলত নিউরোট্রান্সমিটারের নির্গমনের মাধ্যমে ঘটে। নিউরোট্রান্সমিটার হলো রাসায়নিক বার্তাবাহক যা স্নায়ুকোষের মধ্যে সংকেত প্রেরণ করে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিউরোট্রান্সমিটার এবং বিশ্বাসে তাদের ভূমিকা নিচে আলোচনা করা হলো:

ডোপামিন (Dopamine): যখন আমরা কোনো ইতিবাচক ফল বা পুরষ্কারের (যেমন, আমাদের বিশ্বাস সত্যি হচ্ছে) প্রত্যাশা করি, তখন ডোপামিন নির্গত হয়। এটি প্রেরণা, আনন্দ এবং শেখার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে আপনি একটি নির্দিষ্ট কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন, তবে আপনার মস্তিষ্ক ডোপামিন নির্গত করে আপনাকে সেই কাজ করার জন্য উৎসাহিত করবে।

সেরোটোনিন (Serotonin): মেজাজ, ঘুম এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণের জন্য সেরোটোনিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইতিবাচক বিশ্বাস এবং মানসিক স্থিতিশীলতা সেরোটোনিনের সঠিক মাত্রাকে বজায় রাখতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, নেতিবাচক বিশ্বাস এবং মানসিক চাপ সেরোটোনিনের মাত্রায় ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে।

অক্সিটোসিন (Oxytocin): এই নিউরোট্রান্সমিটারটি সাধারণত "লাভ হরমোন" নামে পরিচিত। বিশ্বাস, আস্থা এবং সামাজিক বন্ধন তৈরিতে এর ভূমিকা অপরিসীম। যখন আমরা অন্যদের বিশ্বাস করি বা নিজেদের প্রতি আস্থা রাখি, তখন অক্সিটোসিন নির্গত হয়ে মানসিক শান্তি ও সংযোগের অনুভূতি বাড়ায়।

কর্টিসল (Cortisol): এটি একটি স্ট্রেস হরমোন। যখন আমরা ভয়, সন্দেহ বা নেতিবাচক বিশ্বাসে আচ্ছন্ন থাকি, তখন কর্টিসল নির্গত হয়। দীর্ঘমেয়াদী কর্টিসল নিঃসরণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে, রক্তচাপ বাড়ায় এবং বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
এই নিউরোট্রান্সমিটারগুলোর ভারসাম্য আমাদের বিশ্বাস দ্বারা প্রবলভাবে প্রভাবিত হয়। আমাদের বিশ্বাস যত দৃঢ় হয়, মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটারগুলো তত বেশি নির্দিষ্ট উপায়ে নির্গত হয় এবং প্রতিক্রিয়া জানায়।

মস্তিষ্কের গঠন এবং প্লাস্টিসিটি:
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মস্তিষ্কের প্লাস্টিসিটি (Plasticity) বা মস্তিষ্কের পরিবর্তনশীলতা। মস্তিষ্ক একটি গতিশীল অঙ্গ যা প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয় এবং নতুন সংযোগ তৈরি করে। আমাদের চিন্তা, অনুভূতি এবং বিশ্বাস এই প্লাস্টিসিটিকে প্রভাবিত করে। যখন আমরা একটি নির্দিষ্ট বিশ্বাসকে বারবার লালন করি, তখন মস্তিষ্কের সেই সংশ্লিষ্ট পথগুলো শক্তিশালী হয়। এটিকে নিউরাল পাথওয়ে (Neural Pathway) বলা হয়।
উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে আপনি সুস্থ থাকবেন, তবে আপনার মস্তিষ্ক সেই বিশ্বাসকে সমর্থন করার জন্য নিউরাল পাথওয়ে তৈরি করবে। এটি মানসিকতা এবং শরীরের মধ্যে এক ধরনের স্বয়ংক্রিয় প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। নিউরোসায়েন্সের গবেষণায় দেখা গেছে যে, মেডিটেশন বা মাইন্ডফুলনেসের মাধ্যমে ইতিবাচক বিশ্বাস অনুশীলন করলে মস্তিষ্কের কিছু অংশে ধূসর পদার্থের (Grey Matter) ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়, যা আবেগ নিয়ন্ত্রণ এবং মনোযোগের সাথে সম্পর্কিত।

বাস্তবতা এবং প্রতিদান: প্ল্যাসিবো প্রভাবের দৃষ্টান্ত:
"যে যেরকম বিশ্বাসের উপরে থাকবে ও তার বিশ্বাসের গভীরতা যত বেশি হবে- সে সেরকমই তার প্রতিদান পাবে" – এই বিষয়টি সবচেয়ে স্পষ্ট হয় প্ল্যাসিবো প্রভাব (Placebo Effect) এর মাধ্যমে। প্ল্যাসিবো হলো এমন একটি পদার্থ বা চিকিৎসা যার কোনো সক্রিয় উপাদান নেই, কিন্তু এটি রোগীর অবস্থার উন্নতি ঘটায় কারণ রোগী বিশ্বাস করে যে এটি কার্যকর।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্ল্যাসিবো প্রদানের পর রোগীদের মস্তিষ্কে ডোপামিন এবং এন্ডোরফিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটার নির্গত হয়, যা ব্যথা উপশম করতে বা মেজাজ উন্নত করতে সাহায্য করে। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, শুধুমাত্র বিশ্বাসের মাধ্যমেই আমাদের শরীর এমনভাবে প্রতিক্রিয়া করতে পারে যেন সত্যিকারের কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এটি কেবল মানসিক নয়, বরং শারীরিকভাবেও আমাদের প্রভাবিত করে। বিপরীতভাবে, নোসেবো প্রভাব (Nocebo Effect) ও একই রকম কাজ করে, যেখানে নেতিবাচক প্রত্যাশা বা বিশ্বাসের কারণে রোগীর অবস্থার অবনতি হয়।

আমাদের বিশ্বাস কেবল মানসিক ধারণা নয়; এটি আমাদের মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটারের নির্গমন, মস্তিষ্কের গঠন এবং শেষ পর্যন্ত আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্য ও বাস্তবতার ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। আমরা যা বিশ্বাস করি, তা আমাদের ভেতরের রসায়ন এবং বাইরের প্রতিদানকে প্রভাবিত করে। ইতিবাচক এবং দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের সম্ভাবনাগুলোকে উন্মোচন করতে এবং একটি সুস্থ ও পরিপূর্ণ জীবন গড়তে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। এই কারণেই আত্মবিশ্বাস, আশাবাদ এবং ইতিবাচক মানসিকতার গুরুত্ব আধুনিক বিজ্ঞানে এত বেশি স্বীকৃত।

©️
তথ্য সংকলনে-
Muhammad Nasim Hossain

Address

Demra

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr Saifullah Rasel posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr Saifullah Rasel:

Share

Category