25/11/2025
অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: নীরব মহামারির দিকে বাংলাদেশ
অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স (AMR) মানে হলো, জীবাণু আর আগের মতো ওষুধে প্রতিক্রিয়া দেখায় না। ফলে সাধারণ সংক্রমণও হয়ে উঠতে পারে মারাত্মক।
সম্প্রতি আইইডিসিআর জানিয়েছে, দেশের পাঁচটি হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি রোগীদের মধ্যে প্রায় ৪১% রোগীর ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজই করছে না। এটি শুধু উদ্বেগজনকই নয়—এটি আমাদের জন্য বড় জনস্বাস্থ্য সংকেত।
কেন এমন হচ্ছে?
-সাধারণ ঠান্ডা-জ্বর, ব্যথা বা ভাইরাল ইনফেকশনে ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক সেবন
-চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ শুরু করা
-অসম্পূর্ণ ডোজ খাওয়া (কয়েকদিন ভালো লাগলে ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া)
-হাসপাতাল ও কমিউনিটিতে অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার
এর পরিণতি কী?
-জীবাণুর বিরুদ্ধে কার্যকর ওষুধ কমে যাচ্ছে
-চিকিৎসা জটিল হচ্ছে
-আইসিইউ রোগীদের জীবন ঝুঁকি বাড়ছে
-ভবিষ্যতে সাধারণ সংক্রমণও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে
এ পরিস্থিতিতে আমাদের করণীয়:
✔ অ্যান্টিবায়োটিক কখনোই নিজ উদ্যোগে শুরু করবেন না
✔ শুধু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ও পূর্ণ ডোজ সম্পন্ন করুন
✔ ভাইরাল রোগে (যেমন সর্দি–কাশি, ফ্লু) অ্যান্টিবায়োটিক কাজে লাগে না—এ বিষয়ে সচেতন হোন
✔ শিশুদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে বিশেষ সতর্কতা
✔ হাত ধোয়া ও পরিচ্ছন্নতা বাড়িয়ে সংক্রমণ প্রতিরোধ করুন
অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স আমাদের ভবিষ্যৎ চিকিৎসাকে বিপন্ন করতে পারে। তাই এখনই সচেতন হওয়া জরুরি।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক নয়—নিজে সচেতন হোন, অন্যকেও সচেতন করুন।
ডা ফয়েজ আহমদ খন্দকার
সহযোগী অধ্যাপক
লিভার ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ।