Back In Motion: American Health & Wellness Center

Back In Motion: American Health & Wellness Center Back in Motion Ltd, specializes in Manual therapy, a distinct art supported by scientific knowledge

হাত-পা ঝিমঝিম করা, সামান্য কাজে ক্লান্ত লাগা, মনোযোগ ধরে রাখতে কষ্ট হওয়া, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া এসবের পেছনে থাকতে পারে ভ...
26/10/2025

হাত-পা ঝিমঝিম করা, সামান্য কাজে ক্লান্ত লাগা, মনোযোগ ধরে রাখতে কষ্ট হওয়া, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া এসবের পেছনে থাকতে পারে ভিটামিন-বি ১২ এর ঘাটতি। শুনতে খুবই সাধারন একটা সমস্যা মনে হচ্ছেনা? তবে এটা আপনার শরীরের জন্য ভয়ংকর নীরব এক শত্রু যা ধীরে ধীরে আমাদের নার্ভ এবং রক্তকণিকা দুর্বল করে দেয়।

ভিটামিন-বি ১২ ঘাটতির অনেক কারণ রয়েছে। হজমের সমস্যা, খাদ্যাভ্যাস, কোনো ওষুধের দীর্ঘিমেয়াদি ব্যবহার, বয়স, অটোইমিউন সমস্যা তার মধ্যে অন্যতম।

ভিটামিন-বি ১২ এক ধরনের জলীয় ভিটামিন। এটির শরীরের রক্তকণিকা তৈরি, নার্ভের সুরক্ষা ও মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।

ভিটামিন-বি ১২ ঘাটতির লক্ষনঃ-

🔸 ওজন কমে যাওয়া
🔸 ক্ষুধামন্দা
🔸 স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া
🔸 অতিরিক্ত ক্লান্তি
🔸মুড সুইং, ডিপ্রেশন, উদ্বেগ
🔸 মাথা ঘোরা
🔸 মনোযোগে ঘাটতি
🔸 রক্তস্বল্পতা

শরীরে দীর্ঘদিন এটির ঘাটতি থাকলে নার্ভের স্থায়ী ক্ষতি হয়ে থাকে। যা পরবর্তীতে পুরোপুরি সেরে ওঠার সম্ভাবনা খুব কম। এটি শরীর নিজে থেকে তৈরি করতে পারেনা তাই এটি খাবার বা সাপ্লিমেন্ট থেকে নিতে হয়।

ভিটামিন-বি ১২ আছে এমন কিছু খাবারঃ-
🔸 দুধ, পনির, দই
🔸 মুরগির মাংস, গরুর মাংস
🔸 কলিজা
🔸 মাছ
🔸 ডিম

যদি বুঝতে পারেন শরীরে ভিটামিন বি-১২ এর ঘাটতির লক্ষন দেখা দিচ্ছে এটাকে অবহেলা করবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শে রক্ত পরিক্ষা করে শনাক্ত করুন এবং চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে চলুন।

ডা. মো: আবদুল্লাহ ইউসুফ
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ইউএসএ

ব্যথা আর পেইন কিলার আমাদের কাছে সমার্থক শব্দ। কোমরে ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা, মাথা ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা সবকিছুতেই দ্রুত সমাধান ...
25/10/2025

ব্যথা আর পেইন কিলার আমাদের কাছে সমার্থক শব্দ। কোমরে ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা, মাথা ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা সবকিছুতেই দ্রুত সমাধান পেতে পেইন কিলার খেয়ে নেওয়া আমাদের কাছে সবচেয়ে সহজ অপশন।অন্যদিকে আধুনিক চিকিৎসায় ম্যানুয়াল থেরাপি এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই পদ্ধতি প্রাকৃতিক উপায়ে ব্যথার মূল কারন দূর করে। তাহলে এই দুইটার ভিতরে সবচেয়ে কার্যকরী ও নিরাপদ কোনটা সেটা বোঝার চেষ্টা করি চলুন।

✅ ব্যথানাশক ওষুধ মূলত ব্যথার সিগন্যালকে ব্রেইনে পৌঁছাতে বাধা দেয়। সাধারণত ৩ ধরনের ব্যথানাশক বেশি ব্যবহৃত হয় যেমন:

▪️ Paracetamol (হালকা ব্যথার জন্য)

▪️ NSAIDs (ইনফ্লামেশন কমায়)

▪️ Opioid analgesics (মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথার জন্য)

তবে এখানে বিষয় হলো এসব ওষুধ শুধুমাত্র ব্যথার সিগন্যালকেই বন্ধ করে, ব্যথার মূল কারনের কোনো সমাধান করেনা। যার ফলে ব্যথা কিছুদিন পরে আবার ফিরে আসে। দীর্ঘমেয়াদে ব্যথানাশক সেবনের ফলে ওপিওইড আসক্তি, পেটে আলসার, গ্যাস্ট্রিক বা হজমে সমস্যা, লিভার ও কিডনির ক্ষতি, মাস্কড পেইন সিনড্রোম, ব্লাড প্রেশার বা হার্ট ডিজিজের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

✅ ম্যানুয়াল থেরাপিতে রোগীর শরীরের জয়েন্ট, মাংসপেশি, লিগামেন্ট ও নার্ভে নির্দিষ্ট টেকনিক প্রয়োগ করা হয়। এতে টিস্যুর মবিলিটি, স্নায়ুর প্রবাহ, রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক হয় যার ফলে শরীর নিজে নিজেই সুস্থ হতে পারে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ম্যানুয়াল থেরাপি ও এক্সারসাইজ একসাথে প্রয়োগ করা হলে ঘাড়ে ব্যথা, টেনশন হেডেক, ব্যাক পেইন, শোল্ডার পেইনে দীর্ঘস্থায়ী উন্নতি ঘটে। JOSPT 2020 এর গবেষণায় প্রমানিত হয়েছে, ৮ সপ্তাহের ম্যানুয়াল থেরাপি সেশনে অংশ নেওয়া রোগীদের মধ্যে ব্যথা ও স্টিফেনস ৬০-৭০% পর্যন্ত কমে এসেছে যা পেইনকিলার নেওয়া রোগীদের তুলনায় দ্বিগুণ।

এছাড়াও ম্যানুয়াল থেরাপি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন, ব্যথার মূল কারন পর্যন্ত পৌঁছিয়ে সমাধান করে এবং শরীরের নিজস্ব হিলিং ক্ষমতা বাড়ায়।

ডা. মো: আবদুল্লাহ ইউসুফ
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ইউএসএ

23/10/2025

22/10/2025

শরীরের আসল কমান্ড সেন্টার কিন্তু শুধু আমাদের ব্রেইন না, আমাদের পেট বা গাট(অন্ত্র) ও কিন্তু এর বড় একটা অংশ যা আমরা অনেকেই...
22/10/2025

শরীরের আসল কমান্ড সেন্টার কিন্তু শুধু আমাদের ব্রেইন না, আমাদের পেট বা গাট(অন্ত্র) ও কিন্তু এর বড় একটা অংশ যা আমরা অনেকেই জানিনা। এজন্য আমাদের অন্ত্রকে বলা হয় সেকেন্ড ব্রেইন। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ঘুম, মানসিক স্বস্তি এমনকি ত্বকের উজ্জ্বলতাও নির্ভর করে আমাদের গাট হেলথের উপর।
আমাদের পরিপাকতন্ত্রে থাকে কোটি কোটি ভালো ব্যাকটেরিয়া যারা খাবার হজম থেকে শুরু করে রোগপ্রতিরোধ পর্যন্ত সবকিছুতেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এসব ব্যাকটেরিয়া কিছু রাসায়নিক উৎপাদন করে যা সেরোটোনিন ও ডোপামিন এর ভারসাম্য রক্ষা করে। যখন এই ভালো ব্যাকটেরিয়া কমে যায় এবং খারাপ ব্যাকটেরিয়া বেড়ে যায় তখন দেখা দেয় নানান সমস্যা যেমনঃ-

▪️ ওজন বেড়ে যাওয়া
▪️ গ্যাস, পেট ফাঁপা
▪️ কোষ্ঠকাঠিন্য
▪️ ত্বকে ব্রন
▪️ মানসিক চাপ ও ঘুমের সমস্যা

এসব সমস্যা প্রতিরোধে আমাদের Gut-friendly খাবার খাওয়া প্রয়োজন যা ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলোকে বৃদ্ধি ও ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।

Gut-friendly খাবারের সহজ তালিকাঃ-

☑️ ওটস, কলা, পেঁয়াজ, আপেল, রসুন এগুলো ভালো ব্যাকটেরিয়ার ফুয়েল হিসেবে কাজ করে।

☑️ মটরশুঁটি, ডাল, শাকসবজি, বাদাম, হোল গ্রেইন্স হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে পাশাপাশি পেট পরিষ্কার রাখে।

☑️ দই বা যেকোনো ফারমান্টেড খাবার ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়ায়।

☑️ পানি হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে এবং পরিপাকতন্ত্রের গতি স্বাভাবিক রাখে।

ডা. মো: আবদুল্লাহ ইউসুফ
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ইউএসএ

ভ্যাকসিন হলো রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর ও নিরাপদ উপায়। ভ্যাকসিন শরীরের নির্দিষ্ট জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈর...
21/10/2025

ভ্যাকসিন হলো রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর ও নিরাপদ উপায়। ভ্যাকসিন শরীরের নির্দিষ্ট জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। ফলে ভবিষ্যতের সেই জীবাণু শরীরে প্রবেশ করলেও, শরীর দ্রুত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে এবং এবং অনেক সময় অসুস্থ না হয়েই রোগকে প্রতিরোধ করা যায়।

রোগ ও বয়সভেদে ভ্যাকসিনের ধরন আলাদা হয়ে থাকে। যেমনঃ-

✅ শিশুদের ক্ষেত্রে:
জন্ম থেকে ১৫ মাস বয়স পর্যন্ত নির্দিষ্ট শিডিউলে সরকারি টিকাদান কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্য বেশকিছু টিকা (BCG, OPV, হেপাটাইটিস বি, DPT, Hib, PCV, MR) দেওয়া হয়। এগুলো অবশ্যই সময়মতো দেওয়া এবং কোর্স কমপ্লিট করা উচিত।

✅ প্রাপ্তবয়ষ্কদের ক্ষেত্রে:
▪️ মৌসুমি ফ্লু/ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধে: Influenza Vaccine
▪️ সার্ভিকাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে: HPV Vaccine
▪️ দুর্ঘটনা বা আঘাতের পরে: tetanus Vaccine
▪️ লিভারের সংক্রমণ প্রতিরোধে: Hepatitis-B Vaccine

✅ বয়স্ক এবং যারা ঝুঁকিতে আছেন তাদের ক্ষেত্রে:
▪️ প্রতিবছর Influenza Vaccine দিতে হনে
▪️ নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস (বিশেষ করে বয়স্ক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য) প্রতিরোধে: Pneumococcal Vaccine
▪️ পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তিদের জন্য হার্পিস জস্টার প্রতিরোধে: Shingles Vaccine

⭕ যাদের ডায়াবেটিস, কিডনি ডিজিজ, লিভার রোগ, ক্যান্সার, হৃদরোগ আছে তাদের জন্য অতিরিক্ত কিছু ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, কোনো ভ্যাকসিনই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নেওয়া উচিত নয়।

ডা. মো: আবদুল্লাহ ইউসুফ
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ইউএসএ

20/10/2025

আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের মূল লক্ষ্য হলো    রোগ হওয়ার আগেই সেটাকে প্রতিহত করা। যাকে Preventive Treatment বা প্রতিরোধমূলক ...
20/10/2025

আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের মূল লক্ষ্য হলো রোগ হওয়ার আগেই সেটাকে প্রতিহত করা। যাকে Preventive Treatment বা প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা বলা হয়। এটি এমন একধরনের চিকিৎসা বা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা যেখানে কোনো নির্দিষ্ট রোগ হওয়ার আগেই ঝুঁকির কারন চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়, এবং জীবনধারার পরিবর্তন ও চিকিৎসার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই পদ্ধতিতে অনেক সময় কিছু কিছু রোগ সম্পূর্ণভাবে প্রতিরোধ করা যায়, আবার কিছু ক্ষেত্রে রোগ হলেও সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

Preventive Treatment সাধারন ৩ধরনে করা হয়ে থাকে। প্রথমত, রোগ শুরু হওয়ার আগেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন, ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, বিশুদ্ধ পানি গ্রহণের উপরে বেশি জোর দেওয়া হয়।

দ্বিতীয়তো, রোগ একদম প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত করা গেলে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে সেটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। যেমন: ম্যামোগ্রাফি/প্যাপ স্মিয়ারের মাধ্যমে ব্রেস্ট এবং সার্ভিকাল ক্যান্সার আগেভাগেই শনাক্ত করা যায়, নিয়মিত ব্লাড সুগার করলে ডায়াবেটিস হলে সেটা ধরা পরে, ব্লাড প্রেসার চেক করে হাইপারটেনশন প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পরে।

তৃতীয়ত, রোগ হয়ে যাওয়ার পরে জটিলতা যাতে না বাড়ে সে জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা।

যাদের Preventive Treatment নেওয়া প্রয়োজনঃ-

▪️ ৩০ বছরের উর্ধ্বে যারা আছেন

▪️ যারা বেশিরভাগ সময়েই অলস জীবনযাপন করেন

▪️ যাদের পরিবারে দীর্ঘমেয়াদি কোনো রোগের ইতিহাস আছে

▪️ যারা অতিরিক্ত স্ট্রেসে থাকেন

▪️ হাই ব্লাড প্রেশার, প্রি-ডায়াবেটিসে যারা ভুগছেন

▪️ ধূমপায়ী, মদ্যপায়ী ব্যক্তি

▪️ ওবেসিটিতে যারা ভুগছেন

Preventive Treatment শুধুমাত্র কতগুলো টেস্ট এবং ওষুধই নয়, এর বড় অংশই হলো জীবনযাপনের ধরন। তাই পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন, পর্যাপ্ত পানি পান করুন, নিয়মিত ব্যায়াম করুন, মানসিক চাপ মুক্ত থাকতে মেডিটেশন করুন, সময়মতো ভ্যাকসিন গ্রহন করুন।

ডা. মো: আবদুল্লাহ ইউসুফ
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ইউএসএ

19/10/2025

ভোরবেলা ফজরের নামাজের শেষে চারদিক নিস্তব্ধ, হালকা ঠান্ডা বাতাস। আপনি ধীরে ধীরে বাইরে বেরিয়ে আসলেন। পায়ের নিচে নরম সবুজ শ...
19/10/2025

ভোরবেলা ফজরের নামাজের শেষে চারদিক নিস্তব্ধ, হালকা ঠান্ডা বাতাস। আপনি ধীরে ধীরে বাইরে বেরিয়ে আসলেন। পায়ের নিচে নরম সবুজ শিশিরে ভেজা ঠান্ডা ঘাস। হাঁটতে হাঁটতে মনে হচ্ছে শরীরটা যেন হালকা হয়ে আসছে। এই ছোট একটা মূহুর্ত আপনার সারাদিনের সময়টা বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

সবসময় ব্যায়াম মানেই কিন্তু ঘাম ঝরানো কিংবা জিমে যাওয়া নয়। প্রকৃতি আমাদের দিয়েছে এমন কিছু সহজ উপায় যার মাধ্যমে আমরা বিনা খরচে শরীর ও মনের যত্ন নিতে পারি। সকালবেলা ভেজা ঘাসে খালি পায়ে হাঁটা ঠিক এমনই এক সহজ কিন্তু অত্যন্ত উপকারী একটা অভ্যাস।

চলুন জেনে নেই ঘাসে হাঁটার কিছু উপকারিতা সম্পর্কেঃ-

✅ কেউ যখন খালি পায়ে ঘাসের ভিতরে হাঁটে, তখন পায়ের প্রত্যেকটা পেশি সক্রিয়ভাবে নড়ে। যা রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, হার্টের কাজের চাপ কমায়, শরীরে প্রত্যেকটি কোষে অক্সিজেন সরবরাহ সহজ হয়। যাদের এমন পরিবেশে কাজ করতে হয় যেখানে বেশিরভাগ সময় বসে থাকতে হয়, তাদের ক্ষেত্রে এই হাঁটাটা ব্লাড সার্কুলেশন কমে যাওয়ার সমস্যা কে প্রতিরোধ করে। এমনিতেই হার্ট ভালো রাখার জন্য হাঁটা খুবই কার্যকর একটা ব্যায়াম। তার উপরে যদি খালি পায় ঘাসে হাঁটা যায় তাহলে হাঁটার কার্যকারিতা বহুগুন বেড়ে যায়।

✅ বর্তমানে জেনারেশনের অনেকেই ঘুমের সমস্যায় ভোগেন। মানসিক চাপ, অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম এবং অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এর বড় কারণ। আপনি যখন খালি পায়ে হাঁটেন শরীর তখন ইলেকট্রন শোষন করে। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় গ্রাউন্ডিং ইফেক্ট, যা নার্ভকে শান্ত করে এবং ঘুমের মানকে উন্নত করে। কিছু গবেষণায় এমনও দেখা গেছে, যারা নিয়মিত খালি পায়ে ঘাসে হাঁটেন তাদের ইনসমনিয়ার সমস্যা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

✅ যত বেশি প্রকৃতির স্পর্শে থাকা যায় শরীর তত বেশি স্বাভাবিক ভাবে রিচার্জ হয়। ঘাসে খালি পায়ে হাঁটার ফলে শরীরের ইনফ্লামেশন কমে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। ফলে শরীর যেকোনো রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

✅ আমাদের পায়ের পাতায় রয়েছে হাজারো স্নায়ু (নার্ভ) যা সরাসরি আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের সাথে যুক্ত। খালি পায়ে ঘাসে হাঁটার কারনে এই নার্ভ গুলো উদ্দীপ্ত হয়। ফলে দেখা যায় পুরো শরীরে হালকা সতেজ একটা অনুভূতি তৈরি হয়। যারা দিনশেষে পায়ে ব্যথা বা পা ভারী হয়ে আসার সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য এই হাঁটাটা হতে পারে একটি প্রাকৃতিক থেরাপি।

আমরা ধীরে ধীরে যান্ত্রিকতায় ডুবে প্রকৃতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। খালি পায়ে হাঁটা কিছুটা সময়ের জন্য হলেও আপনাকে প্রকৃতির কাছাকাছি নিয়ে আসবে। এই সংযোগ শুধু শরীরের নয় এটা এক ধরনের মানসিক থেরাপি। তাই আজ থেকেই শুরু করুন। দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন নেই, প্রতিদিন সকালে মাত্র ১০ মিনিট খালি পায়ে ঘাসে হাঁটুন। দেখবেন কয়েকদিনের মধ্যেই শরীর ও মন দুটোই বদলে যাবে।

ডা. মো: আবদুল্লাহ ইউসুফ
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ইউএসএ

18/10/2025

প্রতিদিন ৮ ঘন্টা ঘুম কি সবার জন্যই সমানভাবে জরুরি?ঘুমের সময় আমাদের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয়, শরীরের কোষ মেরামত করা সহ ...
18/10/2025

প্রতিদিন ৮ ঘন্টা ঘুম কি সবার জন্যই সমানভাবে জরুরি?

ঘুমের সময় আমাদের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয়, শরীরের কোষ মেরামত করা সহ বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক রিকভারি ঘটে। সেজন্য ঘুম আমাদের প্রত্যেকের জন্য শুধু যে জরুরি তাই নয়, বাধ্যতামূলকও। সাধারণত ধরা হয় একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির জন্য ৭-৯ ঘন্টা ঘুমই যথেষ্ট। ৮ ঘন্টা গড়ে ধরা হলেও কারো জন্য ৭ ঘন্টাতেই পরিপূর্ণ বিশ্রাম হয়ে যায় কারো বা আবার দেখা যায় ৮/৯ ঘন্টা ঘুমালেও সকালে উঠে ক্লান্ত লাগে। তাই একজন ব্যক্তির ঘুমের সময় কতটুকু হবে তা তার বয়স, জীবনযাপনের ধরন, শারীরিক অবস্থা, কাজের ধরন ও মানসিক চাপের উপর নির্ভর করে। একজন ব্যক্তি যে কায়িক পরিশ্রম বেশি করে, আরেকজন ব্যক্তি যে তেমন কোনো কাজ করেনা বেশিরভাগ সময় শুয়ে বসেই কাটায় তাদের দুজনের শরীরে কিন্তু ঘুমের চাহিদা সমান নয়। অন্যদিকে নবজাতকের ১৪-১৭ ঘন্টা ঘুমকেও স্বাভাবিক ধরা হয় কিন্তু একজন কিশোরের জন্য ৮-১০ ঘন্টা ঘুমই যথেষ্ট।

কম ঘুম এবং বেশি ঘুম দুইটাই ক্ষতিকর হতে পারে৷ যাদের অতিরিক্ত ঘুমের অভ্যাস রয়েছে তাদের মধ্যে ক্লান্তি, ডিপ্রেশন, মাথাব্যথা বেশি দেখা যায়। আবার যারা কম ঘুমায় তাদের মনোযোগে ঘাটতি, হরমোনাল ইমব্যালেন্স, হার্ট ও মেটাবলিক রোগের ঝুঁকি, বিরক্তি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। তবে শুধু ঘুমের সময়ই না ঘুমের মান ও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যদি ঘুম ঠিকভাবে না হয়, রাতে বারবার ঘুম ভেঙ্গে যায়, ঘুমানোর পরেও শরীর ক্লান্ত লাগে তবে বুঝবেন আপনার ঘুমের মান খারাপ। এই পরিস্থিতিতে:

🔸নিয়মিত একই সময় ঘুমানো এবং ঘুম থেকে ওঠা উচিত

🔸 ঘুমের আগে ভারি খাবার, চা, কফি এড়িয়ে চলবেন

🔸 রুম অন্ধকার, ঠান্ডা ও নিরিবিলি রাখুন

ঘুম সবার জন্য জরুরি। তবে ঘুমের সময় ব্যক্তিভেদে ভিন্ন। তাই নিজের শরীর, জীবনধারার সঙ্গে মানানসই ঘুমের রুটিন তৈরি করা উচিত।

ডা. মো: আবদুল্লাহ ইউসুফ
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ইউএসএ

Address

Zaraa Convention Center Building (4th Floor), House 7, Road 14, Gulshan-1
Dhaka
1212

Opening Hours

Monday 10:00 - 20:00
Tuesday 10:00 - 20:00
Wednesday 10:00 - 20:00
Thursday 10:00 - 20:00
Friday 10:00 - 20:00
Saturday 10:00 - 20:00
Sunday 10:00 - 20:00

Telephone

+8801313717272

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Back In Motion: American Health & Wellness Center posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Back In Motion: American Health & Wellness Center:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category

OUR TREATMENT PHILOSOPHY

Back in Motion Ltd, specializes in Manual therapy, a distinct art supported by scientific knowledge and based on the philosophy and principles of Osteopathic Manual Medicine. Its philosophy embraces the concept that structure influences function. This system of manual diagnostic and treatment techniques includes soft tissue massage, myofascial release, joint mobilization/manipulation, and is used to relieve pain and restore normal musculoskeletal function, thereby enhancing the body’s capacity to heal. Our highly specialized level of treatment is at its best in finding and correcting the source of both acute and chronic conditions, rather than repeatedly treating the symptoms without correcting the underlying musculoskeletal dysfunctions.

Back In Motion clientele will receive the utmost in individualized, tailored treatment programs that immediately address each individual’s personal needs and goals.