Ar Md Nasir Uddin Talukder - Herbalist

Ar Md Nasir Uddin Talukder - Herbalist Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Ar Md Nasir Uddin Talukder - Herbalist, Doctor, Dhaka.

11/06/2023
আমার দর্শক সংখ্যা 100 জন ফলোয়ার জন! আপনাদের নিরলস সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। আপনাদের ছাড়া আমি এটা করতে পারতাম না। 🙏🤗🎉
07/03/2023

আমার দর্শক সংখ্যা 100 জন ফলোয়ার জন! আপনাদের নিরলস সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। আপনাদের ছাড়া আমি এটা করতে পারতাম না। 🙏🤗🎉

যৌনরোগ ও ইউনানী চিকিৎসা পর্ব-১১এইডস AIDS একটি জটিল যৌন রোগ এ রোগের পরিচিতি বা তারীফ (Discription). এইডস এর কালো থাবা থেক...
28/02/2023

যৌনরোগ ও ইউনানী চিকিৎসা পর্ব-১১

এইডস AIDS একটি জটিল যৌন রোগ এ রোগের পরিচিতি বা তারীফ (Discription).

এইডস এর কালো থাবা থেকে কোন মহাদেশ রেহাই পায়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী ১৯৯১ সালের মাঝামাঝি সময় বিশ্বে ৮০ লক্ষ থেকে ১ কোটি নরনারী ও শিশু এইচ.আই.ভি সংক্রামিত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে ১৫ লাখের বেশী আক্রান্ত হয়েছে এইডস-এ। প্রতিদিন ৫ হাজার লোকের দেহে সংক্রামিত হচ্ছে (এইচ আই ভি ভাইরাস।

কারণ বা আসবাব (Etiology ) &

মানব দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিহীন করে তোলার ভাইরাস এইচ.আই.ভি সংক্রমনের শেষ পর্যায়ের ফল হলো এইডস।

প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এইডস পুরোপুরি প্রকাশ পেতে গড়ে ১০ বছর সময় লাগে। এইচ আই ভি আক্রান্ত কোন ব্যক্তি তাই অনেক বছর সুস্থ অনুভব করতে পারে।

তবে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে অন্য ব্যক্তির দেহে ছড়িয়ে দিতে পারে এ ভাইরাস। এইডস আক্রান্ত পুরুষ বা মহিলার সঙ্গে যৌন মিলনের মাধ্যমে এ রোগ একজন থেকে অন্য জনে ছড়ায়।

এ ছাড়া এইডস রোগীর রক্ত অন্যের শরীরে প্রবেশ করালে বা ইনজেকশনের সূঁচ, সিরিঞ্জ এবং অপারেশনের যন্ত্রপাতি ব্যবহারে এ রোগ ছড়াতে পারে।

এইডস রোগে আক্রান্ত মায়ের গর্ভের সন্তানও এ রোগে আক্রান্ত হয়। এইডস যে কোন বয়সের নারী-পুরুষ সবাই সমভাবে আক্রান্ত হতে পারে।

লক্ষণ বা আলামত (Siugn & Symptoms).

১। অল্প সময়ের মধ্যে শরীরের ওজন শতকরা ১০ ভাগেরও বেশি কমে যায়।

২। মাসাধিককাল বা দীর্ঘকাল স্থায়ী ডায়রিয়া থাকা ।

৩। দীর্ঘকাল স্থায়ী জ্বর-যার কোন নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।

৪। মাসাধিককাল স্থায়ী কাশি ও চুলকানি হয়।

৫। বার বার হার্পিস জোষ্টার-এর সংক্রমন বা দীর্ঘকাল স্থায়ী হার্পিস সিমপ্লেক্স- এর ইনফেকশন।

৬। মুখে ক্যানডিডিয়ার সংক্রমন এবং লাসিকা গ্রন্থি ফুলে উঠা।

রোগনির্ণয় বা তাশখীছ (Diagnosis):

লক্ষণ সমূহ দেখে রোগ নির্ণয় করা যায়। এ ছাড়া রক্ত পরীক্ষায় এইচ.আই.ভি ভাইরাস পাওয়া যাবে

চিকিৎসা পদ্ধতি বা উছুলে এলাজ (Treatment Process):

এইডন বিশ্বজোড়া সমস্যা বলে কোন একটি দেশ বা জাতির পক্ষে এখনই তা নির্মূল করা সম্ভব নয়। সকল দেশ, সকল মানুষ ও সকল চিন্তা ভাবনা একত্র কারে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করলে বিশ্বজোড়া এ সমস্যার নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

যেহেতু এইডস রোগের নির্ভরযোগ্য কোন ওষুধ বা প্রতিরোধক টিকা বা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি সেহেতু এ রোগের সংক্রমন রোধ হলো সবচেয়ে কার্যকর উপায়। আর সংক্রমন রোধের প্রধান উপায় হলো অবাধে যৌন মিলন থেকে বিরত থাকা বা সংক্রমন যুক্ত যুগলের পরস্পরের প্রতি সম্পর্ক থাকা বা যৌন মিলনে কনডম ব্যবহার করা।

চিকিৎসা বা এলাজ (Treatment) :

চিকিৎসা বিজ্ঞানে এইডস নিরাময়ের কোন ওষুধ বা সংক্রমন রোধে কোন ওষুধ বা টিকা এখনও আবিষ্কার হয়নি। তবে গত ৯-১০ বছর যাবত আমেরিকায় এ.জেড.টি নামক ক্যান্সারের ওষুধটি একমাত্র এর ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে পাশাপাশি আরো কার্যকর ওষুধের জন্য গবেষণা চলছে।

যৌনরোগ ও ইউনানী চিকিৎসা পর্ব ১০গনোরিয়া – সংক্রমিত এক জটিল যৌন রোগভাষানুযায়ী নাম বাংলাঃ প্রমেহ বা মূত্রনালীর ক্ষত, ইউনান...
24/02/2023

যৌনরোগ ও ইউনানী চিকিৎসা পর্ব ১০
গনোরিয়া – সংক্রমিত এক জটিল যৌন রোগ
ভাষানুযায়ী নাম বাংলাঃ প্রমেহ বা মূত্রনালীর ক্ষত, ইউনানীঃ সূযাক, আয়ুর্বেদিকঃ বিষ মেহ, ইংরেজীঃ Gonorrhoeal

পরিচিতি বা তারীফ (Description) :

গনোরিয়া একটি সংক্রামক যৌন ব্যধি যা নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যে হয়ে থাকে।

গনোরিয়া রোগটি আমাদের সমাজে প্রমেহ নামে পরিচিত। আসলে এটি একটি জীবাণুবাহিত রোগ। Neisseria gonorrhea নামক এটি জীবাণু দ্বারা রোগটি হয়ে থাকে। পৃথিবীজুড়ে এ রোগটির বিস্তৃতি যৌন রোগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এ রোগকে অনেকে সাধারণ মনে করে নিয়মিত চিকিৎসা করে না।

এ রোগের উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে বিশেষ করে বাত, প্রস্রাবে রক্তপড়া, প্রস্রাব বন্ধ হওয়া, পাখরি হওয়া, অন্ডকোষ ফুলা, প্রস্রাবে জ্বালা-যন্ত্রণা, শুক্রতারল্য, ধ্বজভঙ্গ প্রভৃতি রোগ লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

এ ছাড়া গনোরিয়ায় আক্রান্ত মায়ের পেট থেকে সন্তান জন্মের সময় এর পুজ বা রস সন্তানের চোখে লাগলে তার চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে।

অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা করলে এর জীবাণুকে ডটের মত বা 'কামার’ মত দেখা যায়। এরা জোড়ায় জোড়ায় একসঙ্গে অবস্থান করে বলে এদেরকে ডিপ্লোকক্কাসও বলা হয়।

এ কারণ বা আসবাব (Etiology ) &

সাধারণতঃ বহুগামী স্ত্রীলোকের সঙ্গে বা আক্রান্ত কোন লোকের সঙ্গে যৌন সংঙ্গমের মাধ্যমে গনোকক্কাস ( Gonoccus) নামক জীবাণু সংক্রমনে গনোরিয়া রোগের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া অনিয়মিত যৌন সংগম, অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ ও অতিরিক্ত রেতঃ পাতের ফলে এ রোগ সৃষ্টি হতে পারে। অধিক তেজস্কর, গরম ও মিষ্টি দ্রব্য সেবন ও তেজস্কর মূত্রকারক ওষুধ সেবনেও এ রোগ হতে পারে।

লক্ষণ বা আলামত সমূহ ( Sign & Symptoms) :

১। গনোরিয়া জীবাণু শরীরে প্রবেশ করার ২-৩ দিনের মধ্যে প্রস্রাব নালীর মাথায় সুড় সুড় করে চুলকায় এবং সামান্য গরম ও লাল হয়ে জ্বালা অনুভব হয়।

২। প্রস্রাব করতে জ্বালা-পোড়া ও বেদনা অনুভব হয় এবং পুরুষাঙ্গের মাথায় আঠালো পুঁজ দেখা দেয়। এ ছাড়া পুরুষাঙ্গের মাথায় টিপ দিলে হালকা নীল বর্ণের তরল পুঁজ বের হয়। ক্রমে তা ঘন পুঁজ (Pus) এ রূপ নেয়।

৩। কুচকির গ্ল্যান্ডগুলো ব্যথা হয়ে সামান্য জ্বর অনুভব হয়। কখনো জ্বর বৃদ্ধি পেয়ে মাথা ব্যথা, প্রলাপ, মূর্ছা, হাত-পা ম্যাজ ম্যাজ করা, অস্বস্তি ভাব প্রভৃতি লক্ষণ। প্রকাশ পায়।

৪। উপযুক্ত চিকিৎসা না হলে পুরুষাঙ্গের মধ্যে লিটারস ও কাউপার গ্ল্যান্ডগুলো। আক্রান্ত হয়ে বার বার প্রস্রাবের বেগ ও প্রস্রাবের শেষ দিকে একটু রক্ত দেখা দিতে পারে। মলদ্বারের সম্মুখে ব্যথা হতে পারে।

৫। রোগের কঠিন অবস্থায় মূত্রনালী দিয়ে অনবরত হলদে, সাদা বা নীল বর্ণের পুঁজ পড়তে দেখা যায় এবং কাপড়ে দাগ লাগে। আবার কখনও রক্ত মিশ্রিত দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজ নির্গত হয়। এ অবস্থা ৭ থেকে ২১ দিনের মত থাকে।

৬। রোগের পুরাতন অবস্থায় কেবল মূত্রনালী সামান্য সিজ থাকে অথবা অত্যধিক পরিশ্রমের পর সকাল বেলা ঘন সাদাটে একটু পুঁজ দেখা দিতে পারে।

৭। মলত্যাগের রাস্তায় আঙ্গুল দিয়ে প্রোষ্টেটকে মর্দন করলে তা থেকে যে নিঃস্বরণ বা সিকরেশন বের হয় তা অনুবিক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখলে Gonococus জীবাণু দেখা যাবে।

৮। প্রোয়োট গ্লান্ড ও সেমিনাল ভেসাইকল আক্রান্ত হলে দীর্ঘদিন ধরে রোগ চলতে থাকে। এ অবস্থার ব্যথাযুক্ত বীর্যপাত হবে এবং তাতে একটু রক্ত মিশ্রিত থাকবে এবং মলদ্বারের সম্মুখে ব্যথা অনুভব হবে। এ ছাড়া এপিডিমিস অথবা মুত্রথলি আক্রান্ত হয়ে থাকে। এ অবস্থায় বারবার প্রস্রাব হয় ও প্রস্রাবের শেষ দিকে ব্যথা অনুভব হয়।

রোগনির্ণয় বা তাশখীছ (Diagnosis)

লক্ষণ সমূহ দেখে রোগ নির্ণয় করতে হবে। এ ছাড়া Blood Examine for Warser Man Test. Khen Test এবং VDRL. TPHA Test দ্বারা রোগ নির্ণয় করা যায়।

চিকিৎসা পদ্ধতি বা উছুলে এলাজ (Treatment Process)

গনোরিয়া সাধারণ রোগ নয় একথা সবার স্মরণ রাখতে হবে। রোগাক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে অভিজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা করানো উচিৎ। এ রোগ সাধারণতঃ বহুগামী বা পতিতালয় থেকে ছড়ায় বলে তা থেকে দূরে থাকতে হবে।

এ রোগ অত্যন্ত ভয়ানক হলেও যদি যথাসময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা করা হয় তবে ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব। আর অবহেলা করে চিকিৎসা না করলে বহুকাল যাবত এর যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়।

রোগের প্রথম অবস্থায় সহজ সূত্রকারক ওষুধ সেবন করতে হয় এবং সহ পিছকারী ওষুধ ১ ঘন্টা অন্তর কয়েকবার ব্যবহার করতে হয়। পাকস্থলী পরিষ্কার রাখতে হবে অর্থাৎ কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করতে হবে।

চিকিৎসা বা এলাজ (Treatment)

প্রথমে ক্ষত পরিষ্কার করার উদ্দেশ্যে প্রস্রাব নিঃস্বরণকারী ওষুধ ব্যবস্থা নিতে হবে। যেমন-

১। খিরারীতা, বাঙ্গীরীজা, গফুর, কাহু বীজ, ধনিয়া, সাদা চন্দন ৩ গ্রাম করে নিয়ে ক্বাথ তৈরী করে শরবত বুযুরী ৫০ মিঃ লিটার সহ সকাল-বিকাল সেবন করতে হবে।

২। খারে খশক, খতমী বীজ ৭ গ্রাম করে, খিরাবীজ ৯ গ্রাম, জিরা ৪ গ্রাম, কাসনী বীজ ৫ গ্রাম নিয়ে রাতে পানিতে ভিজিয়ে সকালে থেকে ৩৫ নিঃ লিটার শরবত ছন্দল সহ সকাল-বিকাল সেবা।

৩। ক্ষত ও জ্বালা-পোড়া নিবারণের জন্য- গেরুয়াটি ১০ গ্রাম, চিনি ২০ গ্রাম নিয়ে চূর্ণ করে হেঁকে সংরক্ষণ করতে হবে। ৩ গ্রাম করে পাউডার মাঠা বা মাখন সহ সকাল-বিকাল খালি পেটে সেবা।

৪। শ্বেতধূপ, সোহাগা খৈ, ফিটকারী খৈ ১০ গ্রাম করে, চিনি ওষুধের সমান নিয়ে চূর্ণ করে ছেকে সংরক্ষণ করতে হবে। ৬ গ্রাম করে পাউডার সকাল-বিকাল শরবত মুছাফফী বা ঠান্ডা পানি সহ সেব্য।

৫। কাবাব চিনি ১৫ গ্রাম, সাদা খয়ের, শূরা কলমী, জিরা, ছোট এলাচী দানা, জামালগোটা ৫ গ্রাম করে, সত্তে বিরোজা ১০ গ্রাম নিয়ে কুটে পিষে ৯টি পুড়িয়া করে সংরক্ষণ করতে হবে। ১টি করে পুড়িয়া সকাল-বিকাল কাঁচা দুধ সহ সেব্য।

৬। শিলাজুত কখ, শূরা কলমী, ফিটকারী খৈ, সাদা খয়ের, বড় এলাচী দানা ১২ গ্রাম করে নিয়ে চূর্ণ করে হেঁকে ৭৫ গ্রাম চিনি মিলিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে। ৭ গ্রাম করে পাউডার দুধ বা ঠাণ্ডা পানি সহ সকাল-বিকাল সেব্য।

৭। হরিতকী, বহেড়া, আমলকী, বর্গে হেনা ১২ গ্রাম করে নিয়ে ২ লিটার পানিতে ২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে চটকিয়ে হেঁকে সে পানিতে আনজরুত, দাম্বুল আখওয়াইন, সফেদা কাশগরী, রেসোয়াত, কাফূর, সুরমা, আরমানীয়ান মাটি, মুর্দাসঙ্গ, নীল বেলায়েতী ১ গ্রাম করে নিয়ে ভালভাবে চূর্ণ করে মিলিয়ে পিচকারী করতে হবে।

৮। কাতিরা গাম ২ গ্রাম, নেশান্তা, আরমানীয়ান মাটি ১ গ্রাম করে, কাফূর ৫০০ মিঃ গ্রাম আফিম ১২৫ মিঃ গ্রাম নিয়ে চূর্ণ করে স্ত্রী লোকের দুধে বা মুরগীর ডিমের সালা অংশের সাথে বেটে বতি প্রস্তুত করে মূত্রনালীতে সিয়াফ বা বতি হিসেবে প্রবেশ করিয়ে রাখতে হবে।

এ রোগের বাজারে প্রচলিত ওষুধ সমূহঃ

১। হারে সূর্যাক / হারবাল সূর্যাক।
২টি করে ট্যাবলেট সকাল-বিকাল মাঠা বা ঠান্ডা পানি সহ সেব্য।

২। এত্রিফল শাহতারা / হারবাল শাহ্হ্তারা / শাহতারা কম্পাউন্ড
১ চা-চামচ করে ওষুধ সকাল-বিকাল খালি পেটে পানি সহ সেব্য।

৩। মাজুন ছবচীনী / মাজুন ওশবা / হারবাল চুবচীনী।
১ চা-চামচ করে ওষুধ দিন ২ বার পানি সহ সেব্য।

৪। শরবত বুযূরী / হারবাল বুযূরী / কেলিহার্বস
৪ চা-চামচ করে ওষুধ দিন ৩-৪ বার পানি সহ সেবা।

পরামর্শঃ
দুধ, সাবু, বার্লি, এরারুট, মুগডালের খিচুড়ী রোগের প্রথম অবস্থায় পুরাতন চিকন চালের ভাত, লাউ, ঝিঙ্গা, শশা, কাঁকুড়, কলার থোর, কলার মোচা, কলা এবং মুরগীর বাচ্চার এখুনিতে চাল পাক করে সেবা।

সকল প্রকার গরম দ্রব্য, মাংস, ডিম, মরিচ, টক, মদ, চা, কফি, অধিক মিষ্টি অধিক লবন, অধিক ভ্রমণ, অত্যধিক শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম এবং সকল প্রকার গুরুপাক দ্রব্য ও স্ত্রী সহবাস নিষেধ।

বিঃদ্রঃ একজন অভিজ্ঞ হাকিম, কবিরাজ অথবা হার্বালিষ্ট এর পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

যৌনরোগ ও ইউনানী চিকিৎসা পর্ব ০৯বিষাক্ত ক্ষত যৌন সম্পৰ্কীয় একটি ছোয়াছে রোগ।বিষাক্ত ক্ষত রোগের ভাষানুযায়ী নামঃ বাংলাঃ ব...
18/02/2023

যৌনরোগ ও ইউনানী চিকিৎসা পর্ব ০৯
বিষাক্ত ক্ষত যৌন সম্পৰ্কীয় একটি ছোয়াছে রোগ।

বিষাক্ত ক্ষত রোগের ভাষানুযায়ী নামঃ বাংলাঃ বিষাক্ত ক্ষত, ইউনানীঃ কারহা খবিসা / আতেশাকে মেযাজী, আয়ুর্বেদিকঃ বিষাক্ত ক্ষত, ইংরেজীঃ Soft Chancre / Balanitis

কারণ বা আসবাব (Etiology) :

সিফিলিসের মত এটিও একটি সংক্রামক ক্ষত। যা দুষিত যোনিতে সংগমের কারণে বা গনোরিয়ায় ও সিফিলিসে আক্রান্ত স্ত্রীলোকের সঙ্গে যৌন সংগমের কারণে ডুক্রে বেসিলাস (Ducrey Bacillus) নামক জীবানু দ্বারা আক্রান্ত হয়।

এ রোগে ভয়ানক জ্বালা-যন্ত্রণা সৃষ্টি হয় বলে অনেক সময় আতেশক বলে ভয় করা হয়। এ রোগ বৃদ্ধি পেয়ে পুরুষাঙ্গ পচে ও গলে যেতে পারে। এ রোগ সিফিলিসের ন্যায় শরীরের সমস্ত রক্তকে বিষাক্ত করে না বলে রোগ ভাল হওয়ার পর শরীরের কোন প্রকার দাগ বা রক্তদুষ্টির কোন লক্ষণ প্রকাশ থাকে না।

লক্ষণ বা আলামত (Sign & Symptoms) :

১। সাধারণতঃ এ রোগের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করার ২৪ ঘন্টা থেকে ২-৩ দিনের মধ্যে পুরুষাঙ্গের মাথায় স্ত্রীলোকের জরায়ুর মুখে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফুসকুড়ির মত প্রকাশ পায় এবং ফোস্কার মত হয়ে ৪-৫ দিনের মধ্যে ফেঁটে পুঁজ নির্গত হয়ে ক্ষতে পরিণত হয়।

২। ২-৩ দিন পরে পেঁকে এ ক্ষত সচরাচর পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগে ও তার চামড়ার নিয়ে প্রস্তাব দ্বারের মুখে বা মধ্যে, পুরুষাঙ্গের গায়ে, যোনিদ্বারের মুখে বা মধ্যে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে থাকে।

৩। এ ক্ষত থেকে নির্গত পুঁজ যেখানে লাগে সেখানে নতুন করে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এ ক্ষত সৃষ্টি হলে কুচকি ফুলে যায় এবং তাতে পুঁজ হয়ে ফেঁটে ক্ষতের সৃষ্টি হয়।

৪। রোগী অপরিষ্কার থাকলে পুরুষাঙ্গের চামড়া ও পুরুষাঙ্গ গলতে বা পঁচতে থাকে এবং যন্ত্রণায় রোগীকে অস্থির করে ফেলে।

রোগনির্ণয় বা তাশবীহ (Diagnosis)

লক্ষণ সমূহ দেখে রোগ নির্ণয় করতে হবে। Blood Examin করলে Durrey Bacillus নামক জীবাণু পাওয়া যাবে। এ ছাড়া প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমেও রোগ নির্ণয় করা যায়।

চিকিৎসা পদ্ধতি বা উচুলে এলাজ (Treatment Process) :

প্রথমে ক্ষত স্থানকে নিমপাতার জোসান্দা যারা পরিষ্কার করতে হবে এবং ভিজা পাঠ্রি দিতে হবে। অতঃপর যে কোন প্রকারের ক্ষত শুকানো প্রলেপ ব্যবহার করতে হবে এবং আতেশকের চিকিৎসা করতে হবে।

গনোরিয়ার কারণে হলে স্থানীয়ভাবে আরমানীয়ান মাটি, রসন সমপরিমাণ নিয়ে তাজা ধনের রসে পিষে স্থানীয়ভাবে প্রলেপ লাগাতে হবে এবং গনোরিয়ার চিকিৎসা করতে হবে। এ ছাড়া নিম্নের ওষুধ সমূহ ব্যবহার করতে হবে।

১। রসদ, লাল চন্দন, আরমানীয়ান মাটি, মুর্নাসঙ্গ, পিপুল সমপরিমাণ নিয়ে কাকমাচ্ছির রসে বা আরকে পিষে প্রলেপ দিতে হবে।

২। জেদোয়ার খাতাই, খেতমী বীজ, রসদ সমপরিমাণ নিয়ে পিষে প্রলেপ দিতে হবে।

৩। সেবনের জন্য বিহিদানা ক্বাথ ৩ গ্রাম, জংগী বড়ৈর ক্বথ ৫টি, আর ক্ষেতপাপড়া ২৫ মিঃ লিটার, আরক গাওজবান ১০০ মিঃ লিটার, শরবত নীলূফর ১০০ মিঃ লিটার মিলিয়ে সেবা।

৪। কাফূর, সঙ্গে যরাহত ২ গ্রাম করে, মুর্দাসঙ্গ ১ আম, তুঁতিয়া, সাদাধূপ ১৮ গ্রাম করে, সাদা খয়ের ১৫ গ্রাম, মোম ৪ গ্রাম, গরুর দুধের ঘি ৫০ গ্রাম নিয়ে নিয়ম অনুযায়ী মরহম বা মলম তৈরী করে প্রয়োজনমত স্থানীয় ভাবে ব্যবহার করতে হবে।

৫। কামিলা, সাদা খয়ের, রসকাফূর, সুপারী, ভুঁতিয়া, ছোট এলাচী, মুর্দারসঙ্গ সমপরিমাণ নিয়ে কুটে পিয়ে ২৫০ গ্রাম দধিতে কাঁসার পাত্রে কাঁসার হাতল দ্বারা ৪ প্রহর খব করে ছোলা পরিমাণ ট্যাবলেট তৈরী করে সংরক্ষণ করতে হবে।
১টি করে ট্যাবলেট সকাল-বিকাল সেবন করতে হবে এবং ১টি পানিতে ঘষে স্থানীয়ভাবে ক্ষতে লাগাতে হবে। এ ট্যাবলেট ক্ষত, বিষাক্ত ক্ষত এবং বিষ মেহ ১ সপ্তাহের মধ্যে দূর করে।

৬। কামিলা ৮ গ্রাম, হিঙ্গুল, আরমানীয়ান মাটি, তুঁতিয়া থৈ ২ গ্রাম করে, সাদা খয়ের ৫০০ মিঃ গ্রাম, সাদাধুপ ৬ গ্রাম নিয়ে নিয়ম অনুযায়ী মলম তৈরী করে প্রয়োজনমত স্থানীয় ভাবে ব্যবহার করতে হবে।

এ রোগে বাজারে প্রচলিত ওষুধ সমূহঃ
১। মাজুন চূবচীনী / মাজুন ওশবা / হারবাল চূবচীনী।
১ চা-চামচ করে ওষুধ সকাল-বিকাল পানি সহ সেব্য।

২। এত্রিফল শাহতারা / হারবাল শাহতারা / শাহতারা কম্পাউন্ড।
১ চা-চামচ করে ওষুধ সকাল-বিকাল পানি সহ সেব্য।

৩। হাব্বে সূযাক / হারবাল সূযাক / সূযাক ট্যাবলেট।
২টি করে ট্যাবলেট ২-৩ বার পানি সহ সেবা

৪। শরবত মুছাফফী / হারবাল মুছাফফী / স্কিনোহার্বস।
৩-৪ চামচ করে ওষুধ দিন ২-৩ বার দুধ বা পানি সহ সেব্য।

৫। আরক ছাফী / শরবত ওশবা / হারবাল ওশবা।
৩-৪ চা-চামচ করে ওষুধ দিন ২-৩ বার দুধ বা পানি সহ সেবা ।

পরামর্শ
দুধ, সাবু, বার্লি, এরারুট, মুগডালের খিচুড়ী এবং রোগের প্রথম অবস্থায় পুরাতন চিকন চালের ভাত, লাউ, ঝিঙ্গা, শশা, কাঁকুড়, কলার থোর, কলার মোচা, কলা, মুরগীর বাচ্চার এখনিতে চাল পাক করে সেবা। সকল প্রকার গরম দ্রব্য, মাংস, ডিম, মরিচ, টক, মদ, চা, কফি, অধিক মিষ্টি দ্রব্য গুরুপাক দ্রব্য ও স্ত্রীসহবাস নিষেধ।

বিঃদ্রঃ এক্ষেত্রে একজন হাকিম, কবিরাজ অথবা হার্বালিষ্ট এর পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।

যৌনরোগ ও ইউনানী চিকিৎসা পর্ব ০৯সিফিলিস যৌন সম্পৰ্কীয় একটি ছোয়াছে রোগ। উপদংশ রোগের ভাষানুযায়ী নামঃ বাংলাঃ উপদংশ / ঘর্ম...
16/02/2023

যৌনরোগ ও ইউনানী চিকিৎসা পর্ব ০৯
সিফিলিস যৌন সম্পৰ্কীয় একটি ছোয়াছে রোগ।

উপদংশ রোগের ভাষানুযায়ী নামঃ
বাংলাঃ উপদংশ / ঘর্মি ঘা, ইউনানীঃ আতেশক হাকিকী, আয়ুর্বেদিকঃ ফিরঙ্গ / কঠিন বিষাক্ত ক্ষত, ইংরেজীঃ Syphilis / Hard Chancre

এ রোগের পরিচিতি বা তারীফ
(Description)

উপদংশ বা সিফিলিস রোগ কখন কোথায় প্রথম উৎপত্তি হয়েছে তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি। তবে কোন কোন চিকিৎসকের মতে ৯০৪ হিজরী বা ১৪৮৭ খৃষ্টাব্দে ইউরোপের কোন ফিরিঙ্গী দ্বীপে প্রথম এ রোগ দেখা দেয়। যার জন্য এ রোগের নাম ফিরঙ্গ রাখা হয়। কারো মতে এ রোগ অতি প্রাচীণ ব্যধি যা এসকান্দার রুমির আমলেও অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

ডাঃ আর্থার কুপারের কুইন মেডিকেল ডিকশনারীতে উল্লেখ আছে Syphilis শব্দটি ইউনানী 'সিফিয়াস' শব্দ থেকে এসেছে। সিফিয়াস অর্থ খোড়া বা বিকলাঙ্গ। কথিত আছে পুরাকালে রোমরাজ্যে 'সিফিলিস' নামে এক প্রতিমার আবির্ভাব হয়।

আদিবাসীগণ তাকে কামদেবী বা প্রেমদেবী হিসেবে পুজা করতেন। ইউনান বাসীগণ তাকে জোহরা বা রতিদেবী বলে পুজা করত। ঘটনাক্রমে দেবী কুপিত হয়ে মিসর বাসীদের অভিশাপ করেন। যার জন্য এ রোগের নাম সিফিলিস রাখা হয়।

কোন কোন লেখকের মতে ১৪৯৩ খৃষ্টাব্দে হাইতি দ্বীপে এ রোগ প্রথম প্রকাশ পায় এবং তৎপর কলম্বাসের সঙ্গীগণ পশ্চিম ভারত অর্থাৎ আমেরিকা হতে নিয়ে আসেন। কারো মতে ১৪৯৩ খৃষ্টাব্দে নেপলস অধিকারের পর প্রথম ফরাসী সিপাহীগণের মধ্যে সিফিলিস প্রকাশ পায়। কারো মতে ভারতবর্ষ ও চীনদেশে কয়েক শতাব্দী পূর্বে এ রোগ শুরু হয়।

এ রোগের কারণ বা আসবাব
(Etiology) :
সিফিলিস একটি মারাত্মক সংক্রামক যৌনরোগ। Treponema pallidum (ট্রপোনেমা প্যালিডাম) নামক জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হয়। এ জীবাণু রোগাক্রান্ত ব্যক্তি থেকে অন্যকে সংক্রমিত করে থাকে।

অপবিত্র স্ত্রীলোক বা বহুগামী মহিল অর্থাৎ বেশ্যাদের সঙ্গে যৌন সঙ্গম, মুখে চুম্বন এবং রোগীর বস্ত্র ও আহারের মাধ্যমে। সুস্থ ব্যক্তির কোন ক্ষত স্থানের চামড়ার ভিতর দিয়ে রক্তের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে এবং ছড়ায়।

সিফিলিসে আক্রান্ত রোগী বা রোগিনী প্রথম দুবছর অন্যের মধ্যে এ রোগ অধিক সংক্রামিত করতে পারে এবং পরে মাত্রা কমে যায়। পাঁচ বছর পর সাধারণতঃ তার সাথে যৌন মিলনের ধারা অন্য লোক আক্রান্ত হয় না।

এ ছাড়া সিফিলিস রোগাক্রান্ত মহিলার গর্ভের সন্তানও এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে এবং রোগাক্রান্ত মায়ের দুধ পান করলেও সন্তান রোগে আক্রান্ত হতে পারে। উল্লিখিত কারণ অনুযায়ী সিফিলিস রোগ দু'প্রকার হয়ে থাকে।

১। শিশুদের জন্মগত সিফিলিস বা Congintats

২। সংক্রামিত সিফিলিস বা Acquired Syphilis

জন্মগত সিফিলিসের
লক্ষণ সমূহঃ
১। অনুগত সিফিলিসে শিশুদের সর্ব শরীরে কাল কাল দাগ ও ফোড়া হয়ে থাকে। নাকের হাড়ের পেরিআসটিয়াম ও মিউকাস মেমব্রেন আক্রান্ত হয়ে নাক বসে যায়। এ ছাড়া জন্ম হতে নাক দিয়ে শ্লেষ্মা বের হতে থাকে।

২। মুখের মধ্যে সাদা দাগ, মলদ্বারে কনডাইলোসা, মুখের এবং চোখের কোণ ফাঁটা বা ঘা হয়। হাত পায়ের তলায় ঘা বা ফোস্কা হয়ে থাকে।

৩। দাঁত দেরীতে উঠে ও সুগঠিত হয় না এবং দাঁতের মধ্যে ফাঁকা বা খাওয়া * (Hutchinson's Teeth) থাকে।

৪। ৮ হতে ১৬ বছরের সময় আইরাইটিজ (Iritis) বা আইরাইডোসাইক্লাইটিজ (Indocyclitis) দেখা দিতে পারে।

৫। চোখ দিয়ে পানি ঝড়ে এবং কর্নিয়া (Cornea) ক্রমে ঘোলাটে হতে থাকে। এবং নষ্ট হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে চোখের সঙ্গে একই সঙ্গে কান নষ্ট হয়।

৬। যৌবনের সময় কানে শুনে না। টিবিয়ার হাড় অধিক বৃদ্ধির জন্য পা বাঁকা হয়ে যেতে পারে এবং বেঁটে হয়ে যেতে পারে।

৭। হাঁটুর জোড়ায় পানি জমতে পারে এবং লিভার সিরোসিস (Liver Cirrhosis) ও প্লীহা বৃদ্ধি পেতে পারে।

৮। টেসটিজের প্রদাহ বা অরকাইটিজ (Orchitis) দেখা দিতে পারে এবং উত্তর দিতে হলে পুরুষত্বহীনতা দেখা দিতে পারে।

সংক্রামিত সিফিলিস বা Acquired Syphilis এর তিনটি পর্যায় বা স্তর আছে।

প্রথম স্তর
gee Heard Chancer Stage

১। সিফিলিস জীবাণু শরীরে সংক্রামিত হওয়ার ১০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে রোগ প্রকাশ পায়।

২। প্রথমে একটি গোটা হয় এবং পরে ঘায়ে পরিণত হয়। ঘায়ের কিনারা, চারদিক ও নিচে শক্ত মনে হয়। এ জন্য এর আর এক নাম শক্ত বা হার্ড শ্যাংকার (Hard Chancre)

৩। স্ত্রীলোকদের বেলায় ইহা ভালভার ভিতরে অথবা সারভিক্সে হয়। কখনও ঠোটে, স্তনের বোটায় ও মলদ্বারে হতে পারে। কুচকির লিম্ফ গ্লান্ড বড় হয়ে যায়।

দ্বিতীয় স্তর বা
Second Stage বা Chondytometa

১। রোগ সংক্রামিত হওয়ার ২ থেকে ১২ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় স্তর শুরু হয়।

২। চামড়ায়, দু'পাজড়ে, বুকে, পিঠে, পেটে ও হাত পায়ে ও মুখে লাল বা তামাটে বর্ণের গোলাকার Iruption বা ফুলে উঠে।

৩। শরীরের চামড়া ও মিউকাস মেমব্রেনের সংযোগস্থলে যেমন- মলদ্বার, স্ত্রীলোকের ভালবা অর্থাৎ যনিদ্বারের চারদিকের ভাজগুলো শরীরের চামড়ার সাথে মিশে যায় ও ঠোটে দ্বিতীয় পর্যায়ের ফুলা দেখা দিতে পারে বা বড় বড় ও সাদা বর্ণের দাগ হতে পারে।

৪। পুরুষাঙ্গের উপরে বা নিচে সম্মুখ ভাগের গ্লান্স (G***s) ও প্রিপিউসে (Prepuce) স্ত্রীলোকের যোনিদ্বারের প্রবেশ মুখে, ঘারের লিম্ফ গ্লান্ড, ঠোটের ভিতর দিকে, জিহ্বার পার্শ্বে, চোখের আইরিস (Iris) ইত্যাদি স্থানে সাদা বর্ণের Iruption হয়ে থাকে।

৫। দ্বিতীয় পর্যায়ে ল্যারিংস (Larynx) এ Iruption অধিক হওয়ার কারণে রোগীর গলা ভেঙ্গে যায়।, সর্ব শরীরে ব্যথা, সামান্য জ্বর, বিভিন্ন স্থানের লিম্ফ গ্ল্যান্ড ফুলা ও রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়।

তৃতীয় স্তর বা
Third Stage বা Tretiary Stage

১। রোগ সংক্রামিত হওয়ার ৩ থেকে ১০ বছরের মধ্যে তৃতীয় অবস্থা শুরু হয়ে চিরজীবন ব্যাপী চলতে পারে।

২। শরীরের সমস্ত রসিকা গ্লান্ড ফুলে উঠে এবং ব্যথা ও পুঁজ নির্গত হতে থাকে।

৩। সমস্ত ভিজা জায়গার ফুলাগুলো ক্ষত হয় এবং পুঁজ নির্গত হতে থাকে।

৪। মুখের তালুদেশ বা টাগরার হাড়ের পেরিঅসটিয়াম (Periosteum) এর নিচে ও জিহ্বার মাংসপেশীতে গামা হয়ে থাকে।

৫। নাকের গোড়ার হাড় ও প্যালেট আক্রান্ত হয়ে নাক বসে যেতে পারে।

৬। রোগী অস্থিরতা (Restlessness) বোধ করে এবং সর্বশরীর জ্বালা-পোড়া ও জ্বর অনুভব করে।

রোগনির্ণয় বা তাশখী
(Diagnosis)

Symptoms বা লক্ষণ সমূহ দেখে রোগ নির্ণয় করতে হবে। Blood Examine for Warser man test এর মাধ্যমে সিফিলিস আছে কিনা নির্ণয় করতে হবে। এ ছাড়া Blood Examine for Khan Test এবং VDRL ও TPHA এর মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা যায়।

চিকিৎসা পদ্ধতি বা উছুলে এলাজ (Treatment Process )

সিফিলিস একটি কঠিন যৌনব্যাধি যা সম্পূর্ণ আরোগ্য করা খুব কষ্টসাধ্য। এ রোগের সুচিকিৎসা করতে হলে অর্থাৎ শরীর হতে রোগ জীবাণু নিঃশেষ করতে হলে আখলাত বা ধাতু নির্ণয় করে বা সঠিক রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা করা আবশ্যক।

সিফিলিস রোগের জীবাণু সংক্রমনে শরীরে সওদা ধাতু বিকৃত হয়ে সমস্ত রক্ত বিকৃত বা বিষাক্ত হয়ে যায়। এ বিকৃত সওদা ধাতুকে স্বাভাবিক অবস্থায় আনায়নের জন্য রোগীকে প্রথমে ২-৩ সপ্তাহ মুনযেজ ও মুসহেল-এ সওদা ব্যবহার করে কয়েকবার তানকিয়া বা সংশোধন করতে হবে।

তানকিয়ার পর অল্পমাত্রায় পারা বা পারাঘঠিত ওষুধ বিশেষ উপকারী। অবশ্য প্রাচ্য হাকীমগণ পারার পরিবর্তে ভুঁতিয়া, মুর্দারসঙ্গ, হাব্বুস সালাতীন ও সাম্মুলফার, সেকোবিষ প্রভৃতি এ রোগের জন্য ব্যবহার করতেন।

জার্মান, ফ্রান্স ও আমেরিকার ডাক্তাররা পারার পরিবর্তে স্বর্ণ ও রৌপ্য ব্যবহার করে থাকেন। রোগের দ্বিতীয় অবস্থায়ও এ পদ্ধতি বিশেষ কার্যকরী ফল পাওয়া যায়।

রোগের তৃতীয় অবস্থায় উক্ত ব্যবস্থার সঙ্গে ওশবা ও চুবচীনীর ব্যবহার নিতান্ত আবশ্যক।

১। প্রথমে ক্ষেতপাপড়া, চিরতা, বননীল, মুভি ৭ গ্রাম করে, জংলীবড়ৈ ৫টি, জংলী হরিতকী, রক্ত চন্দন ৭ গ্রাম করে নিয়ে সকালে জোসান্দা করে শরবত ওশবা ৫০ মিঃ লিটার সহ সেব্য।

২। জোলাপের জন্য উপরের ওষুদের সঙ্গে হাব্বান নীল, রেসায় খতমী, সোনাপাতা ৬ গ্রাম করে, সিরে খস্ত ২৫ গ্রাম, তুরাঞ্জারীন ৫০ গ্রাম, মগজে ফলুস ৬৫ গ্রাম মিলিয়ে আৱক গাওনা, আরক কাসনী ও আরক পেলাব ২৫০ মিঃ লিটার -এ ভিজিয়ে সকালে চটকিয়ে ৬ মিঃ লিটার বাদাম তেল সহ সেবন করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।

৩। শোদিত পারদ, শোধিত গন্ধক ১ গ্রাম করে, লালমাটি ৫০০ মিঃ গ্রাম, জামাল গোটা ৩ গ্রাম করে নিতে হবে। প্রথমে পারা ও গন্ধক খল করে অন্যান্য চুর্ণ মিলিয়ে খল করে ১ গ্রাম পরিমাণ ট্যাবলেট তৈরী করে শুকিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে।
২-৩টি করে ট্যাবলেট নিয়ে আধা লিটার গরু দুধ সহ সকাল-বিকাল সেরা।

অতঃপর রোগের প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থায় নিম্নের ফর্মূপা ব্যবহার করা যায়।

এলোপ্যাথিক মতে রোগের তৃতীয় অবস্থায় পটাশ আইওডাইড যেমন উপকারী তেমনি ইউনানী চিকিৎসা বিজ্ঞান মতে পাটনাই অনন্তমূল, চুবচীনী, নিম মুল, শিশুকাঠের গুড়া, ক্ষেতপাপড়া, জংবড়ৈ প্রভৃতির আরক, হালুয়া ও সিরাপ রক্ত দুষ্টি ও উপদংশ রোগে বিশেষ উপকারী।

এ ছাড়া নিম্নের ফর্মুপাগুলো সিফিলিস রোগে বিশেষ উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে।

১। পারদ ৩ গ্রাম, নানখাহ দেশী ৭ গ্রাম, গুড় ২৫ গ্রাম নিয়ে প্রথমে গুড় ও নানখাহ মিলিয়ে পরে পারা মিলাতে হবে। পারা ভালভাবে মিলিয়ে ৭০টি ট্যাবলেট তৈরী করে সংরক্ষণ করতে হবে।
১টি করে ট্যাবলেট সকালে ও রাত্রে দুধ সহ সেবা।

২। গোলমরিচ ২১টি, রসকাফূর ৯ গ্রাম নিয়ে চূর্ণ করে ছেকে ৭টি ট্যাবলেট বা পুড়িয়া তৈরী করে সংরক্ষণ করতে হয়।
১টি করে প্রত্যহ সকাল-বিকাল দুধ সহ সেবন করতে হবে।

৩। আকন্দ মূল ১৭ গ্রাম, গোলমরিচ ৮ গ্রাম নিয়ে চূর্ণ করে ছেঁকে ছোলা পরিমাণ ট্যাবলেট তৈরী করে সংরক্ষণ করতে হবে।
১টি করে ট্যাবলেট প্রত্যহ সকাল-বিকাল পানি সহ সেবা। ওষুধ সেবনকালীন সময় টক ও ঠান্ডা জাতিয় দ্রব্য আহার নিষেধ।

৪। কাঞ্চন ছাল, ইন্দ্রায়েন, বাবলা ফল, কন্টিকারী গাছ, পাতা, শিকড় ও পুরাতন গুড় ১২৫ গ্রাম করে নিয়ে ৭৫০ মিঃ লিটার পানিতে সিদ্ধ করে এক চতুর্থাংশ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে সংরক্ষণ করতে হবে।
৭ ভাগ করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১ মাত্রা করে সেবন করতে হবে।

৫। পারাঘটিত ওষুধ ব্যবহারে মুখ ধরে থাকে বিধায় চামেলী পাতার জোসান্দা যারা কুলি করতে হবে। অথবা- বাবলা ছাল ৭ গ্রাম সিদ্ধ করে কিটকারী ও পাপড়ি খয়ের ৩ গ্রাম করে মিলিয়ে কুলি করতে হবে। অতঃপর নিম্নের ওষুধ সেবন করতে হবে।

৬। জংলীবড়ৈ, ক্ষেতপাপড়া, মাকো, কাছনী, বিহিদানা, উখতূখূদূস, ধনিয়া ৫ গ্রাম করে নিয়ে পানিতে সিদ্ধ করে ছেঁকে ২৫ গ্রাম করে শরবত কেলিহাবস বা বূযূরী সহ সেব্য।


এ রোগে বাজারে প্রচলিত ওষুধ সমূহঃ

১। মাজুন চুবচীনী / হারবাল চুবচীনী / চুবচীনী কম্পাউন্ড।
১ চা-চামচ করে ওষুধ সকাল-বিকাল পানি সহ সেব্য।

২। মাজুন ওশবা / হারবাল ওশবা / ওশ্বাবা কম্পাউন্ড।
১. চা-চামচ করে ওষুধ সকাল-বিকাল পানি সহ সেব্য।

৩। এত্রিফল শাহতারা / হারবাল শাহতারা / শাহতারা কম্পাউন্ড।
১ চা-চামচ করে ওষুধ সকাল-বিকাল পানি সহ সেবা।

৪। শরবত মুছাফফী / আরক ছাফী /স্কিনোহার্বস
৩-৪ চা-চামচ করে সিরাপ সকাল-বিকাল খালি পেটে সেবা।

৫। ক্যাপসুল জওহার মুনাক্কা / হারবাল জাওহার মুনাক্কা।
১টি করে ক্যাপসুল দিন ২-৩ বার পানি সহ সেব্য।

৬। দাওয়াউল মিস্ক মুতাদিল / হারবাল মিস্ক মুতাদিল।
১ চা-চামচ করে ওষুধ দিন ২ বার পানি সহ সেব্য।
পরামর্শ
দুধ, সাবু, বার্লি, এরারুট, মুগডালের খিচুড়ী এবং রোগের প্রথম অবস্থায় পুরাতন চিকন চালের ভাত, লাউ, ঝিঙ্গা, শশা, কাঁকুড়, কলার থোর, কলার মোচা, কলা, মুরগীর বাচ্চার এখনিতে চাল পাক করে সেব্য।
বিঃদ্রঃ
এক্ষেত্রে একজন অভিজ্ঞ হাকিম, কবিরাজ অথবা হার্বালিষ্ট এর পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।
সুত্র: যৌনরোগ ও ইউনানী চিকিৎসা।

যৌনরোগ ও ইউনানী চিকিৎসা পর্ব ০৮ #বন্ধ্যাত্ব একটি জটিল সমস্যা। বন্ধ্যাত্ব সমস্যার ভাষানুযায়ী নামঃ বাংলাঃ বন্ধ্যাত্ব, ইউন...
14/02/2023

যৌনরোগ ও ইউনানী চিকিৎসা পর্ব ০৮
#বন্ধ্যাত্ব একটি জটিল সমস্যা।

বন্ধ্যাত্ব সমস্যার ভাষানুযায়ী নামঃ বাংলাঃ বন্ধ্যাত্ব, ইউনানীঃ ওকর, আয়ুর্বেদিকঃ বন্ধ্যাত্ব, ইংরেজীঃ Sterility

পরিচিতি বা তারীফ
(Description)

সন্তানাদি না হওয়াকে বন্ধ্যাত্ব বলা হয়। এ রোগে নারী গর্ভসঞ্চার হয় না। যেসব স্ত্রীলোকের সন্তান হয় না তাদের স্বামী অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ রোগের জন্য দায়ী।

সন্তান না হওয়ার কারণের মধ্যে প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ স্বামী প্রত্যক্ষ্যভাবে এবং এক ভাগ পরোক্ষভাবে দায়ী। বাকী মাত্র এক ভাগ ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে সমভাবে দায়ী।

কারণ বা আসবাব
(Etiology)

Hippocriates এর মতে বন্ধ্যাত্বের কারণ স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অনেক। স্বামী নিম্নলিখিত কারণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত থাকলে তার স্ত্রীর সন্তানাদি হয় না। যথা-

১। জন্মগত ভাবে পুরুষের যৌনাঙ্গে কোন ত্রুটি বিচ্যুতি থাকলে।

২। ধ্বজভঙ্গ রোগে ভুগলে। যেমন- যৌনাঙ্গ মোটেই দৃঢ় না হওয়া বা যৌনাঙ্গে লিঙ্গ স্থাপনের পূর্বেই বীর্যপাত হয়ে যাওয়া।

৩। যৌন মিলনে ভুল প্রথা অবলম্বন করার কারণেও এ অবস্থা হতে পারে।

৪। এন্ডোক্রাইন গ্রন্থির ক্রিয়ার ত্রুটি থাকার কারণে এ অবস্থা হতে পরে।

৫। বহুমূত্র বা জিয়াবেতুস (Diabetes) রোগে আক্রান্ত হলে।

৬। শুক্রকীট না থাকা / এজুসপারমিয়া (Azoospedrimia) অর্থাৎ এ রোগে পুরুষের বীর্যের মধ্যে শুক্রকীট (Spermatozoa) থাকে না।

৭। শুক্রকীট দুর্বল / এথেনুজুস পারমিয়া / (Asthenezoospermia) অর্থাৎ এ রোগে শুক্রকীট জীবিত কিন্তু তাদের নড়াচড়ার শক্তি কম থাকে।

৮ । শুক্রকীট কম বা ওলিগো এসপারমিয়া (Oligospermia) অর্থাৎ এ রোগে বীর্যে শুক্রকীটের পরিমাণ খুব কম থাকে ।

৯। শুক্রকীট মৃত্যু বা নেকরো এসপারমিয়া (Necirospermia) এ রোগে অর্থাৎ বীর্যে সকল শুক্রকীটগুলো মৃত্যু থাকে।

লক্ষণ বা আলামত
(Sign & Symptoms)

রোগিনী বা রোগীর স্ত্রীর গর্ভসঞ্চার হবে না বা হয় না ।

রোগনির্ণয় বা তাছবীছ
(Diagnosis)

লক্ষণ সমূহ দেখে রোগ নির্ণয় করতে হবে। অনুবীক্ষণ যন্ত্র বা মাইক্রোসকোপের সাহায্যে বীর্য পরীক্ষা করলে শক্রকীটের অবস্থা ধরা পড়ে। দেহের কোষ এবং নিউক্লিয়াস ক্রোমজোম ঠিক থাকে না।

চিকিৎসা পদ্ধতি বা উছুলে এলাজ (Treatment Process)

রোগের প্রকৃত কারণ নির্ণয় করে তদানুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে। জন্মগত কোন ত্রুটি থাকলে চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। যৌন মিলনে সঠিক প্রথা অবলম্বন। করতে হবে। ধ্বজভঙ্গ, শুক্রকীট কম ও দুর্বল হলে তার চিকিৎসা করতে হবে।

শুক্রকীট মৃত্যু হলে তার প্রকৃত কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা করতে হবে। সাধারণতঃ সিফিলিস ও গনোরিয়ার কারণে শুক্রকীট মৃত্যু হতে পারে। সিফিলিন ও গনোরিয়ার কারণে হলে তার চিকিৎসা করতে হবে।

যদি কোন রোগীর শুক্রকীটের পরিমাণ কম থাকার কারণে বন্ধ্যাত্ব হয় তবে তাকে বীর্য বন্ধক ও যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবন করাতে হবে। একই সাথে বটর (বট) গাছের ফল ২টি করে দিন ২ বার সেবনে ভাল ফল পাওয়া যাবে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে কাঁচা গাজর ও রান্না গাজর এবং গাজরের হালুয়া সেবন এ রোগের জন্য বিশেষ উপকারী।

চিকিৎসা বা এলাজ
(Treatment)

শুক্রকীট কম থাকার কারণে বন্ধ্যাত্ব হলে বীর্যবন্ধক ওষুধ সেবন করতে হবে।

১। কাবলী বাদাম ২৪ গ্রাম, নারিকেল ১৮ গ্রাম, চিলগুজা ১২ গ্রাম, বাবলা গাম, বংশলোচন, দারুচিনি, ছালে মিছরি ৬ গ্রাম, পলাশ গাম ৩ গ্রাম, মুছতগী ২ গ্রাম নিয়ে পাউডার করে ৩০০ গ্রাম মধুর সাথে যথানিয়মে হালুয়া তৈরী করে সংরক্ষণ করতে হবে।
১-২ চা-চামচ করে ওষুধ কৃশতা কর ১২৫ মিঃ গ্রাম সহ সকাল-বিকাল সরবন কর

এ রোগে বাজারে প্রচলিত ওষুধ সমূহঃ

১। মাজুন মুগাল্লিয় / মাজুন ছা'লাব / হারবাল কম্পাউন্ড / ছা'লাব কম্পাউন্ড।
১ চা-চামচ করে ওষুধ ১২৫ মিঃ গ্রাম কুতা কী মিলিয়ে সকাল- বিকাল দুধ সহ সেবা।

২। লুবুব কবীর/ লবুব ছগির / হারবাল কবীর / হারবাল ছগির।
১ চা-চামচ করে ওষুধ সকাল-বিকাল দুধ সহ সেব্য।

৩। হাব্বে আম্বর মোমিয়ায়ী / হারবোডেক্স। ১-২টি করে ট্যাবলেট দিন ২ বার দুধ সহ সেবা

৪। হাব্বে নিশাত / হারবাল নাইট কিং / ক্যাস্টোরিয়াম।
১-২টি করে ট্যাবলেট সকাল-বিকাল দুধ সহ সেব্য।

বিঃদ্রঃ এক্ষেত্রে একজন হাকিম, কবিরাজ অথবা হার্বালিষ্ট এর পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।
সুত্র: যৌনরোগ ও ইউনানী চিকিৎসা।

যৌনরোগ ও ইউনানী চিকিৎসা পর্ব ০৭ #বীর্যাল্পতা যৌন সম্পর্কিত একটি সমস্যা ভাষানুযায়ী নামঃবাংলাঃ বীর্যাল্পতা, ইউনানীঃ কিল্ল...
07/02/2023

যৌনরোগ ও ইউনানী চিকিৎসা পর্ব ০৭
#বীর্যাল্পতা যৌন সম্পর্কিত একটি সমস্যা

ভাষানুযায়ী নামঃ
বাংলাঃ বীর্যাল্পতা, ইউনানীঃ কিল্লাতে মানি / জমুদে মনি, আয়ুর্বেদিকঃ বীর্যস্বল্পতা, ইংরেজীঃ Spermacrasia

বীর্যাল্পতা রোগের পরিচিতি বা তারীফ (Description) :
আমাদের শরীরে আ’যায় মুফরাদাহ্ বা একক অঙ্গ সমূহের মধ্যে কেবল মাংস ও চর্বি রক্ত দ্বারা উৎপন্ন হয়। এ দুটি ব্যতীত সব একক অঙ্গ মনী বা Semen দ্বারা উৎপন্ন হয়ে থাকে ।

ভুক্ত খাদ্য দ্রব্য চতুর্থ পাকের পরবর্তী সার অংশ দেহের পোষন কার্য ও অঙ্গ- প্রত্যঙ্গের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সাধনের পর যা অবশিষ্ট থাকে তার নাম মনী বা শুক্র। অর্থাৎ ভুক্ত খাদ্য দ্রব্যের চতুর্থ পাকের সারাংশই বীর্য।

হাকীম বোকরাত বা Hippocates এর মতে মনী বা শুক্রের খামির মস্তিষ্ক হতে দুটি শিবা দু'কানের পশ্চাদভাগ দিয়ে সুষুমাকান্ড, মূত্রাশয় ও অন্ডকোষের মধ্যে সঞ্চারিত হয়। এ দুটি শিরার সাথে সকল আযায়ে রঈসা ও গায়ের রঈসার শাখা প্রশাখা সমূহ সংযুক্ত।

এ সকল শাখা-প্রশাখা দ্বারা চতুর্থ পাকের সার অংশ প্রতিটি অঙ্গ হতে চুয়ে পূর্বোক্ত স্বামীরের সাথে মিলিত হয়ে অন্ডকোষের শিরার মধ্যে পৌছায়। এ পর্যন্ত তা লাল বর্ণ থাকে, কিন্তু অন্ডকোষে প্রবেশ মাত্রই তা শ্বেতবর্ণ ধারণ করে থাকে যাকে মনী বা শুক্র বলা হয় ।

শুক্র এক প্রকার সাদা, গাঢ় অথচ প্রবাহিত হওয়ার উপযোগী তরল পদার্থ বিশেষ। এতে এক রকমের বিশেষ গন্ধ থাকে। বীর্যে মূলতঃ তিন প্রকার থাকে ।

১। গুরুজন (Lizuor semenals) যা ডিমের বিজলের মত পরিষ্কার ও চটচটে আঠাল ।

২। শুক্রের গোল গোল ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র দানা বা কনা (Seminal granulos) যা হতে শুক্রকীট (Spermatozoa) উৎপন্ন হয়।

৩। হায়ওয়ানাতুল মনভিয়া বা শুক্রকীট। একফোঁটা শুক্রে অসংখ্য শুক্রকীট থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে বীর্যথলি, প্রোষ্টেট গ্লান্ড, কাউপার গ্লান্ড ও লিটার গ্রান্ডের ক্ষরণ একত্রে মিলে বীর্য তৈরী হয়।

এদের মধ্যে বীর্যথলি ও প্রোষ্টেট গ্লান্ডের ক্ষরণই বীর্যের অধিকাংশ তৈরী করে। বীর্যে কিছু লবন, এসিড, আমিষ ও শর্করা জাতিয় দ্রব্য ও এনজাইম আছে। এতে কোন সার পদার্থ, কোন হরমোন এবং কোন ভিটামিন নেই।

আমাদের স্বাভাবিক খাদ্য হতে যে রূপ পাকস্থলীর রস, থু থু ইত্যাদি তৈরী হয়, ঠিক তেমনি বীর্যরস তৈরী হয় এবং উপরোক্ত গ্লান্ড সমূহে থাকে। যেমন- মুখের লালা (Saliva) নির্গত হয়, উত্তেজনার চরম অবস্থায় তদরূপ বীর্যপাত হয়।

এবার আসুন এর কারণ বা আসবাব (Etiology)

প্রথম হতে বীর্য সৃষ্টি না হওয়া বা বীর্য কম সৃষ্টি হওয়া। এ ছাড়া বীর্য সৃষ্টি হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়া, বীর্য সৃষ্টি হওয়ার ক্ষমতা শেষ হয়ে যাওয়া বা কোন কারণে বীর্য আসা বন্ধ হওয়া। এমনকি সহবাস না করার কারণেও এ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।

লক্ষণ বা আলাম সমূহ ( Sign & Symptoms) :

সহবাস কালে বীর্যপাত না হওয়া বা পরিমাণে কম নির্গত হওয়া। এ ছাড়া বীর্য ঠান্ডা ও পাতলা হতে দেখা যায় বা অধিক গাঢ় দেখা যায়।

রোগনির্ণয় বা তাশখীর (Diagnosis)
লক্ষণ সমূহ দেখে রোগ নির্ণয় করা যায়। এ ছাড়া বীর্য পরীক্ষা ও হরমোন পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা যায়।

চিকিৎসা পদ্ধতি বা উচুলে এলাজ (Treatment Process)
প্রথমে বীর্য সৃষ্টি না হওয়া বা কম হওয়ার কারণ নির্ণয় করে তদানুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে। যদি পুরুষত্বহীনতা বা শারীরিক দুর্বলতার জন্য বীর্য সৃষ্টি না হয় তবে ডিম, মাংস, দুধ, ঘি ও মাখন ইত্যাদি পর্যাপ্ত পরিমাণে সেবন করতে হবে।

এগুলো যেমন: শরীরের পুষ্টি সাধন করে তেমনি প্রোষ্টেট, বীর্যথলী ইত্যাদি গ্লান্ডের পুষ্টি সাধন করে অধিক বীর্য তৈরী হতে সাহায্য করে থাকে। এ ছাড়া শাক-সব্জী, মাছ, ডাল খেলে যে বীর্য তৈরী হয় না বা রতি ক্ষমতার হ্রাস ঘটে এমন নহে।

তবে প্রোটিন, খাদ্য প্রাণ ভিটামিন এ এবং বি নিয়মিত ও পরিমিত সেবন করতে পারলে বীর্য, প্রজনন বা সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এ উদ্দেশে- গাজর, শতমূলী, উলট কম্বল, অশ্বগন্ধা ইত্যাদি দ্বারা তৈরী করা ওষুধ সেবন করতে হয়।

চিকিৎসা বা এলাজ (Treatment) :

১। সাদা মুছলী ২৫ গ্রাম, ইসবগুল ভূমি ৬০ গ্রাম নিয়ে মিহি চূর্ণ করে ২৫০ মিঃ লিটার দুধে ভিজিয়ে দু'ঘন্টা পর ডেকসিতে ২৫ মিঃ লিটার ঘিয়ে ২-৩টি লবঙ্গ সহ জ্বাল করে যখন লবঙ্গ লাল বর্ণ হয়ে যাবে তখন তার মধ্যে দুধ ও ভূসি মিলিয়ে এবং চিনি সহ জ্বাল দিয়ে হালুয়ার মত করে সংরক্ষণ করতে হবে ।
২-৩ চা-চামচ করে ওষুধ সকাল-বিকাল দুস সহ সেবন করতে হবে।

২। যদি শুষ্কতার কারণে হয়ে থাকে এবং বীর্য খুব গাঢ় হয় তবে তা পাতলা করার উদ্দেশ্যে তরল জাতিয় অর্থাৎ বীর্য তরলকারী খাদ্য ও ওষুধ দ্বারা চিকিৎসা করতে হবে। যথা- দুধের তৈরী ফিরনি, হারিরাহ ও সাদা সুপ খেতে হয়। এ ছাড়া ভুনা গোস্ত, দারচিনি ও জিরা সেবন করতে হবে। সুঘ্রাণ জাতিয় দ্রব্য ব্যবহার করতে হবে এবং এ সময় সহবাস বন্ধ রাখতে হবে।

৩। যদি শীতলতার কারণে হয় তবে উষ্ণ ও শুষ্ক ভেষজ দ্বারা চিকিৎসা করতে হবে। যেমন- ভূনা বুটের আটা, কাবলী বাদাম সমান নিয়ে ১২ মিঃ লিটার গরুর দুধের সাথে মিশিয়ে বা জ্বাল দিয়ে সকাল-বিকাল সেবন করতে হবে।।

৪। শাকাকুল, ওঁঠ সমপরিমাণ নিয়ে চূর্ণ করে পিঁয়াজের পানিতে মধুর কেওয়াম করে হালুয়া তৈরী করে সংরক্ষণ করতে হবে।
২-৩ চা-চামচ করে মাজুন সকাল-বিকাল সেবন করতে হবে।

৫। মোটাবচ, লবঙ্গ, অশ্বগন্ধা, মুছলী, কপ চিনি, আফিম বীজ সমপরিমাণ নিয়ে চূর্ণ করে মধুর কেওয়ামে হালুয়া তৈরী করে সংরক্ষণ করতে হবে।
২-৩ চা-চামচ করে হালুয়া সকাল-বিকাল দুধ বা পানি সহ সেব্য।

এ রোগে বাজারে প্রচলিত ওষুধ সমূহঃ

১। মাজুন মুগাল্লিয / মাজুন ছা'লাব / হারবাল কম্পাউন্ড / ছা'লাব কম্পাউন্ড
১-২ চা-চামচ করে ওষুধ দিন ২ বার দুধ বা পানি সহ সেব্য ।

২। লুবুব কবীর / লবুব ছগির / কবীর কম্পাউন্ড / ছগির কম্পাউন্ড
১-২ চা-চামচ করে ওষুধ দিন ২ বার দুধ বা পানি সহ সেব্য।

৩। কুশতা তেলা / কুশতা নোকরা / হারবাল তেলা / হারবাল নোকরা
৩০ মিঃ গ্রাম করে ওষুধ ১ চা-চামচ লবুব কবীর সহ সকালে সেব্য।

৪। কুরছ মুকাব্বী খাছ / নিওবা ট্যাবলেট / হাব্বে আম্বরী / হার্বোডেক্স
১টি করে ট্যাবলেট সকাল-বিকাল অথবা রাত্রে শুইবার সময় দুধ সহ সেব্য।

৫। কুরছ খারাতীন / হাব্বে মুনইশ / হাব্বে আম্বর মোমিয়ায়ী / সেক্সোট্যাব
১টি করে ট্যাবলেট সকাল-বিকাল অথবা রাত্রে শুইবার সময় দুধ সহ সেব্য।

৬। হালুয়ায় গাজর / হালুয়ায় বয়জা / হালুয়ায় ছা'লাব
২৫ গ্রাম করে হালুয়া সকালে খালি পেটে দুধ সহ সেব্য।

৭। তিলা মুকাব্বী / হারবাল জেনিটাল লোশন
৪-৫ ফোঁটা করে ওষুধ দিন ১-২ বার মালিশ করে, পান আগুনে ছেঁকে নরম করে বেধে রাখতে হবে।

৮। তিলা দরাজিয়ে জকর / হারবাল দরাজিয়ে জকর।
৪-৫ ফোঁটা করে ওষুধ স্থানীয় ভাবে লিঙ্গে রাত্রে মালিশ করে পান দ্বারা বেধে রাখতে হবে।

বিঃদ্রঃ একজন অভিজ্ঞ হাকিম, কবিরাজ অথবা হার্বালিষ্টের পরামর্শে গ্রহণ করে সেবন উচিত।
সুত্র: যৌনরোগ ও ইউনানী চিকিৎসা।

Address

Dhaka
1212

Opening Hours

Monday 10:00 - 19:00
Tuesday 10:00 - 19:00
Wednesday 10:00 - 19:00
Thursday 10:00 - 19:00
Friday 10:00 - 19:00
Saturday 10:00 - 19:00
Sunday 10:00 - 19:00

Telephone

+8801711072902

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ar Md Nasir Uddin Talukder - Herbalist posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Ar Md Nasir Uddin Talukder - Herbalist:

Videos

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category