অনলাইন পাত্র পাত্রী বিজ্ঞাপন

  • Home
  • Bangladesh
  • Dhaka
  • অনলাইন পাত্র পাত্রী বিজ্ঞাপন

অনলাইন পাত্র পাত্রী বিজ্ঞাপন বাংলাদেশের সকল ধরনের পাত্র ও পাত্রীদ?

26/07/2022

মু'আয বিন জাবাল রা. এর দুই স্ত্রী ছিল। তিনি উভয়ের মাঝে এ পরিমাণে ইনসাফ করতেন যে, যার পালা আসত, সেদিন অপর স্ত্রীর ঘরে এক ঢোক পানিও পান করতেন না। একটা ঘটনা বলি-
উমর রা. এর যুগে ফিলিস্তিনে ভয়াবহ এক মহামারী দেখা দিয়েছিল। এই মহামারীতে মারা যায় প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। সেই মহামারীতে মারা যান মু'আজ রা. এর উভয় স্ত্রী। এক সাথে একই দিনে। লোকেরা গণকবর খুড়ে মৃতদের দাফন করছিল। মু'আজ রা. এর স্ত্রীদয়ের জন্য একটি কবর খোড়া হল। লাশ কবরে রাখার আগে তিনি টস করে নিলেন কাকে আগে কবরে নামাবেন।

আল্লাহু আকবার! ইনসাফ কাকে বলে।

একাধিক বিয়ের ফ্যান্টাসিতে ভোগা লোকেরা যেন এই ইনসাফ নিয়ে ভাবে! সংসারের ভিত্তি রোমান্টিকতার চেয়ে ইনসাফের উপর বেশি। রোমান্টিকতা তো সংসার জীবনের মাত্র ০৫%!
সংগ্রীহিত

28/12/2021

কিছু জিনিস আছে, মানুষের কাছে চেয়ে/আবদার করে কোনো লাভ নেই।
যেমন ভালোবাসা, কেয়ার, সময়, সহানুভূতি।

আপনি আপনার স্বামী/স্ত্রী, বন্ধু, বা অন্য কোনো প্রিয় মানুষের কাছে এক ঘন্টা সময় চাইলেন, সে এসে আপনার পাশে এক ঘন্টা বসে মোবাইল টিপলো, কি করবেন এই সময় দিয়ে!
অথবা আরেকটু চালাক হয়ে আপনি ডিভাইসলেস সময় চাইলেন প্রতিদিন আধঘন্টা, আপনার সেই বন্ধু প্রতিদিন আধ ঘন্টা ডিভাইস রেখে আপনার পাশে বিরক্তমুখে বসে থাকে, একটু পরপর ঘড়ি দেখে কতক্ষন বাকি, কি করবেন এই সময় দিয়ে?

আপনি মানুষকে দিয়ে নির্দিষ্ট কিছু কাজ করিয়ে নিতে পারবেন, কিন্তু যত্ন করা, কেয়ার করা আদায় করে নিতে পারবেন না তার ভেতর থেকে যদি না আসে, এটা নিয়ে আপনি আবদার বা অভিযোগ করতে যাবেন তাহলে খুব সিলি ব্যাপার হয়ে যাবে, যেমন আপনি বললেন অই সময়ে অই কাজটা তুমি আমার জন্য করলে না কেন? আমার কষ্ট হচ্ছিলো দেখেও বুঝলেনা কেন, সে উত্তর দিবে এটা কোনো কথা! বললেই তো করে দিতাম। কিন্তু আপনি বলতে চাননা, আপনি চান কেয়ার, যেটা বলে কখনো আদায় করা যায়না।

তাহলে কি করবেন? একটা জিনিস মাথায় গেঁথে নিতে পারেন, খাবার দাবারের মত ভালোবাসা, যত্ন, সুন্দর সময় এগুলোও আল্লাহর পক্ষ থেকে রিযিক, আমি যতটুকু পাচ্ছি ততটুকুই আমার জন্য বরাদ্দ। এর জন্য মানুষের কাছে কেঁদে লাভ নেই। আল্লাহর কাছে রিজিকের বরকতের দোয়া করা, গুনাহ মুক্ত জীবন যাপনের চেষ্টা করা যেন আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়ে যান। আল্লাহ যাকে ভালোবাসেন, জমীনে আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাদের মনেও তার জন্য ভালোবাসা ঢেলে দেন।

আর নিজের সাধ্য অনুযায়ী নিজের কাছের মানুষদের যত্ন নেয়া। সুন্দর সময়, সুন্দর কথা উপহার দেয়া, মানুষের সাথে উত্তম আচরন সাদাকাহ এটা মনে রাখা।

আপনি হয়ত কারো একটু সময়/মনযোগ পাওয়ার আশায় ব্যাকুল, ওদিকে বাড়ির কোনো বয়োবৃদ্ধ লোক, বা ছোট শিশু আপনার একটু সময়/মনোযোগ পেলে খুশি হয়ে যায়, দৃষ্টি অইদিকে ঘুরিয়ে নিন, যা পাচ্ছেন সেই রিজিকে সন্তুষ্ট হয়ে গিয়ে যা দিতে পারবেন তা নিয়ে ভাবুন, ইনশাআল্লাহ 'আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা' রিজিকের উপর সন্তুষ্ট এবং শুকরিয়া আদায়কারীকে রিজিকে সীমাহীন বরকত দিবেন। অন্তর প্রশান্তিতে ভরে দিবেন।

~ Zubaida Farzana

07/10/2021

#পাত্রচাই........
নামঃহোসনেয়ারা ইতি
বয়সঃ১৯
রক্তের গ্রুপঃও পসেটিভ
গায়ের রংঃকালো
বৈবাহিক অবস্থাঃঅবিবাহিত
উচ্চতাঃ৫ফিট ১/২
বাবার নামঃমৃত হোসেন হাওলাদার(ব্যবসায়ী ছিলেন)
মায়ের নামঃসামেনা বেগম(গৃহীনি)

স্থায়ী ঠিকানাঃপূর্ব জুরাইন,ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা -১২০৪
গ্রামের বাড়িঃটংগীবাড়ি, মুন্সিগঞ্জ।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ
PSC:4.67
JSC:5.00
SSC:4.44
বর্তমান পড়াশোনা ইনটার ১ম বর্ষ
দ্বীনি যোগ্যতা
ক্বরিয়ানা কোর্স কমপ্লিট হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ।
পারিবারিক তথ্যঃ
৫বোন ১ ভাই ছিলো মারা গেছে।
বড় আপুর বিয়ে হয়ে গেছে।ভাইয়ার নিজস্ব কাউন্টার।মেজ আপুর বিয়ে হয়ে গেছে ভাইয়া সিঙ্গাপুর ছিলো বর্তমান দেশে।মেজ আপুর বিয়ে হয়ে গেছে ভাইয়া ইতালী থাকেন।
মামারা প্রবাসী ছিলেন বতর্মানে দেশে ব্যবসা করছেন।চাচারা প্রবাসী সবাই।
অর্থনৈতিক অবস্থাঃআলহামদুলিল্লাহ মধ্যবিত্ত।
সামাজিক অবস্থাঃআলহামদুলিল্লাহ ভালো
নিজস্ব বাড়ি আছে ঢাকা তে তবে পরিবেশটা ওতো ভালো না পানি উঠে বাড়িতে।

বিশেষ দিকঃআমার বাবা মারা গেছেন যখন আমি ছোট ছিলাম। আমরা সবাই প্রায় ছোট তাই আমার আম্মুর আরেকটা বিবাহ হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ এবং বর্তমানে আমার এই বাবাই আমাদের ভরণ পোষণ যোগাচ্ছেন। এই ঘরে আমার একটা ছোট বোন আছে ওকে নিয়েই আমরা ৫ বোন।
(বিঃদ্রঃএটা নিয়ে যাদের সমস্যা থাকবে যোগাযোগ না করাই উত্তম)

নিজের সম্পর্কেঃ
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ,
আমি খুবই সহজ সরল জীবন যাপন করি আলহামদুলিল্লাহ। দ্বীনে প্রত্যাবর্তন করেছি প্রায় ৩ বছর।এই ৩ বছরে অনেক কিছুই পাল্টে গেছে।নিয়মিত নামায পড়ি আলহামদুলিল্লাহ, পর্দা করি,নাটক,সিনেমা,গান,নাচ এগুলোও বাদ দিয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। নন মাহরম মেইনটেইন করি নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা মতো যহেতু আমার পরিবার ওতো দ্বীনদার না তারা স্বাভাবিক মানুষের মতই দ্বীন পালন করে।নিজেকে রবের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি আর দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টায় আছি যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করে যাচ্ছি নিজেকে আরো যত দিক দিয়ে উন্নত করা যায় দ্বীনি ক্ষেত্রে।হালাল-হারাম মেনে চলি।যতটুকু জানি তার উপর আমল করার চেষ্টা করি।যদিও আমি আল্লাহর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বান্দী মনে করি।

যেমন পাত্র চাইঃ
বয়সঃ২৫-২৮
বৈবাহিক অবস্থাঃঅবিবাহিত
উচ্চতাঃ৫ফুট৫/৬
পেশাঃব্যবসায়ী,চাকুরীজীবি যে কোন তবে হালাল রোজগার হতে হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ HSC/SSCঅথবা তার উর্ধে
গায়ের রংঃফর্সা,শ্যামলা যেহেতু আমি কালো।
জেলাঃঢাকা অথবা মুন্সিগঞ্জ স্থায়ী হলে ভালো হয় বাকিটা আলোচনা সাপেক্ষে।
পারিবারি অবস্থাঃআলহামদুলিল্লাহ ভালো।
অর্থনৈতিক অবস্থাঃস্বচ্ছল

যে যে গুণ থাকা চাইঃ
১ঃনিয়মিত সলাত আদায় করতে হবে।
২ঃনিজের চোখ হিফাজতে রাখতে হবে।
৩ঃহালাল-হারাম মেনে চলতে হবে।
৪ঃনন মাহরাম মেনে চলতে হবে।
৫ঃআমাকে সম্পূর্ণ পর্দায় রাখতে হবে।
৬ঃকোরআন না পড়তে জানলেও সমস্যা নেই আমি শিখিয়ে দিবো ইন শা আল্লাহ।
৭ঃসুন্নতি দাড়ি থাকতে হবে।
আমার তেমন কোন বিষেশ গুণ নেই তবে আমি কোরআন শিখাই এটাই আমার অনেক বড় পাওনা আলহামদুলিল্লাহ। তবে আমি এমন একজনকে চাই যার হৃদয়ে থাকবে গরীবদের জন্য ভালোবাসা অন্তরটা থাকবে তাকওয়াপূর্ণ। যাকে দেখলে সূরা ফুরকান এর ৭৪ আয়াত মনে পরবে।যে হবে আমার চক্ষু শীতল কারি।

বিশেষ কোন শখঃ
জ্বি আমার বিশেষ শখ বলতে দ্বীনি ইলম অর্জন করা আর ছোট একটা লাইব্রেরি তৈরি করা যেখানে অনেক দ্বীনি বই থাকবে।অবসর সময়টা তে আমরা প্রচুর বই পড়বো অনেক জ্ঞান অর্জন করবো এবং মুসলিম উম্মাহর জন্য কাজ করবো।এমন কিছু করতে চাই যাতে মুসলিম উম্মাহর জন্য উপকারী হয়।দুজনে মিলে প্রচুর জ্ঞান অর্জন করবো এবং দাওয়াতি কাজ করবো ইন শা আল্লাহ।
বিয়ের পর চাকরীঃনা করতে চাই না তবে কোরআন শিক্ষা দেওয়া অব্যাহত রাখতে চাই এবং দাওয়াতি কাজ করতে চাই।
সর্বপরি আমি আমার মতো কাউকে চাই যে দ্বীনি পথে প্রত্যাবর্তিত হয়েছে।প্র্যাকটিসিং মুসলিম।
দয়া করে কোন ফেইক মানুষরা যোগাযোগ করবেন না।
যারা আগ্রহী ইনবক্সে শুধু বায়োডাটা দিবেন পছন্দ হলে অভিভাবকের সাথে কনটাক্ট করার ব্যবস্থা করা হবে ইন শা আল্লাহ
অযথা কেউ ইনবক্সে নক করে ডিসটার্ব করবেন না

যোগাযোগ করতেঃ
Www.Arabiyawakiyaiti@gmail.com" rel="ugc" target="_blank">Www.Arabiyawakiyaiti@gmail.com
ই-মেইল এড্রেসেও বায়োডাটা দিতে পারেন
অবশ্য ই পাত্রে শর্তগুলো থাকতে হবে। না থাকলে যোগাযোগ না করার অনুরোধ রইলো।
হয়তো অনেক কিছুই ভুল হতে পারে তার জন্য আফওয়ান।
জাযাকুমুল্লাহু খইরান।

24/08/2021

পুরুষ স্বাবলম্বী হলে চিন্তা করে কিভাবে স্ত্রী সন্তানদের আরো ভাল রাখা যায়। আর বেশিরভাগ নারী সাবলম্বী হলে চিন্তা করে আমার এখন কাউকে দরকার নাই। আমি একাই চলতে পারি।
আর হয়ত একারণেই আমাদের দেশে শিক্ষিত স্বাবলম্বী মেয়েরা ডিভোর্সের শীর্ষে রয়েছে।
জামাই কি শুধু টাকা কামাই করার জন্যই দরকার? কি রকম ছেসড়া মেন্টালিটি গ্রো আপ করতেসে সো কল্ড ফেমিনিস্ট মেয়েদের ভেতর।
collected.

24/05/2021

বিয়ের আগে সোশ্যাল স্ট্যাটাস-ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাটাস নিয়ে, পাত্র-পাত্রীর বাবা-মা, ভাইবোন-মামা-চাচা কে কোথায় আছে তা বায়োডাটায় লেখা আমাদের দেশের রীতি।

কিন্তু এই তথ্যগুলোর চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল পাত্র-পাত্রীর মেডিক্যাল হিস্ট্রি ও নিউট্রিশনাল স্ট্যাটাস বায়োডাটায় থাকা। টু বি স্পাউজকে হেলথ এন্ড নিউট্রিশনাল স্ট্যাটাস না জানানো একপ্রকার প্রতারনার পর্যায়ে পড়ে কারন আপনি এর মাধ্যমে আপনার ভেতরে থাকা সমস্যাগুলো সম্পর্কে তাকে অভিহিত করছেন না।

আপনি সোশ্যাল-ফ্যামিলিয়াল স্ট্যাটাস-ক্যারিয়ার প্রসপেক্ট দেখে বিয়ে করছেন কিন্তু দেখা যাচ্ছে পাত্রের প্রি ডায়বেটিস আছে বা হার্ট এটাক-স্ট্রোকের সম্ভাবনা খুবই বেশি। দেখা গেল, বিয়ের পর পাত্র শারীরিক সম্পর্কে খুব একটা আগ্রহী না, অথবা দেখা গেল, বিয়ের পাচ বছর না যেতেই পাত্র হার্টের সমস্যায় ভুগতে শুরু করেছেন। এগুলো আনকমন কিছু না, সমাজের খুবই বাস্তব চিত্র।

অথবা, ধরেন আপনি বিয়ের পর দ্রুত সন্তান চাচ্ছেন কিন্তু বিয়ের আগে পাত্রীর পিসিওএস/থাইরয়েডিজম আছে কিনা খোজ নেন নি, অথবা পাত্রীর হরমোনাল ইমব্যালেন্সের জন্য মিড ডিজর্ডার আছে আপনার জানাই নেই, বা দেখা গেল, পাত্রী মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ডেফিসিয়েন্সির কারনে যৌনমিলনে অসাড় আচরন করেন(মেয়েদের ক্ষেত্রে এটা খুব বেশি ঘটছে)।

এই ব্যাপারগুলো নিয়ে বিয়ের আগে ঠিকমত খোজ না নিলে শেষমেশ বিয়ে টেকে না বা বাবা-মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে অশান্তির সংসার করে যেতে হয় বছরের পর বছর।

বিয়ের আগে সামগ্রিকভাবে মেডিক্যাল-নিউট্রিশনাল স্ট্যাটাস চেক করানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বায়োডাটায় পাতার পর পাতার খালা-খালুর ফিরিস্তি না লিখে নিউট্রিশনাল-মেডিক্যাল ইনফরমেশন রাখার ব্যবস্থা থাকলে এই সমস্যাগুলো এড়ানো সম্ভব ছিল।

Sajal's Diet Falsafa

29/04/2021

মোহর ও সামাজিক প্রচলন
মাওলানা মুফতী তাকী উছমানী
কিছুদিন আগে একটি নিকাহনামা দেখেছিলাম, যাতে মোহরের ঘরে লেখা ছিল ‘নগদ বত্রিশ টাকা শরয়ী মোহর’। এর আগেও লোকদের সাথে কথাবার্তার মধ্যে মনে হয়েছে, তারা বত্রিশ টাকাকে শরীয়তের নির্ধারিত মোহর মনে করে। আর এই ধারণা তো অনেকেরই আছে যে, মোহরের পরিমাণ যত কম হবে শরীয়তের দৃষ্টিতে ততই উত্তম ও প্রশংসনীয় হবে। মোহর সম্পর্কে আরো অনেক ভুল ধারণা আছে, যা দূর করা অতি প্রয়োজন।
মোহর মূলত একটি সম্মানী যা স্বামী তার স্ত্রীকে দিয়ে থাকে, যার মূল উদ্দেশ্যই হল নারীকে সম্মান ও মর্যাদা দেওয়া। এটা নারীর মূল্য নয় যে, তা পরিশোধ করলেই মনে করা যাবে, নারী নিজেকে স্বামীর হাতে বিক্রি করে দিয়েছে। তেমনি এ শুধু কথার কথাও নয়, যা শুধু ধার্য করা হয়, পরিশোধ করার বাধ্যবাধকতা থাকে নয়; বরং শরীয়তের উদ্দেশ্য হল যখন কোনো পুরুষ স্ত্রীকে ঘরে আনবে তখন তাকে মর্যাদার সাথে আনবে এবং এমন কিছু উপহার দিবে, যা তাকে সম্মানিত করে। এজন্য শরীয়তের তাকাযা হচ্ছে মোহর এত অল্পও নির্ধারণ না করা, যাতে মর্যাদার কোনো ইঙ্গিত থাকে না। আবার এত অধিকও নির্ধারণ না করা, যা পরিশোধ করা স্বামীর পক্ষে সম্ভব হয় না। অন্যথায় হয়তো মোহর আদায় না করেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিবে, নতুবা জীবনের অন্তিম মুহূর্তে স্ত্রীর কাছে মাফ চাইতে বাধ্য হবে।
শরীয়তের দৃষ্টিতে প্রত্যেক নারীর আসল হক ‘মোহরে মিছল’। ঐ নারীর বংশে তার মতো অন্যান্য নারীদের সাধারণত যে মোহর নির্ধারণ করা হয়েছে সেটা তার মোহরে মিছ্ল। যদি তার নিজের বংশে তার মতো আর কোনো নারী না থাকে, তাহলে অন্য বংশে তার সমপর্যায়ের নারীদের যে মোহর সাধারণত নির্ধারণ করা হয় সেটাই তার মোহরে মিছল। শরীয়তের দৃষ্টিতে স্ত্রী মূলত মোহরে মিছ্লের হকদার। এ কারণেই যদি মোহরের আলোচনা ছাড়া বিয়ে হয় কিংবা পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে মোহর নির্ধারিত না হয় তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোহরে মিছল অবধারিত হয়ে যায় এবং এক্ষেত্রে মোহরে মিছল পরিশোধ করা স্বামীর জন্য জরুরি হয়ে পড়ে। তবে স্ত্রী নিজেই যদি সন্তুষ্টচিত্তে মোহরে মিছল হতে কম নিতে রাজি হয় অথবা স্বামী খুশি মনে মোহরে মিছল থেকে অধিক পরিমাণ মোহর নির্ধারণ করে তবে শরীয়তে এর অনুমতি আছে। অর্থাৎ উভয় পক্ষের সম্মতিতে মোহরে মিছল হতে কম-বেশি করেও মোহর নির্ধারণ করা যায়। আর এক্ষেত্রেও এমন কোনো পরিমাণ নির্ধারিত নেই, যার বেশি মোহর ধার্য করা যায় না। তবে সর্বনিম্ন পরিমাণটি শরীয়তের নির্ধারিত। হানাফী মাযহাব মতে তা হচ্ছে দশ দিরহাম। দশ দিরহামের অর্থ, প্রায় দুই তোলা সাড়ে সাত মাশা রূপা।
সর্বনিম্ন পরিমাণ মোহর নির্ধারিত থাকার অর্থ এই নয় যে, এত সামান্য পরিমাণ মোহর নির্ধারণ করা শরীয়তে প্রশংসনীয়; বরং উদ্দেশ্য হল, তার চেয়েও কম মোহরে স্ত্রী সম্মত হলেও শরীয়ত সম্মত নয়। কারণ এর দ্বারা মোহরের মূল উদ্দেশ্য পূরণ হয় না। তাছাড়া মোহরের এই সর্বনিম্ন পরিমাণও রাখা হয়েছে আর্থিকভাবে দুর্বল লোকদের কথা বিবেচনা করে, যাতে তারাও নারীর সম্মতির শর্তে এই পরিমাণ অর্থ দ্বারা বিবাহ করতে পারে। তাই একথা মনে করা মোটেও সঠিক নয় যে, শরীয়ত দু’ শ টাকা মোহর ধার্য করতে উৎসাহিত করেছে এবং এ অর্থে তা মোহরে শরয়ী। যারা এখন বত্রিশ টাকাকে মোহর নির্ধারণ করে সেটাকে শরীয়তসম্মত মোহর আখ্যা দিয়েছে তারা দুটি ভুল করেছে : প্রথম ভুল এই যে, দশ দিরহামের মূল্য কোনো যুগে হয়তো বত্রিশ টাকা ছিল, তারা সেটাকে সব সময়ের জন্য ধরে নিয়েছে। দ্বিতীয় ভুল হল শরীয়ত মোহরের যে সর্বনিম্ন পরিমাণ নির্ধারণ করেছে, তার অর্থ তারা এই করেছে যে, শরীয়তের দৃষ্টিতে এর চেয়ে অধিক মোহর নির্ধারণ করা অনুচিত। তাদের এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ কন্যা হযরত ফাতেমা রা.-এর মোহর পাঁচ শত দিরহাম নির্ধারণ করেছিলেন, যা প্রায় ১৩১ তোলা তিন মাশা রূপার সমতুল্য। তেমনি তাঁর স্ত্রীগণের মধ্যে অনেকের মোহর এর কাছাকাছি নির্ধারণ করেছিলেন, যা মধ্যম পর্যায়ের হওয়ার কারণে একটি গ্রহণযোগ্য ও উপযুক্ত পরিমাণ।
অনেক লোক মোহরে ফাতেমিকে শরীয়তী মোহর বলে থাকেন। তাদের উদ্দেশ্য যদি এই হয় যে, শরীয়তের দৃষ্টিতে এর চেয়ে বেশি পরিমাণের মোহর নির্ধারণ করা অপছন্দনীয় তাহলে এই ধারণাও সঠিক নয়। তবে এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, উভয় পক্ষ যদি পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে মোহরে ফাতেমি নির্ধারণ করে এবং মনে করে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্ধারণ করা পরিমাণটি বরকতপূর্ণ ও ভারসাম্যপূর্ণ বিধায় তা গ্রহণ করা ভালো এবং এর মাধ্যমে সুন্নতের ছওয়াব লাভের প্রত্যাশা রয়েছে তাহলে এই আবেগ-অনুভূতি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কিন্তু এই ধারণা ঠিক নয় যে, মোহরে ফাতেমি এই অর্থে শরীয়তী মোহর যে, তার চেয়ে কম-বেশি করা শরীয়তের দৃষ্টিতে অপছন্দনীয়।
মোহর এই পরিমাণ হতে হবে, যা দ্বারা স্ত্রীকে সম্মানিত করা হয় এবং যা স্বামীর সামর্থ্যের চেয়ে বেশি না হয়। যেসব বুযুর্গ বড় অংকের মোহর নির্ধারণ করতে নিষেধ করেছেন তাদের উদ্দেশ্যও এই যে, সামর্থ্যের চেয়ে অধিক মোহর নির্ধারণ করা হলে তা একটি কাগুজে লেনদেনে পর্যবসিত হবে, বাস্তবে কখনো তা পরিশোধ করা হবে না। ফলে স্বামীর ঘাড়ে মোহর আদায় না করার গুনাহ থেকে যাবে। দ্বিতীয়ত অনেক সময় বড় অংকের মোহর নির্ধারণের পিছনে লোক দেখানোর মানসিকতাও কার্যকর থাকে। অনেকে শুধু নিজেদের প্রভাব-প্রতিপত্তি দেখানোর জন্যও অস্বাভাবিক বড় অংকের মোহর নির্ধারণ করে। বলাবাহুল্য, এই দু’টো বিষয়ই ইসলামের স্বভাব-প্রকৃতির সম্পূর্ণ বিরোধী। এ জন্যই অনেক বুযুর্গ অস্বাভাবিক বড় অংকের মোহর নির্ধারণ করতে নিষেধ করেছেন। তবে এ প্রসঙ্গে হযরত ওমর রা.-এর একটি ঘটনা স্মরণ রাখার মতো। হযরত ওমর রা. তাঁর খিলাফতের যুগে একবার ভাষণ দিলেন যে, কেউ যেন বিয়ে-শাদিতে বড় অংকের মোহর নির্ধারণ না করে। তখন এক মহিলা আপত্তি করে বললেন, কুরআন মজীদের এক জায়গায় তো এক কিনতার (সোনা-রূপার স্ত্তপ) মোহর দেওয়ার কথাও আছে, যা প্রমাণ করে যে, সোনা-রূপার স্ত্তপও মোহর হতে পারে। তাহলে বড় অংকের মোহর নির্ধারণে বাধা দিচ্ছেন কেন? হযরত ওমর রা. তাঁর কথা শুনে বললেন, বাস্তবেই তাঁর দলীল সঠিক। অধিক পরিমাণ মোহর নির্ধারণ করা থেকে সম্পূর্ণরূপে নিষেধ করা ঠিক নয়। এর অর্থ হল যদি লোক দেখানোর উদ্দেশ্য না থাকে এবং মোহর আদায় করার ইচ্ছা ও সামর্থ্যও থাকে তবে অধিক পরিমাণ মোহর নির্ধারণ করা জায়েয। আর যদি কোনো একটি শর্তও অনুপস্থিত থাকে তবে সেক্ষেত্রে অত্যধিক মোহর নির্ধারণ করা জায়েয নয়।
প্রসঙ্গত আরো একটি বিষয় পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। আমাদের মধ্যে দুই ধরনের মোহরের প্রচলন রয়েছে। এক. مهر معجل (মোহরে মু‘আজ্জাল) বা নগদ মোহর। দুই.مهر مؤجل (মোহরে মুয়াজ্জাল) বা বাকি মোহর। এ শব্দগুলো যেহেতু বিয়ের মজলিস ছাড়া সচরাচর শোনা যায় না তাই অনেকে এ শব্দ দুটির অর্থ বুঝে না। শরীয়তের দৃষ্টিতে মোহরে মু‘আজ্জাল হল সেই মোহর, যা বিয়ে সম্পন্ন হওয়ামাত্র নগদ আদায় করা অপরিহার্য হয়ে যায়। হয়তো সে বিয়ের সময়ই তা পরিশোধ করে দিবে অথবা বিয়ের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিশোধ করবে। এক্ষেত্রে স্ত্রীর তা দাবি করার অধিকার আছে। যেহেতু আমাদের সমাজে নারীরা সাধারণত মোহর দাবি করে না তাই এরূপ মনে করা উচিত হবে না যে, সেটা পরিশোধ করা আমাদের জন্য জরুরি নয়; বরং কর্তব্য হল স্ত্রীর চাওয়ার অপেক্ষা না করে যত দ্রুত সম্ভব এই ফরয দায়িত্ব হতে মুক্ত হওয়া।
মোহরে মুয়াজ্জাল বলা হয় সেই মোহরকে, যা পরিশোধের জন্য উভয় পক্ষ কোনো তারিখ নির্ধারণ করে। ঐ তারিখ আসার আগে মোহর আদায় করা স্বামীর জন্য আবশ্যকীয় নয়। স্ত্রীও সেই তারিখের আগে এই মোহর দাবি করতে পারবে না। সুতরাং মোহর মুয়াজ্জাল হওয়ার অর্থ হচ্ছে, বিয়ের দিনই তা পরিশোধের তারিখ নির্ধারণ করা হবে, কিন্তু আমাদের সমাজে সাধারণত কোনো দিন-তারিখ নির্ধারণ না করে শুধু এটুকু বলে দেওয়া হয় যে, এই পরিমাণ মোহরে মুয়াজ্জাল (বাকি মোহর)। আর সামাজিক প্রচলন অনুযায়ী তার অর্থ দাঁড়ায়, তা পরিশোধ করা হবে স্ত্রীকে তালাক দেওয়া হলে কিংবা স্বামী-স্ত্রী কারো মৃত্যু হলে। এটিও একটি ভুল প্রচলন।
আরেকটি বিষয় হল, স্বামীর পক্ষ হতে নববধুকে যে গয়নাগাটি দেওয়া হয় মোহরের সাথে তার সরাসরি সম্পর্ক নেই। আমাদের সামাজিক প্রচলন মতে স্ত্রী এই অলংকারের মালিক হয় না; বরং সেগুলো তাকে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়। ফলে স্ত্রী সেই অলংকার স্বামীর অনুমতি ছাড়া বিক্রি করতে পারে না এবং কাউকে উপহারও দিতে পারে না। আর এ কারণেই-আল্লাহ না করুন-তালাকের ঘটনা ঘটলে স্বামী তা ফিরিয়ে নেয়। এ ধরনের অলংকার দ্বারা মোহর আদায় হয় না। তবে স্বামী যদি স্ত্রীকে স্পষ্টভাবে বলে যে, আমি এই অলংকার মোহরস্বরূপ তোমাকে দিয়েছি এবং তুমি এর মালিক তাহলে সেই অলংকার মোহর হিসেবে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে ঐ অলংকারের উপর স্ত্রীর পূর্ণ অধিকার থাকবে এবং কোনো অবস্থাতেই তা স্ত্রীর নিকট থেকে ফেরত নেওয়া যাবে না।
যাই হোক, মোহর নির্ধারণের বিষয়টি নিছক কথার কথা বা ঐচ্ছিক কোনো আচার পালনের বিষয় নয়; বরং তা একটি ফরয বিধান ও গুরুত্বপূর্ণ দ্বীনী দায়িত্ব, যা পূর্ণ মনোযোগ ও বিচার-বিবেচনার দাবি রাখে। এটি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ লেনদেন। অতএব এর যাবতীয় দিক শরীয়ত অনুযায়ী ও পরিষ্কারভাবে হওয়া উচিত এবং সে হিসেবেই তা পরিশোধের চিন্তা-ভাবনা করা উচিত। এটি বড়ই অন্যায় কথা যে, সারা জীবন উদাসীন থেকে মৃত্যুশয্যায় স্ত্রীর নিকট মাফ চাওয়া হয়, যখন পরিস্থিতির চাপে স্ত্রীরও মাফ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।
[‘‘যিক্র ও ফিক্র’’ থেকে গৃহীত ও অনুদিত। অনুবাদ : আনসারুল্লাহ হাসান]
- মাসিক আল কাউসার

29/04/2021

বিয়ের জন্য যারা অনেক পেরেশানি গ্রস্থ আছেন!
আমি মনে করি, তাদের জন্যই রামাদান মাস হচ্ছে আল্লাহর নিকট কবুল করিয়ে নেয়ার মাস!
কিন্তু, সেক্ষেত্রে প্রথমে নিজেকে সমস্ত গুনাহ থেকে মুক্ত করে আল্লাহর নিকট তওবা করে নিতে হবে... তারপর আপনার জীবনের জরুরী প্রয়োজন মোতাবেক যে দোয়া ই করুন না কেন, ইনশা আল্লাহ আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা'য়ালা অবশ্যই কবুল করবেন।

আসুন এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কর্মপন্থা বলি এবং কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল বলে যাই।

সর্বাগ্রে গুনাহ ছেড়ে দিন।
এবং আজীবনের জন্য তাওবা করে নিন।
পূর্বের গুনাহের জন্য তাওবা করুন অনুতপ্ত হোন।

এরপর সর্বাবস্তায় ইস্তিগফার করুন, লাজিম বানিয়ে নিন।
অর্থাৎ অবশ্যকরণীয় বানিয়ে নিন।
এই আমলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফায়দা হচ্ছে, আপনাকে রিযিক পেতেও সাহায্য করবে খুব দ্রুত।

উপরোল্লেখিত আমার গুলো করার দ্বারা নিজের দ্বীনদারিত্ব নিশ্চিত করুন। ফলশ্রুতিতে আপনার দ্বীনদার জীবন সঙ্গী পেতে সহযোগিতা হবে ইনশাআল্লাহ।

এবার দোয়া করুন, প্রচুর দোয়া করুন আপনি কেমন স্ত্রী চান সেটা আল্লাহকে বলুন, পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে আপনার মনোভাব ব্যক্ত করুন, সম্ভব হলে হেঁচকি তুলে তুলে কান্না করে করে দোয়া করতে থাকুন।
মনে রাখবেন, এটা অনেক গুরুত্ববহ একটা আমল, দোয়া কখনো ফেরত যায় না।

রাসুল (সাঃ) বলেন,
"ভাগ্য পরিবর্তন হয় না দুআ ব্যতীত।"
[তিরমিযীঃ ২১৩৯]

এবার আপনি আল্লাহর পক্ষ থেকে বিয়ের ফায়সালা হওয়ার জন্য এই আমল গুলো করতে পারেন, কুরআন হাদীসে বর্ণিত নিম্নোক্ত দোয়া গুলো পাঠ করতে পারেন ইনশাআল্লাহ।

১. অতিদ্রুত হালাল, উত্তম ও সম্মানজনক রুজি এবং উত্তম ও দ্বীনদার স্ত্রী কিংবা স্বামী পাওয়ার জন্য বেশি বেশি করে মুসা (আঃ) কৃত দুআটি পড়তে পারেন:

দোয়াঃ
رَبِّ اِنِّیۡ لِمَاۤ اَنۡزَلۡتَ اِلَیَّ مِنۡ خَیۡرٍ فَقِیۡرٌ

উচ্চারণঃ
"রাব্বি ইন্নি লিমা আনজালতা ইলাইয়া মিন খাইরীন ফাকির।"

অর্থঃ
“হে আমার পালনকর্তা, তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ নাযিল করবে, আমি তার মুখাপেক্ষী।"
[সুরাহ কাসাস, আয়াতঃ ২৪]

২. উত্তম জীবনসঙ্গী, নেককার সন্তান-সন্ততির জন্য আল্লাহ তাআলার শিখিয়ে দেয়া কুরআনি এই দুআটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যাপক অর্থপূর্ণ,

দোয়াঃ

رَبَّنَا هَبۡ لَنَا مِنۡ اَزۡوَاجِنَا وَذُرِّیّٰتِنَا قُرَّۃَ اَعۡیُنٍ وَّاجۡعَلۡنَا لِلۡمُتَّقِیۡنَ اِمَامًا.

উচ্চারণঃ
"রব্বানা হাবলানা মিন আজওয়াজিনা ওয়া যুররি ইয়াতিনা কুররতা আ'ইউনিউ ওয়াজায়ালনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা।"

অর্থঃ
"হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর।"
[সুরাহ ফুরকান, আয়াতঃ ৭৪]

৩. নিয়মিত বেশি বেশি সুরা আলাম নাশরাহ পড়ুন অর্থসহ এবং অর্থটি অন্তরে দৃঢ়ভাবে বসিয়ে নিন।

৪. সংক্ষিপ্ত কমন রুকইয়াহ শুনতে পারেন প্রতিদিন।

৫. নিয়মিত সুরা ইউসুফ, সুরা নূর, সুরা মুমিনুন, সুরা লোকমান, সুরা ওয়াকিয়াহ, সুরা ইয়াসিন, সুরা লোকমান, সুরা মুলক, সুরা শুঅারা, এবং সুরা অাল বাকারাহ সাধ্যনুযায়ী পড়তে থাকুন অর্থসহ, আর যখন পড়বেন কুরআন শরীফ কে অসমাপ্ত রূপে পড়বেন না অর্থাৎ উত্তম পদ্ধতি হলো কমপক্ষে এক রুকু বা এক পৃষ্ঠা করে পড়া, অর্থাৎ এক রুকু তিলাওয়াত করবেন তারপর সেই অংশের অর্থটুকু পড়বেন।

৬. নিয়মিত সালাতুল হাজত ও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ুন।
অাপনার সমস্যার কথা আল্লাহকে খুলে বলুন।

৭. বেশি বেশি নফল রোজা ও গোপন সাদকাহ করুন।
....

এই আমার গুলো করার সাথে সাথে খুব গুরুত্ব দিয়ে খেয়াল রাখতে হবে কখনো হতাশ হবেন না, হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই।
কারণ, অাপনি যখন এই ব্যাপারে চেষ্টা করে যাবেন তখন অাপনাকে সাহায্য করা অাল্লাহর দায়িত্ব হয়ে যায়, আল্লাহর সাহায্য অবশ্যম্ভাবী হয়ে যায়।

আসুন দেখি এ ব্যাপারে হাদিস কি বলে...

কেননা রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
"তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ তাআলার জন্য কর্তব্য হয়ে যায়।
১. আল্লাহ তাআলার রাস্তায় জিহাদকারী।
২. চুক্তিবদ্ধ গোলাম, যে তার মনিবকে চুক্তি অনুযায়ী সম্পদ আদায় করে মুক্ত হতে চায়। এবং
৩. ওই বিবাহে ইচ্ছুক ব্যক্তি যে (বিবাহ করার মাধ্যমে) পবিত্র থাকতে চায়।"
[তিরমিযীঃ ১৬৫৫, নাসায়ীঃ ৩২১৮]

ধৈর্যধারণের সাথে সবসময় এই আমলগুলো করতে থাকুন ইনশাআল্লাহ, আল্লাহু সুবাহানাহু ওতা'য়ালার প্রতি পুর্ণাঙ্গ বিশ্বাস ও দৃঢ় আস্থা রাখুন।
ইনশাআল্লাহ শীঘ্রই ব্যবস্থা ব্যবস্হা হয়ে যাবে।
অাল্লাহ সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করুন এবং এই সমস্যায় যারা ভুগছেন, তাদের জন্য আসান করে দিন, দ্রুত মুক্ত করে দিন।

আমীন সুম্মা আমীন।
....

আপনার প্রোফাইলে আপনার পরিচিত অপরিচিত বোনদের সহযোগিতা করার জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্মৃদ্ধ পোস্টটি কপি অথবা শেয়ার করে সদকায়ে জারিয়া তে শরিক হতে পারেন।

সারাহ বিনতে মোহাম্মাদ

07/04/2021

একটা সময় পরে গিয়ে মানুষ আসলে সুন্দরী মেয়ে কিংবা বড়োলোক ছেলে আর খোঁজে না, বরং গাছের মতন ধীর-স্থির-দায়িত্বশীল একজন মানুষ খোঁজে, যার ছায়ায় আশ্রয় নেওয়া যায়।

যে প্লেবয় ছেলেটি তেরোটা গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ঘোরে, সে-ও দিনশেষে বিছানায় শরীর এলিয়ে দিতে দিতে একজন বিশ্বস্ত মানুষ চায়। যে মেয়েটি পোশাকের মতো দুদিন পর পর বয়ফ্রেন্ড চেইন্জ করে, সে-ও একসময় ক্লান্ত হয়ে মনে মনে খুব করে স্থায়ী কাউকে চায়।

পুরুষ চায়, এমন কোনও নারী তার জীবনে সেইফ-হোম কিংবা কমফোর্ট-হোম হয়ে আসুক, যাকে সে সবটা দিয়ে বিশ্বাস করতে পারবে, যে তার বাউন্ডুলে জীবনটাকে একটু গুছিয়ে দেবে।

নারীও চায়, জীবনে এমন কেউ আসুক, যে মানুষটি তার জীবনে গাছের মতন শেকড় গেড়ে থেকে যাবে, যে তার এলোমেলো জীবনটাকে সাজিয়ে দেবে।

দিনশেষে মানুষ থিতু হতে চায়।

পুরুষ চায় স্বস্তি, মায়ের মতো স্নেহ। নারী চায় ভরসা, বাবার মতো ছায়া।

প্রেম, ভালোবাসা কিংবা যৌনতা সবই মিলে, প্রায়ই কেবল বিশ্বাস বা ভরসাটা আর মিলে না। এক বালতি দুধে একফোঁটা লেবুর রসের মতো গণ্ডগোলটা ঠিক এখানেই বেধে যায়, এখানেই হিসেবের খাতায় গরমিলটা হয়ে যায়। এখান থেকেই হয়ে যায় একাকিত্ব আর শূন্যতার সূত্রপাত।

এজন্যই ডজনে ডজনে বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড থাকার পরেও কেউ কেউ ভীষণ রকমের শূন্য, আবার কেউ কেউ স্রেফ একজন মানুষ নিয়েও শতভাগ, কানায় কানায় পরিপূর্ণ। আবার কেউবা জীবনে সঠিক মানুষটি ঠিকই আসবে, তার অপেক্ষায় বছরের পর বছর একা একা কাটিয়ে দেয়।

জীবন একদিকে দেয়, আরেক দিকে কেড়েও নেয়। যোগে বিয়োগে হিসেব অবশ্য মিলেই যায়।
Cltd

05/04/2021

প্রত্যেক স্ত্রীই চায় তার স্বামী তাকে একান্তভাবে ভালোবাসুক ৷ কিন্তু ভালোবাসার জন্যে স্ত্রীরা সাধারণত মুখ খোলে না ৷ সেজন্যে স্বামীর ওপর একটা গুরু দায়িত্ব অর্পিত হয় স্ত্রীকে আবিস্কার করার ৷ প্রতিটি মানুষেরই ব্যক্তিগত ভালো লাগা, মন্দ লাগার ব্যাপার থাকে ৷ স্ত্রীর প্রিয় বিষয়গুলোকে অর্থাৎ সে কী পছন্দ করে, কী অপছন্দ করে-সে বিষয়গুলো মনোযোগের সাথে লক্ষ্য করতে হবে ৷ তার চাওয়া-পাওয়ার ব্যাপারগুলোর প্রতিও একইভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে ৷ এগুলো আবিষ্কার করার পর ন্যায় সঙ্গত চাওয়া-পাওয়া ও অধিকারগুলো পূরণের ব্যাপারে আন্তরিক হতে হবে ৷ স্বামী তার আচার-আচরণ, ভাবভঙ্গী দিয়ে স্ত্রীকে যদি বোঝাতে পারে তাহলে স্বামীর প্রতি স্ত্রীও আকৃষ্ট হবে এবং সেও তার ভালোবাসা উজাড় করে দেবে ৷ আর স্বামীকে যদি তার স্ত্রী ভালোবাসে তাহলে তার সংসার গোছাতেও আন্তরিক হবে ৷ নারী জাতি স্বভাবতই স্নেহ, আদর, ভালোবাসা প্রত্যাশা করে৷ যতোই সে স্নেহ আর আদর পায়, ততোই সে সুন্দর হয়ে ওঠে ৷ নারী এমন এক আবেগপ্রবণ চরিত্র যে, স্নেহ আর আদর পাওয়ার জন্যে এবং সবার প্রিয়পাত্র হয়ে ওঠার জন্য সে অনেক কিছু ত্যাগ করতেও দ্বিধা করে না ৷ ছোট বেলা থেকে যে মেয়েটি বাবা-মায়ের আদর-স্নেহ পেয়ে বড়ো হলো, সে মেয়েটি যখন বিয়ে করে স্বামীর কাছে আসে তখন স্বাভাবিকভাবেই সে চায় স্নেহ ভালোবাসার সকল আকাঙ্ক্ষা তার কাছ থেকেই পূরণ করতে ৷ বাবা-মা, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে এতোদিন যতো ভালোবাসা পেয়েছিল সে, স্ত্রী হয়ে স্বামীর কাছে যাবার পর স্বামীর কাছ থেকেই তা পেতে চায় ৷ ফলে কতবেশী পরিমাণ ভালোবাসা একজন স্ত্রী তার স্বামীর কাছে প্রত্যাশা করে তা একবার ভেবে দেখুন ৷ আর স্ত্রীর তা প্রাপ্য, কারণ স্ত্রী তার নিকটজনদের ছেড়ে একমাত্র স্বামীর কাছে চূড়ান্ত আস্থা নিয়ে এসেছে ৷ তার এই ত্যাগকে শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে দেখা খুবই জরুরী ৷

রাসুল (সাঃ) বলেন
‘তোমাদের মাঝে সর্বোত্তম নারী তারাই যারা প্রেম-ভালবাসা ‎ও অনুরাগের অধিকারিনী"

01/04/2021

হায়েজ/পিরিয়ড অবস্থায় বিয়ে বা আকদ করা যাবে?
উত্তর : বিয়ে কবুলের ৩টি শর্তের মধ্যে এমন কোন বিষয় নেই যে পাত্রীর পবিত্রতা / পিরিয়ড অবস্থায় না থাকা বাধ্যতামূলক
আকদ হলে বিয়ে হয়ে যায়, এরপর সহবাস থেকে বিরত থাকলেই হবে
---------------------------------------------------------------------
বিয়ের আকদ কনের পবিত্র অবস্থায় হতে হবে, এমন কোনো শর্ত শরীয়তে নেই। সুতরাং পিরিয়ডের মধ্যেও বিয়ের আকদ হতে পারে। কিন্তু পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত দৈহিক স্বামীসংগ জায়েজ হবে না। একসাথে চলাফেরা ও জীবন যাপন হতে পারে। যেহেতু নতুন বর কনে পরস্পরের প্রতি খুবই আগ্রহী থাকে এবং নিষিদ্ধ সময়ে স্বামীসংগের মত গুনাহের কাজ সংঘটিত হওয়ার আশংকা থাকে, তাই মুরব্বীরা পবিত্র অবস্থায় বিয়ের তারিখ ফেলে থাকেন। যেমনটি আমাদের দেশে রমজানের ইমিডিয়েট আগে বিয়ে শাদী না করানোর সময়ও যুক্তি হিসাবে বিবেচনা করা হয় যে, নতুন বর কনে অসাবধানতা বশত রোজা ভেঙ্গে ফেলতে পারে। যার ক্ষতিপূরণ খুবই কঠিন। একাধারে ৬০ টি রোজা পালন। মূলত রমজান সামনে রেখে বা রমজানের ভেতরেও বিবাহ শাদী নিষিদ্ধ নয়। তেমনিভাবে আপনার বর্ণনা মতো, ঘটনাক্রমে কনের পিরিয়ড শুরু হয়ে গেলে আকদে কোনো সমস্যা থাকে না। এসময় বিয়ে যেমন শুদ্ধ হয়, কনেকে তুলে নেওয়া, একসাথে চলাফেরা ও জীবন যাপন সবই শুদ্ধ হয়। কেবল দৈহিক সম্পর্কটি পবিত্রতার অপেক্ষায় এড়িয়ে চলতে হয়।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী

29/03/2021

জিনের সাথে মানুষের শারীরিক সম্পর্ক হওয়া সম্ভব কি?
‘'সেখানে রয়েছে আনত নয়না রমণীগণ, যাদেরকে তাদের পূর্বে কোন মানুষ বা জিন স্পর্শ করেনি’'-
(সূরা রহমানের ৫৬ আয়াত)
ইবনুল জাওযী (রহঃ) এর ব্যাখ্যায় বলেন, এই আয়াতে দলীল রয়েছে যে, জিনের সাথে মানুষের এবং মানুষের সাথে জিনের শারীরিক মিলন সম্ভব
(যাদুল মাসীর ৪/২১৪)।
তবে এটি দুই অবস্থায় হতে পারে।
👉(১) ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে ।
👉(২) জাগ্রত অবস্থায় অনুভবের মাধ্যমে।
আর মানুষের সাথে জিনের মিলন সম্ভব বলেই রাসূল (সাঃ),স্বামী-স্ত্রীর মিলনের পূর্বে পঠিতব্য দো‘আ শিখিয়ে দিয়েছেন
" আল্লাহুম্মা জান্নিবনিশ শায়তানা ওয়া জান্নিবিশ শায়তানা মা রাযাক্বতানা"
(বুখারী হা/৫১৬৫; ফাৎহুল বারী, উক্ত হাদীছের আলোচনা ৯/২২৯ পৃ.)

17/03/2021

আমি যদি আমার বউকে বলি- "আমি তোমার জন্য ৭ জন দাসী আনবো, যে তোমার সব কাজ করে দিবে। তুমি রাজরানীর মতো আমার বউ হিসেবে থাকবা।"
এই কথা শুনে বউ খুশি হবে নাকি রাগ করবে? অবশ্যই খুশি হবে, তাই না?
কিন্তু আমাদের দেশের মেয়েরা "জান্নাতি হুর" বলতেই এত হিংসা করে কেন? হুরের কথা বললে তাদের জ্বলে কেন? তারা কেন মানতে চায় না, তার স্বামী জান্নাতে গেলে ৭২টা জান্নাতী হুর পাবে? অনেকেই আবার এটা নিয়ে হাসিঠাট্টাও করে! কিন্তু কেন?
কারণ হলো, আমাদের দেশের অধিকাংশ মেয়েদের কাছে এই "জান্নাতী হুর" নিয়ে বেশকিছু ভুল ধারনা আছে। শুধু মেয়েদেরই না, ছেলেদেরও অনেক ভুল ধারনা আছে।
প্রথমত, জান্নাতী হুরেরা আপনার (মেয়েদের) স্বামীর বউ হিসেবে নয় বরং আপনাদের (স্বামী-স্ত্রী) দাসী হিসেবে তারা কর্মরত থাকবে। আপনারা হবেন জান্নাতের রাজা-রানী। আপনাদের সার্বক্ষণিক সেবায় নিয়জিত থাকবে সেই সব হুরেরা। অতএব এটা নিয়ে টেনশন না করে স্বামীর সেবাযত্ন করুন, আমল করুন। কারণ দুজনই যদি জান্নাতে না যেতে পারেন তাহলে একসাথে থাকবেন কীভাবে? তাই জান্নাতে কীভাবে যাওয়া যায, আগে সেই চিন্তা করেন এবং আল্লাহ ও রাসূল সা. এর দেখানো পথে চলার চেষ্টা করেন।
দ্বিতীয়ত, আমরা সবাই জানি জান্নাতী হুরেরা অনেক সুন্দর হবে, এটা হবে, ওটা হবে! এ কারণে আপুদের হিংসা লাগে তাই না? কিন্তু আপনার জ্ঞানার্থে বলছি, আপনি ওই হুরদের থেকেও আরো সত্তর গুণ বেশি সুন্দরী হবেন। আর হুরেরা যাই হোক না কেন, জান্নাতে আপনার স্বামীর নিকট আপনার চেয়ে মহামূল্যবান ও প্রিয় বলতে আর কিছুই থাকবে না।
অতএব জান্নাতী হুরদের নিয়ে টেনশন না করে নিজের জান্নাতের টিকিট কনফার্ম করার টেনশন করেন। আর ভাইয়েরা, আপনারাও নিজেদের এমনভাবে গড়ে তুলেন যেন নিজেও জান্নাতে যেতে পারেন এবং নিজের বউকে এমনভাবে কন্ট্রোল করুন যেন সেও জান্নাতে পারে। এমন কিছু করবেন না, যাতে বউই আপনার জাহান্নামের কারণ হয়ে দাঁড়ায়!
~ Farjul Islam Ovoy

25/02/2021

আপনি যদি বুঝতে চান বিয়ে আসলে কী? তাহলে কী করবেন?
ভাইদের জন্য - আপনার পিতাকে দেখুন। তিনি কতোটা মেহনতের মাধ্যমে সংসার টিকিয়ে রেখেছেন।
বোন - আপনি আপনার আম্মাকে দেখুন। তিনি কতোটা ত্যাগের মাধ্যমে সংসারের দায়িত্বগুলো পালন করে চলেছেন।
~ রুকাইয়া মাবরুরা

23/02/2021

যা দেখলাম পাত্র বা পাত্রী পক্ষের রিকোয়ার্মেন্ট অনুযায়ী বর্তমানে ঢাকা শহরে বিয়া করতে কিছু স্টান্ডার্ড ‘যোগ্যতা’ থাকা জুরুরী।
কর্মের স্টান্ডার্ডঃ
ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার পাত্রের মার্কেট সব সময় হট। সরকারী জবে ফার্স্টক্লাস অফিসার হতে হবে। প্রাইভেট জবের মধ্যে ব্যাংকার বা মোবাইল কোম্পানীকে গনায় ধরা হয়, বাকি গুলা কোন জবের ভিত্রে পড়ে না!!
প্রবাস বলতে ইউরোপ আম্রিকা অস্ট্রেলিয়া.. মিডিলিস্ট গনার বাহিরে 🙂🙂

আর ব্যাবসার ক্ষেত্রে ‘বিজনেস ম্যান’ হতে হবে মানে ইন্ডাস্ট্রি, এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট ব্যাবসায়ী হতে হবে। এর বাহিরে নিজে নিজে যা কইরা যত টাকাই কামান আপনে ‘দোকানদার’। বিয়ার মার্কেটে ‘দোকানদারী’ কোন কর্মের ভিত্রে পড়ে না!! 🤔
মেয়ে কি করে এইটা নরমালী জিগানো হয় না। কিছু করলে খারাপ না, আর না করলে শোকর আলহামদুলিল্লাহ।
পড়াশুনার স্টান্ডার্ডঃ
অবশ্যই ঢাকা ভার্সিটির গ্রেজুয়েট হতে হবে।
এর বাহিরে কনে পক্ষের দয়া হইলে অন্যান্য পাব্লিক ভার্সিটি এলাও করলেও করতে পারে।
প্রাইভেটের মধ্যে খুব বেশি হইলে NSU, AIUB, EWU, IUB, ব্রাক এদ্দুর পর্যন্ত পড়াশুনা জায়েজ আছে। (সাইন্সের ডিমান্ড সব সময় বেশি তাই আলাদা ভাবে কইলাম না)
বাকি অন্য যেখান থেকেই পড়েন বিয়ার বাজারে আপনে অশিক্ষিত।
আর জাতীয় ভার্সিটিতে কেউ পইড়া থাকলে ভূলেও কইতে যাইয়েন না, গুষ্টির শিক্ষার স্টান্ডার্ড লইয়া টান খাইবেন 😊😊
ফ্যামেলি স্টাটাসঃ
পাত্র-পাত্রীর পরিবারে বাপ-মা-ভাই-বোন-মামা-চাচাদের একেক জনেকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, মেজর, প্রফেসার, ব্যাংকার, সচিব হতে হবে। তা না হলে আপনি ক্লাসলেস ফ্যামেলির।
সম্পত্তির স্টান্ডার্ডঃ
ঢাকায় অবশ্যই বাড়ী থাকতে হবে। গাড়ী থাকাটা খুব বেশি ইম্পর্টেন্ট না, তবে থাকলে অন্যদের চেয়ে রেসে আপনি আগায় থাকবেন।
আর ভাড়াটিয়া পোলাপাইনেগো বিয়ার নাম লইতে নাই!! :😋😋
কাবিন স্টান্ডার্ডঃ
বর্তমানে কাবিনের স্টান্ডার্ড রেট ১০-১৫ লাখ!! এর নিচে হইলে ইজ্জত থাকে না।
পাত্রী পক্ষের ময় মুরুব্বি যেমনে ’১০-১৫ লাখের নিচে মাইয়া দিমুই’ না কইয়া খুটি গাইড়া বইসা থাকে মাঝে মধ্যে কনফিউসড হইয়া যাই ওয় কি মাইয়ায় বিয়া দিতে চায় না লাখ টাকা বিনিময়ে মাইয়া লিজ দিতে চায়!!??
চেহারা ছুরত স্টান্ডার্ডঃ
মেয়েদের ক্ষেত্রে মেকাপ দিয়া হইলেও তাকে অবশ্যই ফর্সাআআআআআআআ সুন্দ্রী হতে হবে। শ্যামলা বা কালা মাইয়াগো বিয়ার বাজারে পাড়া দেয়া নাজায়েজ 😊😊
ছেলেদের ক্ষেত্রে চেহারা ছুরত ভালো হইতে হবে এমন কোন বাধ্য বাধকতা নাই। পাত্রের চেহারা না টাকায় কথা কয়। উপরের রিকোয়ার্মেন্ট ফুলফিল করতে পারলে ভস্কাইন্না চেহারাও নূরানী দৃষ্টিতে দেখা হয়।
স্বভাব চরিত্র স্টান্ডার্ডঃ
নরমালী ছেলে যত হারামী হোক মেয়েকে পরহেজগার, নামাজী, পর্দানশীল হতে হবে। আর ছেলে যদি উপরের রিকোয়ারমেন্ট ফুলফিল করে তাহলে সে যত বড় টাউডিই হোক তাকে ‘সোনার টুকরা’ ছেলে হিসাবে গণ্য করা হবে। 😂😂
পছন্দ স্টান্ডার্ড:
যেহেতু লাভ মেরিজের ট্রেন্ড চলতেছে তাই বাসা বাড়িতে এখন বিয়ের পাত্র পাত্রী দেখার আগে ছেলে মেয়েকে জিজ্ঞাস করা হয় তার কোন পছন্দ আছে কিনা?
যদি শুনে পছন্দ আছে তাহলে সেই পছন্দের মানুষকে বাদ দিয়ে তামাম দুনিয়ার যে কারো সাথে বিয়ে দিতে গার্জিয়ানেরা বদ্ধপরিকর থাকবে!! 😑😑

সো ফেব্রুয়ারী মাস আইলেই এইডে, ঐডে এর পিছে টাকা আর সময় নষ্ট করার আগে ভালোমত হিসাব কইরা দেখেন যার পিছে ঘুরতাছেন হের কাছে নিজের মার্কেট ডিমান্ড কত? যতই কন হিসাব কইরা ভালোবাসা যায়না কিন্তু একটা টাইমে দেখবেন ঠিকি ক্যাল্কুলেটার নিয়া হিসাবে বসতে হইছে।
শেষে যাইয়া ‘তুমি অনেক ভালো মানুষ, তুমি আমার চেয়ে অনেক ভালো কাউকে ডিজার্ভ করো’ এই পুরান টেপ রেকর্ডার যেন বাজানির না লাগে 😑
(Coll)

13/02/2021

বিসমিল্লাহ

কাকে বিয়ে করবেন?

চলুন একটা চমৎকার হিসেবের মাধ্যমে জেনে নিই।

আমাদের মহানবী (সাঃ) শিখিয়েছেন,“যখন কেউ আপনার মেয়ের জন্য প্রপোজাল নিয়ে আসে,এবং তার ভালো দ্বীন আছে,ভালো চরিত্র আছে,তাহলে আপনার মেয়েকে তার সাথেই বিয়ে দিন।তবে হ্যাঁ,অবশ্যই আপনার মেয়ের ইচ্ছে থাকতে হবে।”

যদি আপনার মেয়ের ইচ্ছে থাকে, তাহলে বিয়ে দিন।যদি সে অনিচ্ছুক হয়,তাহলে তার মতামতকে প্রাধান্য দিন।সুতরাং বিয়ের ক্ষেত্রে দ্বীন এবং উত্তম চরিত্র খুঁজুন,যতক্ষণ কারোর দ্বীন এবং উত্তম চরিত্র থাকবে,ততক্ষণ সেখানে বারাকাহ থাকবে৷
""দ্যাটস দ্য হাদিস""

যদি কারোর দ্বীন এবং আখলাক থাকে,তাকে ১ পয়েন্ট দিন।
তার জন্য লিখুন ১
যদি সে সুদর্শন হয়,তাহলে ১ এর ডান পাশে একটা জিরো দিন।কত হলো?১০......
এবার যদি তার সম্পদ থাকে,তাকে আরো একটা জিরো দিন ১ এর পাশে।কত হলো?১০০।
যদি ভালো বংশের হয়,তাহলে আরো একটা জিরো।টোটাল হলো ১০০০।

এবার যদি তার আরো বাড়তি পজিটিভ সাইড থাকে,সবকিছুর জন্য একটা করে জিরো বাড়ান।কিন্তু দ্বীন এবং আখলাকের জন্য কত দিয়েছিলেন?১ নম্বর।

এখন যদি কারোর দ্বীন এবং আখলাকই না থাকে,তাহলে ১টাই মুছে ফেলুন।

কী থাকলো তার আর? =জিরো!!!

তার কিছুই থাকলো না।

এভাবেই আমাদের মুসলিমদের সঙ্গী নির্বাচন করা উচিত।

গুড লুকিং?মাশাআল্লাহ! বংশ আছে?আলহামদুলিল্লাহ! সম্পদশালী?আলহামদুলিল্লাহ!
আরো কিছু?আলহামদুলিল্লাহ!

কিন্তু যদি তার দ্বীন এবং আখলাকই না থাকে,তাহলে তার কিছুই নেই।

শুধু শুধু তার জন্য সময় নষ্ট করছেন।
আপনি এই সম্পর্কে হতাশ হবেন।

আপনি সঙ্গী নির্বাচনে তার মাঝে যে কোনো কিছু খুঁজুন,সমস্যা নেই।কিন্তু একটা বিষয়ের সাথে কখনো কম্প্রোমাইজ করবেন না।সেটা হচ্ছে_

“দ্বীন এবং আখলাক”
____________________
_________________
_____________
মূল লেকচারঃমুফতি ইসমাইল মেঙ্ক
অনুবাদঃমাহবুবা শাওলীন স্বপ্নীল

কপি

Address

Mirpur Dhaka
Dhaka
1216

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when অনলাইন পাত্র পাত্রী বিজ্ঞাপন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to অনলাইন পাত্র পাত্রী বিজ্ঞাপন:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram