Dr Syed Kamrul Huda

Dr Syed Kamrul Huda Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Dr Syed Kamrul Huda, Doctor, Dhaka.

16/10/2023
31/07/2023

টাইপ টু ডায়বেটিসে আক্রান্ত হবার পর আমরা অনেকেই মনে করি, আমার বাবার ডায়বেটিস, আমার চাচার ডায়বেটিস, মায়ের ডায়বেটিস, আত্মীয় স্বজন সবারই ডায়বেটিস।

তার মানে, সম্ভবত আমি বংশগতভাবে ডায়বেটিসটা পেয়েছি।

খেয়াল করলে দেখবেন, আপনার আগের জেনারেশনে ডায়বেটিস শুরু হয়েছিল চল্লিশ-পয়তাল্লিশের পর। তার আগের জেনারেশন, অর্থাৎ নানা-দাদাদের জেনারেশনে ডায়বেটিস শুরু হয়েছিল দেখবেন ৫৫-৬৫ বছর বয়সের দিকে।

এর আগের জেনারেশনে একটু খোজ খবর নিলে দেখবেন ডায়বেটিস ছিল কিনা মানুষ বুঝতো না বা জানতো না। কিন্তু আমেরিকান-ব্রিটিশ হেলথ সিস্টেমের ডেটা থেকে আমরা বুঝতে পারি, টাইপ টু ডায়বেটিস ১৯৬০ সালের আগে খুব অল্প মানুষেরই হত।

তাই আমার কাছে মনে হয়, ডায়বেটিসের জিনেটিক রুট খোজাটা আসলে বৃথা চিন্তা। একশো বছর না, মাত্র ৫০ বছর আগে গেলেও ডায়বেটিস ১% মানুষের মধ্যেও পাওয়া যাবে না।

এবার আসুন একটু মাথা খাটাই।

আপনার দাদা কোন চাল খেতেন?? বাদামী চাল, মোস্টলি, ফুল ফাইবার। গাড়ি, রিকশা, টেম্পু খুব একটা এভেইলেবল ছিল না। তারা হাটতেন বা সাইকেলে চড়তেন।

আপনার বাবা-চাচাদের ছেলেবেলাও এভাবেই কেটেছে। আমরা একটু খোজ করলে দেখবো, বয়স ৩০ হবার আগে মিলে ভাঙ্গানো চাল তারা খেতে পান নি। দিনে ১০-১২ কিলো এমনিতেই হাটা পড়তো সবার।

১৯৯০ সালের আগে গ্রামগুলতে বিদ্যুৎ পৌছায় নি। সবাই ঘুমাতো ৭-৮ টার মধ্যেই। শহরেও রাত ৯টার পর ঘুমিয়ে পড়তো অনেক মানুষ।

তখন অধিকাংশ পরিবারের রান্না হত মূলত দুবেলার জন্য, সকাল আর দুপুর। দুপুরের খাবার পর যা বেচে যেত, তা দিয়ে সাধারনত রাতের খাবার সেরে ফেলা হত, এশার নামাযের পরপর।

সব মিলিয়ে, দিনে ১২ ঘন্টা চলতো ইটিং পিরিয়ড, আর ১২ ঘন্টা ফাস্টিং।

২০০০ সালের পর হিসাবটা বদলে গেল। মানুষ রাত জাগতে শুরু করলো, হাটতে ভুলে গেল।

২০১০ সালের পর আমরা চলে এলাম নতুন বাস্তবতায়, ওয়াইফাই-মোবাইল ডাটার সুবাদে আমরা অনেকেই এখন ঘুমাই রাত ৩টায়, দিনের প্রথম মিল হয় সকাল ৯টায়, শেষ মিল হয় রাত ১টায়।

খেয়াল করবেন, এই যে আনন্যাচারাল লাইফস্টাইল, এটা আপনার দাদার চেয়ে আপনার বাবার বেশি ছিল, তারচেয়ে আপনার ছিল আরো বেশি, আপনার সন্তানের হচ্ছে আরো বেশি।

এবার মিলান।

দেখা যাবে, আপনার দাদার জেনারেশনে ডায়বেটিস ছিল ষাটের পর, বাবার জেনারেশনে পয়তাল্লিশের পর, আপনার জেনারেশনে ৩০ এর পর এবং এখন আমরা পাচ্ছি আমাদের পরের জেনারেশনে ১৫ থেকেই অনেকের ডায়বেটিস।

আমাদের চাল বদলাতে হবে।
রেস্টুরেন্ট-ফুড পান্ডা-উবার ইটস ব্যবহার সীমিত করতে হবে।
রাত জাগা কমাতে হবে।
অল্প দুরত্বগুলোতে হাটার অভ্যাস করতে হবে এবং সপ্তাহে অন্তত দুদিন লম্বা দুরত্ব হাটতে হবে।

টাইপ টু ডায়বেটিস একটা লাইফস্টাইল ডিজিজ। কিন্তু আমাদের অসচেতনতা এটাকে হয়তো কোন একসময় জিনেটিক ডিজিজে রুপ দেবে।


ঝামেলাটা শুরু হয় আসলে ডায়বেটিসের লক্ষন দেখা দেয়ার অনেক আগে থেকে। ৫-১৭ বছর আগে থেকে। অবাক করা হলেও এটাই সত্যি।বাস্তবতা হচ...
25/02/2023

ঝামেলাটা শুরু হয় আসলে ডায়বেটিসের লক্ষন দেখা দেয়ার অনেক আগে থেকে। ৫-১৭ বছর আগে থেকে। অবাক করা হলেও এটাই সত্যি।

বাস্তবতা হচ্ছে, আমাদের শরীর সারাবছর খাওয়ার জন্য উপযোগী না। আমরা বছরে ২-৩ মাস প্রচুর খাওয়া, ৪-৬ মাস আধপেটা খাওয়া আর বাকি ৩-৬ মাস দিনে একবার কোনমতে খাওয়ার মত শরীরের উপযোগী।

আমাদের লিভার গরু-মোষ বা ভালুকের লিভারের মত বিশাল না, আমাদের শরীরে অনেক বেশি এডিপোসাইটও নাই।

এটা আমাদের প্রতি স্রষ্টার সুস্পষ্ট বার্তা, সারাবছর তিনবেলা খাওয়ার জন্য আমাদের তৈরি করা হয় নাই।

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং টেকনিকটার মূল কথাই এটা।

এখন থেকে পঞ্চাশ বছর আগেও বাংলাদেশে চৈত্র-বৈশাখ এবং আশ্বিন-কার্তিক মাস ছিল অভাবের সময়। অধিকাংশ মানুষ এসময়টা দিনে দুবেলা খেতে পেত না।
তখন জমিতে ফসল হত না বিষয়টা তেমন না, সমস্যাটা ছিল ফসল সংরক্ষণ, মজুদকরন, বাজারজাতকরন, ও পরিবহনের।

আধুনিক যুগে এই প্রতিটা সমস্যা সমাধান হয়ে যাওয়াতে, এবং এখনকার প্রায় উপচেপড়া কৃষি উৎপাদনের যুগে আমাদের তাই না খেয়ে থাকার কোন সুযোগ হয় না। কিন্তু আমাদের শরীরের গঠন রয়ে গেছে সেই না খেয়ে থাকার মতই।

ফলে, আমরা শরীরে বাড়তি গ্লুকোজ জমাতে শুরু করি। সেই গ্লুকোজ ওভারলোড হয়ে শুরু হয় ফ্যাট জমা, এবং সেখান থেকে ধাপে ধাপে লিভার ও প্যানক্রিয়াসে ফ্যাট জমেই শুরু হয় ডায়বেটিস।

মূল প্রক্রিয়া দীর্ঘ ও জটিল, এখানে সাধারনের সুবিধার্থে সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করা হয়েছে।

ডায়বেটিস থেকে যদি নিরাপদ থাকতে চান, ফাস্টিং ও এক্সারসাইজ হল আপনার জন্য চিপেস্ট মিরাকল।

26/01/2023

আঠারো বছরের টগবগে তরুণ। দেখতে প্রচন্ড রকম সুশ্রী। হাসপাতালে আসলো অজ্ঞান অবস্থায়। সাথে জ্বর আর প্রচন্ড শ্বাস কষ্ট। গতকাল থেকে পাতলা পায়খানা। কয়েকবার খিঁচুনিও হয়েছে। কাছে গিয়ে দেখলাম ঘাড় শক্ত হয়ে আছে। পা ও ফুসফুস পরীক্ষা করে আশঙ্কায় বুকটা কেঁপে ওঠলো। নিশ্চিত হবার জন্য রোগীর ভাইয়ের কাছে জানতে চাইলাম বিগত ১৫-২০ দিনের মধ্যে কাঁচা খেজুরের রস খেয়েছিলো কিনা।

আশঙ্কাই সত্যি হলো। রোগী তার বন্ধুদের সাথে মিলে কাঁচা খেজুর রস খাবার পার্টি করেছে। পার্টি শেষে আবার বাসার সবার জন্য দুই বোতল ভরে কাঁচা রস নিয়ে এসেছে। সবগুলো লক্ষণ ও ইতিহাস মিলালে একটাই রোগ মাথায় আসে- নিপাহ্ এনকেফালাইটিস! প্রাণঘাতী রোগ। বই পুস্তকে লেখা মৃত্যুর হার ৭১%। অর্থাৎ প্রতি ১০০ জন নিপাহ্ এনকেফালাইটিস রোগীর ৭১ জনই মারা যায়। কিন্তু আমার পর্যবেক্ষণ বলে আমাদের দেশে এই রোগের মৃত্যর হার শতভাগ। অর্থাৎ এ রোগে আক্রান্ত হলে মৃত্যু অনেকটা অনিবার্য।

এ রোগ ছড়ায় বাদুর খাওয়া কাঁচা খেজুরের রস বা বাদুর খাওয়া ফল খেলে। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে এ ভয়াবহ প্রাণঘাতী রোগটা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শ থেকেও ছড়ায়। ২০১০ সালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিপাহ্ রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে একজন ইন্টার্নি চিকিৎসক নিজে আক্রান্ত হন এবং পরে মৃত্যুবরণ করেন।

আমাদের ১৮ বছরের টগবগে তরুণটাও হাসপাতালে আসার আধা ঘন্টার মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন। আর সে সাথে এই রোগীর চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে রোগীর সংস্পর্শে আসায় আমি সহ দুই জন ইন্টার্নি চিকিৎসক এখন বিপদ সীমায় আছি। কে জানে হয়তো বেখেয়াল বাঙ্গালীর কাঁচা খেজুরের রস খাওয়ার খায়েসের খেসারত দিতে হবে আমাদের জীবন দিয়ে।

*আপডেটঃ আইডিসিআর এ পাঠানো রোগীর রক্তের নমুনায় নিপাহ্ ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

© এস এম মাসুদ হাসান

Address

Dhaka

Telephone

+8801742543677

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr Syed Kamrul Huda posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr Syed Kamrul Huda:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category