শিশু ও নবজাতকের স্বাস্থ্য পরামর্শ

  • Home
  • Bangladesh
  • Dhaka
  • শিশু ও নবজাতকের স্বাস্থ্য পরামর্শ

শিশু ও নবজাতকের স্বাস্থ্য পরামর্শ A page about your child's health and well-being from a child physician.

নবজাত থেকে বার বছরের শিশু: কীভাবে বড় করব?বাদল সৈয়দ ১। ভুলেও শিশুর সামনে মোবাইলে ভিডিও দেখবেন না। তাকেও দেখাবেন না। আজকাল...
30/09/2025

নবজাত থেকে বার বছরের শিশু: কীভাবে বড় করব?

বাদল সৈয়দ

১। ভুলেও শিশুর সামনে মোবাইলে ভিডিও দেখবেন না। তাকেও দেখাবেন না। আজকাল দেখি এক-দুই বছরের শিশুরাও মোবাইলে ভিডিও দেখা ছাড়া খেতে চায় না। এটার অভ্যাস হলে তাদের মস্তিষ্ক বিকাশে যেমন সমস্যা হয়, ঠিক তেমনি কথা বলতে শিখতে দেরি হয়।একইভাবে টিভি বা কম্পিউটার মনিটরেও তাদের ভিডিও দেখার অভ্যাস করবেন না। কান্না বন্ধ করা, খাওয়ানো ইত্যাদি কারণে আমরা ভিডিওয়ের আশ্রয় নিয়ে তাদের বরবাদ করে দিচ্ছি। যারা এ ফাঁদে পা দিয়েছেন তারা চরমভাবে ভুগছেন।

২। যতদিন সম্ভব ওকে বুকে নিয়ে ঘুমান। এতে যে বন্ধন তৈরি হয় তা আজীবন থাকে। মা-বাবার বুকের সুগন্ধ স্বর্গীয়।

৩। ঘুমানোর সময় ওকে ছড়া বা গান শুনান। এটা করলে ওর কল্পনা শক্তি বাড়বে, নতুন শব্দ শিখবে, স্মৃতি শক্তি বাড়বে। সবচে বড় কথা, এটি তার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্মৃতি হয়ে থাকবে। সে স্মৃতি তাকে উপহার দিন।

৪। এমনকি বাচ্চারা যখন অক্ষর চিনে না তখন থেকেই তার চারপাশে বই ছড়িয়ে রাখুন। বিশেষ করে ছবির বই। এতে তার কল্পনার জগত বড় হবে। পড়ার প্রতি আগ্রহ জন্মাবে। সবচে বড় কথা বইয়ের প্রতি যে ভালোবাসা জন্মাবে তা সারাজীবন তার কাজে লাগবে। বইয়ের মতো 'আলো' পৃথিবীতে আর নেই।

৫। পারতপক্ষে ওকে একা রেখে বা গৃহকর্মীর কাছে রেখে কোথাও না যাওয়াই ভালো। বাড়িতে আপনার অবর্তমানে ওকে দেখবে এমন আপন কাউকে রাখুন।কর্মজীবী মা-বাবারা সিসি ক্যামেরা দিয়ে সারাক্ষণ ওর দিকে নজর রাখুন।

৬। শিশুর প্রথম মানসিক বৈকল্য শুরু হয় মা-বাবার ঝগড়া দেখলে। দয়া করে ওর সামনে ঝগড়া, চেঁচামেচি করবেন না। করতেই যদি হয় আড়ালে করুন।

৭। একইভাবে ওদের সামনে কারো সাথেই রাগারাগি করবেন না। এতে শিশুমনে যে ভীতি তৈরি হবে সেটির বৃত্ত থেকে ও কখনোই বের হতে পারবে না।

৮। রুটিন মেনে ওকে খাওয়ান। একেকদিন একেক সময় খাওয়ালে ওদের খাবারের রুটিন নষ্ট হয়। ওরা ক্ষুধামন্দা ও পুষ্টিহীনতায় ভুগে, হজম সমস্যা হয়।

৯।প্রয়োজনীয় টিকাগুলো অবশ্যই দেবেন। ওর স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এগুলো জরুরি।

১০। ওর খেলার ব্যবস্থা করুন। ভারসাম্যপূর্ণ বেড়ে ওঠার জন্য খেলাধুলা জরুরি। বাচ্চাদের ইনডোর খেলার প্রচুর সুযোগ আছে।

১১। স্কুলে যাওয়া শুরু করলে মা-বাবা যেকোনো একজন সাথে যান। ফেরার সময়ও পারলে যান। এসময় পড়ালেখা নিয়ে চাপ দেবেন না। ও খেলতে খেলতে শিখুক। চাপ দিলে পড়া ভীতি তৈরি হবে, যা খুব ক্ষতিকর

১২। দুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস করান। এটা ওর ক্লান্তি দূর করবে।মেজাজ, স্মৃতিশক্তি, কর্মক্ষমতা বাড়াবে।

১৩। এসময় ভুলেও মারবেন না। শাসনের মাধ্যম হবে 'আদর'। বেশি আদর, কম আদর। ও ভুল করলে বা কথা না শুনলে কিছুক্ষণের জন্য কম আদর করুন। দেখবেন ঠিক হয়ে গেছে। মারধোরের এফেক্ট সর্বনাশা।

১৪। একটু বড় হলে (তিন বছরের পর) বাচ্চারা চকোলেট, জাংক ফুড খেতে চায়। কোল্ড ড্রিংক পছন্দ করে। এগুলোর অভ্যাস করাবেন না। শিশু স্বাস্থ্যের জন্য এগুলো।

১৫। রাত জাগতে দেবেন না। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে পাঠান। এসময় নিদ্রাহীনতা ওর শারিরীক ও মানসিক বিকাশকে ঝড়ের গতিতে বাধা দেবে।

আমি দেখতে পাচ্ছি, চমৎকারভাবে সাজানো একটি মঞ্চ। তার সামনে হাজারো দর্শক। তাদের করতালির মাঝে একটি তরুণ বা তরুণীকে দুনিয়ার সেরা মেডলটি পরানো হচ্ছে।
বাচ্চাটি আপনার।
ছবির বাচ্চাটি ক্যান্সারের রুগী। কপাল খারাপ।

এক ভয়ংকর ঘটনা শুনলাম আমার সহকর্মী ডাক্তারের কাছে । একটি আল্ট্রাসনগ্রাম ছবি দেখিয়ে তিনি আমাকে বললেন গতকাল এক মহিলা রুগী...
30/09/2025

এক ভয়ংকর ঘটনা শুনলাম আমার সহকর্মী ডাক্তারের কাছে । একটি আল্ট্রাসনগ্রাম ছবি দেখিয়ে তিনি আমাকে বললেন গতকাল এক মহিলা রুগী এসেছিলেন এক বাচ্চা এবরশন হওয়ার পর ১০ বছর হলো বাচ্চা হয় না । বাচ্চা না হওয়ার কারণে প্রথম সংসার ভেঙ্গে গেছে এবং ২ য় সংসারেরও স্বামী আবার বিয়ে করেছেন । তিনি কারো কাছ থেকে ডা: হোসনে আরা খানম এর নাম শুনে তাঁকে দেখাতে এসেছিলেন । আপু যথারীতি ফিজিক্যাল এক্সামিনেশন করেন এর পর একটি আল্ট্রাসনগ্রাম করে দেখতে পান তার জরায়ুর মাঝে একটি জন্মনিরোধক কপার টি পরানো রয়েছে ।তিনি আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য পিভি করে দেখেন যে কপার টি এর টেল রয়েছে । তিনি রোগীকে বুঝিয়ে হাসপাতাল আসতে বলেন । ডাক্তার যখন রোগীকে জিজ্ঞেস করেন কপার টি কবে পড়েছেন তিনি বলেন আমি কখনও পড়াই নাই । তখন বলেন প্রথম একটি বাচ্চা এবরশন হয়েছিলো সেটা কোথায় হয়েছিলো রোগী বলেন বাড়িতে তবে এর কিছুদিন পর তার প্রথম স্বামী বলেন চলো ভিতরে কোনো ময়লা যেনো না থাকে তাই ওয়াশ করাই । বুঝতে আর বাকি রইলো না ওই সময় তার চালক ধুরন্দর স্বামী কপার টি পরিয়ে নিয়েছেন ওখান থেকে যা তার অজানা ।যথারীতি কপার টি অপসারণ করেন এবং পরবর্তী চিকিৎসা প্রদান করেন । এই ঘটনাটা লিখলাম শুধুমাত্র একজন ভয়ঙ্কর অপরাধীর চিন্তা ভাবনা তুলে ধরার জন্য । আপনার বউকে আপনার পছন্দ না হলে সুন্দর ভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন কিন্তু এভাবে অপবাদ দিয়ে সারাজীবন তাঁকে দোষী করে রাখা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
- সংগৃহীত পোস্ট

30/09/2025

খুবই ভালো মনের চা বিক্রেতা এক চাচা সারা দিন চা বিক্রি করার পর রাতে অবশিষ্ট চা পৌরসভার ড্রেনে ফেলে দিতেন ৷ ঊনাকে বলেছিলাম, চা টা না ফেলে সকালে গরম করে বিক্রি করলেইতো পারেন ৷ তিনি বললেন, বাসি চাতে কালার থাকে না ৷ গরম করলে কালো হয়ে যাবে, সকালে ভালো চা না পেলে দোকানের বদনাম হবে কাস্টমার কমে যাবে ৷ বললাম, তাহলে ঝুট দোকানে যারা নাইট ডিউটি করে তাদের দিলে ওদের রূহ দোয়া করবে, আপনারও সওয়াব হবে ৷ জবাবে তিনি হাসতে হাসতে বললেন, এদেরকে যদি এখন মাগনা চা দেই কাল থেকে এরা কেউ আর আমার দোকানে চা খেতে আসবে না ৷ উল্টো মনে মনে দোয়া করবে যেন দিনে আমার চা বিক্রি কম হয়, যাতে রাতে মাগনা খেতে পারে ৷ লোকটাকে তখন ভীষণ স্বার্থপর মনে হয়েছিলো ৷

ইন্ডিয়ান হজ কমিটির পক্ষ থেকে হাজীদের খাবার পরিবেশনের পার্ট টাইম জব পেয়েছিলাম ৷ দেড়শ হাজীর খাবার আসলে অনায়াসে দুইশ জনের মাঝে বন্টন করা যায় ৷ এক বেলার খাবার অন্য বেলায় দেওয়ার নিয়ম নেই ৷ অতিরিক্ত খাবার ফেলে না দিয়ে হোটেলে কর্মরত দেশী ভাইদের দিতে লাগলাম ৷ শেষের দিন হাজীরা চলে যাবে বিধায় খাবার একটু কম এসেছিল ৷ ভাইদের বললাম, ভাই, আজকে খাবার কম এসেছে ৷ আপনারা হয় অপেক্ষা করেন, না হয় অন্য ব্যবস্থা করেন ৷ এরপরই প্রতিবাদী কন্ঠস্বর, আগে না করলেন না কেন? আপনার হাজীগো লাইগা আমরা বইসা থাকুম? আপনার লাগি কি আমরা পকেটে পয়সা নিয়া বইসা আছি? কাইল কইলেইতো খানা নিয়া আইতাম, ইত্যাদি ইত্যাদি ৷

দূর সম্পর্কের এক ভাইয়ের জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বিয়েতে সমস্যা হচ্ছিল বিধায় আব্বা তাকে কিছু জায়গা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন ৷ যে সময় অনুমতি দিয়েছিলেন সে সময়ে ভাইয়ের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না ৷ সামর্থ্য হওয়ার পর তাকে তিনটা প্রস্তাব দিয়েছিলাম জায়গাটা ক্রয় করতে, না হয় এর বদলে অন্য জায়গা দিতে অথবা ছেড়ে দিতে ৷ তিনি কোনটাতেই রাজি হলেন না ৷

পরিচিত এক সেলুনে চুল কাটানোর পর একশত টাকার একটা নোট দেওয়ার পরেও ভাইটি মুখ বেজার করে রাখতো ৷ অপরিচিত সেলুনে একশ টাকার নোট দেওয়ার পরে ষাট টাকা ফিরিয়ে দিয়েছিল ৷ দশ টাকা বখশিষ দেওয়ার পর তার মুখে খুশির বন্যা বয়ে গিয়েছিল ৷ পরিচিত সেই সেলুন দোকানদার এখন দেখলে বলে, ভাই দেখি আগের মতো নাই ৷ নির্ধারিত ভাড়ার দ্বিগুণ দেওয়ার পরেও পরিচিত অটোওয়ালা ভাইদের মুখ কালো হয়ে থাকে ৷ অপরিচিত অটোওয়ালাদের নির্ধারিত ভাড়া থেকে পাঁচ-দশ টাকা বেশি দিলে খুশিতে চোখমুখ ঝলমল করে উঠে ৷ কেন এমনটা হয়?

অতিরিক্ত পেতে পেতে মানুষ তার ন্যায্য সীমা ভুলে যায় ৷ মনে করে অতিরিক্ত পাওনাটা তার অধিকার ৷ যখনই এই অধিকার বন্ধ করে দেওয়া হয়, তখন মানুষ ভাবে লোকটা কত স্বার্থপর ৷ একবারও নিজের সীমার হিসাব কষে না ৷ এক সময় যেসব ভালো মানুষকে বদলে যেতে দেখে মনে মনে স্বার্থপর ভাবতাম, তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী ৷

কেউ জন্মগতভাবে স্বার্থপর, কেউ অতিরিক্ত পেয়ে স্বার্থপর হয়ে যায়, আবার কেউ নিজের ন্যায্য পাওনা বুঝে নিতে গিয়ে স্বার্থপর হয় ৷ জন্মগত স্বার্থপরদের কখনো বদলানো যায় না ৷ মায়ার বশবর্তী হয়ে আমরা যাদের প্রাপ্য সীমার অতিরিক্ত পূরণ করে স্বার্থপর হিসেবে গড়ে তুলি, তাদের সংশোধন করার দায়িত্ব আমাদেরই ৷ না হয় একদিন তারা আমাদেরই স্বার্থপর হিসেবে চিহ্নিত করবে ৷

©সংগৃহীত*(লেখক এর নাম জানা থাকলে জানাবেন প্লিজ)

29/09/2025

১. বাংলাদেশসহ এই উপমহাদেশীয় অঞ্চলের মানুষের প্রথম হার্ট এটাক হওয়ার বয়স সাধারণত ৫১/৫২ বছর। অথচ ইউরোপ-এমেরিকায় সাধারণত এটি ৬৫ বছরের আশাপাশে গিয়ে হয়।

২. সাধারণ মানুষ তো বটেই হার্টের রোগীরাও ডিম খেতে পারবে। কুসুমসহই খাবে। ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রোটিন, কুসুমে থাকে ভালো ফ্যাট। দুটোই স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী ও প্রয়োজনীয়। তবে পরিমিত মাত্রায় খেতে হবে।

৩. হার্টের রোগীদের গরু ও খাসির মাংস খাওয়া যাবে। তবে অল্প পরিমাণে খেতে বলা হয়। ঝোল যতোটা সম্ভব কম খেতে হবে। অনেকে বলে থাকে, আমি মাংস খাই না, শুধু মাংসের ঝোল দিয়ে রুটি খাই। এটা বরং আরও ক্ষতির কারণ হতে পারে। যে বেলায় রেড মিট খাবে, সে বেলায় চিনি/মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।

৪. হার্টের রোগীদের লবণ পরিমিত মাত্রায় খেতে হবে। রান্নায় কম লবণ ব্যবহার করতে হবে। পাতে আলাদা করে লবণ খাবার অভ্যেস পরিহার করতে হবে। যেসব খাবারে অতিরিক্ত লবণ থাকে যেমন : চিপস, ফাস্ট ফুড ইত্যাদির ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কাঁচা লবণ, পাকা লবণ, ভাজা লবণ, টালা লবণ--সব লবণই ক্ষতিকর।

চিনিকে বলা হয় হোয়াইট পয়জন। এটি যতো কম খাওয়া যাবে ততোই মঙ্গল। অতিরিক্ত ভাত, রুটি, নুডলস, পাস্তা খাবার প্রবণতা কমাতে হবে। এগুলো ডায়াবেটিস ডেকে আনতে পারে।

৫. সেদিন সিসিউতে রাউন্ডে গিয়ে দেখি ২৫, ২৮ ও ৩০ বছর বয়সী ৩ জন পুরুষ একইদিনে গুরুতর হার্ট এটাক নিয়ে শুয়ে আছে। এমন কম বয়সী হার্ট এটাকের রোগী অহরহই পাওয়া যাচ্ছে। এদের না আছে ডায়াবেটিস, না আছে হাই ব্লাড প্রেশার, না আছে রক্তে অত্যধিক কোলেস্টেরল, না অতিরিক্ত ওজন, না অপরিশ্রমী। তাহলে কেন এমন বড়ো হার্ট এটাক? এর মূল কারণ ধূমপান। ধূমপান যে কী ভয়ানক পরিণতি ডেকে আনা তা কল্পনাই করা যায় না।

ধূমপান ছাড়ার কোনো বিকল্প নেই। ধূমপান ছাড়ার দুই বছরের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসে।

৬. এক সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট হাঁটতে হবে।

-তার মানে হচ্ছে কেউ যদি ৩০ মিনিট করে হাঁটে, তবে সপ্তাহে ৫ দিন হাঁটতে হবে।

-১ দিন পরপর হাঁটলে ৫০ মিনিট করে হাঁটতে হবে।

-একসাথে টানা দুদিন বা ৪৮ ঘণ্টা হাঁটা বন্ধ করে দেওয়া যাবে না।

- একনাগাড়ে কমপক্ষে ১০ মিনিট না হাঁটলে সাধারণত সেটাতে কোনো উপকার হয় না।

একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, হাঁটা শুরু করার সাথে সাথেই খুব জোরে হাঁটা শুরু না করতে বলা হয়ে থাকে। কেউ যদি ৩০ মিনিট হাঁটে, তাহলে প্রথম ৫-৭ মিনিট ওয়ার্ম আপ করে নেবে, তারপরের ১৫-২০ মিনিট জোরে জোরে হাঁটবে, আবার তারপরের ৫-৭ মিনিট ধীরে ধীরে গতি কমিয়ে নিয়ে আসবে।

সকালে ঘুম থেকে উঠে শরীরকে এডজাস্ট হবার সময় না দিয়ে সাথেসাথেই হাঁটা শুরু করা যাবে না। এতে হার্ট এটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। সকালের চেয়ে বিকেল/সন্ধ্যায় হাঁটাকে অনেক গবেষণা বেশি উপকারী হিসেবে বিবেচনা করে।

রিসেন্ট গাইডলাইনগুলোতে রেজিস্ট্যান্স ট্রেনিং-এর ব্যাপারটি আলাদা করে উঠে এসেছে। কম সময়ে খুব ভালো বেনিফিট দিতে পারে এটি।

৭. রাত তিনটা থেকে সকাল নয়টা--এই সময়টুকুতে হার্ট এটাক ও স্ট্রোক হবার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে।

৮. বুকে তীব্র ব্যথা,

কিংবা এমন বুকে চাপ যেন বুকের ওপর একটা পাথর বসে আছে,

ব্যথা/চাপ কিছুতেই কমে না,

ব্যথা ছড়িয়ে যাচ্ছে চোয়ালে, গলায়, বাহুতে, পিঠে, পেটের উপরিভাগে।

প্রচণ্ড ঘাম দিচ্ছে শরীর।

খুব বমি বমি ভাব কিংবা বমি হয়ে গেছে।

শ্বাসকষ্ট হচ্ছে।

আগে বুকে ব্যথা উঠলে বিশ্রাম নিলে বা জিহবার নিচে স্প্রে দিলে কমে যেতো আজ কিছুতেই কমছে না।

মনে হচ্ছে মারাই যাবে। এগুলো সবই হার্ট এটাকের লক্ষণ।

এমন লক্ষণ দেখা দিলে প্রথম কাজটিই হবে, যতো দ্রুত সম্ভব হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে গিয়ে একটি ইসিজি করা। এর-ওর সঙ্গে নানা পরামর্শ করে সময়ক্ষেপণ করা, মনে হচ্ছে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা ঠিক হয়ে যাবে এই ভেবে শুয়ে থাকা, এমনকি চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বারে গিয়েও সময় নষ্ট করা উচিত না। সরাসরি ইমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্টে।

৯. টাইম ইজ মাসেল। হার্ট এটাক হবার পর যতো সময় যায়, ততো হার্টের মাংসপেশি নষ্ট হয়ে যেতে থাকে।

যতো তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করা যায়, ততোই সফলতার সম্ভাবনা বাড়ে এবং জটিলতা তৈরি হবার সম্ভাবনা কমে। দেরি করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে অনেকক্ষেত্রেই ভালো চিকিৎসা অপশনের সুযোগ কমে আসে। যেমন: প্রাইমারি পিসিআই বা থ্রম্বোলাইটিক বারো ঘন্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলে সাধারণভাবে দেওয়া যায় না।

সময়মতো আসতে পারলে সর্বাধুনিক চিকিৎসা হচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে ক্যাথ ল্যাবে রোগীকে নিয়ে ব্লক থাকলে তা খুলে দেওয়া/রিং স্থাপন করে ফেলা। বাংলাদেশের খুব কম হসপিটালেই এটি সম্ভব।

সেক্ষেত্রে থ্রম্বোলাইটিকস-ই প্রধান চিকিৎসা হয়ে ওঠে। টেনেকটিপ্লেজ সেক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবে রোগীর সামর্থ্য থাকলে। উন্নত বিশ্বে নানা কারণে স্ট্রেপটোকাইনেজ এখন আর ব্যবহৃত হয় না।

১০. হার্টের রোগ থেকে বাঁচতে ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার, ডিজলিপিডেমিয়া (অতিরিক্ত কোলেস্টেরল) ও ওবেসিটির যথাযথ চিকিৎসা করতে হবে।

আজ বিশ্ব হার্ট দিবস।
মহান আল্লাহর কাছে সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করি।

ডা. মারুফ রায়হান খান
কার্ডিওলজিস্ট
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
ফাউন্ডার, NextGen Clinicians

20/09/2025

স্বামী-স্ত্রী, একে অপরের প্রতি যত হোস্টাইল হবেন, শত্রু মনোভাবাপন্ন হবেন, বাচ্চাদের মন থেকে ততই ফ্যামিলি বন্ডেজ কমে যেতে থাকবে। বাবা মা'র প্রতি আবেগ ভালবাসা কমে যেতে থাকবে। সন্তান যত বড় হতে থাকবে, এই ভালবাসাহীন সম্পর্ক তত বাড়তে থাকবে। বাবা মা হয়ে থাকবেন কাগজে কলমে আর আর্থিক সাহায্যের পিতামাতা।

স্বামী বা স্ত্রীর যদি চারিত্রিক স্খলন না থাকে, তবে সংসারে শান্তি ফিরিয়ে আনা অবশ্যই সম্ভব। সেক্ষেত্রে দুইজনকেই ধৈর্য্য আর সহানুভূতি নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। কাউকে না কাউকে গন্ডারের চামড়া ধারণ করতে হবে। আর আমার নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়েই নির্দ্বিধায় বলতে পারি, এই চামড়া ধারণের কাজটা করা উচিৎ পুরুষ বা স্বামীর।

আমি বারবার বলেছি, চিৎকার, চেঁচামেচি, লাফালাফি, ভাঙ্গাভাঙ্গি, রাগারাগি করবে নারী। তারা সন্তান, সংসার, চুলা, স্বামী, সব সামলায়। তারা আবেগপ্রবণ বেশি। তারা খুব সেন্সিটিভ হয়, তাদের চামড়া খুব পাতলা। আল্লাহর সৃষ্টি রহস্যই তাই। তারা বাপ মা, ভাই বোন সব ছেড়ে চলে আসে।

আমার চারিপাশে বন্ধু বান্ধব, আত্মীয়স্বজন, ভাই ব্রাদার, প্রায় সব সংসারে এত অশান্তি দেখে খুব পেরেশান হয়ে যায়। কথায় কথায় শুধু ছেড়ে দেব, ডিভোর্স দেব, দেখে নেব!! সাথে আছে উভয় পক্ষের বাপ মায়ের ইন্ধন!! আরে আব্বা আম্মা, তারে ডিভোর্স দিয়ে আপনি নিশ্চয়তা পেলেন কোথায় যে, আপনার জন্য একজন ফেরেশতা বা হুর অপেক্ষা করছে!!

প্রেম বা ভালবেসে বিয়ের আগে সব দোষগুণ অমৃতের মত লেগেছে। গায়ের গন্ধও ছিল মেশকআম্বরের চেয়েও সুগন্ধি। আর কবুল হবার সাথে সাথেই তা পচা লাশের চেয়েও দুর্গন্ধময়। কেন!!

প্লিজ, এমন অনেক সংসারের অশান্তি দূর করা যায়, দূর করা সম্ভব। যদি চরিত্রহীন না হন। জীবন একটাই। বাচ্চারাই আমাদের জীবন। একটু ধৈর্য্যশীল হন। মায়েদের বলছি, স্বামীর অনেক কথা, অনেক রাগ পাত্তা দেয়ার দরকার নেই। এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে অন্য কান দিয়ে বের করে দিন। সামান্যতেই জ্বলে পুড়ে রেগে ওঠার কিছু নেই।

বাবাদের প্রতি ঐ একটাই অনুরোধ আর আবদার, চামড়া করুন গন্ডারের। তিনি যত রাগবেন, চিল্লাবেন, মধুর করে তাকিয়ে থাকুন। ভালবেসে জড়িয়ে ধরুন তাকে। দেখুন এক মিনিটেই খেল খতম। পরীক্ষা করে দেখুন প্লিজ।

আমার চোদ্দগুষ্টি স্বাক্ষী, আমার দুই মেয়ে স্বাক্ষী। আমার ৩৪ বছরের সংসার জীবনে আমি তাকে একটা ধমক পর্যন্ত দেইনি। ঝগড়া তো দূরের কথা। বিশ্বাস করুন, গিন্নী রেগে গেলেই আমার কাছে তা কল্যাণময় মনে হয়। আল্লাহর শুকরিয়া করতে থাকি তখন আমি। যেমন আমার দুই মেয়ে ছোটবেলা থেকে দুই বোনে ঝগড়া লাগলেই আমি সুবহানাল্লাহ পড়তাম অনবরত। কী যে মধুর লাগত, তা বুঝাতে পারব না। আমার এই অনুভূতি বা সেনসেশনের ব্যাখা আমি হয়ত সহজে দিতে পারব না।

আল্লাহপাক সবাইকে সঠিক বুঝদান করুন এবং সব সংসারগুলোকে অনাবিল শান্তি আর কল্যাণময় করে দিন।
Credit: Mahabub Kabir Milon

20/09/2025

দিন দিন আমি আমার মেয়েটা কে নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তায় ভুগছি।
মাঝে মাঝে তার আচরণ দেখলে নিজেকেই পাগল পাগল লাগে।
আমাদের স্বামী স্ত্রীর যদি এখন প্রতিদিন ঝগড়া হয় সেটা শুধু এই মেয়ে কে নিয়ে।

আর এটা হচ্ছে শুধু বাবার মেয়ের প্রতি অতিরিক্ত আদরের জন্য। হ্যা তার বাবা মেয়ে কে অতিরিক্ত আদর করে। আর এই অতিরিক্ত আদরে মেয়ে দিন দিন বেয়ারা, জেদি হয়ে উঠছে।

আমার হাজবেন্ড মনে করে বাচ্চা যা চায় তাই এনে হাজির করাই শুধু আদর। বাচ্চা কিছু চাওয়ার আগেই সেটা তার সামনে হাজির করে দিলেই যেনো সেই বাবা সুপারম্যান।
কিন্তু তাতে ফলাফল হচ্ছে খুব খারাপ।
মেয়ে দিনে ১০ বার আবদার করে দোকানে যাবে। তার বাবাও তাকে ১০ বার দোকানে নিয়ে যায়। শুধু দোকানে না তাকে নিয়ে যায় সুপারশপে। সেখানে গিয়ে সে তার পছন্দ মত যা ইচ্ছে কিনে।
ভাবা যায় ৪ বছরের একটা মেয়ে মাসে ১৫/২০ হাজার টাকার বাইরের খাবার খেলনা কিনে 😖😖
সপ্তাহে যেই মেয়ের পিছনে আমি ৫০ টাকাও খরচ করতাম না সেই বাচ্চা দিনে ৫০০ টাকা খরচ করে। 🙂

ইদানীং তো মেয়ে রাত দুইটা বাজেও আইস্ক্রিমের আবদার করে বসে। আইসক্রিম না দিলে বারান্দায় কোনায় বসে হুমকি দেয় আমি তোমার সাথে কথাই বলবো না।
আমাকেও হুমকি দেয় যে আমি বাবার সাথে ওমান চলে যাবো। তুমি তো আমাকে দোকানে নিয়ে যাও না। ভাবা যায় 😥😥

আমার মেয়ে আজকে দুই মাস ঘরের ভাত সবজি মাংশ বলে কোনো জিনিস আছে সেটা ভুলে গেছে। আমি তার বাবা এবং তাকে শাসন করি বলে আমাকে দুইজন সহ্য পর্যন্ত করতে পারে না। এসবের ফলাফল কি জানেন - প্রথম বাচ্চার শারিরীক হ্মতি হচ্ছে, দ্বিতীয় বাচ্চা টাকার মূল্য বুঝতে পারছে না, তৃতীয় বাচ্চার মনে এটাই স্থান করে নিয়েছে যে যা চাওয়া যায় তাই পাওয়া যায়।

এই কথা গুলো এখানে বলছি কারণ এমন অনেক বাবা মা আছে যারা ভাবে বাচ্চাকে যা চায় তাই দিলেই শুধু আদর হয়। তারা বোঝে না আদর শাসন মিলেই প্যারেন্টিং হয়।
অনেক সময় দেখি দুইটা বাচ্চা যখন খেলনা নিয়ে ঝগড়া করে তখন বাবা মা নিজের বাচ্চা কে শাসন না করে অপর বাচ্চা টা কে বলে থাক তুমি ওকে দিয়ে দাও।
তারা নিজের বাচ্চা কে কাদবে বলে অন্যের বাচ্চা কে অনায়াসে কাদতে বাধ্য করে।
এই বাচ্চা গুলোই পরবর্তীতে ন্যায় অন্যায়ের পার্থক্য বোঝে না।

আমি যখন ছোট ছিলাম আমার বাবার যথেষ্ট টাকা থাকার পরেও যদি বলতাম বাবা এই জামা টা কিনে দাও বাবা বলতো - ঈদ আসুক তখন কিনে দিব।
স্কুলে যাওয়ার সময় টিফিন খাওয়ার টাকা চাইলে বলতো বাসা থেকে খাবার নিয়ে যাও।
এতে কষ্ট লাগলেও একটা জিনিস ছোট থেকেই বুঝেছি যে চাইলেই সব পাওয়া যায় না। তাই বলে কি বাবা আদর করতো না?? করতো অনেক করতো। আবার অন্যায় করলে ঘরের দরজা লাগিয়ে লাঠি দিয়ে পিটাতো।

কিন্তু এখনকার বাবা মা পিটানো তো দূরে থাক নিজেরাই বাচ্চাদের অপদার্থ বানাচ্ছে।
আমি একটা জিনিস ছোট বেলা থেকেই খেয়াল করেছি যারা অঢেল টাকা পয়সার মধ্যে বড় হয় তারাই দিন শেষে অপদার্থ, ব্যার্থ মানুষ হয়।

কারণ রাজার ছেলে জানেই সে রাজা হবে তার জন্য তাকে কিছু না করলেও রাজা হওয়ার জন্য নিজেকে তৈরি না করলেও তার বাবার পরে সেই রাজা হবে।

কিন্তু একজন সাধারণ মানুষের সন্তান সব সময় আরও ভালো অবস্থানে যাওয়ার জন্য লড়াই করে, নিজেকে প্রস্তুত করে।

তাই সন্তানকে বেয়ারা বানাবেন না। টাকা থাকলেও তাকে বুঝতে দিন তুমি যা চাও তাই সব সময় পাওয়া যায় না। আমার স্বামী কেও বলছি আজ তোমার কাছে টাকা আছে বলেই যা চাইছে তাই দিচ্ছ কিন্তু হতে পারে ৫ বছর পর তোমার কাছে টাকা নাই তখন কিভাবে বাচ্চা কে বোঝাবে। ততোদিনে তার বোঝার হ্মমতা শেষ হয়ে যাবে। তখন বাচ্চা এটাই বুঝবে বাবা আমাকে ভালোবাসে না। টাকা দিয়ে নয় বাচ্চা কে সময় দিয়ে, খেলাধুলা করে আবার কখনো কখনো শাসন করেও আদর করা যায়।

কলমে - কানিজ তন্নি

06/09/2025

আপনি যদি মনে করেন ,পৃথিবীতে মা বাবার চেয়ে আপন কেউ নেই ,তাহলে আপনি এখনো দুনিয়া দেখেন নি।
মেয়ে হলে ৩০ বছর বাপের বাড়ি থাকুন , বিয়ে ভেঙে গেলে বাপের বাড়ি আশ্রয় নিন , বুঝে যাবেন বাপের বাড়ি র ভাতের কতো দাম।

ছেলে হলে ,৩০ বছর বেকার থেকে দেখুন ,বুঝবেন আপনাকে খাওয়ানো প্রতিটি ভাতের চাল আসলে বিফলে যায়।
মাঝে মাঝে জুতার ঢিল ও খেতে পারেন।

সবচেয়ে নিকৃষ্ট রুপ তো তখন মা বাবার দেখবেন ,যখন আপনার থেকে আপনার কোনো ভাই বা বোন বেশি অর্থ উপার্জন করে।
একি মা বাবা ,অথচ তাদের কি বিশাল ফারাক।

শুনেন , এ পৃথিবীতে কেউ আপনাকে সাহায্য করছে মানেই সে আপন ,বিষয় টা এমন না।
সময়ের বিপরিতে আপনার প্রতি তার মনোভাব বলে দেবে ,সে আসলে আপনার কাছে আরো বড় কিছু প্রত্যাশা করে বসে আছে ।

ভাবছেন ,মায়ের পেটের ভাই বোন আপন?

এ পৃথিবীতে এদের মতো শত্রু আর একটি ও নেই , এদের শত্রুতার কারন ভিন্ন। কেউ সম্পদের জন্য ,কেউ সামাজিক অবস্থান এর জন্য অন্য কে দমন করার প্রচেষ্টা ।

এমন ও ভাই আছে ,বোনের নাম ও মনে রাখে না , এমন বোন ও আছে , ভাইয়ের সংসারে র সুখ ও সহ্য করতে পারে না।

এই পুরু পৃথিবীতে যে কেউ কারো আপন না ,এটি আমার কাছে স্পষ্ট ।

ফ্রীতে একটা এডভাইজ দিই , আপনার দুঃখের কারন হওয়া মানুষ গুলো কে জিবন থেকে সরিয়ে দিন।
সে যেই হোক।
এরা আসেই আপনার জিবন কে নরক করে দেওয়ার জন্য।
সামনে ভালোবাসা দেখাবে ,পিছনে ছুড়ি মারবে। এদের স্বভাব থেকে এরা বেরুতেই পারে না।
তাই সতর্ক থাকুন। সৃষ্টিকর্তা সবাইকে তার গোপন শত্রু থেকে রক্ষা করুক।

collected

আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কি করুণ অবস্থা কিছুটা বর্ণনা দেইআজকে কমিউনিটি মেডিসিনের  Day Visit এ আমাদের মহাখালী ইপিআই সেন...
05/09/2025

আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কি করুণ অবস্থা কিছুটা বর্ণনা দেই

আজকে কমিউনিটি মেডিসিনের Day Visit এ আমাদের মহাখালী ইপিআই সেন্টার ও ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেল্থ(IPH) যাওয়া হয়েছিল।

IPH এ সকল ধরনের IV ফ্লুইড( Normal saline, DNS, Hartmann's saline etc) তৈরীর মেশিনগুলো অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে৷ একসময় এগুলোতে সকল ধরনের IV ফ্লুইড তৈরী হত যা সারা দেশের সকল সরকারি হাসপাতালে সরবারহ করা হত৷ এখন এই ফ্লুইড ইম্পোর্ট করা হয়।এখন মনে হয় তাও হয় না। ফলস্বরূপ সরকারি হাসপাতালে এখন রোগীদের নরমাল স্যালাইন পর্যন্ত কিনতে হয়।

একটা ভবনে ব্লাড কালেকশনের সকল প্রকার ব্যাগ তেরী করা হত। কিন্তু এখন আর হয় না। ইম্পোর্ট করা হতো এখন মনে হয় তাও হয়না। কারণ কোন হাসপাতালে রক্তের ব্যাগ নাই। সরকারি হাসপাতাল থেকেই আবার ১৫০ টাকায় কিনতে হয়।

পাশের অন্য একটি ভবনে একসময় র‍্যাবিসের ভ্যাক্সিন(কুকুর,বিড়াল কামড় দিলে দিতে হয়) তৈরী কর হত। এখন ভবনটি পরিত্যক্ত পরে আছে। ফল স্বরুপ সারা বাংলাদেশে মহাখালী বাদে কোথাও সরকারি ভ্যাক্সিন পাওয়া যায় না। রোগীকে ভ্যাক্সিন কিনতে হয়।

অন্য একটি ভবনে সকল জাতীয় পরীক্ষার জন্য রিএজেন্ট তৈরী করা হতো যা সকল হাসপাতালে সরবরাহ করা হত রোগীদের পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য। কিন্তু এখন গুটিকয়েকটি রিয়েজেন্ট বাদে তেমন কিচ্ছুই তৈরী হয় না। ফলস্বরূপ সরকারি হাসপাতালে খুব একটা বেশি পরীক্ষা হয় না। বাইরে করতে হয়। রোগীরা সরকারী হাসপাতালে ডাক্তার দেখালেও পরীক্ষা বাইরে করতে হয়।

একটা ডিপার্টমেন্ট সচল দেখলাম যেখানে প্রতিদিন দশহাজার ORS ( খাবার স্যালাইন) তৈরী করা হয়,যা সারাদেশে সরবরাহ করা হয়।

এখানে অনেক ডাক্তার, টেকনোলজিস্ট বেকার পড়ে আছে যাদের কোন কাজ নাই অথচ একসময় এখানে নাকি দম ফেলার সময় পাওয়া যেত না।
সরকারি হাসপাতালে এখন আর তেমন কিচ্ছুই সরকারি পাওয়া যায় না শুধু ডাক্তার বাদে।

অথচ এগুলা কোন কিছুই ডাক্তাদের হাতে নেই। এসব মেশিন আবার চালু করার জন্য নাকি ফাইল এক দপ্তর থেকে আরেক দপ্তরে দিনের পর দিন ঘুরতেছে।এগুলো নিয়ে কোন সাংবাদিক কোন রিপোর্ট করবে না। কোন আমলা এটা নিয়ে কিচ্ছু বলবে না।কোথায় কোন ডাক্তার কি ভুল করল এটা মুহূর্তে সকল টিভির হেড লাইন হয়ে যায়,অথচ ২০ কোটি মানুষকে দিনের পর দিন তার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে এগুলা নিয়ে কোনদিন কথা হয় না। এভাবেই সরকারি হাসপাতালে রোগীদের খরচের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। অথচ এই দেশের এখনও ৮০% মানুষের প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সামর্থ্য নেই৷

ডাক্তার এবং এদেশের জনগণকে খুব সুকৌশলে মুখোমুখি দাড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে যেন এগুলা নিয়ে কেউ কথা না বলতে পারে, যা হয় সব ডাক্তারের দোষ।

দেশে সঠিক নেতৃত্ব আসুক। চিকিৎসার মত মৌলিক অধিকার সবার নিশ্চিত হোক।
ছবিতে পরিত্যক্ত মেশিন ও ORS
Courtesy Shoukat Chowdhury

03/09/2025

আজ সকাল থেকেই মনটা ভীষণ খারাপ, কেমন যেনো অস্থিরতা বোধ করছি। শিশুদের সমস্যা নিয়ে লিখি, কেউ কেউ বিশ্বাস করে না, বলে অবাস্তব, বানিয়ে লিখেছি। অথচ প্রতিদিন কত শত রোগী দেখি কত বিচিত্র অভিজ্ঞতা হয়, সব লেখাও হয় না সব সময়। নিজের কাছেই অবিশ্বাস্য লাগে মাঝে মাঝে , এরাও মা?

আজকের ঘটনাটা বলি। গাজীপুর থেকে ৭ মাসের বাচ্চা নিয়ে এসেছে এক মা। হাসিখুশি বাচ্চা অথচ মায়ের অভিযোগ বাচ্চার কাশিই কমে না, গত দুই মাস থেকে কাশি ভালো হচ্ছে না, ববং আরো বাড়ছে। ৫ মাসের সময় ডাক্তার দেখিয়েছিল, ঔষধ খাওয়ানোর পরও কাশি কমেনি তাই ঢাকায় এসেছে। জ্বর নাই, শ্বাসকষ্ট নাই, বুকের এক্সরে নরমাল, পরীক্ষা করেও কিছু পেলাম না শুধু ২/৩ খকখক করে একটু কাশি দিল বাচ্চা।

কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান কতক্ষণ পর পর? উত্তরে বললো, আধাঘন্টা এক ঘন্টা পর পর কিন্তু বাচ্চা খেতে চায় না। ঘনঘন খাওয়ান কেনো জিজ্ঞেস করায় যথারীতি বললো বুকের দুধ তেমন পায় না। বুঝিয়ে বললাম এত ঘন ঘন না দিয়ে ৩ ঘন্টা পর পর দিলে ঠিকমতো পাবে। এ পর্যন্ত ভালোই চলছিল।

এবার জিজ্ঞেস করলাম, ৭ মাস বয়স এখন, বাড়তি খাবার শুরু করেননি? মা বললো, বাড়তি খাবার ৩ বেলা দেই কিন্তু খেতে চায় না। হঠাৎ মাথায় এলো, বাচ্চাকে কি শোয়ায়ে খাওয়ায় নাকি বসিয়ে? জিজ্ঞেস করায় মা যা বললো তাতে আমি জাস্ট শোকে পাথর হয়ে গেলাম,

" বাচ্চা বাড়তি খাবার খেতেই চায় না তাই শোয়ায়ে নাক চিপে ধরে হা করলে জোর করে ঠেসে ঠেসে খাওয়াই " !!!!!!

গতকাল এক মা ১০ মাসের বাচ্চা নিয়ে এসেছে বাচ্চার নাকি জ্বর ভালো হয় না ১ মাস ধরে। কোনো ডাক্তার দেখায়নি। ফার্মেসি থেকে নাপা এনে বাচ্চার গা গরম মনে হলেই নাপা খাওয়ায়, গা ঠান্ডা হয়ে যায়। কোনো জ্বর মাপার প্রয়োজন মনে করে না কারণ তার হাতের নাকি আন্দাজ আছে, জ্বর মাপা লাগে না, ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজনও মনে করে না।

আরেকটা তথ্য সে খুব আত্মবিশ্বাসের সাথে জানালো, তাদের বাড়ির বাচ্চারা ২ বছর পর্যন্ত সুজি খায়। এরপর বাড়তি খাবার দেয়া হয়। মনে মনে ভাবলাম, সুজির আফটার ইফেক্ট তো মায়ের কথা শুনেই বুঝা হয়ে গেছে।

সুজিখেকো বাঙালির আফটার এফেক্টও আস্তে আস্তে প্রকাশ পাচ্ছে এতদিনে।

ডাঃ লুনা পারভীন
এমবিবিএস, ডিসিএইচ
শিশু বিশেষজ্ঞ, বহির্বিভাগ
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট
শ্যামলি।
বিএমডিসি রেজিঃ নং - ৩০৭৩৯

পল্লী চিকিৎসা সম্পর্কে জরুরি কিছু কথা..নিচের প্রেসক্রিপশনে যে বাচ্চাটার চিকিৎসা দেয়া হয়েছে তার বয়স ১৪ মাস। শেষ রাতে ফ্যা...
31/08/2025

পল্লী চিকিৎসা সম্পর্কে জরুরি কিছু কথা..

নিচের প্রেসক্রিপশনে যে বাচ্চাটার চিকিৎসা দেয়া হয়েছে তার বয়স ১৪ মাস। শেষ রাতে ফ্যানের বাতাস পেয়ে বাচ্চাটার একটু ঠান্ডা লেগেছে। নাক দিয়ে পানি পরছে আর শরীরটা একটু গরম হয়েছে।

এইটুকু সমস্যার জন্য এলাকার ব্যস্ততম পল্লী চিকিৎসক তাকে Azin (এন্টিবায়োটিক), Cortan (স্টেরয়েড) দিয়েছে। দু'দিনেই বাচ্চা সুস্থ। ভিজিটের ৪০০ টাকা পেয়ে ডাক্তারসাহেব খুশি। বাচ্চাকে সুস্থ দেখে মা বাবাও খুশি।

খুব সাধারণ ঘটনা তাইনা? আসুন দেখে নেই মুড়ি-মুরকির মতো এগুলো খেলে কি হয়..

1. এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স – জীবাণু আর এই ওষুধে কাজ করবে না, ফলে সামান্য ইনফেকশনও মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।

2. সুপারবাগ তৈরি – এমন জীবাণু তৈরি হয় যেগুলোর চিকিৎসা করা খুব কঠিন।

3. প্রাকৃতিক ফ্লোরা নষ্ট হয় – হজমের ভালো ব্যাকটেরিয়া মারা গিয়ে ডায়রিয়া, গ্যাস্ট্রিক ও অন্যান্য সমস্যা হয়।

4. সাইড ইফেক্টের ঝুঁকি বাড়ে – এলার্জি, কিডনি-লিভার ক্ষতি, ত্বকে র‍্যাশ ইত্যাদি।

5. ভবিষ্যতে কার্যকারিতা কমে যায় – জটিল রোগে দরকার হলে তখন এন্টিবায়োটিক কাজে আসবে না।

6. ইমিউনিটি দুর্বল হয়ে যায় – সহজে সংক্রমণ হয় ও পুরোনো সংক্রমণ বেড়ে যায়।

7. ক্রনিক রোগ বাড়ায় – ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, হাড় ক্ষয় (অস্টিওপোরোসিস) দ্রুত বেড়ে যায়।

8. মানসিক ও শারীরিক পরিবর্তন – মুখ ফুলে যাওয়া (moon face), শরীরে চর্বি জমা, মুড পরিবর্তন, অনিদ্রা ইত্যাদি।

9. চোখ ও হাড়ের সমস্যা – ছানি, গ্লুকোমা, হাড় ভেঙে যাওয়া।

10. অ্যাড্রেনাল গ্রন্থির ক্ষতি – দীর্ঘদিন ব্যবহার করে হঠাৎ বন্ধ করলে জীবনহানির ঝুঁকি থাকে।

এমন প্রেসক্রিপশন প্রায় প্রতিদিন পাচ্ছি। পরের প্রজন্মটাকে স্রেফ গলা টিপে হ*ত্যা করছি আমরা। সহজ করে বুঝিয়ে বলি। পাড়ার দুষ্ট ছেলে পাশের বাড়ির সুপাড়ি চুরি করলে তাকে দু'চারটা বকাঝকা করে বুঝিয়ে বললেই কাজ হয়। দরকার হলে এলাকার মুরুব্বিরা মিলে শালিস করা যেতে পারে। ছোটখাটো একটা শাস্তির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এতোটুকুই যথেষ্ট।

এই সুপাড়ি চোরকে ধরার জন্য যুদ্ধবিমান কিংবা পারমানবিক বো*মা ব্যবহার করাটা উচিত হবে কি? এতোটুকু সমস্যা সমাধানের জন্য মা*র*ণা*স্ত্র শেষ করে ফেললে পরবর্তীতে বড় কোনো শত্রু আক্রমন করলে আমরা কি দিয়ে প্রতিহত করবো? লাঠিসোঁটা নিয়ে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যু*দ্ধ করতে পারবেন?

আমার মতো মিড লেভেল ডাক্তারের কথা বাদই দিলাম। আমি যে স্যারদের আন্ডারে ট্রেনিং করেছি তাঁরাও একটা স্টেরয়েড লেখার আগে দু'বার ভাবেন, তিনবার মাথা চুলকান। আর মেট্রিক ফেল ঔষধের দোকানদার চিকিৎসা শুরুই করে এন্টিবায়োটিক আর স্টেরয়েড দিয়ে।

আপনি চাইলেই দেশের সবাইকে ঠিক করতে পারবেন না। রাতারাতি এটা সম্ভবও না। আপনার সাধ্যে যতটুকু আছে ততটুকু করুন। অন্তত নিজের সন্তানদের বাঁচান। তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করুন।

বহু নিবেদিত প্রাণ ডাক্তার বের হচ্ছে। একটু খুঁজলেই পাড়ায়, মহল্লায় কম ভিজিট রাখা রেজিস্টার্ড MBBS/BDS ডাক্তার খুঁজে পাবেন। আর্থিক সমস্যা থাকলে ডাক্তারসাহেবকে বলে ভিজিট ফি শিথিল করে নিন। তবু প্লিজ, আল্লাহর দোহাই লাগে, বাচ্চাদেরকে মুড়ি মুরকির মতো এন্টিবায়োটিক আর স্টেরয়েড গেলানো বন্ধ করুন।

-courtesy: আপনাদের শিশু চিকিৎসক ডা. মাহফুজ বাঁধন

30/08/2025

লেখাটা ভালো লাগছে
প্রয়াত লেখক হুমায়ুন আহমেদ বিয়ে করেছিলেন শাওনকে। ঘটনাটার পরপরই তাঁর প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন আহমেদ ও তার পুত্র কন্যারা হুমায়ুন আহমেদকে ত্যাগ করেন, তাঁর সাথে সকল যোগাযোগ ছিন্ন করে ফেলেন।

ঘটনাটার উসিলায় উনার পুত্র কন্যাদের মধ্যে বাবাকে সবচেয়ে ঘৃণা দেখিয়েছিলেন উনার কন্যা শীলা আহমেদ। বাবার পাঠানো ফুল এবং মিষ্টি তিনি একবার ফেরত পাঠিয়েছিলেন চিরকূট সহ। তাতে লেখা ছিলো, "ভুলে একটা মিষ্টি খেয়ে ফেলেছি, তার জন্য সরি!!"

আমার সবসময়ই মনে হয়, শীলা আহমেদ তাঁর পিতাকে কতটা ঘৃণা করতেন সেটা আসলে এই ঘটনা দিয়ে বুঝানো সম্ভব নয়। ওটা বুঝতে গেলে তাকাতে হবে তার বিবাহিত জীবনের দিকে।

বাবার উপরে ঘৃণা থেকে মেয়েরা অনেক সময় অনেক আজেবাজে ছেলেকে বিয়ে করে বসে। কেউ বিয়ে করে মোটর মেকানিককে, কেউ বিয়ে করে পাড়ার বখাটেকে। কেউবা বিয়ে করে আকাট নির্বোধ বেকুব কোনো ছেলেকে, যাকে দেখলেই পিতার গাত্রদাহ হয়ে জ্বলেপুড়ে অঙ্গার হয়ে যাবে।

এজন্যই শীলা আহমেদ বিয়ে করেছিলেন আসিফ নজরুলকে।
Courtesy : Hazat Sabbir

গল্প: লাল বেলুন আর নীল আকাশরিয়ার জন্মদিনে বাবা তাকে একটা লাল বেলুন দিল। রিয়া খুব খুশি হয়ে বেলুনটা নিয়ে বাইরে খেলতে ল...
29/08/2025

গল্প: লাল বেলুন আর নীল আকাশ

রিয়ার জন্মদিনে বাবা তাকে একটা লাল বেলুন দিল। রিয়া খুব খুশি হয়ে বেলুনটা নিয়ে বাইরে খেলতে লাগল। খেলতে খেলতে হাওয়া এসে বেলুনটা আকাশে উড়িয়ে নিয়ে গেল।

রিয়া দুঃখ পেল। তখন তার মা বলল,
— “বাবু, কাঁদবে না। বেলুনটা এখন আকাশ ভ্রমণ করছে। যেমন তুমি বই পড়ে নতুন কিছু শেখো, তেমনি বেলুনও নতুন কিছু দেখতে যাচ্ছে।”

রিয়া ভেবে হাসল। সে বুঝল—সব জিনিস ধরে রাখা যায় না, কিছু জিনিসকে ছেড়ে দিতে হয়।

পরদিন রিয়া সিদ্ধান্ত নিল, সে প্রতিদিন নতুন কিছু শিখবে—যেন তার জ্ঞানও আকাশের মতো বড় হয়।

শিক্ষা: জিনিস হারালেও শেখা আর জ্ঞান আমাদের সঙ্গেই থাকে।
Pedimedicine.com

Address

Shahbag
Dhaka
1000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when শিশু ও নবজাতকের স্বাস্থ্য পরামর্শ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to শিশু ও নবজাতকের স্বাস্থ্য পরামর্শ:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram