Natural Cure Treatment of Kidney disease

Natural  Cure Treatment of Kidney disease Nur-Majid Ayurvedic College

29/07/2025

কোন কোন লক্ষণ দেখলে বুঝবেন কিডনি ভাল নেই! কখন সময় নষ্ট না করে দ্বারস্থ হবেন চিকিৎসকের?

কিডনির স্বাভাবিক কাজের একটিও যদি যথাযথ ভাবে না হয়, তবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে শরীর। যার চিকিৎসা সঠিক সময়ে না হলে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে! তাই কিডনির স্বাস্থ্যের ব্যাপারে একটু বেশি সতর্ক থাকতে বলেন চিকিৎসকেরা।

স্বাভাবিকভাবে শরীর সুস্থ রাখার জন্য অতি জরুরি কয়েকটি কাজ করে কিডনি। যার মধ্যে অন্যতম শরীরকে বিষাক্ত পদার্থ এবং বর্জ্যমুক্ত করা, শরীরে জলের মাত্রা ঠিক রাখা, রক্তে লোহিত কণিকা তৈরিতে সাহায্যকারী হরমোন নিঃসরণ এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা।

কিডনির স্বাভাবিক কাজের একটিও যদি যথাযথ ভাবে না হয়, তবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে শরীর। যার চিকিৎসা সঠিক সময়ে না হলে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে!

সেই সব উপসর্গ কী কী? শরীরে ঠিক কোন কোন পরিবর্তন হলে সতর্ক হবেন বা বুঝবেন চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া উচিত?

ঘন ঘন শৌচাগারে যেতে হচ্ছে?

কিডনির সমস্যার প্রথম উপসর্গ বোঝা যায় প্রস্রাবে। খেয়াল রাখুন—

১। রাতের দিকে কি বেশি প্রস্রাব হচ্ছে?

২। সাধারণত দিনে যত বার প্রস্রাব করেন, তার চেয়ে কম হচ্ছে কি?

৩। প্রস্রাব যদি ফেনার মতো হয় তবে বুঝতে হবে কিডনি কাজ না করায় শরীর থেকে প্রোটিন বেরিয়ে যাচ্ছে।

৪। প্রস্রাবে রক্ত থাকছে কি না। সে ক্ষেত্রে প্রস্রাবের রং কালচে হবে বা প্রস্রাবে গোলাপি ভাব দেখা যাবে।

শরীরের কোনও কোনও অংশ ফুলছে কি?

কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে শরীর থেকে বাড়তি নুন এবং জল বার করতে পারে না। ফলে শরীরে জল জমতে থাকে। কোনও কোনও অংশ ফুলে যায়। যদি দেখেন পায়ের পাতা, চোখের পাশে ফোলা ভাব রয়েছে, তবে তা কিডনির রোগের সমস্যার কারণেও হতে পারে।

অকারণ ক্লান্তিবোধ?

কিডনির মধ্যে কোনো সমস্যা হলে শরীরে বর্জ্য পদার্থ জমতে থাকে। ফলে রক্তে বাড়তে থাকে দূষণ। কিডনি আক্রান্ত হলে যে লোহিত কণিকা রক্তে অক্সিজেন সঞ্চালন করে, তার কাজও ব্যাহত হয়।

ফলে ক্লান্তিবোধ, শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিতে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে যা বিশ্রাম নেওয়ার পরও কাটতে চায় না।

শরীরে যত্রতত্র পেশির ব্যথা হচ্ছে?

কিডনি আমাদের শরীরের মধ্যে ক্যালশিয়াম, ফসফরাসের মতো খনিজের ভারসাম্য বজায় রাখে। যা নষ্ট হলে পেশিতে প্রভাব পড়ে। পেশিতে যন্ত্রণা হতে পারে।

শ্বাস নিতে অসুবিধা, বুকে ব্যথা?

যদি কিডনির সমস্যা গুরুতর হয়, তবে তা থেকে শ্বাসকষ্টও হতে পারে। কারণ কিডনির কাজ ব্যাহত হলে জল জমতে পারে ফুসফুসেও।

তা থেকে শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি বুকে ব্যথা বা বুকে চাপ লাগার মতো সমস্যাও হতে পারেএবং কিডনির সমস্যা হলে রক্তচাপ বাড়তে পারে, ত্বকে খসখসে ভাব বা চুলকানির মতো অস্বস্তি হতে পারে, ক্রিম বা লোশন লাগিয়েও যার সমাধান হবে না।

খাবারে অনীহাও আসতে পারে কিডনি ভাল না থাকলে। তবে উপরের পাঁচটি উপসর্গ দেখলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত হবে।

চিকিৎসা ও পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন।
ডাঃ মোঃ ইসরাফিল মিয়া
বি এ এম এস (হাঃবিঃ)
চর্ম, যৌন, লিভার ও কিডনি রোগে অভিজ্ঞ
চেম্বারঃ নূর -মজিদ আয়ুর্বেদিক কলেজ ও হাসপাতাল
বাড়ি # ৯, মেইন রোড,ব্লক # এফ, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা ১২১৯
মোবাইলঃ ০১৭৩৫৫২৫৩৩৩

29/07/2025

গভীর ঘুমের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক? শরীর সঙ্কেত দেয় আগেই, সে লক্ষণগুলি চেনা থাকলে বিপদ এড়ানো যাবে
ঘুমের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক খুবই বিপজ্জনক। কাদের বেশি হয়? লক্ষণ জানা থাকলে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া যাবে।

Can Heart attack occur during sleep, what are the warning signs
ঘুমের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক, বিপদ এড়াতে কিছু লক্ষণ চিনে রাখুন।

ঘুমের মধ্যে কি হার্ট অ্যাটাক হয়? অনেককেই বলতে শুনবেন, ঘুমের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হয়ে মৃত্যু হয়েছে। বয়স্কদের বেশি হয়। তবে কমবয়সিরাও আজকাল বাদ যাচ্ছেন না। ঘুমোবার সময়ে হৃৎস্পন্দনের হার এমনিও কম থাকে, আচমকা যদি তা থেমে যায়, তখনই হার্ট অ্যাটাক হবে।

ঘুমের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক সাধারণ সমস্যা নয়। একে বিরলই বলা যায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক’, যা নীরবে আসে ও তছনছ করে দিয়ে চলে যায়।

তবে যতই নীরবে হার্টে ধাক্কা আসুক না কেন, তার কিছু লক্ষণ কিন্তু অনেক আগে থেকেই দেখা দিতে থাকে। শরীর সঙ্কেত দিয়ে সতর্ক করে আগেই। শুধু লক্ষণ চেনা না থাকায়, বিপদ এড়ানো যায় না।

স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা থাকলে ঘুমের মধ্যে হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে। হার্টের চিকিৎসক সুশান মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, স্লিপ অ্যাপনিয়া এমন একটি অবস্থা, যেখানে ঘুমের সময় বারবার শ্বাসপ্রশ্বাস সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

এর ফলে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায় এবং রক্তচাপ বেড়ে যায়। প্রতি বার অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে হৃৎপিণ্ডের উপর চাপ বাড়ে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে।

৮ ঘণ্টার কম ঘুমোন যাঁরা, তাঁদেরও ঝুঁকি বেশি। অনিয়মিত ঘুম বা অনিদ্রার সমস্যা থাকলে, হৃদ্‌পেশির সঙ্কোচন এবং প্রসারণ অনিয়মিত হয়, ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে।

বেশি ঘুমও কিন্তু ভাল নয়। কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রোজ ৯ থেকে ১১ ঘণ্টার বেশি যাঁরা ঘুমোন, তাঁদেরও হৃদ্‌রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

ডায়াবিটিস থাকলেও ঝুঁকি বেশি। ঘুমের মধ্যে রক্তচাপ কমে বা বেড়ে যেতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রাও ওঠানামা করতে পারে। ফলে বিপদ ঘটতে পারে যখন- তখন।

স্থূলত্ব বা ওবেসিটি থাকলে ঘুমের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। যাঁদের ওজন বেশি, থাইরয়েডের সমস্যা আছে, আবার স্লিপ অ্যাপনিয়াতেও ভুগছেন, তাঁদের অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে।

বিপদ এড়াতে লক্ষণ চিনুন

১)বুকে মিনিট খানেক ধরে ব্যথা

ঘুমনোর সময়ে বুকে চাপ চাপ ব্যথা, বা বুকের বাঁ দিকে হালকা ব্যথা অনুভব করলে সতর্ক হতে হবে। এই ব্যথা মিনিট খানেক ধরে চলবে।
গ্যাস-অম্বলের ব্যথা হলে চোঁয়া ঢেকুর উঠবে, গলার কাছে জ্বালার মতো অনুভূতি হবে। তবে হার্ট অ্যাটাকের ব্যথা বুকের একই জায়গায় মিনিট খানেক ধরে চলবে। পরে ছড়িয়ে পড়বে চোয়াল ও হাতে।

২)ঘুমের মধ্যে দমবন্ধ

শোয়ার পরেই শ্বাস নিতে সমস্যা হবে। দমবন্ধ হয়ে আসবে। দিন কয়েক আগে থেকেই দেখা দেবে এই লক্ষণ। তখন সতর্ক হতে হবে।

৩)রাতে শুয়ে ঘাম

ঠান্ডা ঘরে শুয়েও যদি ঘাম হয়, তা হলে বুঝতে হবে লক্ষণ মোটেই সুবিধার নয়। এই উপসর্গও কিন্তু আগে থেকেই দেখা দিতে পারে।
রোজই যদি দেখেন, ঘুমোনোর সময়ে সারা শরীর ঘামে ভিজে যাচ্ছে, অথচ ঘরের তাপমাত্রা কম, তা হলে সাবধান হতে হবে।

৪)অতিরিক্ত ক্লান্তি

মনে হবে শরীরে আর কোনও শক্তিই নেই। ক্লান্তি এতটাই বৃদ্ধি পাবে, যে হাত-পা নাড়াতেও কষ্ট হবে। রোজই যদি এমন হয়, তা হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

হার্টের রোগ তলে তলে মাথাচাড়া দিচ্ছে কি না, তা নির্ণয় করার অনেকগুলি পরীক্ষা আছে। কিন্তু সেই সব পরীক্ষা, যেমন অ্যাঞ্জিয়োগ্রাম, ইলেক্ট্রোকার্ডিয়োগ্রাম, ইকোকার্ডিয়োগ্রাম, স্ট্রেস টেস্ট, কার্ডিয়াক এমআরআই করিয়ে রাখলে ভাল হয়। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে।

চিকিৎসা ও পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন।
ডাঃ মোঃ ইসরাফিল মিয়া
বি এ এম এস (হা:বি)
চর্ম,যৌন, লিভার ও কিডনি রোগে অভিজ্ঞ
মেডিকেল অফিসার
নূর -মজিদ আয়ুর্বেদিক কলেজ ও হাসপাতাল
বাড়ি নংঃ ৯, মেইন রোড়, ব্লক -এফ, বনশ্রী, রামপুরা,
ঢাকা
মোবাইলঃ ০১৭৩৫৫২৫৩৩৩

14/07/2025

৫ অভ্যাসে এখনই বদল না আনলে বিকল হয়ে যেতে পারে কিডনি

অজান্তেই এমন কিছু প্রাত্যহিক অভ্যাসে আমরা অভ্যস্ত, যেগুলি বাড়িয়ে ফেললে কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা। জেনে নিন, কোন কোন অভ্যাসে রাশ টানলে কিডনির রোগ ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব।

Five common habits which may harm your kidneys

শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল কিডনি। সুস্থ থাকতে কিডনিকে অবহেলা করলে কিন্তু মোটেই চলবে না। কিডনি বিকল হলে শরীরে নানা জটিলতা বাসা বাঁধতে পারে। বড় কোনও শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার আগে তাই সতর্ক থাকা জরুরি।

কোনও ক্রনিক অসুখ না থাকলে সাধারণত কিডনির যত্ন নেওয়া খুব কঠিন কাজ নয়। ছোটখাটো কিছু যত্নেই সুস্থ রাখা যায় কিডনিকে। তবে অজান্তেই এমন কিছু প্রাত্যহিক অভ্যাসে আমরা অভ্যস্ত, যেগুলি বাড়িয়ে ফেললে কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা। জেনে নিন, কোন কোন অভ্যাসে রাশ টানলে কিডনির রোগ ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব।

১) পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খান। কোনও ক্রনিক অসুখ না থাকলে যে কোনও সুস্থ মানুষের প্রতি দিন ৩-৪ লিটার পানির প্রয়োজন হয়। কোনও মতেই শরীরে পানির ঘাটতি হতে দেবেন না। শরীরের যাবতীয় টক্সিন বাইরে বার করে দিতে পানিই প্রধানত সাহায্য করে। তাই পানির জোগান কিডনি যত পাবে, তার শারীরবৃত্তীয় কাজে তত সুবিধা হবে। অতিরিক্ত মদ্যপানও কিডনির সমস্যার কারণ হতে পারে।

২) কিডনিতে সংক্রমণের অন্যতম কারণ হল প্রস্রাব চেপে রাখা। সাধারণত রাস্তাঘাটে বা অনেক সময় কাজের চাপে বাড়িতে থাকলেও অনেকেই প্রস্রাবের বেগ চেপে রাখেন। এই অভ্যাস দিনের পর দিন ঘটালে কিন্তু বিপদ। এর ফলে মূত্রনালিতে চাপ পড়ে, তাতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিডনি।

৩) উচ্চমাত্রার ডায়াবিটিস সরাসরি কিডনির ক্ষতি করে। তাই ডায়াবিটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি। রক্তে শর্করার পরিমাণ কোনও ভাবেই বাড়তে দেওয়া যাবে না। কিডনি ভাল রাখতে ডায়াবিটিস প্রতিরোধ প্রয়োজন।

৪) মুঠো মুঠো ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়াও মোটেও ভাল অভ্যাস নয়। অতিরিক্ত মাত্রায় এই ধরনের ওষুধ কিন্তু কিডনির নানা সমস্যা তৈরি করে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ভাবেই কোনও রকম অ্যান্টিবায়োটিক বা বেদনানাশক ওষুধ খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।

৫) অনেকেই একটু বেশি নুন খান। রান্নায় নুন কম হোক বা না হোক, খাওয়ার পাতে একটু কাঁচা নুন না নিলেই নয়। এই অভ্যাস কিন্তু কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভাল নয়। কিডনিকে ভাল রাখতে চাইলে সবার আগে এই অভ্যাসে রাশ টানতে হবে। খুব বেশি চিনি খেলেও কিন্তু কিডনির ক্ষতি হয়। এ ছাড়া প্রক্রিয়াজাত খাবার কিংবা প্যাকেটবন্দি খাবারেও নুন ও চিনি বেশি মাত্রায় থাকে, তাই এগুলিও বেশি না খাওয়াই ভাল।

চিকিৎসা ও পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন।
ডাঃ মোঃ ইসরাফিল মিয়া
বি এ এম এস (হাঃবিঃ)
চর্ম, যৌন, লিভার ও কিডনি রোগে অভিজ্ঞ
মেডিকেল অফিসার
নূর -মজিদ আয়ুর্বেদিক কলেজ ও হাসপাতাল
বাড়ি #৯, মেইন রোড, ব্লক #এফ, বনশ্রী, রামপুরা,
ঢাকা
মোবাইলঃ ০১৭৩৫৫২৫৩৩৩

07/07/2025

Kidney Patients Diet: কিডনির অসুখ ধরা পড়েছে? কোন খাবারে জব্দ হবে রোগ

কিডনির অসুখে খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে বেশ সচেতন থাকতে হয়। ঠিক কতটা জল খাবেন, সেই বিষয়েও চলে আসে নানা বিধি-নিষেধ। রোজের খাদ্যতালিকায় কী রাখবেন?

কিডনির সমস্যায় ভুগছেন এমন রোগীদের ডায়েটে কি রাখা যায়, সে সম্পর্কে অনেকরই স্পষ্ট ধারণা নেই।
কিডনির সমস্যায় ভুগছেন এমন রোগীদের ডায়েটে কি রাখা যায়, সে সম্পর্কে অনেকরই স্পষ্ট ধারণা নেই।

কিডনির অসুখ ধরা পড়ে অনেকটা দেরিতে। অনেক ক্ষেত্রেই একটি কিডনি বিকল হয়ে গেলেও কাজ চলতে থাকে অন্যটি দিয়ে।

ফলে ক্ষতি সম্পর্কে আগে থেকেই আঁচ করা যায় না। প্রায় ৮০-৯০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত সে সম্পর্কে খুব একটা সচেতন হই না আমরা। কিডনির অসুখে খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে বেশ সচেতন থাকতে হয়। ঠিক কতটা পানি খাবেন, সে বিষয়েও চলে আসে নানা বিধি-নিষেধ।

কিডনির সমস্যায় ভুগছেন এমন রোগীদের ডায়েটে কি রাখা যায়, সে সম্পর্কে অনেকরই স্পষ্ট ধারণা নেই। তাই কিডনির রোগকে বাগে আনতে কী খাওয়া উচিত জেনে নিন।

১) ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি, ক্যাপসিকামে রয়েছে ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন কে, সি, বি৬, ফলিক অ্যাসিড, ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এই সব উপাদান দেহের ক্ষতিকারক ফ্রি র‌্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে কাজ করে কিডনিকে শক্তিশালী করে।

২) জাম, স্ট্রবেরি,আপেল, ব্লুবেরি, আনারস, লাল আঙুরের মতো ফল কিডনি ভাল রাখতে সাহায্য করে।

৩) পেঁয়াজ ও রসুনে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট কিডনির পক্ষে বেশ ভাল।

৪) আদা দেহের রক্ত চলাচল বাড়িয়ে কিডনিকে সচল রাখতে সাহায্য করে, ফলে কিডনির কার্যকারিতা বেড়ে যায়।

৫) কিডনি রোগীদের রান্না অলিভ অয়েলে করাই শ্রেয়। এই সেলে ফসফরাস থাকে না, তাই কিডনির স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এই তেল বেশ উপকারী।

৬) কোনও রোগীর সপ্তাহে দু’-তিন বার করে ডায়ালিসিস চলছে মানেই কিডনির কাজ হচ্ছে, কৃত্রিম ভাবে। এর ফলে বেশ কিছু পরিমাণে প্রোটিনের ক্ষয়ও হচ্ছে। তাই শরীরে সঠিক মাত্রায় প্রোটিনের জোগান দেওয়া ভীষণ জরুরি।

৭) এমন রোগীরা মুরগির মাংস খেতে পারেন। তবে চামড়া ছা়ড়ানো চিকেন যেন হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। ডিমের সাদা অংশ, মাছ, দুধ বা দই থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে।

চিকিৎসা ও পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন।
ডাঃ মোঃ ইসরাফিল মিয়া
বি এ এম এস (হাঃ বিঃ)
চর্ম, যৌন, লিভার এবং কিডনি রোগে অভিজ্ঞ
মেডিকেল অফিসার
নূর - মজিদ আয়ুর্বেদিক কলেজ ও হাসপাতাল
বাড়ি নং ৯, মেইন রোড, ব্লক -এফ, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা
মোবাইল ঃ০১৭৩৫৫২৫৩৩৩

থাইরয়েডের সমস্যায় যেভাবে আয়ুর্বেদিক প্রক্রিয়াকে কাজে লাগাবেন! জানুনওষুধের সঙ্গেই প্রাকৃতিক বিষয়কেও মাথায় রাখুন……আয়ু...
31/07/2024

থাইরয়েডের সমস্যায় যেভাবে আয়ুর্বেদিক প্রক্রিয়াকে কাজে লাগাবেন! জানুন
ওষুধের সঙ্গেই প্রাকৃতিক বিষয়কেও মাথায় রাখুন……

আয়ুর্বেদ এমন এক প্রাচীন পদ্ধতি যার কাছে যেকোনও রোগের কারণ থেকে শুরু করে প্রতিষেধক সব কিছুই উপলভ্য।

ঠিক তেমনই আন্ত্রিক সমস্যা কিংবা হরমোনের সমস্যা, চিকিৎসকের পরামর্শ যেমন নেবেন তেমন একে নির্মূল করতে গেলে সবথেকে বেশি প্রয়োজনীয়, আয়ুর্বেদের আশ্রয় নেওয়া।

তেমনই প্রতি ঘরের একটি সমস্যা হল থাইরয়েড – যাকে বেশিরভাগ মানুষ খারাপ হিসেবে বিবেচনা করলেও এর সম্পর্কে অনেক কিছু জানা দরকার।

থাইরয়েড এন্ডোক্রাইন সিস্টেমের মূল এবং প্রধান বিষয়। এটি যে শুধু মানুষের শরীরে খারাপ কিছু করে এমনটা একেবারেই নয়।

বরং দেখা যায়, থাইরয়েড ইমব্যালেন্স হলে দৈহিক অন্যান্য হরমোন অনেক সময় গোলমাল পাকায় সঙ্গেই মেটাবোলিজম ঘাটতি সৃষ্টি করে, দৈহিক এনার্জি কমিয়ে দিতে পারে।

থাইরয়েড হরমোন কমে গেলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয়?

১)হঠাৎ করেই জ্বর, গায়ের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া

২)ওজনের হঠাৎ হ্রাস বৃদ্ধি এগুলি খুব সাধারণ বিষয়!

৩) মেটাবোলিজম একেবারেই হ্রাস পায়।

৪)শারীরিক শক্তি একদম থাকে না। কীভাবে? এটি খাদ্য থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি যেমন শুষে নিতে পারে তেমনই খাবার হজম হতেও যথেষ্ট সাহায্য করে।।

৫)আবার অনেক সময় দেখা যায়, থাইরয়েড আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি কাজে লাগায়, ফলেই চুলের গ্রোথ হয়, চুল কম পরে।

৬)আবার অনেক সময় দেখা যায় এর কারণে মেনস্ট্রুয়েশন সাইকেল ঝামেলা করতে পারে।

৭)সব গুরুতর সমস্যা গুলির মধ্যে একটি হল, হার্টের সমস্যা। অনেক সময় এর কারণে হার্টবিট বেড়ে যায় সঙ্গেই মেজাজ খারাপের মত সমস্যা দেখা যায়।

সুতরাং থাইরয়েড বেড়ে যাওয়া যেমন খারাপ তেমনই কমে যাওয়া আরও খারাপ।

এটিকে সঠিক মাত্রায় রাখতে যে ধরনের পন্থা অবলম্বন করবেন?

ওষুধ ছাড়াও এটিকে নিজের আয়ত্বে রাখার বেশ কিছু উপায় আছে। যেমন?

১) সকালে প্রথম কাজটি করার পরেই বিছানায় বসে উজ্জয়ী প্রাণায়াম করুন রোজ ১১ বার করে যোগ সাধনা করলেই লাভ পাবেন।

২)সঠিক পরিমাণে ঘুম খুব দরকার। বেশি রাত করে নয়। খেয়াল রাখবেন যেন, ৭/৮ ঘণ্টা ঘুম অবশ্যই ঘুমান। ঘর অন্ধকার থাকলেই ভাল।

এগুলো একটু মাথায় রাখুন, তাহলেই সমস্যার সমাধান হবে।

চিকিৎসা ও পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন।

ডাঃ মোঃ ইসরাফিল মিয়া
বি এ এম এস (হাঃবিঃ)
চর্ম, যৌন, লিভার এবং কিডনি রোগে অভিজ্ঞ
চেম্বারঃ নূর মজিদ আয়ুর্বেদিক কলেজ হাসপাতাল
বাড়ি #৯, মেইন রোড, ব্লক # এফ, বনশ্রী, রামপুরা,
ঢাকা ১২১৯
মোবাইলঃ ০১৭৩৫৫২৫৩৩৩

ঘুরে -ফিরে আসে সোরিয়াসিস( Psoriasis) Psoriasis can be dangerous, if not treated on timeত্বকের এই অসুখ ফেলে রাখলে তা বাড়...
14/07/2024

ঘুরে -ফিরে আসে সোরিয়াসিস( Psoriasis)

Psoriasis can be dangerous, if not treated on time
ত্বকের এই অসুখ ফেলে রাখলে তা বাড়তেই থাকবে। সময়মতো চিকিৎসা শুরু করলে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন সোরিয়াস।

শরীরের ভিতরের কলকব্জা বিগড়ে গেলে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ডাক্তারের কাছে ছুটি। হরেক রকম পরীক্ষা, ওষুধ, ইঞ্জেকশন, মাপা খাওয়াদাওয়া চলতে থাকে ঘড়ি ধরে। উদ্দেশ্য একটাই, রোগ যেন বেশি দিন কাবু করে রাখতে না পারে।

ত্বকের কিছু রোগের ক্ষেত্রে কিন্তু এমন সচেতনতা দেখা যায় না। খুব বাড়াবাড়ি না হলে অনেকেই চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না। অথচ, উপযুক্ত চিকিৎসা না পেলে ত্বকের অসুখও যথেষ্ট সমস্যায় ফেলতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে, ফেলে রাখলে তা থেকে নানা অসুখও হতে পারে।

যেমন, সোরিয়াসিস। পরিচিত রোগ। প্রচুর মানুষ ত্বকের এই সমস্যায় ভোগেন। সবচেয়ে বড় কথা, এই রোগ ক্রনিক। অর্থাৎ এ রোগ থেকে একবারে রেহাই মেলে না। বার বার এ অসুখ ঘুরেফিরে আসে।

কয়েক সপ্তাহ স্বমহিমায় থাকে, তার পর আবার কিছু দিনের জন্য চুপচাপ হয়ে যায়। পরে আবার দেখা দিতে পারে এই ধরনের সমস্যা। কিন্তু এমনটা কেন হয়? এ অসুখের চিকিৎসাই বা কী? এ বার একে একে জানব...

সোরিয়াসিস কী?

সোরিয়াসিস আসলে ত্বকের এক বিশেষ ধরনের ক্রনিক সমস্যা। আমাদের ত্বকের দু’টি প্রধান স্তর থাকে— বাইরের অংশটিকে বলা হয় এপিডার্মিস, এবং ভিতরের ত্বককে ডার্মিস।

এপিডার্মিসের উপরের দিকে থাকে মৃত কোষ বা কেরাটিন। নির্দিষ্ট সময় অন্তর এই মৃত কোষ ঝরে গিয়ে নীচে থাকা সজীব কোষগুলি উপরে উঠে আসে। আবার তা এক সময়ে খসে পড়ে।

এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকে। কোনও অবস্থায় যদি এই প্রক্রিয়ায় গোলমাল ঘটে, তা হলেই সোরিয়াসিস দেখা দেয়।

‘‘সাধারণত ২৮ দিন অন্তর ত্বকের এই বদলে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি অর্থাৎ ‘এপিডার্মিস টার্নওভার’ চলতে থাকে। কিন্তু কখনও কখনও তা কমে আসে। এমনকি ৩-৪ দিনের মাথাতেও এপিডার্মিস টার্নওভার হয়। এই অবস্থাই সোরিয়াসিস।’’

লক্ষণ কী?

সোরিয়াসিসের গোড়ার দিকে লালচে গুটির মতো প্যাচ দেখা যায়।

ধীরে ধীরে ত্বকের এই অংশগুলি পুরু হয়ে ওঠে।

কখনও আবার তা অত্যন্ত শুষ্ক হয়ে ফেটে যেতে থাকে, ছাল ওঠে, চুলকানি হয় বা জ্বালা করতে থাকে।

সোরিয়াসিস মূলত বুক, পিঠ, কনুই, পায়ে দেখা যায়। তবে, মাথাতেও সোরিয়াসিস হয়।

‘‘মাথায় অনেক সময়ে অত্যধিক খুশকি দেখা দিলে, সেটাও এই রোগেরই ফল হতে পারে।

এতে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার, নেল সোরিয়াসিস নখে গর্ত তৈরি করে, নখের রং বদলে যায়। চিকিৎসা না করালে নখ উঠে আসতে পারে।

’’ যদি ত্বকের অনেকটা জায়গা লাল হয়ে ফুলে যায় এবং তার সঙ্গে ব্যথা বা অস্বস্তির ভাব থাকে, তা হলে সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

অভিজ্ঞ চিকিৎসক সাধারণত পারিবারিক ইতিহাস জেনে নিয়ে এবং উপসর্গগুলি দেখেই রোগ নির্ণয় করতে পারেন। তবে, কিছু ক্ষেত্রে স্কিন বায়পসিরও প্রয়োজন হয়।

সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস ঠিকমতো চিকিৎসা না করিয়ে ফেলে রাখলে বা নিয়মিত ওষুধ না খেলে পরবর্তী কালে সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিসের সম্ভাবনা থাকে। এতেও সাধারণ আর্থ্রাইটিসের মতোই গাঁটে ব্যথা হয় এবং জয়েন্টগুলো ফুলে যায়।

তবে এমনও দেখা গিয়েছে, শরীরে সোরিয়াসিসের অন্য লক্ষণগুলি অনুপস্থিত। অথচ, হাত এবং পায়ের আঙুল আক্রান্ত হয়েছে এই রোগে। সাধারণত সোরিয়াসিসের রোগীদের ক্ষেত্রে ১০-৩৫ শতাংশের মধ্যে সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিছু ক্ষেত্রে পাকাপাকি ভাবে জয়েন্টগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

রিস্ক ফ্যাক্টর কী কী?

সোরিয়াসিস কেন হয়, তার কারণ এখনও অস্পষ্ট। সাধারণত মনে করা হয়, কিছু জিনগত এবং পরিবেশগত কারণে এই রোগ হতে পারে।

‘কোনও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় সোরিয়াসিস হয় না। তবে রোগটা শরীরে উপস্থিত থাকলে কিছু কিছু ওষুধ সেবন করলে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় রোগ বৃদ্ধি পেতে পারে।

অত্যধিক স্ট্রেসজনিত কারণেও সোরিয়াসিস হয়। কারণ স্ট্রেসের ফলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক দুর্বল হয়ে যায়।

অতিরিক্ত মদ্যপান, ধূমপান, স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া বা চড়া রোদও এই ক্ষেত্রে রিস্ক ফ্যাক্টর।’’ তাই এ সব যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে পারলেই ভাল।

কিছু জরুরি কথা

•সোরিয়াসিস কোনও ছোঁয়াচে অসুখ নয়। এটি মূলত জিনঘটিত রোগ। তাই রোগীর ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে চলার প্রয়োজন নেই।

•এই রোগে বেশি ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয়। গ্লিসারিনযুক্ত সাবান বা বেবি সোপ ব্যবহার করা যেতে পারে। ময়শ্চারাইজ়ার বা নারকেল তেলও এ রোগে বেশ উপকারী।

•পোশাক ফুলস্লিভ এবং সুতির হওয়াই বাঞ্ছনীয়। কারণ সিন্থেটিক জাতীয় পোশাক এই রোগ বৃদ্ধি করে।

•বিশেষ নজর রাখতে হবে খাওয়াদাওয়ার দিকেও। রোজ অন্তত দু’ধরনের মরসুমি ফল রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল খেতে পারলে সবচেয়ে ভাল। প্রোটিনের পরিমাণও বাড়াতে হবে।

•সর্বোপরি, নিয়মিত চিকিৎসা করাতে হবে। মনে রাখতে হবে, সোরিয়াসিস মোটামুটি সারা জীবনের সঙ্গী। তাই নিয়মিত ওষুধ খাওয়া এবং চিকিৎসকের পরামর্শমতো চলা এ ক্ষেত্রে খুব জরুরি।

নিজের ইচ্ছেমতো দোকান থেকে ওষুধ কিনে খাওয়া বা হঠাৎ চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়া— দুই-ই সমান ক্ষতিকর।

এই রোগ একেবারে সেরে যায় । যদি আপনি আয়ুর্বেদিক এবং ইউনানী চিকিৎসকের কাছে থেকে চিকিৎসা নেন তাদের পরামর্শ মেনে ঔষধ খান তবে রোগ নিরাময় হবে। তাদের কিন্তু সফলতা অনেক বেশি।

আবার যদি অন্য কোনো চিকিৎসা বিজ্ঞানে ঔষধ খান তবে রোগ নিরাময় হবে না। আপনি কিন্তু আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন । জটিলতাও বাড়তে থাকবে। তাই রোগকে কাবু করতে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

চিকিৎসা ও পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন।
ডাঃ মোঃ ইসরাফিল মিয়া
বি এ এম এস (হাঃবিঃ)
চর্ম,যৌন, লিভার এবং কিডনি রোগে অভিজ্ঞ
চেম্বারঃ নূর মজিদ আয়ুর্বেদিক কলেজ হাসপাতাল
বাড়ি # ৯, মেইন রোড, ব্লক # এফ, বনশ্রী, রামপুরা,
ঢাকা ১২১৯
মোবাইলঃ ০১৭৩৫৫২৫৩৩৩

How to know your liver health? Early signs আপনার কি লিভারে সমস্যা দেখা দিচ্ছে? জেনে নিন প্রাথমিক লক্ষণক্রমশই জাঁকিয়ে বসছ...
12/07/2024

How to know your liver health? Early signs
আপনার কি লিভারে সমস্যা দেখা দিচ্ছে? জেনে নিন প্রাথমিক লক্ষণ

ক্রমশই জাঁকিয়ে বসছে লিভারের সমস্যা। অনিয়মিত লাইফস্টাইল, স্ট্রেস, শরীরচর্চার অভাবের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে লিভার। আমাদের অজান্তেই অবাধে বেড়ে চলেছে সমস্যা। কী ভাবে বুঝবেন আপনার লিভার ঠিক ঠাক কাজ করছে কিনা? নাকি কোনও সমস্যা দেখা দিচ্ছে?

জেনে নিন কিছু প্রাথমিক লক্ষণ।

অতিরিক্ত ক্লান্তি

নেগেটিভ ইমোশন(রাগ, উৎকণ্ঠা, ভয়, একাকীত্ব বা আত্মবিশ্বাসের অভাব)

মাথা কাজ না করা, মাথা খাটাতে ইচ্ছা না করা

ক্রমাগত মাইগ্রেন(চোখের পিছনে ব্যথা)

হাড়ের জয়েন্ট বা পেশিতে ক্রমাগত যন্ত্রণা

অতিরিক্ত ঘাম হওয়া

ফ্যাট জাতীয় খাবার হজম করতে না পারা

গল ব্লাডারে সমস্যা

অ্যালার্জি

অ্যাকনে বা ত্বকের অন্য সমস্যা

পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া

হরমোনের সাম্য নষ্ট হওয়া

উৎকণ্ঠা ও অবসাদ

রাসায়নিক থেকে বিক্রিয়া

নিশ্বাসে দুর্গন্ধ

অকারণ ওজন বৃদ্ধি

এর মধ্যে কোনও সমস্যা যদি আপনার দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই সাবধান হন। একাধিক সমস্যা দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ ধরা পড়লে চিকিৎসা অনেক সহজ। দেরি করলে কষ্টসাপেক্ষ ও খরচসাপেক্ষ হয়ে পড়ে চিকিৎসাও।

চিকিৎসা ও পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন।
ডাঃ মোঃ ইসরাফিল মিয়া
বি এ এম এস (হাঃবিঃ)
চর্ম,যৌন, লিভার এবং কিডনি রোগে অভিজ্ঞ
চেম্বারঃ নূর মজিদ আয়ুর্বেদিক কলেজ হাসপাতাল
বাড়ি #৯, মেইন রোড,ব্লক # এফ, বনশ্রী, রামপুরা,
ঢাকা ১২১৯
মোবাইলঃ ০১৭৩৫৫২৫৩৩৩

Five early sign of prediabetes বাবা-মায়ের ডায়াবিটিস আছে? শরীরে ৫ উপসর্গ দেখলে আগেভাগেই সতর্ক হোন, রক্তে বাড়তে পারে শর্ক...
10/07/2024

Five early sign of prediabetes

বাবা-মায়ের ডায়াবিটিস আছে? শরীরে ৫ উপসর্গ দেখলে আগেভাগেই সতর্ক হোন, রক্তে বাড়তে পারে শর্করা
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে তা বেড়ে যাওয়ার উপসর্গগুলিকেও চেনা অত্যন্ত জরুরি। নইলে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করা অসম্ভব। সাধারণত, শরীরের বেশ কিছু লক্ষণের প্রতি সজাগ থাকলেই এই অসুখ সম্পর্কে সচেতন হওয়া যায়।

ডায়াবিটিস শরীরে বাসা বাঁধার অর্থই হল জীবনে চলে আসে একের পর এক বিধি-নিষেধ। একটু বেনিয়ম হলেই এই রোগের হাত ধরে ধুঁকি বাড়ে আরও হাজারটা রোগের, ক্ষতি হয় বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের। সাধারণত, ডায়াবিটিস দানা বাঁধলে প্রথম অবস্থাতেই টের পাওয়া যায় না। রক্তপরীক্ষা করিয়ে তা বুঝে নিতে অনেকটা সময় পেরিয়ে যায়। যে কোনও ক্রনিক অসুখের ক্ষেত্রে যত আগে অসুখের উপস্থিতি টের পাবেন, ততই ভাল।

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে তা বেড়ে যাওয়ার উপসর্গগুলিকেও চেনা অত্যন্ত জরুরি। নইলে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করা অসম্ভব। সাধারণত, শরীরের বেশ কিছু লক্ষণের বিষয়ে সজাগ থাকলেই এই অসুখ সম্পর্কে সচেতন হওয়া যায়।

কোন কোন উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হবেন?

১) শীতের আমেজেও অতিরিক্ত জল তেষ্টায় জিভ শুকিয়ে আসছে ঘন ঘন? এতটাই প্রবল হয়ে ওঠে এই সমস্যা যে, রাতেও বার বার ঘুম ভাঙে জলের প্রয়োজনে? শরীরে হঠাৎ এই সমস্যা দেখলে তা হতেই পারে ডায়াবিটিসের লক্ষণ। এই অসুখে শরীরের কোষ থেকে ফ্লুইড নেয় কিডনি। ফলে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা যায়।

২) ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়ে দৃষ্টিশক্তিতে। ঘোলাটে দেখা বা কোনও লেখার লাইন ভুল দেখেন বা ভুল পড়ার সমস্যা তৈরি হলে সচেতন হতে হবে।

৩) রক্তের অতিরিক্ত শর্করা বার করে দেওয়ার জন্য শারীরিক প্রক্তিয়া কিডনিতে চাপ দেয়। ফলে অনেকের ক্ষেত্রে ঘন ঘন প্রস্রাব পায়। তখন ঘন ঘন প্রস্রাব পায়। রক্তে শর্করা বে়ড়ে যাওয়ার কারণে ইস্ট সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে।

৪) হাত-পায়ে ঝিঁঝি ধরা ও সঙ্গে তা অবশ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আরও নানা কারণে এমনটা ঘটতেই পারে। তবে ডায়াবিটিস দানা বাঁধলেও এমনটা হয়।

৫) ব্যায়াম বা শরীরচর্চা না করেই কি ওজন হ্রাস পেয়েছে অনেকটা। আবার অনেকের ক্ষেত্রে অত্যধিক ওজন বেড়েও যায়। তাই হঠাৎ ওজন হ্রাস পেলে বা বৃদ্ধি পেলে সতর্ক হোন। শরীরের কোনও অংশে ঘা শুকোতে দেরি হচ্ছে? তা হলেও অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ দিন।

চিকিৎসা ও পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন।
ডাঃ মোঃ ইসরাফিল মিয়া
বি এ এম এস (হাঃ বিঃ)
চর্ম, যৌন, লিভার এবং কিডনি রোগে অভিজ্ঞ
চেম্বারঃ নূর মজিদ আয়ুর্বেদিক কলেজ হাসপাতাল
বাড়ি # ৯, মেইন রোড, ব্লক # এফ, বনশ্রী, রামপুরা,
ঢাকা ১২১৯
মোবাইলঃ ০১৭৩৫৫২৫৩৩৩

Unusual Symptoms of Diabetesঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ কিংবা ক্লান্তি নয়, ডায়াবিটিসের অচেনা ৭ লক্ষণ অনেকেরই অজানারক্তে শর্করা ...
07/07/2024

Unusual Symptoms of Diabetes
ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ কিংবা ক্লান্তি নয়, ডায়াবিটিসের অচেনা ৭ লক্ষণ অনেকেরই অজানা

রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আসে। কেটেছড়ে গেলে তা চট করে সারতে চায় না। জল খেলেও সহজে পিপাসা মেটে না।

দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিস রয়েছে। তাই এই রোগের উপসর্গ, লক্ষণ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা অনেকেরই আছে। রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আসে। কেটেছড়ে গেলে তা চট করে সারতে চায় না। জল খেলেও সহজে পিপাসা মেটে না। তা ছাড়া, ক্লান্তি তো আছেই।

তাই কারও এই ধরনের উপসর্গ দেখলেই তাঁকে সতর্ক করেন। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, রক্তে শর্করা বাড়তে থাকলে এমন কিছু সমস্যা দেখা দেয়, যা সাধারণত ডায়াবিটিসের বলে মনে হয় না। সেগুলি সম্পর্কে অনকের অজানা।

রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে কী ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়?

১) পিরিয়োডন্টিটিস:

সাধারণ দাঁতের রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে ডায়াবিটিস থাকলে। যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয় পিরিয়োডন্টিটিস। তাই যাঁদের ডায়াবিটিস রয়েছে, তাঁদের দাঁত কিংবা মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলেই সতর্ক হতে হবে।

২) ত্বকের সমস্যা:

রক্তে শর্করা বেশি হওয়ার প্রথম লক্ষণ ফুটে ওঠে ত্বকে। তেমন কোনও কারণ ছাড়াই শরীরের ভাঁজে ভাঁজে বিশেষ করে ঘাড়, গলা, কাঁধ, বাহুমূল, হাঁটু, কনুইয়ে কালচে ছোপ পড়তে দেখলেই সাবধান হতে হবে।ল ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ কমে গেলে রক্তে গ্লুকোজ়ের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৩) ঘন ঘন সংক্রমণ:

ডায়াবিটিস কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্রমশ দুর্বল করে দেয়। ফলে চট করে ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, চুলের গোড়ায় সংক্রমণ বা ফলিকিউলাইটিস, নখের কোণে পুঁজ জমে সংক্রমণ হওয়ার পিছনেও কিন্তু ডায়াবিটিসের হাত রয়েছে।

৪) দেখতে সমস্যা:

রক্তে শর্করা বেশি থাকলে চোখের মধ্যে থাকা রক্তবাহিকাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে কম বয়সেই দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে আসতে পারে। পাকাপাকি ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে রেটিনা। দূরের জিনিস দেখতে বা বই পড়তেও সমস্যা হয়।

৫) শ্রবণজনিত সমস্যা:

ডায়াবিটিস থাকলে শ্রবণযন্ত্রের উপরেও তার প্রভাব পড়ে। দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিস থাকলে চোখের মতোই কানের রক্তবাহিকা এবং স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই কানে কম শুনলেও রক্তের শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।

৬) মুখে ফলের গন্ধ:

ডায়াবেটিকদের মধ্যে ‘কেটোঅ্যাসিডোসিস’ খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। শরীরে ইনসুলিন হরমোনের অভাব হলে কিটোন নামক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে মুখে ফলের গন্ধ তৈরি হয়।

৭) ওজন এবং খাবারে পরিবর্তন:

রক্তে শর্করা বাড়তে থাকলে ওজনে পরিবর্তন আসা স্বাভাবিক। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ডায়াবিটিস হলে উল্টোপাল্টা খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তবে সকলের ওজন বেড়ে যাবে, এমনটা নয়। কারও কারও ক্ষেত্রে উল্টোটাও হতে পারে। হঠাৎ ওজনে হেরফের হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

চিকিৎসা ও পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন।
ডাঃ মোঃ ইসরাফিল মিয়া
বি এ এম এস (হাঃবিঃ)
চর্ম, যৌন, লিভার এবং কিডনি রোগে অভিজ্ঞ
চেম্বারঃ নূর মজিদ আয়ুর্বেদিক কলেজ হাসপাতাল
বাড়ি # ৯, মেইন রোড, ব্লক # এফ, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা১২১৯

Five breakfast mistakes diabetics should avoid to do Diabetes Controlডায়াবিটিস ধরা পড়েছে? প্রাতরাশের সময়ে ৫ ভুল রক্তের ...
06/07/2024

Five breakfast mistakes diabetics should avoid to do

Diabetes Control
ডায়াবিটিস ধরা পড়েছে? প্রাতরাশের সময়ে ৫ ভুল রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে

ঘুম থেকে উঠে অনেক ক্ষণ খালি পেটে থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। কখন খাচ্ছেন, তার পাশাপাশি কী খাচ্ছেন, সেটাও কিন্তু সমান ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। প্রাতরাশের তালিকায় এমন কিছু রাখবেন না, যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিতে পারে।

কেউ দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার কারণে, কেউ আবার কর্মব্যস্ততার কারণে অনেকেই দিনের প্রথম খাবার খান ১২টার পর। ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি কিন্তু অনেক শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। সেই পানিটুকুও খেতে ভুলে যান অনেকে।

এই অনিয়মের ফলে বাড়তে পারে ওজন। বিশেষ করে ডায়াবেটিকদের কিন্তু প্রাতরাশ এড়িয়ে যাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। ঘুম থেকে উঠে অনেক ক্ষণ খালি পেটে থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। কখন খাচ্ছেন, তার পাশাপাশি কী খাচ্ছেন সেটাও কিন্তু সমান ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। খাবারের মাধ্যমেই শরীরের প্রতিটি কোষে গ্লুকোজ সরবরাহ হয়।

তাই প্রাতরাশের তালিকায় এমন কিছু রাখবেন না, যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিতে পারে।

১) অনেকেই সকালের খাবারে রুটি কিংবা পাউরুটি খেতে বেশি পছন্দ করেন। ডায়াবিটিসের রোগীরা প্রাতরাশে কার্বহাইড্রেট একেবারেই কম খান। আলু, ময়দা কিংবা ভাত প্রাতরাশে রাখবেন না। এটি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রাকে আরও বা়ড়িয়ে দেয়।

২) ডায়াবিটিস থাকলে সকালের খাবারে ফাইবার থাকা জরুরি। প্রাতরাশে ফাইবার যুক্ত খাবার খেলে পেট অনেক ক্ষণ ভর্তি থাকে, পাশাপাশি রক্তে শর্কারার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ডায়াাবেটিকরা সকালের খাবারে ওট্স, ছোলা, কাবলি ছোলা রাখতেই পারেন।

৩) প্রাতরাশ কিন্তু রঙিন হওয়া উচিত। রঙিন সব্জি-ফলের মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে অনেক বেশি। এক বাটি পেঁপে, পেয়ারা, আপেল, বেদানা, নাসপাতি সব একসঙ্গে মিশিয়ে ফ্রুট স্যালাড বানিয়ে খেতেই পারেন। তবে ফলের এ ছাড়াও সুইট কর্ন, মাশরুম সিদ্ধ করে তাতে শসা, টোম্যাটো, পেঁয়াজ কুচি, সামান্য মাখন আর গোলমরিচের গুঁড়ো ছড়িয়ে খেতে পারেন।

৪) এ ক্ষেত্রে প্রাতরাশে বেশি মাত্রায় প্রোটিন রাখুন। চিকেন দিয়ে স্যালাড বানিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়াও ডিম বেশ উপকারী। প্রোটিন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবিটিস থাকে নিয়ন্ত্রণে।

৫) ফল খাওয়া স্বাস্থ্যকর হলেও প্যাকেবন্দি ফলের রস বাড়িয়ে দিতে পারে রক্তের শর্করার মাত্রা। ফলের রস না খেয়ে গোটা ফল খেতে পারেন প্রাতরাশে।

চিকিৎসা ও পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন।
ডাঃ মোঃ ইসরাফিল মিয়া
বি এ এম এস (হাঃবিঃ)
চর্ম, যৌন, লিভার এবং কিডনি রোগে অভিজ্ঞ
চেম্বারঃ নূর মজিদ আয়ুর্বেদিক কলেজ হাসপাতাল
বাড়ি # ৯, মেইন রোড, ব্লক # এফ, বনশ্রী, রামপুরা,
ঢাকা ১২১৯
মোবাইলঃ ০১৭৩৫৫২৫৩৩৩

Correlation Between Fatty Liver and Cancerদীর্ঘ দিন ধরে ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন? ক্যানসার সম্পর্কে সচেতন হওয়া প্রয়...
04/07/2024

Correlation Between Fatty Liver and Cancer
দীর্ঘ দিন ধরে ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন? ক্যানসার সম্পর্কে সচেতন হওয়া প্রয়োজন!
শরীরে জমা দূষিত পদার্থ বা ‘টক্সিন’ থেকে লিভার নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারে না। রক্তের মাধ্যমে বাহিত হয়ে সেই দূষিত পদার্থ অন্ত্রে পৌঁছে যায়। সেখান থেকেই শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ক্যানসার হতে পারে।

ফ্যাটি লিভার দু’রকম। অ্যালকোহলিক ও নন অ্যালকোহলিক। মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান থেকে লিভারে চর্বি জমলে তা অ্যালকোহলিক ফ্যাট। কিন্তু দ্বিতীয় ক্ষেত্রটি মূলত খাদ্যতালিকায় অতিরিক্ত, তেল, ফ্যাট জাতীয় উপাদান বেড়ে গেলে হয়। কখনও কখনও নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার বংশগত কারণেও হতে পারে।

সময় মতো সতর্ক না হলে এই ফ্যাটি লিভারের হাত ধরেই হানা দিতে পারে লিভার সিরোসিস। তবে বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ফ্যাটি লিভারের কারণে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়তে পারে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেও। মলাশয়, কিডনি, মূত্রাশয় কিংবা জরায়ুর ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

লিভারে অতিরিক্ত চর্বি বা ফ্যাট জমতে শুরু করলে এই অঙ্গটি তার নিজস্ব কার্যক্ষমতা হারাতে শুরু করে। শরীরে জমা দূষিত পদার্থ বা ‘টক্সিন’ থেকে লিভার নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারে না। রক্তের মাধ্যমে বাহিত হয়ে সেই দূষিত পদার্থ অন্ত্রে পৌঁছে যায়। প্রাথমিক ভাবে সেখান থেকেই প্রদাহ বা ইনফ্লেমেশন শুরু হয়।

২০২২ সালে সুইডেনের একটি গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, নন অ্যালকোহল-রিলেটেড ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তদের মধ্যে লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা ১২.১৮ শতাংশ বেশি।

২০২৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল হেল্‌থ ইনসিয়োরেন্স সার্ভিসের একদল গবেষক এই বিষয়টি নিয়ে আবার গবেষণা করেন। তাঁরা জানান, যাঁরা অ্যালকোহল বা মদ পান করেন, তাঁদের মধ্যে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সাধারণ মানুষের চেয়ে ২.৬০ শতাংশ বেশি।

ফ্যাটি লিভারের সঙ্গে ক্যানসারের যোগ কোথায়?

মদ বা অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় খান না, কিন্তু ফ্যাটি লিভারের সমস্যা রয়েছে— এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে, তাঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরই স্থূলত্ব রয়েছে

। দীর্ঘ দিন ধরে এই সমস্যা অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকলে লিভারে প্রদাহজনিত সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এমনকি, লিভার বিকল হয়ে যাওয়াও অসম্ভব নয়।

এই ধরনের ফ্যাটি লিভার থেকে সিরোসিস, হেপাটোসেলুলার কার্সিনোমায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।

আবার, অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকলে তা খাদ্যনালি, পিত্তথলি, ফুসফুস, থাইরয়েড গ্রন্থির ক্যানসার কিংবা লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে তোলে।

চিকিৎসা ও পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন।
ডাঃ মোঃ ইসরাফিল মিয়া
বি এ এম এস( হাঃ বিঃ)
চর্ম, যৌন, লিভার এবং কিডনি রোগে অভিজ্ঞ
চেম্বারঃ নূর মজিদ আয়ুর্বেদিক কলেজ হাসপাতাল
বাড়ি # ৯, মেইন রোড, ব্লক # এফ, বনশ্রী, রামপুরা,
ঢাকা ১২১৯
মোবাইলঃ ০১৭৩৫৫২৫৩৩৩

kidneyকিডনির অসুখ ধরা পড়েছে? কী খাবেন, কী খাবেন না, কিডনির অসুখে খাওয়াদাওয়ার বিষয় বেশ সচেতন থাকতে হয়। ঠিক কতটা জল খাবেন...
01/07/2024

kidney
কিডনির অসুখ ধরা পড়েছে? কী খাবেন, কী খাবেন না,

কিডনির অসুখে খাওয়াদাওয়ার বিষয় বেশ সচেতন থাকতে হয়। ঠিক কতটা জল খাবেন— সেই বিষয়েও চলে আসে বিধিনিষেধ।

অনেক ক্ষেত্রেই একটি কিডনি বিকল হয়ে গেলেও কাজ চলতে থাকে অন্যটি দিয়ে, ফলে ক্ষতি সম্পর্কে আগে থেকেই আঁচ করা যায় না।

কিডনির অসুখ ধরা পড়ে অনেকটা দেরিতে। অনেক ক্ষেত্রেই একটি কিডনি বিকল হয়ে গেলেও কাজ চলতে থাকে অন্যটি দিয়ে, ফলে ক্ষতি সম্পর্কে আগে থেকেই আঁচ করা যায় না। প্রায় ৮০-৯০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত সে সম্পর্কে খুব একটা সচেতন হই না আমরা। কিডনির অসুখে খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে বেশ সচেতন থাকতে হয়। ঠিক কতটা জল খাবেন— সেই বিষয়েও চলে আসে বিধিনিষেধ।

কিডনির অসুখে কী খাওয়া যেতে পারে?

১) বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি, ক্যাপসিকামে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন কে, সি, বি৬, ফলিক অ্যাসিড, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা দেহের ক্ষতিকারক ফ্রি র‌্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে কাজ করে কিডনিকে শক্তিশালী করে।

২) জাম, স্ট্রবেরি,আপেল, ব্লুবেরি, আনারস, লাল আঙুর ইত্যাদি কিডনি ভাল রাখতে সাহায্য করে।

৩) পেঁয়াজ ও রসুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কিডনির পক্ষে ভাল।

৪) আদা দেহের রক্ত চলাচল বাড়িয়ে কিডনিকে সচল রাখতে সাহায্য করে, ফলে কিডনির কার্যকারিতা বেড়ে যায়।

৫) কোনও রোগীর সপ্তাহে দু’-তিন বার করে ডায়ালিসিস চলছে মানেই কিডনির কাজ হচ্ছে, কৃত্রিম ভাবে। এর ফলে বেশ কিছু পরিমাণে প্রোটিনের ক্ষয়ও হচ্ছে। তাই শরীরে সঠিক মাত্রায় প্রোটিনের জোগান দেওয়া ভীষণ জরুরি। তাই চিকেন খাওয়া যেতে পারে। তবে চামড়া ছা়ড়ানো চিকেন খাবেন। ডিমের সাদা অংশ, মাছ, দুধ বা দই থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে।

কোন কোন বিষয়ে বেশি সচেতনতা থাকতে হবে?

জলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ

কিডনির অসুখে শরীরে যাতে অতিরিক্ত জল না জমে, সে কারণে যে কোনও ধরনের তরল খাওয়ার পরিমাণ কমাতে বলা হয়। অনেকে জল খাওয়ার পরিমাণ কমালেও সুপ, ফলের রস, ডাল ইত্যাদির মাধ্যমে তরল খাবার খেয়ে ফেলেন। নিয়ন্ত্রণ করতে হবে সেগুলিও।

পরিমিত নুন

নুনের মধ্যে অত্যধিক মাত্রায় সোডিয়াম থাকে যা কিডনির পক্ষে মোটেই ভাল নয়। এর জন্য এখন অনেকেই কম সোডিয়াম যুক্ত নুন খান। তবে বাড়ির খাবারে আপনি নুন কম-বেশি করে দিতে পারেন, সমস্যা তৈরি হয় প্যাকেটজাত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারে। কিডনির অসুখ হলে ‘জাঙ্ক ফুড’ এড়িয়ে চলাই ভাল।

নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা

কিডনির রোগীদের ডায়েট প্ল্যান করার সময় বিশেষ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। আগে জানতে হবে রোগী কোন স্টেজ রেনাল ডিজিজে আক্রান্ত। স্টেজ ১-এ ডায়েট এক রকম, আবার স্টেজ ৪-এ আর এক রকম।
এই রোগীদের নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করে জেনে নিতে হয়, রোগীর শরীরে ক্রিয়েটিনিন, ইউরিয়া, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদির মাত্রা কত। এর উপর নির্ভর করেই ঠিক করতে হবে রোগীর ডায়েট প্ল্যান।

চিকিৎসা ও পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন।
ডাঃ মোঃ ইসরাফিল মিয়া
বি এ এম এস (হাঃ বিঃ)
চর্ম, যৌন,লিভার এবং কিডনি রোগে অভিজ্ঞ
চেম্বারঃ নূর মজিদ আয়ুর্বেদিক কলেজ ও হাসপাতাল
বাড়ি # ৯, মেইন রোড, ব্লক # এফ, বনশ্রী, রামপুরা,
ঢাকা ১২১৯
মোবাইলঃ ০১৭৩৫৫২৫৩৩৩

Address

#9,Block#F, Main Road, Banasree,Rampura,Dhaka
Dhaka
1219

Telephone

+8801735525333

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Natural Cure Treatment of Kidney disease posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Natural Cure Treatment of Kidney disease:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram