Women's Care Hijama Centre

Women's Care Hijama Centre It is a Service oriented organization. It delivers only to women's.

21/08/2023

আসসালামু আলাইকুম।
বিভিন্ন কারণে দীর্ঘদিন হিজামা থেকে দূরে থাকার পর আবারো নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছি আলহামদুলিল্লাহ। অবশ্য একেবারেই যে কাজ বন্ধ ছিলো এরকম না ইমার্জেন্সি পেশেন্ট দেখা হয়েছে বেশ কয়েকজন। সেপ্টেম্বর মাস থেকে বিরতিহীনভাবে পেশেন্ট দেখা হবে ইনশাআল্লাহ। যারা হিজামা নিতে চান যোগাযোগ করতে পারেন।
ফোন: 01316684511

07/02/2023

ফেব্রুয়ারি মাসের হিজামার সুন্নাহ তারিখ 9,11,13 ফেব্রুয়ারি।

এপয়েন্টমেন্ট নিতে যোগাযোগ অথবা হোয়াটস আ্যপ করুন: 01316684511

31/01/2023

আম্মুর হঠাৎ ইনতেকালে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে (ইমার্জেন্সি পেশেন্ট দেখা ব্যতীত) সেন্টারের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ছিলো। আজ থেকে সেন্টারের সকল কার্যক্রম যথারীতি চালু থাকবে।

হিজামার এপয়েন্টমেন্ট নিতে যোগাযোগ অথবা হোয়াটসআ্যপ করুন: 01316684511

বি:দ্র: শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য ঢাকার ভিতরে হোম সার্ভিস দেয়া হয়।

উইমেনস কেয়ার হিজামা সেন্টার
ঠিকানা: যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুলের বিপরীতে চাইপাই চাইনিজ রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন গলি, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা- 1204

12/11/2022

নভেম্বর মাসের হিজামার সুন্নাহ ডেট
13, 15, 17 নভেম্বর।
হিজামা নিতে যোগাযোগ করুন অথবা হোয়াটসআ্যপ: 01316684511

ঢাকার ভিতরে হোম সার্ভিস দেয়া হয়।

13/10/2022

অক্টোবর মাসের হিজামার সুন্নাহ ডেট 13, 15, 17 অক্টোবর।
হিজামা নিতে যোগাযোগ: 01316684511
শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য ঢাকার ভিতরে হোম সার্ভিস দেয়া হয়।

13/09/2022

এ মাসে হিজামার সুন্নাহ ডেট
১৪ই সেপ্টেম্বর-বুধবার
১৬ই সেপ্টেম্বর-শুক্রবার
১৮ই সেপ্টেম্বর-রবিবার

হিজামার জন্য এ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে যোগাযোগ:
01316684511
বি:দ্র: ঢাকার ভিতরে শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য হোম সার্ভিস দেওয়া হয়।

15/08/2022

এ মাসের হিজামার সুন্নাহ ডেট ১৬আগস্ট-মঙ্গলবার,১৮আগস্ট-বৃহস্পতিবার,২০আগস্ট-শনিবার।
হিজামা নিতে যোগাযোগ:01316684511

13/08/2022

হিজামা কাদের জন্য ও কেন করবেন?

(১) যারা স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন।
(২) যাদের জয়েন্টগুলোতে ব্যাথা,ঘাড়, হাটু এবং কোমর ব্যথা আছে।
(৩) বৃদ্ধ বাবা-মা; যাদের বাতের ব্যথা আছে ।
(৪) যাদের প্রেসার এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে
(৫) যাদের শারিরীক যন্ত্রনায় ঘুম কম হয়।
(৬) দূর্বল লোকদের জন্য;,যারা অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যান।
(৭) যারা প্রতিদিন রাস্তায় চলাফেরা করেন এবং যারা ধুলাবালিতে কঠোর পরিশ্রম করেন।
(৮) ধূমপায়ীদের জন্য, যারা সিগারেট এর নিকোটিন বের করতে চান,
(৯) যারা শরীরের ভিতরের বিষাক্ত টক্সিন দূর করতে চান।
(১০) যারা শরীরে বিষাক্ত টক্সিন (Toxin) আছে কিনা যাচাই করতে চান।
১১। মাইগ্রেন জনিত দীর্ঘমেয়াদী মাথাব্যথা
১২। রক্তদূষণ
১৩। উচ্চরক্তচাপ
১৪। ঘুমের ব্যাঘাত (insomnia)
১৫। স্মৃতিভ্রষ্টতা (perkinson’s disease)
১৬। অস্থি সন্ধির ব্যাথা/ গেটে বাত
১৭। ব্যাক পেইন
১৮। হাঁটু ব্যাথা
১৯। দীর্ঘমেয়াদী সাধারন মাথা ব্যাথা
২০। ঘাড়ে ব্যাথা
২১। কোমর ব্যাথা
২২। পায়ে ব্যাথা
২৩। মাংসপেশীর ব্যাথা (muscle strain)
২৪। দীর্ঘমেয়াদী পেট ব্যথা
২৫। হাড়ের স্থানচ্যুতি জনিত ব্যাথা
২৬। থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা
২৭। সাইনোসাইটিস
২৮। হাঁপানি (asthma)
২৯। হৃদরোগ (Cardiac Disease)
৩০। গ্যাস্ট্রিক পেইন
৩১। মুটিয়ে যাওয়া (obesity)
৩২। দীর্ঘমেয়াদী চর্মরোগ (Chronic Skin Diseses)
৩৩। ত্বকের নিম্নস্থিত বর্জ্য নিষ্কাশন
৩৪। ডায়াবেটিস (Diabetes)
৩৫। ভার্টিব্রাল ডিস্ক প্রোল্যাপ্স/ হারনিয়েশান
৩৬। চুল পড়া (Hair fall)
৩৭। মানসিক সমস্যা (Psycological disorder)

♦Toxin কী ?

Toxin হচ্ছে এক ধরনের বিষ যা আপনাকে একবারে মেরে ফেলবে না কিন্তু তিলে তিলে কষ্ট দিবে। প্রতিদিনই আমাদের শরীরে বিভিন্ন ভাবে এই toxin গুলো প্রবেশ করে। যেমন : খাবার খাওয়ার মাধ্যমে , বাহিরের ভাজা পোড়া, ফলে বা মাছে থাকা ফরমালিন , পানিতে থাকা আয়রন বা আর্সেনিক , ধূমপানের অভ্যাস থাকলে। এছাড়াও আমাদের দেশের গাছ পালা কমে যাওয়ায় বায়ু দূষণ হচ্ছে ,বায়ু ভারী হচ্ছে আর আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস এর মাধ্যমে আমাদের দেহে প্রবেশ করছে সীসা , অ্যালুমিনিয়াম এর মত ইত্যাদি ক্ষতিকারক বস্তু।

হিজামার জন্য আপ্যোয়েন্টমেন্ট নিতে হোয়াটসআ্যপ/কল করুন: 01316684511

হোম সার্ভিস মহিলাদের জন্য শুধু মাত্র ঢাকা সিটি।

18/06/2022
️হিজামা কি?হিজামা একটি বিজ্ঞান সম্মত সুন্নতি চিকিৎসা,যা ইউনানী ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসারও অন্তর্ভুক্ত। হিজামার মাধ্যমে আমরা দূ...
13/02/2022

️হিজামা কি?
হিজামা একটি বিজ্ঞান সম্মত সুন্নতি চিকিৎসা,যা ইউনানী ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসারও অন্তর্ভুক্ত। হিজামার মাধ্যমে আমরা দূষিত রক্ত(toxin)বের করে ফেলি,ফলে ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি পায় নার্ভগুলো একটিভ হয়,শরিরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় যার ফলে শরির হয় সুস্থ,সবল এবং শক্তিশালী।
ইহা আরামদায়ক,সল্পখরচ,ঝামেলাহীন নিরাপদ ফলপ্রসূ চিকিৎসা।

✳️দূষিত রক্ত(Toxin) কি?
টক্সিন শরিরের নিরব ঘাতক।টক্সিন হল জৈব বিষ যা মানব দেহে প্রতি মুহূর্তে তৈরি হয়,আবার শরিরের নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থায় মল, মূত্র,ঘাম এবং নিঃশ্বাসের সাথে টক্সিন বের হয়ে যায়।যদি উৎপন্ন বর্জ্যের পরিমান নির্গত বর্জ্যের থেকে বেশি হয় তবে কিছু পরিমান এই দূষিত দেহে জমতে জমতে টক্সিনে পরিনত হয়।হজমে সমস্যা থাকলে,মলত্যাগে সমস্যা হলে,ঘাম না হলে,পরিমিত পানি পান না করলে শরিরে টক্সিন জমতে শুরু করে বা টক্সিন উৎপন্ন হওয়া সহজ হয়ে যায়।টক্সিন শরিরের কোষগুলোকে দূর্বল করে দেয়। যার ফলে আমরা অল্পতেই অসুস্থ হয়ে পড়ি।প্রতিদিন আমাদের শরীরে বিভিন্ন ভাবে এই টক্সিন গুলো উৎপন্ন হয়,যেমনঃ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে,বাহিরের ভাজাপুড়া,মাছে বা ফলে থাকা ফরমালিন,পানিতে থাকা আয়রন বা আর্সেনিক,ধুমপানের অভ্যাস থাকলে,বায়ূ দুষণের কারনে আমাদের শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের দেহে প্রবেশ করছে সীসা,অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি এর মত ক্ষতিকারক বস্তু সমুহ।মোটকথা প্রায় সকল মানব দেহেই টক্সিন বিদ্যমান,কারো পরিমানে কম অথবা বেশি।হিজামা/কাপিং এর মাধ্যমে আমরা নির্দিষ্ট পয়েন্ট থেকে ঐ সমস্যা লুকিয়া থাকা টক্সিনগুলো বের করে ফেলি।যার ফলে আপনি হবেন সুস্থ,সবল এবং শক্তিশালী।এই জন্যই সুস্থ অবস্থায় প্রতি চার মাস অন্তর হিজামা/কাপিং করা উত্তম।

✳️হাদিসঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন,”নিশ্চয়ই হিজামার মধ্যে রয়েছে নিরাময়(বুখারীঃ৫২৯৪)
⏩মানুষ চিকিৎসার জন্য যেসব উপায় অবলম্বন করে তন্মধ্যে হিজামাই হল সর্বোত্তম(আল হাকিমঃ৭৪৭০)
⏩খালি পেটে হিজামাই সর্বোত্তম, এতে শেফা ও বরকত রয়েছে এবং এর মাধ্যমে বোধ ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়(ইবনে মাজাহঃ৩৪৮৭)
⏩গরম বৃদ্ধি পেলে হিজামার সাহায্য নাও,কারন কারো রক্তচাপ বৃদ্ধি পেলে তার মৃত্যু হতে পারে(৭৪৮২)

✅হিজামায় যে সকল রোগের চিকিৎসা করা হয়ঃ-
*মাইগ্রেন
*মাথা ব্যথা
*বাত ব্যথা
*পেট ব্যথা
*কোমর ব্যথা
*পায়ে ব্যথা
*হাটু ব্যথা
*ঘাড়ে ব্যথা
*মাংস পেশির ব্যথা
*দীর্ঘ মেয়াদি মাথা ব্যথা
*মেরুদন্ড ব্যথা
*গোড়ালি ব্যথা
*স্পোর্টস ইঞ্জুরি
*হাই ব্লাড প্রেশার
*গেটে বাত
*চুল পড়া সমস্যা
*গ্যাস্টিক সমস্যা
*থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা
*কাশি,কফ ও ফুসফুসের সমস্যা
*রিউমাটয়েড আর্থ্রাটিস
*সায়েটিকা
*ঘুমের সমস্যা
*মানসিক সমস্যা
*হতাশা/অবসাদ/দুঃশ্চিন্তা
*স্মরন শক্তির দূর্বলতা
*চর্মরোগ
*প্যারালাইসিস
*কোলস্টরল
*সাইনোসাইটিস
*লিভারের সমস্যা
*গ্যাষ্টিক
*আলসার
*বডি ডিটক্স

উইমেন'স কেয়ার হিজামা সেন্টার
ঠিকানা: যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুলের বিপরীতে মালঞ্চ কমিউনিটি সেন্টারের গলি
যোগাযোগ: 01316684511

"হিজামা : একটি বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান"__________________________________হিজামা বা কাপিং থেরাপি মূলত একটি প্রাচীন চীনা চিকিৎ...
18/01/2022

"হিজামা : একটি বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান"
__________________________________

হিজামা বা কাপিং থেরাপি মূলত একটি প্রাচীন চীনা চিকিৎসা পদ্ধতি। খ্রি:পূ: ২০০০ সালে চীনে ও খ্রি:পূ: ১৫৫০ সালে মিশরে এর প্রচলন পাওয়া যায়। মধ্যপ্রাচ্যেও এর রয়েছে হাজার বছরের ইতিহাস।

শরীরের বিভিন্ন পয়েন্টে কাপ-জাতীয় বস্তু দিয়ে নেগেটিভ প্রেসার তৈরি করে চোষণ প্রক্রিয়া (sucking action) দ্বারা কাপ বসানো এলাকায় টিস্যু তরল জমে, রক্তনালী ফেটে গিয়ে লাল হয়ে যায়, রক্ত বের হয়ে জমে যায় (dry cupping)। কখনও স্কালপেল দিয়ে সামান্য কাটা হয়, ফলে কাপের ভেতর নেগেটিভ প্রেসারে রক্ত এসে জমে। সর্বোচ্চ ১০০ মি.লি.-২০০ মি.লি. পর্যন্ত রক্ত বের করা হয়ে থাকে (wet cupping)।

বর্তমান বিশ্বের অসংখ্য বডিবিল্ডার, রেসলার, ক্রীড়াবিদ, কুস্তিগির ও স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা নিয়মিত হিজামা করান। অলিম্পিকের অসংখ্য ক্রীড়াবিদকেও নিয়মিত হিজামা করাতে দেখা যায়। শরীরের বিভিন্ন প্রকার ব্যথা থেকে শুরু করে নানা প্রকার রোগ সারাতে এটা কার্যকরী । তাছাড়া ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে উৎসাহিত হওয়ায় মুসলিমদের মধ্যেও এটি দিন দিন বিখ্যাত হচ্ছে। তবে শারীরিক উপকারিতা বা রোগ উপশমের চিন্তা ছাড়াও নবীজি (সাঃ) এর সুন্নাত বলেই মুসলিমরা হিজামা করায় বেশী।

১৯৫০ সালে চীনা ও রাশিয়ান গবেষকদের যৌথ রিসার্চে কাপিং-এর কার্যকারিতা প্রমাণিত হওয়ায় এরপর পুরো চীনে এটা অফিসিয়াল চিকিৎসা পদ্ধতি (formal modality/ official therapeutic practice) হিসেবে গৃহীত হয়। মানে চীনে এটাই মেইনস্ট্রিম চিকিৎসা। ফলে পরবর্তীতে চীনে এর ওপর আধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করেই বহু রিসার্চ হয়েছে, আরও ডেভলপ হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমা মেডিকেল সায়েন্স কাপিং-কে এতকাল অপবিজ্ঞান, অপচিকিৎসা বলে এসেছে।

পশ্চিমা মেডিসিনের অন্ধ অনুসারী হিসেবে ৩য় বিশ্বের অনেক ডাক্তাররাও একে পাত্তা দেয়নি, এরপরও তুলনামূলক ভালো ফল পাওয়ার বদৌলতে ইউরোপ-আমেরিকা জুড়ে কাপিং থেরাপি ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পশ্চিমা একাডেমিয়া একে কীভাবে দেখছে একটু আলোচনা করা যাক।


[এক]

বিখ্যাত জার্নাল PLos One-এ একটি রিভিউ প্রকাশিত হয় ২০১২ সালে (Cao, 2012)। ৬ টা ডেটাবেস থেকে ১৯৫৮-২০০৮ সালে করা ৫৫০ রিসার্চ পেপার পাওয়া যায়।

যার অধিকাংশ জানাচ্ছে— যেকোনো ব্যথা, হার্পিস ভাইরাসঘটিত নার্ড ব্যথা, কাশি ও শ্বাসকষ্টে কাপিং-এর সম্ভাব্য উপকারিতা রয়েছে। এই সবগুলোর ওপর ৫ টা সিস্টেমেটিক রিভিউ হয়েছে, যেই ৫ টা আবার রিভিউ করে Lee et al. জানিয়েছেন, এটা শুধু ব্যথা জাতীয় রোগে কার্যকর। তবে রিসার্চগুলো Cochrane risk of bias tool মোতাবেক (যা দিয়ে রিসার্চের নিরপেক্ষতা যাচাই করা) হয়। দুর্বল।

এনারা কেবল ১৯৯২-২০১০ সালের মাঝে হওয়া ১৩৫ টা রিসার্চ রিভিউ করলেন, যার ১৩৫-টাই চীনা ভাষায়। মানে পশ্চিমা বিশ্ব এটা নিয়ে গবেষণাই করে নাই, যা করেছে সব চীনারা। দেখা গেল ৫৬ টা অসুখকে কাপিং দ্বারা চিকিৎসা করা হয়েছে পেপারগুলোতে। ৬ টা অসুখ প্রধান— হার্পিস জোস্টার, মুখের প্যারালাইসিস (Bell Palsy), কাশি-শ্বাসকষ্ট, ব্রন, কোমরে ডিস্ক প্রোল্যান্স, ঘাড়ের ব্যথা (spondylosis)।

তাঁরা বলছেন, ১৩৫ টার অধিকাংশই নিরপেক্ষতা যাচাইয়ে High risk of bias ক্যাটাগরির, বাকিগুলো unclear ক্যাটাগরির। একটাও Low risk ব্যাটাগরিতে পড়ে না। শেষে ওনারা বললেন, 'আমাদের রিভিউ অনুযায়ী তো কাপিং ওপরের অসুখগুলোয় কার্যকর, তবে স্পষ্ট তথ্যের জন্য আরও বেশি সাবজেক্টের ওপর আরও হাই-কোয়ালিটির গবেষণা দরকার। কেননা যেগুলোর ওপর আমরা রিভিউ করলাম, সেগুলো নিরপেক্ষ নয়।'

Harvard Health Blog-এ রিউম্যাটোলজিস্ট Robert H. Shmerling. MD. এর লেখাটা বেশ যুক্তিসংগত। PLos One-এ প্রকাশিত ২০১৫ সালের একটা রিভিউয়ের (Yuan, 2015) বরাতে তিনি বলেন, "কিছু প্রমান পাওয়া গেছে যে, ঘাড়ব্যথা ও কোমরব্যথাতে কাপিং দ্বারা উপকার পাওয়া গেছে, কিন্তু প্রমাণগুলো ফাইনাল সিদ্ধান্তে আসার জন্য খুব সীমিত।" কারণ হিসেবে তিনি জানান, "কাপিং নিয়ে হাই-কোয়ালিটি রিসার্চ সম্ভব হয়নি।"

▪ মেডিকেল সায়েন্সে হাই কোয়ালিটি রিসার্চ হলো double-blinded placebo controlled trials; যেখানে রোগী ও গবেষক কেউ-ই জানবে না যে, কাকে কী দেওয়া হলো— কোন রোগীকে আসল ওষুধ দেওয়া হয়েছে, আর কাকে ওষুধের মতো একটা 'কিছুই না’ (placebo) দেওয়া হয়েছে। ওষুধ নিয়ে পরীক্ষায় একটা ‘কিছুই না' বানানো সম্ভব, কিন্তু কাপিং এর সমতুল্য একটা 'কিছুই না' কীভাবে পাওয়া যাবে ?

• ব্যাথা জিনিসটা পরিমাপ করা কঠিন। আগে ব্যথা বেশি ছিল, এখন ব্যথা কম— এই মাপজোক কীভাবে হবে ?

কখনও কখনও placeba effect (ব্যথা কমার আশার কারণে ব্যথা কমে যাওয়া) খুব শক্তিশালী হয়। তো এখানে ব্যথা কাপিং এর কারণে কমলো, নাকি মানসিক কারণে কমলো— সেটা বোঝাও কঠিন।

▪ তবে, Shmerling সাহেব বলেন, আকুপাংচার যেমন ফেইক করে স্টাডি করা গেছে, কাপিং-এরও একটা ফেইক বের করা যাবে। আর যদি কাপিং আসলেই উপকারী হয়, তাহলে সেটা placebo effect-এর দরুন হয়েছে, নাকি কাপিং-এর নিজের কারণে হয়েছে, সেটা নগণ্য। উপকারী মানে উপকারী, ব্যস। কথা শেষ।

▪ কাপিং-বিশেষজ্ঞরা নানান অসুখে এই ঘেরাপি দিয়ে থাকেন। যেমন—

— শরীরের ব্যথা,

— চর্মরোগ,

— কোলেস্টেরল কমানো,

— মাইগ্রেন (আধকপালি ব্যথা),

— হাঁটু আর্থ্রাইটিস,

— রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে,

••• কোনো রিষ্ক আছে কি না, জবাবে Shmerling সাহেব বলেন :

"অধিকাংশ এক্সপার্ট একমত যে কাপিং নিরাপদ। আপনি যদি এক্কেবারে টায়টায় প্রমাণ চান চিকিৎসাটির ব্যাপারে, তাহলে আপনার কাপিং করানোর দরকার নেই। আর যদি মনে করেন, আপনি একটা ট্রাই নেবেন, একটা চিকিৎসা নিয়ে দেখবেন যেটা নিরাপদ এবং ব্যাথাজাতীয় ব্যারামে আরাম প্রদান করবে, তাহলে আপনি করাতে পারেন।"

[দুই]

এইবার খুব প্লেইন হিসেবে আসেন। রক্ত তো অনেকেই দিয়েছেন। জেনে থাকবেন যে, রক্তদাতার শরীরের জন্য মাঝে মাঝে রক্তদান (blood donation) দারুণ উপকারী। এখন অব্দি রক্তদানের যে যে কল্যাণ জানা গেছে—

••• হৃদরোগ থেকে সুরক্ষা :

২০১৯ সালের এক গবেষণায় ১,৬০,০০০ নারীর ডেটা দেখা হয়, যারা কমপক্ষে ১০ বছর ধরে রক্ত দিয়ে এসেছেন। রিসার্চে উপসংহার টানা হয়, দীর্ঘদিন বার বার রক্ত দিলে হার্ট-এট্যাক ও স্ট্রোক জাতীয় অসুখবিসুখ থেকে সুরক্ষিত থাকা যায় (Peffer, 2019)।

ফিনল্যান্ডের গবেষকদের মতে, রক্তদাতার হার্ট-এট্যাক হবার আশঙ্কা ৮৮% কম, যারা দেয় না তাদের চেয়ে রক্তদাতা ৩ ভাবে উপকৃত হন—

দেহে আয়রনের মাত্রা বেশি থাকা-টা হার্ট এট্যাকের (acute myocardial infarction) একটা রিস্ক ফ্যাক্টর, রক্ত দিলে তাত্ত্বিকভাবে এই আয়রনের মাত্রা কমে।

••• কিছু রিসার্চ জানাচ্ছে, রক্ত দিলে রক্তের প্রেসারও কমতে পারে। ২০১৫ সালে বিজ্ঞানীরা ২৯২ জন ডোনারের ব্লাডপ্রেসার পর্যবেক্ষণ করেন, যারা বছরের ১-৪ বার রক্ত দিয়ে থাকে। এদের অর্ধেকেরই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল। প্রেসারের সমস্যা যাদের ছিল, তারা বেশ উন্নতি লক্ষ করল। যত বার রক্ত দিয়েছে, উন্নতি ততই স্পষ্ট হয়েছে (Kamhieh Milz, 2016) |

••• Dr. Gregory Sloop জানিয়েছেন, রক্ত দিলে রক্তের সান্দ্রতা (গাঢ়ত্ব) কমে। গাঢ় রক্ত হার্ট-এট্যাক, স্ট্রোক ইত্যাদির (cardiovascular disease) রিস্ক বাড়ায়। তিনি বছরে কমপক্ষে একবার রক্ত দেবার পরামর্শ দিয়েছেন।

••• ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা :

নিয়মিত রক্তদান দেহ থেকে যে অতিরিক্ত আয়রন বের করে ফেলে, সেটাকে ক্যান্সারেরও বিরাট ঝুঁকির জিনিস মনে করা হয়। অধিক আয়রন অধিক ফ্রী-রেডিক্যাল বা অক্সিডেন্ট তৈরি করে, যা ক্যান্সার সৃষ্টিতে মূল ভূমিকা রাখে (iron catalyzed free radical mediated oxidative stress) (Zacharski, 2008)।

রক্তদাতা লিভার, ফুসফুস, কোলন ও পাকস্থলীর ক্যান্সার থেকে তুলনামূলক নিরাপদ থাকেন (Gustaf, 2008)।

••• ২০০৭ সালে গবেষকেরা ১ মিলিয়ন রক্তদাতার ডেটা দেখেন। দেখা গেল, অসুখবিসুখে তাদের মৃত্যুর আশঙ্কা ৩০% কম, ক্যান্সারের আশঙ্কা ৪% কম। সিদ্ধান্তে এলেন, রক্তদাতারা গড় হারের চেয়ে বেশি সুস্বাস্থ্য উপভোগ করেন (Edgren, 2007) |

২০১৫ সালের এক স্টাডিতে একই ডেটা নতুন করে চেক করা হলো। অন্যান্য প্রভাবকগুলো সমন্বয় করে গবেষকগণ জানালেন, বছরে একবার রক্ত দিলে শারীরিক অসুস্থতাজনিত মৃত্যুর রিস্ক গড়ে ৭.৫% কমে যায়। আরও এমন অসংখ্য বিষয় তুলে ধরা যাবে, যা সংক্ষিপ্ত পরিসরে বলা শেষ করা সম্ভব না।

এখানে উল্লেখ্য,

রক্ত দেবার সময় এক ব্যাগ মানে ৪০০ মি.লি. রক্ত দিই আমরা, আর ওয়েট কাপিং এও ১০০-৫০০ মি.লি. রক্ত টেনে নেওয়া হয়। দুটোই শিরার রক্ত (venous blood)। একই বেনিফিটগুলো কাপিং (হিজামা)-এ না পাবার কোনো কারণই নেই। তাই রক্ত দেবার দরুন রক্তদাতা যে যে উপকার পাবেন, কাপিং থেরাপিতেও রোগীর ঠিক সেই সেই উপকারই পাবেন আশা করা যায়।

এবার এপাশের গবেষণাগুলো দেখি কি বলতে চাচ্ছে।


[তিন]

▪ নরমাল শিরার রক্তের চেয়ে কাপিং-এ আসা রক্তে অক্সিডেন্টদের পরিমাণ অনেক বেশি (Suleyman, 2014) অর্থাৎ কাপিং দেহ থেকে ক্ষতিকর অক্সিডেন্ট সরিয়ে ফেলে, যা ক্যান্সার থেকে নিয়ে যত কঠিন কঠিন রোগের মূল কারণ। অর্থাৎ এখানে কাপিংটা উৎকৃষ্টমানের এন্টি-অক্সিডেন্ট প্রসেস হিসেবে কাজ করে।

▪ কাপিং এর ৩০ দিন পর শিরার রক্তে ভারী ধাতুর (Al, Zn, and Cad) মাত্রা ব্যাপক কমে গেছে (Nafisa, 2018)। ভারী ধাতু বেশি হারে অক্সিডেন্ট তৈরি করে অসুখ বানায়, আর বর্তমানে আমাদের মতো দূষিত পরিবেশে বসবাসকারী মানুষদের জন্য এই দিকটায় বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।

▪ beta thalassemia major, hemochromatosis, sideroblastic anemia— রোগের কারণে দেহে iron overload হয়, কাপিং এই অতিরিক্ত আয়রন সরিয়ে নেয় (Salah, 2014)। এগুলিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য তাই আয়রন-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য রোগ থেকে বাঁচতে হিজামা সহজ পথ্য হতে পারে।

▪ হিজামা স্বাভাবিকভাবেই রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলটা (LDL) কমিয়ে আনে (Majid, 2004)। ফলে রক্তনালীতে চর্বি জমে (atherosclerosis) হার্ট এট্যাক ও স্ট্রোকজাতীয় অসুখ থেকে সুরক্ষা দেয়। total cholesterol 9% কমে যাওয়া এবং HDL cholesterol (ভালোটা) ৩% বেড়ে যাওয়া যদিও খুব বেশি না, তারপরও বিবেচনার দাবি রাখে। তাই রক্তে চর্বি জমা বা হাই-কোলেস্টরেলের রোগীরা এই সমস্যার সহজ সমাধানে হিজামার দ্বারস্থ হতেই পারেন।

▪ হিজামা নিদ্রাহীনতা দূর করে ঘুমের কোয়ালিটি বাড়ায় (Selma, 2015)। অর্থাৎ নিদ্রাহীনতার শারীরবৃত্তীয় কারণগুলোকে দমন ও ঘুম সংশ্লিষ্ট বায়োলজিক্যাল বিষয়গুলোতে হিজামা ইতিবাচক প্রভাব রাখে বলে গবেষণায় পাওয়া গেছে।
ব্যথা-যন্ত্রণাঘটিত অসুখ উপশম করার প্রমাণও পাওয়া গেছে এই রিসার্চেই।

Address

401/20 Abul Kashem Jame Masjid, Khalpar Road, Kamrangirchor
Dhaka
1211

Telephone

+8801316684511

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Women's Care Hijama Centre posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram