E-consult BD

E-consult BD E-consult BD for your better Mental Health.

E-consult BD এর লক্ষ বাংলাদেশের মানুষের মাঝে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করার মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে ভুল ধরনা দূর করে সকলের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা। তাই আমরা ২০২১ সাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন মনোসামাজিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের মানুষকে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কে সচেতন করে যাচ্ছি।
E-consult BD এ বর্তমানে যে যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে, সেগুলো হলোঃ Counseling, Psy

chotherapy, Tele counseling, Workshops, Training, Emergency Mental Health support for Su***de Prevention, Campaign about Mental health, Moner Adda for unprivileged children, Mental Health support for Transgender women, Special support for Autism, Providing information about Mental Health.
আমাদের দেশে মানসিক স্বাস্থ্য অনেক বেশি অবহেলিত, শারিরীক ভাবে অসুস্থ হলে মানুষ সেবা নিতে পারে কিন্তু মানসিকভাবে অসুস্থ হলে নানান রকমের সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কারনে সেবা নিতে চায় না, তাই মানসিক স্বাস্থ্য সেবাকে সবার কাছে গ্রহনযোগ্য করার চেষ্টা করে যাচ্ছি আমরা।
মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে তৈরি হতে পারে নতুন সম্ভাবনার, বেঁচে যেতে পারে একএকটি সুন্দর জীবনফুল, শুনতে চাই জীবনের গল্প, ফুটাতে চাই হাসি, আমার দুঃখের মাঝে হাসি ফোটাতে ভালবাসি, এমন হাজারো গল্প সৃষ্টির লক্ষে E-consult BD এর পথ চলা।

ডিপ্রেশন বা বিষন্নতা একটি মারাত্মক মানসিক সমস্যা।যা একটা মানুষকে ভেতর থেকে শেষ করে দেয়।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, পৃথি...
03/02/2023

ডিপ্রেশন বা বিষন্নতা একটি মারাত্মক মানসিক সমস্যা।যা একটা মানুষকে ভেতর থেকে শেষ করে দেয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, পৃথিবীতে বর্তমানে প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন লোক এই বিষন্নতা ব্যাধিতে ভুগছে যা তাদেরকে অক্ষমতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বাংলাদেশেও দিন দিন বিষন্নতায় ভোগা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

ডিপ্রেশন বা বিষন্নতা থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রথমে বুঝতে হবে ডিপ্রেশন কি? কেন হয়? ডিপ্রেশনের লক্ষণগুলো কি? যদি একবার নিশ্চিত হতে পারেন আপনার এ রোগ আছে তবেই না সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে তা থেকে উপশম পেতে পারবেন।

ডিপ্রেশন কি...?
ডিপ্রেশন বা বিষন্নতা একটি মারাত্মক মানসিক সমস্যা।যা একটা মানুষকে ভেতর থেকে শেষ করে দেয়।যা আপনার অনুভূতি, চিন্তা-চেতনা ও কাজকর্মের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।ডিপ্রেশন 'Silent Killer' এর মতো মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।

ডিপ্রেশন যে কতোটা ভয়াবহ ব্যাধি যে ভুগেছে সে ছাড়া কেউ ই বুঝতে পারবে না।যা একটা সুস্থ মানুষের জীবনের সব কিছু উল্টো পাল্টা করে দেয়।তারা স্বাভাবিক লাইফের কোনো কাজ করতে পারে না, তারা খুলে হাসতে পারে না,ঠিক মতো কারো সাথে কথা বলতে পারে না,যে কোনো সময় কান্না করে।সে এক ভয়াবহ অবস্থা।যা কেউ বুঝতে পারে না।যা কাউকে বুঝানো যায় না।যা আমাদের আপন জনের সাথে ও সম্পর্ক নষ্ট করে।

অনেক সময় দু:খবোধ (Sadness) ও বিষন্নতাকে (Depression) এক বলে মনে করি। এ দুটো কিন্তু এক নয়। দু:খবোধ হলো সাময়িক মন খারাপ যা অল্প কিছু সময় পরেই ঠিক হয়ে যায়। এর জন্য কোন চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। অন্যদিকে, ডিপ্রেশন দীর্ঘকালীন সমস্যা। যা থেকে মুক্তি পাবার জন্য উপযুক্ত চিকিৎসার ও পরামর্শের প্রয়োজন হয়ে থাকে।

ডিপ্রেশনের লক্ষনগুলো হলো...
১.সবসময় মন খারাপ লাগে।
২.কিছু করতে ইচ্ছা করে না,কিছু করতে ভালো লাগে না।
৩.কোনো ব্যাপারে মনস্থির করতে সময় লাগে।
৪.যে কাজ আপনি সহজে করতে পারতেন,সে কাজ করে উঠতে না পারা।
৫.খুব ক্লান্ত লাগা।
৬.খুব অস্থির লাগা।
৭.ক্ষুদা না পাওয়া ও ওজন কমা(কিছু ক্ষত্রে এর উল্টো টা হয়,খাওয়া বেড়ে যাওয়া,ওজন বেড়ে যাওয়া)
৮.নিদ্রাহীনতা
৯.আত্মবিশ্বাসের অভাব বা আস্থা হারানো।
১০.নিজেকে অপদার্থ বা অকর্মন্য মনে করা।
১১.বিরক্ত লাগা।
১২.দিনের কোনো এক সময় বেশি বিষন্ন লাগা।
১৩.আত্মহত্যার কথা ভাবা।

আমরা এই সবকিছুর থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য নিজেকে ব্যস্ত রাখি যাতে আমরা আরো ক্লান্ত হয়ে পরি।

কেনো হয় ডিপ্রেশন...?

কেনো এ রোগ হয় নির্দিষ্ট করে কারো পক্ষেই তা বলা সম্ভব না। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই কিছু কমন কারণ থাকে যার জন্য এ রোগের উৎপত্তি হতে পারে।

১. অপমানবোধ

মানসিক বা শারীরিকভাবে অবমাননার স্বীকার হলে অনেকে ডিপ্রেশন আক্রান্ত হয়।

২.নিরাপত্তাহীনতা বা একাকিত্বতা

সামাজিক ও পারিবারিক নিরাপত্তাহীনতার কারণে অনেকে ডিপ্রেশনের স্বীকার হয়। তাছাড়া, বাবা-মা, বন্ধু-বান্ধব বা অন্যান্য কাছের মানুষদের সাথে সম্পর্কহীনতা একাকিত্বতার কারণে ডিপ্রেশনে ভোগে।

৩.মৃত্যুশোক

কাছের মানুষের মৃত্যু অনেকের ক্ষেত্রে ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বাড়ায়।

৪.বংশগত প্রভাব

পরিবারে কারো ডিপ্রেশন থাকলে তা অন্যদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে।

৫.জীবনে বড় ধরনের পরিবর্তন

জীবনে বড় কোন পরিবর্তন ঘটলে তা থেকে অনেকে বিষন্নতায় ভুগে। চাকরি হারালে, অবসরে গেলে, আয় কমে গেলে, জায়গা পরিবর্তন করলে, বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটলে, এমনকি, নতুন বিয়ে করলেও অনেকে ডিপ্রেশনের শিকার হয়।

৬.বড় কোনো রোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

বড় ধরণের কোন রোগ থাকলে রোগী ডিপ্রেশনের শিকার হতে পারে।

৭.ঔষধের প্রভাব

নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ সেবনের ফলেও কেউ কেউ ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হয়। যেমন, ব্রণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত আইসোট্রেটিনিয়ন বা অ্যান্টিভাইরাল ‘ইন্টারফেরন-আলফা’ জাতীয় ঔষধ সেবনেও অনেকে ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন কারণে মানুষ ডিপ্রেশনে ভুগে থাকে। ব্যক্তিভেদে ডিপ্রেশনের কারণে পার্থক্য দেখা যায়।

ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায়ঃ
১.মেডিসিন

২. সাইকোথেরাপিইঃ ডিপ্রেশন আপনাকে অসহায় অবস্থায় পতিত করবে। ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন ধরণের থেরাপি ও চিকিৎসার পাশাপাশি নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। নিজের চেষ্টা না থাকলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া প্রায় অসম্ভব। নিজের প্রতিদিনের কাজকর্ম, খাওয়া-দাওয়া, জীবনপ্রণালী এমনকি চিন্তা-ভাবনায়ও পরিবর্তন আনতে হবে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির জন্য।

ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির জন্য নিচের পয়েন্টগুলো সহায়ক হতে পারেঃ

১.রুটিনমাফিক চলাঃ

ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিনের জীবনকে একটা রুটিনের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। প্রতিদিনের কাজ-কর্মকে যদি একটা নিয়মের মধ্যে বেঁধে ফেলা যায় তবে তা ডিপ্রেশন কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।

২.লক্ষ্য নিয়ে কাজ করাঃ

লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। ডিপ্রেশনে যেহেতু কোন কাজ করতে ইচ্ছা করেনা তাই প্রতিদিন একটু একটু করে কাজ করার জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে।

ধরা যাক, প্রথম দিন আপনি ঠিক করলেন আপনি আজ একটা মজার কিছু রান্না করবেন। যদি আপনি সেই কাজটা ঠিক মত করতে পারেন তবে পরের দিন আর একটু বেশি কিছু করার কথা চিন্তা করতে হবে। এভাবে ধীরে ধীরে কাজের সাথে সম্পৃক্ততা বাড়াতে পারলে এক সময় ডিপ্রেশন কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

প্রতিদিন অল্প কিছু সময় ব্যায়াম করলে তা আপনার শরীর এবং মনকে সুস্থ রাখবে। ব্যায়াম করা মানে, ম্যারাথন দৌড় টাইপ কিছু না, আপনি যদি প্রতিদিন কিছু সময় হাঁটাহাটি করেন তবুও তা আপনার মস্তিষ্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। যা আপনাকে ডিপ্রেশন কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে।

৩.সুষম খাদ্য গ্রহণঃ

সুষম খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি মেলে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন খাবারে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ থাকে। সাইক্রিয়াটিস্টদের মতে, যেসব খাবারে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এ্যাসিড এবং ফলিক এসিড থাকে সেসব খাবার ডিপ্রেশন কমাতে সহায়তা করবে।
ডিপ্রেশন বা বিষন্নতা একটি মারাত্মক মানসিক সমস্যা।যা একটা মানুষকে ভেতর থেকে শেষ করে দেয়।

৪.অনিদ্রা দূর করাঃ

পর্যাপ্ত ঘুম ডিপ্রেশন কমায়। ডিপ্রেশনের রোগীদের নিদ্রাহীনতা দেখা দেয়। তাই, প্রথমেই ঘুম সমস্যার সমাধান করতে হবে। প্রতিদিনের জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে নিদ্রাহীনতা দূর করা সম্ভব। প্রতিদিন ঠিক সময়ে ঘুমোতে যাওয়া এবং সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। দিনের বেলার হালকা ঘুমের অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে। শোবার ঘর থেকে টিভি, কম্পিউটার, মোবাইল এগুলো সরিয়ে রাখতে হবে। এভাবেই অনিদ্রা রোগ ধীরে ধীরে দূর করা সম্ভব।

৬.ইতিবাচক চিন্তা করাঃ

ডিপ্রেশনে ভুগতে থাকলে মানুষের মনে বিভিন্ন রকম নেগেটিভ চিন্তা ঘুরপাক খেতে থাকে। যেমন, আমিই বুঝি সবচেয়ে খারাপ, আমার মত দুঃখ কারো নেই, আমি সবার চেয়ে অসুস্থ, আমি ব্যর্থ একজন মানুষ- এই ধরণের চিন্তাগুলো সুস্থ হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা। তাই, এই নেগেটিভ চিন্তাগুলোকে মন থেকে দূর করে পজিটিভলি চিন্তা করার চেষ্টা করতে হবে। যুক্তি দিয়ে সবকিছু বিচার করতে হবে। আশাহত হওয়া যাবে না কোনভাবেই।

৭.আনন্দদায়ক কাজের মধ্যে সময় কাটানোঃ

নতুন কিছু করার চেষ্টা করতে হবে। মজার কোন কাজ। যেমন, নতুন কোথাও ঘুরতে যাওয়া, মজার কোন বই পড়া, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া। মন ভালো রাখার সবরকম চেষ্টা করতে হবে। মন ভালো থাকলে ডিপ্রেশন কেটে যাবে একসময়।

৮.Psychiatrist / Psychologist এর পরামর্শ গ্রহণ করা।

এই সব কিছুর থেকে উপরে হচ্ছে নিজের ইচ্ছা শক্তি। নিজের মধ্যে ইচ্ছা শক্তি থাকলে সকল সমস্যা কে দূর করা সম্ভব।নিজেকে ভালোবাসলে সহজে ভালো থাকা যায়। আর আমাদের নিজেকে ভালোবাসতে হবে😊😊

ডিপ্রেশন পুরোপুরি না ভালো হওয়া পর্যন্ত পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।

➡️ আপনি যদি জীবনে সফল হতে চান তাহলে আগে ব্যর্থ হন ।আপনার ব্যর্থতাই আপনাকে সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে যাবে। আমরা যখন ব্যর্থ হই...
20/10/2022

➡️ আপনি যদি জীবনে সফল হতে চান তাহলে আগে ব্যর্থ হন ।আপনার ব্যর্থতাই আপনাকে সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে যাবে। আমরা যখন ব্যর্থ হই তখন আমরা বুঝতে পারি যে আমাদের ভুলটা কোথায়। আমাদের কোন জায়গাটা ইমপ্রুভ করতে হবে , সেটা আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাই।
➡️ আপনি যখন ছোট একটা লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন এবং আপনার আকাঙ্ক্ষিত বস্তুটি পাচ্ছেন না , এই ধরনের সিচুয়েশনে আপনি যদি হার মেনে যান তাহলে আপনি শেষ।
➡️ যেকোনো লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য এক/দুইবার চেষ্টা করার পর যদি মনে করেন, অনেক করেছি আর পারব না। এর মানে সত্যি সত্যি আপনাকে দিয়ে হবেনা।
সফল হওয়ার জন্য বারবার ব্যর্থতাকে আলিঙ্গন করার সাহস যদি না রাখেন তাহলে সফলতা আপনার কাছে ধরা দিবে না।
➡️ তাই জীবনে সফল হতে চাইলে ব্যর্থ হওয়ার পর দমে না গিয়ে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করুন।আকাঙ্খিত বস্তুটি পাওয়ার জন্য যদি অধ্যবসায়ের সাথে কঠিন পরিশ্রম করতে পারেন তাহলে সাফল্যের হাঁসি আপনার কাছে ধরা দিবেই।

© E-consult BD

💞দাম্পত্য সম্পর্ক উন্নয়ন💞🍁পর্ব ২🍁🏡সংসারে সুখ শান্তি বজায় রাখার জন্য শুধু স্বামী অথবা শুধু স্ত্রীর একক প্রচেষ্টা কাজে আ...
24/09/2022

💞দাম্পত্য সম্পর্ক উন্নয়ন💞
🍁পর্ব ২🍁
🏡সংসারে সুখ শান্তি বজায় রাখার জন্য শুধু স্বামী অথবা শুধু স্ত্রীর একক প্রচেষ্টা কাজে আসবে না। এক্ষেত্রে স্বামী এবং স্ত্রী দুজনের ভূমিকা অনন্য।আজকের আলোচনায় আমি দাম্পত্য সম্পর্ক উন্নয়নে পুরুষের পাশাপাশি স্ত্রীদের কি কি করনীয় সেটা নিয়ে কিছু কথা বলব।

🌼দাম্পত্য সম্পর্ক উন্নয়নে স্ত্রীর ভূমিকা🌼

☘️ আপনার স্বামী ইন্টারেস্টের জায়গা খুঁজে বের করুন। অর্থাৎ আপনার স্বামী কি কি পছন্দ করে তার একটা তালিকা তৈরি করুন এবং সেই অনুযায়ী তাকে ইমপ্রেস করার চেষ্টা করুন।
☘️ আপনার স্বামী যখন আপনাকে কিছু বলতে চায় তার কথা ধৈর্য দিয়ে শোনার চেষ্টা করুন।
☘️ স্বামীর সীমাবদ্ধতা গুলো বোঝার চেষ্টা করুন এবং আপনার স্বামীকে সাপোর্ট করুন।
☘️ হাজবেন্ডের সামর্থের বাইরে কোন কিছু আবদার করা থেকে বিরত থাকুন।
☘️স্বামীর প্রতি আপনার ভালোবাসা প্রকাশ করুন।
☘️ মাঝে মাঝে স্বামীর পছন্দের খাবার রান্না করুন।
☘️ হাজবেন্ডের মন পেতে ফ্লার্টিং খুব ভালো কাজ করে। কিছু ফ্লার্টিং টেকনিক শিখুন যেগুলো আপনার হাসবেন্ডের উপরে ভালো কাজ করে।
☘️ সংসারের অনেক দায়িত্বের মাঝেও আপনার হাজবেন্ডের জন্য কিছু একান্ত সময় বের করুন। দুজনে মাঝে মাঝে লেট নাইট ডিনার করুন বা ক্যান্ডেল লাইট ডিনার করুন।☘️ অন্যদের সামনে আপনার হাসবেন্ডের প্রশংসা করুন।
☘️ আপনার মান-অভিমান বা চাওয়া-পাওয়া গুলো তাকে বুঝিয়ে বলুন।
☘️ সবকিছুর জন্য স্বামীর উপর নির্ভরশীল থাকবেন না। নিজেকে আত্মনির্ভরশীল ও ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন নারী হিসেবে গড়ে তুলুন।
☘️ স্বামীর দোষ অন্যদের কাছে বলে বেড়াবেন না। যার তার কাছে স্বামীর নামের নালিশ করা থেকে বিরত থাকুন।
☘️ স্বামী অফিস থেকে বাসায় ফিরলে আপনার মান অভিমানের ঝুড়ি নিয়ে তার সামনে বসে যাবেন না। তার সারাদিন কেমন এবং কিভাবে কাটলো এবং তার এখন কেমন লাগছে এসব নিয়ে তার সাথে সুন্দর করে কথা বলুন।
☘️ সংসারের দায়িত্বের কারণে সব সময় না পারলেও মাঝে মাঝে স্বামীর সামনে নিজেকে সুন্দর ও পরিপাটি রাখুন। আপনি কিভাবে তাকে দেখতে চান সেটাও তাকে সুন্দর করে বুঝিয়ে বলুন।

ভালো থাকুক সকল সুন্দর মধুর সম্পর্ক গুলো। ভালো থাকুন আপনি নিজে এবং ভালো রাখুন পাশের মানুষটাকে।

© E-consult BD

🌀দাম্পত্য সম্পর্ক উন্নয়ন🌀🍁পর্ব-১🍁বিয়ের পরপর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যেরকম একটা মধুর সম্পর্ক থাকে সেটা বিয়ের কিছু বছর অতি...
24/09/2022

🌀দাম্পত্য সম্পর্ক উন্নয়ন🌀
🍁পর্ব-১🍁

বিয়ের পরপর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যেরকম একটা মধুর সম্পর্ক থাকে সেটা বিয়ের কিছু বছর অতিবাহিত হওয়ার পরে আস্তে আস্তে ক্ষীণ হতে থাকে । স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে এক অদেখা দূরত্ব তৈরি হতে থাকে ।

আজকে আমি আলোচনা করব দাম্পত্য সম্পর্ক উন্নয়নে স্বামী হিসেবে আপনি কি কি করতে পারেন। চলুন শুরু করা যাক।

দাম্পত্য সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য হাসবেন্ডরা নিজের কাজগুলো করতে পারেন:
☘️ আপনার স্ত্রীকে সম্মান করতে শিখুন।
যার তার সামনে তাকে ছোট করে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
☘️ স্ত্রীর ইচ্ছা-অনিচ্ছা গুলোর মূল্যায়ন করুন।☘️ প্রতিদিন একবার করে হলেও তাকে বলুন "আমি তোমাকে ভালবাসি"।
☘️ বউয়ের চাওয়া-পাওয়া আপনার সামর্থ্যের বাইরে হলে , তাকে আপনার সীমাবদ্ধতা গুলো বুঝিয়ে বলুন।
☘️ স্ত্রীর মান-অভিমান এর কথাগুলো সময় নিয়ে ধৈর্য সহকারে শুনুন।
☘️ আপনার স্ত্রীর সাথে কোন কিছু নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হলে , বিষয়টা নিয়ে তার সাথে খোলামেলা আলোচনা করুন।
☘️ সংসারে যেকোনো সমস্যার জন্য সব দোষ স্ত্রীর উপর চাপিয়ে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
☘️ মাঝে মাঝে কোন কারন ছাড়াই আপনার বউয়ের প্রশংসা করুন।

ভালো থাকুক সকল সুন্দর এবং মধুর সম্পর্ক গুলো । ভাল থাকুন আপনি নিজে এবং ভালো রাখুন পাশের মানুষটাকে।

© E-consult BD

শিশুদের মানসিক অসুস্থতার সতর্কতা লক্ষণগুলি কী কী?▶️ শিশু কিশোরদের নানা রকম মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে থাকে। শৈশবের সবচে...
21/04/2022

শিশুদের মানসিক অসুস্থতার সতর্কতা লক্ষণগুলি কী কী?

▶️ শিশু কিশোরদের নানা রকম মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে থাকে। শৈশবের সবচেয়ে সাধারণ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো হলো - উদ্বেগজনিত ব্যাধি, বিষণ্নতা এবং মনোযোগের ঘাটতি, হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার (ADHD), আহার ব্যাধি।

আপনার সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য ব্যাধি থাকতে পারে এমন সতর্কতা লক্ষণগুলি হলো :
☑️ অবিরাম মানসিক দুঃখ / হতাশা/ বিষণ্ণতা যা দুই সপ্তাহ বা তার বেশি স্থায়ী হয়
☑️ সামাজিক যোগাযোগ থেকে প্রত্যাহার বা এড়িয়ে যাওয়া
☑️ নিজেকে আঘাত করা বা নিজেকে আঘাত করার কথা বলা
☑️ মৃত্যু বা আত্মহত্যার কথা বলা
☑️ হটাৎ করে রেগে যাওয়া বা চরম বিরক্তি প্রকাশ করা
☑️ নিয়ন্ত্রণের বাইরের আচরণ যা ক্ষতিকারক হতে পারে
☑️ মেজাজ, আচরণ বা ব্যক্তিত্বের তীব্র পরিবর্তন
☑️ খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন
☑️ ওজন কমে যাওয়া
☑️ ঘুমাতে অসুবিধা হওয়া
☑️ ঘন ঘন মাথাব্যথা বা পেটব্যথা
☑️ মনোনিবেশ করতে অসুবিধা
☑️ একাডেমিক কর্মক্ষমতা পরিবর্তন বা একাডেমিক ক্ষেত্রে খারাপ করা
☑️ স্কুল এড়ানো বা স্কুলে অনুপস্থিত থাকা
যদি আপনার সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ থাকে, তাহলে আপনার ও আপনার সন্তানের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং মনোবিজ্ঞানীর পরামর্শ নেয়া খুবই প্রয়োজন। পাশাপাশি আপনি আপনার সন্তানকে সময় দিন, তার সাথে সময় কাটান, ইতিবাচক কাজে তাকে নিযুক্ত করুন। নিজের এবং আপনার সন্তানের যত্ন নিন ।

© E-consult BD

কুসংস্কার ও মনোবিজ্ঞান▶️ কুসংস্কার হলো এমন এক ধরনের বিশ্বাস যেখানে বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের অজ্ঞতা থাকে এবং যা অতিপ্রাকৃত বিষয়ে...
20/03/2022

কুসংস্কার ও মনোবিজ্ঞান

▶️ কুসংস্কার হলো এমন এক ধরনের বিশ্বাস যেখানে বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের অজ্ঞতা থাকে এবং যা অতিপ্রাকৃত বিষয়ের প্রতি সম্মানবোধ থেকে ধারাবাহিকভাবে নির্দিষ্ট পরিক্রমায় প্রতিষ্ঠিত হয়।
মনোবিজ্ঞানে কুসংস্কার হলো, এক ধরনের অযৌক্তিক বিশ্বাস যা সম্পর্কহীন ঘটনার সাথে সংযোগ তৈরি করে।

▶️ কুসংস্কারের উৎসঃ
- জ্ঞানের অভাব
- মিথ্যা বা ভ্রান্ত বিশ্বাস
- ভুল ধারণা
- অজানা কিছুর প্রতি ভয় ইত্যাদি।

▶️ কুসংস্কারের কারণসমূহঃ
জনসাধারণের ভ্রান্ত বিশ্বাস;
বিভিন্ন সংস্কৃতি ও সংস্কৃতিগত ঐতিহ্য;
ধর্মান্ধতা;
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা;
বিভিন্ন কাকতালীয় ঘটনা;
কোনো জিনিস সম্পর্কে পড়াশোনা ও জানাশোনার অভাব;
মনঃস্তাত্ত্বিক অসংগতি ইত্যাদি।

▶️ কুসংস্কারাচ্ছন্ন আচরণ সৃষ্টির কারণঃ
কোনো একটি মুক্ত ঘটনার সাথে যদি কোনো ধরনের বলবৃদ্ধি যুক্ত হয় অর্থাৎ একজন ব্যক্তি নির্দিষ্ট কোনো আচরণ করার কাছাকাছি সময়ে যদি কোনো পুরষ্কার বা শাস্তি পায়, তখন অনেকসময় সে মুক্ত ঐ ঘটনাটার সাথে পুরষ্কার বা শাস্তিটাকে রিলেট করে ফেলে।
যার ফলে, অনেকক্ষেত্রে কুসংস্কারাচ্ছন্ন আচরণের সূত্রপাত হয়।

▶️ ব্যক্তি আচরণে কুসংস্কারের পেছনে যে দুইটি মনস্তাত্ত্বিক কারণ কাজ করে সেগুলো হলো-
☑️ ব্যক্তি কুসংস্কার সম্বলিত নির্দিষ্ট আচরণটি করার মাধ্যমে এংজাইটি থেকে মুক্তি পায়;
☑️ এবং সে নিজের জীবনের উপর এক ধরনের নিয়ন্ত্রণ অনুভব করে।

© E-consult BD

বিষয়ঃ বৈবাহিক বিচ্ছেদ পরবর্তী মানসিক সমস্যা।▶️ বিবাহবিচ্ছেদ নতুন কোনো ঘটনা নয়। তবে আগে দেখা যেত দাম্পত্য জীবনে পরিবার, স...
18/03/2022

বিষয়ঃ বৈবাহিক বিচ্ছেদ পরবর্তী মানসিক সমস্যা।

▶️ বিবাহবিচ্ছেদ নতুন কোনো ঘটনা নয়। তবে আগে দেখা যেত দাম্পত্য জীবনে পরিবার, সমাজ ও পারিপার্শ্বিক চাপে অনেকেই মেনে নিতেন অনেক কিছু। সেই সময় পাল্টেছে। ইদানীং দেখা যাচ্ছে, প্রেমের সম্পর্ক থেকে কিংবা সম্বন্ধ করে বিয়ে হওয়ার অল্প কিছুদিন পরই বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন স্বামী-স্ত্রী দুজন। কারো কারো ক্ষেত্রে সময়ের সাথে সাথে এই বিচ্ছেদের ফলে সৃষ্ট আবেগীয় সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠা সম্ভব আবার অনেকের পক্ষেই এই বিচ্ছেদ ব্যক্তিকে দির্ঘমেয়াদী ট্রমার দিকে নিয়ে যায়। ব্যাক্তির আচরণ গত ও চিন্তার দক্ষতার তারতম্য পাশাপাশি তার সামাজিক প্রেক্ষাপটের উপর নির্ভর করে ভুক্তভোগী কতটা দক্ষতার সাথে তার এই সমস্যাগুলো থেকে বেড়িয়ে আসবে।
▶️ ডিভোর্স পরবর্তী মানসিক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার পূর্বে আমাদের কিছু বিষয় নিয়ে জানা প্রয়োজন।
☑️ প্রথমত, একজন পুরুষ কিংবা নারী যে কি না বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে অবশ্যই তিনি একটা এবিউজিব রিলেশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন অথবা তিনি এমন কোন এক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন যার বিপরীতে যেয়ে ভাববার মতো ওই অবস্থাটুকু ব্যক্তির মধ্যে ছিলো না। অন্য আরেকটা শ্রেণি থাকে যেখানে সেই ব্যক্তি ডিভোর্সকেই একক, সহজ ও একমাত্র সমাধানের পথ হিসাবে দেখেন। সেখানে নিজের চিন্তা,অহমবোধের বিপরীতে কোন যুক্তিই টেকসই থাকে না। আবার এই দুই শ্রেনির মানুষের ক্ষেত্রে একটা কমন বিষয় লক্ষ করা যায় যাদেরকেও আবার দুইটা শ্রেণিতে ক্যাগোরাইজ করা যায়- এক, এখানে ভুক্তভোগী সব কিছু মেনে নিয়ে, সমাজ পরিবার ও সম্পর্কের দিকে তাকিয়ে একটা বিষদায়ক সম্পর্ক বয়ে নিয়ে বেড়ায় এবং দ্বিতীয় গ্রুপ এই সম্পর্ক টা আর সামনে টেনে নিতে চায় না। সমস্যার ঝুকি উভয়ের ক্ষেত্রেই বিদ্যমান এবং স্বাভাবিক।
☑️ কিছুক্ষণ আগেই আমরা যে গ্রুপটার কথা আলোচনা করছিলাম যিনি এবিউজিভ রিলেশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন সেটাই ধরা যাক। এই এবিউজিব রিলেশন একটা নির্দিষ্ট সাইকেল মেনে চলে আর এই সাইকেল বারবার ওই ব্যক্তিকে সমানভাবে পিড়া দিয়ে দিয়ে থাকে। এবিউজিব রিলেশন সাইকেলের ক্ষেত্রে ব্যক্তি প্রথমেই কোন থ্রেট বা বিপদের হুমকি পাবে এবং শেষ ধাপে একটা সময় তিনি নিজেকেই দোষারোপ করে এবং ডিভোর্সের জন্য নিজেকে দায়ি করে থাকে। এই Self Blaming ব্যক্তির আত্মশক্তি ও নিজের গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায় যা তার পরবর্তী জীবনের সফলতার ক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে৷
বছরের পর বছর একসাথে থাকা অথবা সারাজীবন একসাথে থাকার অভিপ্রায় নিয়ে পথ চলতে আসা মানুষটার সাথে যখন বিচ্ছেদের মাধ্যমে পরিসমাপ্তি হয় তখন সেখানে জমা পরা স্বপ্ন ও পরিকল্পনাগুলোও সাথে সাথে ভেঙে যায় এবং ভুক্তভোগীর মধ্যে একটা দীর্ঘমেয়াদি বিষন্নতা দেখা যেতে পারে।
☑️ এর পাশাপাশি খুব কমন আরো একটা সমস্যা তৈরি হয় যার উৎস মূলত পরিবেশগত কারণে তৈরি হয়। এখানে অনেকসময়ই ব্যক্তিকে পরিবার ও সামাজিক ভাবে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি ও অনাকাঙ্ক্ষীত আচরণের সম্মুখীন হতে হয় যা তাকে পূর্বের ঘটনায় ট্রিগার করতে সাহায্য করে। একসময় ব্যক্তি সামাজিক ও পারিবারিক সমাবেশগুলো এড়িয়ে চলে এবং একটা সময় একাকিত্ব বোধ থেকে অনেক সময় নিজের ক্ষতি করার মতো চিন্তাও তার মধ্যে চলে আসে। তবে সব ক্ষেত্রি এই উপলব্ধি ও আবেগীয় আচরনগুলো সমস্যামূলক হবে তেমনটা না৷ তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই আবেগীয় সমস্যামূলক আচরণ গুলো সাময়িক ও সময়ের সাথে সাথে ব্যক্তি তার স্বাভাবিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে যায়।

▶️ বৈবাহিক বিচ্ছেদ এর ফলে সৃষ্ট মানসিক সমস্যা থেকে মুক্তির কৌশলঃ
☑️ আগেই বলা হয়েছে, এটি মেনে নেয়াটা খুবই জরুরি যে, বিবাহ বিচ্ছেদের এই ঘটনা কেবল ওই ব্যক্তির জীবনে একাই ঘটেছে এমনটা না। এই সমস্যার মধ্য দিয়ে প্রতিদিন অনেক পরিবার যাচ্ছেন এবং নানান কারনে আমাদের সম্পর্ক গুলো অনেক সময়েই টিকে থাকে না এটা অস্বাভাবিক কোন ঘটনা নয় এবং একে যথাসম্ভব মেনে নেয়া যে পরবর্তী জীবনে ব্যক্তি নিজের কিংবা পরিবারের দীর্ঘমেয়াদি যন্ত্রণা থেকে মুক্তির জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এই সত্যটাকে উপলব্ধি করা।
এই সময়ে অনেকেই নিজের ভাবনা ,অনুভূতি গুলো প্রকাশ করার সুযোগ কম পেয়ে থাকে। মানসিক ও সামাজিক কারনে তারা তাদের সমস্যার কথা অন্যের কাছে প্রকাশ করতে চায় না। এটি খুবই জরুরি যে আমি যা ভাবছি কিংবা অনুভব করছি তা বিশ্বস্ত কারো সাথে শেয়ার করা যে আপনাকে ঠিক আপনার অবস্থাণে যেয়ে উপলব্ধির করতে অনেকটা সাহায্য করবে নিজের পছন্দের কাজ ও পরিধি বাড়ানো যেতে পারে। পূর্ববর্তী সম্পর্কের স্মৃতি যা আপনাকে ট্রিগার করতে পারে সেইসব বস্তুগত জিনিসপত্র নিজের থেকে আলাদা করে ফেলা।
▶️ বৈবাহিক বিচ্ছেদ সবসময়-ই যে নেতিবাচক অনুভূতিকে কিংবা সমস্যার তৈরি করে তেমনটা কিন্তু নয়। এক গবেষনায় দেখা যায় বিচ্ছেদ হওয়া সম্পর্কে থাকা মানুষগুলোর একটা বড় অংশ বিচ্ছেদের পরবর্তী সময় জীবনকে উপভোগ করে তাদের কর্মক্ষমতা উদ্যোমতা প্রায়ই অনেক অংশে বেড়ে যায় তাদের জব পারফরম্যান্স এর উপর ইতিবাচক প্রভাব লক্ষনীয়ভাবে চোখে পরে তারা তাদের লক্ষের প্রতি আরো বেশি ফোকাসড হয় এবং নতুন নতুন ডিগ্রি ও দক্ষতা বাড়াতে দিনের একটা বড় অংশ ব্যয় করে থাকে।
▶️ পরিশেষে বলা যায়, সম্পর্ক জিনিসটা পরিচর্যার। প্রয়োজনে এর মাঝে কোন সময় কিছু জিনিস পরিবর্তন করতে হয় নিজেদের চাহিদা ও ইম্যশনকে প্রাধান্য দিয়ে। কখনো এই পরিবর্তন খুব স্বাভাবিক, বাস্তব ও টেকসই। আবার কখনো এই পরিবর্তন ভঙ্গুর, অর্থহীন ও নিরানন্দের৷ “পাছে লোকে কি বলে-“ ভেবে এই সম্পর্ক জোরপূর্বক টিকিয়ে রাখা যেমন আপনার ব্যক্তিজীবন ক্ষতিগ্রস্ত করবে ঠিক তেমনি বিবাহ বিচ্ছেদের মতো বড় একটা সিদ্ধান্ত কোন ভাবনা চিন্তা ছাড়াই কেবল খেয়ালখুশিমতো নিয়ে নেয়াটাও একটা বাহুল্যতার সৃষ্টি করবে এর ফলাফলও যথেষ্ট ক্ষতিকর ও নেতিবাচক। যেখানে রিসিভারের ট্রমা, ইনসমনিয়া, বিষন্নতা, একাকিত্বের পাশাপাশি ইনিশিয়েটরের মধ্যেও দীর্ঘমেয়াদি সেলফ ব্লেমিং, ভয়, সোস্যাল আইসলুটেটেড এবং আত্নশক্তির ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

© E-consult BD

📣 অনেকেই হয়তো লজ্জায় বা ভয়ে ফেক আইডি দিয়ে আমাদের মেসেজ করেন। তবুও আমরা ১০০% সার্ভিস দেওয়া চেষ্টা করে থাকি। কিন্তু কিছু ক...
13/03/2022

📣 অনেকেই হয়তো লজ্জায় বা ভয়ে ফেক আইডি দিয়ে আমাদের মেসেজ করেন। তবুও আমরা ১০০% সার্ভিস দেওয়া চেষ্টা করে থাকি। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমন সব ফেক আইডির নাম হয় যে, ছেলে না মেয়ে বুঝা মুশকিল। এটা অনেক হতাশাজক।

আর মেন্টাল হেলথ ইস্যুতে লজ্জার কিছু নেই। করোনার মধ্যে আমরা ৫০০০+ মানুষকে সেবা প্রদান করেছি। সমস্যা শেয়ার করলে মন হালকা হয় এবং সমাধান পাবেন। তাই অযথা ডিপ্রেশনকে নিজের সঙ্গী করবেন না। আমাদের এখানে ১০০% প্রাইভেসি র‍য়েছে। আপনার নাম, পরিচয়, ঘটনা লিক হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।

© E-consultant BD

আমাদের জীবনে ওভার থিংকিং খুবই পরিচিত একটি শব্দ। এই ওভার থিংকিং এর শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। ওভার থিংকিং হলো একটি আগাছার ম...
11/03/2022

আমাদের জীবনে ওভার থিংকিং খুবই পরিচিত একটি শব্দ। এই ওভার থিংকিং এর শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। ওভার থিংকিং হলো একটি আগাছার মতো যেটা না চাইতেই চলে আসে। শুধু তফাত টা হলো আগাছা আমরা চাইলেই যখন তখন পরিষ্কার করে ফেলতে পারি কিন্তু এই ওভার থিংকিং এমন যেনো আমাদের চাওয়া না চাওয়াতে কিছুই যায় আসে না।

এবং এটা রূঢ় সত্য যে আমরা চাইলেও এই সমস্যা টাকে একদম নির্মূল করে ফেলতে পারব না। এখন বিষয়টি আমার আপনার উপর নির্ভর করে আমাদের গ্রহণযোগ্যতার পরিসীমা কতটুকু, আমরা কতটুকু মানিয়ে নিতে পারি। তবুও আমরা আপনাকে কিছুটা হলেও এ বিষয়ে একটু দিক নির্দেশনা দিতে পারি। আজ ওভার থিংকিং নিয়েই কিছু কথা :-

১) সবসময় মনে পজিটিভ চিন্তা ভাবনা রাখা। হ‍‍্যাঁ জানি, এটা বলা সহজ কিন্তু করা কঠিন। তাই সবসময় পজিটিভ মানুষের আশেপাশে থাকা, পজিটিভ ব‍্যাক্তিদের কথা শোনা।

২) যতদিন যাচ্ছে আমরা প্রকৃতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছি, কেমন যেনো যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছে জীবন। একদিন একটু সময় করে প্রকৃতির সাথে সময় কাটিয়েই দেখুন না, একটু ব‍্যাতিক্রম ই হোক।

৩) চেষ্টা করবেন যখনই মনে যা চিন্তা ভাবনা আসে, পজিটিভ হোক কিংবা নেগেটিভ একটি ডায়েরি তে লিখে রাখতে। এতে আপনার চিন্তা ভাবনা মন/মস্তিষ্ক থেকে কলমে আর কলম থেকে খাতায় যাবে। তখন কিছুটা হলেও মেন্টাল রিলিফ পাওয়া যাবে।

৪) সবচেয়ে কার্যকরী টিপস হলো প্রতিদিন আধা ঘণ্টা করে হলেও কোরআন শরীফ পড়া কিংবা ইসলামিক বই পড়া। এতে অন্তত আপনার মস্তিষ্কে কোনো বাজে চিন্তা ভাবনা আসবে না।

আর আমরা তো আছিই যেকোনো সময় যেকোনো প্রয়োজনে আপনার কথা শোনার জন্য। আমাদেরকে নির্দ্বিধায় যেকোনো সময় মেসেজ দিতে পারেন।

© E-consult BD

রিলেশনশিপ সমস্যা নিয়ে প্রায় প্রতিদিন, অনেকে অনেক প্রশ্ন করে থাকে, বিশেষ করে মেয়েদের থেকে অনেক বেশি প্রশ্ন আসে, রিলেশনশিপ...
11/03/2022

রিলেশনশিপ সমস্যা নিয়ে প্রায় প্রতিদিন, অনেকে অনেক প্রশ্ন করে থাকে, বিশেষ করে মেয়েদের থেকে অনেক বেশি প্রশ্ন আসে, রিলেশনশিপ সমস্যা নিয়ে। এই সমস্যার অনেক কারন থাকতে পারে, আজকে একটি কারন নিয়ে কথা বলবো।

বর্তমান সময়ে অধিকাংশ রিলেশনশিপ শুরুটা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, অধিকাংশ সময় দেখা যায় একজন মেয়েকে অনেক ছেলেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নক দেয়, অনেক ভাবেই কথা বলার চেষ্টা করে, অনেক সময় ভালোলাগা থেকে অনেক ছেলে অনেকভাবে অনুনয়-বিনয় করে একজন মেয়ের সাথে কথা বলার জন্য, এমনকি দেখা গেছে একজন মেয়ের ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা অনেক ছেলেই চেষ্টা করছে মেয়েটার সাথে ফ্রেন্ডশিপ বা রিলেশন এর মতো বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে, একজন মেয়ে হয়তো আরো ভালো বলতে পারবে রিয়েল সিনারিও, একজন মেয়ে হয়তো স্পেসিফিক কিছু ছেলের সাথে কথা বলে। অপর দিকে একজন ছেলে হয়তো জীবনে অনেক মেয়ের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা বলতে চেয়েও অনেক বার রিজেক্ট হইছে। দুই একজন যাই কথা বলে, তা-ও তেমন একটা পাত্তা দেয় না।

আমাদের সামাজিক মাপে একজন মাঝামাঝি সুন্দরী মেয়ে সব সময় ছেলে মানুষের যে মনযোগ পায়, তার সিকি ভাগও পায় না একজন ছেলে, একজন মাঝামাঝি সুন্দরী মেয়ে স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি, চাকরি, শপিংমল, রাস্তা, বাস, এলাকা, কাজিন,প্রায় সব জায়গায় সে ছেলেদের মনযোগের কেন্দ্র বিন্দুতে থাকে, এতে অবচেতন মনে আস্তে আস্তে তার মাঝে ইগো ফেট তৈরী হয়,
এবং নিজেকে একটু অন্য ভাবে ভাবতে শুরু করে।
এই ইগো ফেটের প্রভাব রিলেশনে গভীরভাবে পড়ে।

কিছু ছেলে আছে, অনেক দিন থেকে ধয্য ধরে লেগে থাকে, মেয়েকে অনকে অনুনয় বিনয় করে রিলেশন আসার জন্য আমন্ত্রণ করে, মেয়েকে অনেক মিথ্যা স্বপ্ন দেখায়, কারণ সে শিখছে, মেয়েকে কনভেন্স করতে হলে অনেক ছলচাতুরীর আশ্রয় তাকে নিতে হবে, নরমালি বললে সে রাজি হবে না, মেয়ে অনেক অনেক শর্ত দিয়ে কোন রকম হ্যাঁ বললো হয়তো। অথবা কিছু দিন ঝুলিয়ে রাখলো,যেটা হলো, কম্পলিকেট রিলেশনশিপ।

তারপর শুরু অনেক সুখময় সময় পারে, যাকে বলে হাওয়ায় ভাসা, যে ছেলে রাত ১২টায় ঘুমাতে যেতো আগে, সে এখন সারা রাত জেগে গল্প করে, যে ছেলেকে কেউ সকালে ঘুম থেকে টেনে তুলতে পারতো না, সে ছেলে সকাল সকাল হয়তো কোন জায়গায় ঘুমচোখে তাহার জন্য অপেক্ষা করছে, যে ছেলে নিজের গোসল, খাওয়ার ঠিক নাই, সে এখন খুব যত্ন নিচ্ছে তাহার, যে ছেলে ১০ টাকা খরচ করতে কষ্ট হতো, সে এখন পিজ্জার বিল দেয়, যে ছেলের বাসায় অভাব অনটনে না খেয়ে দিন কাটে, সে ছেলে এখন কালো গ্লাস লাগিয়ে ঘুরে। আরো অনেক কিছু।

এসব এর কোন কিছুই এই ছেলের প্রকৃত লাইফস্টাইল না, সবকিছু অভিনয় করে চলছে। মেয়ে এই ছেলের সাথে খুবই ভালো লাইফ পার করছে। ছেলের প্রতি আস্তে আস্তে মেয়েটার একটা ডিফেন্ডেন্সি চলে আসছে।
কারণ সারা জীবনে তার এতো কেয়ার কেউ করেনি। এই প্রথম কোন ছেলে জীবন যৌবন দিয়ে ২৪ ঘন্টা তার সেবা করে যাচ্ছে।

রিলেশনশিপের প্রায় ৫/৬ মাস পর ছেলেটা আস্তে আস্তে তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করছে, আগে যেমন ছিলো ছেলেটা,সেই জীবনে ফিরতে শুরু করেছে, কারন অভিনয় করে খুব বেশি দিন চলা যায় না, মেয়েটার অভিযোগ শুরু হলো তুমি বদলে যাচ্ছ, তুমি আগের মতো নেই, এর মাঝে তাদের কোন ফ্রেন্ডশিপ গড়ে উঠেনি দুইজনের। ছেলেটা কেয়ার করতো, মেয়েটা সেটাই ইনজয় করতো। রিলেশনটা যে দুই জনের মেয়েটা বিষয়টি বুঝতে পারেনি, ছেলেটাও না, দুইজনের মাঝে প্রতিযোগিতা শুরু হলো, নিজেকে বড় করে তোলার, একজন বলে একটা, আরেকজন বলে তার থেকেও বড় কিছু। রিলেশনশিপ যে একজন আরেকজনের প্রতিযোগিতা নয়, এটি যে সুন্দর একটি সহযোগিতা পূন্য সম্পর্ক, তা কেউই অনুধাবন করতে পারেনি। ফলে ব্রেকাপ হলো।

যাদের যাদের রিলেশনশিপে ঝামেলা আছে একটু মিলিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
এই কথাগুলো কাউকে ছোট করা বা কষ্ট দেওয়ার জন্য নয়, যাতে সবাই সবার অবস্থান সম্পর্কে সচেতন হতে পারেন, এবং প্রিয় মানুষের সাথে সুন্দর সম্পর্ক রাখতে পারেন। আশা করি সবাই সবার প্রিয় মানুষ নিয়ে সুখে থাকুক।

© E-consult BD

এক ধরনের পর্সোনলিটি আছে যারা সব সময় অন্য কে ব্লেম করে এবং এরা খুব সহজে অন্যের উপর রেগে যায়, অন্যকে গ্রহণ করতে পারে না, অ...
11/03/2022

এক ধরনের পর্সোনলিটি আছে যারা সব সময় অন্য কে ব্লেম করে এবং এরা খুব সহজে অন্যের উপর রেগে যায়, অন্যকে গ্রহণ করতে পারে না, অন্যের সাথে বন্ধুত্ব তৈরি করতে পারে না, যেমন, সে খারাপ মানুষ, তার সমস্যা আছে, তার জন্য আজ আমার এই অবস্থা, তার জন্য আমার মন খারাপ হয়েছে,সে আমাকে বুঝে না, তার এটা করা উচিত হয়নি, আরো অনেক ধরনের ব্লেম অন্যকে করে থাকে এই ধরনের পর্সোনলিটি যাদের, তাই এদের খুব সহজে অন্যের সাথে দুরত্ব তৈরি হয়ে যায় এবং একাকিত্ব অনুভব করে।

© E-consult BD

Address

Shahzadpur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when E-consult BD posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to E-consult BD:

Share