23/02/2023
স্পন্ডাইলোসিস, ঘাড় মাথা ও বুকব্যথা
পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব নারী-পুরুষের ঘাড়ব্যথার অন্যতম কারণ স্পন্ডাইলোসিস, যাকে ঘাড়ের হাড়ের ক্ষয় বা হাড় বেড়ে যাওয়া রোগ বলে। যদিও ঘাড়ব্যথাই সারভাইক্যাল স্পন্ডাইলোসিসের প্রধান উপসর্গ তথাপি এই রোগে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা বা বুকব্যথার মতো উপসর্গও থাকতে পারে।
সারভাইক্যাল স্পন্ডাইলোসিসের কারণে অনেক সময় ঘাড়ে ব্যথাই অনুভূত হয় না। রোগী বলেন, মাথা ঘুরছে অথবা বুকে ব্যথা অনুভূত হচ্ছে।
স্পন্ডাইলোসিসের লক্ষণ : ব্যথা ঘাড় থেকে হাতে চলে যায়। অনেকের হাতে ঝিনঝিন ধরে। পিঠে-বুকে ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ডানে-বামে বা সামনে-পেছনে ঝোঁকাতে কষ্ট হয়।
অনেকে ওপরের দিকে তাকাতে পারেন না। অনেক রোগীই বলে থাকেন, তাদের কোনো কোনো আঙুল অবশ লাগছে বা বোধ পাচ্ছেন না। সকালে ঘুম থেকে উঠে অনুভব করেন তার একটি হাত ঝিনঝিন লেগে আছে অথবা ঝিনঝিন লাগার কারণে মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে গেছে।
সাধারণ উপসর্গ ছাড়াও অনেক রোগীই মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা বা বুকে ব্যথার কথা অভিযোগ করে থাকেন। এমনও রোগী আছেন, যারা বুক ব্যথার সঠিক কারণ নির্ণয় করতে না পেরে নিজেকে হৃদরোগী ভাবেন।
অথচ অনেক ক্ষেত্রেই সামান্য একটি এক্সরে করে দেখা যায়, তিনি ঘাড়ের হাড় ক্ষয়রোগে ভুগছেন। একইভাবে মাসের পর মাস মাথা ঘোরা রোগের ওষুধ খেয়ে উপকার না পেয়ে পরে স্পন্ডাইলোসিস শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তাই রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সাবধান হওয়া জরুরি।
চিকিৎসা : স্পন্ডাইলোসিসের সবচেয়ে কার্যকরী চিকিৎসা ফিজিওথেরাপি। ব্যথা বা অন্যান্য উপসর্গ সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। নিয়ম মেনে চলাও চিকিৎসার সমান গুরুত্বপূর্ণ।
সামনে ঝুঁকে কাজ না করা, পাতলা বালিশে ঘুমানো, সমান বিছানা ব্যবহার স্পন্ডাইলোসিস রোগীদের কষ্ট দ্রুত দূর করবে। ডায়াবেটিস, গ্যাস্ট্রিক আলসার এবং কিডনি রোগে আক্রান্তরা ব্যথানাশক ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকুন।
জটিলতা : ফ্রোজেন সোল্ডার স্পন্ডাইলোসিসের অন্যতম প্রধান জটিলতা। রোগ জটিল আকার ধারণ করলে হাত শুকিয়ে যাওয়া বা আঙুল অবশ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। তাই দ্রুত সারভাইক্যাল স্পন্ডাইলোসিসের চিকিৎসা নিন।