বাংলাদেশ ফার্মেসী পরিবার

বাংলাদেশ ফার্মেসী পরিবার " #বাংলাদেশ_ফার্মেসী_পরিবার" পেইজের পক্ষ থেকে আপনাদের সকলকেই জানাই অনেক অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

17/10/2022

#বাংলাদেশ_ফার্মেসী_পরিবার গ্রুপের স্বাস্থ্য বিষয়ক পর্বে আপনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

#জরায়ু_ক্যান্সার এর লক্ষণ জেনে নিন:
=====°=========°=========°=====
আমাদের শরীরে নানা রকমের ক্যান্সার থাকলেও স্তন ক্যান্সারের পরেই যে আতঙ্কের নাম সেটি হচ্ছে জরায়ু ক্যান্সার। আর এই রোগের প্রকোপ দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীদের শুরুর অবস্থায় চিকিৎসা না করানোর ফলে তাদের বেঁচে থাকার হার ৫০% কমে যায়। আর যারা প্রথম থেকেই চিকিৎসা করান, তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৯৫%।
#অনেকেই মনে করেন, জরায়ু ক্যান্সার হয়তো প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পরে হয়ে থাকে। কিন্তু, এটি ভুল ধারণা। যে কোনো বয়সেই নারীদের জরায়ু ক্যান্সার হতে পারে। তবে বিশেষ করে ৫০ বছর বয়স্ক বা এর চেয়েও বেশি বয়সের নারীরা জরায়ু ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। জরায়ু ক্যান্সারকে ‘সাইলেন্ট কিলার’ বলা হয়ে থাকে। সুস্থ থাকতে এই অসুখের প্রাথমিক কিছু লক্ষণ সম্পর্কে জেনে রাখুন—
#জরায়ু ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ:-
🔖নিন্মাঙ্গের চারপাশে চাপ লাগা কিংবা ঘন ঘন মূত্রত্যাগ করা।
🔖গ্যাস, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য। হালকা খাবারের পর পেট ভর্তি লাগা, পেটে অস্বস্তি লাগা ইত্যাদি।
🔖পেটে অতিরিক্ত ব্যথা কিংবা পেট ফুলে থাকা।
🔖সারা ক্ষণ বমি বমি ভাব কিংবা বার বার বমি হওয়া।
🔖আচমকা খিদে কমে যাওয়া।
🔖অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পাওয়া বা হঠাৎ করে ওজন অনেক কমে যাওয়া।
🔖যৌন মিলনের সময় ব্যথা লাগা।
🔖অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করা।
🔖নারীদের মেনোপজ হওয়ার পরেও ব্লিডিং হওয়া।

26/03/2022
 #হার্ট_অ্যাটাকঃহৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু—আমরা প্রায়ই শুনতে পাই এই কথাটা। তবে এই হার্ট অ্যাটাকের অনেক ক্ষেত্রেই তাৎক...
20/03/2022

#হার্ট_অ্যাটাকঃ
হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু—আমরা প্রায়ই শুনতে পাই এই কথাটা। তবে এই হার্ট অ্যাটাকের অনেক ক্ষেত্রেই তাৎক্ষণিক চিকিৎসায় সুফল মেলে। কিন্তু সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছাতে না পারলে মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে। হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার শুধু বাংলাদেশেই নয়; পৃথিবীজুড়ে বেড়ে গেছে। বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলোতে তা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে চলেছে।
বেশির ভাগ মানুষই বুকে ব্যথাকে অবহেলা করেন। অ্যাসিডিটির সমস্যা মনে করে অ্যান্টাসিড কিংবা অন্য ওষুধ খেয়ে সময়ক্ষেপণ করেন। তা না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। হাসপাতালে ভর্তি না হলে হার্ট অ্যাটাকের কিছু জরুরি চিকিৎসা যা ১২ ঘণ্টার মধ্যে রোগীর শরীরে প্রয়োগ করতে হয়, তা দেওয়া সম্ভব হয় না। অথচ হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে সঙ্গে রোগী বিশেষায়িত কিছু হাসপাতালে ভর্তি হলে জীবনরক্ষাকারী ‘প্রাইমারি এনিজওপ্লাস্টিও’ করা সম্ভব হয় তাতে শতকরা ৯০ ভাগেরই বেশি রোগীর জীবন রক্ষা পায়।
কীভাবে বুঝবেন হার্ট অ্যাটাকের ব্যথা?
হৃদ্‌যন্ত্রের রক্তনালি কোনো কারণে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকের সূচনা হয়। এই সময়ে রোগী বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন এবং এই ব্যথা বাঁ হাত, গলা ও নিচের চোয়ালের দিকে এমনকি কখনো কখনো ডান হাতের দিকে অনুভূত হতে পারে। আবার কোনো কোনো সময় ব্যথাটা পেটের উপরিভাগেই অনুভূত হয়, সঙ্গে বমিও হতে পারে। এ ধরনের ব্যথা হঠাৎ করেই শুরু হয় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই তীব্র আকার ধারণ করে। কারও কারও পেটে প্রচণ্ড অ্যাসিডিটি হয়। অনেক সময় রোগী এটাকে অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা মনে করে ভুল করেন। কারও কারও প্রচণ্ড ঘাম হয়, শ্বাসকষ্টও হতে পারে। কিছু রোগী প্রচণ্ড বুকে ব্যথার সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারেন, কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে যাঁদের ডায়াবেটিস আছে তঁাদের হার্ট অ্যাটাকের সময় বুকে ব্যথা অনুভব না–ও হতে পারে। হার্ট অ্যাটাক হলে তাঁরা ঘামতে থাকেন, ক্লান্তবোধ করেন।
বুকে ব্যথা বিভিন্ন রোগের উপসর্গ হিসেবেও দেখা দিতে পারে। হৃৎপিণ্ডের আবরণী, ফুসফুস ও এর আবরণী, খাদ্যনালি, শ্বাসনালি, পেনক্রিয়াস ও পিত্তথলির প্রদাহ এবং মাংসপেশি ও হাড়ের ব্যথার কারণেও বুকে ব্যথা হতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, হঠাৎ বুকের মাঝখানে তীব্র ব্যথা শুরু হলে কিংবা এই ব্যথা শরীরের কোনোদিকে ছড়িয়ে পড়লে এবং সঙ্গে শ্বাসকষ্ট ও ঘামতে শুরু করলে সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীকে নিয়ে যেতে হবে।
হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে রোগী যে কাজই করুক না কেন তা বাদ দিয়ে বসে পড়তে হবে এবং সম্ভব হলে শুয়ে পড়তে হবে। সম্ভব হলে একটি ‘এসপিরিন ৩০০ গ্রাম’ বড়ি সেবন করতে হবে। সঙ্গে অ্যাসিডিটির ওষুধও খাওয়া যেতে পারে।

হার্ট অ্যাটাক ছোট-বড় সবার যেকোনো মুহূর্তে হতে পারে। তাই এ ব্যাপারে সাবধানতা জরুরি। এবার জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়গুলো।

#ধূমপান: যাঁরা ধূমপান করেন তাঁরা নিশ্চিতভাবেই ধীরে ধীরে নিজেকে হত্যা করেন। ধূমপান রক্তনালিতে চর্বি জমার প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে এবং করোনারি ধমনিকে সংকুচিত করে হার্ট অ্যাটাকের সৃষ্টি করে। তাই আজই এই অভ্যাস বাদ দিন।

#কায়িক_শ্রম: হাঁটাচলার অভ্যাস কমে যাচ্ছে। ইদানীং দেখা যায় তরুণ ছেলেমেয়েরাও তিনতলা, চারতলায় ওঠার জন্য লিফটের সামনে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। প্রতিদিন অন্তত ৩০-৪০ মিনিট হাঁটা জরুরি।

#খাদ্যাভ্যাস: মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা চর্বিজাতীয় খাদ্য ফাস্টফুডের প্রতি বেশি আগ্রহী। মাছের ভক্ত খুব কম। কেউ কেউ চিংড়ি মাছ, মুরগি ও গরুর মাংস ছাড়া অন্য খাবার পছন্দও করেন না। চট্টগ্রামের লোকজনের আবার মেজবানির প্রীতি বেশি। অনেক গৃহিণী আছেন যঁারা রান্নায় স্বাদ আনার জন্য অতিরিক্ত তেলের ব্যবহার করেন। এসব কারণে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

#উচ্চ_রক্তচাপ: কারও উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি। উচ্চ রক্তচাপ হার্ট অ্যাটাক ছাড়াও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণ হতে পারে।

#ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস হার্ট অ্যাটাকের অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান। শরীরের এমন কোনো অংশ নেই যা ডায়াবেটিসের জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আক্রান্ত হয় না। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি।

তা ছাড়াও স্থূলতা, মানসিক চাপ, অবসাদ, বংশ প্রভাব হৃদ্‌রোগের ক্ষেত্রে অনেকাংশে ভূমিকা পালন করে।
#বাফাপ

 #নবজাতকের_পেটের_সমস্যাঃনবজাতকের পেটে গ্যাস : কীভাবে বুঝবেন, করণীয়বড়দের মতো নবজাতকের পেটেও গ্যাস হতে পারে। আর এটি নতুন শ...
09/03/2022

#নবজাতকের_পেটের_সমস্যাঃ

নবজাতকের পেটে গ্যাস : কীভাবে বুঝবেন, করণীয়

বড়দের মতো নবজাতকের পেটেও গ্যাস হতে পারে। আর এটি নতুন শিশুটির ক্ষেত্রে বেশ অস্বস্তিদায়ক। এই অস্বস্তির থেকে হয়তো শিশুটি অতিরিক্ত কান্নাকাটি করে; তার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে।

#প্রশ্ন : অনেক সময় অনেকে অভিযোগ করে, শিশু রাতে ঘুমায় না, দিনে কখনো কখনো ঘুমায়। সেই ক্ষেত্রে শিশুটির রাতে অতিরিক্ত কান্না করার কারণ কী? এই যে তার ঘুমের চক্র এটিকে কীভাবে ঠিক করা যায়?

#উত্তর : আসলে শিশু নিজের ঘুমের চক্র নিজেই তৈরি করে। এই চক্র ভাঙা একটু মুশকিল। ওরা ১৮ ঘণ্টা প্রতিদিন ঘুমাবে। এটি ওদের চাহিদা। ওরা যখন খুশি তখন ঘুমাবে, যখন খুশি তখন আবার জেগে ওঠবে। তবে প্রথম তিন থেকে চার মাস কিছু কিছু শিশু বিকেল, সন্ধ্যা, রাতে একটু বেশি কাঁদে। এর প্রধান কারণ হলো পেটে একটু গ্যাস হয়, এটি হরমোনজনিত। পুরো কারণটি এখনো উদঘাটন হয়নি। একে বলা হয় ইনফ্যানটাইল কলিক। প্রথম তিন/ চার মাস শিশুর এই কান্নাটা পরিবারকে ব্যস্ত করে রাখে। সেই সময় আমরা পরামর্শ দেব, একটি ঢেকুর তোলানোর চেষ্টা করতে হবে। বারপিন বলা হয় একে। খাওয়ার পরপরই যেন মা ঢেকুর তোলায়। তাহলে গ্যাসটা কম জমবে। তাহলে হয়তো কিছুটা কম কাঁদবে।

#শিশুদের_কিভাবে_গ্যাস_হয়ঃ
বাচ্চারা যে মায়ের দুধ বা ফরমূলা দুধ খায় তার প্রোটিন এবং ফ্যাটের হজম করা থেকে স্বাভাবিক ভাবে গ্যাস তৈরি হয়। গ্যাস সর্বদা ভাসমান থাকে এবং পরিপাক নালীর উপর সামান্য চাপ সৃষ্টি করে এবং সেটির মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাইরে বেরোবার পথ খুঁজে নেয় কখনও কখনও, উৎপন্ন হওয়া অতিরিক্ত গ্যাস বা স্তন্যপান করার সময় টেনে নেওয়া গ্যাস অন্ত্রে আটকে যায় এবং চাপ সৃষ্টি করে শিশুকে কিছু ব্যথা দিতে পারে। এখানে গ্যাস উৎপাদন হওয়ার কয়েকটি কারণ দেওয়া হয়েছে:

-অনেক সময় ভুলভাবে স্তনদুগ্ধ বা বোতল থেকে দুধ পানের জন্য অতিরিক্ত হাওয়া শিশুরা গিলে ফেলে।
-অত্যধিক কান্নার ফলেও শিশুরা খাওয়ার আগে হাওয়া গিলে নেয়। -কখনও কখনও অত্যধিক কান্নাকাটি গ্যাস তৈরী হবার লক্ষণ হতে পারে। এর পরিণতিতেও গ্যাস তৈরী হতে পারে, যার ফলে একটি জটিল চক্র তৈরি হয়।

একটি নবজাতকের অন্ত্র ক্রমবিকাশমান হয় এবং জন্মের পর থেকেই তা হতে থাকে। এই পর্যায়ে, শিশু এখনও খাদ্য হজম করা এবং মলত্যাগ প্রক্রিয়া শিখতে থাকে, সেই কারণেই অতিরিক্ত গ্যাস তৈরী হয়ে থাকে।
অন্ত্রের মধ্যে অবিকশিত ব্যাকটেরিয়া ফ্লোরাও শিশুদের গ্যাস হবার কারণ হতে পারে।

স্তন্যদুগ্ধের উপাদান নির্ভর করে মায়ের গ্রহণ করা খাদ্যের উপর। বাদাম, কফি, দুগ্ধ পণ্য যেমন পনির, মাখন, ঘি, মটরশুটি এবং মশলা, এই ধরনের খাবার মায়েরা খেলে, শিশুদের স্তনদুগ্ধ পানে গ্যাস সৃষ্টির কারণ হয়।

অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণও শিশুদের হজমশক্তিকে প্রভাবিত করে গ্যাস তৈরিতে সাহায্য করতে পারে। এটাও মনে করা হয় যে স্তনের পিছনের দিকের দুধ ও সামনের দিকের দুধ শিশুদের গ্যাস উৎপাদনের উপর আলাদা প্রভাব ফেলে। স্তনের সামনের দিকের দুধ শর্করা সমৃদ্ধ যেমন ল্যাকটোজ, আর পিছনের দুধ চর্বি সমৃদ্ধ। অতিরিক্ত ল্যাকটোজ শিশুদের মধ্যে গ্যাস তৈরী ও অস্বস্তি বৃদ্ধি করে।
আরও অনেক জিনিস যেমন হরমোন নিয়ন্ত্রণ, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং কার্বোহাইড্রেট গ্রহণও গ্যাস উৎপাদনে সাহায্য করে।

#শিশুদের_মধ্যে_গ্যাস_সমস্যার_উপসর্গ_এবং_লক্ষণঃ
বাচ্চারা তাদের চাহিদা জানাতে পারে শুধুমাত্র একটি মৌখিক উপায়ে, ক্রন্দন। এটা তাদের ক্ষুধা, ব্যথা, অস্বস্তি, ক্লান্তি, একাকীত্ব বা গ্যাসের কারণে তা বোঝবার জন্য প্রয়োজন তীক্ষ পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিটির জন্য আলাদা লক্ষণ রয়েছে। যখন গ্যাস থেকে ব্যথা পাওয়ার কারণে তারা কাঁদতে থাকে, কান্না প্রায়ই তীক্ষ্ণ, মারাত্মক ও আরও তীব্র হয় এবং তার সাথে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি যেমন দেহের এ পাশ ও পাশ করা, হাত মুষ্টি খোলা ও বন্ধ করা, জোরে জোরে হাত পা ছোড়া আর হাঁটু বুকে ঠেকিয়ে হাঁসফাঁস করতে দেখা যায়।

#নবজাতক_শিশুর_গ্যাস_সমস্যা_ঘরোয়া_প্রতিকার

শিশুদের মধ্যে গ্যাসের সমস্যার ঘরোয়া চিকিৎসার পদ্ধতিগুলোর মধ্যে অন্যতম হল:

খাওয়ানোর সময় সঠিক অবস্থান বজায় রাখুন

বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়, শিশুর মাথা এবং ঘাড় এমন একটি কোণ করে রাখুন যাতে সেগুলি পেট থেকে উপরে থাকে। এতে দুধ নীচে পেটে যায় এবং বায়ু উপরে উঠে আসে। এটি বোতলে দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বোতলটিকে এমনভাবে রাখুন যাতে হাওয়া নিপলের কাছে না জমে উপরে উঠে যায়।

খাওয়াবার সময় অবশ্যই ঢেঁকুর তোলানোর নিয়মটি ব্যবহার করুন

শিশুর দ্বারা অতিরিক্ত বায়ু গলাধঃকরণ বন্ধ করার এটি সর্বোত্তম উপায়। খাওয়ানোর সময়, প্রতি 5 মিনিট অন্তর একটু বিরতি নিন এবং শিশুর পিঠটিকে আলতো চাপড় দিয়ে তাকে ঢেঁকুর তুলতে সাহায্য করুন। এইভাবে দুধ সঠিক ভাবে পেটে চলে যায় আর গ্যাস বুদবুদ হয়ে উপরে উঠে আসে।

বাচ্চাকে যথাসম্ভব কান্না ভুলিয়ে রাখবেন

কাঁদলে বাচ্চারা বায়ু গিলে ফেলে এবং তারা যত কান্নাকাটি করে, তত বেশি বাতাস গিলে নেয়। প্রধান উদ্দেশ্য হবে বিভিন্ন জিনিস বা শব্দের দ্বারা বাচ্চার কান্না যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বন্ধ করা।

পেট মালিশ

শিশুদের মধ্যে গ্যাস উৎপাদন কম করার জন্য পেট মালিশ একটি দুর্দান্ত উপায়। বাচ্চাকে চিত করে শোয়ান আর আস্তে আস্তে তার পেটে ঘড়ির কাঁটার দিকের গতিতে ঘষতে থাকুন, তারপরে তলপেটেও করুন। এই পদ্ধতি অন্ত্রের মাধ্যমে সহজে গ্যাস বেরোতে সাহায্য করে।

শিশুদের জন্য প্রবায়োটিক

প্রবায়োটিক যেমন য়োগার্ট বা কৃত্তিম দইতে প্রচুর হজমে সাহায্যকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে এবং এগুলি অন্ত্রের ফ্লোরার পক্ষে উপকারী। নতুন গবেষণায় দেখা যায় যে, শিশুদের প্রোবায়োটিক, যখন কয়েক সপ্তাহের জন্য দেওয়া হয়, তা গ্যাস এবং পেটের সমস্যা সহজ করে।

সরিষার তেল মালিশ

আপনার বাচ্চাকে অল্প গরম সরিষার তেল দিয়ে মালিশ করলে এবং ঈষৎ গরম জল দিয়ে স্নান করালে গ্যাস সমস্যার সমাধান করতে পারে। মালিশ করলে অন্ত্র থেকে গ্যাস সরে যায় আর গরম জল বাচ্চাকে আরাম প্রদান করে শান্ত করে।

#সিমথিকোন
সিমথিকোন শিশুদের গ্যাস সমস্যাগুলি সমাধান করার জন্য একটি গ্যাসের ঔষধ। এটি পেটের ছোট গ্যাস বুদবুদগুলিকে একত্রিত করে বড় বুদবুদ তৈরিতে সাহায্য করে যাতে সেটি শিশুর পেট থেকে সহজেই বেরিয়ে আসে। এই ঔষধ কৃত্তিম স্বাদ এবং রং-এর সঙ্গেও পাওয়া যায় কিন্তু তা ব্যবহারের আগে একজন শিশু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

#বাচ্চার গ্যাস সমস্যা প্রতিরোধ করার জন্য কী করতে পারেন

কথায় আছে যে নিরাময়ের চেয়ে প্রতিকার বেশী ভাল। শিশুকে দেওয়া খাবারের উপর এবং তার গ্যাস উৎপাদনের উপর ঘনিষ্ঠ নজর রাখলে আপনি বুঝতে পারবেন যে কোন ধরণের খাবার দেওয়া উচিত বা অনুচিত অথবা কোন সময় কোনটা দেওয়া দরকার। এছাড়াও পরামর্শ দেওয়া হয় যে বাচ্চার মায়ের নির্দিষ্ট কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত যেমন শুঁটকি মাছ এবং চিংড়ি মাছের মতো খাবার, মশলাদার মাংস, বাদাম, ডাল, দুগ্ধজাত পণ্য এবং কিছু সব্জী যেমন ব্রকলি, ফুলকপি ইত্যাদি গ্যাস সৃষ্টি করে। আদা, হিং, রসুন, মৌরী বীজ, জিরা ভেজানো জল, ইত্যাদি কিছু খাবারও গ্যাস দূর করার জন্য খাওয়া যায়।

শিশু যেন কিছুক্ষণ পেটের উপর ভর করে শোয় তা নিশ্চিত করুন। কয়েক মিনিটের জন্য শিশুটিকে উপুড় করে শোয়ান। পেটের উপরে আসা হালকা চাপটি গ্যাস বেরিয়ে যেতে সহায়তা করে এবং শিশুর পিঠ ও ঘাড়ের পেশীকে শক্তিশালী করে। দিনের বেলায় আপনি যখন শিশুটির সাথে খেলবেন তখন প্রায়ই তার পিঠে মৃদু চাপড় দেবেন। এটি তাদের দেহে সহজে গ্যাস একত্রিত করতে এবং বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে।

কখন আপনি ডাক্তার ডাকবেন

যদি শিশুটি দীর্ঘ সময়ের জন্য কান্নাকাটি করে এবং জ্বর,বমি, দীর্ঘ সময় ধরে কান্নাকাটি, খাওয়া বন্ধ বা কম করা সহ কোনোপ্রকার অস্বাভাবিক আচরণ করে, তবে কোনও গুরুতর সমস্যা হয়েছে কিনা তা দেখার জন্য ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা ভালো।

#স্বাস্থ্য_বিষয়ক যে কোন তথ্য জানতে চোখ রাখুন বাংলাদেশ ফার্মেসি পরিবার গ্রুপের টাইমলাইনে।

 #মহান_শহীদ_দিবস_ও_আন্তর্জাতিক_মাতৃভাষা_দিবস_আজবাংলার দিগন্ত আজ শিমুলে-পলাশে রাঙা। গাছে গাছে নবীন পাতার গুচ্ছ। প্রকৃতিতে...
21/02/2022

#মহান_শহীদ_দিবস_ও_আন্তর্জাতিক_মাতৃভাষা_দিবস_আজ

বাংলার দিগন্ত আজ শিমুলে-পলাশে রাঙা। গাছে গাছে নবীন পাতার গুচ্ছ। প্রকৃতিতে যখন নবীনের উন্মেষের আনন্দ-উচ্ছ্বাস, তখনই মায়ের ভাষার অধিকার রক্ষায় এক মর্মমূল ছেঁড়া বেদনার ঘটনা ঘটেছিল এই বাংলায়।

৭০ বছর আগের এই দিনে মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার দাবিতে শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অকুতোভয় বীর সন্তানরা নেমে এসেছিলেন রাজপথে। বুকের তাজা রক্তে বসন্তের রাঙা ফুলের মতোই রাঙিয়ে দিয়েছিলেন ঢাকার রাজপথ। মাতৃভাষার দাবিতে আত্মদানের এক অভূতপূর্ব অধ্যায় সেদিন সংযোজিত হয়েছিল মানব ইতিহাসে। আজ সোমবার সেই অনন্য স্মৃতিধন্য দিন, আত্মদানের গৌরবের দিন। আজ অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাকে এ দেশের রাষ্ট্রভাষার দাবিতে এক কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান সালাম, রফিক, জব্বার, বরকত, শফিক। তাঁদের রক্তের পথ বেয়ে বাংলা এ দেশের রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি পায়।

বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগের দিনটির স্বীকৃতি এখন বিশ্বজুড়েই। ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের স্বীকৃতির পর প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে সারা বিশ্বেই পালন করা হয়।

আজ সারা দেশে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করা হবে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো, ‘প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বহুভাষায় জ্ঞানার্জন : সংকট এবং সম্ভাবনা’।

বাঙালির প্রাণের দিবস একুশে ফেব্রুয়ারির তাত্পর্য বহুমাত্রিক। এ দেশের মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে ভাষা আন্দোলন। ১৯৫২ সালের পর এ দেশের আপামর জনগণের অধিকার রক্ষার প্রতিটি আন্দোলনে একুশে ফেব্রুয়ারি চেতনার বাতিঘর হয়ে পথ দেখিয়েছে। এ দিনটি এ দেশের মানুষের কাছে আত্মত্যাগ ও জাগরণের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।

05/01/2022
01/09/2021

#বাংলাদেশ_ফার্মেসী_পরিবার গ্রুপের স্বাস্থ্য বিষয়ক পর্বে আপনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা

#গর্ভবস্থায়_প্রথম_তিন_মাসে_যে_কাজ_গুলি_করবেন_না

যদিও অনেকটাই বোঝা যায় না, কিন্তু গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস যে কোন মায়ের কাছেই ভীষণ জাদুকরি বলেই মনে হয়। নতুন প্রাণের আগমনের খবর উদ্বেলিত করে তোলে নতুন মায়ের জীবন। শুধু মায়ের জন্য নয়, সন্তানের জন্যও এই সময়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। তাই দরকার সচেতনতার। যেহেতু সন্তানের একদম প্রথম পর্যায় এটি, তাই মাকে হতে হবে অনেক বেশি সতর্ক।

কিন্তু বললেই তো আর সতর্ক হওয়া যায়না, কারন অনেক ক্ষেত্রেই মায়েরা বুঝতে পারেন না যে কি হচ্ছে বা কি হতে পারে। অনেকেরই নিজের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকেনা, জানা থাকেনা কিসে সন্তানের ভাল বা খারাপ হতে পারে। তাই সন্তান গর্ভধারণের এই প্রথম পর্যায়টি অনেকের জন্যই হতে পারে ক্ষতিকারক, যদি সঠিক যত্ন না হয়। সন্তান গর্ভধারণের প্রথম পর্যায়ের মায়েদের শারীরিক অবস্থা্র সবকিছু নিয়েই আমাদের এই আলোচনা।

প্রথমেই জেনে নিন আপনি প্রেগন্যান্ট কি না। আজকাল প্রেগন্যান্সি কিট কিনতে পাওয়া যায়। তা দিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। এসব কিট দিয়ে যে পরীক্ষা করা হয় তার মধ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশ পরীক্ষাই সঠিক হয় বলে ধরা হয়। তবে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হতে চাইলে ডাক্তারের পরামর্শে আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। নিশ্চিত তো হওয়া গেল, এখন জানা যাক পরবর্তী পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে।

১ .একবার পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে গেলে এর পরে থেকে সাবধানে চলাফেরা করুন। এলকোহল, ক্যাফেইন, ধুমপান থেকে দূরে থাকুন, তা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যেমনই হোক না কেন। কারন এই সময় এসব জিনিস অন্য যে কোন কিছুর থেকেই সবচাইতে বেশি ক্ষতি করে বাচ্চার।

২.যেহেতু আপনি অন্তঃসত্ত্বা, তাই আপনাকে সবসময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। অতিসত্বর একজন ডাক্তার নির্বাচন করুন। ডাক্তার নির্বাচন করার আগে কিছু জিনিষ মনে রাখবেন। যেমন- ডাক্তারের সাথে যে কোন সময় যোগাযোগ করা সম্ভব কি না, যে কোন দরকারে তাকে পাওয়া যাবে কি না। সেই সাথে দূরত্বটাও খেয়াল রাখবেন। যেহেতু আপনি অন্তঃসত্ত্বা তাই এ সময় বেশি চলাচল করতে পারবেন না। কেননা তা বাচ্চার জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। তাই ডাক্তারের কাছে অল্প সময়ে যেন পৌঁছানো যায় সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।

৩. অন্তঃসত্ত্বা হবার কারনে শরীরে বেশ কিছু হরমোন পরিবর্তন ঘটে। যার ফলে বমি ভাব, মাথা ঘোরা, খেতে না পারা, শরীর খারাপ ভাব হতে পারে। তবে সবাইকে যে এই সকল পরিস্থিতি পার করতে হয় তাও নয়, অনেক মায়ের মধ্যেই এসবের কোনটি বা কখনও কখনও একটিও উপসর্গ দেখা যায় না। এমন কিছু হলে ভয় পাবেন না, আবার না হলেও ভয় পাবেন না। বেশি বমি হলে সকালে উঠে লেবু পানি খেতে পারেন। আর মাথা বেশি ঘোরালে শুয়ে পড়ুন। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলে ঠিক হয়ে যাবে।

৪. এছাড়াও হরমোন ঘটিত পরিবর্তনের কারনে এ সময় স্তনের আকারে পরিবর্তন হওয়া শুরু হয় ধীরে ধীরে। সেই কারণে স্তনে ব্যথা হবে ও স্তন নরম হয়ে যাবে। এমনটা হলে ভয় পাবেন না। মনে রাখবেন এই পরিবর্তন আপনার সন্তানের জন্য জরুরি।

৫. সন্তান গর্ভে ধারণ করার ফলে কিছু শারীরিক পরিবর্তনও ঘটে। যেহেতু সন্তান জরায়ুতে ধারণ করা হয় ও জরায়ুর অবস্থান থাকে প্রসাবের নালীর উপরে, তাই বাচ্চার বৃদ্ধির সাথে সাথে জরায়ু প্রসাবের নালির উপরে কিছু চাপ ফেলে। ফলে প্রসাবের পরিমান বেড়ে যাবে। এই সমস্যা প্রথম ৩ মাস এবং শেষ ৩ মাসের মধ্যেই প্রবল থাকে বেশি।

৬. এছাড়াও অনেক অন্তঃসত্ত্বা নারীরই রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারো রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, আবার কারো বা কমে যেতে পারে। সেই সাথে দেখা দিতে পারে সুগারের সমস্যা। তাই সন্তানের গর্ভধারণের পরপর ডাক্তারের পরামর্শে সব কিছুর পরীক্ষা একবার করে নিয়ে দেখতে হবে গর্ভাবস্থা স্বাভাবিক আছে কি না। এমন কোনও সমস্যা দেখা দিলে নিয়মিত চেকআপের মধ্যে থাকতে হবে।

৭. বুক জ্বালা করা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যও হতে পারে অনেক মায়ের। অন্তঃসত্ত্বা নারীর খাবার হজম হতে ও পেট খালি হতে অন্য নারীদের তুলনায় বেশি সময় লাগে, কারন গর্ভস্থ বাচ্চার খাবার থেকে পুষ্টি গ্রহন করতে সময় লাগে একটু বেশি। কিন্তু এই কারণটাই গর্ভবতী নারীর জন্য হয়ে যায় কষ্টের কারণ। এর ফলেই গর্ভবতী নারী শিকার হতে পারেন কোষ্ঠকাঠিন্য ও বুক জ্বালা করা রোগের। ঘাবড়ে যাবেন না। দরকার পড়লে ডাক্তারের পরামর্শে কোন ওষুধ সেবন করতে পারেন।

৮. এছাড়াও একজন গর্ভবতী নারী গর্ভ ধারণ করেছেন এটা জানার পরে আনন্দিত, উদ্বিগ্ন, প্রফুল্ল ও ক্লান্ত ইত্যাদি সব ধরনের অনুভূতি অনুভব করেন। এত সব কিছু এক সাথে মানিয়ে নেয়াটাও একটা বড় ব্যাপার হয়ে দেখা দেয়। অনেকেই ঠিক মত মানিয়ে নিতে পারেন না নতুন পরিস্থিতির সাথে। ফলে শিকার হন মুড সুইং এর। সেই সাথে নানা রকম হরমোনাল চেঞ্জ এর কারণে রাগ বা খারাপ লাগা অনুভুত হতে পারে। এমন কিছু হলে অধিক উত্তেজনা পরিহার করে চলতে হবে। কারণ বেশি উত্তেজনা গর্ভস্থ সন্তানের জন্য ভাল নয়।

৯. সঙ্গীর সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটু ধৈর্য ধরুন। মনে রাখতে হবে আপনি যেমন মা হচ্ছেন, তেমনই তিনিও বাবা হচ্ছেন। তার কোন ভুল দেখতে পেলে তার সাথে রাগারাগি না করে সাহায্য করুন, সেই সাথে আপনার কোন কিছু খারাপ লাগলে তাকে জানাতে ভুলবেন না।

১০. মনে রাখবেন আপনি যে কাজ করছেন তা প্রেগন্যান্সি সেফ কিনা জেনে নিন। ভারি কোন কাজ একদম করতে যাবেন না। মনে রাখবেন প্রথম তিন মাস খুব সাবধানী হতে হবে কারণ এই তিন মাসেই এবরশনের হার সবচাইতে বেশি থাকে। সেই সাথে এমন খাবার খাবেন না যা বাচ্চার জন্য খারাপ হবে। পেঁপে, আনারসের সাথে সাথে কাঁচা বা আধা সিদ্ধ প্রোটিন যেমন মাছ, মাংস, ডিম এসব পরিহার করে চলতে হবে। প্রোটিন ভালো করে রান্না করে তবেই খাবেন। সেই সাথে গলিত চিজ বা এই জাতীয় খাবারও পরিহার করে চলবেন। প্রথম ৩ মাস খেতে কষ্ট হয়, কিছু খেতে ইচ্ছা করেনা তাও বাচ্চার কথা চিন্তা করে যতটা সম্ভব ততটা স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

১১. ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক কোন ওষুধ খাবার থাকলে তা খাবেন। এমনকি গ্যাসের সমস্যা বা মাথা ব্যাথা বা জ্বর হলেও ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খেতে যাবেন না। এতে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে।

১২. ঘুমের সময় বাড়িয়ে দিন। দিনে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা করে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। এছাড়াও সারাদিনের কাজের ফাঁকে ফাঁকে হালকা বিশ্রাম নিতে পারেন।

মনে রাখবেন সন্তান সবার কাছেই মূল্যবান। সবাই চাইবে সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে। তাই কষ্ট হলেও সন্তানের ভালোর জন্য সাবধানে সবকিছু মেনে চলার চেষ্টা করুন। সেই সাথে নিয়মিত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ রাখুন। বিস্রামে থাকুন, উত্তেজিত থাকবেন না, সেই সাথে উদ্বেগ না হয় এমন কিছু করবেন না ও ভয় পাবেন না। সব থেকে বড় কথা হল নিজের খেয়াল রাখুন। আপনি ভাল থাকলেই আপনার সন্তানও ভাল থাকবে।

স্বাস্থ্য বিষয়ক যে কোন তথ্য জানতে চোখ রাখুন #বাংলাদেশ_ফার্মেসী_পরিবার গ্রুপের টাইমলাইনে।

Address

Dhaka

Telephone

+8801644652265

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বাংলাদেশ ফার্মেসী পরিবার posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to বাংলাদেশ ফার্মেসী পরিবার:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram