07/08/2025
ভয়াবহ ভাইরাস জ্বর ছড়িয়ে পড়ছে,
নিজেও সতর্ক হোন,ও অপরকেউ সচেতন করুন।
এই মুহূর্তে একটি নতুন ধরনের ভাইরাস জ্বর গ্রাম বাংলা সহ চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি ডেংগু এবং চিকুনগুনিয়া না হলেও এর লক্ষণগুলো বেশ ভয়াবহ,এবং অনেকেইআক্রান্ত হচ্ছেন—তবে বিশেষ করে শিশুরা।
বাবা----মায়েদের জন্য বার্তা: যদি আপনার সন্তান এই জ্বরে আক্রান্ত হয়,প্রথমেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়বেন না।কারণ আপনার শক্তি আপনার মনোবলই আপনার সন্তানের সাহস আপনি সুস্থ থাকলে সেবা ভালোভাবে করতে পারবেন।
অসুস্থ শিশুদের সেবা করতে হলে তাদের নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার দিতে হবে,কারণ খাবারের বিকল্প কোনো ওষুধ নেই।
তারা খাবার খেতে না চাইলে জোর করবেন না,অল্পঅল্পকরে বারবার দিন।
বমি করলে বমির ওষুধ দিয়ে সেটা নিয়ন্ত্রণ করুন।
ভাইরাস জ্বরের সাধারণ লক্ষণ: >
হঠাৎ করে জ্বর (১০৩°–১০৪°F)
শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রচণ্ড ব্যথা (মাথা,চোখ,পিঠ,জয়েন্ট)
মাথা ঘোরা, দুর্বল লাগা,রক্তচাপ কমে যাওয়া।জ্বর চলে যাওয়ার পরও দীর্ঘ সময় ধরে শরীর দুর্বল থাকছে।
কি করবেন ? করণীয় ও পরামর্শ:
খাবারে যা রাখবেন: >
ভিটামিন সি: মাল্টা, কমলা, পেয়ারা, আমলকি।
জিঙ্ক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: কলা, পাকা পেঁপে, ডিমের কুসুম।
প্রোটিন: সিদ্ধ ডিম, চিকেন স্যুপ, ডাল, খিচুড়ি, মাছ।
প্রচুর পানি পান করুন (দিনে অন্তত ৩ লিটার) – স্যালাইন বা লেবুর শরবত খেতে পারেন।
চিনি পরিহার করুন।
ব্যথা ও জ্বর কমাতে: >
✔ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল
✔ গরম পানির সেঁক বা ম্যাসাজ
✔ আদা, তুলসি, মধু দিয়ে হালকা গরম পানীয়
জ্বরের পর শরীর ব্যথা কমাতে: >
✔ গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে শরীর মুছানো
✔ হালকা স্ট্রেচিং বা ধীরে হাঁটা
✔ ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার: কলা, ভেজানো বাদাম
✔ নারকেল তেল বা পুদিনার তেল দিয়ে হালকা মালিশ
যখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন: >
বারবার জ্বর আসছে,রক্তচাপ খুব কমে যাচ্ছে,খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বা অজ্ঞান ভাব,হৃদস্পন্দনে অস্বাভাবিকতা।
মনে রাখবেন: >
জ্বর কমে গেলেও শরীর সম্পূর্ণরূপে দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম, ভালো খাবার ও প্রচুর পানি–এই তিনটাই দ্রুত সেরে ওঠার মূলমন্ত্র।
আপনজন বা আশেপাশে কেউ আক্রান্ত হলে এই পোস্টটি শেয়ার করে তাকে সচেতন করুন।