
07/08/2025
বাংলাদেশের বর্তমান আবহাওয়া অনুযায়ী (বিশেষ করে বর্ষাকাল ও তাপমাত্রা পরিবর্তনের সময়), শিশুদের মধ্যে ভাইরাসজনিত জ্বর অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। জ্বরের তাপমাত্রা অনেক সময় ১০৩°F বা তারও বেশি হয়ে থাকে। নিচে এ ধরনের ভাইরাসজনিত জ্বরের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা (ট্রিটমেন্ট ও ম্যানেজমেন্ট) নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ (summary) দেওয়া হলো।
🦠 ভাইরাসজনিত জ্বর: কারণ ও চিকিৎসা – বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
✅ কারণ (Causes):
বাংলাদেশে শিশুদের মধ্যে ভাইরাসজনিত জ্বরের মূল কারণগুলো হলো:
1. ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস (Flu virus)
2. ডেঙ্গু ভাইরাস (বর্ষাকালে বেশি হয়)
3. রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস (RSV)
4. এডেনোভাইরাস ও রাইনোভাইরাস
5. এন্টারোভাইরাস (Hand-Foot-Mouth disease এর কারণ)
6. কোভিড-১৯ (বর্তমানে তুলনামূলক কম হলেও, পুরোপুরি শেষ হয়নি)
লক্ষণ (Symptoms):
উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর (১০২°F - ১০৪°F)
সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা
শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা
ক্ষুধামান্দ্য বা খেতে না চাওয়া
বাচ্চাদের মাঝে অস্বস্তি, কান্নাকাটি
ডায়রিয়া বা বমি (কিছু ক্ষেত্রে)
ত্বকে র্যাশ (ডেঙ্গু বা ভাইরাল এক্সান্থেম)
🩺 চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা (Treatment & Management):
🏠 বাড়িতে যত্ন নেওয়ার পদ্ধতি:
1. জ্বর নিয়ন্ত্রণ:
প্যারাসিটামল (Paracetamol) syrup/ drops (ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী)
কখনোই নিজে থেকে এন্টিবায়োটিক শুরু করবেন না।
2. পর্যাপ্ত পানি ও তরল:
ORS, স্যুপ, ডাবের পানি
বাচ্চা যেন ডিহাইড্রেট না হয়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে
3. বিশ্রাম:
বাচ্চাকে পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রামের সুযোগ দিতে হবে
4. গা মুছে দেওয়া (sponging):
গরম জ্বর থাকলে কুসুম গরম পানিতে গা মুছে দিতে পারেন
🏥 চিকিৎসকের কাছে কখন যাবেন:
জ্বর ৩ দিনের বেশি স্থায়ী হলে
শ্বাসকষ্ট, খাওয়া বন্ধ করে দিলে
খিঁচুনি হলে বা অচেতন ভাব দেখা দিলে
ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে (চোখের পেছনে ব্যথা, ত্বকে র্যাশ, গাম থেকে রক্ত)
⚕️ ডায়াগনোসিস টেস্ট (প্রয়োজনে):
CBC (Complete Blood Count)
Dengue NS1/IgM
COVID-19 test
Chest X-ray (শ্বাসকষ্ট থাকলে)
🛡️ প্রতিরোধ (Prevention):
শিশুদের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
আক্রান্ত শিশুদের থেকে দূরে রাখা
হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার
মশা নিয়ন্ত্রণ (ডেঙ্গু রোধে)
প্রয়োজনীয় টিকাগ্রহণ (যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন।
📌 সংক্ষেপে মনে রাখুন:
> "ভাইরাসজনিত জ্বর সাধারণত নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়, তবে লক্ষণ গুরুতর হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।"