জার্মানি হোমিও শিক্ষালয়

জার্মানি হোমিও শিক্ষালয় ♦আসুন আমরা সঠিক হোমিও চিকিৎসা শিখি ও সফল হোমিও চিকিৎসক হই♦
(1)

19/07/2025

( #দাঁতের_রোগ)ঃ
শিশুদের দাঁত ওঠতে দেরী হলে কিংবা দাঁত ঠিকমতো না ওঠলে Calcarea phos (শক্তি ১০,০০০) মাসে একমাত্রা খাওয়ান। শিশুদের দাঁত ওঠার সময় কোন অসুখ হলে Calcarea phos (শক্তি কিউ, ৩০, ২০০) তিন/চার বেলা করে খাওয়াতে থাকুন। দাঁতের ব্যথা ঠান্ডায় কমলে Bryonia (শক্তি কিউ, ৩,৬,১২,৩০) আর গরমে কমলে Nux vomica (শক্তি কিউ, ৩,৬,১২,৩০) ঘনঘন খেতে থাকুন। পোকা খাওয়া দাতের যন্ত্রণায় Kreosote (শক্তি ৩০ , ২০০) রোজ তিন বেলা করে অথবা আরো ঘনঘন খেতে থাকুন (এক ফোটা বা ৫টি বড়ি করে) । দাতেঁর যে-কোনো ব্যথা বা দাতেঁর বা মাড়ির যে-কোনো ইনফেকশানে একটি স্রেষ্ট ঔষধ হলো ক্রিযোজোট । Plantago Major : দাঁত, কান এবং মুখের ব্যথায় প্লানটাগো মেজর (শক্তি ৩০ , ২০০) এমন চমৎকার কাজ করে যে, তাকে এক কথায় যাদু বলাই যুক্তিসঙ্গত।পত্রিকায় দেখলাম, একজন প্রখ্যাত সাংবাদিকের দাঁতব্যথা সারাতে না পেরে ডেন্টিস্টরা শেষ পযর্ন্ত একে একে তাঁর ভালো ভালো চারটি দাঁতই তুলে ফেলেছেন। আহা ! বেচারা ডেন্টিস্টরা যদি প্লানটাগো’র গুণের কথা জানত, তবে প্রবীন এই সাংবাদিকের দাঁতগুলো বেচেঁ যেতো।(এক ফোটা বা ৫টি বড়ি করে)

--Dr.Bashir Mahmud Elius

#বিঃদ্রঃ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া যে কোনো ওষুধ সেবন ই বিপদজনক।

 #২১১টি_বিখ্যাত_"কিং"  #ঔষধের_একক, বিরল, অদ্ভুত ও নির্ভুল Strange, Rare, Peculiar, Concomitant লক্ষণ — যা একাই যথেষ্ট সং...
17/07/2025

#২১১টি_বিখ্যাত_"কিং" #ঔষধের_একক, বিরল, অদ্ভুত ও নির্ভুল Strange, Rare, Peculiar, Concomitant লক্ষণ — যা একাই যথেষ্ট সংশ্লিষ্ট ঔষধ চেনার জন্য, যা অন্য কোনো ঔষধ তেমনভাবে প্রয়োগ হবেই না

এগুলি Kent, Allen, Hering, Nash, Farrington, Boericke, Clarke ও অভিজ্ঞ চিকিৎসাবিদদের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে সাজানো হয়

1. Aconite – হঠাৎ মৃত্যু ভয় সহ মাথার বাম পাশে কাঁপুনি দিয়ে শুরু হয়।

2. Belladonna – শিশুর মাথা গরম, পা ঠান্ডা, চোখ লাল আর অন্যমনস্ক।

3. Nux Vomica – অসন্তুষ্টি নিয়ে সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে রেগে থাকে।

4. Bryonia – নড়লেই ব্যথা বাড়ে, প্রতিটি অঙ্গ যেন স্থির থাকতে চায়।

5. Arsenicum Alb. – ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করে অথচ বারবার একই বিষয়ে কথা বলে।

6. Sulphur – সপ্তাহে একদিন গোসল না করলে স্বস্তি পায়।

7. Calcarea Carb. – ভয় পায় যেন পাগল হয়ে যাবে, কিন্তু নিজের দুর্বলতা বোঝে।

8. Lycopodium – কথার মাঝেই ভুলে যায় কী বলছিল।

9. Phosphorus – ভয় পায় একা থাকতে, কিন্তু সঙ্গ পেলেই চুপ হয়ে যায়।

10. Pulsatilla – শিশু কাঁদে, কিন্তু অন্য শিশুকে কোলে নিলে হাসে।

11. Silicea – অল্প ইনজেকশন বা কাঁটা শরীর থেকে নিজেই বের করতে পারে না।

12. Hepar Sulph. – খোলসযুক্ত কিছু খেলেই গলা ব্যথা করে।

13. Merc Sol. – দাঁত হেঁচড়ে কামড়ে ফেলে, রাতে ঘুমের সময়।

14. Rhus Tox. – আরাম পায় বিছানা পাল্টালে।

15. Sepia – নাভির নিচে ভারী অনুভব, যেন সব অঙ্গ নিচে পড়ে যাচ্ছে।

16. Natrum Mur. – রোদে হাঁটলে মাথাব্যথা বাড়ে, বিশেষ করে সমুদ্রে গেলে।

17. Ignatia – ঠোঁট কামড়ে ধরা, চোখে জল থেমে থেকে কাঁদতে না পারা।

18. Staphysagria – প্রস্রাবের সময় বাকি প্রস্রাব আটকে থেকে পরে পড়ে যায়।

19. Aurum Met. – একটু কড়া কথা শুনলে মনে হয় জীবন বৃথা।

20. Cina – শিশু ঘুমের সময় এক চোখ খোলে থাকে।

21. Antim Crud. – ওভারইট করলে পা গরম হয়ে যায়।

22. Chamomilla – ব্যথা হলে এক গালে থাপ্পড় মেরে ব্যথা অন্যদিকে নিয়ে যায়।

23. Gelsemium – চোখের পাতা ভারী হয়ে আসে, খুলে রাখতে কষ্ট হয়।

24. Veratrum Alb. – জিহ্বা দুভাগে কাঁপে বমির আগে।

25. Tabacum – ঘুরতে ঘুরতে বমি, কপাল ও ঠোঁট সাদা হয়ে পড়ে।

26. Spongia – কাশি যেন গলা কাটছে, করাত দিয়ে কাটা হচ্ছে।

27. Drosera – কাশি এত জোরে যে বমি করে ফেলে।

28. Kali B**h. – ঘন রাবারের মতো পিচ্ছিল কফ মুখে আটকে থাকে।

29. Sanguinaria – ডান কাঁধের ব্যথা সহ ডান চোখ দিয়ে মাথা ধরে।

30. Ipecac – কাশি বা বমির পর জিহ্বা পরিষ্কার থাকে একদম।

31. Carbo Veg. – ঠাণ্ডা বাতাস ছাড়া দম নেয়া যায় না, শরীর বরফের মত ঠাণ্ডা।

32. Camphor – কাঁপুনি সহ দম বন্ধ হয়ে আসে, উষ্ণ কিছুতেই আরাম মেলে না।

33. Coffea – সুখের উত্তেজনায় ঘুম আসে না।

34. Colocynth – বিরক্তি বা অপমানের পর পেট মোচড়ানো ব্যথা হয়।

35. Mag Phos – উষ্ণ কিছু খেলে, চাপ দিলে ব্যথা সম্পূর্ণ চলে যায়।

36. Causticum – কান্নায় আরাম পায়, অন্যরকম বিষাদ – বন্ধুর জন্য কাঁদে।

37. Hyoscyamus – উলঙ্গ হয়ে ঘুরে বেড়ায়, হাসে হাসে কথা বলে।

38. Stramonium – আলো ও মানুষের সঙ্গ ছাড়া একা থাকতে পারে না।

39. O***m – ভয়ানক দুর্ঘটনা দেখে গভীর ঘুমে চলে যায়।

40. Lachesis – বাম থেকে ডান দিকে রোগ ছড়ায়, গলায় কিছু স্পর্শ সহ্য হয় না।

41. Apis Mellifica – ঠাণ্ডায় আরাম, গরমে খারাপ, ছোঁয়াচে স্বভাব, ঈর্ষান্বিত।

42. Cantharis – প্রস্রাব করার আগে, সময় এবং পরে তীব্র পোড়াভাব।

43. Berberis Vulgaris – কোমর থেকে ঊরু ও উরুর সামনে ব্যথা টানে টানে নামে।

44. Pareira Brava – প্রস্রাব করতে মাটিতে হেঁটে হেঁটে বসতে হয়, প্রচণ্ড জ্বালা।

45. Sarsaparilla – দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে জ্বালায় চিৎকার করে ওঠে।

46. Nitric Acid – দাঁত ব্রাশ করলেই রক্ত পড়ে, আর খেতে গেলেই তীব্র ব্যথা।

47. Thuja – মনে হয় শরীরে কিছু অতিরিক্ত বাস করছে, ভেতরে কিছু নড়ছে।

48. Sabina – এক ফোঁটা রক্তও গরম গরম বেরোয়, গর্ভপাতের সময় ব্যথা পিঠে নামে।

49. Hamamelis – রক্তপাত হলেও যন্ত্রণা নেই, রক্ত গাঢ় ও জমাট।

50. Millefolium – সামান্য আঘাতেই অতিরিক্ত রক্তপাত।
51. Aloe Socotrina
❖ সকালে ঘুম থেকে উঠেই তীব্র পায়খানার তাগিদ, পায়খানা করার পরেও পায়ুপথ ঢিলা হয়ে থাকে যেন সব পড়ে যাবে।

52. Podophyllum
❖ সকালবেলায় হঠাৎ করে পেটে গুড়গুড় শব্দ করে বাচ্চার মতো জোরে পাতলা মোশন হয়, বমি ছাড়াই।

53. Chelidonium Majus
❖ ডান কাঁধে ব্যথার সাথে একসাথে যকৃতের সমস্যা ও পায়খানা হলুদ বা কাদা রঙের হয়।

54. Iris Versicolor
❖ সপ্তাহে একবার ডান চোখ থেকে শুরু হয়ে চোখ, কপাল, কানে ব্যথা হয়ে বমি দিয়ে শেষ হয়।

55. Glonoine
❖ মাথায় রক্ত উঠে যেন মাথা ফেটে যাবে, সূর্যের তাপে মাথা ফাটার মতো ব্যথা।

56. Bellis Perennis
❖ শরীর আঘাতে কাঁপে, মনে হয় ভিতরে ভিতরে পচে যাচ্ছে, বিশেষ করে গভীর মাংসপেশিতে ব্যথা।

57. Ruta Graveolens
❖ হাড় ও তন্দুরের জোড়ে ব্যথা, বসে থাকা থেকে উঠে দাঁড়ালে অস্থি যেন শক্ত হয়ে গেছে।

58. Symphytum
❖ পুরাতন ভাঙা হাড়ের স্থানে আবার নতুন করে ব্যথা শুরু হয়, হাড় জোড়া লাগাতে সাহায্য করে।

59. Arnica Montana
❖ বলে সব ঠিক আছে কিন্তু গভীর ভিতরে ভীষণ ক্লান্তি, স্পর্শ করলে বলে “না ধরবেন না”।

60. Calendula Officinalis
❖ কাটা-ছেঁড়া ক্ষতের জায়গা খুব ব্যথা করে, কিন্তু পুঁজ ধরে না, বরং চামড়া যেন খুলে যাচ্ছে।

61. Echinacea
❖ পচা দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজ, রক্ত ও বিষক্রিয়াযুক্ত ইনফেকশনে ভয়ানক দুর্বলতা।

62. Ferrum Phos.
❖ কোনো লক্ষণ ছাড়া হঠাৎ করে রক্ত পড়ে, বিশেষ করে নাক থেকে, ক্লান্তি ছাড়াই।

63. Calcarea Phos.
❖ বৃদ্ধির সময় হাঁটু বা অস্থিতে ব্যথা, শিশুদের দুধ দাঁত পড়ে গিয়ে নতুন দাঁত আসতে দেরি হয়।

64. Natrum Phos.
❖ পাতলা পায়খানার সাথে পিচ্ছিল হলুদ সাদা রঙের মোশন ও দাঁতে দাঁত ঘষে।

65. Kali Phos.
❖ বেশি পরিশ্রম বা মানসিক চাপের পর স্মৃতিভ্রংশ, মাথা কাজ না করা ও কথা ভুলে যাওয়া।

66. Silicea Terra
❖ শরীরে কোনো কিছুর জড়ানো থাকলে (ফাঁড়া, কাঠের টুকরা) ধীরে ধীরে বের করে আনে।

67. Argentum Nitricum
❖ পরীক্ষার আগে, মঞ্চে উঠার আগে প্রবল উত্তেজনায় পাতলা মোশন হয়।

68. Anacardium Orientale
❖ মনে হয় দুইটা মন কাজ করছে – একটা ভালো আরেকটা খারাপ বলছে – দ্বৈত ব্যক্তিত্ব।

69. Baryta Carb.
❖ প্রাপ্তবয়স্ক হলেও শিশুসুলভ আচরণ, অপরিচিত কারো সামনে কথা বলতে ভয়।

70. Bromium
❖ গলায় সিঁদুর রঙের ঠাণ্ডা জমে থাকে, ঠান্ডা জায়গা সহ্য হয় না।

71. Iodum
❖ প্রচণ্ড খায়, তারপরও শুকিয়ে যায়; শক্তিশালী ক্ষুধা ও দ্রুত দুর্বলতা।

72. Ammonium Carb.
❖ একটু হাঁটলেই নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে, উঠে দাঁড়াতেই মাথা ঘুরে অন্ধকার দেখে।

73. Digitalis Purp.
❖ বুক ধড়ফড় করলে মনে হয় হার্ট থেমে যাবে, slightest motion করলেই পালস কমে যায়।

74. Spigelia
❖ বাম চোখ থেকে মাথা ও হার্টে সূচের মতো ব্যথা ঢুকে যায়; বিশেষ করে সকাল ১০টার পর।

75. Cactus Grand.
❖ মনে হয় হৃদপিণ্ডে লোহার রিং চাপ দিচ্ছে, বুক সংকুচিত হয়ে আসছে।

76. Kalmia Latifolia
❖ হার্টের সমস্যার সাথে সাথে বাঁ হাতে ব্যথা নামতে থাকে হাতের আঙ্গুল পর্যন্ত।

77. Crataegus Oxyacantha
❖ একদম নিঃশব্দ হার্ট ফেইল – পালস অত্যন্ত দুর্বল, কিন্তু হার্ট সাউন্ড একেবারে সুপ্ত।

78. Adonis Vernalis
❖ হৃদযন্ত্র দুর্বল কিন্তু প্রস্রাবও কমে যায়, হার্ট ফেইলের সাথে ইউরিন রিটেনশন।

79. Strophanthus
❖ slightest movement করলেই বুক ধড়ফড় আর দম বন্ধ হওয়া অনুভব।

80. Convallaria Majalis
❖ মনে হয় হৃদয় কানে উঠে গেছে – দম বন্ধ হয়ে বুক ধড়ফড় করতে থাকে।
81. Vipera
❖ পা ঝুলিয়ে রাখলেই স্ফীত হয়ে যায়, মনে হয় ফেটে যাবে; শিরা ফুলে টনটন করে।

82. Bothrops
❖ কথা জড়িয়ে যায়, বাকরুদ্ধতা—মুখে শব্দ তৈরি হয় কিন্তু মুখে প্রকাশ পায় না।

83. Lachesis
❖ ঘুম থেকে উঠলেই উপসর্গ শুরু হয়; জেগে থাকলেই খারাপ, ঘুমালেই ভালো।

84. Crotalus Horridus
❖ ডান দিকে সব শুরু হয়; ত্বকে হলদে রঙ, রক্তে বিষ ছড়িয়ে পড়ে, কালো রক্ত ঝরে।

85. Tarentula Hispania
❖ তীব্র উগ্রতা, দ্রুত নাচ বা গান না শুনলে সহ্য হয় না, অস্থিরতা কেবল গতি দিয়ে উপশম হয়।

86. Bufo Rana
❖ যৌন উত্তেজনায় খিচুনি, বিশেষ করে পিউবিক স্পাইনাল এক্সাইটেশনে।

87. Naja Tripudians
❖ হৃদয় ভারী, মনে হয় হৃদয় বন্ধ হয়ে যাবে; chest pain বাঁ দিকে ছড়িয়ে পড়ে ঘাড় পর্যন্ত।

88. Medorrhinum
❖ সময়জ্ঞান ভুলে যায়, আগামীকাল কী হবে মনে থাকে না, রাত জেগে থাকে – দিনে ঘুম।

89. Syphilinum
❖ রাতেই উপসর্গ বাড়ে, হাড়ের ব্যথা গভীর রাতে – জানালা দিয়ে ঝাঁপ দিতে ইচ্ছা।

90. Tuberculinum
❖ এক জায়গায় থাকতে পারে না; সবকিছুতে বিরক্ত, দুনিয়া ছেড়ে পালিয়ে যেতে চায়।

91. Psorinum
❖ গোসল করলেই অসুস্থ হয়ে পড়ে; মনে হয় কিছুই ভালো হবে না, ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

92. Bacillinum
❖ সকালে উঠে হাঁচি শুরু হয়, ঠাণ্ডা লাগলেই ঘন কাশি বুকে আটকে যায়।

93. Influenzinum
❖ প্রতিবার সর্দিতে একই pattern: মাথা ধরে → গলা ব্যথা → বুক ভারী → কাশি।

94. Variolinum
❖ গুটি বসন্তে চোখ মুখ ফুলে বিকৃত হয়ে যায়, কষ ও চামড়া পড়তে শুরু।

95. Morbillinum
❖ হামে দাগ আসার আগেই তীব্র চোখ লাল হয় ও পানির মতো নাক গড়ায়।

96. Coccus Cacti
❖ গলায় পিচ্ছিল সাদা থকথকে কফ আটকে থাকে, গরম পানিতে আরাম হয়।

97. Grindelia
❖ শ্বাস নিতে গিয়ে মনে হয় থেমে গেছে, জাগে যেন দম বন্ধ হয়ে মারা যাচ্ছে।

98. Aralia Racemosa
❖ ঘুমাতে গেলেই শ্বাস আটকে আসে, গলায় ঘড়ঘড় শব্দ – asthma at bedtime only.

99. Blatta Orientalis
❖ ভেজা পরিবেশে asthma শুরু হয়; মোটা লোকের কাশি ও দমবন্ধ ভাব।

100. Lobelia Inflata
❖ শ্বাসকষ্টের সাথে মনে হয় গা বমি করছে, বুক ঠান্ডা হয়ে আসে, হালকা ঘাম।

101. Senega
❖ কফ বের না হলে দম নিতে কষ্ট হয়, বুকে জমে থাকে – বৃদ্ধ বা দুর্বলদের জন্য।

102. Skookum Chuck
❖ নাকের ভেতরে চুলকানি, কানে, গলায় অদ্ভুত খসখসে অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া।

103. Sabadilla
❖ ধারাবাহিক হাঁচি, মুখে গন্ধ পেলেই বা ফুল দেখলেই হাঁচি শুরু।

104. Euphrasia
❖ চোখে পানি পড়ে কিন্তু নাক শুকনো থাকে – গন্ধে বা আলোতে চোখ জ্বলে।

105. Allium Cepa
❖ নাক দিয়ে পানি পড়ে, কিন্তু চোখে কোনো ব্যথা নেই – যেন কাটা পেঁয়াজের গন্ধ।

106. Arum Triphyllum
❖ শিশু নাক ঘষে ঘষে ছিঁড়ে ফেলে, ঠোঁট ও মুখের চারপাশে ঘা হয়ে যায়।

107. Lemna Minor
❖ নাকে পলিপ থাকলে, বর্ষাকালে শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে, স্যাঁতস্যাঁতে গন্ধে বাড়ে।

108. Hydrastis
❖ ঘন, হলুদ, স্ট্রিংযুক্ত নাক-কফ যা মুখেও নামে; নাক গহ্বরে নিস্তেজতা।

109. Calcarea Flour
❖ শক্ত, গুটির মতো গ্রন্থি, হাড়ের গাঁটে গাঁটে কড়ার মতো দলা হয়।

110. Calcarea Sulph
❖ পুঁজ জমে মুখ বন্ধ হয়ে যায়, পাকা ফোঁড়া বারবার ফিরে আসে, yellow thick pus.

111. Natrum Sulph
❖ বাম পাশে মাথাব্যথা, ভেজা আবহাওয়ায় অসুস্থ হয় – damp climate = all symptoms worse.

112. Kali Mur
❖ সাদা গাঢ় স্তরযুক্ত টনসিল, মুখ খুললে দেখা যায় সাদা ছোট ছোট দানা।

113. Kali Sulph
❖ হলুদ slimy কফ, জ্বর শেষে ঠান্ডা পড়ে যায় – বিলম্বিত উপসর্গ।

114. Ferrum Met.
❖ সামান্য পরিশ্রম করলেই মুখ লাল হয়ে যায় ও মাথা ঘোরে, অথচ দুর্বলতা দেখা যায় না।

115. Zincum Met.
❖ পা নাড়াতে না পারলে অস্থির লাগে – ঘুমের সময়ও পা নড়ায়, restless legs.

116. Cuprum Met.
❖ হঠাৎ খিচুনি, আগে কাশি বা ক্র্যাম্প হয়, এরপরেই শরীর শক্ত হয়ে যায়।

117. Plumbum Met.
❖ পেট পিছনে টেনে ধরে, মলত্যাগ বন্ধ – যেন অন্ত্র ভিতরে কুঁচকে গেছে।

118. Alumina
❖ মলত্যাগের ইচ্ছা নেই একেবারেই, চুল্লি দিয়ে টানলেও আসে না – প্রবল কোষ্ঠকাঠিন্য।

119. Aloe Socotrina
❖ হঠাৎ প্রস্রাব বা পায়খানা বেরিয়ে যেতে চায়, ঠাসাঠাসি করে রাখতে হয়।

120. Petroleum
❖ শীতে ত্বক ফেটে যায়, রক্ত পড়ে – বিশেষ করে হাত ও কনুইয়ের দিকে।

121. Graphites
❖ পুরু চ্যাপ্টা ফাটা চামড়া, পিচ্ছিল আঠালো পুঁজ ঝরে, বিশেষ করে কান পেছনে।

122. Mezereum
❖ ঘা হলে চামড়ার নিচে পুঁজ জমে, চুলকায় ভীষণভাবে – তারপর ফেটে খোসা ওঠে।

123. Psorinum
❖ চামড়া এত নোংরা, রোগী নিজেও বলে “আমি গন্ধ পাচ্ছি, নিজেকে ঘৃণা হয়।”

124. Tellurium
❖ ঘামে ও শরীর থেকে মাছি-ধরা ভ্যাপসা গন্ধ বেরোয়।

125. Kreosotum
❖ দাঁত কেবল গজানো মাত্রই পচে যেতে শুরু করে; দাঁতের গোড়ায় ব্যথা।

126. Plantago Major
❖ দাঁত ব্যথা করে, কিন্তু কানে ছড়িয়ে যায় – কানে টান টান অনুভূতি।

127. Belladonna (repeat for context)
❖ দাঁতের ব্যথা হয় মাথা ঝাঁকালে, রাতে বেশি হয় – গালে চাপ দিলে আরাম।

128. Chamomilla (repeat)
❖ দাঁতের ব্যথায় এক গালে হাত দিয়ে কাঁদে, গরম কিছুতে আরাম।

129. Coffea Cruda (repeat)
❖ দাঁতের ব্যথা আনন্দ বা উত্তেজনায় বেড়ে যায়, ঠান্ডা পানিতে আরাম।

130. Merc Sol (repeat)
❖ দাঁতের ব্যথা রাতেই বেশি, দাঁত নাড়া দিলে কচকচ শব্দ হয়, হালকা ব্যথা।

131. Fluoric Acid
❖ বৃদ্ধ বয়স্কদের দাঁত সহজেই ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, রুট এক্সপোজড হয় – painless decay।

132. Arsenicum Iodatum
❖ অ্যালার্জিক র‌্যাশ বারবার হয়; শুকিয়ে গেলে আবার জ্বালার সঙ্গে ফিরে আসে।

133. Natrum Iodatum
❖ গলায় ছোট ছোট আলসার বারবার হয়, iodine sensitivity।

134. Kali Iodatum
❖ নাক গলা চোখে পুঁজ ও সর্দি একসাথে, গন্ধে সহ্য হয় না – “catarrhal tsunami”।

135. Aurum Iodatum
❖ জরায়ুর টিউমার, অল্প সময়ে বাড়ে – স্থায়ী বিষণ্নতার সাথে।

136. Bismuthum
❖ কিছু খেলেই বমি করে, কিন্তু খাওয়ার সময় ভীষণ ক্ষুধা লাগে।

137. Antim Tart
❖ বুকে জমে থাকা কফ বের হয় না, শ্বাসের শব্দ পরিষ্কার শোনা যায়।

138. Iodum
❖ গলা দিয়ে টান দিলে ভেতর থেকে ধ্বনি আসে – টিউবারকুলার ধরনের কাশি।

139. Muriatic Acid
❖ ঘুমের সময় মুখ খুলে থাকে, ঘুমিয়ে কাঁদে – অচেতন ও বিষণ্নতা একসাথে।

140. Phosphoric Acid
❖ দুঃখে একেবারে নিস্তেজ – প্রশ্ন করলেও উত্তর দেয় না, বসে থাকে চুপচাপ।

141. Acidum Nitricum
❖ পায়খানায় রক্ত ঝরে, যেন কাঁচি কাঁচি করে বের হচ্ছে – cutting pain with blood.

142. Sulphuric Acid
❖ সব কাজ তাড়াহুড়ো করে, বার্ধক্যে হাত কাঁপে, কিন্তু চিন্তায় দ্রুত।

143. Acetic Acid
❖ অতিরিক্ত প্রস্রাব, অতিরিক্ত দুর্বলতা – অল্পদিনে শুকিয়ে কাঠ।

144. Benzoic Acid
❖ প্রস্রাবের গন্ধ ঘরে বসেই বোঝা যায় – ঘোড়া প্রস্রাবের গন্ধ।

145. Oxalic Acid
❖ খুব হঠাৎ করে মাথা ঘুরে পড়ে যায় – মাথা নিচু করলেই কষ্ট।

146. Picric Acid
❖ একটু পরিশ্রম করলেই পা ভারী হয়ে যায়, মাথা ঝিম ঝিম করে।

147. Lactic Acid
❖ সকালে উঠে মুখে তেতো ভাব, আর বমি হতে চায় – pregnancy morning sickness।

148. Hydrocyanic Acid
❖ হঠাৎ শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়, নীল হয়ে যায় ঠোঁট – খিঁচুনি ছাড়াই।

149. Acidum Carbolicum
❖ পচা গন্ধে ঘেমে উঠে, কিন্তু গন্ধ নিজে টের পায় না।

150. Acidum Fluoricum
❖ দাঁত ক্ষয়ে পড়ে, চুল পাতলা হয়ে পড়ে – সবকিছু দ্রুত নষ্ট হয়।
151. Aethusa Cynapium
❖ শিশু দুধ হজম করতে পারে না; দুধ খেয়ে সাথে সাথে বমি করে, তারপর ঘুমিয়ে পড়ে – “milk intolerance with sleep.”

152. Abrotanum
❖ পাতলা পায়খানা বন্ধ হয়ে গেলেই বাত বা জয়েন্টে তীব্র ব্যথা শুরু হয় – "metastasis of diarrhoea to rheumatism."

153. Absinthium
❖ হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যায়, খিঁচুনি হয় এবং মনে থাকে না সে কোথায় আছে – post-epileptic amnesia.

154. Acalypha Indica
❖ সকালে উঠে খালি কাশিতে মুখ থেকে তাজা রক্ত ঝরে পড়ে, কিন্তু কফ একেবারে নেই।

155. Achillea Millefolium
❖ সামান্য আঘাতেই প্রচুর উজ্জ্বল রক্তপাত হয়, কিন্তু ব্যথা প্রায় নেই।

156. Actaea Racemosa (Cimicifuga)
❖ বাচ্চা প্রসবের সময় মনে হয় গা ঝিমঝিম করছে, যেন মাথায় কিছু নামছে – “nervous chill during labour.”

157. Aesculus Glabra
❖ পায়ুপথ যেন কাঠের মতো শক্ত, প্রস্রাব ও মল ছাড়াই ব্যথা থেকে যায়।

158. Agaricus Muscarius
❖ শরীর কাঁপে কিন্তু হাসতে হাসতে বলে কিছু হয়নি – “laughing while trembling.”

159. Agnus Castus
❖ যৌন শক্তি একেবারে নিঃশেষ হয়ে গেছে; যৌন চাহিদা হারিয়ে গেছে, মনে হয় সে নিঃশেষ পুরুষ।

160. Aletris Farinosa
❖ গর্ভবতী নারী বারবার গর্ভপাত করে, মনে হয় জরায়ু দুর্বল ও অপ্রস্তুত – uterine atony.

161. Alfalfa
❖ ক্ষুধা হারিয়ে গেছে; দেহে পুষ্টি নেই, কিন্তু কিছু খেলেই ক্লান্তি লাগে।

162. Ambra Grisea
❖ অপরিচিত লোকের সামনে কথা বলতে গেলেই কথা আটকে যায়, মুখ শুকিয়ে যায়।

163. Ammonium Mur.
❖ সিঁড়ি ভাঙলে হাঁপ ধরে, হাঁটতে গিয়ে হঠাৎ এক পাশে দুর্বলতা অনুভব করে।

164. Anhalonium (Peyotl)
❖ সময় যেন থেমে গেছে বা খুব ধীরে চলে – অদ্ভুত সময় বিভ্রান্তি।

165. Anthracinum
❖ নীলচে পুঁজ এবং পচা গন্ধযুক্ত ঘা – বিষাক্ত সংক্রমণে দেহ ঘা-ঘা।

166. Apocynum Cannabinum
❖ শরীর ফুলে যায়, অথচ পিপাসা নেই; ইউরিন বন্ধ হয়ে যায় – dropsy with thirstlessness.

167. Argentum Metallicum
❖ স্বর ব্যর্থ, বেশি কথা বললেই গলা ব্যথা করে, performers’ voice loss।

168. Asarum Europaeum
❖ অতিরিক্ত সংবেদনশীল; কাগজ ঘষার শব্দেই সহ্য হয় না – irritation to slightest sound.

169. Asterias Rubens
❖ স্তনে ফোঁড়া হতে হতে ক্যান্সারে রূপ নেয়, স্তনে ব্যথা রাতেই বাড়ে।

170. Aurum Muriaticum Natronatum
❖ জরায়ু বড় হয়ে যায়, পেট নীচের দিকে ভারী ও জড়ানো লাগে।

171. Bismuthum Subnitrate
❖ একবার কিছু খেতে শুরু করলে না থেমে খায়, তারপর সঙ্গে সঙ্গেই বমি।

172. Borax Veneta
❖ শিশুকে ওপর থেকে নিচে নামালে আতঙ্কে কাঁদে; নড়াচড়া সহ্য হয় না।

173. Bovista Lycoperdon
❖ মাসিকের আগে গাল ফোলায় বা মুখে ব্রণ হয় – menstrual puffiness of face.

174. Cactus Grandiflorus
❖ বুক যেন লোহার রিং দিয়ে চেপে ধরা – constriction with palpitation.

175. Caladium Seguinum
❖ যৌন চাহিদা নেই, অথচ স্বপ্নদোষ হয়; স্বপ্নে যৌনতা কিন্তু জেগে উঠে অনাসক্ত।

176. Campanula
❖ কানে শব্দ – মনে হয় কেউ ঘণ্টা বাজাচ্ছে – "Bell-like tinnitus."

177. Cannabis Indica
❖ সময়ের উপলব্ধি বিস্তৃত হয়ে যায় – এক মিনিট মনে হয় এক ঘণ্টা।

178. Capsicum Annum
❖ ঘরে যাওয়ার কথা মনে হলেই কান্না পায়, homesickness with burning urine.

179. Carbolic Acid
❖ মুখ দিয়ে পচা দুর্গন্ধ; মল-মূত্র থেকে বিষাক্ত গন্ধ; ulcer with stench.

180. Castor Equi
❖ স্তন একেবারে শুকিয়ে গেছে, দুধ আসে না; post-delivery agalactia.

181. Caulophyllum
❖ জরায়ুর পেশী দুর্বল – গর্ভাবস্থায় কাঁপুনি ও গর্ভপাতের সম্ভাবনা।

182. Cedron
❖ নির্দিষ্ট সময়ে ভয়ংকর মাথাব্যথা হয়, বিশেষ করে সন্ধ্যা ৪টায় প্রতিদিন।

183. Chininum Sulph
❖ প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে জ্বর আসে; সঙ্গে কর্ণ শব্দ ও শরীরে কম্পন।

184. Cholesterinum
❖ যকৃতের কার্যক্ষমতা কমে গেলে চোখ হলুদ হয়ে যায়, কষ জমে থাকে।

185. Cimex Lectularius
❖ জ্বর হলে ঠান্ডায় কাঁপে কিন্তু ঘাম হয় না, বিছানা গরম লাগে।

186. Cistus Canadensis
❖ মুখে ঘা – ঠান্ডা বাতাসে কষ্ট বাড়ে, কণ্ঠনালী শুকনো, স্পর্শে ব্যথা।

187. Clematis Erecta
❖ ঘা হয়ে গেলে পুঁজ চেপে বের হয় না, শুধু চামড়ার নিচে চেপে থাকে।

188. Cocculus Indicus
❖ গাড়িতে উঠলেই মাথা ঘোরে; ভার্টিগো সহ পেট গুলিয়ে উঠে।

189. Colchicum Autumnale
❖ রান্নার গন্ধ পেলেই বমি চলে আসে – extreme nausea from smell of food.

190. Conium Maculatum
❖ ধীরে ধীরে পক্ষাঘাত, কিন্তু অনুভূতি ঠিক থাকে – paralysis with preserved sensation.

191. Cyclamen Europaeum
❖ চোখে সামনে উড়ন্ত বিন্দু বা কালো দাগ – flickering before eyes, with vertigo.

192. Daphne Indica
❖ দেহের বিভিন্ন হাড়ে কট কট শব্দ, পেট ভারী, মুখ শুকনো, o***m craving।

193. Dolichos Pruriens
❖ ভীষণ চুলকানি, কিন্তু চুলকানোর পরেও আরাম হয় না; মূলত রাতেই বাড়ে।

194. Elaps Corallinus
❖ ঠাণ্ডা পানি খেলেই গলায় ব্যথা, মনে হয় গলা ছিড়ে যাচ্ছে।

195. Epiphegus Virginiana
❖ বেশি কথা বললে মাথাব্যথা শুরু হয়; মানসিক পরিশ্রমে মাথায় চাপ।

196. Eupatorium Perfoliatum
❖ হাড় ব্যথা – মনে হয় হাড় ভেঙে যাবে; কাশি দিলে বুক ফেটে যাবে।

197. Guaiacum Officinale
❖ জিহ্বা শক্ত হয়ে যায়, মুখ নাড়াতে পারে না – salivation with tongue stiffness.

198. Helonias Dioica
❖ জরায়ু ভারী, ব্যাকপেইন, একা থাকলে বিষণ্ন, কিন্তু কাজে ব্যস্ত থাকলে ভালো।

199. Hydrocotyle Asiatica
❖ ত্বকে পাতলা কড়ার মতো স্তর, চুলকায়, কিন্তু খোস খসে পড়ে না।

200. Xanthoxylum Fraxineum
❖ মাসিকের সময় কোমরে ব্যথা হয়, মাসিক হালকা কিন্তু তীব্র ব্যথা।
201. Heloderma
❖ প্রচণ্ড ঠান্ডা লাগে, এমনকি উষ্ণ ঘরে থাকলেও মনে হয় দেহে বরফ বয়ে যাচ্ছে; হাড়ের ভিতর কাঁপুনি।

202. Mygale Lachesis
❖ হাত-পা থরথর কাঁপে, নাচের মতো অনিচ্ছাকৃত অঙ্গচালনা; তীব্র স্প্যাজমের সাথে আনন্দিত হাসি।

203. Secale Cornutum
❖ হাত-পা শুকিয়ে কাঠ, কিন্তু রোগী বলে গরম লাগছে, কম্বল ফেলতে চায় – “cold but wants to be uncovered.”

204. Murex Purpurea
❖ জরায়ু ও যৌনতন্ত্র অত্যন্ত সংবেদনশীল; slightest emotion বা যৌন চিন্তায় গর্ভাশয়ে কাঁপুনি।

205. Coca Erythroxylon
❖ পাহাড়ে উঠলে বা উঁচু জায়গায় উঠলে শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে; altitude sickness remedy.

206. Antimonium Arsenicosum
❖ বুকে জমে থাকা পুরোনো কফ বারবার খিঁচুনি দিয়ে বের হয়, দম বন্ধ হয়ে আসা-ভাব সহ।

207. Onosmodium Virginianum
❖ চোখে যেন পর্দা টানানো, চোখ ও মাথা ভারী – চিন্তাশক্তি বিলম্বিত।

208. Terebinthina
❖ প্রস্রাব গাঢ়, রক্ত মিশ্রিত এবং ভয়ানক গন্ধযুক্ত – “smell like violets.”

209. Urea
❖ প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়, চামড়া শুকিয়ে যায়, ত্বকে সাদা ধূলির মতো জমা পড়ে – uremic frost.

210. Sabal Serrulata
❖ প্রস্রাবে টুকরো টুকরোভাবে আসে, প্রস্রাব করার পরও মনে হয় কিছু বাকি – পুরুষদের প্রস্রাব আটকে যাওয়া।

211. Malandrinum
❖ ভ্যাক্সিন পরবর্তী ত্বকে ফুসকুড়ি বা চর্মরোগের পুরনো বিষক্রিয়ায় চামড়া পঁচে যায়।
🌺
👨‍⚕️ ক্লিনিকে বসে কনফিউশন দূর করে দ্রুত ও নিখুঁত প্রেসক্রিপশন দেয়ার জন্য
📚 প্রতিটি লক্ষণ হলো একেকটি চিকিৎসার কম্পাস!
🧾 এই লক্ষণগুলো জানা মানেই – প্রেসক্রিপশন লেখার দিকনির্দেশনা হাতের মুঠোয়!

লেখক 🚣‍♀️ডা. খোরশেদ আলম

17/07/2025
 #মায়াজম(শেখার জন্য)©️ মূল লেখকঃ ডা. ফারুকী৪ টি মায়াজমের তুলনা দেওয়া হলো- (১. সোরিক ২. সিফিলিটিক  ৩. সাইকোটিক, ৪. টিউবার...
17/07/2025

#মায়াজম
(শেখার জন্য)

©️ মূল লেখকঃ ডা. ফারুকী

৪ টি মায়াজমের তুলনা দেওয়া হলো-

(১. সোরিক ২. সিফিলিটিক ৩. সাইকোটিক, ৪. টিউবারকুলার)
------------------------------------------------------

➡️আকৃতি:
১. সোরিক- কার্যগত পরিবর্তন।
২. সিফিলিটিক- ক্ষত সৃষ্টি, ধ্বংস ও পরিবর্তন হয়।
৩. সাইকোটিক- অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। স্থানিক পরিবর্তন।
৪. টিউবারকুলার- ধ্বংসাত্মক ও কার্যগত পরিবর্তন।

➡️ গোসল:
১. সোরিক- গোসল করতে চায় না।
২. সিফিলিটিক- সামান্য গরম পানি দিয়ে গোসল করে।
৩. সাইকোটিক- গোসল করতে ভালবাসে।
৪. টিউবারকুলার- গোসল করতে চায় কিন্তু গোসলে বৃদ্ধি হয়।

➡️ যেরূপ খাদ্য:
১. সোরিক- গরম খাদ্য পছন্দ।
২. সিফিলিটিক- ঠান্ডা খাদ্য পছন্দ।
৩. সাইকোটিক- অল্প গরম খাদ্য পছন্দ।
৪. টিউবারকুলার- গরম ও শীতল খাদ্য পছন্দ করে।

➡️ক্ষমা:
১. সোরিক- সহজেই ক্ষমা করতে পারে।
২. সিফিলিটিক- ক্ষমা চাইলেও ক্ষমা করতে পারে না।
৩. সাইকোটিক- ক্ষমা করতে ইতস্ততবোধ করে ও শর্তারোপ করে।
৪. টিউবারকুলার- ক্ষমা করে।

➡️বৃদ্ধি:
১. সোরিক- দিন বা রাত যে কোন সময় বাড়ে।
২. সিফিলিটিক- সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত বাড়ে।
৩. সাইকোটিক- রাত ৩টা বা বেলা ৩টায় বাড়ে অথবা রাত ৩টা হতে বেলা ৩টা পর্যন্ত বাড়ে।
৪. টিউবারকুলার- বর্ষাকালে ও ঝড় বৃষ্টির দিনে, রাত্রিকালে, অন্ধকারে বাড়ে।

➡️দুধ:
১. সোরিক- দুধসহ্য হয় না।
২. সিফিলিটিক- দুধ ও মাখন ভালোবাসে।
৩. সাইকোটিক- মশলাযুক্ত খাদ্য বা মাখন সহ্য হয় না।
৪. টিউবারকুলার- ঠান্ডা দুধ পছন্দ করে।

➡️কান্না:
১. সোরিক- ক্ষণে হাসি, ক্ষণে কান্না।
২. সিফিলিটিক- সর্বদা ঘ্যান ঘ্যানে কান্না বা নিশ্চুপ পড়ে থাকে।
৩. সাইকোটিক- ঘ্যান ঘ্যানে স্বভাব।
৪. টিউবারকুলার- শিশু নিদ্রাকালে চিৎকার করে কেঁদে ওঠে।

➡️স্মৃতি-শক্তি:
১. সোরিক- স্মৃতিশক্তি প্রখর।
২. সিফিলিটিক- স্মরণশক্তি ভীষণ দুর্বল।
৩. সাইকোটিক- স্মরণশক্তির অভাব।
৪. টিউবারকুলার- স্মৃতিশক্তি কমে আসে।

➡️নখ:
১. সোরিক- নখের কোন উল্লেখযোগ্য লক্ষণ নেই। তবে নখে ময়লা থাকে।
২. সিফিলিটিক- নখ কাগজের মতো পাতলা, সহজেই ভেঙ্গে যায়।
৩. সাইকোটিক- নখ অসম, ফাঁটা ও বিবর্ণ। নখকুনি সুচ ফোঁটা ব্যথা, অঙ্গুলহাড়া
৪. টিউবারকুলার- নখভঙ্গুর, ফাঁটা ও কোকড়ান, নখের বিভিন্ন স্থানে সাদা সাদা দাগ।

➡️চর্ম:
১. সোরিক- ত্বক অপরিচ্ছন্ন, শুষ্ক, খসখসে, উদ্ভেদপূর্ণ বা উদ্ভেদশূন্য, জ্বালা। মাছের আঁশের মত উদ্ভেদ এবং বার বার চর্মরোগ প্রবণতা। চুলকানি।
২. সিফিলিটিক- ত্বকের যাবতীয় ক্ষত। ফোঁড়া ইত্যাদি ঘা সহজে সারে না। গ্রন্থিবৃদ্ধি ও প্রদাহযুক্ত। তাম্র বর্ণের যাবতীয় চর্মপীড়া। ক্ষতপ্রবণতা।
৩. সাইকোটিক- বিসর্পজাতীয় চর্মপীড়া। আঁচিল, টিউমার।
৪. টিউবারকুলার- চর্ম তৈলাক্ত, কাল দাগ পরে, গ্লান্ডের বৃদ্ধি, দাদ। মশা, মাছি বা ছাড়পোকার কামড়ে স্থানটি পেকে ওঠে। পুঁজযুক্ত উদ্ভেদ।

➡️পার্শ্ব:
১. সোরিক- শরীরের যে কোন দিকে আক্রমণ করে।
২. সিফিলিটিক- ডানদিকে আক্রমণ করে।
৩. সাইকোটিক- বামদিকে আক্রমণ করে।
৪. টিউবারকুলার- সর্বত্র আক্রমণ করে।

➡️হিসাব:
১. সোরিক- হিসাব করার সময় খেয়াল করে না ঠিক হলো কি ভুল হলো। আলস্যে ও দ্রুত শেষ করার প্রচেষ্টা।
২. সিফিলিটিক- চিন্তাশক্তির অক্ষমতার জন্য হিসাব-নিকাশে অক্ষম।
৩. সাইকোটিক- বারবার মিলিয়ে দেখে ভুল হলো কিনা।
৪. টিউবারকুলার- মাঝে মাঝে খুবই ভাল হিসাব করে আবার কখনও চিন্তাশক্তির অক্ষমতার জন্য হিসাব-নিকাশে অক্ষমতা দেখায়।

➡️ভয়:
১. সোরিক- নানা ভয় উৎকণ্ঠা আশঙ্কা ও হতাশা। রোগাক্রান্ত হলে মৃত্যু ভয়।
২. সিফিলিটিক- কুকুরের।
৩. সাইকোটিক- অন্ধকারের।
৪. টিউবারকুলার- ভয় বিশেষত কুকুর বা অন্য জন্তুর।

➡️হত্যা:
১. সোরিক- রোগমুক্তি সম্বন্ধে আশাহীন।
২. সিফিলিটিক- আত্মবিতৃষ্ণায় আত্মহত্যার ইচ্ছা। খুন করতেও দ্বিধা করে না।
৩. সাইকোটিক- অনুতাপে আত্মহত্যার ইচ্ছা।
৪. টিউবারকুলার- আশাপূর্ণ ও নির্ভীক বা গর্বিত।

➡️ ক্ষুধা:
১. সোরিক- পেট ভর্তি থাকা সত্তে¡ও বার বার খাবার ইচ্ছা। খাওয়া সত্তে¡ও পেট খালি খালি মনে হয়।
২. সিফিলিটিক- খিদে কম বা বেশি কোনটাই সুস্পষ্ট নয়,
৩. সাইকোটিক- ক্ষুধামন্দা।
৪. টিউবারকুলার- বেশ ক্ষুধা বা রাক্ষুসে ক্ষুধা।

➡️.লিঙ্গ:
১. সোরিক- স্বপ্নদোষ। জননযন্ত্রের দুর্বলতা।
২. সিফিলিটিক- লিঙ্গমুন্ডেশক্ত বা নরম ক্ষত। সঙ্গমে অক্ষমতা।
৩. সাইকোটিক- জননযন্ত্রের আঁচিল, দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, গনোরিয়া, আকারগত পরিবর্তন।
৪. টিউবারকুলার- অবৈধ উপায়ে শুক্রক্ষয়ের প্রবণতা, প্রস্রাব করার সময় ক্ষয়।

➡️ শিশু:
১. সোরিক- শিশু চর্মরোগসহ জন্ম হয়। জন্মের পর প্রস্রাব পায়খানা বন্ধ হয়।
২. সিফিলিটিক- ক্ষতসহ জন্ম। নাভি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয় না। চোখে ক্ষত।
৩. সাইকোটিক- যে কোন প্রকারের অসম বৃদ্ধিসহ জন্ম। বৃদ্ধি জনিত বিকলাঙ্গ শিশু।
৪. টিউবারকুলার- শিশুর জন্মকালে বংশগত ক্ষয়রোগের ইতিহাস থাকে।

➡️ক্রিয়াস্থল:
১. সোরিক- সোরার ক্রিয়া চিন্তা ধারার উপর (বায়ু)।
২. সিফিলিটিক- সিফিলিসের ক্রিয়া যকৃতের উপর (পিত্ত)।
৩. সাইকোটিক- সাইকোসিসের ক্রিয়া অন্ত্র ও সন্ধি পথে (কফ)
৪. টিউবারকুলার- টিউবারকুলোসিসের ক্রিয়া ফুসফুস, সেরাস মেমব্রেন, গ্রন্থি, অন্ত্র, হাড়।

➡️ দেখতে:
১. সোরিক- মুখমন্ডলের বিবর্ণতা ও চক্ষুদ্বয়ের উজ্জ্বলতার অভাব, মুখমন্ডলের লাবণ্যহীনতা
২. সিফিলিটিক- বিকলাঙ্গ, আবার অনেকের দেহ শুকিয়ে যায়।
৩. সাইকোটিক- রক্তস্বল্পতার কারণে মুখমন্ডল মলিন ও ফ্যাকাসে দেখায়।
৪. টিউবারকুলার- যথেষ্ট খাবার গ্রহণের পরেও কোন কারণ ছাড়াই শীর্ণতা।

➡️ মন:
১. সোরিক- মন চঞ্চল ও পরিবর্তনশীল। সহজেই হাঁসে, কাঁদে, উত্তেজিত ও অবসন্ন হয় কখনও কামভাব আবার পরক্ষণেই বৈরাগ্য।
২. সিফিলিটিক- মুর্খতা, অজ্ঞতা, বোকামি, একগুয়েমি ও নৈরাশ্য। সব সময় তিক্ততা, অতৃপ্তি। বুদ্ধির খর্বতা।
৩. সাইকোটিক- সন্ধিগ্ধমনা, সঙ্কোচপরায়ণ। গোপনপ্রিয়, মিথ্যাবাদী, আত্মবিশ্বাস বা অপরের প্রতি বিশ্বাসের অভাব। সন্দেহবশে রাতে উঠে দরজার খিল পরীক্ষা করে।
৪. টিউবারকুলার- নিত্যনতুন অভিরুচি, যেন কিছুতেই শান্তি নাই, নিত্যনতুন আকাক্সক্ষা, অত্যন্ত ক্রোধপরায়ণ, বিষন্নতা।

➡️ দাঁত:
১. সোরিক- দাঁত ওঠার সময় উদরাময় বা অন্য পীড়ায় দুধ হজম হয় না।
২. সিফিলিটিক- দাঁত ক্ষয়ে যায়, আমাশর প্রবণতা।
৩. সাইকোটিক- দাঁত পোকায় খাওয়া বা দাঁত বেরিয়ে ওঠে, সহজেই সর্দি কাশি হয়।
৪. টিউবারকুলার- দাঁতগুলো শিশুকালেই পচে যাওয়া শিশু ভয়ানক খিটখিটে ও ঘ্যানঘ্যান করে।

➡️প্রকাশ:
১. সোরিক- চুলকানি বা খোসপাঁচড়া দেখা দেয়। মনোকন্ডুয়ন হতে চর্মকন্ডুনের সৃষ্টি। চর্মপীড়া চাপা পড়ে সর্দি। শুষ্ক ও রস শূন্য উদ্ভেদ।
২. সিফিলিটিক- জননেন্দ্রিয়ে ক্ষতের সৃষ্টি প্রাথমিক লক্ষণ। বাগি, তাম্র বর্ণের উদ্ভেদ।
৩. সাইকোটিক- দূষিত সহবাসের পর জননেন্দ্রিয়ে আঁচিল। প্রমেহ বা প্রস্রাবের কষ্ট।
৪. টিউবারকুলার- জরায়ুর গঠন বিকৃত। নিদ্রিত হওয়ার পর শয্যায় মূত্রত্যাগ, মূত্রে এলবুমেন, নিদ্রাঘোরে বিনাস্বপ্নে বীর্যপাত। প্রস্রাবদ্বার দিয়া রক্তস্রাব।

➡️ প্রস্রাব:
১. সোরিক- প্রস্রাব বন্ধ, কাশতে কাশতে, হাঁচিতে হাঁচিতে অসাড়ে প্রস্রাব। প্রস্রাব জ্বালাকর। সাদা ফসফেট ও মরিচা রঙের প্রস্রাব।
২. সিফিলিটিক- যন্ত্রণাবিহীন মূত্রকৃচ্ছতা। বারবার প্রস্রাবের তীব্রতা ও
ক্ষয়কারীভাব।
৩. সাইকোটিক- মূত্রনালী সঙ্কুচিত, প্রস্রাব ও প্রস্রাবকালীন যন্ত্রণা। একশিরা, মূত্র পাথরি ও মূত্রকোষের যাবতীয় রোগ।
৪. টিউবারকুলার- বহুমূত্র, মূত্রপচা বা ভ্যাপসা গন্ধযুক্ত। স্বচ্ছ জলের ন্যায়
বর্ণশূন্য প্রচুর প্রস্রাব।

➡️হৃৎপিন্ড:
১. সোরিক- হৃৎপিন্ডের রক্তোচ্ছাসের অনুভূতি ও দুর্বলতা। বুকে শূন্যতাবোধ।
২. সিফিলিটিক- হৃৎপিন্ডেক্ষত বা পচা ঘা।
৩. সাইকোটিক- হৃৎপিন্ডের আকারের পরিবর্তন। কাঁধ ও কাঁধের ফলকে বেদনা। বাত চাপা পড়ে হৃদরোগ।
৪. টিউবারকুলার- রক্ত সঞ্চালন কার্যের বিশৃঙ্খলা, দ্রুত হৃৎস্পন্দন। শ্বাস-প্রশ্বাস কষ্টকর। নাড়ী দ্রুত।

➡️মল:
১. সোরিক- অতিভোজনের ফলে উদরাময়। সকালে বাড়ে। গরমে ও চাপে বেদনা কমে। দারুণ কোষ্ঠকাঠিন্য ও শক্ত মল।
২. সিফিলিটিক- গুহ্যদ্বারে ক্ষয়। মলত্যাগের পর অস্থিরতা।
৩. সাইকোটিক- উদরাময় বা আমাশয়ের সঙ্গে পেট ব্যথা হলে কেঁদে ফেলে, উদরাময়, অর্শ, ভগন্দর প্রকৃতি, মল পরিবর্তনশীল।
৪. টিউবারকুলার- নিম্নউদরে শূন্যতার অনুভূতি, উদরাময়ের সাথে মস্তিষ্ক আক্রান্ত। শিশু জন্মের পর হতে ২/৩ বৎসর বয়স পর্যন্ত যখন তখন উদরাময়।

➡️ বেদনা:
১. সোরিক- খেলে ও শীতকালে বাড়ে। গরমে ও সামান্য চাপে কমে।
২. সিফিলিটিক- রাতের বেলায় বাড়ে, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ও বারবার স্থান পরিবর্তনে কমে।
৩. সাইকোটিক- যাবতীয় যন্ত্রণা রাত ৩টা থেকে দিনের ৩টা পর্যন্ত, বিশ্রামে, ভিজা ঠান্ডা ও বর্ষকালে বাড়ে। নড়াচড়ায় শীতকালে, সূর্যাস্তের পর থেকে ভোর পর্যন্ত কমে।
৪. টিউবারকুলার- বর্ষাকালে ও ঝড় বৃষ্টির দিনে বৃদ্ধি, রাত্রিকালে ভয়াবহ বৃদ্ধি, অন্ধকারে থাকতে ভয় বা বৃদ্ধি। শুষ্ক আবহাওয়ায় ও মুক্ত বাতাসে উপশম।

➡️ মেধা:
১. সোরিক- শিশু সুলভ চপলতা থাকে। পড়াশুনায় পটু। একবার বলে দিলেই বুঝতে পারে। অক্ষর পরিচয়ের সময় লেখা লিখতে বুঝাতে হয় না, দেখে দেখেই লিখতে পারে।
২. সিফিলিটিক- হাবলা গোছের ভাব খেলতে চায় না। ক্ষুধার অভাব, খাওয়ার জন্য বারবার বলতে হয়। রাতে খাইয়ে না দিলে খায় না। ঘুম থেকে জাগিয়ে খাওয়াতে হয়। বিনা চিকিৎসায় রক্তপাত বন্ধ হয় না, বহুদিন জের থেকে যায়। একরোখা, জেদী, রাগলে শান্ত করা যায় না।
৩. সাইকোটিক- শিশুসুলভ চপলতার সঙ্গে ভীরুতা ও গোপনীয়তা। একা একা খেলা করার ইচ্ছা। ছোট ছেলেমেয়েদের সঙ্গমের প্রবৃত্তি।
৪. টিউবারকুলার- চঞ্চলতা ও পরিবর্তনশীলতা, শিশুর এক খেলনায় দীর্ঘ সময় খেলা করিতে ভাল লাগে না। এক প্রকার খাদ্য দীর্ঘ দিন খেতে ভাল না লাগা। গৃহকর্মী হলে নিত্য নতুন বেশ-ভূষার আকাক্সক্ষায় গৃহকর্তাকে পাগল করে।

➡️ চেহারা:
১. সোরিক- ঠোট দুটি নীলাভ, আরক্তিম ও শুষ্ক। জিহ্বা ও মাঢ়ীতে জ্বালা। ভূক্ত দ্রব্যের গন্ধ।
২. সিফিলিটিক- মুখমন্ডল তৈলাক্ত, চকচকে চর্বি মাখানো ও গোল।
৩. সাইকোটিক- মুখমন্ডল মৃত ব্যক্তির মত নীলাভ শোথগ্রস্ত।
৪. টিউবারকুলার- ওষ্ঠদ্বয় হতে রক্ত বের হবার উপক্রম, সীমাবদ্ধ স্থানে লাল দাগসমূহ।

➡️হাত ও পা:
১. সোরিক- হাত ও পায়ের কার্যগত বিশৃঙ্খলা।
২. সিফিলিটিক- হাত ও পায়ের লম্বা হাড়ে ব্যথা। বিশেষ করে রাতে, অস্থিপুষ্টির অভাব।
৩. সাইকোটিক- নানা ধরনের বাত, অসাড়তা ও শক্তিহীনতা, সামান্য পরিশ্রমে ক্লান্তি, হঠাৎ হাত পা মচকে যাওয়া।
৪. টিউবারকুলার- অস্থিসমূহ সহজে শক্ত হতে চায় না। শিশুরোগী অনেক দেরিতে হাঁটতে শেখে। বৃদ্ধ রোগীর প্রায়ই পক্ষাঘাত।

➡️ শ্বাসকষ্ট:
১. সোরিক- চর্মরোগ চাপা পড়ে শ্বাসকষ্ট। কাশির চোটে মাথাব্যথা ও খিটখিটে মেজাজ। বিরক্তিভাব।
২. সিফিলিটিক- লবণাক্ত ও মিষ্টি স্বাদযুক্ত কফ।
৩. সাইকোটিক- প্রচুর শ্লেষ্মাক্ষরণ, রাত্রিকালীন হাঁপানি । শ্বাসকষ্ট হলে পায়চারি করতে হয়। চাপলে কমে।
৪. টিউবারকুলার- বুকটি অপ্রশস্ত ও সরু। কাশি গভীর, নিউমোনিয়া।

➡️কর্ণঃ
১. সোরিক- কর্ণগহ্বর শুষ্ক ও খসখসে।
২. সিফিলিটিক- দীর্ঘাকৃতি কান, দুর্গন্ধ যুক্ত কানের পুঁজ। সামান্য ঠান্ডা লাগা ও সর্দিতে কান পাকে। উদ্ভেদযুক্ত পীড়ায় কান পাকে।
৩. সাইকোটিক- কান পাকে, আঁশটে গন্ধযুক্ত, পুঁজের আকারগত পরিবর্তন, শ্রবণ শক্তির হ্রাস বা বিলোপ।
৪. টিউবারকুলার- কর্ণশুল, কানের পুঁজ, শিশুদের ঘন ঘন কর্ণে স্ফোটক হওয়ার প্রবণতা।

➡️ খাদ্য-ইচ্ছা:
১. সোরিক- মিষ্টি, টক, মাংস, তরল খাবার, শাক-সবজি, বেশি মশলাযুক্ত, ঘি, মাখনযুক্ত
২. সিফিলিটিক- দুধ, মিষ্টি, রুটি, তরল খাবার, মাংস, লবণ, কফি, ঠান্ডা খাবার
৩. সাইকোটিক- লবণ, লবণাক্ত খাদ্যে, অল্প গরম, টক, ফল,
৪. টিউবারকুলার- দুধ, মিষ্টি, লবণ, চর্বি, ঝাল জিনিস, ফল, ঠান্ডা খাবার, আলু, উত্তেজক দ্রব্যাদি, মাখন, মদ্য

➡️খাদ্য-অনিচ্ছা
১. সোরিক- সিদ্ধ খাদ্য, মাংস, ডিম, দুধ, টক, মিষ্টি, চর্বি, কফি, ফল, রুটি
২. সিফিলিটিক- দুধ, মিষ্টি, রুটি, মাংস, লবণ, কফি, গরমখাবার, চর্বি।
৩. সাইকোটিক- মাংস, চ, আলু মশলাযুক্ত খাদ্য ও মাখন।
৪. টিউবারকুলার- মাংস,দুধ, ডিম, টক, কফি ও শাক-সবজি

➡️খাদ্য-অসহ্য:
১. সোরিক- দুধ, রুটি, ঠান্ডা পানীয়, চর্বি, গোল আলু, টক, মিষ্টি।
২. সিফিলিটিক- রুটি, কফি, ঠান্ডা খাবার, মিষ্টি, চর্বি, মাংস।
৩. সাইকোটিক- কফি, পেঁয়াজ, চর্বি, চা, মাখন, ঠান্ডা পানীয়, মসলাদার খাদ্য, মিষ্টি।
৪. টিউবারকুলার- গোলআলু ও শাক-সবজি সহ্য হয় না।

➡️ রোগ:
১. সোরিক- উদরাময়, পেটফাঁপা, অজীর্ণ, চুলকানিযুক্ত চর্মরোগ, চক্ষু ও নাসিকা হতে জ্বালাকর স্রাব নিঃসরণ। প্রদাহ ও জ্বালাযুক্ত স্বরভঙ্গ, যে কোন অঙ্গে জ্বালাযুক্ত প্রদাহ। নানা যন্ত্রের শুধু কার্যগত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করাই সোরার কাজ।
২. সিফিলিটিক- পচনশীল যে কোন রোগ, দুর্গন্ধ পুঁজ ও রস নিঃসরণকারী চর্মপীড়া, দুর্গন্ধযুক্ত ঋতুস্্রাব ও প্রদরস্রাব। কর্ণ, নাসিকা ইত্যাদিতে ক্ষত ও দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব। প্রস্রাব যন্ত্রের ক্ষত, গলক্ষত। মেরুমজ্জার ক্ষত, অস্থিক্ষয়, মুখে ক্ষত ও দুর্গন্ধ লালাস্রাব। পচন, উদরে ক্ষত, অন্ধত্ব, বধিরতা, উন্মাদ ইত্যাদি।
৩. সাইকোটিক- দেহের সকল ছিদ্র পথে যন্ত্রণাদায়ক স্রাব, স্রাব সংক্রান্ত বিশৃঙ্খলা ও ব্যথা, যন্ত্রণাদায়ক স্বরভঙ্গ, কাশি, শুষ্ক জাতীয় হাঁপানি, হুপিং কাশি, হৃদপিন্ডের যন্ত্রণা ও স্নায়বিক দুর্বলতা। মস্তিষ্ক আবরক ঝিল্লি প্রদাহ, বাত, স্নায়ুশূল, উদরশূল,গর্ভস্রাব, যন্ত্রণাদায়ক ঋতুস্রাব, অর্শ-ভগন্দর, বসন্ত, আঁচিল, টিউমার হওয়ার প্রবণতা, বন্ধ্যাত্ব, ক্যান্সার, অন্ডকোষ প্রদাহ ইত্যাদি।
৪. টিউবারকুলার- শুষ্ক জাতীয় দাদ, একজিমা, উন্মাদ, কৃমি, ম্যালেরিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা, যন্ত্রণাবিহীন স্বরভঙ্গ, অন্ধত্ব। দৈহিক শুষ্কতা। মেরুমজ্জার ক্ষয়, কার্বাংকল জাতীয় ফোড়া, শিশুদের বিছানায় প্রস্রাব করা, গলা ও স্তনের মধ্যে স্থায়ীভাবে গ্রন্থিস্ফীতি, শয্যাক্ষত, পাকস্থলী ও অন্ত্রের ক্ষত, উন্মাদ, মাথাব্যথা, কোমর ব্যথা, সর্দি কাশি, টনসিল ও গলদেশের গ্লান্ড স্ফীতি ইত্যাদি।

➡️মাথা:
১. সোরিক- মাথাঘোরা । সকালে উত্তাপ ও রোদ বাড়ার সঙ্গে বাড়ে। স্থিরভাবে বসে বা শুয়ে থাকলেও রোদের তাপ কমার সঙ্গে কমে।
২. সিফিলিটিক- মাথাব্যথা রাতে বাড়ে। নড়াচড়া ও গরমে বাড়ে। ঠান্ডা দিলে কমে। অচিররোগের পর চুল ওঠা। মাথায় মরামাস ও দুর্গন্ধ পুঁজ স্রাবের চর্মপীড়া। মাথা আকারে বড়।
৩. সাইকোটিক- বৃত্তাকারে মাথার চুল ওঠে, টাক পড়ে। মাথায় ঘামসহ শুকনো চর্মপীড়া ও আঁচিল। মাথাব্যথা মাঝরাতে বাড়ে। নড়াচড়ায় কমে।
৪. টিউবারকুলার- চুলগুলো ফাঁটাফাঁটা, রুক্ষ, কর্কস এবং চুলে জটা বাঁধা। মস্তকে দদ্রæ।

➡️চক্ষু:
১. সোরিক- কাজের চাপে চোখের বিশৃঙ্খলা। সকালে সূর্যতাপে বাড়ে। কিন্তু গরম দিলে কমে। নানা রং দেখে।
২. সিফিলিটিক- চোখের পাতায় ক্ষত। আলোকভীতি, পক্ষাঘাত ও স্নায়বিক যন্ত্রণা, চক্ষুরোগজনিত জ¦র, রাতে ও গরমে বৃদ্ধি।
৩. সাইকোটিক- ঋতু পরিবর্তনে ও বর্ষায় রোগ বাড়ে। অন্ধত্ব ও চোখের আকারগত পরিবর্তন।
৪. টিউবারকুলার- অঞ্জনি জাতীয় চক্ষু পীড়া। পুরাতন চক্ষুক্ষত, আলোকভীতি। মাথা ঘোরার সাথে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস। চোখের ব্যথা রাতেবৃদ্ধি।

➡️মন:
১. সোরিক- অসামঞ্জস্য পূর্ণ নানা রকম কাল্পনিক চিন্তা, লোকসঙ্গে ভীতস্পৃহা। নির্জন বিলাসী। নিজে না করলেও পরকে জ্ঞান দিতে বেশি আগ্রহী। মুখোশ পরা দার্শনিক।
২. সিফিলিটিক- মেলা মেশার অক্ষমতা। সব সময় মুখ বুজে থাকে। ক্ষিপ্রতার সঙ্গে কথা বলে। হঠকারিতা ও মুর্খতা।
৩. সাইকোটিক- একই কথা বারবার বলে। নিজের স্ত্রী ও কন্যার প্রতিও সন্দেহ। হিংসা ও ক্রোধভাব, তুচ্ছ কারণে কলহ করে।
৪. টিউবারকুলার- ভবঘুরে, অস্থিরতা, সামান্যক্ষণ মনোসংযোগ করতে পারে না। মন সর্বক্ষণ যেন উড়ে বেড়ায়।

➡️মন:
১. সোরিক- পবিত্র চিন্তা বা একনিষ্ঠ চিন্তা ও ধ্যান ধারণার অক্ষম। অনুচিত জেনেও সে কাজ না করে থাকতে পারে না। অন্তরে স্বার্থপরতা বাইরে উদারতার ভান।
২. সিফিলিটিক- নির্বোধ, অজ্ঞ। কোনটি গ্রহণীয় কোনটি বর্জনীয় বিবেচনা করতে পারে না।
৩. সাইকোটিক- ভ্রান্ত ধারণা খুঁতখুঁতে শুচিবায়ুগ্রস্থ। পরছিদ্রান্বেষী, পরিবর্তনশীলতা, ধৈর্যহীনতা। সৎ চিন্তার অভাব, অতিরিক্ত অস্থিরতা।
৪. টিউবারকুলার- কর্মভীতি, অসহিষ্ণুতা বা অধৈর্য, মানসিক চাঞ্চল্য, পরিবর্তনশীলতা।

➡️ মন:
১. সোরিক- ধনী ব্যক্তির জীর্ণবাসে গর্ব অনুভব। নিজের মল-মূত্র ঘ্রাণের প্রবৃত্তি, অপরিষ্কার, অপরিচ্ছন্ন্। চঞ্চল ও অস্থির । অপ্রয়োজনীয় জিনিসের তীব্র আকাক্সক্ষা, মনোবিকৃতি, শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমে অক্ষমতা, অলস, পূর্ণিমা ও প্রতিপদে মানসিক লক্ষণের বৃদ্ধি। ঋতু স্রাবের কাছাকাছি সময়ে মানসিক লক্ষণে বৃদ্ধি।
২. সিফিলিটিক- নিজ পরিবারের প্রতি কর্তব্য পালনে অক্ষম চিন্তা শক্তির অক্ষমতা। আত্ম- বিশ্বাসের অভাব। কোন কথা বোঝার অক্ষমতা। কিছুক্ষণ পরে তার মনে বোঝার অক্ষমতা।
৩. সাইকোটিক- প্রবঞ্চক, চিবিয়ে ধীরে ধীরে কথা বলে, স্মৃতি শক্তি হারিয়ে ফেলে, ক্ষণস্থায়ী বিস্মরণ, সাম্প্রতিক ঘটনা ও পরিচিত লোকের নাম বিস্মরণ, মনের নীচতা গোপনের আকাক্সক্ষা। ভীতিভাব। সন্ধিগ্ধচিত্ত। অসন্তোষ এবং চাঞ্চল্যসহ স্মৃতিশক্তির বিশৃঙ্খলা। সবসময় স্ত্রী লোকের চিন্তায় মনটি ভরে থাকে। ঝড়বৃষ্টির সময় ও ঋতু পরিবর্তনে বৃদ্ধি।
৪. টিউবারকুলার- ক্রোধপরায়ণ, অসহিষ্ণু, চঞ্চল ও পরিবর্তনশীল মেজাজ।

➡️মন:
১. সোরিক- উৎপাত করে, শীতকাতর, ঈর্ষাপরায়ণ। কৃমি থাকে, রাতে গায়ের ঢাকনা খুলে ফেলে দেয়। কফ চেটে খাওয়ার অভ্যাস।
২. সিফিলিটিক- কৈশোরে চঞ্চলতার অভাব, বিমর্ষভাব। সহজে কিছুই বুঝে না। নির্বোধ, একটা পড়া বারবার পড়ে কিন্তু বুঝতে পারে না। হাজার শাস্তি দিলেও কোন ফল হয় না। বরং অপকারই হয়। নিজের ভাল মন্দ বোধটুকুও থাকে না। খাওয়ার সময় সাধতে হয়। খেলার প্রতি বিশেষ ঝোক থাকে। বর্শি দিয়ে মাছ ধরার ঝোক। কিটপতঙ্গ মারতে ওস্তাদ। হাতের লেখা অস্পষ্ট। অংক একবারেই পারে না। মা হওয়ার প্রবণতা।
৩. সাইকোটিক- গরমকাতর। সর্দি কাশি হাঁপানি ও বাতের ব্যথা বর্ষায় বৃদ্ধি। লিঙ্গটি নিয়ে আপন মনে নাড়াচাড়া করতে থাকে।
৪. টিউবারকুলার- প্রচন্ড চঞ্চলতা, শুকিয়ে যাবার প্রবণতা, আশাবাদি, চিন্তা শূন্যতা, উদাসিনতা।

➡️মন:
১. সোরিক- সর্ববিষয়ে হাহুতাশ করে। মানসিক অস্থিরতা বা অস্বাভাবিক মানসিক লক্ষণ, শীতকাতর, গাড়িবাড়ি করে ও আরও অধিক সম্পত্তির জন্য চিন্তা এবং তাতেই বিভোর। স্ত্রীর জন্যও খরচ করতে চায় না। নিজের জন্য যথাসম্ভব ব্যয় করে। সংসারের খরচ বেশি হলে বিরক্ত হয়। ওষুধের জন্য সহজে খরচ করতে চায় না। সংসার ভেঙ্গে আলাদা হয়ে যায়। পুত্রবধুকে আপন করতে পারে না। ভ্রমণবিলাসী তীর্থবাসী।
২. সিফিলিটিক- বিমর্ষতা, অনুতাপ, জীবনে কিছুই করতে না পারায় অনুতপ্ত ও আত্মহত্যা করার প্রবল ইচ্ছা। কখনও কখনও আত্মহত্যা করে বসে।
৩. সাইকোটিক- হাঁপানি বা শ্বাস যন্ত্রের কষ্ট, পুত্র, কন্যা বা পুত্রবধুদের প্রতি সন্দেহ, অর্থ গোপনের তীব্র অভিলাস।
৪. টিউবারকুলার- পেশা এবং চিকিৎসক পরির্বতন চায়। আরোগ্য সম্বন্ধে সর্বদাই আশান্বিত। অভ্যাস দ্রুত পরির্বতন করে, নিজের রোগের গুরুত্ব সম্পর্র্কে উদাসীন ও ভ্রæক্ষেপ হীন।

➡️.মন:
১. সোরিক- যৌনমিলনে ভয়। নারীর প্রতি ভীতি ভাব। বৈরাগ্য, কুমতলব, সংসারী হওয়ার পরেও অধিক বয়সে সন্ন্যাস গ্রহণ করে।
ধর্মোন্মত্ততা, কৃপণ বা অত্যাধিক খরচের ভয়। জীর্নবাসে গর্ববোধ। অপরকে জ্ঞান দেওয়ার প্রবৃত্তি, নিজে কিছুই করে না। নিজেকে বড় ভাবে, বাচাল, কুচিন্তা, চতুর।
ঈর্ষার বৃদ্ধি, যেনতেন প্রকারে কার্যসিদ্ধির চিন্তা। আত্মভোলা, মানসিক বিভ্রান্তি, ধৈর্য্যচ্যুতি, উৎকণ্ঠা ও মনোরোগ।
২. সিফিলিটিক- নারী সঙ্গ স্পৃহা, বেপরোয়াভাব,
নানাভাবে জৈবিক তৃপ্তির কুফল জনিত রোগ। যৌনাকাঙ্খাহীন, সঙ্গমে অক্ষমতাজনিত বিতৃষ্ণা। জননাঙ্গে ক্ষত, বন্ধ্যাত্ব। বির্মষ, তামাক এবং মাদকদ্রব্যে স্পৃহা,
কুসঙ্গ বা অসৎ সঙ্গে পড়া।
বিচার বিবেচনার অক্ষমতা। বিবেকহীন ও পশুপ্রবৃত্তি। অপরকে হত্যার ইচ্ছা বা হত্যা করা।
পৃথিবী ভালো লাগে না।
৩. সাইকোটিক- অধিকমাত্রায় গোপনে অবৈধভাবে শুক্রক্ষয়ের আকাক্সক্ষা, গনোরিয়া রোগ, মেয়েঘেষা, সর্বদা মেয়েদের সম্পর্র্কে বা যৌন সংসর্গের উদ্ভট কল্পনা। গোপনে নারী অঙ্গ দর্শনের তীব্র লালসা, পশু পাখির যৌনক্রীড়া বা অশ্লীল সিনেমা বা চিত্র দর্শনের এবং যৌনসংক্রান্ত নভেল পাঠের স্পৃহা।
৪. টিউবারকুলার- অসংযমপূর্ণ জীবন যাত্রার অভ্যাস। অবৈধ উপায়ে শুক্রক্ষয়, অত্যাধিক কর্মস্পৃহা মনে সদা জাগ্রত থাকে।
পরিশেষে প্রস্রাব করার সময়, মলত্যাগকালে বা সামান্য মানসিক উত্তেজনায় বা অবসাদে বীর্য আপনা হতেই অসাড়ে পড়ে। ফলে মনটি সব সময় উৎসাহ শূন্য, বিষন্ন ও নিরুৎসাহ হয়ে পড়ে এবং স্মৃতিশক্তি কমে আসে।

➡️.মুখ গহ্বর:
১. সোরিক- পানির পিপাসা, টনসিল বৃদ্ধি, দুর্গন্ধযুক্ত লালা। মুখে বিস্বাদ বা মিষ্টি স্বাদ তিক্ত ও অল্প স্বাদ।
২. সিফিলিটিক- ক্ষয়প্রাপ্ত দাঁত, মাড়িতে স্ফোটক ও পুঁজ জমে। মাড়ির গোড়া আলগা, মুখে দুর্গন্ধ। জিহ্বায় দাঁতের ছাপ। জিহ্বা ভিজা অথচ প্রবল পিপাসা। টনসিল বৃদ্ধি ও মাড়ি থেকে রক্ত ক্ষরণ। মুখে ধাতব স্বাদ।
৩. সাইকোটিক- মুখের স্বাদ ও গন্ধ আঁষটে। জ্বালাকর তীব্র পিপাসা। হলদে, স্ফীত ফাঁটলযুক্ত জিহ্বা। মুখগহ্বরের গ্লান্ডগুলো স্ফীত ও শক্ত হয়।
৪. টিউবারকুলার- দন্তমাড়ি ও মুখগহ্বর হতে প্রচুর পরিমাণে উজ্জ্বল লালবর্ণের রক্তস্রাব। দাঁত মাজার সময় মাঢ়ী হতে রক্তস্রাব, দন্তক্ষয় এবং দাঁতের অস্বাভাবিক গঠন, পুঁজ ও রক্তের স্বাদ।

➡️ নাক:
১. সোরিক- সুগন্ধ ও দুর্গন্ধ কোনটাইসহ্য হয় না। অনেক রকম গন্ধে মুর্চ্ছা যায়।
২. সিফিলিটিক- প্রায়ই সর্দি লাগে। এ জন্য নাক সুড়সুড় করে। নাকে মামড়ি ও চটা পড়ে। দুর্গন্ধ নিঃশ্বাস।
৩. সাইকোটিক- ঘ্রাণ শক্তি নষ্ট হয়, মাছের গন্ধযুক্ত স্রাবসহ ক্ষত, সবুজাভ হলুদ স্রাব, অস্বাভাবিক স্রাবে উপশম।
৪. টিউবারকুলার- সর্দিস্রাব ঘন, হরিদ্রাবর্ণের পচা পনিরের গন্ধযুক্ত, সামান্য কারণে ঠান্ডা লাগে।

➡️স্বপ্ন:
১. সোরিক- উৎকণ্ঠার, ভয়ংকর দুঃস্বপ্নের, মৃতব্যক্তির, প্রস্রাব বা পায়খানা করছে স্বপ্ন দেখে।
২. সিফিলিটিক- বিভীষিকাময় যেমন-হত্যাকান্ড, অগ্নিকান্ডের, ভীতিকর, বন্দুক ছোঁড়ার, পানির, বিয়ের, জন্তুর কামড়।
৩. সাইকোটিক- উড়ে যাওয়া, পড়ে যাওয়া বা মৃত ব্যক্তির, দুর্ভাগ্যের, বিয়ের, মৃতদেহ, মানসিক পরিশ্রমের, দুর্ঘটনার।
৪. টিউবারকুলার- নৈশকালীন স্বপ্নে তাদের অন্তর্জগতের প্রতিফলন দেখা যায়। ভ্রমণ, দলগত উৎসব, বিবাহ অনুষ্ঠান অথবা ভীতি ও উদ্বেগপূর্ণ কিংবা প্রথমে জলজ্যান্ত স্বপ্ন দেখে।

➡️ স্ত্রীরোগ:
১. সোরিক- মাসিক ঋতুস্রাবের যাবতীয় বিশৃঙ্খলা, ক্ষয়কারী ভাব থাকে।
২. সিফিলিটিক- যোনি থেকে দুর্গন্ধ স্রাব। সুতোর মতো লম্বা স্রাব। ঋতুস্্রাব শেষে মুর্চ্ছা।
৩. সাইকোটিক- জরায়ু ডিম্বাধার ও ডিম্বনালীর প্রদাহ, বন্ধ্যাত্ব, জ্বালাযুক্ত ঋতুস্রাব, স্তনদ্বয়ে ব্যথা, পচা মাছের গন্ধযুক্ত জমাট বাঁধা স্রাব। সব সময় যৌনচিন্তা।
৪. টিউবারকুলার- প্রদরস্রাব, বাধক, মাথাঘোরা, দুর্বল, প্রচুর দীর্ঘস্থায়ী ঋতুস্রাব প্রবাহ, জরায়ু প্রলাপস, প্রসব সহজে ও অল্প সময়ে হয় না।

➡️গর্ভ:
১. সোরিক- গর্ভাবস্থায় বমি বমিভাব, মাথাঘোরা, কাশি কফ, টক পানি ওঠে।
২. সিফিলিটিক- অপরিণত শিশুদের জন্ম বা গর্ভ নষ্ট, মৃত সন্তান প্রসব।
৩. সাইকোটিক- গর্ভবতী মহিলার ব্যভিচার, গর্ভাবস্থায় সর্দি লাগে, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, উচ্চরক্তচাপ, কষ্টদায়ক গর্ভাবস্থা ও অস্বাভাবিক প্রসব। ভ্রান্তগর্ভ, গর্ভনষ্ট, অপরিণত শিশুর জন্ম।
৪. টিউবারকুলার- প্রসবকালীন যন্ত্রণা কষ্টকর, ভয়ানক এবং দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী এবং পরিশ্রান্ত। অনেকেই তাদের সন্তানকে স্তন্যপান করাতে পারে না।

➡️ স্বভাব:
১. সোরিক- গোসল করতে চায় না। দুধে অনীহা। মিষ্টি দ্রব্যে স্পৃহা। নোংরা থাকা স্বভাব। নিজের মলমূত্র শোকে। যা পায় মুখে দেয়। ব্যবসা ব্যবসা খেলাতে ঝোঁক বেশি। খিদে প্রচন্ড, মিশতেও পারে তাড়াতাড়ি রাগ করলেও সহজেই শান্ত হয়। চর্মরোগ, প্রচন্ড চুলকানি। হাত মুখ না ধুয়ে খেতে বসে। ধুলো বালি নিয়ে খেলা করে।
২. সিফিলিটিক- অতি গরম বা অতি শীত কোনটাইসহ্য হয় না। চোর পুলিশ খেলার দিকে বেশি আগ্রহ। একই পড়া বারবার পড়তে হয়। স্কুল গমনে শিশুর সমস্যা।
৩. সাইকোটিক- পুতুল বিয়ে বিয়ে খেলা করে। পড়াশোনা করতে অনেক চেষ্টা করতে হয়, নতুবা হয় না। রেগে গেলে সহজে ভুলে না। এটা দিতে হবে ওটা দিতে হবে এরকম আবদার করে। বারে বারে অল্প অল্প খেতে চায় । খুত খুতে স্বভাব। এটা খাবে না ওটা খাবে না বলে জিদ করে। হাঁটা-চলা বা কথা বলতে দেরি হয়। গোসলে স্পৃহা কিন্তু সহজেই ঠান্ডা লাগে।
৪. টিউবারকুলার- নির্দিষ্ট একটি বিষয় নিবিষ্টভাবে চিন্তা করা আশা করা যায় না। ছাত্র রোগী কিছুদিন বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করে পুনঃরায় কলা বিষয়ে আকৃষ্ট হয় ও তার পরে আবার একটি নতুন বিষয়ে অনে¦ষণ করে। রোগী পরিবর্তনশীল আচরণ করে। রোগী ঠান্ডা পছন্দ করে, কিন্তু ঠান্ডায় তার বৃদ্ধি।

➡️স্বভাব:
১. সোরিক- সুখের, মান অভিমান ও চাঞ্চল্য ভরা অস্বাভাবিক আকাক্সক্ষা ও কামনার অপরিতৃপ্তিজনিত মনক্ষুন্নতা, নারী শ্বাশুড়ীর সঙ্গে ঝগড়া করে, অন্যায়ের প্রতিবাদে মুখর হয়।
২. সিফিলিটিক- নারীর গর্ভাবস্থায় দাঁত ব্যথা, মুখক্ষত, মাড়ি ফোলা, দুর্গন্ধ। কষ্টদায়ক গর্ভাবস্থা ও প্রসব।
৩. সাইকোটিক- সংসার সুখের হয় না, বন্ধ্যা, বিকলাঙ্গ শিশুর জন্মদান, পুত্রশোকে স্বামী-স্ত্রীতে অসদ্ভাব, সর্বদা কলহ, পারস্পরিক সন্দেহ, অত্যাধিক যৌনাকাক্সক্ষা, যৌন অতৃপ্তি, বহুক্ষেত্রে পুরুষের।
৪. টিউবারকুলার- উদাসীনতা, জীবনে বিতৃষ্ণা ও নিজ জীবন নষ্ট করার প্রবৃত্তি, স্বার্থপর। যে খাদ্য হজম করিতে পারে না সেই খাদ্যে আকাক্সক্ষা। আশাবাদী।

➡️ অন্যান্য:
১. সোরিক- প্রতিযোগিতায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার তীব্র আকাক্সক্ষা, বাধা এলে তজ্জনিত রোগ।
২. সিফিলিটিক- দুঃখপূর্ণ যৌন সমস্যা। বেদনা দায়ক সঙ্গম। সঙ্গমে অক্ষমতাজনিত বিতৃষ্ণা। জননাঙ্গে ক্ষত, বন্ধ্যাত্ব।
৩. সাইকোটিক- প্রেমে আসক্তি, অপাত্রে প্রেম, অবৈধ প্রেম, বন্ধুত্ব। যৌনচারের ফলশ্রæতিরূপে যৌনশক্তি হ্রাস। অত্যধিক জৈবিক তৃপ্তির কুফলজনিত রোগ।
৪. টিউবারকুলার- বন্ধ্যাত্ব, ২/১ টি প্রসবের পর তাদের জরায়ু নানা জাতীয় স্থানচ্যুতি বা বহিনির্গমন, দিনের পর দিন প্রসব বেদনাটি চলতে থাকে। প্রসব করার শক্তি কমতে থাকে।

-লেখক
আহম্মেদ হোসেন ফারুকী

Address

Kalabaga

Telephone

+8801737686868

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when জার্মানি হোমিও শিক্ষালয় posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to জার্মানি হোমিও শিক্ষালয়:

Share