Al-Rafa Academy Hijama Therapy Center

Al-Rafa Academy Hijama Therapy Center Hijama is a Sunnah much embraced in Arab as well as cupping therapy in China. As an alternative therapy it works quite well for SHIFA or HEALING.

We should learn Hijama and apply it.

02/01/2022

ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন নবী(সঃ)বলেছেন রোগমুক্তি তিনটি জিনিসের মধ্যে।হিজামা.মধু পান করা এবং আগুন দিয়ে দাগ দেওয়া। তবে আমি আমার উম্মতকে আগুন দিয়ে গরম দাগ দিতে নিষেধ করি।সহিহ বোখারি:৫৬৮১

29/12/2021

হিজামা নিয়ে শায়খ Ahmadullah সাহেবের সুন্দর একটি প্রশ্নোত্তর!
আলহামদুলিল্লাহ, "হিজামা" শব্দটা পরিচিত হচ্ছে। আরবী হিজামা শব্দের ব্যাখ্যায় এতদিন শুধু "শিঙ্গা" শব্দটাই বেশি শোনা যেতো।
এটা খুবই ভাল লক্ষণ যে হিজামার প্রচারে উলামায়ে কেরামও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছেন।

বি: দ্র: "হিজামা" এবং প্রচলিত "শিঙ্গা" দুইটা দুই জিনিস।

মিশরীয় এক ব্যাক্তি। হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পরে।ডাক্তারদের কাছে যাওয়ার পর ডাক্তাররা বলে, "আপনার হার্ট এর আশেপাশের ধমনীগুলো ব...
08/12/2021

মিশরীয় এক ব্যাক্তি। হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পরে।ডাক্তারদের কাছে যাওয়ার পর ডাক্তাররা বলে, "আপনার হার্ট এর আশেপাশের ধমনীগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। আপনার একটা বড় সার্জারি প্রয়োজন। তানা হলে আপনাকে বাঁচানো অসম্ভব হয়ে যাবে"
লোকটি ডাক্তারদের জিজ্ঞেস করল "আপনারা কি এটা করতে পারবেন? "ডাক্তার বলল "আপনার জন্য ভালো হয়, আপনি যদি ইউরোপে গিয়ে সার্জারি টা করান। আমাদের পক্ষে এত বড় সার্জারি করা অসম্ভব।

লোকটি কিছুদিন পর জার্মানিতে গেল। জার্মানির ডাক্তারেরা উনার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বললেন, অপমার হার্ট এর আশেপাশের রক্তনালিগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। আপনারএকটা বড় সার্জারির প্রয়োজন। ডাক্তার বললো সার্জারির পর লোকটি যে বাঁচবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই।চ্যান্স ৫০/৫০।
লোকটি ডাক্তারের কথা শুনে বললো আচ্ছা ঠিক আছে, তাহলে আমি অপারেশন এর আগে একবার মিশর থেকে ঘুরে আসি।সবার সাথে দেখা করে আসি।সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে আসি।হয়ত আর নাও বাঁচতে পারি।
ডাক্তার বললো ঠিক আছে যান।কিন্তু বেশি দিন সময় নিবেন না।আপনার রক্তনালি গুলা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

লোকটি মিশরে আসলো।এয়ারপোর্ট থেকে বাসার যাওয়ার পথে এক মহিলাকে দেখলো। কসাই মাংস কাটতেছে আর এক্সট্রা হাড়গুলা ফেলে দিচ্ছে।মহিলাটা ঐ হাড়গুলা কুড়িয়ে নিচ্ছে। লোকটি মহিলাটার কাছে গেলো।।জিজ্ঞেস করলো আপনি হাড়গুলো কেন নিচ্ছেন?? মহিলা বললো আমার চারটা মেয়ে।গত দুইবছর থেকে মাংস খায় না।তারা খুব করে আমার কাছে আবদার করতেছে একটু মাংস খাবার জন্য।আমি টাকা পাবো কই তাদের জন্য মাংস কিনতে।তাই হাড়গুলো কুড়িয়ে নিচ্ছি।

লোকটা মহিলার কথা শুনে কসাইকে বল্লো, এই মহিলাকে প্রতি সাপ্তাহে উনার প্রয়োজন মত মাংস দিবে। এই নাও এক বছরের অগ্রিম টাকা।আগামী এক বছর প্রতি সাপ্তাহে আপনার ঘরে মাংস রান্না হবে।
মহিলা লোকটির কথা শুনে হাত তুলে জোড়ে জোড়ে দোয়া করা শুরু করলেন আল্লাহর কাছে।যাকে বলে মন থেকে অশ্রুসিক্ত নয়নে দোয়া।

লোকটি বাসায় গেল।তার মেয়ে তাকে দেখে বলল বাবা তোমার মুখে একটা উজ্জ্বলতা ফুটে উঠেছে।তোমাকে ভাল লাগছে দেখে।লোকটা হাসলো।এক সপ্তাহ পরে পুনরায় গেলো জার্মানিতে।অপারেশন করার আগ মূহুর্তে ডাক্তাররা আবার একবার চেকাপ করালো।চেকাপ করে দেখলো রক্তনালিগুলা স্বাভাবিক। নরমালি রক্ত চলাচল হচ্ছে।একদম সুস্থ মানুষের মত।
ডাক্তার লোকটিকে জিজ্ঞেস করলো আপনি কোন হসপিটালে গিয়েছেন। লোকটি বলল কোন হসপিটালে না।ডাক্তার বললো অসম্ভব। আপনি কোন স্ট্রং মেডিসিন নিয়েছেন যার কারনে আপনার নালিগুলা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। লোকটি বললো না আমি কোন মেডিসিন নেই নি।
ডাক্তার বলল এটা কি করে সম্ভব। আপনি তাহলে সুস্থ হলেন কি করে? আপনার এখন কোন অপারেশন এর প্রয়োজন নেই।

লোকটি বলল আমি জানি আমি কিভাবে সুস্থ হয়েছি।আমাকে আমার রব সুবাহানাহু তায়ালা সুস্থ করেছেন।
অই মহিলার দোয়াতে। মানুষের অন্তর থেকে যেই দোয়া আসে তা সোজা আল্লাহর আরশে গিয়ে লাগে।আল্লাহ তা সাথে সাথে কবুল করে নেন।ঐ মহিলার দোয়া কবুল করেছেন আল্লাহ তাই আমি সুস্থ হয়ে গিয়েছি।
কারো মন থেকে পাওয়া দোয়া আসলে একটা বিশাল নিয়ামত। দুনিয়ার সবচেয়ে দামী জিনিস হচ্ছে দোয়া।কারো দোয়াতে থাকা বিশাল একটা নেয়ামত।

💝 হিজামা; সুস্থতার সুন্নাহ পথহিজামা করানোর ফলে একজন সু্স্থ মানুষ যে উপকারগুলো পাবেন :👉 শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম বা রোগপ্...
25/11/2021

💝 হিজামা; সুস্থতার সুন্নাহ পথ

হিজামা করানোর ফলে একজন সু্স্থ মানুষ যে উপকারগুলো পাবেন :

👉 শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে ।
👉 ব্লাড সার্কুলেশন বাড়বে ।
👉 টক্সিন দূর হবে ।
👉 এনার্জি লেভেল বেড়ে যাবে ।
👉 যে যে পয়েন্টে হিজামা করা হবে সেই সেই পয়েন্টে ও সংলগ্ন এলাকায় ডিপ মেসেজ হবে এবং ঐ মাংশপেসির কোষগুলো অক্সিজেন ও পুষ্টি বেশি পাবে।
👉 এন্টি এজিং থেরাপি হিসেবে কাজ করবে ।
👉 নাইট্রিক অক্সাইড তৈরির কারণে যৌন জীবন ভালো থাকবে।
👉 উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার প্রবণতা কমবে ।
👉 লিভারকে পরিস্কার করে ,
👉 শরীরের ব্যথা/ জ্বালাপোড়া হৃাস করে,
👉 ঘুমের উন্নতি করে,
👉 শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে,
👉 রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে,
👉 পায়ের দুর্গন্ধ দূর করে,
👉 কিডনি পরিষ্কার করে,
👉 বৃদ্ধ মানুষের বাত/ব্যথা নিপীড়ন করে ,
👉 ত্বক পরিষ্কার করে।
👉 যৌন দুর্বলতা দূর করে।
👉 শরীরের জয়েন্টগুলোতে ব্যাথা,ঘাড় এবং ব্যাক পেইন দূর করতে সাহায্য করে।

আসুন আমরা হিজামার মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহন করে সুন্নাতকে জিন্দাকরি ।

📖 হিজামা সম্পর্কে কয়েকটি হাদিস -

💖হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্নিত, হুজুর (সা.) বলেছেন, "জিবরাঈল (আ) আমাকে জানিয়েছেন যে, মানুষ চিকিৎসার জন্য যতসব উপায় অবলম্বন করে, তন্মধ্যে হিজামাই হলো সর্বোত্তম । (আল-হাকিম : ৭৪৭০)

💖 হযরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“নিশ্চয় হিজামায় শেফা রয়েছে ।”
(সহীহ মুসলিম, হাদীছ নম্বর: ২২০৫)

💖 হযরত আব্দু্ল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্নিত : রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,"হিজামা গ্রহণকারী কতোই উত্তম লোক! সে দূষিত রক্ত বের করে মেরুদন্ড শক্ত করে ও দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে!"
(সুনানে তিরমিযী; ২০৫৩)

💖 হযরত আনাস (রা) হতে বর্নিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, "গরম বৃদ্ধি পেলে হিজামার সাহায্য নাও। কারন, কারো রক্তচাপ বৃদ্ধি পেলে তার মৃত্যু হতে পারে । (আল- হাকিম :৭৪৮২)

হিজামাই ডিটক্সিফিকেশনের একমাত্র নেচারাল পদ্ধতি, এই পদ্ধতিতে শরীর থেকে দূষিত রক্ত বের করা হয়, যা শরীর কে সতেজ ও অধিক কর্মক্ষম করে ।

হিজামা হচ্ছে এমন প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি, যাতে মানুষের সকল প্রকার শারীরীক, মানসিক ও আধ্যাত্নিক সুস্থ্যতা বিদ্যমান রয়েছে ।

হিজামা সঠিকভাবে করা হলে এর কোন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই ।

*️⃣ হিজামা (CUPPING) এর মাধ্যমে যে সব রোগের চিকিৎসা করা হয়ে থাকেঃ
-----------------*-------------------
১। মাইগ্রেন জনিত দীর্ঘমেয়াদী মাথাব্যথা
২। রক্তদূষণ
৩। উচ্চরক্তচাপ
৪। ঘুমের ব্যাঘাত (insomnia)
৫। স্মৃতিভ্রষ্টতা (perkinson’s disease)
৬। অস্থি সন্ধির ব্যাথা/ গেটে বাত
৭। ব্যাক পেইন
৮। হাঁটু ব্যাথা
৯। দীর্ঘমেয়াদী সাধারন মাথা ব্যাথা
১০। ঘাড়ে ব্যাথা
১১। কোমর ব্যাথা
১২। পায়ে ব্যাথা
১৩। মাংসপেশীর ব্যাথা (muscle strain)
১৪। দীর্ঘমেয়াদী পেট ব্যথা
১৫। হাড়ের স্থানচ্যুতি জনিত ব্যাথা
১৬। থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা
১৭। সাইনোসাইটিস
১৮। হাঁপানি (asthma)
১৯। হৃদরোগ (Cardiac Disease)
২০। রক্তসংবহন তন্ত্রের সংক্রমন
২১। টনসিল
২২। দাঁত/মুখের/জিহ্বার সংক্রমন
২৩। গ্যাস্ট্রিক পেইন
২৪। মুটিয়ে যাওয়া (obesity)
২৫। দীর্ঘমেয়াদী চর্মরোগ (Chronic Skin Diseses) ২৬। ত্বকের নিম্নস্থিত বর্জ্য নিষ্কাশন
২৭। ফোঁড়া-পাঁচড়া সহ আরো অনেক রোগ।
২৮। ডায়াবেটিস (Diabetes)
২৯। ভার্টিব্রাল ডিস্ক প্রোল্যাপ্স/ হারনিয়েশান
৩০। চুল পড়া (Hair fall)
৩১। মানসিক সমস্যা (Psycological disorder)...সহ আরও অনেক রোগ।

💖 আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রা: বর্ণনা করেন ।
রাসুলূল্লাহ (সা.) যখন ইহরাম অবস্থায় তখন একগুঁয়ে মাথাব্যথার জন্য হিজামা ব্যবহার করেন ।
(সহীহ বুখারী ৫৭০১)

💖 সালামা (রা.) বলেন, যখন কেউ রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নিকট এসে মাথাব্যথার কথা বলত, তিনি তাদেরকে হিজামা লাগানোর কথা বলতেন ।
(আবু দাউদ ৩৮৫৮)

কালো যাদু বা কুফরী বিনষ্ট করার উদ্দেশ্য
ইবনুল কাইয়ুম রহ: মন্তব্য করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন যাদু দ্বারা পীড়ীত হন তখন তিনি মাথায় হিজামা করান এবং এটাই সবচেয়ে উত্তম ঔষধ যদি সঠিক ভাবে করা হয় । (যাদুল মায়াদ ৪/১২৫-১২৬)

🍁 মাথায় হিজামা করার বিশেষ উপকারিতা :

১। মাইগ্রেন জনিত দীর্ঘ মেয়াদী মাথাব্যথা এবং সাধারন মাথাব্যথা।
২। উচ্চ রক্তচাপ।
৩। রক্তদূষন।
৪। ঘুমের ব্যঘাত।
৫। স্মৃতি ভ্রষ্টতা।
৬। ঘাড়ে ব্যথা।
৭। হরমোনাল সমস্যা ।
৮। সাইনুসাইটিস।
৯। মানসিক সমস্যা।
১০। চুল পড়া।
১১। পারকিনসন্স ডিজিজ।
১২। ব্রেইন ডিজিজ।
১৩। মাদকাসক্তি।
১৪। প্যরালাইসিস।
১৫। যাদু টোনার সমস্যা ইত্যাদি।

✳️ হিজামার পূর্বে করনীয় বিষয় সমূহ :

১। হিজামার পূর্বে দুই ঘন্টা পর্যন্ত খাবার থেকে বিরত থাকবেন।
২। গোসল করে নিবেন।
৩। পুরুষরা মাথা মুন্ডিয়ে আসলে ভাল । যেহেতু মাথায় হিজামা করলে বিশেষ কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়।

✳️ হিজামার পরে করনীয় বিষয়সমূহ :

১। ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত গোসল করা যাবে না এবং হিজামার জায়গায় পানি লাগানো যাবেনা।
২। ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত কোন ব্যয়াম এবং স্ত্রী সহবাস করা যাবেনা।
৩। ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত লম্বা সফর করা যাবেনা।
৪। ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত কোন গরম সেক ইত্যাদি দেয়া যাবে না।
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
হিজামা একটি হারিয়ে যাওয়া সুন্নাহ। নিশ্চয়ই এর মধ্যে উপকার রয়েছে। হিজামা করুন, একটা সুন্নাহকে রিভাইভ করুন।

🌿 হিজামা কাপিং এর কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই।

🔮আরো তথ্যের জন্য এখনই আমাদের পেইজটি ভিজিট করুন।

সুন্নতি এই চিকিৎসা টি শেয়ার করে অন্যকে জানিয়ে দিতে পারেন।

সাইনোসাইটিসের ব্যথা মূলত কোনো সাইনাস আক্রান্ত হয়েছে, তার ওপর অনেকাংশ নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, ম্যাক্সিলা...
16/11/2021

সাইনোসাইটিসের ব্যথা মূলত কোনো সাইনাস আক্রান্ত হয়েছে, তার ওপর অনেকাংশ নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, ম্যাক্সিলারি সাইনাসের ব্যথা ও ম্যাক্সিলারি সাইনাসের অবস্থানের ওপর, অর্থাৎ নাকের পাশে, গাল, দাঁত কিংবা মুখ বা মুখমণ্ডলের আশপাশেও ব্যথা হয়ে থাকে। এ ধরনের মাথাব্যথার সঙ্গে সঙ্গে মাথার মধ্যে হালকা শূন্যতা অনুভূত হয়ে। সাইনাস যখন আক্রান্ত হয়, তখন তার নিঃসৃত পুঁজজাতীয় পদার্থ নাকের মধ্যে এসে প্রদাহের সৃষ্টি করে। সাইনাস ফুলে অনেক সময় নাক বন্ধের কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে। নাকের মধ্যে কোনো বাধা, যেমন—ডিএনএস বা নাকের মাংস বড় হয়ে যাওয়া সাইনোসাইটিসের কারণে হতে পারে। সুতরাং এসব কারণ উদঘাটন সাইনোসাইটিস রোগের মুখ্য উদ্দেশ্য হয়ে থাকে।

সাইনোসাইটিসের প্রদাহজনিত কারণে নাক থেকে পুঁজ বা পুঁজজাতীয় পদার্থ বের হয়। এ উপসর্গ ছাড়াও শিশু-কিশোরদের সাইনোসাইটিসের বাড়তি কিছু উপসর্গ দেখা যায়। বিশেষ করে তাদের চোখ ও চোখের পাতা ফোলা ফোলা থাকে, মাঝেমধ্যে নাক বন্ধ, মুখ হাঁ করে ঘুমানো, মুখ ও নাক থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়া, নাক ডাকা, অত্যধিক লালাঝরা, ঘন ঘন কাশি, আবার কোনো কোনো সময় বমি ইত্যাদি নিয়মিত হতে থাকে। প্রায়ই এমন অনেক রোগী দেখা যায় যারা সব সময়ই অস্বস্তি অনুভব করেন । মাথাব্যথা, ভারি আর নাক জ্বালাপোড়া করে কিন্তু জানেন না কেন? এ ধরনের রোগীর সাইনোসাইটিস হতে পারে। এটি অতি পরিচিত রোগ। শতকরা ২৫ ভাগ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। আমাদের নাকের চারপাশের অস্থিগুলোর পাশে বাতাসপূর্ণ কুঠরি থাকে। এদের সাইনাস বলে।

মুখমন্ডলের হাড়ের ভিতরে কতগুলো ফাঁপা জায়গা আছে তাকে সাইনাস বলে। সাইনাসের কাজ হলো মাথাকে হালকা রাখা, মাথাকে আঘাত থেকে রক্ষা করা, কণ্ঠস্বরকে সুরেলা রাখা, দাঁত ও চোয়াল গঠনে সহায়তা করা। যদি কোনো কারণে এ সাইনাসগুলোয় প্রদাহ সৃষ্টি হয়, তখন তাকে সাইনোসাইটিস বলে। সাইনোসাইটিস ব্যাকটেরিয়া-জনিত ইনফেকশন, অ্যালার্জি অথবা অটোইমিউন ডিজিজ ইত্যাদি কারণে হয়ে থাকে। বৈশ্বিক এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ১০০ জনের মধ্যে ৫ থেকে ১০ শতাংশ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে ঠাণ্ডার দেশে এই রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পায়।

সমস্যা বা রোগের কারণ
দাঁত, চোখ, নাকের অসুখ থেকে সাইনোসাইটিস হতে পারে
ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা এলার্জির কারণেও সাইনোসাইটিস হয়ে থাকে

রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ
সাইনোসাইটিস রোগে প্রচন্ড মাথাব্যথা হয়। সকালে কম থাকে, দুপুরের দিকে ব্যথার তীব্রতা বেড়ে যায় আবার বিকেলের দিকে সামান্য কমে যায়
মাথা নাড়াচাড়া করলে, হাঁটলে বা মাথা নিচু করলে ব্যথার তীব্রতা আরো বেড়ে যায়
জ্বর জ্বর ভাব থাকে, কোনো কিছুতেই ভালো লাগে না এবং অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যায়
নাক বন্ধ থাকে। পরীক্ষা করলে নাকের ভেতর পুঁজ পাওয়া যেতে পারে
সাইনাস এর এক্স রে করলে সাইনাস ঘোলাটে দেখায়।

সাইনাসের ইনফেকশন
নাকের এলার্জি থাকলে, নাকের হাড্ডি বাঁকা থাকলে, নাকের ভেতর বাইরের কিছু ঢুকলে এবং এডিনয়েড (নাকের পেছনের টনসিল) বড় হলে
দাঁতের ইনফেশন থেকে বা দাঁত তুলতে গিয়েও সাইনাসে ইনফেকশন হতে পারে
সাইনাসের হাড্ডি ফেটে গেলেও এরূপ হতে পারে
ময়লা পানিতে ঝাঁপ দিলে ঐ পানি নাকের ভেতর দিয়ে সাইনাসে ঢুকেও এ ধরণের সমস্যা তৈরি করতে পারে
এছাড়াও অপুষ্টি, আবহাওয়া দূষণ এবং ঠান্ডা স্যাঁতসেতে আবহাওয়ায় এই রোগ বেশি হয়।

সাইনোসাইটিস-এর জটিলতা
সাইনাসগুলো চোখ এবং ব্রেইনের পাশে থাকে বলে সাইনাসের ইনফেকশন হলে তা চোখ এবং মস্তিষ্কেরও জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। যেমন-
অরবিটাল সেলুলাইটিস এবং এবসেস বা চোখের ভেতরের ইনফেকশন।
মেনিনজাইটিস বা ব্রেইনের পর্দার প্রদাহ।
এক্সট্রাডুরাল এবং সাবডুরাল এবসেস।
অস্টিওমায়েলাইটিস (মাথার অস্থির প্রদাহ)।
কেভেরনাস সাইনাস থ্রম্বোসিস প্রভৃতি।

কাজেই দেখা যাচ্ছে, সাইনোসাইটিসের কারণে চোখের ভেতরে ইনফেকশন ঢুকে চোখটি নষ্ট করে দিতে পারে, আবার মাথার ভেতর ইনফেকশন ঢুকে মেনিনজাইটিস এমনকি ব্রেইন এবসেসের মতে মারাত্মক জটিল রোগের জন্ম দিতে পারে।

আপনারা সাইনোসাইটিসের জন্য বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন, কেউ কেউ অপারেশনও করেছেন, কিন্তু ফলাফল শূণ্য। তাই হিজামাই একমাত্র সাইনোসাইটিসের সঠিক চিকিৎসা। এ চিকিৎসায় কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

 #সায়াটিকা কি কি কারণে হয়ে থাকে?  #এই রোগের লক্ষণগুলো কি কি?  #এর চিকিৎসা পদ্ধতি কি? #সায়াটিকা'কে আরবীতে "ইরকুন নিসা" বল...
14/11/2021

#সায়াটিকা কি কি কারণে হয়ে থাকে?
#এই রোগের লক্ষণগুলো কি কি? #এর চিকিৎসা পদ্ধতি কি?

#সায়াটিকা'কে আরবীতে "ইরকুন নিসা" বলে। ঊরুর পেছন দিক থেকে শুরু হয় একটা চিনচিনে বা শিরশিরে অনুভূতি, নেমে যায় পায়ের পেছন দিক দিয়ে নিচে, কখনো একেবারে পায়ের পাতা অবধি। কেবল ব্যথা নয়, মাঝেমধ্যে অবশ হয়ে আসা বা ঝিম ধরে থাকা অনুভূতিও হয়। এই সমস্যার নাম সায়াটিকা।

সায়াটিক স্নায়ুর মূলে কোনো সমস্যা হলে এই রোগ হয়। দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে থাকলে বা দাঁড়িয়ে থাকলে এই ব্যথা বা অস্বাভাবিক অনুভূতি বাড়ে, মেরুদণ্ড ভাঁজ করে কোনো কাজ করলে, যেমন নিচু হয়ে জুতার ফিতে পরতে গেলেও চিনচিন করে উঠতে পারে। আবার হাঁটাহাঁটি করলে কিংবা সটান শুয়ে থাকলে কিন্তু কমে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মেরুদণ্ডের কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক বা তরুণাস্থির সরে যাওয়া, বাইরের দিকে বেরিয়ে আসা, কোনো কিছুর মাধ্যমে চাপের সম্মুখীন হওয়া ইত্যাদি কারণে সায়াটিক স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়।যাঁদের সায়াটিকা আছে, তাঁরা দীর্ঘক্ষণ একইভাবে বসে থাকবেন না, বিশেষ করে যদি তা আরামদায়ক না হয়।

#শীতে কোমর ও পায়ের ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করে। এ সময় শরীরের রক্ত চলাচল কম হয়। শীতে কোমর বা অন্যান্য জয়েন্টের মাংসপেশিতে ক্র্যাম্প হয় বা টান বেশি লাগে। এতে মেরুদণ্ডের মাংসপেশি ইমব্যালেন্স হয় বা ভারসাম্যতা কমে যায়। ফলে মেরুদণ্ডের ডিস্কের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এতে ডিস্ক প্রলাপ্স হয়ে ব্যথা পায়ে চলে যায় এবং সায়াটিকার উৎপত্তি হয়।

#সায়াটিকার কারণ :

#মেরুদণ্ডের হাড় সরে (স্পন্ডাইলোসিস) গিয়ে যদি সায়াটিকা নার্ভের চাপ দেয়। পাইরিফরমিস মাংস পেশি শক্ত হয়ে গেলে। ডিস্ক প্রলাপ্সের কারণে কোমর থেকে জেলি বের হয়ে নার্ভের ওপর চাপ দিবে।

ডিজেনেরেশন বা স্পন্ডাইলোসিস হলে (কোমরের হাড় ক্ষয় বা বেড়ে যাওয়া)। গর্ভাবস্থায় সায়াটিকার ব্যথা হতে পারে। আঘাতজনিত কারণে সায়াটিক নার্ভের ব্যথা হতে পারে।

#লক্ষণ : ব্যথা কোমর থেকে নিচ দিকে গেলে। পা ঝিন ঝিন, জ্বালাপোড়া, ভারী ভারী এবং অবশ অবশ হলে। পায়ের ব্যথাটা শিন শিন বা কালাইয়া নিতে পারে। বেশিরভাগ সময়ে হাঁটতে ব্যথা বৃদ্ধি পায়।

এ রোগ হলে হিজামা/কাপিং থেরাপির মাধ্যমে সুস্থতা লাভ হবে ইনশা আল্লাহ্।

ব্রন ও ফেসিয়াল চিকিৎসায় হিজামা (Cupping Therapy)ত্বকের গঠন অত্যন্ত জটিল । এ জটিলতম ত্বকে ছোট বড় এক বা একাধিক কারণে বিভি...
14/11/2021

ব্রন ও ফেসিয়াল চিকিৎসায় হিজামা (Cupping Therapy)

ত্বকের গঠন অত্যন্ত জটিল । এ জটিলতম ত্বকে ছোট বড় এক বা একাধিক কারণে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেয় । এর মধ্যে অন্যতম হলো ব্রণের সমস্যা ।
ব্রণ মূলত টিনএজারদের সমস্যা । এ বয়সে যখন মুখের সৌন্দর্যের প্রতি সবাই আকর্ষণবোধ ও প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে, ঠিক সে বয়সেই মুখে এই বিশ্রী গোটাগুলো দেখা দেয়, যা তাদের অন্যতম দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় । অথচ একটু সচেতন থাকলেই এ সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া সম্ভব ।

ব্রণ কী?

ব্রণ (Acne vulgaris বা Acne) হচ্ছে আমাদের শরীরের ত্বকের ফলিকলের এক প্রকার দীর্ঘমেয়াদী রোগ। সাধারণত মুখমন্ডল, গলা, বুক, পিঠের উপরিভাগ এবং হাতের উপরিভাগে এই রোগটা হয়ে থাকে। এসব স্থানে ছোট ছোট দানা, ছোট ছোট ফোড়া, সিস্ট এমনকি নোডিউল হতে পারে । এ রোগটা সাধারণত মুখমন্ডলেই বেশি হয়- বিশেষ করে গালে, নাকে, কপালে এবং থুতনিতে সবচেয়ে বেশী হয়ে থাকে ।

বয়ঃসন্ধিকালে হরমোন টেস্ট্রোরেন আর প্রোজেস্ট্রোরেনের প্রভাবে ত্বকের সিবেসিয়াস গ্রন্থি অধিক হারে তেল নিঃসরণ শুরু করে । কোনো কারণে সিবেসিয়াস গ্রন্থির নালির মুখ বন্ধ হয়ে গেলে সেবাম নিঃসরণের বাধার সৃষ্টি হয় এবং তা ভেতরে জমে ফুলে উঠে যা ব্রণ (Acne) নামে পরিচিত । এর উপর জীবাণুর সংক্রমণ ঘটলে পুঁজ তৈরি হয় । অনেক সময় বাইরে থেকে এদের ছোট দেখালেও এরা বেশ গভীর হতে পারে । এজন্য ব্রণের সংক্রমণ সেরে গেলেও মুখে কাল দাগ থেকে যেতে পারে । সাধারণত ১৩ বছর বয়স থেকে ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত শতকরা ৯০ জনের এ রোগটি কমবেশি হয়ে থাকে । ২০ বছর বয়সের পর থেকে এ রোগের প্রকোপ কমতে থাকে । আবার কখনও কখনও ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সেও এটি হতে পারে এবং অনেক বয়স পর্যন্ত থাকতে পারে ।

ব্রণ কেন হয় ?

ব্রণের সুনির্দিষ্ট কোন কারণ জানা না গেলেও সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে, বংশগত কারণে, হরমোন জনিত কারণে, হজমের গোলমাল হলে, ধূমপান, মদ্যপান ইত্যাদি কারণে ব্রণ হতে পারে। ব্রণ আমাদের শরীরের ত্বকের ফলিকলের এক প্রকার দীর্ঘ-মেয়াদী রোগ । বয়ঃসন্ধিকালে হরমোন টেস্ট্রোরেন ও প্রোজেস্ট্রোরেনের প্রভাবে ত্বকের সিবেসিয়াস গ্রন্থি অধিক হারে তেল নিঃসরণ শুরু করে । এই তেল বেরিয়ে আসার পথটি ক্রটিযুক্ত থাকায় তেল গ্রন্থির ভিতরে জমতে শুরু করে। এক সময় গ্রন্থিটা ফেটে যায় এবং তেল আশপাশের টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়ে। তখন, ব্যাকটেরিয়া তেলকে ভেঙে টিস্যুতে ফ্যাটি এসিড উৎপাদন করে । এই ফ্যাটি এসিড ত্বকের ভেতরে প্রদাহ সৃষ্টি করে, ফলে চামড়ার মধ্যে দানার সৃষ্টি হয় । এটাই ব্রণ নামে পরিচিত । সাধারনত গলা, বুকে ও পিঠের উপরিভাগ, হাতের উপরিভাগে এবং বিশেষ করে মুখমন্ডলে এই রোগটা বেশি হয় । এসব জায়গায় ছোট ছোট দানা, ফোড়া, সিস্ট অথবা নোডিউল হতে পারে ।

ব্রণের প্রকারভেদ-

★ ট্রপিক্যাল একনি; যা অতিরিক্ত গরম এবং বাতাসের আর্দ্রতা বেশি হলে পিঠে এবং উরুতে হয়ে থাকে ।

★ প্রিমিন্সট্রুয়াল একনি; যা সাধারণত মহিলাদের মাসিকের সপ্তাহ খানেক আগে মুখে হতে দেখা দেয় ।

★ একনি কসমেটিকা; যা কোন প্রসাধনী দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের ফলে হতে পারে ।

★ একনি ডিটারজিনেকস; যা অধিক হারে মুখে সাবানের ব্যবহারের ফলে হতে পারে ।

★ স্টেরয়েড একনি; যা স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ সেবনে হতে পারে। এ ঔষুধ একাধারে অনেকদিন ব্যবহারের ফলে ব্রণের পরিমান আরও বেড়ে যেতে পারে ।

ব্রন কাদের বেশী হয়?

বয়ঃসন্ধিকালে এ রোগটা বেশী হয়। ১৩ থেকে ১৯ বছরের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে এ রোগটা সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে । অনেকে দীর্ঘ সময় ধরে এ রোগে ভোগে। ২০ বছর বয়সের পর সাধারণত এ রোগটা কমে আসে । তবে কিছু কিছু মেয়েদের ক্ষেত্রে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত এ রোগ দেখা যায় ।

ব্রণ থেকে মুক্তির উপায়-

কিছু নিয়ম মেনে চললে সহজেই ব্রণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব । যদিও কোনো বিশেষ খাবারের কারনে ব্রণ হয় না! কিন্তু যদি কোনো খাবার খেলে ব্রণের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, তবে সে খাবারটি বাদ দিতে হবে । প্রচুর ফলমূল, শাক-সবজি ও পানি খেতে হবে । মুখে ব্রণ থাকলে কোন রাসায়নিক উপাদান বা কসমেটিকস ব্যবহার করা উচিত নয়, অবশ্যই প্রাকৃতিক বা হারবাল জিনিস ব্যবহার করতে হবে ।
ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন । নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ দিয়ে পেষ্ট বানিয়ে ব্রনে লাগিয়ে দিতে পারেন ।

চিকিৎসা-

হিজামার মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণ করলে ইনশাআল্লাহ খুব সহজেই ব্রন থেকে মুক্তি পাবেন । এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল - অবশ্যই অভিজ্ঞ হিজামা থেরাপিস্ট এর তত্বাবধানে হিজামা সম্পন্ন করা । তা না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে ।

হিজামা/cupping এর মাধ্যমে যে সকল রোগের চিকিৎসা করা হয়:
১. বাত ব্যথা
২. কোমর ব্যথা
৩. পায়ে ব্যথা
৪. হাটু ব্যথা
৫. ঘাড়ে ব্যথা
৬. মাংসপেশীর ব্যথা
৭. হারের স্থানচ্যুত জনিত ব্যথা
৮. দীর্ঘ মেয়াদি মাথা ব্যথা
৯. মাইগ্রেন জনিত মাথা ব্যথা
১০. মেরুদন্ড ব্যথা
১১. উচ্চ রক্তচাপ (high blood pressure)
১২. ঘুমের ব্যঘাত
১৩. স্মৃতি ভ্রষ্টতা
১৪. ব্যাকপেইন
১৫. চুলপড়া
১৬. অতিরিক্ত ঘুম
১৭. হতাশা
১৮. মানসিক সমস্যা
১৯. প্যারালাইসিস
২০. হাত পা অবশ ইত্যাদি,
তাছাড়া দূষিত রক্ত(Toxin) দূর করার জন্য সুস্থ অবস্থায় হিজামা থেরাপি নেয়া যায়।প্রতি ৬ মাস পর পর হিজামা থেরাপি নিলে সুস্থ থাকবেন ইনশা আল্লাহ!!

#হিজামা কাপিং এর উপকারিতাঃ-
(১) শরীর থেকে ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ/Toxin বের করে নিয়ে আসে,
(২) লিভারকে পরিস্কার করে ,
(৩) শরীরের ব্যথা/ জ্বালাপোড়া হৃাস করে,
(৪) ঘুমের উন্নতি করে
(৫) শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে,
(৬) রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে,
(৭) পায়ের দুর্গন্ধ দূর করে,
(৮) কিডনি পরিষ্কার করে,
(৯) বৃদ্ধ মানুষের বাত/ব্যথা নিপীড়ন করে ,
(১০) ত্বক পরিষ্কার করে।
(১১) যৌন দুর্বলতা দূর করে।
(১২) শরীরের জয়েন্টগুলোতে ব্যাথা,ঘাড় এবং ব্যাক পেইন দূর করতে সাহায্য করে।
=====================

★ল্যাব টেস্টঃ হিজামার বিজ্ঞানভিত্তিক উপকারিতা★দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের (Damascus University) সাবেক ডীন প্রফেসর ড. মোহাম্ম...
14/11/2021

★ল্যাব টেস্টঃ হিজামার বিজ্ঞানভিত্তিক উপকারিতা★

দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের (Damascus University) সাবেক ডীন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাবীল আল শরীফ এর অধীনে ২০০১ সালে হিজামার উপকারিতা যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষাগারে বিজ্ঞানভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। পরীক্ষাটি ৩০০ জন ব্যক্তির উপর পরিচালিত হয়। পরিচালিত পরীক্ষায় নিম্নোক্ত তথ্যসমূহ বেরিয়ে আসে; যা হিজামার উপকারিতার বৈজ্ঞানিক প্রমাণ বহন করে-

১. উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে রক্তচাপ কমে স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে।

২. নিম্ম রক্তচাপের ক্ষেত্রে রক্তচাপ বেড়ে স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে।

৩. ECG এর পূর্বের গ্রাফের তূলনায় পরের গ্রাফে তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি পরিলক্ষিত হয়েছে।

৪. ESR কমে স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে।

৫. RBC এর সংখ্যা স্বাভাবিক হয়েছে।

৬. Polycythemia এর ক্ষেত্রে Hemoglobin কমে স্বাভাবিক হয়েছে।

৭. Hemoglobin স্বল্পতার ক্ষত্রে এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে স্বাভাবিক হয়েছে। এটি নতুন নতুন স্বাভাবিক RBC উৎপন্ন হওয়ায় ইংগিত প্রদান করে; যা শরীরের কোষ সমূহে অক্সিজেনের প্রবাহ বৃদ্ধি করে থাকে।

৮. হিজামা গ্রহনকারীদের ৬০% ক্ষেত্রে রক্তে Leukocyte বৃদ্ধি পেয়ে স্বাভাবিক মাত্রায় পৌঁছেছে।

৯. সকল Rheumatic রোগাক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে Neutrophil বৃদ্ধি পেয়ে স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে।

১০. রক্তের শ্বেতকণিকা (WBC) ৭১.৪% ক্ষেত্রে বেড়েছে। এটি প্রমান করে যে Rheumatic ও অন্যান্য প্রদাহজনিত রোগ হিজামা করার পর সেড়ে গেছে।

১১. হাঁপানি রোগীদের ৮৩.৩% ক্ষেত্রে Neutrophil এর সংখ্যা বেড়েছে।

১২. হিজামা করানোর কারনে Neutrophil এর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি কমে গিয়ে স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে।

১৩. হৃদরোগীদের ৭৬.৯% ক্ষেত্রে Neutrophil সংখ্যা কমে স্বাভাবিক হয়েছে।

১৪. রক্তের Thrombocyte ৫০.৬% ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পেয়েছে।

১৫. অনুচক্রিকার স্বল্পতার সকল ক্ষেত্রে তা বৃদ্ধি পেয়ে স্বাভাবিক মাত্রায় পৌঁছেছে।

১৬. Essential Thrombocythemia এর ৫০% ক্ষেত্রে Thrombocytes কমে গিয়ে স্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছেছে।

১৭. ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের রক্তে চিনির পরিমাণ ৯২.৫% ক্ষেত্রে কমেছে।

১৮. রক্তের বৃদ্ধিপ্রাপ্ত Creatinine ৬৬.৬৬ ক্ষেত্রে কমেছে।

১৯. সকল ক্ষেত্রে হিজামার মাধ্যমে বের হওয়া রক্তে Creatinine এর পরিমান খুবই বেশী ছিল।

২০. যেসকল রোগীদের রক্তে Creatinine বেশী ছিল, হিজামার পর তাদের ৫৭% ক্ষেত্রে রক্তে এর মাত্রা কমে গিয়েছিল।

২১. ৬৬.৬৬% ক্ষেত্রে রক্তে Uric acid এর মাত্রা কমে গিয়েছে।

২২. Uric acid বৃদ্ধির ফলে যেসকল অসুবিধা দেখা দিয়েছিল, ৭৩.৬৮% ক্ষেত্রে সেসকল অসুবিধা দূর হয়েছে।

২৩. যাদের রক্তে Urea level বেড়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে ৮০% ক্ষেত্রে তা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

২৪. যাদের রক্তে SGPT বেড়ে গিয়েছিল, ৮০% ক্ষেত্রে তাদের উক্ত মাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে গিয়েছে। এটি হিজামা করানোর দ্বারা যকৃতের কার্যকারিতা বৃদ্ধির ইংগিত বহন করে।

২৫. হিজামার পর কেন ECG এর উন্নতি হয়েছিল; SGPT এর নিম্নগামীতার মাধ্যমে তার ব্যাখ্যা পাওয়া গেল।

২৬. Alkaline phosphate এর বৃদ্ধিপ্রাপ্ত মাত্রা ৬২.৮২% ক্ষেত্রে কমে স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমেছে।

২৭. ৫৪.৯% ক্ষেত্রে Amylase এর মাত্রা কমেছে।

২৮. সকল ক্ষেত্রে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত Albumin কমে স্বাভাবিক হয়েছে।

২৯. রক্তের বর্ধিত Cholesterol এর মাত্রা ৮৩.৬% ক্ষেত্রে কমেছে।

৩০. যাদের রক্তে Triglyceride অধিক ছিল, হিজামা করানোর পর তাদের ৭৫% ক্ষেত্রে তা কমেছে।

৩১. Ca, Na, K আয়নের মাত্রা ৯০% ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে।

৩২. বর্ধিত CPK ৬৬.৬৬% ক্ষেত্রে কমে স্বাভাবিক হয়েছে।

৩৩. হিজামার মাধ্যমে বের হওয়া রক্তে সকল RBC-ই ছিল অস্বাভাবিক আকৃতির। যেমনঃ Hypochromic, Burr, Target, Crenated, Spherocytes, Poikilocytes, Anisocytes, Schistocytes, Acanthocytes ইত্যাদি।

৩৪. বের হওয়া রক্তে Leukocyte এর সংখ্যা শিরার রক্তের ১০% এরও কম ছিল। এটি শরীরের Immunity রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান; যা হিজামার মাধ্যমে বের না হওয়ার ইংগিত বহন করে।

৩৫. ৬৬% ক্ষেত্রে রক্তে লৌহের ঘনত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।

৩৬. প্রায় ৯৩% ক্ষেত্রে CPK এবং LDH স্বাভাবিক মাত্রায় ছিল।

৩৭. শিরার রক্তে TIBC এর স্বাভাবিক মাত্রা প্রতি ডেসিলিটারে ২৫০-৩৭০ মাইক্রো গ্রাম। কিন্তু হিজামার মাধ্যমে বের হওয়া রক্তে TIBC এর মাত্রা ছিল প্রতি ডেসিলিটারে ৪২২-১০৫৭ মাইক্রো গ্রাম অর্থাৎ খুবই বেশী।
পরীক্ষাটি এই ইংগিত দেয় যে হয়তো এমন বিশেষ কোন কারণ রয়েছে; যার ফলে হিজামার কর্তিত অংশের মাধ্যমে পর্যাপ্ত লৌহ অণু বেরিয়ে আসতে পারেনা। বরং লৌহ অণুগুলো রক্তনালীতে রয়ে যায়; যাতে নতুন নতুন RBC উৎপাদনে ব্যবহৃত হতে পারে।

সুতরাং, উপরোক্ত Laboratory Test থেকে এটা দিবালাকের ন্যায় সুস্পষ্ট যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে হিজামা গ্রহণের জন্য যে তাগিদ দিয়েছেন; তা সত্যিই আমাদের জন্য অত্যন্ত কল্যানকর।
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

 #হিজামা সংক্রান্ত কয়েকটি হাদীসঃহজরত ইবনে আব্বাস (রা.)-এর সূত্রে নবী করিম (সা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রোগমুক্তি তিনট...
07/11/2021

#হিজামা সংক্রান্ত কয়েকটি হাদীসঃ

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.)-এর সূত্রে নবী করিম (সা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রোগমুক্তি তিনটি জিনিসের মধ্যে নিহিত। এগুলো হলো- হিজামা লাগানো, মধু পান করা এবং আগুন দিয়ে গরম দাগ দেওয়া।
তবে আমি আমার উম্মতকে আগুন দিয়ে গরম দাগ দিতে নিষেধ করি।’ –সহীহ বুখারী: ৫৬৮১

(২) হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কেউ হিজামা করতে চাইলে সে যেন আরবী মাসের ১৭, ১৯ কিংবা ২১ তম দিনকে নির্বাচিত করে। রক্তচাপের কারণে যেন তোমাদের কারো মৃত্যু না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে।” সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীছ নম্বর: ৩৪৮৬

(৩) হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “আমি মেরাজের রাতে যাদের মাঝখান দিয়ে গিয়েছি, তাদের সবাই আমাকে বলেছে, হে মুহাম্মদ, আপনি আপনার উম্মতকে হিজামার আদেশ করবেন।” সুনানে তিরমিযী হাদীছ নম্বর: ২০৫৩

(৪) হযরত জাবির রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয় হিজামায় শেফা রয়েছে।” সহীহ মুসলিম, হাদীছ নম্বর: ২২০৫

(৫) হযরত আবদুল্লাহ বিন উমর রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “খালি পেটে হিজামাই সর্বোত্তম।
এতে শেফা ও বরকত রয়েছে এবং এর মাধ্যমে বোধ ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।” সুনানে ইবনে মাজা, হাদীছ নম্বর: ৩৪৮৭

(৬) হযরত আবদুল্লাহ্ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “হিজামাকারী কতইনা উত্তম লোক।
সে দূষিত রক্ত বের করে মেরুদন্ড শক্ত করে ও দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।” সুনানে তিরমিযী, হাদীছ নম্বর: ২০৫৩

 #আসলে অনেকেই হিজামা কি তা বুঝেনি তাই সবার অবগতির জন্য পোস্ট টি দেয়া। হিজামা (আরবি: ﺣﺠﺎﻣﺔ অর্থ:"শোষণ") হল শিঙ্গা লাগানো ...
04/11/2021

#আসলে অনেকেই হিজামা কি তা বুঝেনি

তাই সবার অবগতির জন্য পোস্ট টি দেয়া।
হিজামা (আরবি: ﺣﺠﺎﻣﺔ অর্থ:"শোষণ") হল শিঙ্গা লাগানো নামক প্রচলিত চিকিৎসার আরবি নামকরণ, যেখানে দেহের ত্বকের ব্যথাযুক্ত কোন অংশে সামান্য কর্তন করে সেখানে কাপ আকৃতির বায়ুশূণ্যকারী ছোট পাত্র নিশ্ছিদ্রভাবে এটে দিয়ে তা বায়ুশুন্য করে কর্তনকৃত অংশ থেকে নিম্নচাপের মাধ্যমে রক্ত নিঃসৃত করা হয়। [১] কাপ আকৃতির পাত্র ব্যবহার করা হয় বলে এর আরেক নাম ওয়েট কাপিং। সাধারণত

মাথাব্যথা , শরীরব্যথার মত অসুস্থতা নিরাময়ে এই চিকিৎসা প্রয়োগ করা হয়। নবীজি হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) একে সর্বোত্তম চিকিৎসা বলে উল্লেখ করেছেন যা একাধিক বিশুদ্ধ হাদীসে পাওয়া গিয়েছে।

হিজামা কি?

#হিজামা হল এমন একটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি, যাতে মানুষের সকল প্রকার শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক সুস্থতা বিদ্যামান রয়েছে। যাকে বাংলায় শিঙ্গা এবং ইংরেজিতে Cupping therapy বলা হয়।

হিজামার পদ্ধতি
------*-------
#শরীরের নির্দিষ্ট কিছু অংশ থেকে মেশিনের সাহায্যে অথবা শিঙ্গার সাহায্যে রক্ত চুষে নেয়া বা বের করে ফেলা। এরদ্বারা ভেতরের দূষিত রক্ত দূর হয়ে যায়। যারফলে মানুষ প্রশান্তি অনুভব করে।

কেন হিজামা করাবেন?

---------*----------

#আপনার রোগ হলে যেমন ডাক্তারের কাছে যান। তারপর প্রয়োজন পড়লে অস্ত্রপোচারও করান। তেমনি আপনার রোগের জন্য হিজামা করাবেন। তাহলে ফায়দা স্বরূপ রোগ থেকে ইনশাআল্লাহ মুক্তি পাবেন এবং রাসূল সাঃ এর একটি সুন্নাতের উপরও আমল করা হলো।

হিজামা সংক্রান্ত হাদীসঃ

---------*----------

(১) হযরত আবু হুরাইরা রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “জিবরীল আমাকে জানিয়েছেন যে, মানুষ চিকিৎসার জন্য যতসব উপায় অবলম্বন করে, তম্মধ্যে হিজামাই হল সর্বোত্তম।” আল-হাকিম, হাদীছ নম্বর: ৭৪৭০
(২) হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কেউ হিজামা করতে চাইলে সে যেন আরবী মাসের ১৭, ১৯ কিংবা ২১ তম দিনকে নির্বাচিত করে। রক্তচাপের কারণে যেন তোমাদের কারো মৃত্যু না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে।” সুনানে ইবনে মাজা, হাদীছ নম্বর: ৩৪৮৬
(৩) হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “আমি মেরাজের রাতে যাদের মাঝখান দিয়ে গিয়েছি, তাদের সবাই আমাকে বলেছে, হে মুহাম্মদ, আপনি আপনার উম্মতকে হিজামার আদেশ করবেন।” সুনানে তিরমিযী হাদীছ নম্বর: ২০৫৩
(৪) হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “গরম বৃদ্ধি পেলে হিজামার সাহায্য নাও। কারণ, কারো রক্তচাপ বৃদ্ধি পেলে তার মৃত্যু হতে পারে।” আল-হাকিম, হাদীছ নম্বর : ৭৪৮২
(৫) হযরত জাবির রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয় হিজামায় শেফা রয়েছে।” সহীহ মুসলিম, হাদীছ নম্বর: ২২০৫
(৬) হযরত আবদুল্লাহ বিন উমর রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “খালি পেটে হিজামাই সর্বোত্তম। এতে শেফা ও বরকত রয়েছে এবং এর মাধ্যমে বোধ ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।” সুনানে ইবনে মাজা, হাদীছ নম্বর: ৩৪৮৭
(৭) হযরত আবদুল্লাহ্ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “হিজামাকারী কতইনা উত্তম লোক। সে দূষিত রক্ত বের করে মেরুদন্ড শক্ত করে ও দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।” সুনানে তিরমিযী, হাদীছ নম্বর: ২০৫৩

#হিজামা/CUPPING) এর মাধ্যমে যে সব রোগের চিকিৎসা করা হয়ে থাকেঃ
-------------------------------------
১। মাইগ্রেন জনিত দীর্ঘমেয়াদী মাথাব্যথা (Migraine)
২। দূষিত রক্ত পরিষ্কারকরণ (Purify Blood)
৩। উচ্চরক্তচাপ (High Blood Pressure)
৪। ঘুমের ব্যাঘাত (insomnia)
৫। স্মৃতিহীনতা (Parkinson's disease)
৬। অস্থি সন্ধির ব্যাথা/গেটে বাত/বাতের ব্যথা (Arthritis/Rheumatism)
7। জয়েন্টের ব্যথা (Gout Pain)
8। পিঠে বা সারা শরীরের (Backache/scabies)
9। হাঁটু ব্যাথা (Knee Pain)
10। পায়ের তালুর ব্যথা(heel pain)
১১। সায়াটিক ব্যথা (Sciatica)
১২। মাথা ব্যথা (Head-ache)
১৩। ঘাড়ে ব্যাথা ও কাঁধে ব্যথা (Neck & Shoulder Pain)
১৪। কোমর ব্যাথা (Waist Pain)
১৫। মাংসপেশীর ব্যাথা (muscles spasm)
১৬। দীর্ঘমেয়াদী পেট ব্যথা (Adbominal Pain)
১৭। হাড়ের স্থানচ্যুতি জনিত ব্যাথা, ফ্র্যাকচার পেইন
১৮। থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা (Thyroid Problem)
১৯। রক্তসংবহন তন্ত্রের ইনফেকশন(Blood circulation system)
২০। ত্বকের বর্জ্য নিষ্কাশন (remove toxin)
২১। বিভিন্নরকম চর্মরোগ (Chronic Skin Diseses)
২২। সাইনুসাইটিস (Sinuses problem)
২৩। এজমা/হাঁপানি (asthma)
২৪। হৃদরোগ (Cardiac Disease)
২৫। টনসিলের সমস্যা (Tonsillitis )
২৬। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Low Immunity)
২৭। দাঁত,মুখ, গলা ব্যথা (Larynx, Gums and dental disease)
২৮। গ্যাস্ট্রিক পেইন, গ্যাস্ট্রিক আলসার, এসিডিটি, esophageal varices (Gastric/Ulcer)
২৯। মুটিয়ে যাওয়া (obesity)
৩০। দীর্ঘমেয়াদী চর্মরোগ (Chronic Skin Diseases)
৩১। ফোঁড়া-পাঁচড়া সহ আরো অনেক রোগ,
৩২। ডায়াবেটিস (Diabetes) ও ডায়াবেটিক ফুট,
৩৩। ভার্টিব্রাল ডিস্ক প্রোল্যাপ্স/ হারনিয়েশান,
৩৪। চুল পড়া (Hair fall),
৩৫। মানসিক সমস্যা (Psychological disorder),
৩৬। পারকিনসন্স ডিজিজ
৩৭। কিডনির সমস্যা (Kidney Disease)
৩৮। স্পোর্টস ইঞ্জুরি (খেলোয়াড়, আর্মি, কনট্যাক্ট স্পোর্টস)
৩৯। কানের সমস্যা
৪০। ক্যান্সারের ব্যাথা নিয়ন্ত্রন,
৪১। লিভার ডিজিজ, পোর্টাল হাইপারটেনশান,
৪২। হরমোনাল সমস্যা,
৪৩। ব্রেইন ডিজিজ ও ডিজঅর্ডার,
৪৪। ক্রনিক কফ/ফুসফুসের রোগ (Chronic Chugh/Lung Disease)
৪৫। Erectile Dysfunction (ED)
৪৬। ব্রন,
৪৭। সিস্টেমিক লুপাস ইরাইথেমেটোসাস (SLE),
৪৮। অনিয়মিত মাসিক, মেয়েদের অন্যান্য সমস্যা,
৪৯। এডিকশান/ ডিপেন্ডেন্সি (স্লিপিং পিল, ড্রাগস, কফ সিরাপ, জর্দা, সিগারেট, এলকোহল ও অন্যান্য নেশাদ্রব্য)
৫০। TMJ Dysfunction Syndrome
৫১। প্যারালাইসিস (স্ট্রোক, মেরুদন্ডে আঘাত, গিয়েন বারে সিন্ড্রোম, ফেসিয়াল প্যারালাইসিস বা বেল’স পলসি প্রভৃতি)
৫২। অস্টিওপোরোসিস (হাড়ের ক্ষয়)
৫৩। Post menopsusal hot flush
৫০। Vaginismus
৫১। vertigo (মাথা ঘোরা)
৫২। আইবিএস (কোলন ক্যানসার)
৫৪। অর্শ্বরোগ (Piles)
৫৫। ভগন্দর (Fistula, A**l Fissure)
৫৬। দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য (Chroic Constipation)
৫৭। বিষন্নতা ও স্নায়বিক চাপ (Depression & Nervous Stress)
৫৮। শ্বেত রোগ (ধবল, চামড়া সাদা হয়ে যাওয়া)
…..............................................এবং আরও অনেক রোগ

#
আরব দেশ সমূহ এবং ভারত পাকিস্তানে হিজামার বহুল প্রচলন থাকলেও আমাদের দেশে হিজামা/শিঙ্গা লাগানোর খুব একটা প্রচলন নেই। জাপান, আমেরিকা, চীনেও আধুনিক পদ্ধতিতে হিজামা/শিঙ্গা/

cupping চিকিৎসা গ্রহন করা হচ্ছে। রাসূল সাঃ এর যুগে এই চিকিৎসা খুব বেশি প্রচলিত ছিলো। রাসূল সাঃ একদিন ঘোড়া থেকে পড়ে গিয়ে সাথে সাথে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে হিজামা করিয়েছেন। যেহেতু আল্লাহ তায়ালার রাসূল হিজামা নিজে করেছেন এবং অন্যদের করতে উৎসাহ প্রদান করেছেন তাহলে নিশ্চয়ই এরমধ্যে বহু উপকার রয়েছে। যার কিছু নমুনা উপরেও পেশ করা হয়েছে। তাই হিজামা করুন, অন্যকে করতে উৎসাহ দিন। একটা সুন্নাতকে জিন্দা রাখুন। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এই চিকিৎসা গ্রহন করার এবং ইখলাসের সাথে একটি সুন্নাতকে জীবিত করার তাউফিক দান করুন। আমীন।

হিজামা থেরাপী নেয়ার জন্য ইনবক্স করুন।

-----------------*-------------------
#বিঃ দ্রঃ আরবী মাসের ১৭, ১৯, ২১ তারিখ হলো হিজামার জন্য উত্তম সময়। আর দিন হিসেবে সোম, মঙ্গল আর বৃহঃবার উত্তম। তবে অন্য দিনেও হিজামা করানো যাবে। বুধবার হিজামা না করাই উত্তম।

#হিজামা একটি ফরগটেন সুন্নাহ। নিশ্চয়ই এর মধ্যে উপকার রয়েছে। হিজামা করুন, একটা সুন্নাহকে রিভাইভ করুন।

Ibn Umar r.a reported that the Messenger s.a.w said, “Hijamah (cupping) on an empty stomach* is best. It increases the i...
31/10/2021

Ibn Umar r.a reported that the Messenger s.a.w said, “Hijamah (cupping) on an empty stomach* is best. It increases the intellect and improves memory. It improves the memory of the one memorizing. So whoever is going to be cupped then (let it be) on a Thursday in the name of Allah.

Address

Behind Eastern Banabithi Shopping Complex, South Banasree
Dhaka
1219

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Al-Rafa Academy Hijama Therapy Center posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category