Dr. Abdullah Al Quayyum

Dr. Abdullah Al Quayyum Liver & Gastrointestinal disease Specialist / লিভার ও পরিপাকতন্ত্র বিশেষজ্ঞ

আন্তর্জাতিক ন্যাশ দিবস ২০২৩..০৮/০৬/২০২৩
08/06/2023

আন্তর্জাতিক ন্যাশ দিবস ২০২৩..
০৮/০৬/২০২৩

স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন। সঠিক নিয়মে মানসম্মত মাস্ক পরুন।
31/07/2021

স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন।
সঠিক নিয়মে মানসম্মত মাস্ক পরুন।

28/07/2021

আজ ২৮ জুলাই ২০২১

"বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস"

বাংলাদেশে প্রায় ১ কোটি মানুষ হেপাটাইটিস বি বা সি ভাইরাসে আক্রান্ত। কিন্তু এই আক্রান্ত রোগীদের প্রতি ১০ জনের ৯ জনই জানেন না তিনি এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত।

সারা বিশ্বে লিভার সিরোসিস এবং লিভার ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান কারণ এই হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস।

ভয়ংকর এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এখনই পরীক্ষা করুন ও সচেতন হোন।

02/07/2021

গ্যাস্ট্রিক বা আলসার নামটির সাথে পরিচিত নন এমন লোক খুঁজে বের করা খুব কঠিন। সাধারণত লোকজন গ্যাস্ট্রিক বা আলসার বলতে যা বুঝিয়ে থাকেন, আমরা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলি পেপটিক আলসার।

সাধারণ পৌষ্টিকতন্ত্রের যে যে অংশে পেপটিক আলসার দেখা যায়, সেগুলো হচ্ছে-
১. অন্ননালীর নিচের অংশ
২. পাকস্থলী
৩. ডিওডেনামের বা ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রথম অংশ এবং
৪. পৌষ্টিকতন্ত্রের অপারেশনের পর যে অংশে জোড়া লাগানো হয় সে অংশে।

হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি নামক কুন্ডলী আকৃতির এক প্রকারের ব্যাকটেরিয়ার কারণে এই আলসার শুরু হয়ে থাকে। এই ব্যাকটেরিয়াটি পাকস্থলীর অম্লীয় পরিবেশে বিস্তার লাভ করে। এস্পিরিন ও অন্যান্য NSAID জাতীয় ব্যথানাশক ওষুধও অনেক সময় আলসারের সূচনা করে। ধূমপায়ীদের মধ্যে এ রোগের প্রবণতা বেশি।

এতে নাভির ওপর, পেটের ওপরে অংশে ব্যথা হয়। এ ব্যথা মাঝারি থেকে তীব্র মাত্রায় হতে পারে। কখনো কখনো ব্যথার তীব্রতায় আক্রান্ত ব্যক্তির ঘুম ভেঙে যায়। খাওয়ার সঙ্গে এর খুবই ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সাধারণত ডিওডেনাল আলসারে খালি পেটে ব্যথা হয়। গ্যাসট্রিক আলসারে সাধারণত দেখা যায় খাওয়ার পর বেশি হয়। ডিওডেনাম আলসারে কিছু খেলেই দেখা যায় ব্যথা কমে। অন্যান্য লক্ষণগুলো হল- ক্ষুধামন্দা, বমি ও বমিবমি ভাব, বুকে ব্যথা, কালো রঙের পায়খানা, রক্তশূন্যতা, কোনো কারণ ছাড়াই ওজন হ্রাস।

সাধারণতঃ রোগীর ইতিহাস ও লক্ষণ দেখেই প্রাথমিকভাবে আলসার সম্পর্কে ধারণা করা যায়। এই পেপটিক আলসার রোগ খুব সহজে নির্ণয় করা সম্ভব। এন্ডোস্কোপি করলে বোঝা যাবে, ব্যক্তির পেপটিক আলসার রয়েছে কি না। আলসার নির্ণয়ের জন্য এটিই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য। বয়স্ক রোগীদের, সেই সমস্ত ব্যক্তি যাদের গুরুতর উপসর্গ বা সম্ভাব্য জটিলতা থাকে এবং অনবরত উপসর্গ থাকে, তাদের এন্ডোস্কপির পরামর্শ দেয়া হয়।

কাজেই যারা দীর্ঘমেয়াদি পেপটিক আলসারে ভুগছেন, তাদের উচিত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া। পেপটিক আলসারজনিত জটিলতা আগে থেকেই শনাক্ত করা এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা ধরে না রেখে সুস্থ-সুন্দর, স্বাভাবিক জীবন যাপন করা।

ডাঃ আবদুল্লাহ আল কাইয়ূম
লিভার ও পরিপাকতন্ত্র বিশেষজ্ঞ
শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা।

10/06/2021

আজ ১০ জুন, বিশ্ব ন্যাশ দিবস।
বাংলাদেশে এই দিবসটি 'বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক ন্যাশ দিবস' হিসেবে পালিত হচ্ছে।
লিভারে বাড়তি চর্বি লিভারের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ফ্যাটি লিভারের রোগীদের মধ্যে কারো কারো লিভারে ঐ বাড়তি চর্বির জন্য দীর্ঘ মেয়াদে প্রদাহ বা ক্রনিক হেপাটাইটিস দেখা দিতে পারে যার নাম ‘নন-এ্যালকোহলিক স্টিয়াটোহেপাটাইটিস’, সংক্ষেপে ‘ন্যাশ’। এই ন্যাশের রোগীদেরই কারো কারো লিভার একটা সময় পুরোপুরি অকেজো হয়ে যায়, যাকে আমরা লিভার সিরোসিস বলি। আর যাদের লিভার সিরোসিস হয় তাদের কারো কারো হতে পারে লিভারে ক্যান্সারও।
'লাইফ স্টাইল মডিফিকেশন’ বা ‘যাপিত জীবনযাত্রার পরিবর্তন’ হল এই রোগের সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা। অতিরিক্ত শর্করা আর চর্বি জাতীয় খাবারগুলো পরিহার করে এবং এর পাশাপাশি সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন আধ ঘন্টা করে হেঁটে আমরা আমাদের লিভারটাকে ফ্যাট মুক্ত রাখতে পারি।

আসুন সবাই সচেতন হই, ফ্যাটি লিভারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ি।।

ডাঃ আবদুল্লাহ আল কাইয়ূম
লিভার ও পরিপাকতন্ত্র বিশেষজ্ঞ
শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা।

03/06/2021
লিভার সিরোসিস কি?লিভার সিরোসিস একটি মারাত্মক ও অনিরাময়যোগ্য রোগ। এতে যকৃৎ বা লিভারের কোষকলা এমনভাবে ধ্বংস হয়ে যায় যে তা ...
03/06/2021

লিভার সিরোসিস কি?

লিভার সিরোসিস একটি মারাত্মক ও অনিরাময়যোগ্য রোগ। এতে যকৃৎ বা লিভারের কোষকলা এমনভাবে ধ্বংস হয়ে যায় যে তা সম্পূর্ণ বিকৃত ও অকার্যকর হয়ে পড়ে। লিভার সিরোসিসে লিভারে সূক্ষ্ম সুতার জালের মতো ফাইব্রোসিসের বিস্তার ঘটে। লিভারে ছোট ছোট গুটি দানা বাঁধে। ফলে লিভারের যেসব স্বাভাবিক কাজ আছে, যেমন বিপাক ক্রিয়া, পুষ্টি উপাদান সঞ্চয়, ওষুধ ও নানা রাসায়নিকের শোষণ, রক্ত জমাট বাঁধার উপকরণ তৈরি ইত্যাদি কাজ ব্যাহত হয়। দেখা দেয় নানাবিধ সমস্যা। ধীরে ধীরে এই রোগ মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় মানুষকে।

কেন হয়?

এই তালিকাটি অনেক বড় এবং দেশভেদে সিরোসিসের কারণগুলোও বিভিন্ন। ইউরোপ ও আমেরিকায় সিরোসিসের প্রধান কারণ এ্যালকোহল আর হেপাটাইটিস সি ভাইরাস। বাংলাদেশে প্রায় আড়াই হাজার রোগীর উপর জরীপ চালিয়ে দেখা গিয়েছে যে, এদেশে লিভার সিরোসিসের প্রধাণ কারণ হেপাটাইটিস বি ভাইরাস, আর এর ঠিক পরেই রয়েছে ফ্যাটি লিভার। হেপাটাইটিস সি ভাইরাস ও এ্যালকোহলের স্থান বাংলাদেশে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস ও ফ্যাটি লিভারের অনেক পরে। হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস সংক্রমণ কারও কারও ক্ষেত্রে ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদি আকার ধারণ করে সিরোসিসে পরিণত হয়।
ফ্যাটি লিভার নানা কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াবেটিস, ডিজলিপিডেমিয়া (রক্তে চর্বি বেশী থাকা ), ওবেসিটি (স্থুলতা /মেদ-ভুড়ি), উচ্চরক্ত চাপ আর হাইপোথাইরয়ডিজম ফ্যাটি লিভারের প্রধাণ কারণ। পাশ্চাত্যে পরিচালিত গবেষণায় দেখা যায় ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত প্রায় ৩০ শতাংশ রোগী পরবর্তীতে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হন। এদেশেও আমরা ফ্যাটি লিভার জনিত লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যান্সারের রোগী পেয়ে থাকি।
এ ছাড়া দীর্ঘদিন অ্যালকোহল গ্রহণ, যকৃতে মাত্রাতিরিক্ত চর্বি, অতিরিক্ত আয়রন, কপার জমে যাওয়া এবং কিছু অটোইমিউন রোগের (দেহের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থায় কোনো অস্বাভাবিকতার কারণে সৃষ্ট) কারণেও লিভার সিরোসিস হতে পারে। যেসব কারণে লিভার সিরোসিস হয়, সেগুলো যদি আগেই ধরা পড়ে, তাহলে অবশ্যই তাকে সঠিকভাবে চিকিৎসা করতে হবে; যাতে ভবিষ্যতে তার লিভার সিরোসিস না দেখা দেয়। আসলে প্রতিরোধই মূল চিকিৎসা। সিরোসিস একবার হয়ে গেলে তারপর যদি চিকিৎসা করা হয়, তারপরও শরীর পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে না। সুতরাং কারণ যদি ধরা পড়ে এর সঠিক চিকিৎসা করতে হবে।

লিভার সিরোসিসের উপসর্গ ও জটিলতা:

লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত সবার ক্ষেত্রে শুরুতে তেমন উপসর্গ থাকে না। পেটের আল্ট্রাসাউন্ড কিংবা পেটে অস্ত্রোপচার করাতে গিয়ে হঠাৎ এ রোগ নির্ণয় হয় কারও কারও। হঠাৎ রক্তে লিভার এনজাইমের অস্বাভাবিকতা বা আলট্রাসনোগ্রাফিতে লিভারের আকার-আকৃতির পরিবর্তনের কারণ খুঁজতে গিয়ে লিভার সিরোসিস ধরা পড়ে। কোনো কোনো রোগীর শারীরিক দুর্বলতা, অবসাদ, অরুচি, পেটে অস্বস্তি, ওজন কমে যাওয়া, পায়ের পেশিতে অস্বস্তি বা ক্রাম্পের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। শারীরিক পরীক্ষায় যকৃৎ এবং কখনো কখনো প্লীহা বড় পাওয়া যায়। লিভার সিরোসিস থেকে লিভার ফেইলিউর হলে পেটে ও পায়ে পানি আসে, চোখ ও প্রস্রাব হলুদ হয়ে যায়, রক্তবমি ও কালো পায়খানাও হতে পারে। অনেকের কথাবার্তায় অসংলগ্নতা, অস্বাভাবিক আচরণ, এমনকি চেতনা হারানোর মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। লিভার সিরোসিস থেকে লিভারের ক্যানসারের ঝুঁকিও কম নয়।

সিরোসিস প্রতিরোধে করণীয়

হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধে রয়েছে কার্যকর ভ্যাকসিন। জন্মের পরপর কিংবা ইপিআই শিডিউলে বাচ্চাদের হেপাটাইটিস বির টিকা দেওয়া হয়। হেপাটাইটিস বির টিকা সারা জীবন ধরে সুরক্ষা দিয়ে থাকে। হেপাটাইটিস সি প্রতিরোধে কোনো টিকা নেই। তবে অরক্ষিত যৌন সম্পর্ক পরিহার, একই ক্ষুর বা রেজরে একাধিক ব্যক্তির শেভ না করা, যেকোনো প্রকার মাদকাসক্তি পরিহার, রক্ত পরিসঞ্চালনের আগে যথাযথ পরীক্ষা, চিকিৎসার যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করে অস্ত্রোপচার, দাঁতের চিকিৎসায় জীবাণুমুক্ত সরঞ্জাম ব্যবহারের মাধ্যমে হেপাটাইটিস বি এবং সি থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব।
সিরোসিস হলে কি করবেন?

লিভার সিরোসিস হলেই যে রোগীর মৃত্যু হবে, তা কিন্তু হয়। এ রোগের আধুনিক চিকিৎসা রয়েছে। সিরোসিসে আক্রান্ত যে কোন ব্যাক্তির উচিত দ্রুত লিভার বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নেয়া ও নিয়মিত ফলোআপে থাকা। এতে দীর্ঘদিন ভালো থাকা যায়। পাশাপাশি সিরোসিসের কারণ শনাক্ত করে তার চিকিৎসা করা গেলে লিভারের খারাপের দিকে যাওয়ার ঝুকিও অনেক কমে যায়। রাস্তাঘাটে বিক্রি হওয়া দূষিত পানীয়, মাড়াই আখের রস, ব্যবহার হওয়া বরফ, শরবত, কেটে রাখা ফলফলারির মাধ্যমে হেপাটাইটিস এ এবং ই-এর সংক্রমণ হয়। এভাবে জন্ডিসে আক্রান্ত হলে লিভার সিরোসিস আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। এই সমস্যায় আক্রান্ত হলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা যাবে না। হেপাটাইটিসে সংক্রমণ হলে ঝাড়ফুঁক-জাতীয় চিকিৎসা না করে দ্রুত বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসা নিন। লিভার সিরোসিস ও এর কারণগুলোর আধুনিকতম চিকিৎসা আজ এদেশেই সম্ভব। দেশেই তৈরী হচ্ছে অধিকাংশ ওষুধও। এদেশে যা নেই তা হলো লিভার প্রতিস্থাপন বা ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের ব্যবস্থা। বাংলাদেশে এরই মধ্যেই কয়েকটি লিভার প্রতিস্থাপন সার্জারি হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে কিছু সমস্যার কারণে এই সার্জারি করা যাচ্ছে না। প্রতিবেশী দু-একটি দেশে এ সুযোগ থাকলেও তা খুবই ব্যয়বহুল আর সঙ্গত কারণেই আমাদের সিংহভাগ রোগীর সাধ্যের অতীত। সেদিন হয়তো আর বেশী দুরে নয় যেদিন এদেশেই অনেক সাশ্রয়ী মূল্যে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন সম্ভব হবে।

ডাঃ আবদুল্লাহ আল কাইয়ূম
লিভার ও পরিপাকতন্ত্র বিশেষজ্ঞ
শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা।

31/05/2021
সারাবিশ্বে লিভার সিরোসিস এবং ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হেপাটাইটিস সি ভাইরাস। এই ভাইরাসের জানা-অজানা কিছু কথা..
30/05/2021

সারাবিশ্বে লিভার সিরোসিস এবং ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হেপাটাইটিস সি ভাইরাস। এই ভাইরাসের জানা-অজানা কিছু কথা..

29/05/2021

হেপাটাইটিস-বি

হেপাটাইটিস-বি পৃথিবীর অন্যতম সংক্রামক এবং ঘাতক ব্যাধি। এ রোগ হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের মাধ্যমে ঘটে। এই হেপাটাইটিস-বি এমন এক রোগ, যা লিভারের প্রদাহ ঘটায় এবং এর থেকে লিভার সিরোসিস এবং লিভার ক্যানসার হয়। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ তাদের জীবদ্দশার কোন এক সময় এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২৪ থেকে ৩৫ কোটি মানুষ দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণে আক্রান্ত।২০১৩ সালে প্রায় ১৩ কোটি মানুষ নতুন করে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এ রোগে প্রতি বছর ৭.৫ লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায়। এদের মধ্যে প্রায় ৩ লাখ মারা যায় লিভারের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে। বর্তমানে এ রোগটি শুধুমাত্র পূর্ব এশিয়া ও সাব-সাহারান আফ্রিকায় বেশি দেখা যায়। এ সব অঞ্চলে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৫-১০% দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণে আক্রান্ত। ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় আক্রান্তের হার ১% এরও কম।

চিন্তার বিষয় হলো, যারা এ ভাইরাসে আক্রান্ত, তাদের অসুস্থ নাও দেখাতে পারে। এমনকি অনেকে জানতেও পারেন না যে, তারা হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসে আক্রান্ত বা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। বিভিন্ন কারণে রক্ত পরীক্ষা করাতে গিয়ে (HBsAg পজিটিভ) এই রোগটি ধরা পরে। দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, ওই সব মানুষ দীর্ঘস্থায়ী লিভারের রোগে মারা যেতে পারে।

রোগের উপসর্গ-

অনেক সময় রোগের কোনো উপসর্গ নাও দেখা দিতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব, চামড়া হলুদ হওয়া, ক্লান্তি, পেট ব্যাথা, প্রস্রাব হলুদ হওয়া প্রভৃতি লক্ষন দেখা যায়। সাধারনত এই লক্ষনগুলো কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হয় এবং কদাচিৎ লক্ষ্মণ প্রকাশ পাওয়ার পর পরিশেষে মৃত্যু হয়। সংক্রমণের পর রোগের লক্ষন প্রকাশ পেতে ৩০ থেকে ১৮০ দিন সময় লাগতে পারে। জন্মের সময় আক্রান্ত হওয়া রোগীদের প্রায় ৯০% ক্রনিক বা দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস বি তে আক্রান্ত হন যেখানে ৫ বছর বয়সের পর আক্রান্ত হওয়া রোগীদের ১০% এরও কম এতে আক্রান্ত হন। দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস বি তে আক্রান্ত রোগীদের বেশিরভাগেরই কোন প্রাথমিক লক্ষন থাকে না। যদিও এক্ষেত্রে এটি ধীরে ধীরে এটি সিরোসিস এবং লিভার ক্যান্সার এ রূপ নিতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী আক্রান্ত হওয়া রোগীদের প্রায় ১৫ থেকে ২৫% মৃত্যুবরণ করতে পারে।

এ রোগ কীভাবে ছড়ায়?

-- এই ভাইরাসটি রক্ত কিংবা দেহনিঃসৃত তরলের মাধ্যমে ছড়ায়। যে সব জায়গায় এ রোগের প্রকোপ বেশি সেখানে সাধারনত শিশুর জন্মের সময় কিংবা শৈশবে অন্য আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের মাধ্যমে এ রোগ সবচেয়ে বেশি ছড়ায়। কিন্তু যে সব জায়গায় এ রোগের প্রকোপ কম সেখানে শিরায় মাদক দ্রব্যের ব্যবহার এবং অরক্ষিত যৌনমিলন এ রোগের প্রধান কারণ।
-- এছাড়াও রক্ত আদান-প্রদান, ডায়ালাইসিস, আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে বসবাস, সংক্রমণের হার বেশি এমন স্থানে ভ্রমণ প্রভৃতি মাধ্যমেও এ রোগ ছড়ায়।
-- ১৯৮০ সালের দিকে ট্যাটু এবং আকুপাংচারের মাধ্যমেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হয়েছিলেন যদিও বর্তমানে এ ধরনের মাধ্যমে সংক্রমণ কমে এসেছে।

হাত ধরা, খাবারের তৈজসপত্র শেয়ার করা, চুম্বন, কোলাকুলি করা, হাঁচি-কাশি, কিংবা মাতৃদুগ্ধপানের মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায় না।

রোগ নির্ণয় পদ্ধতি -

সংক্রমণের পর ৩০ থেকে ৬০ দিন পর এ রোগ নির্ণয় করা যায়। সাধারনত রক্তে অবস্থিত ভাইরাস এবং এর বিরুদ্ধে অবস্থিত অ্যান্টিবডি থেকে এ রোগ নির্ণয় করা হয়।

হেপাটাইটিস-বি-এর চিকিৎসা-

হেপাটাইটিস-বি চিকিৎসাযোগ্য একটি রোগ। এই রোগের পরিপূর্ণ চিকিৎসা আমাদের দেশেই সম্ভব। এই রোগ ধরা পড়ার সাথে সাথে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। কিছু নির্দিষ্ট রোগীর ক্ষেত্রে ‘ইন্টার ফেরন’ ওষুধটি ব্যবহার করা হয়। তবে ওষুধটি খুব দামি এবং সাফল্যের হার মাত্র ১০-২০ শতাংশ।
Entacavir, Tenofovir গ্রুপের ওষুধগুলোর কার্যকারীতা অনেক ভালো। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই অনেক বছর এমনকি সারাজীবন ওষুধটি খেতে হয়।

হেপাটাইটিস বি এর টিকা -

সুতরাং প্রতিরোধই এ রোগের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার একমাত্র ব্যবস্থা এবং একমাত্র টিকার মাধ্যমেই সে প্রতিরোধ সম্ভব। যদি জন্মের সময় শিশুকে এই টিকা দেওয়া না হয়, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকা দিতে হবে। এই টিকা যেকোনো বয়সে, যেকোনো তারিখে ও যেকোনো সময় দেওয়া যায়। একমাত্র এই টিকাই পারে মানুষকে হেপাটাইটিস-বি-এর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে। শরীরে হেপাটাইটিস-বি-এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ‘হেপাটাইটিস-বি টিকা’ খুবই কার্যকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে জন্মের প্রথম দিনেই এ রোগের টীকা নেয়া উচিত। সম্পূর্ণ সুরক্ষার জন্য আরও ২-৩ টি ডোজ নেয়া প্রয়োজন। প্রায় ৯৫% ক্ষেত্রেই এই টীকা কাজ করে। জাতীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ২০০৬ থেকে বিশ্বের প্রায় ১৮০ টি দেশে এই রগের প্রতিষেধক টীকা দেয়া হয়।

হেপাটাইটিস-বি টিকার সময়সূচি

মাংসপেশিতে বিভিন্ন সময়ে তিনটি মাত্রায় এ টিকা দেওয়া হয় :
— প্রথম মাত্রা- যেকোনো দিন।
— দ্বিতীয় মাত্রা প্রথম মাত্রার এক মাস পর।
— তৃতীয় মাত্রা প্রথম মাত্রার ছয় মাস পর।
যেকোনো বয়সে যে কেউ হেপাটাইটিস-বি রোগে আক্রান্ত হতে পারে, যদি সে টিকা না নিয়ে থাকে। টিকা দিয়েই এই রোগ প্রতিহত করার একমাত্র উপায়। আপনি নিজে টিকা নিন এবং পরিবারের সদস্যদের টিকা দিয়ে বিপদমুক্ত করুন।

ডাঃ আবদুল্লাহ-আল-কাইয়ূম
লিভার বিশেষজ্ঞ
শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা।

ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন..
29/05/2021

ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন..

মানুষের শরীরে কিডনী খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনী কিভাবে ভাল রাখা যায় তার উপায় --
28/05/2021

মানুষের শরীরে কিডনী খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনী কিভাবে ভাল রাখা যায় তার উপায় --

Address

845, Hossain Palace, Madhya Badda Bazar Road, Infront Of Egaro Shoroni, Middle Badda
Dhaka
1212

Telephone

+8801741447744

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Abdullah Al Quayyum posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Abdullah Al Quayyum:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category