Emergency Health Care "জরুরী স্বাস্থ্যসেবা"

  • Home
  • Bangladesh
  • Dhaka
  • Emergency Health Care "জরুরী স্বাস্থ্যসেবা"

Emergency Health Care  "জরুরী স্বাস্থ্যসেবা" স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সকল পরামর্শ ও চিকিৎসা নিন...

25/05/2025

Superfood...
সবুজ শাক-সবজি ও রঙ্গিন ফলমূল

15/05/2025

***ফ্যাটি লিভার ডিজিজকে অবহেলা নয়***

বর্তমান বিশ্বে ফ্যাটি লিভার একটি বড় সমস্যা। পেটের আলট্রাসনোগ্রাম করা হলে ১৮ বছরের তরুণ থেকে ৭০ বছরের বৃদ্ধ পর্যন্ত সবারই ফ্যাটি লিভার ডিজিজ ধরা পড়ছে। বাংলাদেশে প্রতি চারজনে একজন এ রোগে আক্রান্ত। ফ্যাটি লিভার ডিজিজ দুই ধরনের হয়। একটি অ্যালকোহলিক আরেকটি নন-আলকোহলিক স্ট্যায়াটো হেপাটাইটিস।

লিভারের ৫ থেকে ১০ শতাংশের বেশি জায়গাজুড়ে চর্বি জমলে তাকে বলা হয় ফ্যাটি লিভার। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ ও কায়িক পরিশ্রমের অভাব, জিনগত প্রবণতা, ইনসুলিন প্রতিরোধ, জীবনযাত্রার পরিবর্তন ও টাইপ–২ ডায়াবেটিসের কারণে এ রোগ বেশি দেখা যাচ্ছে।

ঝুঁকিতে কারা???

পশ্চিমা দেশগুলোয়এ রোগের অন্যতম কারণ মদ্যপান। কিন্তু বাংলাদেশে নন–অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ বেশি হয়। যাঁরা মেটাবলিক সিনড্রোমে ভুগছেন তাঁদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। পেটের সামনে স্ফীতিজনিত স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও প্রি–ডায়াবেটিস, রক্তে ক্ষতিকর এলডিএল ও ট্রাইগ্লিসারাইড বেশি এবং উপকারী এইচডিএল কমে যাওয়া এর বৈশিষ্ট্য।

নন–অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পরবর্তী সময়ে অ্যালকোহলিক স্ট্যায়াটো হেপাটাইটিসে রূপান্তরিত হয়। এটা হলে লিভারের কোষগুলো স্ফীত হয়, প্রদাহের সৃষ্টি হয় ও নষ্ট হতে থাকে। লিভারে শক্ত টিস্যু জমা হয়। পুরো লিভার ফাইব্রোসিস হলে তাকে বলে সিরোসিস

বর্তমান বিশ্বে ফ্যাটি লিভার একটি বড় সমস্যা। পেটের আলট্রাসনোগ্রাম করা হলে ১৮ বছরের তরুণ থেকে ৭০ বছরের বৃদ্ধ পর্যন্ত সবারই ফ্যাটি লিভার ডিজিজ ধরা পড়ছে। বাংলাদেশে প্রতি চারজনে একজন এ রোগে আক্রান্ত। ফ্যাটি লিভার ডিজিজ দুই ধরনের হয়। একটি অ্যালকোহলিক আরেকটি নন-আলকোহলিক স্ট্যায়াটো হেপাটাইটিস।

চিকিৎসা কী

বর্তমান বিশ্বে লিভার সিরোসিস ও ক্যানসারের অন্যতম কারণ নন–অ্যালকোহলিক স্ট্যায়াটো হেপাটাইটিস। তাই ফ্যাটি লিভারকে অবহেলা করা যাবে না। এর কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। জীবনযাত্রার ইতিবাচক পরিবর্তন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া ওজন কমানো (কমপক্ষে শতকরা ১০ ভাগ) এর প্রথম ও প্রধান চিকিৎসা। প্রতিদিন ব্যায়াম করা, অন্তত ৩০ মিনিট একটু জোরে হাঁটা, এলডিএল কোলেস্টেরল ও ট্রাই গ্লিসারাইড সহনীয় পর্যায়ে রাখা, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, অ্যালকোহল ও ধূমপান পরিহার।

খাদ্যাভ্যাস

শর্করা জাতীয় খাবার যেমন ভাত, রুটি, পাউরুটি, আলু ইত্যাদি কম খেতে হবে। শাকসবজি, তাজা ফলমূল স্বাভাবিক পরিমাণে খেতে পারবেন। পর্যাপ্ত মাছ (তৈলাক্ত অংশ ছাড়া) খেতে পারবেন। সামুদ্রিক মাছ, ইলিশ মাছ, রুপচাঁদা ও অন্যান্য মাছ পরিমিত পরিমাণে খান। জটিল শর্করা যেমন ওটস মিল, যবের আটা খাবেন। কম খাবেন চিনি, ভাজাপোড়া, চিকেন ফ্রাই, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, যেকোনো ফাস্ট ফুড, অতিরিক্ত লবণ, লাল মাংস যেমন গরু ও খাসি।

04/05/2025

রক্তের গ্রুপের কি পরিবর্তন হতে পারে?
রক্তের গ্রুপ নির্ধারিত হয় লোহিত রক্তকণিকায় নির্দিষ্ট অ্যান্টিজেন উপস্থিত থাকা না–থাকা দিয়ে। রক্তের চারটি প্রধান গ্রুপ এ, বি, এবি এবং ও। এদের প্রতিটিতে লোহিত রক্তকণিকার পৃষ্ঠে নির্দিষ্ট অ্যান্টিজেন (প্রোটিন) আছে বা নেই, এভাবে নির্ধারিত হয়।

রক্তের গ্রুপ নির্ধারণ করা জরুরি। কারণ, গ্রুপ নির্ধারণ করা থাকলে নিরাপদে রক্ত আদান–প্রদান করা যায়। যেমন যার রক্তের গ্রুপ এ, সে নিরাপদে এ বা ও রক্তের গ্রুপের কারও কাছ থেকে রক্ত গ্রহণ করতে পারবে। কিন্তু বি বা এবি গ্রুপের কারও কাছ থেকে রক্ত নিতে পারবে না। জরুরি রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হলে রক্তের গ্রুপ জানা থাকতেই হবে। এই সাধারণ তথ্য জরুরি প্রয়োজনে জীবন বাঁচিয়ে দিতে সাহায্য করে।

আমি কি আমার রক্তের গ্রুপ পরিবর্তন করতে পারব?

আগেই বলেছি, তোমার রক্তের লোহিত রক্তকণিকার পৃষ্ঠে নির্দিষ্ট অ্যান্টিজেনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি দিয়ে গ্রুপ নির্ধারিত হয়। এই অ্যান্টিজেন আমরা উত্তরাধিকারসূত্রে পাই মাতা–পিতার কাছ থেকে। কিছু রক্তের গ্রুপ অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। যেমন বি পজিটিভ। অন্যান্য গ্রুপের তুলনায় বেশি সাধারণ। কিন্তু সাধারণ হোক বা দুর্লভ হোক, রক্তের গ্রুপ পরিবর্তন করা অসম্ভব। কারও যদি রক্তের প্রয়োজন হয়, তাহলে তার গ্রুপের রক্তই তাকে দেওয়া হয়। কিছু ক্ষেত্রে অন্য গ্রুপের রক্ত সরবরাহ করার প্রয়োজন হতে পারে। তবে এটি শুধু তখনই করা হয়, যখন অন্য কোনো বিকল্প পাওয়া যায় না এবং তার জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকে
রক্তের গ্রুপ পরিবর্তিত হওয়া দুর্লভ ঘটনা। অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের পর রক্তের ধরন পরিবর্তনের উদাহরণ আছে। অস্থিমজ্জা থেকে তৈরি হয় লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা ও অণুচক্রিকা। লিউকেমিয়ার মতো কিছু রোগে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়। অসুস্থ রোগীর অস্থিমজ্জা সুস্থ দাতার মজ্জা দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হতে পারে। যদি রোগী আর দাতার রক্তের ধরন ভিন্ন হয়, তাহলে একটি সফল অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের পর দাতার রক্তের গ্রুপ পরিবর্তিত হতে পারে।

আবার কারও প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে যদি তার দেহে প্রচুর রক্ত সঞ্চালন করা হয়, তাহলে অস্থায়ীভাবে একটি ভিন্ন রক্তের গ্রুপ দেখা দিতে পারে। একজন এবি রোগীকে যথেষ্ট পরিমাণ ও গ্রুপের রক্ত দিলে প্রায় সব লোহিত কণিকাকে ও গ্রুপ হিসেবে দেখা যেতে পারে। কয়েক মাসের মধ্যে অবশ্য রোগীর অস্থিমজ্জা নিজ গ্রুপের রক্ত তৈরি করে দাতার গ্রুপকে পরিবর্তিত করে ফেলতে পারে
আরেক ক্ষেত্রে এ গ্রুপের মধ্যে রক্তের গ্রুপ পরিবর্তনের খুব অস্বাভাবিক ও বিরল ঘটনা ঘটে যখন অন্ত্রে একটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঘটিয়ে একটি এনজাইম তৈরি করে। এই এনজাইম এ গ্রুপের রক্তের অণুকে বি গ্রুপের রক্তের অণুর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ করে তোলে। সাধারণত কোলন ক্যানসার, অন্ত্রে সংক্রমণ বা সেপসিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তবে খুবই বিরল।

রক্তের গ্রুপ কি পজিটিভ থেকে নেগেটিভ হতে পারে?
রক্তের গ্রুপ পজিটিভ থেকে নেগেটিভ হয়েছে, এমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। তবে কিছু লোক এমন দাবি করেন। নিয়মিত রক্ত দান করেন এমন কেউ কেউ দাবি করেন যে তাঁরা বেশ কবার রক্ত দেওয়ার পর রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করে দেখেছেন, আগে তাঁদের যে গ্রুপ ছিল বলে জানতেন, তার পরিবর্তন হয়ে গেছে। মনে করা হয় যে রক্তের গ্রুপ যাচাইয়ের পরীক্ষায় ভুলে এমন হতে পারে। তবে এমন হওয়া সম্ভব যে কিছু মানুষের রক্তের ধরন সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হতে পারে।

রক্তের গ্রুপ পজিটিভ থেকে নেগেটিভ হতে পারে কি না, তা নির্ধারণের জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন। কিছু বিরল ঘটনা আছে যেখানে একজনের রক্তের গ্রুপ পজিটিভ থেকে নেগেটিভ বা উল্টোটা হয়েছে। এমন ঘটনা এবি রক্তের গ্রুপ ও রক্তের ধরন নির্ধারণ করে এমন জিনের মিউটেশনের কারণে ঘটে
বয়সের সঙ্গে রক্তের গ্রুপ কি পরিবর্তিত হতে পারে?
প্রচলিত ভুল ধারণা হলো, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে রক্তের গ্রুপের পরিবর্তন হতে পারে। এ ধারণা সঠিক নয়। তোমার রক্তের গ্রুপের পরিবর্তন হতে পারে না, কিছু বিরল ব্যতিক্রম ছাড়া। তবে একজন ব্যক্তির দুইটি ভিন্ন রক্তের গ্রুপ থাকা সম্ভব। এটি কাইমেরিজম নামে পরিচিত। সাধারণত এ ঘটনা ঘটে যখন একজন ব্যক্তির রক্ত বা অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয় অন্য দুজন দাতা থেকে। এ ক্ষেত্রে ভিন্ন রক্তের গ্রুপ একই ব্যক্তির মধ্যে কোনো সমস্যা সৃষ্টি না করেই সহাবস্থান করতে পারে।

খাবার, অসুস্থতা, ওষুধসহ অনেক কারণে মানুষের রক্তের গ্রুপ প্রভাবিত হতে পারে। তবে রক্তের গ্রুপের পরিবর্তন একটি দুর্লভ ঘটনা

12/02/2025

***অন্তঃসত্ত্বা নারীর ব্যথা ও স্নায়ুর সমস্যা****
গর্ভকালীন সেবা নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যের অপরিহার্য অংশ। গর্ভাবস্থায় নারীদের প্রায়ই হাড়, মাংসপেশি, অস্থিসন্ধি, স্নায়ুসংক্রান্ত নানা সমস্যা ও জটিলতা পরিলক্ষিত হয়। ফলে একজন মা শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেকটাই ভোগেন। তা ছাড়া গর্ভাবস্থায় ওষুধের ব্যবহারের সুযোগ সীমিত। তাই ব্যথা–বেদনা কমাতে এ অবস্থায় রিহ্যাবিলিটেশন মেডিসিন একটি কার্যকর চিকিৎসাপদ্ধতি।

প্রথম তিন মাস পিঠ, কোমর বা পায়ে ব্যথা হতে পারে। ক্লান্তিবোধ হয়। দ্বিতীয় তিন মাসে হাত ও আঙুলে ঝিঁঝিঁ ধরা, অবশ হয়ে যাওয়া, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা অনুভব বেশি দেখা দেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রথম তিন মাসের সমস্যা, দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় তিন মাসেও অব্যাহত থাকতে পারে।কারণ

হরমোনের কারণে সন্ধিগুলো শিথিল হয়ে আসা।

জরায়ু বৃদ্ধির জন্য মেরুদণ্ডের বক্রতার পরিবর্তন হওয়া।

ওজন বেড়ে যাওয়া।

নার্ভের ওপর অতিরিক্ত চাপ।

ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি–এর অভাব।



চিকিৎসার উদ্দেশ্য

মায়েদের শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানো।

প্রসবের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করা।

গর্ভকালীন বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানো।

স্বাস্থ্য জটিলতার চিকিৎসা করা।

নিরাপদ মাতৃত্ব।

প্রসবকালীন ও প্রসব–পরবর্তী জটিলতা হ্রাস।

ফলো করুন



গর্ভকালীন সেবা নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যের অপরিহার্য অংশ। গর্ভাবস্থায় নারীদের প্রায়ই হাড়, মাংসপেশি, অস্থিসন্ধি, স্নায়ুসংক্রান্ত নানা সমস্যা ও জটিলতা পরিলক্ষিত হয়। ফলে একজন মা শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেকটাই ভোগেন। তা ছাড়া গর্ভাবস্থায় ওষুধের ব্যবহারের সুযোগ সীমিত। তাই ব্যথা–বেদনা কমাতে এ অবস্থায় রিহ্যাবিলিটেশন মেডিসিন একটি কার্যকর চিকিৎসাপদ্ধতি।

প্রথম তিন মাস পিঠ, কোমর বা পায়ে ব্যথা হতে পারে। ক্লান্তিবোধ হয়। দ্বিতীয় তিন মাসে হাত ও আঙুলে ঝিঁঝিঁ ধরা, অবশ হয়ে যাওয়া, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা অনুভব বেশি দেখা দেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রথম তিন মাসের সমস্যা, দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় তিন মাসেও অব্যাহত থাকতে পারে।

কারণ

হরমোনের কারণে সন্ধিগুলো শিথিল হয়ে আসা।

জরায়ু বৃদ্ধির জন্য মেরুদণ্ডের বক্রতার পরিবর্তন হওয়া।

ওজন বেড়ে যাওয়া।

নার্ভের ওপর অতিরিক্ত চাপ।

ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি–এর অভাব।



চিকিৎসার উদ্দেশ্য

মায়েদের শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানো।

প্রসবের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করা।

গর্ভকালীন বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানো।

স্বাস্থ্য জটিলতার চিকিৎসা করা।

নিরাপদ মাতৃত্ব।

প্রসবকালীন ও প্রসব–পরবর্তী জটিলতা হ্রাস।

করণীয়

গর্ভাবস্থায় ওষুধের ব্যবহার সীমিত থাকলেও চিকিৎসকের পরামর্শে আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ট্যাবলেট খাওয়া যাবে।

নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন গুরুত্বপূর্ণ।

স্বাভাবিক কাজকর্মের পাশাপাশি দৈনিক ২০-৩০ মিনিট করে সপ্তাহে ৫ দিন হাঁটার চেষ্টা করুন।

প্রতিবেলায় গর্ভ–পূর্ববর্তী খাবারের চেয়ে একটু বেশি ক্যালরি গ্রহণ করতে হবে।

ভিটামিন সি–যুক্ত খাবার ও আয়োডিনযুক্ত লবণ খেতে হবে।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম (দুপুরে খাবারের পর ২ ঘণ্টা ও রাতে ৬-৮ ঘণ্টা) নিতে হবে।

শারীরিক ও মানসিক চাপ কমাতে হবে।

ভারী কাজ করা নিষেধ। তবে দৈনন্দিন কাজকর্মে বাধা নেই।

পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।

সঠিক দেহভঙ্গি মেনে চলতে হবে। এক পাশে ফিরে ঘুমানোর অভ্যাস করুন।

সতর্কতা

চলাফেরায় তাড়াহুড়া করবেন না। তীব্র মাত্রার কোনো শারীরিক অনুশীলন করবেন না। কোনোক্রমেই পেটে ঠান্ডা বা গরম সেঁক অথবা কোনো ম্যাসাজ করবেন না। হাই হিল জুতা পরবেন না।

27/01/2025

জন্মগত (কনজেনিটাল হাইপোথাইরয়েডিজম) ও বড়দের থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা নিয়ে কমবেশি আলোচনা হয়ে থাকে। তবে কৈশোরে থাইরয়েড হরমোনের অভাব বা জুভেনাইল হাইপোথাইরয়েডিজম বিশেষ গুরুত্ববহ হলেও অনেক ক্ষেত্রেই তা দৃষ্টির আড়ালে থেকে যায়।

থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা (স্বল্পতা বা আধিক্যজনিত) যেকোনো বয়সে শুরু হতে পারে। তবে সার্বিক বিচারে হরমোনের ঘাটতি বা হাইপোথাইরয়েডিজমই বেশি দেখা যায়। একেক বয়সে এর ঘাটতি একেক রকমের উপসর্গ বা জটিলতা তৈরি করে।
কারণ
কৈশোরে শনাক্ত হওয়া সমস্যা কিছু ক্ষেত্রে জন্মগত সমস্যারই হয়তো বিলম্বিত প্রকাশ, যাকে বলা যায় লেট অনসেট কনজেনিটাল হাইপোথাইরয়েডিজম। আবার অনেকের কৈশোরেই নতুনভাবে হাইপোথাইরয়েডিজম দেখা দেয়। তবে সব কারণের মধ্যে অটোইমিউন থাইরয়েডাইটিস বেশির ভাগ হাইপোথাইরয়েডিজমের জন্য দায়ী। এর পেছনে রয়েছে জেনেটিক ও পরিবেশের সমন্বিত প্রভাব।

কিছু খাবার, আয়োডিনের ঘাটতি, অন্য অসুখ, ওষুধ, রেডিয়েশন, কোনো কারণে থাইরয়েড গ্রন্থি কেটে ফেলা ইত্যাদিও থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতির কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

লক্ষণ
শিশু বা কিশোর–কিশোরীর হঠাৎই সঠিক মাত্রায় উচ্চতা বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত বা বিলম্বিত হওয়া। পাশাপাশি অনেকের ওজন বাড়তে থাকে, কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়, চোখ-মুখ ফোলা মনে হয়, ত্বক শুষ্ক লাগে।

কেউ কেউ দুর্বল বোধ করে, অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে, বেশি ঘুমায়, কাজে মনোযোগ ও উদ্যমের অভাব দেখা যায়।

অনেকের যৌবনপ্রাপ্তি বিলম্বিত হয়, আবার আগেও হতে পারে।

কারও কারও গলগণ্ড দেখা দিতে পারে।

খুব কম ক্ষেত্রে মাথাব্যথা ও চোখে দেখতে অসুবিধা হতে পারে।

তবে আশ্চর্যজনক হলেও শিশুদের স্কুলের ফলাফলে এ সমস্যার তেমন কোনো প্রভাব পড়ে না। এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে রোগনির্ণয় ও যথাযথ চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, সম্ভব হলে শিশু হরমোনবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।

চিকিৎসা
চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগের অবস্থা ও কারণ নির্ণয় সাপেক্ষে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে থাকেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে রিপোর্ট বর্ডারলাইন হতে পারে। একে বলে সাবক্লিনিক্যাল হাইপোথাইরয়েডিজম। এ সময়ে রোগীকে ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করা হয়। রোগীর যদি উপসর্গ থাকে বা অটোইমিউন অ্যান্টিবডি মেলে, তখন চিকিৎসা লাগে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে উপদেশ দিয়ে তিন মাস পর পুনরায় রক্ত পরীক্ষা করে দেখা করতে বলা হয়, উন্নতি না হলে বা অবনতি হলে চিকিৎসা শুরু করা হয়।

যত আগে চিকিৎসা শুরু করা যায়, ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া তত সহজ হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাইরে থেকে হরমোন ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা সম্ভব হয়ে থাকে।

শরীরে দীর্ঘমেয়াদি হরমোনের অভাবের লক্ষণ থাকলে একবারে ওষুধের পুরোমাত্রা না দিয়ে ধীরে ধীরে বাড়াতে হয়, অন্যথায় কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে।

যথাযথ চিকিৎসা পেলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শিশু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যায়। তবে আনুষঙ্গিক জটিলতা বা অন্য অসুখ থাকলে নিরাময় দুরূহ হতে পারে।

পিত্তথলিতে পাথর হওয়া বেড়েই চলেছে, কীভাবে প্রতিরোধ করবেন???পিত্তথলিতে পাথর হওয়া খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। পিত্তথলিতে পাথর ...
19/01/2025

পিত্তথলিতে পাথর হওয়া বেড়েই চলেছে, কীভাবে প্রতিরোধ করবেন???

পিত্তথলিতে পাথর হওয়া খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। পিত্তথলিতে পাথর হয়েছে, কথাটি এখন প্রায়ই শোনা যাচ্ছে এবং এমন রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। পিত্তথলির পাথর (Gallstone) হলো পিত্তাশয়ের এমন একটি রোগ, যাতে মানুষের পিত্তাশয়ে পাথর জমা হয়। এটি কোলেলিথিয়াসিস নামে চিকিৎসাবিজ্ঞানে পরিচিত।
উন্নত দেশে প্রায় ১০-২০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক লোক এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর প্রায় ২৫ মিলিয়ন ব্যক্তির পিত্তথলিতে পাথর পাওয়া যায়, যার মোট ওজন হতে পারে প্রায় ২৫ থেকে ৫০ টন। ৮০ শতাংশেরও বেশি ক্ষেত্রে এই রোগ তেমন কোনো জটিলতা বা সমস্যা সৃষ্টি করে না
রোগটি কাদের বেশি হয় ?

স্থূল ও মোটা ব্যক্তিদের পিত্তথলিতে পাথর বেশি হতে দেখা যায়। পুরুষদের তুলনায় নারীদের এই প্রবণতা বেশি। এ ছাড়া চল্লিশোর্ধ্ব বয়স, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খাবার অভ্যাস, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ ইত্যাদি এই ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

কখন আপনি পিত্তথলির পাথরের জন্য একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করবেন

আপনার যদি নিচের উপসর্গগুলোর মধ্যে কোনোটি থাকে, তাহলে দেরি না করে অবিলম্বে একজন সার্জিক্যাল গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট বা গ্যাস্ট্রো সার্জনের কাছে যেতে হবে।
১. পেটে তীব্র ব্যথা যদি ৫ ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয়।
২. বমি বমি ভাব।
৩. জ্বর বা ঠান্ডা লাগার উপস্থিতি।
৪. চোখ বা ত্বক হলদেটে বর্ণ ধারণ করলে।
৫. প্রস্রাব এবং মলের রং পরিবর্তন।
বেশি কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে পিত্তথলিতে পাথর এড়িয়ে চলা সম্ভব:

১. খাবার বাদ দেবেন না

প্রতিদিন আপনার স্বাভাবিক খাবারের সময় ধরে রাখার চেষ্টা করুন। খাবার বাদ দেওয়া বা দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা যাবে না। এসব অভ্যাস পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।

২. ধীরে ধীরে ওজন কমানো

আপনার যদি ওজন কমাতে হয়, তবে তা ধীরে ধীরে কমান। দ্রুত ওজন হ্রাস পিত্তথলিতে পাথরের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সপ্তাহে ওজন ১ বা ২ পাউন্ডের বেশি কমলে লক্ষ রাখতে হবে।
৩. ফাইবারযুক্ত খাবার খান

আপনার প্রতিদিনের খাবারে উচ্চ ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার রাখুন। যেমন ফল, শাকসবজি এবং গোটা শস্য। এসব খাবার পিত্ততে পাথর গঠনে বাধা দেয়।

৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা

স্থূলতা এবং অতিরিক্ত ওজন পিত্ততে পাথরের ঝুঁকি বাড়ায়। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেক জরুরি। স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে বডি মাস অনুযায়ী ওজন বজায় রাখা উচিত।

13/01/2025

এইচএমপিভি ভাইরাস নিয়ে আমাদের যা জানা দরকার
ভাইরাস দ্বারা শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই সংক্রমণ কখনো কখনো সব বয়সের মানুষের জন্য গুরুতর অসুস্থতার উৎস এমনকি মৃত্যুর প্রধান কারণ হয়ে ওঠে। ভাইরাল আরটিআইয়ের বৈশিষ্ট্য হলো এটি দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারে এবং ব্যাপক বিস্তার লাভ করতে পারে, যা এর প্রতিরোধকে কিছুটা কঠিন করে তোলে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, তীব্র ভাইরাল শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের জন্য প্রধানত কয়েকটি নির্দিষ্ট ভাইরাস দায়ী। এর মধ্যে রয়েছে রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাস (আরএসভি), ইনফ্লুয়েঞ্জা এ এবং বি, প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, করোনাভাইরাস, রাইনোভাইরাস এবং মানব অ্যাডেনোভাইরাস।

এই ভাইরাসগুলোর প্রভাব শুধু ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এদের কারণে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর বিরাট চাপ সৃষ্টি হয়। ফলে ভাইরাল আরটিআই প্রতিরোধ এবং এর দ্রুত নির্ণয় ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা বর্তমান সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যগত চ্যালেঞ্জহিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)
হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) একটি নেগেটিভ-সেন্স, একক-সূত্রযুক্ত আরএনএ (রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড) ভাইরাস, যা নিউমোভিরিডি পরিবারের মেটানিউমোভাইরাস গণের অন্তর্ভুক্ত। এই পরিবারের মধ্যে রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাসের মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভাইরাসও রয়েছে। এইচএমপিভির দুটি প্রধান গ্রুপ, এ এবং বি, মানুষের মধ্যে সক্রিয়ভাবে সংক্রমণ ঘটায়।

অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রজনিত ভাইরাসের মতোই মানব মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) ভাইরাল শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের হার বাড়িয়ে দেয়। এটি প্রধানত শিশু, বয়স্ক এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে গুরুতর সংক্রমণের কারণ হতে পারে।

এই ভাইরাসটি ডাচ্ গবেষক বার্নাডেট জি ভ্যান ডেন হুগেন এবং তাঁর দল প্রথম শনাক্ত করেন ২০০১ সালে। তাঁরা নেদারল্যান্ডসের শিশুদের নাক ও গলার নমুনা পরীক্ষা করে এই ভাইরাস শনাক্ত করেন। এই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ভাইরাল শ্বাসযন্ত্রজনিত রোগের কারণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে নতুন ধারণা দিতে সহায়ক হয়েছে।

এইচএমপিভি প্রাদুর্ভাবের বর্তমান চিত্র
সম্প্রতি উত্তর চীনে, বিশেষ করে ছোট শিশুদের মধ্যে এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এ বিষয়কে কেন্দ্র করে চীনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল জনগণকে স্বাস্থ্য ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করতে আহ্বান জানিয়েছে। এমনকি চীনের বাইরে ভারত, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়াসহ আরও বেশ কিছু দেশে সম্প্রতি এইচএমপিভিসহ অন্যান্য শ্বাসকষ্টজনিত রোগের বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, চীন ও অন্যান্য অঞ্চলে শীতকালে শ্বাসকষ্টজনিত রোগের বৃদ্ধি মূলত মৌসুমি প্রবণতা হতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার সর্বশেষ তথ্য জানাচ্ছে, চলতি বছর প্রথমবারের মতো এক ব্যক্তির শরীরে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) শনাক্ত হয়েছে। তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

এইচএমপিভি সংক্রমণের সাধারণ উপসর্গ
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অনুযায়ী, সাধারণ সর্দির মতো এইচএমপিভি ঊর্ধ্ব ও নিম্ন শ্বাসনালিতে সংক্রমণ সৃষ্টি করে, যা মৃদু অসুস্থতা থেকে গুরুতর এমনকি নিউমোনিয়া বা ব্রঙ্কিওলাইটিস দ্বারা জীবননাশক অবস্থায় পরিণত হতে পারে, যেমন মাঝারি ধরনের ক্ষেত্রে, উপসর্গগুলো সাধারণত ৭-১০ দিনের মধ্যে হ্রাস পায়, তবে নিউমোনিয়া বা অন্যান্য সেকেন্ডারি সংক্রমণের মতো জটিলতা উপস্থিত থাকলে আরোগ্য প্রক্রিয়া দীর্ঘতর হতে পারে। এইচএমপিভি সংক্রমণের সাধারণ উপসর্গগুলো হলো:

• সর্দিকাশি

• জ্বর

• মাথাব্যথা

• নাসারন্ধ্র বন্ধ

• শ্বাসকষ্ট

• কখনো কখনো ত্বকে র‌্যাশ দেখা যেতে পারে

এইচএমপিভির জন্য উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যা
এইচএমপিভির ইনকিউবেশন পিরিয়ড ৩ থেকে ৬ দিন। ইনকিউবেশন পিরিয়ড হলো সেই সময়কাল, যখন একটি রোগের জীবাণু বা ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার পর থেকে রোগের প্রথম লক্ষণ বা উপসর্গ প্রকাশিত হতে শুরু করে তবে অসুস্থতার গড় স্থায়িত্ব তার তীব্রতার ওপর নির্ভরশীল, যা অন্যান্য শ্বাসকষ্টজনিত ভাইরাল সংক্রমণের মতোই। ছোট শিশু এবং ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের hMPV এর কারণে ব্রঙ্কিওলাইটিস বা নিউমোনিয়া সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। যুক্তরাজ্যের ইস্ট অ্যাংলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিনের অধ্যাপক পল হান্টারের মতে, ‘প্রায় প্রতিটি শিশু তাদের পঞ্চম জন্মদিনের মধ্যে অন্তত একটি এইচএমপিভি সংক্রমণের শিকার হবে।’

সংক্রমণ কীভাবে হয়
এইচএমপিভির সংক্রমণ প্রক্রিয়া সাধারণ সর্দি, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং অন্যান্য শ্বাসকষ্টজনিত ভাইরাসের মতোই। এইচএমপিভি মূলত সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে অন্যদের মধ্যে ছড়ায় নিম্নলিখিত উপায়ে:

• কাশি বা হাঁচি দেওয়ার ফলে যে স্রাব/শ্লেষ্মা বের হয় তা থেকে।

• আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ শারীরিক যোগাযোগ, যেমন স্পর্শ, হাত মেলানো, অথবা অন্যদের সঙ্গে পানীয় বা খাবারের বাটি শেয়ার করা।

• ভাইরাস দ্বারা দূষিত ফোন, দরজার হাতল, কি–বোর্ড বা অন্যান্য জিনিসপত্র হাত দিয়ে স্পর্শ করা এবং তারপর তা মুখ, নাক বা চোখের সঙ্গে স্পর্শ করা।

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রতিরোধমূলক কৌশল

এইচএমপিভি ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে:

• অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ভালোভাবে ধোয়া এবং অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা।

• সর্দি, জ্বর বা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দিলে রোগীদের মাস্ক পরিধান করা উচিত।

• যারা সর্দি-সদৃশ উপসর্গ প্রদর্শন করছে, তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ শারীরিক যোগাযোগ এড়িয়ে চলা উচিত।

• অসুস্থ হলে বাসায় বিশ্রাম নেওয়া ও অন্যদের থেকে আলাদা থাকা।

• সম্ভাব্য সংক্রমিত পৃষ্ঠ, যেমন দরজার হাতল, ফোন বা খেলনা, স্যানিটাইজ করা।

এ ছাড়া যেসব ব্যক্তি শ্বাসকষ্টজনিত ভাইরাসের উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে আছেন, বিশেষত বয়স্ক এবং ইমিউনোকম্প্রোমাইজড ব্যক্তিরা, তাঁদের জন্য মাস্ক পরিধান এবং জনসমাগমে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া উচিত।

এইচএমপিভি শনাক্তের পদ্ধতি
অন্যান্য শ্বাসকষ্টজনিত ভাইরাসের মতো নিয়মিত পরীক্ষা এবং উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এইচএমপিভি শনাক্তকরণ পদ্ধতিগুলো ব্যাপকভাবে উন্নত হয়েছে। শনাক্তকরণের প্রধান পদ্ধতিগুলো নিম্নরূপ:

• হাসপাতালভিত্তিক পর্যবেক্ষণ: সন্দেহভাজন রোগীদের জন্য সিস্টেমেটিক স্ক্রিনিং, ডেটা সংগ্রহ এবং নমুনা বিশ্লেষণ প্রক্রিয়া এর অন্তর্ভুক্ত।

• সেরোলজিক্যাল পরীক্ষা: এনজাইম-লিঙ্কড ইমিউনোসর্বেন্ট অ্যাসে ব্যবহৃত হয়, যা এইচএমপিভির নির্দিষ্ট অ্যান্টিবডি (IgG এবং IgM) শনাক্ত করতে সহায়ক।

• আণবিক শনাক্তকরণের পদ্ধতি: এইচএমপিভি শনাক্ত করার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হলো রিয়েল টাইম রিভার্স ট্রান্সক্রিপটেশন পলিমেরেজ চেইন রিঅ্যাকশন (RT-PCR), যা F এবং N জিন লক্ষ্য করে এইচএমপিভি শনাক্ত করতে সক্ষম।

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারির সময়কাল থেকে শ্বাসকষ্টজনিত ভাইরাস দ্রুত শনাক্ত করতে RT-PCR সিস্টেম ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে পয়েন্ট-অব-কেয়ার র‍্যাপিড ডায়াগনসিস এবং অন্যান্য শনাক্তকরণ পদ্ধতির ব্যবহার মহামারি প্রতিরোধ ও দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে আরও কার্যকর হতে পারেএইচএমপিভির চিকিৎসাগত কৌশল
বর্তমানে এইচএমপিভির চিকিৎসার জন্য কোনো অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নেই। তবে উপসর্গগুলোকে কমাতে কিছু সাধারণ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:

• পর্যাপ্ত পানি পান করা, যাতে শরীরে পানির অভাব না হয়।

• ভালোভাবে বিশ্রাম নেওয়া, যা শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

• যদি প্রয়োজন হয়, প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন খাওয়া।

• শ্বাসকষ্ট হলে ইনহেলার বা নেবুলাইজার ব্যবহার করা।

তবে কোনো ওষুধ সেবনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

এইচএমপিভি চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকের ভূমিকা

অ্যান্টিবায়োটিকগুলো ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকর নয় এবং শুধু ব্যাকটেরিয়াল রোগজীবাণুদের বিরুদ্ধে কাজ করে। যেহেতু এইচএমপিভি একটি ভাইরাসজনিত রোগ, এটি অ্যান্টিবায়োটিক দ্বারা নির্মূল করা সম্ভব নয়। তবে যাঁরা এইচএমপিভি থেকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন, তাঁদের মধ্যে কখনো কখনো ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ (সেকেন্ডারি সংক্রমণ) হতে পারে। যদি আপনার চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিক দেন, তবে তা মূলত সেকেন্ডারি রোগের চিকিৎসার জন্য।

এইচএমপিভির বৈশ্বিক স্বাস্থ্য প্রতিক্রিয়া যেমন হওয়া উচিত
চীনে এইচএমপিভির সাম্প্রতিক প্রাদুর্ভাব বিশ্বব্যাপী এর ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়িয়েছে, কারণ এটি শ্বাসকষ্টজনিত ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়ায়, যা কিনা সংক্রমিত দেশ থেকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ এবং বাণিজ্য সীমান্তে ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। তাই আন্তর্জাতিক পোর্টগুলোতে বৈশ্বিক এইচএমপিভি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নজরদারি জোরদার করা প্রয়োজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে যে শীতকালে শ্বাসকষ্টজনিত রোগ বাড়তে পারে, তাই দেশগুলোকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। তবে আন্তর্জাতিক সহযোগিতাপূর্ণ গবেষণা উদ্যোগ, বিশ্বব্যাপী মুক্ত ডেটা শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ এর ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। পাশাপাশি উন্নত পর্যবেক্ষণ, দ্রুত সঠিক তথ্যের বিস্তার এবং জনস্বাস্থ্য কাঠামোসমূহের কার্যকর ব্যবস্থাপনা এইচএমপিভি মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

এইচএমপিভি ভ্যাকসিন উন্নয়নে অগ্রগতি
বর্তমানে এইচএমপিভির জন্য কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা নেই এবং এর প্রতিরোধে কোনো ভ্যাকসিনও উপলব্ধ নয়। তবে উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা সাহায্য করতে পারে। এইচএমপিভি ভাইরাসটি আরএসভির (রেসপিরেটরি সিনসিটিয়াল ভাইরাস) কাছাকাছি একটি ভাইরাস, যার জন্য সম্প্রতি ভ্যাকসিন ও মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডির মতো চিকিৎসাপদ্ধতি তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে কোভিড ভ্যাকসিন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মডার্না এর প্রথম পর্যায় বা ফেজ ১ ট্রায়াল করছে, যেখানে ১৮ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ব্যক্তিদের ওপর ভ্যাকসিনটি পরীক্ষা করা হবে। তবে এইচএমপিভি ভ্যাকসিন বাজারে আসতে অনেক বছর সময় লাগতে পারে, যেহেতু বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পাওয়া এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া জটিল ও সময়সাপেক্ষ।

বাংলাদেশে সম্প্রতি কভিড মহামারি থেকে লব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি বা সার্ভিলেন্স ব্যবস্থা জোরদারের মাধ্যমে এইচএমপিভির মৌসুমি প্রবণতাকে চিহ্নিত করা যেতে পারে। যেহেতু প্রাদুর্ভাবের খবর ছড়িয়ে পড়ছে, তাই এইচএমপিভি এবং অন্যান্য শ্বাসকষ্টজনিত ভাইরাসের তথ্য নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা জরুরি, যাতে স্থানীয় জনস্বাস্থ্য নীতি ঠিকভাবে নির্ধারণ করা যায়। যদিও এখনো পর্যন্ত এইচএমপিভি বড় সমস্যা নয়, ভাইরাসটি সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকেরা একসঙ্গে কাজ করলে আরও জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রতিরোধব্যবস্থা জোরদার হতে পারে। আগেভাগে শিক্ষা ও পরিকল্পনা গ্রহণ করে বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে মহামারি থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে এবং যেকোনো পরিস্থিতি দ্রুত ও সমন্বিতভাবে মোকাবিলা করা সহজ হবে।

13/01/2025

হঠাৎ শ্বাসকষ্টের ১০ কারণ, করণীয়...
অ্যাজমা বা হাঁপানি তীব্র হলে দম বন্ধ হয়ে আসার অনুভূতি হয়। হাঁপানির লক্ষণগুলোর আকস্মিক তীব্রতার ক্ষেত্রে সংকুচিত শ্বাসনালি শক্ত ও সরু হয়ে যায়, শ্বাসনালির আস্তরণ ফুলে যায় এবং স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি শ্লেষ্মা তৈরি হয়। ফলে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট, কাশি, দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস, বুকে চাপ, একটা পুরো বাক্য একনিশ্বাসে বলতে না পারা ও শ্বাসের সঙ্গে শোঁ শোঁ শব্দ হয়। এ সময় দ্রুত চিকিৎসা হিসেবে নেবুলাইজেশন, অক্সিজেন, স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয়। হঠাৎ শ্বাসকষ্টের আরও ৯টি কারণ তুলে ধরা হলো—

সিওপিডি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ: ফুসফুসের প্রদাহজনিত দীর্ঘমেয়াদি রোগ। ধূমপায়ীদের এটি বেশি হয়। এ ছাড়া বায়ুদূষণ, ধুলাবালু, অস্বাস্থ্যকর জীবন ও পরিবেশ এর জন্য দায়ী। কোনো সংক্রমণের কারণে এ রোগে হঠাৎ প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে, অতিরিক্ত শ্লেষ্মা বা কফ তৈরি হয়, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায় এবং ঠোঁট নীলাভ বা কালচে হতে পারে
পালমোনারি এম্বোলিজম: এতে ফুসফুসের এক বা একাধিক ধমনিতে রক্ত জমাট বাঁধায় ব্লকের সৃষ্টি হয়। সাধারণত এর উৎপত্তি পায়ের গভীর শিরায় রক্তনালিতে রক্ত জমাট বাঁধা (ডিভিটি) থেকে। ডিভিটি হলে জমাট বাঁধা রক্ত ছুটে গিয়ে ফুসফুসের রক্তনালি ব্লক করে দিতে পারে। ডিভিটির কারণগুলোর অন্যতম দীর্ঘমেয়াদি শয্যাশায়ী রোগী, ক্যানসারের রোগী, যেকোনো বড় অস্ত্রোপচারের পর যেমন হাঁটু প্রতিস্থাপন, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন, দীর্ঘ ভ্রমণ। আক্রান্ত ব্যক্তির হঠাৎ শ্বাসকষ্ট, বুকব্যথা ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

নিউমোনিয়া: বিভিন্ন জীবাণু নিউমোনিয়ার কারণ। ফুসফুসের ছোট ছোট বায়ুথলিতে জীবাণুর সংক্রমণে এই প্রদাহের সৃষ্টি হয়। শীতকালে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে এ রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। জ্বর, কাশি, হলুদ বা সবুজ রঙের শ্লেষ্মা (কফ), শ্বাসপ্রশ্বাসে কষ্ট হয়। পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে যথাযথ অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে।

পালমোনারি ইডিমা: ফুসফুসে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তরল জমলে বলা হয় পালমোনারি এডিমা। করোনারি আর্টারি ডিজিজ, কার্ডিওমায়োপ্যাথি, হার্ট ভাল্‌ভের সমস্যা এবং উচ্চ রক্তচাপ ও অন্যান্য কারণে তরল জমতে পারে। এতে রোগীর প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হয়।

নিউমোথোরাক্স: এ ক্ষেত্রে দুই প্লুরা (ফুসফুসের পর্দা) আবরণীর মাঝের অংশে বায়ু প্রবেশ করে। এটি একটি গুরুতর অবস্থা, যার ফলে বুকে চাপ বাড়ে। পরিচিত উপসর্গ হলো হাঁপ লাগা ও বুকে ব্যথা। জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হয়।

ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস: সাধারণত টাইপ ১ ডায়াবেটিক রোগীদের বিপাকজনিত সমস্যায় শরীরে সুগার ও কিটোঅ্যাসিড অনেক বেড়ে যায়। তখন পানিশূন্যতার সঙ্গে শ্বাসপ্রশ্বাস ঘন ঘন হয়, মুখ থেকে গন্ধ বের হয় ও ইলেকট্রোলাইট গোলমাল ঘটে। ঠিক সময় চিকিৎসা না করলে মৃত্যু হয়।

প্যানিক ডিজঅর্ডার: মনোজাগতিক এ রোগে মনে হবে মারা যাচ্ছেন, ঘাম হয়, মাথা ঘোরে। বমিভাব ও পেটের ভেতরে অস্বস্তি হতে পারে। বুকব্যথা ও নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম হয়। হাত-পা কাঁপতে পারে।

এনাফাইলেক্সিস: পোকামাকড়ের কামড়, বাহ্যিক পদার্থ কিংবা ওষুধের কারণে মারাত্মক অ্যালার্জি হয়ে শ্বাসনালি ও স্বরযন্ত্র হঠাৎ সংকুচিত হয়ে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।

শ্বাসনালিতে বাহ্যিক পদার্থ প্রবেশ: বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বেশি হয়। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করতে হবে।

06/01/2025

****রাতের যেসব অভ্যাসে দূর হবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা****
রাতের খাবার খান শোয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে
খাওয়ার পরপরই শোবেন না। এতে অ্যাসিডিটির প্রবণতা বাড়ে। এমনভাবে খাওয়ার সময়টা নির্ধারণ করুন, যাতে শোয়ার আগে অন্তত দুই ঘণ্টা সময় থাকে হাতে। অর্থাৎ সব কাজ করে এরপর খাওয়াদাওয়ার পর্ব সারবেন, এমন ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।খাওয়ার অন্তত ২০ মিনিট পর পানি খান
খাওয়ার পরপরই পানি খাবেন না। অন্তত ২০ মিনিট পর পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন। খাওয়ার আগে পানি খেতে চাইলে সেটিও খাওয়া শুরু করার অন্তত ২০ মিনিট আগে খেয়ে নিন। খাওয়ার মাঝখানে পানি খাবেন না, প্রয়োজন হলে কেবল সামান্য পানি খাবেন খাওয়ার মাঝখানে।

খাওয়ার পর হাঁটুন
রাতে খাওয়ার পর হাঁটার অভ্যাস করুন। তাতে আপনার হজমপ্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে। সার্বিকভাবেই শরীরটা সুস্থ থাকবে। বাইরে হাঁটতে যেতে পারেন, যেতে পারেন বাড়ির ছাদ, লন কিংবা বারান্দায়। তেমন সুযোগও যদি না থাকে, তাহলে ঘরেই হাঁটুন। মাত্র ১০ মিনিটের এই হাঁটাহাঁটির অভ্যাসই হতে পারে সুস্থতার চর্চাটক দই বা মৌরি খান
খাওয়ার সময় কিংবা খাওয়া শেষে টক দই খেতে পারেন। কিংবা খাওয়ার পর সামান্য মৌরি চিবোতে পারেন। এ দুটি উপাদান হজম–সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি কিডনির রোগ থাকলে মৌরি খাওয়া যাবে না। কেউ কেউ অবশ্য খাওয়ার পর মিষ্টান্ন খান। তাতে হজমে খানিকটা সহায়তা হলেও মনে রাখতে হবে, রোজ মিষ্টান্ন খাওয়া সবার জন্য ভালো অভ্যাস নয়।

সন্ধ্যায় পানি খান
হজমপ্রক্রিয়া ঠিক রাখার জন্য সারা দিনে পর্যাপ্ত পানি খাওয়া প্রয়োজন। সকাল, দুপুর কিংবা রাতের খাবারের মিনিট বিশেক পর তো বটেই, এসব খাবারের মাঝের লম্বা বিরতিতেও কিন্তু সঠিকভাবে পানি খেতে হবে। ধরুন, আপনি বিকেলে বা সন্ধ্যায় অবসর সময় কাটাচ্ছেন। সেই সময়ও খানিকটা পানি খেয়ে নিন। হজমে সাহায্য হবে। একইভাবে বেলা ১১টার দিকেও খানিকটা পানি খেতে পারেন। সারা দিনে এবং সারা রাতেই সুবিধাজনক সময়ে অল্প করে পানি খেতে পারেন।

রাতে যোগব্যায়ামের চর্চা করুন
যোগব্যায়ামের এমন কিছু পদ্ধতি আছে, যেসব হজমে সহায়তা করে। একজন দক্ষ প্রশিক্ষকের সহায়তা নিয়ে নিয়ম মেনে এসব ব্যায়াম চর্চা করতে পারেন রোজ রাতে। তাতেও উপকার মিলবে।

এ ধরনের অভ্যাসের পরও সমস্যা না মিটলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিজে থেকে দিনের পর দিন গ্যাসের ওষুধ খেয়ে বিপদ ডেকে আনবেন না।

ভরপেট খাবেন না
রাতে হালকা খাবার খান। কম তেলে রান্না করা, সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে রাতে। রাতে নেমন্তন্ন থাকলেও চেষ্টা করুন হালকা খাবার বেছে নিতে। ভাজাপোড়া এবং অতিরিক্ত তেল–মসলা দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলুন। রাতে পেটের খানিকটা অংশ খালি রেখে খাওয়ার অভ্যাস করাই ভালো

27/12/2024

****ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া কি একসঙ্গে হতে পারে???

ডেঙ্গু বর্তমানে এক আতঙ্কের নাম। প্রতিবছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ বছরের শুরুর দিকে আক্রান্তের হার তুলনামূলক কম থাকলেও পরে বিগত বছরের ধারাই অব্যাহত রেখেছে।

এখন সারা বছরই কমবেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায়। এর সঙ্গে এবার নতুন যোগ হয়েছে চিকুনগুনিয়া। তবে অনেকের মনে প্রশ্ন, ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া কি একসঙ্গে হয়? যদি হয়, তবে সে ক্ষেত্রে লক্ষণ-জটিলতা কি বেশি হবে বা আলাদা কোনো পদক্ষেপ নিতে হবে কি?

দুটি ইনফেকশন একসঙ্গে হলে আলাদা আলাদাভাবে শরীরের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে
দুটি ইনফেকশন একসঙ্গে হলে আলাদা আলাদাভাবে শরীরের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে

এ দুই ইনফেকশন একসঙ্গে হতে পারে, তবে ব্যাপারটি এখন পর্যন্ত বিরল। এ পর্যন্ত কিছু রোগী পাওয়া গেছে। আগেও বিচ্ছিন্নভাবে এ রকম একসঙ্গে ইনফেকশনের ইতিহাস আছে। বিভিন্ন দেশে কিছু কেস রিপোর্ট আছে, বাংলাদেশেও এ রকম কিছু রোগীর কেস রিপোর্ট হয়েছে।

কীভাবে সম্ভব

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া দুটি ইনফেকশনেরই বাহক একই মশা। একই সঙ্গে দুটি ভাইরাসের প্রকোপ বাড়লে এ রকম একসঙ্গে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। বাহক মশা একই সঙ্গে দুটি ইনফেকশন বহন করতে পারে। আবার ক্রস রিঅ্যাকটিভিটি নামক জটিল প্রক্রিয়ায় অ্যান্টিবডি থেকে এ রকম ঘটনা হতে পারে!

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া দুটি ইনফেকশনেরই বাহক মশা
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া দুটি ইনফেকশনেরই বাহক মশা!

উপসর্গ

সাধারণ উপসর্গগুলোই বেশি লক্ষণীয়। যেমন জ্বর, মাথাব্যথা। এ ছাড়া শারীরিক দুর্বলতা, বমি বমি ভাব, শরীরব্যথা, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা—এগুলোও থাকতে পারে। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া দুটিতেই শরীরে র‍্যাশ দেখা যেতে পারে। তবে এবার চিকুনগুনিয়ায় র‍্যাশ বেশি দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া অনেক রোগীর শুরুর দিকে ডায়রিয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়।

ডেঙ্গু চিকুনগুনিয়া একসঙ্গে হলে কী করবেন

এ দুটি ইনফেকশন একসঙ্গে হলে তুলনামূলকভাবে রোগের প্রকোপ বেশি হওয়ার আশঙ্কা আছে। দুটি ইনফেকশন আলাদা আলাদাভাবে শরীরের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, আলাদা আলাদা ইনফেকশনের তুলনায় একসঙ্গে ইনফেকশনে রোগীর জটিলতা ও মৃত্যুহার সামান্য বেশি। তবে এ ব্যাপারে আরও অনেক গবেষণার প্রয়োজন আছে।

ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার একসঙ্গে ইনফেকশন নিয়ে আগেই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটি সচরাচর ঘটনা নয়, খুব কমসংখ্যক রোগীর ক্ষেত্রে এ রকম ঘটনা ঘটতে পারে। তবে উপসর্গ সন্দেহ হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে থাকতে হবে।

শীতে বাতের ব্যথা কেন বাড়েবাতের ব্যথার রোগীদের জন্য শীতকাল অনেকটা বিভীষিকার মতো। এ সময় অনেকেরই ব্যথা-বেদনা প্রকট হয়ে ওঠে।...
07/12/2024

শীতে বাতের ব্যথা কেন বাড়ে
বাতের ব্যথার রোগীদের জন্য শীতকাল অনেকটা বিভীষিকার মতো। এ সময় অনেকেরই ব্যথা-বেদনা প্রকট হয়ে ওঠে। কেন এমন হয়?

শীতে ব্যথা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ-ই বা কী?

শীতল তাপমাত্রা বা ঠান্ডা আবহাওয়ায় পেশি ও অস্থিসন্ধির চারপাশের টিস্যু সংকুচিত হয়ে যায়, যা অস্থিসন্ধিতে চাপ বৃদ্ধি করে, এতে ব্যথা অনুভূত হয়।

শীতে রক্তনালিগুলো সংকুচিত হয়, ফলে রক্ত সঞ্চালন কমে অস্থিসন্ধির তরল পদার্থ শক্ত হয়ে যেতে পারে। এতে ব্যথা বাড়ে। যাঁদের রেনোড ফেনোমেনন আছে, শীতে তাঁদের আঙুলে রক্ত সঞ্চালন কমে যায় এবং নীল হয়ে যেতে পারে।

ঠান্ডা আবহাওয়ায় স্নায়ুর সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায় বলে ব্যথার অনুভূতি বেড়ে যায়।

শীতে শারীরিক কার্যকলাপ কমে যায়। বয়স্ক ব্যক্তিরা লেপ-কাঁথা মুড়ি দিয়ে বসে বা শুয়ে থাকতে পছন্দ করেন। এতে ব্যথা বৃদ্ধি পায়।

শীতকালে আর্দ্রতা কমে অস্থিসন্ধির চারপাশের টিস্যু শুকিয়ে যায়, এতে ব্যথা বৃদ্ধি পায়।

কী করবেন
জীবনযাত্রার পরিবর্তন: উষ্ণ পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে রুম হিটার ব্যবহার করা যায়। যথেষ্ট গরম কাপড় পরুন, বিশেষ করে পায়ে মোজা পরা ভালো। শরীর গরম রাখার চেষ্টা করুন। সন্ধি ঢেকে রাখুন, বিশেষত হাঁটু ও হাতের অস্থিসন্ধি। যথেষ্ট পানি পান করুন, যাতে শরীর হাইড্রেটেডেট থাকে।

ব্যায়াম ও গরম সেঁক: নিয়মিত হালকা স্ট্রেচিং বা যোগব্যায়াম অস্থিসন্ধিকে নমনীয় রাখতে ও রক্তপ্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করে।

গরম পানিতে শরীর ডুবিয়ে ব্যায়াম করা ব্যথা কমাতে সহায়ক।

হালকা হাঁটা: রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে এবং অস্থিসন্ধি সক্রিয় রাখতে প্রতিদিন হাঁটা গুরুত্বপূর্ণ।

ব্যথার স্থানে গরম সেঁক দিলে অস্থিসন্ধির ব্যথা কমে।

চিকিৎসা: চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণ করা যেতে পারে।

ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন। কারণ, শীতে ভিটামিন ডি কমে যায়। ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হলে ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের পরামর্শে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিতে পারেন।

ডায়েট: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যেমন মাছ, বাদাম ও নানা রকম বীজ খাবারে যোগ করুন।

প্রদাহ-প্রতিরোধী খাবার যেমন হলুদ, আদা, রসুন ও সবুজ শাকসবজি।

অস্থিসন্ধির সুরক্ষাদানকারী খাবার যেমন দুধ, দই ও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার।
সতর্কতা
দীর্ঘ সময় ঠান্ডা পরিবেশে থাকা থেকে বিরত থাকুন। ডায়াবেটিস ও স্নায়ুর রোগীরা বেশি গরম পানিতে পা ডুবিয়ে বা সেঁক দিয়ে পা পুড়িয়ে ফেলতে পারেন, সেদিকে সতর্ক থাকবেন। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন, অতিরিক্ত গরম পানি
আর্দ্রতা কমাবে।

ব্যথা খুব বেশি বৃদ্ধি পেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Emergency Health Care "জরুরী স্বাস্থ্যসেবা" posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category