UniMed UniHealth Pharmaceuticals Limited

UniMed UniHealth Pharmaceuticals Limited ইউনিমেড ইউনিহেল্থ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য পরিচালিত হয়।

ইউনিমেড ইউনিহেল্থ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য পরিচালিত হয়। মুখ্য উদ্দেশ্য স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান ও সুন্দর জীবন পরিচালনা করতে সাহায্য করা। এছাড়াও আপনার ভিডিও ব্লগ unimedunihealth97@gmail.com ঠিকানায় ই মেইল করলে আমাদের ইউ টিউব চ্যানেলে আপলোড করা হবে। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সব ধরনের আলোচনাই আমাদের ইউ টিউব চ্যানেলে হোস্ট করা হবে।
_______________________________________

বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ গ্রামে বাস করে। বাংলাপিডিয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশের বসবাস শহরাঞ্চলে। সঠিক হিসেবে ৩.৫ শতাংশের কিছু বেশি। বাকিদের সবারই গ্রামে বসবাস। গ্রামাঞ্চলের এই বিশাল জনসংখ্যা নানা দিক দিয়ে এখনও শহরের মানুষদের চেয়ে পিছিয়ে আছে। বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় সেবাও তারা সঠিক সময়ে পায় না। এর মধ্যে চিকিৎসা সেবা অন্যতম।
বিশাল এ জনসংখ্যাকে উপযুক্ত স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান ও সুন্দর জীবন করতে পারে সেই লক্ষ্যেই আমাদের এই আয়োজন।

আশাকরি আমাদের সাথেই থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।

শিশুর অপুষ্টির প্রতিকার করবেন কীভাবে! শিশুকালে অপুষ্টিজনিত সমস্যার প্রধান কারণ শুধু দারিদ্র্য নয়, বরং সঠিক পুষ্টিজ্ঞানের...
11/08/2025

শিশুর অপুষ্টির প্রতিকার করবেন কীভাবে!

শিশুকালে অপুষ্টিজনিত সমস্যার প্রধান কারণ শুধু দারিদ্র্য নয়, বরং সঠিক পুষ্টিজ্ঞানের অভাব। বিশ্বে অনূর্ধ্ব ৫ বছর বয়সী শিশুর মৃত্যুর ৫৪ শতাংশ ঘটে অপুষ্টির কারণে। দেশে অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য, যা মোকাবিলায় প্রয়োজন সমন্বিত কর্মসূচি।
ক্যালরি, প্রোটিন, খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন ও খনিজ অণুপুষ্টির (ভিটামিন এ, আয়রন, আয়োডিন, জিংক, ভিটামিন ডি, পটাশিয়াম ইত্যাদি) অভাবে ব্যাহত হয় শিশুর বৃদ্ধি-বিকাশ, তৈরি করে তীব্র ও দীর্ঘমেয়াদি জটিল সমস্যা।

অপুষ্টিজনিত তীব্র জটিলতা
তীব্র জটিলতা বেশি দেখা যায় চরম অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর মধ্যে। তীব্র জটিলতার মধ্যে আছে পানিস্বল্পতা, তাপমাত্রা কমা, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কম হওয়া, সংক্রমণ, অ্যানিমিয়া, চোখে ভিটামিন ‘এ’–র অভাবজনিত চিহ্ন, হার্ট ফেইলিউর, রক্তে ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিংক, কপার, ম্যাঙ্গানিজ ও অন্যান্য ভিটামিনের ঘাটতিজনিত নানা উপসর্গ।
দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা
দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার মধ্যে রয়েছে—ঘন ঘন অসুখে পড়া, লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়া, ভালো ফল না আসা, বুদ্ধিবৃত্তির খর্বতা, খাটো হওয়া, কম ওজন ইত্যাদি। যে শিশু প্রথম দুই বছর অপুষ্টিতে ভোগে, সে পরবর্তী সময়ে সঠিক উচ্চতা ও ওজন পায় না।
প্রতিকার
সুস্থ মা: গর্ভকালে মাকে আয়রন-ফলিক অ্যাসিড ও অন্যান্য মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট গ্রহণ করতে হবে। আয়োডিনযুক্ত লবণ ও ক্যালসিয়ামের জোগান দরকার। ঘরে ধূমপান ও বায়ু দূষণমুক্ত পরিবেশ জরুরি। মায়ের জন্য সুষম ক্যালরি ও প্রোটিন সরবরাহ করতে হবে।
নবজাতক: জন্মের পর যত দ্রুত সম্ভব (এক ঘণ্টার মধ্যে) মাতৃদুগ্ধ পান শুরু করানো দরকার। বিশেষ ক্ষেত্রে ভিটামিন এ প্রদান করতে হবে।
শিশুর বয়স: ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে শুধু বুকের দুধ খাওয়ানো এবং ন্যূনতম দুই বছর বয়স পর্যন্ত বুকের দুধ চালিয়ে যাওয়া। শিশুর ২৮০তম দিবস থেকে ৬ মাস পূর্ণ হলে বুকের দুধের পাশাপাশি পরিপূরক খাবার (যেমন খিচুড়ি) খাওয়ানো শুরু করা। খেলাধুলা–কথাবার্তার মাধ্যমে মানসিক বিকাশ সাধনও জরুরি। ডায়রিয়াকালীন ও ডায়রিয়া–পরবর্তী সময়ে শিশুকে দৈনিক ১০-২০ মিলিগ্রাম করে ২ সপ্তাহের জন্য জিংক খাওয়ানো প্রয়োজন। ভিটামিন এ, আয়োডিনযুক্ত লবণের জোগান, হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে। মশারির ব্যবহার করতে হবে।
প্রতিরোধ
• শিশুর স্বাস্থ্য কার্ড (গ্রোথচার্ট) ব্যবহার করা ও প্রতি মাসে ওজন দেখা।
• ডায়রিয়ার সঙ্গে সঙ্গেই খাওয়ার স্যালাইন খাওয়ানো শুরু করা।
• জন্মের পরপর শালদুধ, ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শুধু বুকের দুধ ও ৬ মাস পূর্ণ হলে বুকের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য সহায়ক খাবার দেওয়া।
• সময়মতো ও নিয়মিত টিকাদান।
• গর্ভবতী ও স্তন্যদায়ী মায়েদের বেশি খাবার খেতে দেওয়া।
• ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ইত্যাদি অসুখের পর শিশুকে একবেলা অতিরিক্ত খাবার দেওয়া।
• ৩ থেকে ৫ বছর বিরতিতে গর্ভধারণ।

বর্ষায় দাদ-অ্যাকজিমাসহ বিভিন্ন চর্মরোগ থেকে বাঁচার উপায় বর্ষা মৌসুমে ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণ বেড়ে যায়। এ সময় স্যাঁতস্যাঁত...
10/08/2025

বর্ষায় দাদ-অ্যাকজিমাসহ বিভিন্ন চর্মরোগ থেকে বাঁচার উপায়

বর্ষা মৌসুমে ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণ বেড়ে যায়। এ সময় স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশের কারণে ছত্রাকজনিত বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।
চর্মরোগ হিসেবে নখকুনি থেকে শুরু করে নখে ফাঙ্গাসসহ দাদ, অ্যাকজিমায় অনেকেই ভুগে থাকেন। এসব চর্মরোগের কারণ হতে পারে ছত্রাক সংক্রমণ। এসব থেকে বাঁচতে বাড়তি সতকর্তা অনুসরণ করা উচিত। জেনে নিন করণীয়-

শরীরের বিভিন্ন স্থানে দাদ হতে পারে। এক্ষেত্রে চামড়ার ওপর গোল চাকার মতো লালচে ক্ষতস্থানের সৃষ্টি হয়। ফলে ক্ষতস্থানে চুলকানি হয়। ঘাড়, পায়ের পাতা, বগলে এ ধরনের ক্ষত হতে পারে। এ সমস্যার সমাধানে নিয়মিত কাপড় পরিষ্কার করতে হবে।
ক্ষতস্থানে নখ দ্বারা বেশি চুলকানো যাবে না। এর ফলে ক্ষত আরও মারাত্মক হতে পারে। প্রয়োজনে অ্যান্টি ফাঙ্গাল ক্রিম লাগাতে হবে। এরপরও যদি দাদের সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিতে হবে।
অ্যাথলেট ফুট
বর্ষায় স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া ও পা ভেজা থাকার কারণে নখের ফাঁকে ফাঁকে ছত্রাক বাসা বাঁধে। ছত্রাক সক্রমণের ফলে দেখা দেয় অ্যাথলেট ফুট। সাধারণত পায়ের পাতা কিংবা দুই আঙুলের মাঝখানে চুলকানি বা জ্বালা অনুভূত হয়। ভালো করে পা ধুয়ে পরিষ্কার রাখা উচিত এ সমস্যা মোকাবিলায়।
চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, বেশিক্ষণ পা ভেজা অবস্থায় রাখা যাবে না। পা নিয়মিত সাবান দিয়ে ধুয়ে ভালো করে নখের ফাঁকে ফাঁকে পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে অ্যান্টি ফাঙ্গাল ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। টাইট জুতা পরবেন না। খোলা জুতা পরতে হবে।
অ্যাকজিমা
ছোট-বড় সবাই অ্যাকজিমার মতো চর্মরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এক্ষেত্রে ত্বকে জ্বালা, ত্বক ফেটে যাওয়া, চুলকানি হয়ে থাকে। সাধারণত শুষ্ক ত্বকে অ্যাকজিমার সমস্যা প্রকট হয়ে থাকে। তাই সবসময় ত্বক ময়েশ্চারাইজড রাখতে হবে। ক্ষতস্থান বেশি চুলকানো যাবে না।

এক্ষেত্রে নারকেলের তেল ব্যবহারে আরামবোধ হবে। সব সময় সুতির কাপড় পরতে হবে। অ্যাকজিমার সমস্যা বাড়ন্ত হলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন। পাশাপাশি অ্যান্টি ফাঙ্গাল ক্রিম ব্যবহারে এ সমস্যার সমাধান হবে।

টিনিয়া ক্যাপিটিস
এই চর্মরোগের কারণে মাথার ত্বকে দাদ হয়। তবে এই ছত্রাকজনিত রোগের ফলে ক্ষতস্থান দেখা যেতে পারে ভ্রু ও দাড়িতেও। ছোঁয়াচে রোগ এটি। এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিকে সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায় এই রোগ।
এজন্য আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার্য জিনিসপত্র অন্যরা যাতে স্পর্শ না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এমনকি তোয়ালে, চিরুনি, টুপি, বালিশের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এই চর্মরোগ। এক্ষেত্রে চুল বা দাড়িতে অ্যান্টি ফাঙ্গাল শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।
ফোঁড়া
ত্বকের ফোঁড়ার সাধারণ লক্ষণগুলো হলো লালচেভাব, ব্যথা, ফুলে যাওয়া এবং হলদেটে তরলে ভরা একটি ছোট ত্বকের ফুসকুড়ি। যা প্রচণ্ড ব্যথাযুক্ত। ফোড়ার স্থানে গরম ভাঁপ নিলে ওই স্থানে রক্ত সঞ্চারনের পরিমাণ বাড়বে। প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট করে ৩-৪ বার ফোড়ার স্থানে গরম ভাঁপ নিলে ব্যথা কমবে।
হলুদ গুঁড়োতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি- ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য আছে। এসব বৈশিষ্ট্য ফোঁড়ার ব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তি দেয়। দীর্ঘদিন ধরে যদি ফোঁড়ার ব্যথায় ভুগেন, সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
অ্যালার্জি
বর্ষায় ব্রণ এবং একজিমার ঝুঁকি বেড়ে যায়। আর্দ্রতা এবং পরিবর্তিত আবহাওয়া ত্বকে চুলকানি, লালচে ভাব, ব্রণ এবং একজিমা সৃষ্টি করতে পারে। এ ছাড়াও বর্ষায় দেখা যায়, ত্বকের বিভিন্ন স্থানের লোমের ফলিকগুলো প্রদাহে পরিণত হয়। যা ফলিকুলাইটিস নামে পরিচিত। ফলিকুলাইটিস সাধারণত বাহু, উরু, পশ্চাতদেশ এবং কপালে দেখা দিতে পারে।
বর্ষাকালের আরও একটি সাধারণ এলার্জি হলো হাইপারপিগমেন্টেশন। যা ত্বকে, বিশেষ করে মুখে গাঢ় প্যাঁচ সৃষ্টি করে। এ সময় শরীরের বিভিন্ন ভাঁজ যেমন- হাঁটু বা কনুইতে গিয়ে পৌঁছায় বিভিন্ন ছত্রাক। এর ফলে ত্বকে অ্যালার্জির সৃষ্টি হয়।

   📢 POST: MEDICAL PROMOTION OFFICER💼 POSTING: ANYWHERE IN BANGLADESH💰 STARTING SALARY: BDT 24,000/= + D.A. (FOR FRESHER...
08/08/2025


📢 POST: MEDICAL PROMOTION OFFICER
💼 POSTING: ANYWHERE IN BANGLADESH
💰 STARTING SALARY: BDT 24,000/= + D.A. (FOR FRESHER)
➡️ Interested candidates are requested to attend the Walk-in-Interview. For details please see the Job Circular.

🔶 Rangpur:
11 August 2025 from 09:00 AM to 12:00 PM
Address: Khanikaloy, House No: 56/7, Road No: 01, Madrasa Road, Ward No: 18, Munshipara, Rangpur.
Mobile: +8801929993262
Google Map: https://lnkd.in/gxka7BVE

🔶 Bogura:
12 August, 2025 from 09:00 AM to 12:00 PM
Address: Holding No: 894/A, Nur Masjid Lane, 1sr Floor, Ward No: 07, Jaleswaritola, Bogura.
Mobile: +8801929993263
Google Map: https://lnkd.in/dPmxqV5W

🔶 Rajshahi:
13 August, 2025 from 09:00 AM to 12:00 PM
Address: Holding No. 451, Ward No. 08, Chandipur, Press Club More, Rajpara, Rajshahi-6000.
Mobile: +8801929993264
Google Map: https://lnkd.in/gNSmnBiC

🔶 Dhaka:
12,13 & 14 August, 2025 from 09:30 AM to 01:00 PM
Address: Corporate Head Office, 660 Washpur (First Left Lane, After Bosila Bridge) PO: Shymlapur, PS: Hazaribag, Dhaka - 1310, Bangladesh.
Google Map: https://lnkd.in/dY2BHU5k

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ ফুটে উঠতে পারে ত্বকে, যেভাবে বুঝবেনসময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশ্...
07/08/2025

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ ফুটে উঠতে পারে ত্বকে, যেভাবে বুঝবেন

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশ্বজুড়ে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ উর্ধ্বমুখী। একটা সময় হার্ট অ্যাটাক মূলত পুরুষদের এবং বয়স্কদের অসুখ বলে মনে করত মানুষ। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে এই ধারণার অনেক পরিবর্তন হয়েছে।

অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস, ভুল জীবনযাপন, শরীরচর্চা অভাবসহ নানা কারণে অল্প বয়সীদের মধ্যেও বাসা বাঁধছে এই ধরনের রোগ। বিশেষজ্ঞদের মতে, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে শরীরে বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যদিও হৃদরোগের সাধারণ লক্ষণ হিসেবে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট বা অতিরিক্ত ক্লান্তিই আমরা জানি।
চিকিৎসকদের মতে, হৃদরোগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংকেত ত্বকেও প্রকাশ পেতে পারে, যা আমরা বেশিরভাগ সময়ে উপেক্ষা করি।
কী সেসব লক্ষণ, চলুন জেনে নেওয়া যাক—
পা ও গোড়ালির ফোলা
হৃদযন্ত্র সঠিকভাবে রক্ত পাম্প করতে না পারলে শরীরের নিচের অংশে তরল জমা হতে শুরু করে। এর ফলে পা ও গোড়ালি ফুলে যায়, জুতা আঁটসাঁট হয়ে যায় এবং চাপ দিলে চিহ্ন থেকে যায়। চিকিৎসকদের মতে, এই ধরনের ফোলা হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার একটি প্রধান লক্ষণ।
ত্বকে নীল বা ফ্যাকাশে রং
সাধারণত শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিলে ত্বকের রং নীল বা ফ্যাকাশে হয়ে যায়।
হাত ও পায়ের আঙুল বা ঠোঁট নীলচে বা ফ্যাকাশে রং ধারণ করলে সেটি শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ না হওয়ার ইঙ্গিত বহন করতে পারে। এই অবস্থা ‘সায়ানোসিস’ নামে পরিচিত এবং এটি হৃদযন্ত্র বা রক্তনালির গুরুতর সমস্যার সংকেত হতে পারে।
হলুদ-কমলা দানা
চোখের কোণ, কনুই, হাঁটু বা কবজির আশপাশের ত্বকে হলুদ অথবা কমলা রঙের মোমের মতো দানা দেখা দিলে তা উচ্চ কোলেস্টেরল বা ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। ত্বকে এই ধরনের পরিবর্তন হলে দ্রুত রক্ত পরীক্ষা ও চিকিৎসা করানো উচিত।
নখের নিচে সূক্ষ্ম লাল-বেগুনি রেখা
নখের নিচে সূক্ষ্ম লাল বা বেগুনি রেখা দেখা গেলে এবং সেটি যদি আঘাতজনিত না হয়, তবে তা হৃদযন্ত্রের অভ্যন্তরীণ সংক্রমণ বা ইনফেকটিভ এন্ডোকার্ডাইটিসের একটি প্রাথমিক সংকেত হতে পারে।
আঙুলে যন্ত্রণাদায়ক লাল-বেগুনি গুটি
হাত বা পায়ের আঙুলে হঠাৎ ছোট, যন্ত্রণাদায়ক, লাল-বেগুনি গুটি দেখা দিলে সতর্ক হোন। এগুলো ‘অসলার নোড’ নামে পরিচিত। চিকিৎসকদের মতে, এগুলো হৃদযন্ত্রের গুরুতর সংক্রমণ নির্দেশ করতে পারে।
কেন এই লক্ষণগুলোকে অবহেলা করা অনুচিত
আসলে আপাতভাবে ত্বকের এই ধরনের লক্ষণ চর্মরোগ বলে মনে হলেও এগুলো হৃদযন্ত্রের সমস্যার সংকেত দেয়। বিশেষ করে যাদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা কোলেস্টেরল সমস্যা রয়েছে তাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
ওপরে উল্লিখিত লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। রক্ত পরীক্ষা, ইসিজি বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাতে দেরি করা যাবে না। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখা সম্ভব।

কোষ্ঠকাঠিন্য কি, কিভাবে পাবেন চিকিৎসা! কোষ্ঠকাঠিন্যকোষ্ঠকাঠিন্য, একটি সাধারণ হজম সমস্যা, বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ ব্যক্তিকে...
06/08/2025

কোষ্ঠকাঠিন্য কি, কিভাবে পাবেন চিকিৎসা!

কোষ্ঠকাঠিন্য
কোষ্ঠকাঠিন্য, একটি সাধারণ হজম সমস্যা, বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ ব্যক্তিকে প্রভাবিত করে। এর ব্যাপকতা সত্ত্বেও, কোষ্ঠকাঠিন্য অনেকের জন্য একটি নীরব সংগ্রাম রয়ে গেছে, প্রায়শই অস্বস্তি এবং হতাশার কারণ হয়। অন্ত্র সম্পূর্ণরূপে নিষ্কাশন করতে অক্ষম হওয়ার অবিরাম অনুভূতি দৈনন্দিন জীবনকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে, হতাশা, বিরক্তি, ক্লান্তি এবং মনোনিবেশ করতে অসুবিধা সৃষ্টি করে। এই বিস্তৃত ব্লগে, আসুন কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ, কারণ, ঝুঁকির কারণ, জটিলতা, রোগ নির্ণয় এবং চিকিত্সার বিকল্পগুলি সহ কোষ্ঠকাঠিন্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করি। এছাড়াও, আসুন প্রাকৃতিক প্রতিকার, প্রতিরোধের কৌশল এবং কখন চিকিৎসার সাহায্য নিতে হবে তা জেনে নেই।
কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ
কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণগুলি সনাক্ত করা এই অবস্থার অবিলম্বে মোকাবেলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রকাশের তীব্রতা এবং সময়কাল ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে পরিবর্তিত হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে:
• কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্মুখীন ব্যক্তিদের প্রতি সপ্তাহে তিনটিরও কম মলত্যাগ হতে পারে, শক্ত বা গলিত মল পাস হতে পারে এবং অসম্পূর্ণ নির্বাসনের অনুভূতি থাকতে পারে।
• মলত্যাগের সময়, রোগীর পেটেও ব্যথা হতে পারে অস্বস্তি, এবং স্ট্রেনিং।
• গুরুতর কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে, মলত্যাগের সময় দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেনিং এনাল ফিসার বা রেকটাল প্রল্যাপস হতে পারে।
• কিছু ব্যক্তি ক্ষুধা হ্রাস, ক্লান্তি এবং এমনকি মেজাজের ব্যাঘাতের মতো গৌণ লক্ষণগুলিও অনুভব করতে পারে। যদিও এই উপসর্গগুলি সরাসরি কোষ্ঠকাঠিন্যের সাথে সম্পর্কিত নাও হতে পারে, তবে এটি প্রতিদিনের অস্বস্তি এবং ব্যাঘাতের কারণে ঘটতে পারে।
এই উপসর্গগুলি সনাক্ত করা এবং উপযুক্ত কোষ্ঠকাঠিন্য চিকিত্সার বিকল্পগুলি সন্ধান করা আরও জটিলতা প্রতিরোধের জন্য অপরিহার্য।

কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ
কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণগুলি বোঝা সমস্যাটির মূল সমাধানের মূল চাবিকাঠি। বিভিন্ন কারণ কোষ্ঠকাঠিন্যে অবদান রাখতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
• খাদ্যতালিকায় ফাইবার অপর্যাপ্ত গ্রহণ এবং অপর্যাপ্ত তরল গ্রহণ কোষ্ঠকাঠিন্যে অবদান রাখতে পারে।
• একটি আসীন জীবনধারা হজম এবং মলত্যাগকে ধীর করে দিতে পারে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের দিকে পরিচালিত করে।
• কিছু ওষুধ, যেমন ক্যালসিয়াম বা অ্যালুমিনিয়াম ধারণকারী অ্যান্টাসিড, অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস, ওপিওডস এবং রক্তচাপের ওষুধ, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসাবে কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে।
• অন্তর্নিহিত চিকিৎসা শর্ত যেমন হাইপোথাইরয়েডিজম, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (IBS), এবং স্নায়বিক ব্যাধি দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
o মনস্তাত্ত্বিক পরিস্থিতি যেমন জোর, উদ্বেগ, এবং বিষণ্নতা এছাড়াও মলত্যাগ প্রভাবিত করতে পারে। মন-অন্ত্রের সংযোগ আমাদের হজমের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য মোকাবেলা করার সময় মানসিক সুস্থতাকে উপেক্ষা করা উচিত নয়।
• দৈনন্দিন রুটিনে পরিবর্তন, ভ্রমণ, বা নিয়মিত খাবারের সময় ব্যাঘাতগুলিও মলত্যাগকে প্রভাবিত করতে পারে।
ঝুঁকির কারণ
নির্দিষ্ট ঝুঁকির কারণগুলির কারণে কিছু ব্যক্তিদের কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রবণতা বেশি, যেমন:
• বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্করা প্রায়ই গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল গতিশীলতা হ্রাস পায় এবং কোলনে পেশীর স্বর হ্রাস পায়, যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।
• হরমোনের পরিবর্তন এবং অন্ত্রের উপর ক্রমবর্ধমান ভ্রূণের চাপের কারণে গর্ভবতী মহিলারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্মুখীন হতে পারে।
• অন্যান্য ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে আসীন আচরণ, দুর্বল খাদ্যাভ্যাস এবং নিরূদন. যে সমস্ত লোকেরা কম ফাইবারযুক্ত খাবার খান, প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি এবং হাইড্রেশনের অভাব তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
এই ঝুঁকির কারণগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং উপযুক্ত জীবনধারা পরিবর্তনগুলি কার্যকরভাবে কার্যকরভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ এবং পরিচালনা করতে সহায়তা করতে পারে।
রোগ নির্ণয়
কোষ্ঠকাঠিন্য নির্ণয়ের জন্য একজন ব্যক্তির চিকিৎসা ইতিহাস, লক্ষণ এবং শারীরিক বিশ্লেষণের ব্যাপক মূল্যায়ন জড়িত। পরীক্ষার সময় অস্বাভাবিকতা পরীক্ষা করার জন্য ডাক্তার একটি ডিজিটাল রেকটাল পরীক্ষা করতে পারেন।
অতিরিক্ত ডায়গনিস্টিক পরীক্ষা, যেমন রক্ত পরীক্ষা, কোলনোস্কোপি, বা ইমেজিং পরীক্ষা, অন্তর্নিহিত চিকিৎসা শর্তগুলি বাতিল করার জন্য অপরিহার্য হতে পারে।
একটি অন্ত্র আন্দোলনের ডায়েরি রাখা, যা ফ্রিকোয়েন্সি, ধারাবাহিকতা এবং সংশ্লিষ্ট লক্ষণগুলি রেকর্ড করে, এছাড়াও ডায়াগনস্টিক প্রক্রিয়া চলাকালীন মূল্যবান তথ্য প্রদান করতে পারে। সঠিকভাবে কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ নির্ণয় করে, স্বাস্থ্যসেবা পেশাদাররা ব্যক্তির প্রয়োজন অনুসারে কাস্টমাইজড একটি কার্যকর চিকিত্সা পরিকল্পনা তৈরি করতে পারে।
চিকিৎসা
কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিত্সার পদ্ধতিগুলি পরিবর্তিত হয় এবং তীব্রতা এবং অন্তর্নিহিত কারণের উপর নির্ভর করে।
• তীব্র কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে, লাইফস্টাইল পরিবর্তন যেমন খাদ্যতালিকায় ফাইবার গ্রহণ বৃদ্ধি, হাইড্রেটেড থাকা এবং নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপে নিযুক্ত থাকা স্বস্তি প্রদান করতে পারে। ওভার-দ্য-কাউন্টার জোলাপ, মল সফ্টনার এবং এনিমা স্বল্পমেয়াদী তাত্ক্ষণিক কোষ্ঠকাঠিন্য উপশমের জন্য সহায়ক হতে পারে।
• দীর্ঘস্থায়ী ক্ষেত্রে, ডাক্তাররা এমন ওষুধ লিখে দিতে পারেন যা অন্ত্রের গতি বাড়ানো বা কোষ্ঠকাঠিন্যে অবদান রাখে এমন অন্তর্নিহিত চিকিৎসা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহায়তা করে। যাইহোক, এটি লক্ষ করা অপরিহার্য যে জোলাপগুলির উপর দীর্ঘমেয়াদী নির্ভরতা নির্ভরতা এবং অন্ত্রের কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে। অতএব, একটি টেকসই চিকিত্সা পরিকল্পনা বিকাশের জন্য একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা প্রয়োজন।।

#কোষ্ঠকিাঠিন্য

কাফ মাস্‌ল নাকি ‘দ্বিতীয় হৃৎপিণ্ড’! পায়ের পেশির যত্ন নিলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমবে?কাফ মাস্‌লকে সত্যিই শরীরের ‘দ্বিতীয় হৃৎপ...
04/08/2025

কাফ মাস্‌ল নাকি ‘দ্বিতীয় হৃৎপিণ্ড’! পায়ের পেশির যত্ন নিলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমবে?

কাফ মাস্‌লকে সত্যিই শরীরের ‘দ্বিতীয় হৃৎপিণ্ড’ বলা হয়। তবে হার্টের রোগের সঙ্গে সরাসরি কোনও যোগাযোগ নেই পায়ের এই পেশির। চিকিৎসকের কথায়, ‘‘আপনি যখন হাঁটছেন বা দৌড়চ্ছেন, পায়ের কাফ মাস্‌লের সঙ্কোচন-প্রসারণ হতে থাকে। সেই সময়ে পায়ের ধমনীগুলিরও সঙ্কোচন-প্রসারণ ঘটছে। সেগুলি রক্তকে আবার হার্টের দিকে পাঠাচ্ছে। ফলে পায়ে রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যার সম্ভাবনা কমিয়ে দিচ্ছে। যেহেতু পায়ের পেশি রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে, যে ভাবে হার্টও রক্ত পাম্প করে, তাই কখনও কখনও কাফ মাস্‌লকে ‘সেকেন্ড হার্ট’ বা ‘দ্বিতীয় হৃৎপিণ্ড’ বলা হয়ে থাকে।
তবে হার্টের রোগের সঙ্গে পায়ের পেশির সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি চিকিৎসকের। তাঁর মতে, পায়ের পেশি মজবুত, শক্তিশালী হলেই যে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমবে, সেই ধারণা একেবারেই সঠিক নয়। কিন্তু এ কথা ঠিক যে, পায়ের পেশি মজবুত মানে, সেই ব্যক্তি শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকেন। এর অর্থই হল, তাঁর ডায়াবিটিস, স্থূলত্ব, উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের মতো রোগের সম্ভাবনা কমা। তাই ঘুরিয়ে বলা যেতে পারে, কাফ মাস্‌লের যত্ন নিলে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকতে পারে।
কাফ মাস্‌ল শক্তিশালী করার জন্য উপযুক্ত ব্যায়াম কী কী?
কাফ মাস্‌লের ব্যায়াম করলে পায়ের নীচের দু’টি পেশি গ্যাস্ট্রোকনেমিয়াস এবং সোলিয়াস মজবুত হয়। এই পেশিগুলিই পাম্পের মতো কাজ করে। মাধ্যাকর্ষণের বিরুদ্ধে রক্তকে হার্টে পাঠায়। রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। এখানে কাফ মাস্‌লের তিনটি ব্যায়ামের কথা উল্লেখ করা হল—
১. দাঁড়িয়ে কাফ উত্তোলন: সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে, কাঁধের সমান দূরত্বে রাখতে হবে পা দু’টি। ধীরে ধীরে আঙুলগুলির ভর দিয়ে উঠতে হবে। গোড়ালিগুলিকে যথাসম্ভব টানটান করে উপরে তুলতে হবে। কয়েক সেকেন্ড দাঁড়িয়ে ধীরে ধীরে আবার পায়ের পাতা মাটিতে নামিয়ে দিতে হবে।

২. বসে কাফ উত্তোলন: দীর্ঘ ক্ষণ বসে কাজ করতে হলে এই ব্যায়ামটি অভ্যাস করা যেতে পারে। এমন একটি চেয়ারে বসতে হবে, যাতে পা দু’টি পুরোপুরি মেঝে ছুঁয়ে থাকে। দাঁড়িয়ে যে ভাবে পা তুলতে হয়, এখানেও সে ভাবেই পা দু’টি তুলতে হবে, আবার নামাতে হবে।
৩. হাঁটা বা জগিং: সহজ এবং কার্যকরী ব্যায়াম। ৩০ মিনিট দ্রুত গতিতে হাঁটা বা জগিং করলে পায়ের পেশির নমনীয়তা বাড়বে, শক্তিবৃদ্ধি হবে।

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস কেন হয়, কারণ ও চিকিৎসা কীবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী পৃথিবীতে প্রায় ৬৯৪ রকমের বাত হতে পার...
03/08/2025

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস কেন হয়, কারণ ও চিকিৎসা কী

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী পৃথিবীতে প্রায় ৬৯৪ রকমের বাত হতে পারে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস।

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস কী ও কেন হয়
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এক ধরনের বাত রোগ। শরীরের ছোট ছোট অস্থি সন্ধিগুলোতে বেশি আক্রান্ত করে বিধায় রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসকে গিট বাত বলা হয়ে থাকে।
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস অটোইমিউন ডিজিজ। অটোইমিউন ডিজিজের কারণে শরীরের ইমিউনিটি যখন শরীরের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে যখন অস্থি সন্ধিগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তখন এই ধরনের বাতরোগ হয়ে থাকে। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস হওয়ার জন্য নির্দিষ্টভাবে কোনো কারণকে এককভাবে দায়ী করা যায় না।
তবে বংশগত বা জেনেটিক কারণে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস হতে পারে বলে মনে করা হয়ে থাকে। বিশেষ কিছু সংক্রমণের কারণে, ধূমপান, পরিবেশগত কারণেও হতে পারে। এই সমস্ত কারণ যখন একসঙ্গে কাজ করে তখন এই রোগের প্রার্দুভাব দেখা দেয়।
২০ বছর বয়সের দিকে কেউ কেউ রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন ষাটোর্ধ্বরা। পুরুষের তুলনায় নারীদের মধ্যে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে আক্রান্তের হার বেশি।
লক্ষণ / কারণ :
১. বাত বলতে বোঝায় জয়েন্টে বা অস্থিসন্ধির সমস্যা, জয়েন্টে ব্যথা, ফুলে যাওয়া, অস্থিসন্ধি ভাঁজ করতে না পারা। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে সাধারণত হাত ও পায়ের ছোট ছোট জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধিগুলো বেশি আক্রান্ত হয়। শরীরের ছোট ছোট অস্থিসন্ধিগুলোতে ব্যথা হয়, গিড়া ফুলে যায়।
২. ঘুম থেকে উঠার পর সকাল বেলায় রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের রোগীরা বেশি ব্যথা অনুভব করেন।
৩. হাতগুলো ভাঁজ করতে না পারা, সকালে বা কোনো একটা সময়ে অস্থিসন্ধিগুলো আড়ষ্ট হয়ে আসা এবং এই আড়ষ্টতা ৩০ মিনিটের বেশি সময় থাকা।

৪. ঘাড়, কনুই, হাঁটু, গোড়ালি সব ধরনের অস্থিসন্ধি আক্রান্ত হতে পারে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে।
৫. রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে অস্থিসন্ধি ছাড়াও চোখ, ত্বক, ফুসফুস, হার্ট, কিডনির মত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রতঙ্গ আক্রান্ত হতে পারে।
এই ধরনের উপসর্গ যদি কারো ৬ সপ্তাহের বেশি থাকে তখন তার রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হয়। পরে রক্ত পরীক্ষা ও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা হয়।
ঝুঁকি
১. পরিবারে যদি কারো রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ইতিহাস থাকে তাদের রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস হওয়ার ঝুঁকি অন্যান্যদের তুলনায় কিছুটা বেশি। এটি ছাড়া কারা রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হবেন সেটি বলা মুশকিল।
২. রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার পর সঠিকভাবে চিকিৎসা না নিলে অস্থিসন্ধি, আঙ্গুলগুলো বেঁকে যেতে পারে। অস্থিসন্ধি ও আঙ্গুলের যে স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপ সেটি ব্যাহত হয়।
৩. ফুসফুসে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস হলে ফুসফুস শুকিয়ে যেতে পারে, দুরারোগ্য ব্যাধি ডিপিএলডি বা ডিফিউজ প্যারেনকাউমাল লাং ডিজিজে আক্রান্ত হতে পারেন যদি বাত ফুসফুসে ছড়িয়ে যায়।
৪. দীর্ঘমেয়াদী বাত থাকার কারণে বিশেষ কিছু ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। লিম্ফোমা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস।
৫. হাড় ক্ষয় রোগ বেড়ে যেতে পারে।
৬. পায়ের স্নায়ুগুলো শুকিয়ে যেতে পারে।
৭. রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস থাকার কারণে উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে, ওজন কমে যেতে পারে।
চিকিৎসা
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ক্ষেত্রে নন ফার্মাকোলজিক্যাল ও ফার্মাকোলজিক্যাল এই দুইভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

নন ফার্মাকোলজিক্যাল বা ওষুধ ছাড়া চিকিৎসা
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত রোগীকে রোগ সর্ম্পকে ধারণা দেওয়া হয়। এই রোগটি নিরাময়যোগ্য নয়, তবে নিয়ন্ত্রণযোগ্য। জীবনযাপন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা, ওজন বেশি থাকলে ওজন কমানো, ধূমপান না করা, ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা পরিহার করা এই বিষয়গুলো মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয় রোগীকে। এর পাশাপাশি কিছু বিশেষ টিকা যেমন- নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নিতে বলা হয়। যদি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস কমে যায় সেক্ষেত্রে থেরাপি নেওয়া এবং কখন চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে, কখন ফলোআপে আসতে হবে সেই বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয় রোগীকে।
ফার্মাকোলজিক্যাল বা ওষুধসহ চিকিৎসা
ফার্মাকোলজিক্যাল ব্যবস্থাপনার মধ্যে ওষুধ ২ ভাগে ভাগ করা হয়। একটি হচ্ছে ব্যথানাশক ওষুধ, যেটি সামান্য সময়ের জন্য দেওয়া হয় রোগীকে। অপরটি হচ্ছে বাত নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ, যা দীর্ঘদিন, এমনকি সারাজীবন সেবন করতে হতে পারে। রোগী যাতে নিয়মিত ওষুধ সেবন করেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধের ডোজ কমানো অথবা বাড়ানো হয় সেটি নিশ্চিত করার কথা বলেন ডা. হাবিব ইমতিয়াজ।
৩ থেকে ৪ ধরনের বাত নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ আছে, এর মধ্যে কিছু কিছু ওষুধ মুখে খাওয়ার আবার কিছু ওষুধ ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করানো হয়। এভাবে ব্যথা কমানোর মাধ্যমে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়।
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে সন্তান ধারণে সমস্যা হয় কি না
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের জন্য কোনো নারী মা হতে পারবেন না বিষয়টি তা নয়। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের কারণে গর্ভধারণে কোনো সমস্যা নেই। তবে দেখা যায় এমন কিছু ওষুধের মাধ্যমে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, যা গর্ভাবস্থায় যদি কেউ চালিয়ে যায় সেটি ওই অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং অনাগত সন্তানের জন্য বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। সেজন্য কনসিভ করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস আছে কি না সেটি জানাতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধ পরিবর্তন করে যে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম এবং গর্ভাবস্থায় নিরাপদ সেই ওষুধ দেওয়া হয় রোগীকে।
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত এক তৃতীয়াংশ রোগীর গর্ভধারণ করার পর রোগের তীব্রতা কমে যায়। সেক্ষেত্রে তাদের ওষুধ নাও লাগতে পারে, আর ওষুধ দিলেও তা কম ডোজের এবং কিছু দিনের জন্য দেওয়া হয়। কিছু কিছু রোগীর তীব্রতা একই রকম থাকে, আবার কিছু রোগীর তীব্রতা অনেক বেড়ে যায়। গর্ভাবস্থায় রোগের তীব্রতা বেশি হলে মা ও সন্তানের জন্য নিরাপদ এমন ওষুধ বেছে নেওয়া হয়। তবে কার ক্ষেত্রে কোনটা হবে সেটি আগে থেকে অনুমান করা কঠিন।।

লিভার ক্যান্সার কি? প্রকার, কারণ, পর্যায় এবং চিকিৎসা! লিভার ক্যান্সার কী? লিভার ক্যান্সার, বিশেষ করে হেপাটোসেলুলার কার্...
31/07/2025

লিভার ক্যান্সার কি? প্রকার, কারণ, পর্যায় এবং চিকিৎসা!

লিভার ক্যান্সার কী?
লিভার ক্যান্সার, বিশেষ করে হেপাটোসেলুলার কার্সিনোমা, এক ধরনের ক্যান্সার যা লিভারের কোষে উৎপন্ন হয়। এটি সাধারণত সিরোসিস বা দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস বি বা সি সংক্রমণের মতো অন্তর্নিহিত লিভারের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বিকাশ লাভ করে। লিভার ক্যান্সার লিভারের স্বাভাবিক কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে এবং সম্ভাব্যভাবে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
লিভার ক্যান্সারের লক্ষণ
লিভার ক্যান্সারের লক্ষণ ও উপসর্গ পরিবর্তিত হতে পারে তবে এতে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে:
• অব্যক্ত ওজন হ্রাস
• ক্ষুধামান্দ্য
• ক্লান্তি এবং দুর্বলতা
• পেটে ব্যথা বা ফোলাভাব
• জন্ডিস (ত্বক এবং চোখের হলুদ হওয়া)
• বমি বমি ভাব
• সহজ ক্ষত বা রক্তপাত
• পিঠে ব্যাথা
লিভার ক্যান্সারের কারণ এবং ঝুঁকির কারণ
লিভার ক্যান্সারের প্রাথমিক কারণ এবং ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:
• হেপাটাইটিস বি বা সি ভাইরাসের সাথে দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ
• দীর্ঘস্থায়ী অ্যালকোহল অপব্যবহার, নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (এনএএফএলডি) বা অন্যান্য কারণে লিভারের সিরোসিস (দাগ)
• আফলাটক্সিনের এক্সপোজার, যা নির্দিষ্ট খাদ্য পণ্যে পাওয়া এক ধরণের ছত্রাক দ্বারা উত্পাদিত বিষাক্ত পদার্থ।
• ডায়াবেটিস
• স্থূলতা
• লিভার ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস
• ধূমপান
• কিছু কিছু উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত লিভারের রোগ, যেমন হিমোক্রোমাটোসিস বা উইলসন ডিজিজ
কিভাবে লিভার ক্যান্সার নির্ণয় করা হয়?
লিভার ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক পদ্ধতি জড়িত, যেমন:
• ইমেজিং পরীক্ষা: আল্ট্রাসাউন্ড, কম্পিউটেড টমোগ্রাফি (সিটি) স্ক্যান, ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং (এমআরআই), এবং পজিট্রন এমিশন টমোগ্রাফি (পিইটি) স্ক্যানগুলি লিভারে টিউমার সনাক্ত করতে এবং কল্পনা করতে সহায়তা করে।
• রক্ত পরীক্ষা: লিভার ফাংশন পরীক্ষা এবং নির্দিষ্ট টিউমার মার্কার, যেমন আলফা-ফেটোপ্রোটিন (AFP), লিভারের স্বাস্থ্য এবং ক্যান্সারের উপস্থিতি সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য প্রদান করতে পারে।
• বায়োপসি: ক্যান্সার কোষের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে এবং ক্যান্সারের ধরন এবং পর্যায় নির্ধারণ করতে একটি টিস্যুর নমুনা একটি সূঁচের মাধ্যমে বা অস্ত্রোপচারের সময় প্রাপ্ত করা হয়।
কিভাবে লিভার ক্যান্সার চিকিত্সা করা হয়?
লিভার ক্যান্সারের চিকিত্সা ক্যান্সারের পর্যায়, সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং ব্যক্তিগত পরিস্থিতি সহ বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে। চিকিত্সার বিকল্পগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে:
• সার্জারি: প্রাথমিক পর্যায়ে লিভার ক্যান্সারের জন্য সার্জিক্যাল রিসেকশন, লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট বা রেডিওফ্রিকোয়েন্সি অ্যাবলেশন (RFA) বিবেচনা করা যেতে পারে।
• বিকিরণ থেরাপি: উচ্চ-শক্তি বিকিরণ ক্যান্সার কোষকে লক্ষ্য করে এবং ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হয়।
• কেমোথেরাপি: ওষুধগুলি ক্যান্সার কোষগুলিকে মেরে ফেলার জন্য বা তাদের বৃদ্ধিকে ধীর করার জন্য পরিচালিত হয়।
• লক্ষ্যযুক্ত থেরাপি: বিশেষভাবে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিকে লক্ষ্য এবং বাধা দেওয়ার জন্য ডিজাইন করা ওষুধ।
• ইমিউনোথেরাপি: এটি ক্যান্সার কোষ সনাক্ত করতে এবং আক্রমণ করার জন্য শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে উদ্দীপিত করে।
• উপশমকারী যত্ন: উন্নত বা মেটাস্ট্যাটিক লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের জন্য উপসর্গ ব্যবস্থাপনা এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
কিভাবে লিভার ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যেতে পারে?
যদিও লিভার ক্যান্সার সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধ করা সম্ভব নাও হতে পারে, তবে কিছু ব্যবস্থা ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে:
• টিকাকরণ: হেপাটাইটিস বি ভাইরাস (HBV) এর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ টিকা যকৃতের ক্যান্সারের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে।
• হেপাটাইটিস সি সংক্রমণ প্রতিরোধ: সূঁচ ভাগ করা এড়িয়ে চলুন, নিরাপদ যৌন অভ্যাস করুন এবং সংক্রামিত রক্তের সংস্পর্শ এড়াতে সতর্কতা অবলম্বন করুন।
• পরিমিত অ্যালকোহল সেবন: অ্যালকোহল গ্রহণ সীমিত করুন এবং অতিরিক্ত বা দীর্ঘস্থায়ী অ্যালকোহল অপব্যবহার এড়ান।
• একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা: একটি সুষম খাদ্য অনুসরণ করুন, নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপে নিয়োজিত হন এবং ডায়াবেটিস বা স্থূলতার মতো পরিস্থিতি পরিচালনা করুন।
• বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে আসা এড়ানো: অ্যাফ্লাটক্সিনের সংস্পর্শ কমানোর জন্য সতর্কতা অবলম্বন করুন, যা সাধারণত ছাঁচযুক্ত বাদাম, শস্য এবং কিছু খাদ্য পণ্যে পাওয়া যায়।
• নিরাপত্তা নির্দেশিকা অনুসরণ করুন এবং লিভার ক্যান্সারের সাথে যুক্ত পেশাগত বিপদের সংস্পর্শ কমাতে সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম ব্যবহার করুন।
কখন এবং কার সাথে পরামর্শ করবেন?
আপনি যদি অব্যক্ত ওজন হ্রাস, পেটে ব্যথা বা জন্ডিসের মতো অবিরাম লক্ষণগুলি অনুভব করেন তবে অবিলম্বে একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার প্রাথমিক পরিচর্যা চিকিত্সক বা একজন বিশেষজ্ঞ, যেমন ক গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট বা একজন অনকোলজিস্ট, আপনার লক্ষণগুলি মূল্যায়ন করতে পারে, উপযুক্ত পরীক্ষা পরিচালনা করতে পারে, একটি সঠিক রোগ নির্ণয় করতে পারে এবং চিকিত্সা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনাকে গাইড করতে পারে।

লিভার সিরোসিস থেকে বাঁচার উপায় জেনে নিনলিভার সিরোসিসে যকৃতে সূক্ষ্ম সুতার জালের মতো ফাইব্রোসিসের বিস্তার ঘটে। যকৃতে ছোট ...
30/07/2025

লিভার সিরোসিস থেকে বাঁচার উপায় জেনে নিন

লিভার সিরোসিসে যকৃতে সূক্ষ্ম সুতার জালের মতো ফাইব্রোসিসের বিস্তার ঘটে। যকৃতে ছোট ছোট গুটি দানা বাঁধে। ক্রমে যকৃৎ স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারায়। বাংলাদেশে লিভার সিরোসিসের মূল কারণ হেপাটাইটিস বি এবং সি। এ ছাড়া দীর্ঘদিন অ্যালকোহল গ্রহণ, যকৃতে মাত্রাতিরিক্ত চর্বি, অতিরিক্ত আয়রন, কপার জমে যাওয়া এবং কিছু অটোইমিউন রোগের (দেহের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থায় কোনো অস্বাভাবিকতার কারণে সৃষ্ট) কারণেও লিভার সিরোসিস হতে পারে।

লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত সবার ক্ষেত্রে শুরুতে তেমন উপসর্গ থাকে না। পেটের আল্ট্রাসাউন্ড কিংবা পেটে অস্ত্রোপচার করাতে গিয়ে হঠাৎ এ রোগ নির্ণয় হয় কারও কারও। কোনো কোনো রোগীর শারীরিক দুর্বলতা, অবসাদ, অরুচি, পেটে অস্বস্তি, ওজন কমে যাওয়া, পায়ের পেশিতে অস্বস্তি বা ক্রাম্পের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। শারীরিক পরীক্ষায় যকৃৎ এবং কখনো কখনো প্লীহা বড় পাওয়া যায়। লিভার সিরোসিস থেকে লিভার ফেইলিউর হলে পেটে, পায়ে পানি আসে, চোখ ও প্রস্রাব হলুদ হয়ে যায়। অনেকের কথাবার্তায় অসংলগ্নতা, অস্বাভাবিক আচরণ, এমনকি চেতনা হারানোর মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। লিভার সিরোসিস থেকে যকৃতের ক্যানসারের ঝুঁকিও কম নয়।
সিরোসিস মানেই কি মৃত্যু?
লিভার সিরোসিস হলেই যে রোগীর মৃত্যু হবে, তা কিন্তু হয়। এ রোগের আধুনিক চিকিৎসা রয়েছে এবং এর সব কটি বাংলাদেশেই সম্ভব। হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধে রয়েছে কার্যকর ভ্যাকসিন। জন্মের পরপর কিংবা ইপিআই শিডিউলে বাচ্চাদের হেপাটাইটিস বির টিকা দেওয়া হয়। হেপাটাইটিস বির টিকা সারা জীবন ধরে সুরক্ষা দিয়ে থাকে। হেপাটাইটিস সি প্রতিরোধে কোনো টিকা নেই। তবে অরক্ষিত যৌন সম্পর্ক পরিহার, একই ক্ষুর বা রেজরে একাধিক ব্যক্তির শেভ না করা, যেকোনো প্রকার মাদকাসক্তি পরিহার, রক্ত পরিসঞ্চালনের আগে যথাযথ পরীক্ষা, চিকিৎসার যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করে অস্ত্রোপচার, দাঁতের চিকিৎসায় জীবাণুমুক্ত সরঞ্জাম ব্যবহারের মাধ্যমে হেপাটাইটিস বি এবং সি থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব।
লিভার সিরোসিস হলে সঠিক চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এর জটিলতা রোধ করা যায় এবং একে নিয়েই দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা সম্ভব। রাস্তাঘাটে বিক্রি হওয়া দূষিত পানীয়, মাড়াই আখের রস, ব্যবহার হওয়া বরফ, শরবত, কেটে রাখা ফলফলারির মাধ্যমে হেপাটাইটিস এ এবং ই-এর সংক্রমণ হয়। এভাবে জন্ডিসে আক্রান্ত হলে লিভার সিরোসিস আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। এই সমস্যায় আক্রান্ত হলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা যাবে না।

📢 UniMed UniHealth Pharmaceuticals Limited is hiring professionals for the Quality Assurance (QA) Department.➡️ Senior Q...
29/07/2025

📢 UniMed UniHealth Pharmaceuticals Limited is hiring professionals for the Quality Assurance (QA) Department.

➡️ Senior Quality Assurance Officer/ Assistant Manager Quality Assurance

-Key Responsibilities-

➡️ Ensure audit readiness across all QA operations

➡️ Participate in mock audits, prepare CAPA, and manage audit follow-ups

➡️ Maintain documentation systems in line with international standards

➡️ Collaborate with cross-functional teams to drive continuous improvement

-Why Join Us?-

➡️ Exposure to international regulatory platforms

➡️ Dynamic and collaborative work environment

➡️ Competitive compensation and benefits

➡️ Medical assistance for employee and family members

➡️ Provident fund & gratuity

➡️ Profit share & group life insurance.

➡️ Continuous learning and development opportunities

Apply to: https://cutt.ly/uuplfactory

হেপাটাইটিস বি কীভাবে ছড়ায়, লক্ষণ ও চিকিৎসা কীহেপাটাইটিস বি হলো হেপাটাইটিস বি ভাইরাস থেকে হওয়া একটি লিভারের রোগ। এই সংক্র...
29/07/2025

হেপাটাইটিস বি কীভাবে ছড়ায়, লক্ষণ ও চিকিৎসা কী
হেপাটাইটিস বি হলো হেপাটাইটিস বি ভাইরাস থেকে হওয়া একটি লিভারের রোগ। এই সংক্রমণ তীব্র (স্বল্প ও গুরুতর) বা দীর্ঘস্থায়ী (দীর্ঘমেয়াদি) হতে পারে। হেপাটাইটিস বি ভাইরাসকে নীরব ঘাতক বলা হয় এবং বাংলাদেশে এর প্রাদুর্ভাব বেশ লক্ষণীয়।
হেপাটাইটিস বি কীভাবে ছড়ায়
হেপাটাইটিস বি ভাইরাস শরীরের বিভিন্ন তরল যেমন রক্ত, লালা, যোনী তরল ও বীর্যের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আমাদের দেশে ইনজেকশনের মাধ্যমে বেশি ছড়ায়। যারা মাদক নেন তাদের মধ্যে ছড়ায় বেশি। কারণ তারা একই সুঁই অনেকে বা বারবার ব্যবহার করেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমেও হয়। তবে এটি এখন অনেক কমে গেছে।
বাবা মায়ের থাকলে বাচ্চার হেপাটাইটিস বি হতে পারে। বিশেষ করে মায়ের থাকলে বাচ্চার হতে পারে। অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দানের মাধ্যমে হতে পারে। শরীরে ট্যাটু করার মাধ্যমে হতে পারে। সার্জিক্যাল বিষয়ের মাধ্যমেও হতে পারে এবং যৌন মিলনের ফলেও সংক্রমিত হতে পারে।
হেপাটাইটিস বি একটি নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন দিয়ে প্রতিরোধ করা যেতে পারে। সাধারণত জন্মের পরপরই কয়েক সপ্তাহ পরে বুস্টার দিয়ে দেওয়া হয়। এটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রায় ১০০ শতাংশ সুরক্ষা দেয়।
২ বিলিয়ন মানুষ (প্রতি ৩ জনের মধ্যে ১ জন) সংক্রমিত হয়েছেন এই রোগটিতে এবং প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ দীর্ঘস্থায়ি হেপাটাইটিস বি সংক্রমণ নিয়ে জীবন অতিবাহিত করছেন। প্রতি বছর প্রায় ১ মিলিয়ন পর্যন্ত মানুষ হেপাটাইটিস বি আক্রান্ত হয়ে মারা যান, যদিও এটি একটি প্রতিরোধযোগ্য ও চিকিৎসাযোগ্য অসুখ।
হেপাটাইটিস বি এর লক্ষণ
সদ্য সংক্রমিত হলে অধিকাংশ মানুষ কোনো উপসর্গ অনুভব করেন না। সাধারণত সংক্রমণের প্রায় ১ থেকে ৪ মাস পর এই লক্ষণগুলো বোঝা যায়। বেশ কিছু লোকের ক্ষেত্রে, সাধারণত ছোট বাচ্চাদের কোনো উপসর্গ নাও থাকতে পারে।
হেপাটাইটিস বি এর সাধারণ লক্ষণ ও উপসর্গ হচ্ছে-
● পেটে ব্যথা
● গাঢ় প্রস্রাব
● জ্বর
● সন্ধিতে যন্ত্রণা
● ক্ষুধামান্দ্য
● বমি বমি ভাব ও বমি
● দুর্বলতা ও ক্লান্তি
● ত্বক ও চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যাওয়া, যাকে সাধারণ কথায় জন্ডিস বলা হয়
● হেপাটাইটিস বি ভাইরাস গুরুতর আকার ধারণ করলে বা লিভারকে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত করলে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে
চিকিৎসা
একিউট হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের প্রয়োজন হয় না। তবে সবার ক্ষেত্রে না হলেও অনেকের ক্ষেত্রে ক্রনিক হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের প্রয়োজন হয়। ইনজেকশন ও মুখে খাওয়া ২ ধরনের ওষুধই বাজারে সহজলভ্য।
মুখে খাওয়ার ওষুধ সাধারণত সারাজীবনই খেয়ে যেতে হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মুখে খাওয়ার ওষুধ কখনো হঠাৎ বন্ধ করতে নেই। এতে লিভার আরও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত ওষুধের কোনোটিই হেপাটাইটিস বি ভাইরাসকে একেবারে নির্মূল করতে পারে না, নিয়ন্ত্রণ করতে পারে মাত্র। এসব ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই সামান্য।
হেপাটাইটিস বি একটি প্রাণঘাতী ভাইরাস হলেও একে টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায়। বাংলাদেশে ২০০৩-৫ সাল থেকে শিশু জন্মের পর ইপিআই ভ্যাকসিন শিডিউলের মাধ্যমে অন্যান্য রোগের পাশাপাশি হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের টিকা বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া পূর্ণবয়স্ক মানুষও চাইলে যেকোনো বয়সে এই ভাইরাসের টিকা নিতে পারবেন। ০, ১ ও ৬ মাস অন্তর মোট ৩ ডোজ টিকা নিলেই এই রোগের আক্রমণ থেকে বাঁচা যায়।
টিকা দেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। এসব পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা হয়, আগে কখনো এই ভাইরাস আক্রমণ করেছে কি না এবং শরীরে এরইমধ্যে রোগ প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে আছে কি না। একবার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গেলে আর টিকা নেওয়ার সুযোগ নেই।

Address

House# 520 Post Office# Shyamlapur, Washpur, After Bosila Bridge
Dhaka
1310

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when UniMed UniHealth Pharmaceuticals Limited posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to UniMed UniHealth Pharmaceuticals Limited:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram