10/05/2025
আসসালামু আলাইকুম। সবাইকে মা দিবসের শুভেচ্ছা।
প্রতি বছর মা দিবস আসে। আমরা নানা ব্যক্তি- নানা প্রতিষ্ঠান- নানান রকম একটিভিটি দিয়ে এই বিশেষ দিনটিকে উদযাপন করি। গভীরভাবে স্মরণ করি মায়েদের অবদান। কিন্তু আমি লক্ষ্য করেছি, এতো এতো আয়োজনের মধ্যে, আমরা প্রায়শই একটা বিষয় উপেক্ষা করে যাই- মায়েদের মানসিক স্বাস্থ্য। আমাদের জন্য, সমাজের জন্য, আমাদের সন্তান ও তাদের ভবিষ্যতের জন্য মায়েদের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক কতোটা গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে আলোচনা তোলাটা অত্যন্ত জরুরি।
গর্ভধারণ থেকে শুরু করে দ্বিতীয় জন্মদিন, অর্থাৎ একটি শিশুর জীবনের প্রথম ১,০০০ দিন- তার ভবিষ্যতের ভিত্তি গড়ে তোলে। এই সময়ে, মায়ের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা শিশুর মস্তিষ্কের গঠন, আবেগীয় বিকাশ এবং সামাজিক দক্ষতার উপর সরাসরি প্রভাব বিস্তার করে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে মায়ের সংবেদনশীলতা— অর্থাৎ সন্তানের চাহিদা বুঝে সঠিকভাবে সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা— শিশুর আবেগ নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক দক্ষতা এবং ভবিষ্যতের মানসিক সুস্থতার সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে সম্পর্কিত।
তবে দু:খের বিষয় এই যে- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, উন্নয়নশীল দেশে প্রতি ৫ জন মায়ের মধ্যে ১ জন সন্তান প্রসবের পর বিষণ্নতায় ভোগেন। এই মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা যদি যথাযথভাবে সমাধান করা না হয় তবে তা শিশুর বিকাশে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
দর্পণ কাউন্সেলিং ও সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান বিশ্বাস করে যে একটি সুস্থ মা মানেই একটি সুস্থ প্রজন্ম। তাই আমরা মায়েদের মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অত্যন্ত তৎপর; যাতে মায়েরা তাদের সন্তানের জন্য একটি নিরাপদ, ভালোবাসাপূর্ণ এবং সহানুভূতিশীল পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারেন।
এই মা দিবসে, আসুন আমরা মায়েদের মানসিক সুস্থতার গুরুত্ব স্বীকার করি এবং তাদের পাশে দাঁড়াই। মনে রাখবেন- মায়ের ভালো থাকা আপনার সন্তানের প্রাথমিক বিকাশ সুষ্ঠু ভাবে হওয়ার জন্য বিকল্পহীন। মায়ের যত্ন নেওয়া মানেই আপনার সন্তানের ভবিষ্যতের যত্ন নেওয়া।
প্রিয় মায়েরা, আপনাদের ভালোবাসা, ধৈর্য্য এবং আত্মত্যাগের জন্য আপনাদের প্রতি আমাদের গভীর কৃতজ্ঞতা।
ধন্যবাদ।
জাকিয়া আনাম,
প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান,
দর্পণ কাউন্সেলিং ও সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান।
১১. ০৫. ২০২৫| বিশ্ব মা দিবস|
Zakia Anam