ASH SHIFA Homoeo HALL

ASH SHIFA Homoeo HALL Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from ASH SHIFA Homoeo HALL, Medical and health, Shop : 30, Ground Floor, Darussalam Shoping Complex, Kallayanpur, Dhaka.

07/08/2022

Cascara Sagrada
( ক্যাস্কারা সাগ্রাডা)
কোষ্ঠবদ্ধতা রোগে এই ঔষধটি অতিশয় উপযোগী ৷ সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করলে কোষ্ঠ পরিষ্কার হয় , কিন্তু এর ফলে অন্ত্রের বিন্দুমাত্র উত্তেজনা হয় না ৷
অম্লাজীর্ন , কামেলা (জন্ডিস) রোগে বেশ উপকারী ৷
তাছাড়া পেশী ও সন্ধিবাতে এর কার্যকারীতা বেশ ৷
উপরের সমস্যা সম্বলিত রোগীর ক্ষেত্রে আমি নিজে এই ঔষধ প্রয়োগে করে অনেক রোগীরই রোগ আরোগ্য হয়েছে ৷ ( আলহামদুলিল্লাহ )

কী কী লক্ষন থাকলে মেডিসিন টি ব্যবহার করা যায় -
১. ভীষণ কোষ্ঠবদ্ধতা
২. র্দীঘ কাল অজীর্ন রোগে ভোগা
৩. মুখে ও নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ
৪. জিহ্বা থলথলে, ক্লেদযুক্ত
৫. কোষ্টের সাথে পেশী ও সন্ধিবাতে ব্যবহার ৷

31/07/2022

হার্নিয়া রোগে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ- (Hernia treatment in Homeopathy )

#হার্নিয়াঃ

যদি কোন কারণে পেটের অভ্যন্তরে চাপের পরিমাণ বেড়ে যায় (Increase Internal pressure), তাহলে আমাদের অন্ত্রের (Intestinal) বিভিন্ন অংশ ঐ চাপে স্থানচ্যূত হয়ে সেই দুর্বল যায়গা দিয়ে প্রবেশ(penetrate) করে ফেলে তখন নাভী, উদর (Abdomen) ও উরুর সংযোগস্থল (Inguinal region), অণ্ডকোষ (Te**es) ইত্যাদি এলাকা ফুলে ওঠে। এটিই হল হার্নিয়া।

কেন উদর অভ্যন্তরের চাপ বৃদ্ধি পায়?

* পুরনো কাশি (Chronic cough)
* হাঁচি (Sneezing)
* কোষ্ঠকাঠিন্য (Constipation)
* প্রোস্টেটগ্রন্থি বড় হয়ে যাওয়া (Enlarge prostrate gland)
* প্রেগনেন্সি (Pregnancy) ইত্যাদি

#প্রকারভেদঃ

ইঙ্গুইনাল হার্নিয়া (Inguinal Hernia):
এই ধরনের হার্নিয়ায় অন্ত্রের অংশবিশেষ (Parts of intestine) উদর ও উরুর সংযোগস্থলে ইঙ্গুইনাল অঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করে। তখন উদর ও উরুর সংযোগস্থল ফোলা মনে হয়।

ইঙ্গুইনো-স্ক্রোটাল(Inguino-scrotal):
এধরনের হার্নিয়া ইঙ্গুইনাল হার্নিয়াতে কোন ব্যবস্থা না নিলে হয়ে থাকে। তখন অন্ত্রের অংশবিশেষ নামতে নামতে একেবারে অন্ডকোষে (Te**es) এসে প্রবেশ করে(Enter), ফলে অন্ডথলি (Sc***um) ফুলে যায়।

ফিমোরাল হার্নিয়া(Femoral Hernia):
ফিমোরাল হার্নিয়া সাধারনত মহিলাদের হয়। এক্ষেত্রে উরুর ভেতরের দিকে স্ফিতি দেখা দেয়।

আম্বিলিকাল হার্নিয়া(Umbilical Hernia):
এক্ষেত্রে নাভির চারপাশ(Around Naval) বা একপাশ ফুলে ওঠে।

ইনসিসনাল হার্নিয়া(Incisional Hernia):
উদরের পূর্বে অপারেশন (Previous operation area) করা হয়েছে এমন অঞ্চলে ইনসিসনাল (Incisional) হার্নিয়া হয়। কেননা অপারেশনের ফলে সেই অঞ্চল খানিকটা দুর্বল হয়ে পড়ে।

#হার্নিয়ার লক্ষণঃ

* কুঁচকি বা অন্ডথলি (Sc***um) ফুলে যাওয়া।
* নাভির (Naval) আশপাশ ফুলে যাওয়া।
* উরুর গোড়ার ভেতর (Inguinal region) দিক ফুলে যাওয়া।
* পেটে পূর্বে অপারেশন (Operation area) করা হয়েছে এমন স্থান ফুলে যাওয়া।

#জটিলতাঃ

* প্রচন্ড ব্যাথা (Severe headache)
* বমি ভাব (Nausea)
* বমি (Vomiting)
* মল ত্যাগে অসুবিধা (Difficulty evacuation)
* হার্নিয়ার চিকিৎসায় বিলম্ব (Late stage of treatment) হলে আটকে যাওয়া খাদ্য নালীর রক্ত(Blood circulation) সরবরাহ ব্যাহত করে গ্যাংগ্রিন (Gangrene) ঘটাতে পারে।
* পেরিটোনাইটিস (Peritonitis)
* সেফটিসেমিয়া (Septicemia)
* শক (Shock)
* মৃত্যুও(Death) হতে পারে।

#রোগ নির্ণয়ঃ

সাধারণ শারীরিক পরীক্ষায় মাধ্যমে ইন্টেস্টইনাল হার্নিয়া (Intestinal hernia) নির্ণয় করা হয়। আপনার চিকিৎসক আপনাকে আপনার উপসর্গগুলো জানতে চাইবেন, তারপর কুঁচকি (Inguinal hernia) এলাকায় ফোলাটা (Swelling) পরীক্ষা করে দেখবেন। যেহেতু কাশি দিলে হার্নিয়া অধিক স্পষ্ট হয়ে দেখা দেয়, তাই কাশি (Coughing) দেয়াটাও আপনার পরীক্ষার একটা অংশ হতে পারে।

#প্রতিরোধঃ

স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুনঃ
যদি আপনার ওজন স্বাভাবিক ওজনের চেয়ে বেশি থাকে (Over weight), তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ (Consult) মতো ব্যায়াম ও খাদ্যগ্রহণ করুন। উচ্চ আঁশসমৃদ্ধ খাবার খান। টাটকা ফলফূল ও শাক-সবজি এবং সম্পূর্ণ খাদ্যশস্য আপনার সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

ভারী বস্তু উত্তোলনে সতর্ক হোনঃ
পারতপক্ষে ভারী বস্তু উত্তোলন করবেন না। যদি একান্তই উত্তোলন করতে হয় তাহলে সর্বদা হাঁটু ভাঁজ করে শুরু করবেন, কখনো কোমর (Waist) বাঁকাবেন না।

ধূমপান বন্ধ করাঃ
ধূমপান মারাত্মক রোগ যেমন ক্যান্সার (Cancer), এমফাইসেমা (Emphysema) ও হ্নদরোগের ঝুঁকি (Risk) বাড়াতে পারে। এ ছাড়া ধূমপান সচরাচর দীর্ঘস্থায়ী কাশির সৃষ্টি করে, যা ইনগুইনাল হার্নিয়া (Inguinal) সৃষ্টিতে উৎসাহ জোগায়।

#হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ

রবিন মার্ফি'র রেপার্টরী হার্নিয়া আরোগ্য সহায়ক ওষুধসমূহের নাম তুলে ধরা হলোঃ

১ম গ্রেডঃ লাইকোপোডিয়াম, নাক্স ভম।

২য় গ্রেডঃ এলিয়াম সেপা, এলোমিনা, এপিস মেল, অ্যাসারাম, অরাম, ক্যাল্কেরিয়া কার্ব, ক্যার্বো এনি, কার্বো ভেজ, ককোলাস, কফিয়া, ডিজিটালিস, ম্যাগ কার্ব, ম্যাগ এসিড, নাইট্রিক এসিড, অপিয়াম, রাস টক্স, সাইলিসিয়া, স্পাইজেলিয়া, এসিড সালফ, সালফার, ভেরেট্রাম, জিঙ্ক।

৩য় গ্রেডঃ ইস্কিউলাস হিপ, এমোন কার্ব, বার্বারিস, ক্যাল্কেরিয়া আর্স, ক্যাপসিকাম, ক্যামোমিলা, কলোসিন্থ, ল্যাকেসিস, ম্যাগ মিউর, মিলিফোলিয়াম, পেট্রোলিয়াম, ফসফরাস, সোরিনাম, সারসাপেরিলা, স্ট্যাফিস্যাগ্রিয়া, টেলুরিয়াম, থুজা।

(( আপনি যদি এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে সুচিকিৎসা পেতে আপনার রোগ লক্ষণগুলো পেজে ম্যাসেজ দিয়ে বিস্তারিত জানান))

31/07/2022

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

রোগ বিবরণঃ-অধিক শারীরিক বা মানসিক পরিশ্রম জীবনী শক্তির দুর্বলতা,অধিক বীর্যক্ষয়,কঠিন রোগ ভোগের পর,রাত্রি জাগরন,স্নায়ুবিক দুর্বলতা,শোক,দুঃখ ইত্যাদি কারণে এই রোগ অধিক হয়।কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করা সম্ভব।
চিকিৎসাঃ
এনাকার্ডিয়ামঃ-হঠাৎ স্মৃতি শক্তি লোপ এই মাত্র বলিয়া দিলে একটু পরেই ভুলিয়া যায়।কিছুই মনে রাখিতে পারে না।কোন রোগ ভোগের পর স্মরন শক্তি কমিয়া গেলেও বালক বা যুবকদের স্মরণ শক্তি হ্রাস হলে এনাকার্ডিয়াম অব্যর্থ।এনাকার্ডিয়ামরোগী মনে করে তাহার পিছনে একটি দেবদুতের প্রভাব রয়েছে,সে তার দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে।ছাত্ররা পরীক্ষার আগে পড়া ভুলিয়া যায়।পরীক্ষায় ফেলের আশঙ্কা করে।পরীক্ষার পনের দিন পূর্ব হতে এনাকর্ডিয়াম খেলে পরীক্ষায় ফেল করার ভয় কেটে যায়,এবং স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।
ল্যাক ক্যানঃ-স্নায়বিক দুর্বল রোগী,লিখতে ভুল করে এক বিষয়ে লিখতে গিয়ে অন্য বিষয় লিখে ফেলে।দোকানে ক্রয় করা দ্রব্য ভুলে ফেলিয়া যায়।লইয়া যাইতে মনে থাকে না।ইত্যাদি লক্ষণে ল্যাক ক্যান উপকারী।
ব্যারাইটা কার্বঃ-বৃদ্ধ বয়সে স্মরণ শক্তি হ্রাস,একটু আগে কি বলিল কিছুক্ষণ পরে তা স্মরণ করিতে পারে না।এইমাত্র বলিয়া দিন কিছুক্ষণ পরেই তাহা ভুলিয়া যায়।এই সমস্হ লক্ষণে ইহা প্রযোজ্য।শিশু লোকজনের সামনে আসতে চায়না। শিশু লেখাপড়ায় অমনোযোগী।কিছুই স্মরণ করতে পারে না।পড়ার প্রতি অমনোযোগিতা থেকে মুক্তি দিতে ও পড়ায় মনোযোগী করতে ব্যারাইটা কার্ব উপযোগী। শিশু যেন জড়পদার্থ,বুদ্ধির খর্বতা,সহজেই ঠান্ডা লাগে,টনসির প্রদাহ হয় সেই সকল বালকদের জন্য উপযোগী।
হেরিবোরাস নাইজার ঃসকল কাজে ামনোযোগী,উদাসিন রোগীর স্মরণশক্তি কমে গেরে উপযোগী।স্টোকের পরে স্মরণশক্তি হাড়োলে সেই স্মরণশক্তি ফিরিয়ে আনতে হেলিবোরাস উযোগী।
লাইকোপোডিয়া ঃরোগী এক সময় ভাল স্মরণ শক্তি ছিল কিন্তু আস্তে আস্তে কমে যায়।লেখার সময় উপযুক্ত শব্দ মনে পরে না।পেটেটের গোলযোগের রোগী আস্তে আস্তে স্মরণ শক্তি দুর্বর হলে লাইকোপোডিয়াম উপযোগী।
মেডোরিনামঃ-এই ঔষধের রোগীর স্মরণ শক্তি এতই দুর্বল হইয়া পড়ে যে,বহু পরিচিত বন্ধু-বান্ধবের নাম,এমনকি ছেলে মেয়েদের নামও সময় সময় ভুলিয়া যায়।কথা বলিতে বলিতে পরে কি বলিবে মনে করিতে পারে না।
এম্ব্রাগ্রেসিয়া ঃযে সকল রোগী লাজুক স্মরণশক্তি কম তাদের জন্য এম্ব্রাগ্রেসিয়া উপযোগী।যে সকল রোগী ফফিসের বস কিংবা উন্টারভিউ বোর্ডের কাছে উপস্হিত হতে ভয় পায়,সংখ্যা মনের থাকে না বিশেষ করে বৃদ্ধদের স্মরণশক্তি বুদ্ধিতে এম্ব্রাগ্রেসিয়া উপযোগী।
ক্যানাবিস ইন্ডিকা ঃঅত্যন্ত মন ভোলা কিছু স্মরণে রাখতে পারে না।বিশেষ করে কোন কথা বলার সময় পরবর্তি কথা গুছাইতে কষ্ট হয়,মনে করতে পারে না।তাহার মাথায় হাজার চিন্তার ভির,কন্তিু সময়মত উস্হাপন করতে ব্যার্থ রোগীর স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি ও উপস্হাপনের যোগ্যতা বৃদ্ধি হয়।
স্মরণ শক্তি বৃদ্ধির বাইওকেমিক চিকিৎসাঃ
ক্যালি ফসঃ-এই মাএ বলিয়া দিন পরক্ষণেই ভুলিয়া যায়।লিখিবার সময় বানান ভুল করে সর্ব প্রকার স্মরণ শক্তি হ্রাসে ক্যালি ফস প্রধান ঔষধ।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার পাশাপাশি সাকশব্জি,কফি,বাদাম,জাম,সামুদ্রিক মাছ,স্টবেরি,গমের রুটি,মাঠা বা ঘোল ইত্যাদি খাদ্য খেলে স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি পায়।
★ হোমিওপ্যাথি অর্গানন অব মেডিসিন সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলে নিজে নিজে ঔষধ সেবন করে বিপদ ডেকে আনবেন না। কারন পোস্টটা নবীন ডাক্তারদের জন্য লিখিত।
প্রিয় পাঠক, আপনার যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে পেজে ম্যাসেজ দিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেন।★
*******************************

28/07/2022

স্মৃতিশক্তি নিরাময়ে হোমিওসমাধান
ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ


স্মৃতিশক্তি আমাদের জন্য কতটা প্রয়োজন তা বলার অবকাশ থাকে না। সকল শক্তির উৎস মহান সৃষ্টিকর্তা। স্রষ্টার সকল সৃষ্টির মাঝেই শক্তি বিদ্যমান। শক্তির কারণেই সমগ্র সৃষ্টি ক্রিয়াশীল। শক্তিহীন মানে মৃত, ধ্বংস, মূল্যহীন। স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া একটি বিরক্তিকর মানসিক সমস্যা। শরীরের পাশাপাশি মস্তিষ্কের পুষ্টির জন্য সুষম খাবার অত্যন্ত জরুরি।

মস্তিষ্ক সঠিক পুষ্টি না পেলে অনেক ক্ষেত্রেই স্মৃতিভ্রমসহ আরও নানান সমস্যা দেখা দেয়। তবে খাদ্যাভ্যাস ছাড়া আরও বেশকিছু কারণে দুর্বল স্মৃতিশক্তির সমস্যা দেখা দিতে পারে। আজ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি নিয়ে কলাম লিখেছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট হোমিও গবেষক ডা. এম এ মাজেদ।

তিনি তার কলামে লিখেন— সমপ্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বিশ্বজুড়ে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ বৃদ্ধি সম্পর্কে ভয়ঙ্কর তথ্য প্রদান করেছে। তাদের দেয়া তথ্য মতে, বিশ্বে স্মৃতিশক্তি সমস্যাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা চার কোটি ৭৫ লাখ।

প্রতি বছর এই দলে যুক্ত হচ্ছে আরও ৭০ লাখ ৭০ হাজার মানুষ। বর্তমানে মানুষের মস্তিষ্কের কোষের উৎপাদনের হার নিম্নমুখী। মস্তিষ্কের সুস্থতা এবং কার্যক্ষমতাকে বৃদ্ধি করবে। আমাদের সমস্যা নানাবিধ। তন্মধ্যে শিশুদের মেধার সমস্যা অন্যতম। একজন অভিভাবক চান, তার সন্তান মেধাবী হোক, শিক্ষক চান তার ছাত্র-ছাত্রীরা মেধাবী হোক। শিশুদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের একই চাওয়া শিশুরা মেধাবী হয়ে গড়ে উঠুক। সমাজের সুধীজনদেরও একই কামনা-বাসনা।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের ব্রেন ২.৫ পেটাবাইটস ডাটা ধারণ করতে পারে। ১ পেটাবাইটস= ১০২৪ টেরাবাইটস , ১ টেরাবাইটস= ১০২৪ গিগাবাইটস। এবার ধরি, যদি একটি কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক ১ টেরাবাইটস বা ১০২৬ জিবি হয় তাহলে ২.৫ পেটাবাইটস= ২৫৬০টি কম্পিউটারের হার্ডডিস্কের ধারণক্ষমতার সমান। সুতরাং আমাদের প্রত্যেকের ব্রেনে ২৫৬০টি কম্পিউটারের হার্ডডিস্কের সমান তথ্য ধারণ করার ক্ষমতা রয়েছে।

এবার হয়তো ভাবছেন আমাদের ব্রেনে যদি এতো ধারণক্ষমতা থাকে, তাহলে আমরা মনে রাখতে পারি না কেন? ঠিক ধরেছেন, এমনটা হতে পারে স্মরণশক্তি কমে যাওয়ার কারণে। গরিবের সন্তানের মেধা আছে- বিকশিত হওয়ার সুযোগ কম।

ধনীর দুলালের মেধা কম- অর্থ দিয়ে সব কেনা যায় কিন্তু মেধা কেনা যায় না। দুর্বল ও অমনযোগী ছাত্র-ছাত্রীদের অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের সুচিকিৎসায় হোমিও ওষুধ সেবনের মাধ্যমে শিশুদের অমনযোগিতা দুরীকরণসহ মেধাবিকাশে সহায়ক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে ভুলে যাওয়া খুবই সাধারণ প্রক্রিয়া। সময়ের সাথে সাথে মানুষের স্মৃতি দুর্বল হয়ে যায়। তবে সময়ের এই প্রভাবকে একটু দীর্ঘায়িত করা যায়। হার্ট, ফুসফুস, পেশির যত্নের সাথে সাথে সুস্থ থাকতে হলে খেয়াল রাখতে হবে আপনার মস্তিষ্কের দিকেও। বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে।

ছাত্র-ছাত্রীর অমনযোগী হওয়ার কারণ—
* অভিভাবককেই প্রথম পদক্ষেপ নিতে হবে তার শিশুর গঠন প্রকৃতি নিয়ে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া ও আপনার শিশুর সুচিকিৎসা নেয়া।
* হোমিও চিকিৎসককে আগত শিশুকে পর্যবেক্ষণ করে লক্ষণ সাদৃশ্য ও ধাতুগত চিকিৎসা প্রদান করে অমনযোগী ও অমেধাবী শিশুকে সহায়তা প্রদান করা যেতে পারে।
* সমাজের অভিভাবক সমাজ ও সচেতন মানুষদের পদক্ষেপ নিতে হবে- তাদের সমাজের শিশুদের অভিজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে শিশুর চিকিৎসা নেয়ার জন্য সমাজে সচেতনতা গড়ে তোলা।
সাধারণ কিছু কারণ : হস্তমৈথুনজনিত কারণে, মদ্যপানজনিত কারণে, বার্ধক্যজনিত কারণ, অতি বাচাল-মানসিক উত্তেজনার কারণে।

খাদ্য দিয়ে স্মরণ শক্তির চিকিৎসা : খাদ্য খাইলে মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে। তৈলাক্ত মাছ স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বিশেষ উপকারী। যেমন- স্যামন, সার্ডিন, টুনা, ম্যাকরেল প্রভৃতি মাছ নিয়মিত খাওয়া উচিত।

মাছের চর্বি : মাছের চর্বিতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা মস্তিষ্ক গঠন ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুবই সহায়ক। অনাগত সন্তানের সুস্বাস্থ্যের জন্য গর্ভবতী নারীদের সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মাছ খেতে পরামর্শ দেয়া হয়। মাছ শিশুর মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। স্যামন এবং টুনা মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের সবচেয়ে ভালো উৎস।

টমেটো : টমেটো স্মৃতিশক্তি সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। টমেটোতে রয়েছে লাইকোপেন, যা খুবই শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। নিয়মিত খাবারের সঙ্গে সালাদ হিসেবে টমেটো খেলে তা মস্তিষ্কের পক্ষে বিশেষ উপকারী।

ভিটামিন ‘বি’ সমৃদ্ধ খাবার : ভিটামিন বি, বি৬, বি১২ সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খাওয়া প্রয়োজন। মাছ, মুরগির মাংস, ডিম এবং শাক জাতীয় খাবারে এর পরিমাণ বেশি থাকে।

শস্য জাতীয় খাবার : শস্য জাতীয় খাবার, বাদাম, ব্রকোলি, কুমড়োর দানা মস্তিষ্কের বিকাশের ক্ষেত্রে বিশেষ উপকারী। এ কারণে নিয়মিত ডায়েট চার্টে এগুলো বেশি বেশি রাখা উচিত।

স্মৃতি শক্তির জন্য পরামর্শ—
কাঠবাদাম : ৫ থেকে ১০টি কাঠবাদাম সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং একে গুঁড়া করুন। এক গ্লাস দুধের মধ্যে এই গুঁড়া মিশিয়ে ফুটান। স্বাদ বাড়ানোর জন্য সামান্য চিনি বা মধু মেশাতে পারেন। ৩০ থেকে ৪০ দিন এটি প্রতিদিন খান।

মধু ও দারুচিনি : মধু ও দারুচিনি স্নায়ুকে শিথিল করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। গবেষণায় বলা হয়, কেবল দারুচিনি একটু নাকের কাছে নিয়ে শুঁকলেও স্মৃতিশক্তি ভালো হয়, এতে মস্তিষ্কের কার্যক্রম বাড়ে।

অনেকে এ-ও বলেন, ঘুমের আগে মধু খেলে মানসিক চাপ কমে; ঘুমেও সাহায্য হয়। এটি স্মৃতি একত্রীকরণে ভূমিকা রাখে। যা করতে হবে— এক চা চামচ কাঁচা মধুর মধ্যে এক চিমটি দারুচিনি মেশান। কয়েক মাস ধরে প্রতি রাতে এটি খান।

ডিম : যেকোনো পুষ্টিবিদই আপনাকে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিবেন। ডিমে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিগুণ। ডিমের হলুদ অংশে কোলিন (দ্রবণীয় নিউট্রিয়েন্ট) রয়েছে, যা মস্তিষ্কের জন্য বেশ দরকারি। বিশেষ করে ক্ষণস্থায়ী স্মৃতিশক্তির ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে।

শাক : শাক শরীর গঠনের খাবার হিসেবে পরিচিত। তাছাড়া শাকে লুটেনিন নামে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি কগনিটিভ (জ্ঞান অর্জন ও চিন্তা করার ক্ষমতা) পতন প্রতিরোধ করে। লুটেইন মস্তিষ্কের প্রধান কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি ও শেখার ক্ষমতার উন্নয়ন করে।

কালো চকোলেট : এতে প্রাকৃতিক উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী উপাদান এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। পরিমিত মাত্রায় চকোলেট খেলে এরমধ্যে থাকা ক্যাফেইন আপনার মস্তিষ্ক এবং মেজাজ স্বাভাবিক রাখবে।

ব্যায়াম : স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিকারক এসব খাবার গ্রহণের পাশাপাশি নিয়মিত স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম করা যেতে পারে। আর অবশ্যই প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াও জরুরি।

মস্তিষ্কে খেলা খেলুন : নিয়মিত ব্রেনের কাজ করলে মস্তিষ্ক ভালো থাকে। সুডোকো কিংবা ক্রসওয়ার্ডস খেলাসহ ব্রেনের ব্যায়াম হয় এমন খেলা খেললে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় সেই সঙ্গে মস্তিষ্ক অধঃপতন হওয়া থেকে রক্ষা করে।

পরিমিত ঘুম : ঠিকমতো ঘুম না হলেও স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়। ঘুমের সময়ের ওপর স্মৃতিশক্তি হ্রাস ও বৃদ্ধি পায়। দৈনিক আট ঘণ্টা গভীর ঘুম হলে স্মৃতিশক্তি অস্থায়ী থেকে দীর্ঘমেয়াদি হবে।

হোমিওসমাধান : রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয়। হোমিওপ্যাথি হলো সুস্থ শরীরে কোনো একটি ওষুধ প্রয়োগ করলে যেসব লক্ষণ প্রকাশ পায়, কোনো পীড়ায় সেই সমস্ত লক্ষণ প্রকাশিত হলে সেই পীড়ার ওই ওষুধ সূক্ষ্ম মাত্রা দ্বারা চিকিৎসা করাকেই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বলে।

সদৃশ্য বিধান মতে চিকিৎসা, শুধুমাত্র সাদৃশ্য হলেই প্রকৃত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা হয় না। এর জন্য অর্গান অব মেডিসিন বা হোমিওপ্যাথির জনক ডা. স্যামুয়েল হানেমানের রচনা অনুসরণ করতে হবে। হোমিওপ্যাথিতে শারীরিক লক্ষণের চাইতে মানসিক লক্ষণের গুরুত্ব বেশি দিয়ে ওষুধ প্রেসক্রাইব করা হয়।

হোমিওপ্যাথির মূলনীতিতে এবং হোমিও ওষুধের গুণাবলী বিশ্লেষণে মানসিক লক্ষণের এতোই ছড়াছড়ি দেখা যায় যে, যেকোনো মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ তা অধ্যয়ন করলে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যাবেন।

এবং তার মনে হতে পারে যে, হোমিওপ্যাথি বুঝি বা আদতেই একটি মানসিক রোগ বিজ্ঞান। তাছাড়া হোমিও ওষুধের ব্যবহার বিধিও বেশ আরামদায়ক, মুখে খাওয়ালেই চলে। এমনকি যেসব মানসিক রোগী ওষুধ খেতে অস্বীকার করে তাদের পানি, দুধ, শরবত, চা, বিস্কিট, ভাত, মুড়ি বা অন্য খাবারের সাথে মিশিয়ে ওষুধ খাওয়াতে পারবেন।

হোমিও ওষুধ রোগীকে খাওয়ানো ছাড়াও বিকল্প পদ্ধতিতে যেমন- আঘ্রাণ, চামড়ায় মর্দন, চুলে, প্রভৃতি পদ্ধতিতে হোমিও ওষুধ প্রয়োগ করতে পারবেন; রোগী জানতেই পারবে না যে তাকে ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে।

হোমিওচিকিৎসা : অভিজ্ঞ চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য যেসব ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন— সালফার, অরামটোলিকাম, নাক্স ভমিকা, টিউবারকুলার, মেডোরিনাম, জিংকাম মেটালিকাকাম, বিউফো রানা, এনাকার্ডিয়াম, কার্বোভেজ, এসিডফস, ব্যারাইটা কার্ব, কোনিয়াম, ক্যাল-কার্ব, ল্যাকেসিস, থুজাসহ আরও অনেক মেডিসিন লক্ষণের ওপর আসতে পারে। তাই ওষুধ নিজে নিজে ব্যবহার না করে বিশেষজ্ঞ হোমিওচিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

লেখক : কো-চেয়ারম্যান : হোমিওবিজ্ঞান গবেষণা ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র

21/07/2022

★পুরুষত্বহীনতা বা IMPOTENCY
*******************************
পুরুষত্বহীনতা যা পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতাকে বুঝায়। যা সমাজে প্রকট আকার ধারন করেছে। এতে উঠতি বয়সের যুবকরা হতাশ। এ সমস্যা যে কোন বয়সেই হতে পারে, সে ক্ষেএে লজ্জা, অবহেলা, আজ কাল, না করে জটিল হওয়ার পূর্বেই দ্রুত চিকিৎসা নেয়া আবশ্যক।

★পুরুষত্বহীনতা কি?
ইহা পুরুষের যৌনকার্যে অক্ষমতাকে বুঝায়।
★শ্রেণীবিভাগঃ পুরুষত্বহীনতাকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
১| ইরেকশন ফেইলিউরঃ পুরুষের লিঙ্গের উথানে ব্যার্থতা।
২|পোনিট্রেশন ফেলিউরঃ লিঙ্গের যৌনিদ্বার ছেদনে ব্যার্থতা বা অক্ষমতা।
৩|প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশনঃ সহবাসে দ্রুত বীর্যপাত তথা স্বায়ীত্বের অভাব।

★কারণঃ * অতিরিক্ত কু-অভ্যাস ( হস্তমৈথুন, পর্ণ ছবি,) * যৌনবাহিত রোগ( সিফিলিস, গনোরিয়া).* রক্তে সেক্স-হরমোনের ভারসাম্যহীনতা,* ডায়াবেটিস, *দুশ্চিন্তা,টেনশন, অভসাদ, ও অ-পুষ্টি, *যৌনরোগ বাএইডস ভীতি, * সেক্স-এডুকেশের অভাব. * বয়সের পার্থক্য, *পার্টনারকে অপছন্দ(দেহ-সৌষ্ঠব,ত্বক, মূখশ্রী,আচরন, ব্যক্তিত্ব). * নারীর ত্রুটিপূর্ণ যৌনাসন, * মানসিক ও শারীরিক সম্যসা।

★অনেকই হাতুড়ে ডাক্তার, ক্যান্ভাচারের নিকট থেকে হরমোন ইন্জেকশন, টেবলেট অনুমোদনহীন ক্ষতিকর ঔষধ সেবন করে,এর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ায় পুরুষত্বহীনতার আশঙ্কা অনেক বেশী যা থেকে আরোগ্য কঠিন।
*যৌন সমস্যার মধ্যে আরো রয়েছে স্বপ্নদোষ সমস্যা, লিঙ্গ অকেজো,ক্ষুদ্রাকৃতি, লিঙ্গের অসারতা, ইচ্ছা লোপ, বিবাহ ভীতি।
এসব সমস্যায় হোমিওপ্যাথি সবচেয়ে কার্যকর। এর কোনো বিরূপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। লজ্জা ও জড়তা ঝেড়ে ফেলে খোলা মনে ডাঃ এর সাথে আলাপ করুন। এ সমস্যা খুবই সাধারণ এবং এর সফল চিকিৎসা রয়েছে।

★হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা+ Counselling
হোমিওপ্যাথি ঔষধ পাশাপাশি কাউনসিলিং এর সাহায্যে, পুরুষত্বহীনতা বা যৌনরোগের সহজ এবং স্বল্প খরচে কোন রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন প্রাকৃতিক ভাবে শতভাগ আরোগ্য করে, অন্যদিকে মহিলাদেরও যৌন দুর্ববলতা, যৌনকর্মে ‍অনীহা ইত্যাদি থাকতে পারে এবং হোমিওপ্যাথিতে তারও চিকিৎসা আছে।

Lycopodium clavatum:
লাইকোপোডিয়াম ধ্বজভঙ্গের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের কারণে ধ্বজভঙ্গ হলে এটি দিবেন। লাইকোপোডিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো এদের পেটে প্রচুর গ্যাস হয়, এদের ব্রেন খুব ভালো কিন্তু স্বাস্থ্য খুব খারাপ, এদের প্রস্রাব অথবা পাকস্থলী সংক্রান্ত কোন না কোন সমস্যা থাকবেই, অকাল বার্ধক্য, সকাল বেলা দুর্বলতা ইত্যাদি ইত্যাদি।

Selenium:
যৌন শক্তির দুর্বলতা, দ্রুত বীর্য নির্গত হওয়া, স্বপ্নদোষ, মাথার চুল পড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় সেলিনিয়াম একটি প্রথম শ্রেণীর ঔষধ। বিশেষত যাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে।

Agnus Castus:
গনোরিয়া রোগের পরে যৌন দুর্বলতা দেখা দিলে এটি ভালো কাজ করে। পুরুষাঙ্গ ছোট এবং নরম হয়ে যায়, পায়খানা এবং প্রস্রাবের আগে-পরে আঠালো পদার্থ নির্গত হয়, ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়।

Caladium seguinum:
যারা যৌনমিলনে কোন আনন্দ পান না বা যৌনমিলনের পর বীর্য নির্গত হয় না বা যাদের বীর্য তাড়াতাড়ি নির্গত হয়ে যায় বা যারা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে দুর্বল হয়ে পড়েছেন, তাঁদের জন্য কার্যকরী।

Origanum marjorana:
ওরিগ্যানাম ঔষধটি পুরুষ এবং নারীদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। তবে এটি নিম্নশক্তিতে দেওয়া উচিৎ কেননা উচ্চশক্তিতে কোন ফল পাওয়া যায় না।

Moschus Moschiferus:
ডায়াবেটিস রোগীদের ধ্বজভঙ্গে এটি ভালো কাজ করে। এটি ক্ষুদ্রাকৃতি হয়ে যাওয়া পুরুষাঙ্গকে পূর্বের আকৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

Staphisagria:
পুরুষদের যৌন দুর্বলতা দূর করার ক্ষেত্রে স্টেফিসেগ্রিয়া একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। বিশেষত অতিরিক্ত যৌনকর্ম করার কারণে বা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে যাদের ধ্বজভঙ্গ হয়ে গেছে, তাঁদের ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য। বিয়ের প্রথম কিছুদিনে মেয়েদের প্রস্রাব সম্পর্কিত অথবা যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত কোন সমস্যা হলে নিশ্চিন্তে স্টেফিসেগ্রিয়া নামক ঔষধটি দিতে পারেন। কারণ স্টেফিসেগ্রিয়া একই সাথে যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত রোগে এবং আঘাতজনিত রোগে সমান কাযর্কর।

Salix nigra:
মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ প্রভৃতি কারণে সৃষ্ট পুরুষদের যৌনকর্মে দুর্বলতা বা অক্ষমতার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ হলো স্যালিক্স নাইগ্রা। এসব কারণে যাদের ওজন কমে গেছে, এই ঔষধ একই সাথে তাঁদের ওজনও বাড়িয়ে দিয়ে থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। পাশাপাশি অবিবাহিত যুবক-যুবতী বা যাদের স্বামী-স্ত্রী বিদেশে আছেন অথবা মারা গেছেন, এই ঔষধ তাঁদের মাত্রাতিরিক্ত উত্তেজনা কমিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে সাহায্য করে।

Sabal serrulata:
সেবাল সেরুলেটা পুরুষদের যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে এবং পাশাপাশি হজমশক্তি, ঘুম, শারীরিক শক্তি, ওজন (কম থাকলে) ইত্যাদিও বৃদ্ধি পায়। এটি মেয়েদেরও যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে থাকে এবং ক্ষুদ্রাকৃতির স্তনবিশিষ্ট মেয়েদের স্তনের আকৃতি বৃদ্ধি করে থাকে। বয়ষ্ক পুরুষদের প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধিজনিত যে-কোন সমস্যা এবং ব্রঙ্কাইটিস নির্মূল করতে পারে।

Conium:
স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অধিক কিন্তু অক্ষম।সহবাস কালে সোহাগ আলিঙ্গনের সময় লিঙ্গ শিথিল হইয়া পড়ে।

Calcarea Carb:
ক্যালকেরিয়া কার্ব যৌনশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। বিশেষত মোটা, থলথলে স্বাস্থ্যের অধিকারী লোকদের বেলায় এটি ভালো কাজ করে।

Natrum carbonicum:
যে-সব নারীদের পুরুষরা আলিঙ্গন করলেই বীযর্পাত হয়ে যায় (সহবাস ছাড়াই) অর্থাৎ অল্পতেই তাঁদের তৃপ্তি ঘটে যায় এবং পরে আর সঙ্গমে আগ্রহ থাকে না, তাঁদের জন্য উৎকৃষ্ট ঔষধ হলো নেট্রাম কার্ব। এই কারণে যদি তাঁদের সন্তানাদি না হয় (অর্থাৎ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়), তবে নেট্রাম কার্বে সেই বন্ধ্যাত্বও সেরে যাবে।

Nux Vomica:
নাক্স ভমিকা ঔষধটি যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ বিশেষত যারা শীতকাতর, যাদের পেটের সমস্যা বেশী হয়, সারাক্ষণ শুয়ে-বসে থাকে, শারীরিক পরিশ্রম কম করে, মানসিক পরিশ্রম বেশী করে ইত্যাদি ইত্যাদি।

Titanium:
সঙ্গমে অতি শীঘ্রই বীর্যপাত ও বীর্যপাতলা
রতিশক্তির দর্ববলতায় উত্তম।

এছাড়াও আরো অসংখ্য মেডিসিন আছে লক্ষনের উপর নির্ভর করে অর্গানন অনুসারে রেপার্টরী করে সঠিক ঔষধ নির্বাচন করবেন।

★ হোমিওপ্যাথি অর্গানন অব মেডিসিন সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলে নিজে নিজে ঔষধ সেবন করে বিপদ ডেকে আনবেন না। কারন পোস্টটা নবীন ডাক্তারদের জন্য লিখিত।
প্রিয় পাঠক, আপনার যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে পেজে ম্যাসেজ দিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেন।★

চুল পড়া রোধে কর্যকারী হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ৷     চুল আঁচরাতে কিংবা মাথায় শ্যাম্পু করতে গিয়ে অনেক সময়েই দেখা যায় যে কয়েকটি চু...
20/07/2022

চুল পড়া রোধে কর্যকারী হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ৷

চুল আঁচরাতে কিংবা মাথায় শ্যাম্পু করতে গিয়ে অনেক সময়েই দেখা যায় যে কয়েকটি চুল উঠে আসছে। এতে একেবারেই বিচলিত হবেন না। প্রকৃতির নিয়মেই প্রতিদিনই ৬০-১০০টি চুল পড়ে এবং সেই স্থানে নতুন চুল গজায়। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। মাথার প্রতি চুলের গড় বয়স ৬-৭ বছর। এর চেয়ে বেশি চুল পড়লে চিকিৎসার প্রয়োজন আছে।

অ্যালোপেশিয়া বা চুল পড়া, সেটি আংশিক বা সম্পূর্ণ, অল্প জায়গায় সীমাবদ্ধ বা বিস্তীর্ণ হতে পারে এবং অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক কারনে চুল পড়ে।

কয়েকটি কারণ উল্লেখ করছি, এছাড়া আরও কারণ আছে।

১). ইনভল্যুশনাল অ্যালোপেশিয়া (involutional alopecia) – স্বাভাবিক বয়সবৃদ্ধির জন্য যে চুল পড়া।

২).বংশগত – পরিবারে কারুর চুল পড়ার ইতিহাস থাকলে আপনারও অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেশিয়া হওয়ার সম্ভাবনা হতে পারে।

৩).হরমোনের সমস্যা – গর্ভাবস্থা বা মেনোপজের (menpause) সময় হরমোনের তারতম্যর ফলে চুল পড়া শুরু করতে পারে। এছাড়া গর্ভনিরোধক ঔষধ খেলে, প্রসবের পরে বা হিস্টারেক্টমি (hysterectomy-গর্ভাশয় কেটে বাদ দেওয়া) চুল পড়তে পারে।

৪).ওষুধ – ক্যান্সারের কেমোথেরাপি (chemotherapy) চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে চুল পড়তে পারে।

৫). টেনে চুল বাঁধা ও চুলে ব্লিচ, রং দিয়ে চুলের রাসায়নিক চিকিৎসা করালে চুল পড়ে।

৬).ভুল জীবনশৈলী ( lifestyle) এবং বাজে খাদ্যাভ্যাস,তার ফলে শরীর যেমন NUTRITION পায় না চুলও NUTRITION পায় না।

**★এখন প্রশ্ন হচ্ছে চুলের
NUTRITION (পুষ্টি) কি কি?

কেরাটিন,ক্যালশিয়াম. জিঙ্ক, আয়রন ও বিভিন্ন ৫টি ভিটামিন (Vitamin), তাহলো
ভিটামিন-এ, ভিটামিন -বি ভিটামিন সি, ভিটামিন - ডি এবং ভিটামিন ই।

হোমিওপ্যাথিক ঔষধের সাথে আপনার খাদ্য তালিকায় নিন্মলিখিত খাবার গুলো রাখুন , দেখবেন
ম্যাজিকের মত কাজ করছে।

১).পালং: পালং শাকে আয়রন, ভিটামিন এ এবং সি জাতীয় পুষ্টি থাকে। পালং চুলকে আরও মজবুত করতে এবং চুল পড়া কমাতে খুব উপকারী। পালং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও সহায়তা করে। এতে থাকা ভিটামিন এ রয়েছে কোষের পুনর্গঠনে সহায়তা করে। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং রঙ বাড়ায়।

কি ভাবে খাবেন? ১৫০ গ্রামের মতো কাঁচা পাতা চিবিয়ে বা রস করে,অথবা অল্প সেদ্ধ করে ভাতের সাথে।

২).ফুলকপি: ফুলকপিতে ভিটামিন এ, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, দস্তা এবং আয়রন থাকে। এগুলি সবই চুল পড়া কমানোর সেরা উপায়।

৩).ওটস: ওটস শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর। প্রতিদিন এক বাটি ওটস খাওয়া চুলের জন্য স্বাস্থ্যকর। এটি চুল ঘন এবং শক্তিশালী করে তোলে এবং চুল পড়া রোধ করে। এটিতে জিংক, ওমেগা -সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং পলিঅনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি চুলের বৃদ্ধিতে উৎসাহ দেয়।

৪)আখরোট: আখরোটে অনেক রকম পুষ্টিগুণ রয়েছে, যা চুলের পক্ষে ভাল এবং চুলের বৃদ্ধিতে প্রচার করে। এটি ভিটামিন, দস্তা এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা চুল বৃদ্ধির জন্য উপকারী।

৫).গাজর: চুল পড়া কমাতে গাজর খুব ভাল উপাদান। বিটা ক্যারোটিন একটি পুষ্টি যা চুল পড়া রোধে সহায়তা করে। গাজর বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ। গাজরে ভিটামিন কে, সি, বি 6, বি 1, বি 3, বি 2, ফাইবার, পটাসিয়াম এবং ফসফরাস সমৃদ্ধ যা স্বাস্থ্যকর এবং শক্তিশালী চুলের জন্য প্রয়োজনীয়। প্রতিদিন গাজরের রস পান করা চুলের ক্ষতিকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে পারে।

৬) পেয়ারা সহ মরসুমি যে কোন ফল। ৷

৭).টমটো ঃ পাকা লাল টমেটো, টমেটো আছে অ্যান্টি-অক্সিডেনট,যা রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুলে ফলিকল স্টিমুলেটেড করে,এবং চুল পড়া বন্ধ হয়, স্যালাটে বা জুস করে খান।

৯).আমলকী ঃ কাঁচা আমলকীতে আছে আয়রন, যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

১০).শসাঃ শসাতে আছে সিলিকা, সালফার এবং ভিটামিন-এ, খোসা সহ শসার জুস বানিয়ে খান।

১১).বিভিন্ন colour এর শাক সব্জি রাখুন আপনার খাদ্য তালিকায়।

তাই খাদ্য তালিকায় আহারে ৫০% প্লেট ভর্তি স্যালাট রাখুন, দেখবেন ম্যাজিক।

*★*★*★*★*★*★*★*★

নিম্নলিখিত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ গুলোর মধ্যে আপনার উপসর্গ অনুযায়ী একটি ঔষধ নির্বাচন করে ব্যবহার করুন ৩-৬ মাসের মধ্যে অবশ্যই উপকার পাবেন।

১).ACID FLOURIC 200:-
চুল উঠে টাক পড়ে, রোগী সর্ব্বদাই চুল আঁচড়ায়।নতুন ভঙ্গুর ও কর্কশ।

২).CARBO VEG 30:-
প্রসবের পর বা কঠিন পীড়ার পর চুল উঠলে ব্যবহার করা হয়।

৩).BARYTA CARB 200:-
অল্প বয়স্কদের চুল পড়ে, মাথার মাঝে চুল বেশি উঠে এবং টাক পড়ে, এই ঔষধের বিশেষ লক্ষ্মণ, মাথায় স্পর্শ করলে বা আচড়ালে মাথায় ব্যাথা লাগে।

৪). NATRUM MUR 200:-
চুল সহজে উঠে যায়, এই ঔষধের বিশেষ লক্ষ্মণ, রোগী খুব লবণ পছন্দ করে, খাবার পাতে অতিরিক্ত লবণ লাগে, রোগীর বেশিক্ষণ রোদে থাকলে মাথা ব্যাথা হয়।

৫).PETROLEUM 200:-
মাথায় খুশকির সাথে চুল উঠে এবং মাথা চুলকাই।

৬).MERC.SOL.200: -

কোন কারণ ছাড়া চুল উঠে, তবে রোগীর মাথা প্রচন্ড ঘামায়,এবং জিব্হায় দাঁতের ছাপ দেখা যায়।

৭).PHOSPHOUS 200:-
কপালে উপর এবং দুই শঙ্খস্থানে গোছা গোছা উঠে মাথার চুল উঠে, চুলশূন্য হয়ে যায়।চুল শূন্য স্থান টি পরিস্কার ও মসৃন হয়, তবে ঔষধ নির্বাচনের সময় রোগীর গঠন লক্ষ্য রাখতে হবে, তা'হলো, এই রোগী সুন্দর, রোগা, লম্বা ও একটু কুঁজো হয়ে চলে।

৮).SULPHUR 200:-
মাথায় খুষ্কি, মাথা চুলকাই এই ঔষধের বিশেষ লক্ষ্মণ, ঘুমানোর পর মাথার বালিশে উপর বিছিন্ন ভাবে চুল পড়ে থাকে, তবে এই রোগী অপরিষ্কার বা অগোছালো হয়।

৯).SEPIA 200
প্রসবের পর, মেনোপজের সময় বা জরায়ু কোন রোগে আক্রান্ত হলে এই ঔষধ কার্যকরী,এই রোগিণী সংসারের প্রতি দায়িত্বশীল হয় না।

১০). SELENIUM 200:-

হাল্কা টানলেই চুল উঠে যায়, * এই ঔষধে একটি বিশেষ লক্ষ্মণ ঃ- কখনো মাথায় এক বা একাধিক স্থানে এক টাকা কয়েনের মতো গোল গোল করে চুল উঠে যায় এবং স্থান টি চকচক করে।*

এছাড়াও আরো হোমিওপ্যাথিক ঔষধ আছে যা চুল পড়া রোধে কার্যকরী।

হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সংমিশ্রণ করে কার্যকরী মাথার তেল তৈরি করে ব্যবহার করুন দারুণ ফল পাবেন।
তেল তৈরির পদ্ধতি ঃ-

২০০ এম ল ফিগারো ( FIGARO OLIVE OIL) ওলিভ ওয়েলর সাথে
1. ARNICA MONT Q + 15ML
2.CANTHARIS Q 15ML +
3.AMLOKI Q 15 ML +
4.JABORANDI Q 15 = 60ML হোমিওপ্যাথিক ঔষধগুলো ওলিভ ওয়েলের সাথে মিশিয়ে স্নানের এক আধ ঘন্টা আগে মাথায় ভালো ভাবে লাগিয়ে স্নান করুন অথবা রাতে শোবার আগে লাগাতে পারেন এতে ঘুম ভালো হয়। ওলিভ ওয়েল না পাওয়া গেলে বিশুদ্ধ নারিকেল তেলের ব্যাবহার করতে পার।

চুলের সাথে যা করবেন না ঃ-
১). ভেঁজা চুল ড্রয়ের দিয়ে শুকানো ঠিক নয়। সূর্যরশ্মিতে ভিটামিন ডি থাকে চুলের জন্য ভালো।
২).চুল টেনে বাঁধবেন না তাতে চুলের গোয়ায় আঘাত লাগে।

৩). লম্বা চুল হলে রাতে শোবার বেঁধে শুবেন।

৪)চুলে কোন রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করবেন না

গমঘাস ( WHEATGRASS) র জুস মাথায় লাগালেও উপকার পাবেন।

♥ স্বামী স্ত্রীর জন্য কিছু উপদেশ ও নছিহত ♥১)যে ঘরে স্বামী স্ত্রী একি কম্বলের নিচে ঘুমাবেন,ঐ ঘরে আল্লাহ রহমত নাজিল হতে থা...
22/06/2022

♥ স্বামী স্ত্রীর জন্য কিছু উপদেশ ও নছিহত ♥

১)যে ঘরে স্বামী স্ত্রী একি কম্বলের নিচে ঘুমাবেন,
ঐ ঘরে আল্লাহ রহমত নাজিল হতে থাকে-(বুখারী)

২)যে ঘরে স্বামী ও স্ত্রী এক সাথে তাহাজ্জুদ এর
নামায পড়বে, সে ঘরে জীবনে কোনো দিন অশান্তি
হবেনা"-- বুখারী ও মুসলিম।☆

৩)যে স্বামী তার স্ত্রীকে এক লোকমা
ভাত খাইয়ে দিবে,আল্লাহ ঐ স্বামীর ছগীরা গুনাহগুলো মাফ করে দিবেন।এবং যে স্ত্রী তার স্বামীকে এক লোকমা ভাত খাইয়ে দিবে, আল্লাহ ঐ স্ত্রীর ছগীরা গুনাহগুলো মাফ করে দিবেন। এবং প্রতি লোকমার বিনিময়ে ১০০০ নেকি উভয়ের আমলনামায় দান করবেন।-মুসলিম শরীফ.☆

৪)যে ঘরে স্বামী ও স্ত্রী একই প্লেটে খাবার খাবে যতক্ষণ খাবার খেতে থাকবে ততক্ষণ তাদের আমলনামায় সওয়াব লিখা হয়।-তিরমিজি.☆

৫)স্বামী ও স্ত্রী যখন একই বিছানায় শয়ন করে বা বসে অথবা, গল্প করে,হাসি খুশি কথা বলে, তখন প্রতিটা মিনিটে এবং সামী স্ত্রীর প্রতিটা কথাতে প্রতিটা সেকেন্ডে তাদের আমল নামায় ১০ টা করে নেকি লিখা হয়।
__আবু দাউদ ( স্বামী স্ত্রী অধ্যায়)☆

৬)যে স্ত্রী তার স্বামীকে সকালে ঘুম থেকে জাগিয়ে পবিত্র করে ফজরের সালাতে মসজিদে পাঠিয়ে দেয়, ঐ স্ত্রীর প্রতি স্বামীর অন্তরে আল্লাহর তরফ থেকে ভালোবাসার নুর পয়দা হয়"-বুখারী শরিফ.☆

৭)যে স্বামী তার স্ত্রীকে একবার চুমু দিবে এবং যে স্ত্রী তার স্বামীকে একবার চুমু দিবে,প্রতিটা চুমুর বিনিময়ে ১০০ টা নেকি তাদের আমলনামায় লিখা হয়।-মুসনাদে আহমদ (স্বামী স্ত্রী অধ্যায়)☆

৮) যে স্বামী তার স্ত্রীর নিকট গমন করে
এবং শারীরিক মিলনের আগে ২ রাকাত নামাজ পড়ে নেয় ও রাসুল সঃ এর সুন্নত মতো স্ত্রীর সাথে শারীরিক মিলন করে তাদের প্রতিবার মিলনে একটি উট কুরবানি করার সওয়াব তাদের উভয়ের আমল নামায় লিখা হয়।-বায়হাকী ( স্বামী স্ত্রী ও পারিবারিক অধ্যায়)..☆

৯)যে স্বামী তার স্ত্রীকে কোরআনের এলেম শিখাবে, এবং নিজেও শিখবে এবং সে অনুযায়ী আমল করবে আল্লাহপাক মৃত্যুর পর তাদেরকে জান্নাত দান করবেন।

১০)যে সন্তান তার পিতামাতার
ভরণ পোষন করবে বা সেবা করবে,
এবং নিজ স্ত্রীর ইজ্জতের হেফাজত করবে তাদের জীবনের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।

আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে এই কথা গুলোর উপরে আমল করার তৌফিক দান করুক 🤲🥰🥰

★**★হাতে পায়ের কড়া রোধে  কর্যকরি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সমূহ ★**★কড়া বা কর্ন ( Callosities) কি ?  আচ্ছাদন তন্ত্র  := (Integume...
09/06/2022

★**★হাতে পায়ের কড়া রোধে কর্যকরি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সমূহ ★**★

কড়া বা কর্ন ( Callosities) কি ?

আচ্ছাদন তন্ত্র := (Integumentary)মানবদেহের একটি তন্ত্র।

এটি মানবদেহের বাহ্যিক অঙ্গসমুহ আচ্ছাদন করে।

এপিডার্মিস:=

এপিডার্মিস হল আচ্ছাদন তন্ত্রের উপরের ত্বক

এটি একটি শারীরিক বাধা হিসাবে কাজ করে, শরীর থেকে জলের ক্ষতি রোধ করে এবং শরীরে পদার্থ এবং জীবের প্রবেশ রোধ করে।

পায়ে,হাতে বা কনুইএ একটি অংশ যা অতিরিক্ত ঘর্ষণ বা চাপের ফলে এপিডার্মিস স্তরটি পরু হয়ে যায়। এবং কড়া হয়।

পায়ে কড়া প্রধানত সঠিক জুতো ব্যবহার না পড়া এবং বারংবার পায়ের চামড়ার সাথে জুতোর ঘর্ষণের ফলে তৈরি হয়।

পায়ের আঙ্গুলেও কড়া হতে পারে।

যারা হাত দিয়ে চাপের কাজ করেন, তাদের কড়া হতে পারে।

পরামর্শ ঃ-

যাদের পায়ে কড়া হেয়েছে, তাঁরা মোজা সহ জুতা ব্যবহার করুন।
মোজা যেন আরামদায়ক হয়।
মোজা ভাজ থাকলে ত্বকের এপিডার্মিস স্তরে চাপ পড়ে এবং অসুবিধা হয়।

কড়া সমন্ধে কয়েকটি কার্যকারি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ আলোচনা করছি।

কড়া'র ঔষধ তিন - চার মাস খেতে হবে।

১).THUJA OC 1000/1M

নিন্মলিখিত ঔষধ গুলো মধ্যে যে টি আপনার উপসর্গে মিল থাকবে,
একমাত্র সেই ঔষধ টি নিবেন।

আপনার নির্বাচিত ঔষধের
THUJA OC 1M পাক্ষিক / পনের দিনে একবার নিবেন

সকালে ব্রাশ করার আধ ঘন্টা আগে, জল দিয়ে ভালো করে কুলকুচি করে নিবেন।

তারপর এই ঔষধটি দুই -৩িন ফোঁটা জলের এক বার সাথে খাবেন।

যে দিন এই ঔষধ ব্যবহার করবেন, সে দিন অন্য ঔষধ খাবেন না।

২).FERRUM PICRIC 200

জুতা পরার জন্য যদি কড়া হয়, তা'হলে প্রাথমিক ভাবে এই ঔষধ কার্যকরী।

৩).ANTIM CRUD 200/1M

পায়ে কড়া, কড়ায় চাপ দিলে ব্যথা লাগে না। কিন্তু চলতে গেলে ব্যথা হয়, সেই ক্ষেত্রে এই ঔষধ বিশেষ কর্যকরি।

৪).HYDRASTIS 200 / Q (Mathertictur)

পায়ের আঙুলে কড়া ঃ-

শক্ত জুতার চাপেই হোক বা অন্য কোন কারণে হোক।

পায়ের আঙুলে কড়া তা,তে অত্যন্ত ব্যথা হয়।ছুরি দিয়ে কেটে দিলে ১০-১৫ ভালো থাকে, কিন্তু আবার বেদনা হয়ে বড় হতে থেকে। এই ঔষধ বিশেষ কর্যকরি।

নিয়মিত কড়ার স্থানে, HYDRASTIS Q (Mathertintur) vaseline 1:3 মিশিয়ে লাগাতে হবে। এতে উপকার পাওয়া যায়।

৫).RANANCUIUS B 200

কড় যেখানেই হোক, কড়াতে স্পর্শ করলে খুব ব্যথা,

ব্যথার প্রকৃতি ছুঁচ ফোটানো - ব্যথা বা টাটানো ব্যথা।

সেই ক্ষেত্রে এই ঔষধ বিশেষ উপকারী।

৬).SULPHUR 200

নরম কড়ার ঔষধ।

এর বিশেষ লক্ষ্মণ রোগী খুবই নোংরা প্রকৃতি।

৭).ANACARDIUM OXIDENT 200

পায়ে এবং পায়ের আঙুলে কড়া এবং তাতে ক্ষত।

কিছু ক্ষেত্রে কড়া ফেটে কষ্ট হয়।

৮).RHODODENDRON 200

রিউম্যাটিক আর্থ্রাইটিসের রোগীদের কড়া এবং তাতে ব্যথা, অল্প পরিসরস্থানে হটাৎ করে ব্যথা হয়।

৯).GRAPHITIS 200

কড়া সেরে গিয়ে পুনরায় আবার হয়।
অনেক সময় কড়া পেকে গিয়ে পুঁজ বের হয়, সে ক্ষেত্রে
এই ঔষধ বিশেষ উপকারী।

১০).RADIUM BROM 200

যদি উপরোক্ত কোন ঔষধ
আপনার কড়া 'র সাথে সাদৃশ্য পারছেন না, বা কোন ঔষধে কাজ হচ্ছে না তখন এই ঔষধ
ব্যবহার করবেন।



এছাড়াও আরো হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কড়ার জন্য ব্যবহার হয়।

★*★* কড়া সারাতে বাহ্যিক হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ★*★*

1.THUJA OC Q (MOTHER TINCTURE)

2.HYDRASTIS CAN Q (MOTHER TINCTURE)

3).VERATRUM VIR Q
( MOTHER TINCTURE)

কড়া 'র স্থান ভালো করে পরিস্কার করে উপরের ঔষধ গুলো 1:1:1 মিশিয়ে দিনে তিন বার ব্যবহার করবেন।
অবশ্যই উপকার পাবেন।

★*★* কড়া সারাতে ঘরোয়া চিকিৎসা ★*★*

১). BAKING SODA (Sodium bicarbonate)

বেকিং সোডা
ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। এটি প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করে।

ত্বকের যেসব স্থানে কড়া আছে, সেখানে মৃত ত্বকের কোষ দূর করতে ব্যবহার করুন বেকিং সোডা।

সামান্য গরম জলে বেকিং সোডা মিশিয়ে ১৫ মিনিট ত্বকের কর্নের স্থানে রাখুন।

এরপর পিউমিস পাথর দিয়ে পরিস্কার করুন।

বেকিং সোডায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এজেন্ট রয়েছে, যা সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।এবং কড়া সারাতে সহায়তা করে

২).CASTOR OIL
( রেড়ির তেল)

ক্যাস্টর অয়েল শক্ত ত্বককে নরম করতে সাহায্য করে।

প্রতিদিন কড়া স্থান টি ভালো করে পরিস্কার করে ক্যাস্টার অয়েল ব্যবহার করুন।নিয়মিত ব্যবহার করলে কড়া সেরে যায়।

জুতো পাড়ার সময় বরোলিন বা কোন প্রেট্রলিয়াম জেলি গরম করে লাগিয়ে নিবেন।

★*★বিশেষ কথা জেনে রাখা ভালো। ★* ★

শরীর কে রোগ মুক্ত করতে প্রতিদিন আহারে ৫০% খাবার ফল এবং স্যালাট খান অথাৎ কাঁচা পাকা ফল কাঁচা সব্জি খান এতে শরীরে পটাসিয়াম ও সোডিয়াম পরিমাণের সমতা বজায় রাখে। পটাসিয়াম ও সোডিয়াম ১ঃ১ থাকলে কোন রোগ আক্রান্তের হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে । হলেও autophagy মাধ্যমে শরীর তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়।

Address

Shop : 30, Ground Floor, Darussalam Shoping Complex, Kallayanpur
Dhaka
1216

Opening Hours

Monday 17:00 - 22:00
Tuesday 17:00 - 22:00
Wednesday 17:00 - 22:00
Thursday 17:00 - 22:00
Friday 17:00 - 22:00
Saturday 17:00 - 22:00
Sunday 17:00 - 22:00

Telephone

+8801889144435

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ASH SHIFA Homoeo HALL posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to ASH SHIFA Homoeo HALL:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram