Dr. Sanaul Haque

Dr. Sanaul Haque সূচনায় পড়লে ধরা, ক্যান্সার রোগ যায় যে সারা
Email: dr.shrabon29@gmail.com

23/08/2025

প্রশ্ন: কেমোথেরাপি কি?

উত্তর:
কেমোথেরাপি (Chemotherapy) হলো ক্যান্সার চিকিৎসার একটি পদ্ধতি যেখানে বিশেষ ধরণের ওষুধ ব্যবহার করে ক্যান্সার কোষকে ধ্বংস বা নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

কেমোথেরাপির কাজের পদ্ধতি:

ক্যান্সার কোষ খুব দ্রুত ভাগ হয়ে বাড়তে থাকে।

কেমোথেরাপির ওষুধগুলো মূলত দ্রুত বিভাজনশীল কোষগুলোকে আক্রমণ করে।

এতে ক্যান্সার কোষ মারা যায় বা তাদের বাড়া বন্ধ হয়ে যায়।

কেমোথেরাপি কিভাবে দেওয়া হয়?

1. শিরায় (IV injection বা drip) – সবচেয়ে সাধারণ।

2. মুখে খাওয়ার ওষুধ (oral chemotherapy)।

3. ইনজেকশন/ইনফিউশন – পেশী বা ত্বকের নিচে।

4. সরাসরি ক্যান্সারের জায়গায় (যেমন: মেরুদণ্ডে বা পেটে)।

কেন কেমোথেরাপি দেওয়া হয়?

টিউমার ছোট করতে (অপারেশনের আগে)।

অপারেশন বা রেডিওথেরাপির পর শরীরে ছড়িয়ে থাকা কোষ মেরে ফেলতে।

রোগ ছড়িয়ে পড়লে (মেটাস্টেসিস) নিয়ন্ত্রণে রাখতে।

উপসর্গ কমিয়ে রোগীর জীবনমান ভালো করতে।

22/08/2025

প্রশ্ন: ক্যান্সার রোগী কি চিনি খেতে পারবে?

উত্তর:
হ্যাঁ, ক্যান্সার রোগী চিনি খেতে পারবে, তবে পরিমিত পরিমাণে।

এখানে বিষয়টা একটু পরিষ্কার করে বলি—

চিনির সঙ্গে ক্যান্সারের সম্পর্ক

মানুষের শরীরের সব কোষই (ক্যান্সার কোষসহ) গ্লুকোজ থেকে শক্তি পায়।

কিন্তু চিনি খাওয়া বন্ধ করে ক্যান্সার কোষকে "অনাহারে মারা" সম্ভব নয়, কারণ শরীর অন্যান্য খাবার থেকেও গ্লুকোজ তৈরি করে নেয়।

অতিরিক্ত চিনি খেলে ওজন বেড়ে যায় (স্থূলতা) → যা স্তন, কোলন, প্রোস্টেটসহ কয়েক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

ক্যান্সার রোগীর জন্য পরামর্শ

1. চিনি কমিয়ে দিন — কেক, সফট ড্রিংকস, মিষ্টি, বিস্কুট, মিষ্টি পানীয় এড়িয়ে চলুন।

2. প্রাকৃতিক চিনি (ফল, দুধ) বেশি নিরাপদ, কারণ এগুলো ভিটামিন ও ফাইবারও দেয়।

3. ডায়াবেটিস থাকলে চিনির নিয়ন্ত্রণ আরও জরুরি।

4. চিকিৎসকের ডায়েট চার্ট মেনে চলুন।

চিনি পুরোপুরি বাদ দেওয়ার দরকার নেই, তবে অতিরিক্ত চিনি ক্যান্সার চিকিৎসায় সাহায্য করবে না, বরং ক্ষতি করতে পারে।

21/08/2025

বাংলাদেশে ক্যান্সার নিয়ে সবচেয়ে প্রচলিত ১০টি ভুল ধারণা:

ক্যান্সার নিয়ে ১০টি ভুল ধারণা (মিথ) ও সত্য তথ্য

১️⃣ মিথ: “ক্যান্সার মানেই মৃত্যু।”
✅ সত্য: প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে অনেক ধরনের ক্যান্সার পুরোপুরি নিরাময় হয়।

২️⃣ মিথ: “ক্যান্সার হাঁচি-কাশি বা স্পর্শে ছড়ায়।”
✅ সত্য: ক্যান্সার সংক্রামক নয়। হাঁচি, কাশি, স্পর্শ, আলিঙ্গন, খাবার ভাগাভাগি — এসবের মাধ্যমে ক্যান্সার ছড়ায় না।

৩️⃣ মিথ: “ক্যান্সার শুধু বংশগত।”
✅ সত্য: মাত্র ৫-১০% ক্যান্সার বংশগত। বাকিগুলো জীবনধারা, পরিবেশ ও অন্যান্য কারণে হয়।

৪️⃣ মিথ: “চিনি ক্যান্সারকে খাওয়ায়।”
✅ সত্য: সরাসরি চিনি ক্যান্সারকে বাড়ায় — এমন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। তবে অতিরিক্ত চিনি স্থূলতা বাড়ায়, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

৫️⃣ মিথ: “ক্যান্সারের চিকিৎসা সবসময় ব্যর্থ হয়।”
✅ সত্য: আধুনিক চিকিৎসায় অনেক রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন স্বাভাবিক জীবন যাপন করেন।

৬️⃣ মিথ: “হার্বাল/তাবিজ/ওঝার ঝাড়ফুঁকে ক্যান্সার সারানো যায়।”
✅ সত্য: কোনো ভেষজ বা অলৌকিক পদ্ধতির বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। এগুলো দেরি ঘটিয়ে রোগকে জটিল করে।

৭️⃣ মিথ: “বায়োপসি করলে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ে।”
✅ সত্য: বায়োপসি ক্যান্সার ছড়ায় না; বরং সঠিক রোগ নির্ণয়ের জন্য অত্যন্ত জরুরি।

৮️⃣ মিথ: “ক্যান্সার শুধু ধূমপায়ীদের হয়।”
✅ সত্য: ধূমপান অনেক ক্যান্সারের বড় কারণ হলেও, ধূমপান না করেও অন্যান্য কারণ থেকে ক্যান্সার হতে পারে।

৯️⃣ মিথ: “বুকের ক্যান্সার শুধু মহিলাদের হয়।”
✅ সত্য: পুরুষদেরও স্তন ক্যান্সার হতে পারে, যদিও তা তুলনামূলকভাবে কম।

🔟 মিথ: “ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু করলেই চুল পড়ে যায়।”
✅ সত্য: সব চিকিৎসায় চুল পড়ে না; মূলত কিছু ধরনের কেমোথেরাপিতে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়, যা সাময়িক।

20/08/2025

প্রশ্ন: ক্যান্সার রোগী কখন রক্ত দিতে পারবে?

উত্তর:
ক্যান্সার রোগী কত বছর পর রক্ত দিতে পারবেন, তা নির্ভর করে ক্যান্সারের ধরন, চিকিৎসার ধরন এবং চিকিৎসা শেষ হওয়ার সময়ের ওপর।

সাধারণ আন্তর্জাতিক নির্দেশনা (যেমন: American Red Cross, UK NHS Blood and Transplant):

1. চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে

কোনোভাবেই রক্ত দেওয়া যাবে না (কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, সার্জারি চললে)।

2. চিকিৎসা শেষ হওয়ার পর

সাধারণত ৫ বছর সম্পূর্ণ ক্যান্সার-মুক্ত (cancer-free) থাকতে হয়, এবং এই সময়ে ক্যান্সার ফিরে আসেনি তা নিশ্চিত হতে হবে।

কিছু অ-আক্রমণাত্মক (non-invasive) ক্যান্সারের ক্ষেত্রে (যেমন: skin basal cell carcinoma), চিকিৎসার ৬ মাস পরই অনুমতি দেওয়া হয়।

3. কিছু ব্যতিক্রম

Leukemia, lymphoma বা রক্তের ক্যান্সার থাকলে সাধারণত আজীবন রক্তদান নিষিদ্ধ করা হয়, কারণ রক্তে থাকা অস্বাভাবিক কোষ তাত্ত্বিকভাবে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

💡 বাংলাদেশে বাস্তব অবস্থা

সরকারি হাসপাতাল বা রক্ত ব্যাংকগুলোও প্রায় একই নীতি মানে: ক্যান্সার রোগী চিকিৎসা চলাকালীন বা শেষ হওয়ার পর অন্তত কয়েক বছর রক্ত দিতে পারবেন না।

19/08/2025

প্রশ্ন: আমি ক্যান্সার রোগী, আমি কি অন্য কাউকে রক্ত দিতে পারবো?

উত্তর:
না — আপনি ক্যান্সার রোগী হলে আপনার রক্ত অন্য কাউকে দেওয়া যাবে না।

এর কারণগুলো হলো—

1. স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার নিয়ম

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ও রক্তদান সংস্থাগুলোর নিয়ম অনুযায়ী ক্যান্সার রোগীরা রক্তদাতা হিসেবে গ্রহণযোগ্য নন, এমনকি রোগ সেরে যাওয়ার পরও কিছু সময় (সাধারণত কয়েক বছর) অপেক্ষা করতে হয়।

2. ঝুঁকি প্রতিরোধ

যদিও ক্যান্সার সরাসরি রক্তের মাধ্যমে ছড়ায় না, তবুও ক্যান্সারের কোষ বা চিকিৎসার ওষুধের (যেমন কেমোথেরাপি) প্রভাব রক্তে থাকতে পারে।

রক্ত গ্রহণকারী ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে সামান্য ঝুঁকিও এড়ানো হয়।

3. আপনার নিজের স্বাস্থ্য

রক্ত দেওয়ার ফলে আপনার শরীরের শক্তি ও রক্তের কোষ কমে যাবে, যা ক্যান্সার রোগীর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

ক্যান্সার রোগী অবস্থায়, এমনকি চিকিৎসা চলাকালীন বা চিকিৎসা শেষ হওয়ার পরও কিছু বছর, রক্তদান করা উচিত নয়।

18/08/2025

প্রশ্ন: ক্যান্সার কি হাঁচি, কাঁশি বা রক্তের মাধ্যমে ছড়ায়?

উত্তর:
না — ক্যান্সার হাঁচি, কাশি বা রক্তের মাধ্যমে ছড়ায় না।

🔹 ক্যান্সার সংক্রামক নয়
এটা কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার মতো রোগ নয়, তাই এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে স্বাভাবিকভাবে যায় না।

🔹 যা হয়

ক্যান্সার শরীরের নিজের কোষের DNA তে পরিবর্তন (mutation) হওয়ার কারণে হয়।

কখনো কখনো কিছু ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দীর্ঘমেয়াদে শরীরে থেকে DNA ক্ষতি করে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় (যেমন HPV, Hepatitis B), কিন্তু এটা ভাইরাস ছড়ানোর কারণে হয়, ক্যান্সার ছড়ানোর কারণে নয়।

🔹 রক্তের মাধ্যমে ঝুঁকি

যদি ক্যান্সার রোগীর রক্ত সুস্থ মানুষের শরীরে চলে যায় (যেমন রক্তদানে), তবুও সাধারণত ক্যান্সার হয় না, কারণ ইমিউন সিস্টেম সেই কোষগুলো ধ্বংস করে ফেলে।

তবে রক্তদান আইন অনুযায়ী ক্যান্সার রোগীদের রক্ত নেওয়া হয় না, সুরক্ষার জন্য।

মানে, ক্যান্সার ঠান্ডা-জ্বরের মতো ছোঁয়াচে রোগ নয় — একসাথে থাকা, খাওয়া বা স্পর্শ করায় কোনো ঝুঁকি নেই।

17/08/2025

প্রশ্ন: এমন কোনো ওষুধ আছে যেটা আগে থেকে খেলে ক্যান্সার হবে না?

উত্তর:
না, এমন কোনো ওষুধ এখনো নেই যা আগে থেকে খেলে ক্যান্সার পুরোপুরি প্রতিরোধ করা যায়।

ক্যান্সার প্রতিরোধের মূল উপায় ওষুধ নয়, বরং জীবনধারা ও ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ।

তবে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে প্রতিরোধমূলক ওষুধ দেওয়া হয় — যেমন, উচ্চ ঝুঁকির স্তন ক্যান্সার রোগীর ক্ষেত্রে, উচ্চ ঝুঁকির কোলন ক্যান্সারে।

কিন্তু এগুলো শুধু ডাক্তার ঝুঁকি মূল্যায়নের পর দিয়ে থাকেন।

16/08/2025

প্রশ্ন: ক্যান্সার কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়?

উত্তর:
ক্যান্সার পুরোপুরি প্রতিরোধ করা সম্ভব না হলেও ঝুঁকি অনেকটা কমানো সম্ভব—যেমন একজন মানুষ সিটবেল্ট পরলেও দুর্ঘটনা পুরোপুরি ঠেকাতে না পারলেও আঘাত কমে যায়।

ক্যান্সার প্রতিরোধের কিছু কার্যকর উপায়:

1. তামাক ও ধূমপান এড়িয়ে চলা

সিগারেট, বিড়ি, হুক্কা, চুইং তামাক, গুল—এসব ফুসফুস, মুখগহ্বর, গলা, ও অন্যান্য অঙ্গের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

2. সুষম খাদ্যাভ্যাস

বেশি ফল, শাকসবজি, আঁশযুক্ত খাবার।

লাল মাংস ও প্রক্রিয়াজাত মাংস (processed meat) সীমিত করা।

অতিরিক্ত তেল-চর্বি ও চিনি কমানো।

3. ওজন নিয়ন্ত্রণ

অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা অনেক ক্যান্সারের (যেমন ব্রেস্ট, কোলন, ইউটেরাইন) ঝুঁকি বাড়ায়।

4. শারীরিক পরিশ্রম

প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট মাঝারি ব্যায়াম (হাঁটা, সাইকেল চালানো ইত্যাদি)।

5. মদ্যপান সীমিত বা বাদ

অ্যালকোহল লিভার, ব্রেস্ট, মুখ ও খাদ্যনালীর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

6. সূর্যালোকের অতিরিক্ত সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা

সরাসরি রোদে কাজ করলে সানস্ক্রিন, ফুল স্লিভ পোশাক ব্যবহার।

ট্যানিং বেড সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলা।

7. টিকা গ্রহণ

HPV ভ্যাকসিন: জরায়ুমুখ ও অন্যান্য ক্যান্সার প্রতিরোধে।

হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন: লিভার ক্যান্সার প্রতিরোধে।

8. ক্ষতিকর রাসায়নিক থেকে দূরে থাকা

অ্যাসবেস্টস, কিছু কীটনাশক, রং, প্লাস্টিক উৎপাদনকারী রাসায়নিক ইত্যাদির দীর্ঘমেয়াদি সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা।

9. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা (Screening)

বয়স, লিঙ্গ ও ঝুঁকি অনুযায়ী ক্যান্সার স্ক্রিনিং করানো (যেমন প্যাপ স্মিয়ার, ম্যামোগ্রাফি, কোলনোস্কোপি)।

15/08/2025

প্রশ্ন: আমার শরীরে আগে থেকেই ক্যান্সার আছে কিনা, এটা বোঝার জন্য কোনো টেস্ট আছে?

উত্তর:
হ্যাঁ — কিছু টেস্ট আছে যা প্রাথমিকভাবে ক্যান্সারের ঝুঁকি বা উপস্থিতি সনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে, কিন্তু এগুলো সবসময় ১০০% সঠিক নয় এবং সব ধরনের ক্যান্সারের জন্য একক কোনো “আগাম” টেস্ট নেই।

🔍 ক্যান্সার আগে থেকে সনাক্ত করার জন্য সাধারণ পদ্ধতি

1. রুটিন স্ক্রিনিং টেস্ট

এগুলো সাধারণত উপসর্গ না থাকলেও করা হয়, যেন ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে।

স্তন ক্যান্সার | ম্যামোগ্রাম |
সার্ভিকাল ক্যান্সার | প্যাপ স্মিয়ার / HPV টেস্ট
কোলন ক্যান্সার | কোলনোস্কপি |
ফুসফুসের ক্যান্সার | লো-ডোজ CT স্ক্যান
প্রোস্টেট ক্যান্সার | PSA রক্ত পরীক্ষা

2. রক্ত পরীক্ষা (টিউমার মার্কার)

কিছু ক্যান্সারে রক্তে নির্দিষ্ট প্রোটিন বা কেমিক্যাল বেড়ে যায়, যেমন:

CEA (কোলন, প্যানক্রিয়াস ইত্যাদি)

CA-125 (ওভারি)

AFP (লিভার)

PSA (প্রোস্টেট)

> তবে এগুলো শুধু স্ক্রিনিং নয় — অন্য রোগেও বেড়ে যেতে পারে, তাই নিশ্চিত হওয়ার জন্য অন্য টেস্ট লাগে।

3. ইমেজিং টেস্ট

আল্ট্রাসনোগ্রাফি

এক্স-রে

CT / MRI / PET-CT

> এগুলো তখনই করা হয় যদি উপসর্গ বা সন্দেহ থাকে।

4. জেনেটিক টেস্ট

যাদের পরিবারে একই ধরনের ক্যান্সার অনেকের হয়েছে, তাদের জন্য BRCA1/BRCA2 বা অন্য ক্যান্সার জিন টেস্ট ঝুঁকি জানাতে সাহায্য করে।

একেবারে সব ক্যান্সারের জন্য “এক টেস্টে আগে থেকে ধরা” — এমন কিছু নেই।

যদি পরিবারের ইতিহাস থাকে, অস্বাভাবিক উপসর্গ দেখা দেয়, বা বয়স ৪০–৫০ পেরোয়, তাহলে নিয়মিত স্ক্রিনিং খুব জরুরি।

প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে বেশিরভাগ ক্যান্সার চিকিৎসায় ভালো হয়।

14/08/2025

প্রশ্ন: ক্যান্সারের গ্রেড বলতে কি বোঝায়?

উত্তর:
ক্যান্সারের “গ্রেড” বলতে বোঝায়— মাইক্রোস্কোপে টিউমারের কোষগুলো দেখতে স্বাভাবিক কোষের তুলনায় কতটা অস্বাভাবিক এবং কত দ্রুত বাড়ছে বা ছড়াচ্ছে তার একটি মূল্যায়ন।

এটা স্টেজ থেকে আলাদা —

স্টেজ বলে ক্যান্সার শরীরে কোথায় এবং কতদূর ছড়িয়েছে।

গ্রেড বলে ক্যান্সার কোষের আচরণ ও আক্রমণাত্মক স্বভাব।

সাধারণত গ্রেড ৩ ধরণের হয়:

1. Grade 1 (Low grade / Well-differentiated)

কোষ দেখতে প্রায় স্বাভাবিকের মতো।

ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে, তুলনামূলক কম আক্রমণাত্মক।

2. Grade 2 (Intermediate / Moderately differentiated)

কোষ কিছুটা অস্বাভাবিক, বাড়ার গতি মাঝারি।

3. Grade 3 (High grade / Poorly differentiated)

কোষ খুব অস্বাভাবিক, দ্রুত বৃদ্ধি পায় ও বেশি আক্রমণাত্মক।

🔍 অনেক সময় Grade 4ও বলা হয় (যেমন মস্তিষ্কের কিছু ক্যান্সারে), যেগুলো সবচেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক।

13/08/2025

প্রশ্ন: কেমোথেরাপি চলাকালীন চুল পড়া কমানোর কোনো উপায় আছে?

উত্তর:
কেমোথেরাপি চলাকালীন চুল পড়া পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব না, কারণ ওষুধগুলো দ্রুত বিভাজনশীল কোষ (যেমন ক্যান্সার কোষ) ছাড়াও চুলের ফলিকলকেও ক্ষতি করে। তবে চুল পড়া কিছুটা কমানো এবং চুল পুনরায় দ্রুত গজাতে সাহায্য করার কয়েকটি উপায় আছে—

চুল পড়া কমানোর উপায়

1. স্ক্যাল্প কুলিং (Scalp Cooling / Cold Cap Therapy)

কেমোথেরাপির সময় মাথায় ঠান্ডা ক্যাপ পরানো হয়।

ঠান্ডা তাপমাত্রা মাথার ত্বকে রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দেয় → কেমো ওষুধের প্রভাব কমে যায় → চুল কিছুটা রক্ষা পায়।

সব হাসপাতাল বা সব ধরনের কেমোতে এটি কার্যকর নাও হতে পারে।

2. মৃদু চুলের যত্ন

শক্ত করে চুল বাঁধবেন না।

চুল আঁচড়ানোর সময় নরম ব্রাশ ব্যবহার করুন।

খুব গরম পানি বা হেয়ার ড্রায়ার এড়িয়ে চলুন।

3. রাসায়নিক ও তাপ এড়ানো

কেমো চলাকালীন হেয়ার কালার, স্ট্রেইটনিং, রিবন্ডিং, হট অয়েল ট্রিটমেন্ট এড়িয়ে চলুন।

4. পুষ্টি বজায় রাখা

পর্যাপ্ত প্রোটিন, ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, আয়রন, জিঙ্ক খাওয়ায় রাখুন।

ডিম, মাছ, ডাল, শাকসবজি, বাদাম, ফল নিয়মিত খান।

5. স্ক্যাল্প ম্যাসাজ

খুব হালকা তেল (নারকেল/জোজোবা) দিয়ে সপ্তাহে ২–৩ বার হালকা ম্যাসাজ → রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।

কেমো শেষ হওয়ার ৩–৬ মাসের মধ্যে চুল সাধারণত গজাতে শুরু করে।

তখন বায়োটিন সমৃদ্ধ খাবার বা সাপ্লিমেন্ট সাহায্য করতে পারে (চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে)।

ধীরে ধীরে আগের মতো চুলের ঘনত্ব ফিরে আসে, তবে রঙ বা টেক্সচার কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।

চুল পড়া কেমোথেরাপির একটি অস্থায়ী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া—জীবন বাঁচানোই আসল লক্ষ্য, চুল পরে আবার আসবে। 💙

12/08/2025

প্রশ্ন: ক্যান্সারের স্টেজ বলতে কি বোঝায়?

উত্তর:
ক্যান্সারের স্টেজ মূলত রোগ কতদূর ছড়িয়েছে তা বোঝায়। সবচেয়ে প্রচলিত সিস্টেম হলো TNM staging system, যেখানে—

T (Tumor): মূল টিউমারের আকার ও আশেপাশের টিস্যুতে ছড়ানো

N (Node): লিম্ফ নোডে ছড়িয়েছে কি না

M (Metastasis): শরীরের দূরের অংশে ছড়িয়েছে কি না

এগুলো মিলিয়ে ক্যান্সারের স্টেজ সাধারণত ৪ ভাগে ভাগ করা হয়:

Stage 0:

Carcinoma in situ — শুধু টিস্যুর উপরের স্তরে আছে, গভীরে ঢোকেনি।

উদাহরণ: কিছু প্রাথমিক স্তরের সার্ভিকাল বা স্কিন ক্যান্সার।

Stage I:

টিউমার ছোট এবং নির্দিষ্ট জায়গায় সীমাবদ্ধ।

লিম্ফ নোডে বা দূরে ছড়ায়নি।

সাধারণত সার্জারি বা সীমিত চিকিৎসায় ভালো ফল পাওয়া যায়।

Stage II:

টিউমার বড় হতে পারে অথবা কাছাকাছি কিছু লিম্ফ নোডে যেতে পারে।

কিন্তু দূরে ছড়ায়নি।

Stage III:

টিউমার বড়, আশেপাশের টিস্যু ও অনেক লিম্ফ নোড আক্রান্ত।

দূরে ছড়ায়নি, কিন্তু লোকালি অনেকটা এগিয়েছে।

Stage IV:

ক্যান্সার শরীরের দূরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছে (metastatic cancer)।

উদাহরণ: ফুসফুস, লিভার, হাড়, মস্তিষ্কে ছড়ানো

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Sanaul Haque posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category