Dr. Mumtahena Afroz Nisha

Dr. Mumtahena Afroz Nisha Dr. Mumtahena Afroz Nisha is a General Physician & Nutrition Consultant at Millennium Specialized Hospital Ltd. and Salauddin Specialized Hospital Ltd.

She also works at Dhaka National Medical College. For Online counselling : 01867262901(WhatsApp)

বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এডিস মশা নিয়ে সচেতনতা ছড়ানো অত্যন্ত জরুরি। এডিস মশা মূলত ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এবং জিকা ভাই...
06/09/2025

বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এডিস মশা নিয়ে সচেতনতা ছড়ানো অত্যন্ত জরুরি। এডিস মশা মূলত ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এবং জিকা ভাইরাসের বাহক। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশেষ করে বর্ষাকাল ও তার পরবর্তী সময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। তাই এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে সচেতনতা গড়ে তোলা আমাদের সবার দায়িত্ব।

এডিস মশা সম্পর্কে জানা জরুরি:

এডিস মশা সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ায়, বিশেষত সকাল ও বিকেলের দিকে।

এরা স্বচ্ছ ও জমে থাকা পানিতে বংশবিস্তার করে (যেমন: ফুলের টব, টায়ার, বোতল, ডাবের খোসা, পানি জমে থাকা ড্রাম ইত্যাদি)।

এদের জীবনচক্র মাত্র ৭–১০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ হয়, তাই এক সপ্তাহ পরপর জমে থাকা পানি ফেলে দেওয়া জরুরি।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা:

1. জমে থাকা পানি ফেলে দিন – টব, ক্যান, বোতল, টায়ার, এসির ট্রে, ফ্রিজের পিছনের ট্রে ইত্যাদিতে পানি জমে থাকতে দেবেন না।

2. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন – আশপাশের ড্রেন ও নালা-নর্দমা পরিষ্কার রাখুন।

3. মশারি ও মশা প্রতিরোধক ব্যবহার করুন – বিশেষত দিনের বেলা বিশ্রামের সময়।

4. ঢাকনা ব্যবহার করুন – পানির ট্যাংক বা ড্রাম সবসময় ঢেকে রাখুন।

5. সামাজিক উদ্যোগ নিন – শুধু ব্যক্তিগতভাবে নয়, পুরো মহল্লা বা এলাকাজুড়ে নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ নিতে হবে।

এডিস মশা (বিশেষ করে Aedes aegypti, যা ডেঙ্গুর প্রধান বাহক) সাধারণ মশার মতোই দেখতে হলেও কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে, যা দিয়ে সহজে চেনা যায়—

এডিস মশার বৈশিষ্ট্য

1. আকারে ছোট – সাধারণত ৪–৭ মিমি লম্বা হয়।

2. গায়ে কালো রঙ – কিন্তু পুরোপুরি কালো নয়, সাদা দাগ থাকে।

3. সাদা ডোরাকাটা দাগ –

মাথা ও বুকে সাদা দাগ থাকে।

পায়ে স্পষ্ট সাদা-কালো ডোরাকাটা দাগ থাকে (এটাই সবচেয়ে সহজ চেনার বৈশিষ্ট্য)।

4. কামড়ানোর সময় – এডিস মশা মূলত দিনের বেলায় কামড়ায়, ভোর ও বিকেলের দিকে সবচেয়ে সক্রিয় থাকে।

👉 সহজভাবে বলা যায়, এডিস মশা হলো কালো রঙের ছোট মশা, যার পায়ে সাদা দাগ থাকে।

♦️♦️♦️হাইপারটেনশন (Hypertension) বা উচ্চ রক্তচাপ হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে রক্তচাপ স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকে। সহজভাবে ...
05/09/2025

♦️♦️♦️হাইপারটেনশন (Hypertension) বা উচ্চ রক্তচাপ হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে রক্তচাপ স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকে। সহজভাবে বলতে গেলে—আমাদের শরীরের রক্তনালী দিয়ে যখন রক্ত প্রবাহিত হয়, তখন তা নালীর দেয়ালে চাপ সৃষ্টি করে। এই চাপ যদি অনেক সময় ধরে বেশি থাকে, তখন তাকে হাইপারটেনশন বলে।

স্বাভাবিক রক্তচাপ

স্বাভাবিক: 120/80 mmHg এর কাছাকাছি

যদি সবসময় 140/90 mmHg বা তার বেশি থাকে → সেটা হাইপারটেনশন

🟢কারণ

বেশি লবণ খাওয়া

অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা

কম ব্যায়াম করা

মানসিক চাপ

ধূমপান ও মদ্যপান

ডায়াবেটিস বা কিডনির রোগ

🟢লক্ষণ

মাথাব্যথা

মাথা ঘোরা

চোখে ঝাপসা দেখা

সহজে ক্লান্তি

🟢জটিলতা (চিকিৎসা না করলে)

হার্ট অ্যাটাক

স্ট্রোক

কিডনির ক্ষতি

চোখের সমস্যা

🟢প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ

নিয়মিত রক্তচাপ মাপা

লবণ কম খাওয়া

প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা

ধূমপান ও মদ্যপান এড়িয়ে চলা

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া

The DASH diet means Dietary Approaches to Stop Hypertension.👉 এটি এক ধরনের স্বাস্থ্যকর খাদ্য পরিকল্পনা, যা মূলত উচ্চ রক্...
04/09/2025

The DASH diet means Dietary Approaches to Stop Hypertension.

👉 এটি এক ধরনের স্বাস্থ্যকর খাদ্য পরিকল্পনা, যা মূলত উচ্চ রক্তচাপ (হাইপারটেনশন) নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

DASH🟢 ডায়েটের মূল বিষয়গুলো:

♦️কাঁচা লবণ/সোডিয়াম কম খাওয়া

♦️ফল, শাকসবজি ও পূর্ণ শস্য বেশি খাওয়া

♦️কম ফ্যাটযুক্ত দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার

♦️চর্বি কম প্রোটিন (যেমন মাছ, মুরগি, ডাল, বাদাম)

♦️লাল মাংস, মিষ্টি ও চর্বিযুক্ত খাবার কম খাওয়া

🟢উপকারিতা:

♦️রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে

♦️হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

♦️ওজন কমাতে সাহায্য করে

♦️ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে উপকারী

👉 মূল লক্ষ্য হলো সোডিয়াম কমানো, ফল-সবজি ও স্বাস্থ্যকর প্রোটিন বাড়ানো।

নন-স্টিক (টেফলন/ PTFE কোটেড) প্যানে একটি আঁচড় পড়লেই প্রায় ৯,০০০ মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা আলাদা হয়ে খাবারের সাথে মিশে যেতে পা...
04/09/2025

নন-স্টিক (টেফলন/ PTFE কোটেড) প্যানে একটি আঁচড় পড়লেই প্রায় ৯,০০০ মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা আলাদা হয়ে খাবারের সাথে মিশে যেতে পারে। আর যদি প্যানটিতে গভীর ফাটল বা বেশি ক্ষতি থাকে, তবে সেই সংখ্যা বেড়ে যায় প্রায় ২৩ লাখ কণা পর্যন্ত।

২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ার University of Newcastle এর গবেষকরা একটি স্টাডি করেন যেখানে তারা রামান ইমেজিং ও কণিকা বিশ্লেষণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটি দেখেছেন। এই কণাগুলো খালি চোখে দেখা যায় না, কিন্তু দেহে প্রবেশ করলে অঙ্গপ্রত্যঙ্গে জমতে পারে, হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে, এমনকি দীর্ঘমেয়াদে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

তাই বিজ্ঞানীরা পরামর্শ দেন ধাতব চামচ ব্যবহার না করতে, অতিরিক্ত উচ্চ তাপে রান্না না করতে, আঁচড় বা কোটিং ওঠা শুরু হলে নন স্টিক প্যান পরিবর্তন করতে। বিকল্প হিসেবে কাস্ট আয়রন, স্টেইনলেস স্টিল বা সিরামিক কোটেড হাঁড়ি পাতিল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও মাটির পাত্র ব্যবহার করতে পারেন তবে খেয়াল রাখতে হবে মাটির হাঁড়ি রঙ বা গ্লেজ করতে গিয়ে যেন এতে সীসা মেশানো না হয়। এতে খাবারে বিষক্রিয়া হতে পারে। সবসময় বিশ্বস্ত উৎস থেকে কেনা মাটির হাঁড়ি ব্যবহার করুন।

সূত্র: অস্ট্রেলিয়ার University of Newcastle এ করা একটি গবেষণা।

post

🟢🟢"চিকুনগুনিয়া "🟢🟢জয়েন্টের ব্যথার জন্য একে “চিকুনগুনিয়া” বলা হয়। শব্দটি আফ্রিকান ভাষা থেকে এসেছে, যার অর্থ হলো "যে কুঁজো...
03/09/2025

🟢🟢"চিকুনগুনিয়া "🟢🟢

জয়েন্টের ব্যথার জন্য একে “চিকুনগুনিয়া” বলা হয়। শব্দটি আফ্রিকান ভাষা থেকে এসেছে, যার অর্থ হলো "যে কুঁজো হয়ে হাঁটে"— ব্যথার কারণে মানুষ কুঁজো হয়ে হাঁটে।

চিকুনগুনিয়া (Chikungunya) হলো একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। বিশেষ করে Aedes aegypti ও Aedes albopictus মশা এটিকে ছড়ায়।

🟢কারণ: চিকুনগুনিয়া ভাইরাস।

🟢কিভাবে ছড়ায়
: দিনের বেলায় কামড়ানো এডিস মশার মাধ্যমে।

🟢লক্ষণ:

♦️হঠাৎ জ্বর (১০২–১০৪° F পর্যন্ত হতে পারে)

♦️প্রচণ্ড জয়েন্টে ব্যথা (হাঁটু, কবজি, আঙুলে সবচেয়ে বেশি)

♦️শরীর ব্যথা ও ক্লান্তি

♦️মাথাব্যথা

♦️ত্বকে লালচে ফুসকুড়ি

♦️চোখ লাল হওয়া (কনজাঙ্কটিভাইটিস)

🟢জটিলতা:

♦️সাধারণত মারাত্মক নয়, তবে বয়স্ক ও যাদের আগে থেকেই অন্য রোগ (ডায়াবেটিস, হার্ট ডিজিজ) আছে তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা বেশি হতে পারে।

♦️জয়েন্টের ব্যথা অনেক সময় মাসের পর মাস থাকতে পারে।

🟢চিকিৎসা:

চিকুনগুনিয়ার কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ বা ভ্যাকসিন নেই।

চিকিৎসা মূলত সাপোর্টিভ—

♦️বিশ্রাম নেওয়া

♦️পর্যাপ্ত পানি পান করা

♦️জ্বর ও ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল

♦️খুব বেশি ব্যথা হলে ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে

🟢প্রতিরোধ:

মশা নিয়ন্ত্রণ সবচেয়ে জরুরি।

♦️ঘরের ভেতর ও বাইরে জমে থাকা পানি ফেলে দেওয়া।

♦️ফুলদানি, টব, টায়ার ইত্যাদিতে যেন পানি না থাকে।

♦️মশারি, রিপেলেন্ট ও ফুলহাতা জামা ব্যবহার করা

🟢সবচেয়ে জরুরি হলো পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং শরীরে পানি ধরে রাখা যাতে পানিশূন্যতা না হয়।
যা খেতে হবে:
১)ডাবের পানি

২)স্যুপ, লেবুর শরবত, ফলের রস
ভাত, খিচুড়ি, স্যুপ

৩)সেদ্ধ সবজি, আলু, ডাল
ডিম (সেদ্ধ ভালো)

৪)মাছ, মুরগি (হালকা রান্না, ঝাল-মশলা কম)

৫)ডাল ও ডালজাতীয় খাবার
ভিটামিন C সমৃদ্ধ ফল (কমলা, মাল্টা, পেয়ারা, লেবু) – রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

৬)পেঁপে, আপেল, কলা ইত্যাদি।

রিকেটস🚼কারণ: ভিটামিন-ডি এর অভাব (সূর্যের আলো না পাওয়া, খাবারে ঘাটতি, বা শরীরে ভিটামিন-ডি কাজ না করা)।লক্ষণ:পা বাঁকা হয়ে ...
30/08/2025

রিকেটস🚼

কারণ: ভিটামিন-ডি এর অভাব (সূর্যের আলো না পাওয়া, খাবারে ঘাটতি, বা শরীরে ভিটামিন-ডি কাজ না করা)।

লক্ষণ:

পা বাঁকা হয়ে যাওয়া

বুকের হাড় বেরিয়ে আসা (rachitic rosary)

দাঁত উঠতে দেরি

মাথার খুলি নরম

জয়েন্ট মোটা হওয়া

চিকিৎসা/প্রতিরোধ:

প্রতিদিন সূর্যের আলোতে রাখা

দুধ, ডিম, মাছ, লিভার খাওয়ানো

প্রয়োজনে ভিটামিন-ডি ও ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট

👉 সহজভাবে বলা যায়: রিকেটস মানে হাড় নরম হয়ে শক্ত না হওয়া, ফলে বেঁকে যাওয়া।

A very Alarming Condition
25/08/2025

A very Alarming Condition

ক্রোনিক কিডনি ডিজিজ (Chronic Kidney Disease বা CKD)👉 আমাদের কিডনি রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ (toxin), অতিরিক্ত পানি ও লবণ ছ...
20/08/2025

ক্রোনিক কিডনি ডিজিজ (Chronic Kidney Disease বা CKD)

👉 আমাদের কিডনি রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ (toxin), অতিরিক্ত পানি ও লবণ ছেঁকে ফেলে।
👉 যখন কিডনি ধীরে ধীরে স্থায়ীভাবে দুর্বল হয়ে যায় এবং আগের মতো কাজ করতে পারে না, তখন তাকে ক্রোনিক কিডনি ডিজিজ বলে।

---

কারণসমূহ

1. ডায়াবেটিস (সবচেয়ে বেশি কারণ)

2. হাই ব্লাড প্রেসার

3. দীর্ঘমেয়াদি কিডনির প্রদাহ (Glomerulonephritis)

4. জন্মগত বা বংশগত কিডনির অসুখ (যেমন Polycystic kidney disease)

5. বারবার মূত্রনালীর ইনফেকশন বা পাথর

---

লক্ষণ

(শুরুর দিকে নেই, পরে দেখা দেয়)

হাত-পা ও মুখ ফুলে যাওয়া

বারবার প্রস্রাব কমে যাওয়া বা ফেনা ওঠা

সবসময় ক্লান্তি ও দুর্বল লাগা

ক্ষুধামান্দ্য, বমি বমি ভাব

চুলকানি

শ্বাসকষ্ট বা বুক ধড়ফড়

---

জটিলতা

রক্তশূন্যতা (অ্যানিমিয়া)

হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়া

হার্টের রোগ

শরীরে অতিরিক্ত পানি জমে যাওয়া

অবশেষে কিডনি ফেইলিউর → ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপন দরকার হয়

---

চিকিৎসা ও নিয়ন্ত্রণ

✔️ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
✔️ লবণ ও প্রোটিন নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস
✔️ ধূমপান, অতিরিক্ত ওষুধ (পেইনকিলার, অ্যান্টিবায়োটিক ইত্যাদি) এড়িয়ে চলা
✔️ ডাক্তার নিয়মিত ফলো-আপ (রক্ত পরীক্ষা – Serum creatinine, eGFR, প্রস্রাব পরীক্ষা)
✔️ শেষ পর্যায়ে → ডায়ালাইসিস বা কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট

⭕⭕ডায়াবেটিস  এমন একটি স্বাস্থ্য সমস্যা, যেখানে আপনার রক্তে চিনি (গ্লুকোজ) স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়ে যায়।এটি হয় যখন—...
13/08/2025

⭕⭕ডায়াবেটিস এমন একটি স্বাস্থ্য সমস্যা, যেখানে আপনার রক্তে চিনি (গ্লুকোজ) স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়ে যায়।
এটি হয় যখন—

↗️1. শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না – ইনসুলিন হলো একটি হরমোন যা খাবারের চিনি শরীরের কোষে পৌঁছে দিয়ে শক্তি তৈরি করে।

↗️2. শরীর ইনসুলিন ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারে না (ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স)।

⭕ডায়াবেটিসের ধরন

↗️1. টাইপ ১ ডায়াবেটিস – শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ইনসুলিন তৈরির কোষ ধ্বংস করে দেয়। সাধারণত শিশু বা তরুণদের মধ্যে শুরু হয়।

↗️2. টাইপ ২ ডায়াবেটিস – শরীর ইনসুলিন তৈরি করে, কিন্তু ঠিকমতো কাজ করে না। সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের হয়, তবে এখন কম বয়সীদের মধ্যেও দেখা যায়। অতিরিক্ত ওজন, কম ব্যায়াম, বা পরিবারে ডায়াবেটিস থাকলে ঝুঁকি বেশি।

↗️3. গর্ভকালীন ডায়াবেটিস – গর্ভাবস্থায় হয় এবং সাধারণত সন্তান জন্মের পর চলে যায়, তবে ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।

---

⭕ উপসর্গ

↗️অতিরিক্ত পিপাসা লাগা

↗️বারবার প্রস্রাব হওয়া, বিশেষ করে রাতে

↗️অতিরিক্ত ক্লান্তি

↗️হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া (টাইপ ১-এ বেশি হয়)

↗️চোখে ঝাপসা দেখা

↗️ক্ষত বা কাটা ধীরে সারা

↗️ঘন ঘন সংক্রমণ হওয়া

---
⭕ জটিলতা :

↗️রক্তনালীতে (হৃদরোগ বা স্ট্রোক হতে পারে)

↗️কিডনিতে (কিডনি বিকল)

↗️চোখে (দৃষ্টি হারানো)

↗️নার্ভে (হাত-পায়ে অবশ বা ব্যথা)

⭕ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের উপায়:

সুস্থ খাদ্যাভ্যাস: বেশি শাকসবজি, পূর্ণ শস্য, মাছ-মুরগি, ডাল; কম চিনি ও ফাস্টফুড।

নিয়মিত ব্যায়াম: সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন, প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা বা অন্য ব্যায়াম।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।

ধূমপান এড়ানো এবং অ্যালকোহল সীমিত রাখা।

রক্তে চিনি পরীক্ষা করা, বিশেষ করে ঝুঁকি থাকলে বা উপসর্গ দেখা দিলে।

ডাক্তার প্রদত্ত ওষুধ বা ইনসুলিন সময়মতো নেওয়া।

⭕বি:দ্র:

ডায়াবেটিস দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা, তবে সঠিক জীবনযাপন ও চিকিৎসার মাধ্যমে অধিকাংশ মানুষ সুস্থ জীবন যাপন করতে পারে।

কবিরাজী চিকিৎসা করে এসেছে। অল্প বয়সের মহিলা।ওটিতে আছে,, তখনও হাতে চুল বেঁধে রেখেছে।কতটা বিশ্বাস মানুষের, আর কবিরাজ নামক ...
11/08/2025

কবিরাজী চিকিৎসা করে এসেছে। অল্প বয়সের মহিলা।
ওটিতে আছে,, তখনও হাতে চুল বেঁধে রেখেছে।কতটা বিশ্বাস মানুষের, আর কবিরাজ নামক অমানুষেরা কিভাবে হিপনোটাইজড করে মানুষদের।
তারা বলে,, গাছন্ত দিবে,, হাড় গলে জোড়া লেগে যাবে।মানুষও সেটা বিশ্বাস করে!! এরা আইনের আওতায়ও আসে না। নিশ্চয় এক দিনে এমন হয় নি,, বেশ কিছু দিন চিকিৎসা নিয়েছে। হাত পঁচে পুরা শুকিয়ে গেছে।
post
Courtesy:
Platform of Medical & Dental Society

➡️➡️ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে যকৃতে (লিভারে) অতিরিক্ত চর্বি জমে যায়। স্বাভাবিক অবস্থায় লিভার...
10/08/2025

➡️➡️ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে যকৃতে (লিভারে) অতিরিক্ত চর্বি জমে যায়। স্বাভাবিক অবস্থায় লিভারে সামান্য চর্বি থাকতে পারে, কিন্তু যদি লিভারের ওজনের ৫%-এর বেশি অংশে চর্বি জমে, তখন তাকে ফ্যাটি লিভার বলা হয়।

⭕২ ধরনের হতে পারে

1. অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার (Alcoholic Fatty Liver Disease - AFLD)

↗️দীর্ঘদিন অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে হয়।

2. নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার (Non-Alcoholic Fatty Liver Disease - NAFLD)

↗️যাদের মদ্যপানের ইতিহাস নেই, কিন্তু অন্যান্য কারণে লিভারে চর্বি জমে।

⭕কারণ

↗️অতিরিক্ত ওজন (Obesity)

↗️টাইপ ২ ডায়াবেটিস

↗️উচ্চ কোলেস্টেরল বা ট্রাইগ্লিসারাইড

↗️অতিরিক্ত চিনি ও ফ্যাটযুক্ত খাবার

↗️কিছু ওষুধ (যেমন: corticosteroids, certain antivirals)

↗️দ্রুত ওজন কমে যাওয়া

⭕লক্ষণ

অনেক মানুষের ফ্যাটি লিভার থাকলেও (বিশেষ করে শুরুর পর্যায়ে) কোনো দৃশ্যমান লক্ষণ থাকে না — সাধারণত এটি রুটিন আল্ট্রাসনোগ্রাফি বা রক্ত পরীক্ষার সময় ধরা পড়ে।

তবে যখন লক্ষণ দেখা দেয়, তখন সেগুলো হতে পারে:

↗️অস্বাভাবিক ক্লান্তি

↗️ডান দিকের ওপরের পেটের অস্বস্তি বা হালকা ব্যথা (যেখানে লিভার থাকে)

↗️ক্ষুধামান্দ্য

↗️অকারণে ওজন কমে যাওয়া (পরবর্তী পর্যায়ে)

↗️দুর্বলতা

↗️উন্নত পর্যায়ে (সিরোসিস হলে):

↗️ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া (জন্ডিস)

↗️পেট বা পায়ে পানি জমা

↗️বিভ্রান্তি (দেহে বিষাক্ত পদার্থ জমে গেলে)

⭕যদি দীর্ঘদিন চিকিৎসা না হয়, তাহলে:

1) ফাইব্রোসিস – লিভারে দাগ পড়া।

2) সিরোসিস – লিভার শক্ত হয়ে যাওয়া ও স্থায়ী ক্ষতি।

3) লিভার ফেলিওর বা লিভার ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি।

⭕চিকিৎসা ও প্রতিরোধ

↗️ওজন নিয়ন্ত্রণ – ধীরে ধীরে ওজন কমানো।

↗️ডায়েট পরিবর্তন – চিনি ও ট্রান্স ফ্যাট কমানো, বেশি সবজি ও ফল খাওয়া।

↗️নিয়মিত ব্যায়াম।

↗️ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা।

আলঝাইমার রোগ একটি ক্রমশ বাড়তে থাকা স্নায়বিক অবক্ষয়জনিত রোগ যা মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে এবং স্মৃতি, চিন্তাভাবনা, আচরণ ও...
10/08/2025

আলঝাইমার রোগ একটি ক্রমশ বাড়তে থাকা স্নায়বিক অবক্ষয়জনিত রোগ যা মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে এবং স্মৃতি, চিন্তাভাবনা, আচরণ ও দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালনায় সমস্যা সৃষ্টি করে।

মূল বিষয়গুলো:

কারণ: সঠিক কারণ জানা যায়নি, তবে মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক প্রোটিন জমা (অ্যামাইলয়েড প্ল্যাক ও নিউরোফাইব্রিলারি ট্যাঙ্গল) স্নায়ুকোষ ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংস করে।

ঝুঁকির কারণ: বয়স (৬৫ বছরের পর বেশি দেখা যায়), পারিবারিক ইতিহাস, কিছু জিন (যেমন APOE ε4), হৃদ্‌রোগ, মাথায় আঘাত, ও জীবনযাত্রার ধরন।

উপসর্গ:

প্রাথমিক: ভুলে যাওয়া, সঠিক শব্দ খুঁজতে অসুবিধা, পরিকল্পনায় সমস্যা।

মাঝামাঝি: বিভ্রান্তি, পরিচিত মানুষকে চিনতে না পারা, মেজাজ পরিবর্তন, দৈনন্দিন কাজে অসুবিধা।

শেষ পর্যায়: গুরুতর স্মৃতিভ্রংশ, যোগাযোগে অক্ষমতা, সম্পূর্ণ নির্ভরশীলতা, শারীরিক অবনতি।

নির্ণয়: ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা, স্মৃতিশক্তি পরীক্ষা, মস্তিষ্কের ইমেজিং (MRI, CT, PET), এবং অন্যান্য কারণ বাদ দেওয়ার জন্য ল্যাব পরীক্ষা।

চিকিৎসা: সম্পূর্ণ নিরাময় নেই, তবে কিছু ওষুধ (ডোনেপেজিল, রিভাস্টিগমিন, মেমানটিন) ও জীবনধারার পরিবর্তন রোগের অগ্রগতি ধীর করে ও উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

প্রতিরোধ ও ঝুঁকি হ্রাস: স্বাস্থ্যকর খাদ্য (মেডিটারেনিয়ান বা DASH ডায়েট), নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম, মানসিক চর্চা, সামাজিক মেলামেশা, ভালো ঘুম, এবং ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা।

Address

Wari

Telephone

+8801867262901

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Mumtahena Afroz Nisha posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Mumtahena Afroz Nisha:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category