Dr. Asha's

28/09/2025

বাবা-মা ও ছেলে-মেয়েকে তো অনেকেই একসাথে চেম্বারে বসতে দেখেছেন।নানু-নাতনী কে কজন দেখেছেন?

আজ সকালে আমার দাদুবাসার এলাকায় মেডিকেল ক্যাম্প করে ফিরলাম।একরুমে আমার নানু(শিশু বিশেষজ্ঞ),আরেকরুমে আমি রোগী দেখছিলাম।আমি দেখি বড়দের,নানু দেখে বাচ্চাদের।নানু নাতনীকে রোগী রেফার করে,আমি বাচ্চাদের নানুর কাছে রেফার করি।মজার ব্যাপার!😂

আমার দেশে থাকার ইচ্ছা নেই বললেই চলে।গ্রামের এই হতদরিদ্র মানুষগুলো যেভাবে মিসম্যানেজড হয় এসব দেখে মাঝেমধ্যে ভাবি দেশে থাকলেও মন্দ হতো না।পরক্ষণেই ঢাকা শহরে এসে লবিং আর পলিটিক্সের জোরাজুরি দেখে আর মত টিকিয়ে রাখতে পারি না।

কি আছে কপালে তা জানার তো আর সাধ্য নেই তবুও চেষ্টা করছি!

📍নীলফামারী সদর

21/09/2025

📍পাওমুম থারক্লা,বান্দরবানের লামার গহীনে পাহাড়ি বাচ্চাদের একটি বোর্ডিং স্কুল।

আজ সকালে এই স্কুলে মেডিকেল ক্যাম্প করে ফিরে এলাম।ইমোশন তাজা থাকতে থাকতেই আসলে লিখে ফেলতে হয়।অভিজ্ঞতা পরে লিখবো ভেবে কতো কতো ছবি গ্যালারিতে পড়ে রয়েছে তার হিসেব নেই!

হঠাৎ একদিন মেডিকেলের এক ক্লোজ জুনিওর নক দিয়ে বললো বান্দরবানে একটা মেডিকেল ক্যাম্প করার প্ল্যান করছে,তারা চায় আমি ডাক্তার হিসেবে পার্টিসিপেট করি।এ কি আর মানা করার মতো প্রপোজাল?
আমার মোটের উপরে পনেরবারের বেশি বান্দরবান যাওয়া হয়েছে।সবসময় ভাবতাম এই পাহাড়ি মানুষগুলোর কঠিন জীবনযাত্রাকে কিছুটা হলেও সহজ করে দেয়ার সুযোগ যদি পেতাম!এবার সেই সুযোগ নিজ হাতে এসে ধরা দিলো।

এবারে পাওমুম থারক্লা যাওয়ার বিশাল কাহিনী বলি।প্ল্যান হলো ঢাকা থেকে বাসে চকোরিয়া যাবো।চকোরিয়া থেকে লামা যাবো চান্দের গাড়িতে।লামা বাজার থেকে বাইকে/বোটে করে ফাইনাল ডেস্টিনেশন স্কুলে যাবো।

কিন্তু কপালে যে এক প্ল্যান ভার্সেস রিয়্যালিটি চেক লিখা আছে তা আর কে জানে!

চকোরিয়া যেতে গিয়ে বাসের এক্সিডেন্ট হলো।সবাই কমবেশি হাটুতে ব্যথা পেলাম।সেই বাস আমাদের চকোরিয়ার আগেই এক রেস্টুরেন্টে নামিয়ে দিলো।জানালো আরেক বাস এসে আমাদের বাসস্ট্যান্ড পৌছিয়ে দিবে।সেই বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হলো ঘন্টাখানেকেরও বেশি।স্বাভাবিকভাবেই বাসস্ট্যান্ডে পৌছাতেই সবাই কাহিল অথচ সারাদিনের কাজ এখনো বাকি।এরপরে চান্দের গাড়িতে করে গেলাম লামা বাজার।এবার লামা বাজারে গিয়ে শুনি মাতামুহুরির পানি এখন কম তাই নৌকা চলবে না।তাহলে আর উপায় রইলো বাইক।বাইকে করে পৌছালাম কালৈক্যাপাড়া।সেখানে গিয়ে শুনি পাড়া থেকে বাইকে স্কুল পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা খুবই রিস্কি,বাইকে গেলে এক্সিডেন্ট হবার সম্ভাবনাই বেশি।এদিকে হাতে সময়ও নেই,প্রায় দুটা বাজে।সবাই ব্যাগ-বস্তা নিয়ে হাটতে শুরু করলাম।মাতামুহুরির গা ঘেষে হেটে যেতে সময় লাগলো প্রায় এক ঘন্টা।সবশেষে গত রাত ১১ টায় জার্নি শুরু করে পৌছালাম পরদিন দুপুর ৩টায়।

স্কুলে পৌঁছে দেখি দূর থেকে পায়ে হেটে অনেকগুলো বাচ্চা এসেছে।আমাদের পৌছাতে দেরি হওয়াতে কোনোমতো খেয়েদেয়েই সবাই বাচ্চা রোগীদের দেখতে শুরু করলাম।বিকেলের দিকে ঝুমবৃষ্টি নামলো।বাচ্চাগুলোর এই পিচ্ছিল পাহাড়ি পথে হেটে বাসায় ফিরে যেতে কষ্ট হয়ে যাবে ভেবে আমরা চটজলদি কাজ করছিলাম।তবুও কুলায়ে ওঠা গেলো না।সন্ধ্যা নামার আগে দূরের বাচ্চাগুলোকে দেখে বাকিদের আবার আগামীকাল আসতে বলা হলো।

আমরা ৪ জন ডাক্তার ছিলাম সাথে ৪ জন মেডিকেল স্টুডেন্ট।টোটাল ৮ জনের মেডিকেল টিম আমাদের।
আমাদের ঘুমানোর জায়গা করা বাচ্চাদের বোর্ডিং এ।সেটা স্কুল থেকে কিছুটা দূরে পাহাড়ের উপরে।রাতের খাবারদাবার শেষে সবাই উঠলাম পাহাড়ের উপরে।ফ্লোরিং করে থাকবো সবাই আজ।এত ক্লান্ত শরীরে সবার যে কি সুন্দর ঘুম হয়েছিলো আহা!

পরদিনের পালা এবার।
সক্কালে সবাই ঘুম থেকে উঠে পাহাড়িদের বানানো চা-বিস্কিট খেয়ে ক্যাম্পের কাজ শুরু করে দিলাম।আজকে বড়দের দেখার কথা সাথে যেই বাচ্চাগুলোকে গতদিন দেখা হয়নি তাদেরও দেখার প্ল্যান।৩ টা আলাদা আলাদা মেডিকেল বুথ বানিয়ে আমরা রোগী দেখা শুরু করে দিলাম।সবমিলিয়ে পঞ্চাশহাজারেরও বেশি টাকার ঔষধ নেয়া হয়েছিলো,সবগুলোই আমরা তাদের দিয়ে এসেছি।পাহাড়িদের বেশিরভাগ সমস্যাই স্কিনের,বাচ্চাদের বেশিরভাগেরই স্ক্যাবিস,মহিলাদের রক্তশুন্যতা সাথে মেক্যানিকাল ব্যাক পেইন,কিছু কিছু বাচ্চাদের কানের ইনফেকশন,বয়স্ক মহিলাদের বেশিরভাগেরই দাতের সমস্যা সাথে কোমরব্যথা।

এই ক্যাম্পে ডায়াগনস্টিক চ্যালেঞ্জ খুব একটা ছিলো না কিন্তু ভয়ংকর লজিস্টিক্যাল চ্যলেঞ্জ ছিলো।আমাদের ইনভেন্টরির বাইরে কোনো ঔষধ লেখা মানেই তাদের ৩ ঘন্টা পায়ে হেটে সেই ঔষধ কিনতে যেতে হবে।একেকটা ক্যাম্পে একেকরকম অভিজ্ঞতা হয়।ডাক্তার হিসেবে ডাইভার্স ডায়াগনোসিস ৫ মিনিটের ব্যবধানে চিন্তা করতে পারার এবিলিটি অর্জন করা মেডিকেল ক্যাম্প আর বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালের ওপিডি ছাড়া সম্ভব নয়।

ক্যাম্প শেষ হলো দুপুরের দিকে।
ভাগ্যক্রমে গতদিন ঝুম বৃষ্টি হওয়ায় আজ মাতামুহুরির পানি বেশি ছিলো।নৌকা এলো আমাদের নিতে,সবাই স্বস্তির নিশ্বাস ফেললাম।মাতামুহুরির বোট রাইডিং পুরো অভিজ্ঞতার সবচেয়ে রোমাঞ্চকর মুহূর্ত ছিলো।নৌকায় করে ফিরতে ফিরতেই সানসেট দেখলাম।শীতল পানিতে পা দুলাতে দুলাতে দুই ঘন্টার জার্নি কীভাবে শেষ হলো বুঝতেই পারলাম না!

ডাক্তারি লাইফে যতটা না আনন্দ টাকা কামিয়ে,তারচেয়ে শতগুণ আনন্দ পাওয়া যায় ভলান্টারি কাজ করে।আফসোস একটাই,দেশের মানুষ আর ডাক্তার জনগোষ্ঠীর মধ্যে থাকা বিশাল কমিউনিকেশন গ্যাপটা মিটে গেলে হয়তো দেশটা ডাক্তারদের জন্য স্বর্গ হতো।

আমার বাকেটলিস্টের একটা স্বপ্ন ছিলো বান্দরবানের পাহাড়ি নৃগোষ্ঠীদের সাথে একদিনের জন্য হলেও ট্যুরিস্ট হিসেবে নয়,ডাক্তার হিসেবে দিন কাটানো।
কীভাবে কীভাবে যেনো স্বপ্নগুলো পূরণ হয়ে যাচ্ছে।
এমন পাখির মতো জীবনই তো চেয়েছিলাম।ভয় করে সেদিনের জন্য যেদিন স্বপ্নগুলো সব শেষ হয়ে যাবে!

16/09/2025

গতকাল শ্রীলঙ্কা থেকে ১৪ দিন কাটিয়ে ফিরলাম।
সবচেয়ে পঁচা ফ্রেমের টুকটুক(আমাদের সিএনজিকে সেদেশে টুকটুক বলে) ড্রাইভারের তোলা ছবিটাই প্রথমে দিলাম।
বিশাল সময় নিয়ে যাওয়ার কারণ ছিলো লোকাল কালচার দেখা,লোকাল মানুষজনের সাথে মিশতে পারা।সলো কলোম্বো ঘুরলাম সাথে কমবেশি শ্রীলঙ্কার মোস্ট ট্রাভেল স্পট।রাত-বিরাতে একেক জেলার রাস্তায় হাটাহাটি,পাহাড় চড়া,ঝর্না দেখা,লোকাল বাস,ট্রেন,খাবারদাবার,ধর্মীয় কালচার কিছুই বাদ রাখিনি।এয়ারপোর্ট থেকে নেমে নিজের দেশকেই কিছুক্ষণের জন্য বিদেশ লাগছিলো।

সভ্য হতে যে টাকা লাগেনা তা এদেশ থেকে আমার সবচেয়ে বড় শিক্ষা।একসময়ের দেউলিয়া দেশের গ্রামেগঞ্জের মানুষ থেকে শুরু করে রাজধানী কলোম্বো পর্যন্ত সবাই ইংলিশ বোঝে এবং কমিউনিকেট করতে পারে।রাস্তাঘাটে লোকাল মানুষের থেকে ট্রাভেলারের অনুপাতই কিছু জায়গায় বেশি।ইউরোপীয়ান কান্ট্রি থেকে প্রচুর ট্রাভেলার দেখলাম এখানে।সৌন্দর্যের তুলনায় আসলে বাংলাদেশ বহুলাংশেই তাদের সমান কিন্তু সেদেশ থেকে ফিরে আসতে মন চাইবে না আর এই দেশে থাকতে মন চাইবে না,শুধু এতটুকুই পার্থক্য।

যাহোক,ছবির পিছনে Independence square দেখা যাচ্ছে সাথে তাদের প্রথম প্রাইম মিনিস্টার স্টিফেন সেনানায়েকে।ছবির মুজিজা হলো এটা আমার ফার্স্ট সলো কোনো দেশের রাজধানী চষে বেড়ানোর মেমোরি।

উশকোখুশকো একটা ছবিও থাকুক পেইজে।🇱🇰

19/07/2025

আজ সকালে ঘুম ভাঙলো আম্মুর কলে।পেপারে আমার ছবি দেখে কল দিয়েছে।পাশ থেকে নানীও দেখি হাতে পেপার নিয়ে এসে জিজ্ঞেস করছে 'দেখ তো এটা তুই না?তোর ছবি ছাপিয়েছে ওরা।'বন্ধুমহলে ও কলীগদের গ্রুপেও দেখি শেয়ার করা শেষ।
শুধু সবসময়ের মতো আমিই লেইট।

যাহোক কিছু কথা আমার দিক থেকে বলা উচিৎ বলে মনে করি।আমি যেমন মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী,তেমনটা জুলাইয়েও বিশ্বাসী।আমি যেমন মুক্তিযুদ্ধকে পুজি করে স্বার্থ হাসিলের বিরুদ্ধে তেমনি জুলাইকে কেন্দ্র করে টাকার পাহাড় গড়ে তোলা মানুষেরও বিরুদ্ধে।আমি কোনো পলিটিকাল পার্টির পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলিনি আমার লেখাগুলোতে।এক্সিস্টিং কোনো পলিটিকাল পার্টির সাথেই আমি আমার এথিক্সের মিল পাইনা।সো পলিটিক্স থেকে আমি শহাত দূরে থাকি।
আমি একজন ডাক্তার।ডাক্তারিবিদ্যা দিয়ে মানুষের সেবা করা আমার দায়িত্ব।কোনো পলিটিক্যাল পার্টিকে সার্ভ করা আমার ইনটেনশন নয়।তাই আমাকে বা আমার লিখাকে কোনোরকম পলিটিক্যাল এজেন্ডার সাথে না মেলানোর অনুরোধ করলাম।

সামনে কিছু হেলথ বিষয়ক লেখালেখি করবো।কি নিয়ে জানতে চান সবাই?😁

আমিই সেই ‘নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইন্টার্ন চিকিৎসক’

06/07/2025

📍Putrajaya, Malaysia

This was our Day 4 there!

Malaysia is truly full of architectural elegance. 🏙️

Behind me is the iconic pink-domed Putra Mosque. I’ll be posting detailed shots of it soon because it was absolutely majestic!
Right next to it is the Perdana Putra, the Prime Minister’s office.

We spent our afternoon there eating some local cuisine and enjoying the rain.

Tips for travelling in KL:
Use their MRTs/LRTs because it’s super cheap and the fastest way to get around.😉

13/06/2025

That's the view I was talking about in my last post.
The mighty Petronas Twin Towers (on my right) and Merdeka 118 (on my left) in the same frame, mirrored in the waters of Titiwangsa Lake.

Here's a bit of history behind Merdeka 118:
Merdeka means independence in Malay.
The tower was designed to resemble the outstretched hand of Malaysia’s first Prime Minister Tunku Abdul Rahman as he declared 'Merdeka!' in 1957.
The number 118 represents its towering 118 stories, making it the second tallest building in the world after Burj Khalifa.

This was one hell of a place to spend the evening!💌

12/06/2025

📍Titiwangsa Lake Gardens, Malaysia 🇲🇾

A lakeside park where you can capture the iconic Petronas Twin Towers and the second tallest building in the world, Merdeka 118, in the same breathtaking frame! 🏙✨

Here’s some background on this picture:
It was my first trip abroad.
I went there for an exam, and I was just so drained to explore as much as I wanted.
Thankfully, I passed!
But the first time is always special, right?💫
Let’s just pray for no more international trips with exam stress!
I am doneee!🤲

01/06/2025

When your profession meets your passion!👩‍⚕️

Working in a low-resource setting, diagnosing conditions like Rheumatoid arthritis, Spondyloarthritis, peripheral neuropathy, carpal tunnel syndrome and so on has surely sharpened my clinical judgment.

৭০০কিমি ট্রাভেল করে কাকভেজা হয়ে দুইদিনের মেডিকেল ক্যাম্প শেষে আজ ব্যাক করলাম।আবার ৩ দিনের হসপিটাল ডিউটি শেষে ৩৫০কিমি জার্নি করে বাসায় যাবো।শরীরের বারোটা থেকে তেরোটা বেজে যাবে।
কিন্তু যত যাইহোক নিজ এলাকায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প তো আর মিস করা যায় না,তাইনা?

📍চিরিরবন্দর,দিনাজপুর

30/05/2025

Finding out an escape in my medical life was the most profound factor in surviving those days!🩺

📍Remakri waterfalls

23/05/2025

Can you see that I'm carrying the stars in my heart?🌠

After walking for 8 hours, you can only smile if you're madly in love—this time, in love with the wildflowers.

📍On the way to Andharmanik

16/05/2025

I'm an inside and out sunshine girl.⛅
Whenever I feel low,I travel for the light—the sunshine that each time makes me tan and a bit stronger.

After all,what's better than nature to make you wiser?🍃

📍Maikua jhiripath

09/05/2025

This is my life beyond the scrubs!👩‍⚕️

Maybe surgeons do like to get dirty,eh?
In scrubs with blood,in nature with mud?

📍My last trip to Narisshajhiri