10/07/2025
স্যার আমি আমার পরিচয় গোপন রাখার জন্য অনুরোধ করছি।
স্যার আমার বয়স 18 বছর। এখনো কোন প্রকার কর্মজীবনে প্রবেশ করিনি। এই সময় বিয়ে করার জন্য আমি শারিরিক অথবা মানষিক কোন ভাবের প্রস্তুত নই। কিন্তু একটি কারণ বসত আর কিছুদিনের ভিতর আমাকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দিতে চলেছে। কারণ টা হলো আমার ক্লাস 8 এ পড়া খালাতো বোন একটি ছেলের সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে ফেলে। তার 3 দিন পর আমার খালাতো বোন কে আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসে। তার জন্য এইসময় আর কোন ভালো ছেলে পাবেনা তাই সবাই মিলে তার সাথে আমার বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পরে লেগেছে। আমি একটা সময় প্রচুর হস্ত-মৈথুনে আসক্ত ছিলাম। 13 বছর থেকেই আমি হস্তমৈথুনে আসক্ত হয়ে পরি। তাই আমার বী-র্যপাতের সময় অনেক কম হয়ে গেছে, এমন কি 1 মিনিটেই আমার বীর্যপাতে হয়ে যায়। এবং বয়স অনুযায়ী আমার লিং-গের সাইজ ও খুব বেশী না,,আমার বয়সী অন্যদের অনুযায়ী অনেক ছোট। আমার এই কম সময়ে বী-র্যপাত ও লিং-গের সাইজ নিয়ে অনকে টেনশনে আছি। আবার 2-4 মাস এর মধ্যেই হয়তো আমার বিয়ে হবে।
স্যার, এখন আমার করনীয় কি দয়া করে জানাবেন প্লিজ।
পরামর্শ ও করনীয় কিঃ
সত্যি তোমার এই খোলামেলা এবং সাহসী মেসেজের জন্য আমি আন্তরিকভাবে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই। তুমি ১৮ বছর বয়সেই এমন একটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে গেছো, যেখানে অনেক বড় মানুষও ঠিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। আমি ধাপে ধাপে খুব সহজভাবে সব বিষয় ব্যাখ্যা করছি এবং করণীয় বলছি—শারীরিক, মানসিক, পারিবারিক এবং আত্মবিশ্বাসের দিক দিয়ে।
তোমার সমস্যা গুলো এক নজরে:
1. তুমি এখনো মানসিক বা শারীরিকভাবে বিয়ের জন্য প্রস্তুত না।
2. তোমাকে পারিবারিক চাপে পড়ে খালাতো বোনের সাথে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
3. তুমি আগে হস্তমৈথুনে আসক্ত ছিলে, যার কারণে তোমার:
• সময়ের আগেই বীর্যপাত হয় (Pre-mature Ej-aculation)
• লি-ঙ্গের সাইজ নিয়ে আত্মবিশ্বাস কম
4. তুমি ভয় পাচ্ছো, বিয়ের পর ভালো পারফর্ম করতে না পারলে সম্পর্ক নষ্ট হবে।
এখন এগুলো নিয়ে আলোচনা করবো
১. বিয়ে বিষয়ক করণীয় (Family Pressure)
❤️বয়স ১৮ মানে তুমি প্রাপ্তবয়স্ক, কিন্তু এখনো স্বাস্থ্য, পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার তৈরি হয়নি।
• তুমি সরাসরি বা মধ্যস্থ কাউকে দিয়ে পরিবারের বড়দের বোঝাতে পারো:
• “আমি এখনো পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে চাই। বিয়ের মত গুরুতর সিদ্ধান্ত এখন নিলে সেটা দাম্পত্য জীবনেও সমস্যা তৈরি করবে।”
• নিজের অবস্থানটা কাউকে জানাও – যেমন মায়ের কাছের কেউ, দুলাভাই, বড় ভাই, অথবা শিক্ষকের মতো কাউকে।সবচেয়ে বড় বিষয় দোআ করা ।
ব্যক্তিগতভাবে বললে বিয়ে করাই বুদ্ধিমানের কাজ ও নিয়ামত মনে করছি।চরিত্র ও মন দুটোই পবিত্র থাকবে ইনশাআল্লাহ । কম বয়সে বিয়ে করে কেউ আপসোস করেনি যদি স্ত্রী নেককার হয় ।
বাকি পরামর্শ গুলো কমেন্টে দিবো ইনশাআল্লাহ