Dr. Mohammad Saiful Alam Talukder

Dr. Mohammad Saiful Alam Talukder I am a Cosmetic Dental Surgeon and Dental Implantologist.

Make appointments for all kinds of dental treatment and hijama cupping therapy.
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
ডেন্টাল ট্রিটমেন্টের এ্যাপয়েন্টমেন্ট করতে আপনার কাছের বা পছন্দের ব্রাঞ্চে ফোন করুনঃ
�Sat, Mon, Tue, Wed
�+88.0187.3368478 (Dhanmondi, Dhaka)

�Sun, Thu
�+88.0197.3368478 (Banani, Dhaka)

�Fist Wed and Thu of the Month.
�+88.0188.9992900 (Kuakata Branch)
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

বাংলাদেশে মানুষদের লাইফস্টাইলের সমস্যা নিয়ে কাজ করছি কয়েকবছর। বলা যায় কোভিড টাইম থেকে।প্রধান যে সমস্যাটা আমি বের করেছি ত...
23/08/2022

বাংলাদেশে মানুষদের লাইফস্টাইলের সমস্যা নিয়ে কাজ করছি কয়েকবছর। বলা যায় কোভিড টাইম থেকে।

প্রধান যে সমস্যাটা আমি বের করেছি তা হচ্ছে ঘুমের সমস্যা। ঘুমের সমস্যা বলতে ঘুম আসে না তা কিছু না। ঘুম আসে কিন্তু ঘুমায় না। আমার নিজেরও এমন অনেক সময় গেছে মোবাইল হাতে নিয়ে ঘুমিয়েছি। আবার কিছুক্ষন পর উঠে দেখি হাতে মোবাইল। হঠাৎ জেগে বুঝতে পারতাম না হাতে মোবাইল কেন?

তো, বাংলাদেশের মানুষ এখন দেরী করে ঘুমায়। সকালে রাতে রুটি খায়। আমাদের বাপ দাদা চৌদ্দগুষ্ঠি কোনদিন রুটি খায় নাই। কিন্তু আমরা হালে জাতে ওঠার জন্য রুটি খাই। বাঙ্গালীদের রুটি খাওয়া নিয়ে আরেকদিন কথা বলবো। খুব ইম্পর্টেন্ট ইস্যু এটা।

দেরী করে ঘুমানোর বেশিরভাগেরই কোন কারন নেই। আমি প্রায় ১০০ এর ওপরে পেশেন্টকে জিজ্ঞেস করেছি রাতে কি করেন? বেশিরভাগই কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।

কয়েকজন বলেছেন অফিস থেকে ফিরতে দেরী হয়। এদের সংখ্যাই বেশি।

কয়েকজন বলেছেন, ব্যবসা আছে, রাত হয় ক্লোজ করতে। তাদের জিজ্ঞেস করেছি অফিসে কখন যান? কেউ বলেছে ১২ টার দিকে, কেউ বলেছে দুপুরে খেয়ে।

মেয়েরা বলছে স্বামী দেরী করে আসে। তাই দেরী হয়। এখন পর্যন্ত দ্বীনদ্বার রাও বলেননি যে আমল করে ঘুমাতে দেরী হয়।

তারমানে একটা ফিতনা চলছে। মানুষকে বুদ্ধি ও শারিরীক প্রতিবন্ধী বানানোর ফিতনা। দেরী করে ঘুমালে আপনার প্রোডাক্টিভিটি কমে যাবে। শরীরের ক্ষয় পূরণ হবে না। ফলে আপনি ধীরে ধীরে এমন এক শারিরীক অবস্থার সম্মুখীন হবেন যে সারা দুনিয়ার ডাক্তাররা যদি সব ঔষধ আপনার ওপর প্র‍য়োগ করেন তাও আপনি সুস্থ হবেন না। একারনেই দেখবেন আমাদের প্রচলিত মেডিকেল সাইন্সে ক্রনিক ডিজিজের কোন ট্রিটমেন্ট নেই, যা ই আছে তা সারাজীবন খেয়ে সেই ক্রনিক কন্ডিশানকে কন্ট্রোলে রাখবে।

যদি অকারনে রোগে শোকে আক্রান্ত হতে না চান তাহলে সঠিক সময়ে ঘুমান।

আপনার যদি কোন কারনে ঘুম না আসে, ইনসোমনিয়ার সমস্যা থাকে। আমাকে বলুন। আপনার ঘুম কিভাবে আসবে সেটা বলে দেব। এখন পর্যন্ত এই টেকনিক ফেইল হয়নি। ১০ বছর ধরে ঘুমের ঔষধ খেয়েও ভাল ঘুম হয় না এমন পেশেন্টও ঔষধ ছাড়া শিশুর মত ঘুমিয়েছে।

ঘুমের ট্রিটমেন্ট শুধু ঘুম ঠিক করার জন্য নয়। আপনি শুধু ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই সুস্থ হতে পারেন। আপনার অনেক সমস্যা আছে যার ট্রিটমেন্ট করার জন্য আপনি লক্ষ লক্ষ টাকা দেশে বিদেশে খরচ করছেন। অথচ ট্রিটমেন্ট রয়েছে আপনার ঘরেই। সঠিক ডায়েট ও সঠিক সময়ে ঘুম। আমি এর নাম দিয়েছি স্লিপ ট্রিটমেন্ট বা ঘুম চিকিৎসা!

ডা. মোহাম্মাদ সাইফুল আলম তালুকদার
কনসাল্টেন্ট কসমেটিক ডেন্টিস্ট, ইমপ্ল্যান্ট ডেন্টাল সার্জন ও ক্লিয়ার এ্যালাইনার এক্সপার্ট, Tooth Planet
কনসাল্টেন্ট ও ট্রেইনার, হিজামা থেরাপি, ডায়েট ও লাইফস্টাইল এক্সপার্ট, Hijama Planet: Cupping & Ruqyah Center

ঘুম থেকে উঠে ছবিটি দেখার পর নবীজির ﷺ একটি কৌতুক মনে পড়লো। নবীজির ﷺ জীবনী পড়লে বেশ কয়েকটি মজার ঘটনা পাওয়া যায়। ছবিটির মতো...
01/06/2022

ঘুম থেকে উঠে ছবিটি দেখার পর নবীজির ﷺ একটি কৌতুক মনে পড়লো। নবীজির ﷺ জীবনী পড়লে বেশ কয়েকটি মজার ঘটনা পাওয়া যায়। ছবিটির মতো এমন ঘটনাও শামায়েলেরর কিতাবগুলোতে আছে।

যাহির (রাদিয়াল্লাহু আনহু) নামের একজন বেদুইন ছিলেন। তিনি নবিজীকে ﷺ প্রায় সময় বিভিন্ন গিফট দিতেন। নবিজী ﷺ আগ্রহ সহকারে বেদুইন-বন্ধুর গিফট গ্রহণ করতেন।

তিনি বলতেন, "যাহির আমাদের পল্লীবন্ধু আর আমরা তাঁর শহুরে-বন্ধু।"

যাহির (রা:) দেখতে কদাকার ছিলেন, সমাজের কেউ তাঁকে এতোটা মূল্যায়ন করতো না। অবহেলা আর অনাদর ছিলো তাঁর জীবনসঙ্গী। কিন্তু, নবিজীর ﷺ কাছে তাঁর বিশেষ মর্যাদা ছিলো। সমাজের যেসব মানুষকে মূল্যায়ন করা হতো না, নবিজী ﷺ ঠিকই তাদেরকে মূল্যায়ন করতেন। সাদা-কালো, ধনী-গরীব, সম্ভ্রান্ত-দাস এসব মানবসৃষ্ট দেয়াল উপেক্ষা করে নবিজী ﷺ মানুষকে 'মানুষ' হিশেবে সবাইকে ট্রিট করতেন।

একদিন যাহির (রা:) বাজারে তাঁর পণ্য বিক্রিতে ব্যস্ত ছিলেন। একজন ব্যক্তি পেছন দিক থেকে তাঁকে ধরেন (অনেকটা এই ছবির মতো)।

যাহির (রা:) তো বেজায় বিরক্ত। তিনি বললেন, "কে? কে আমাকে ধরেছো? ছেড়ে দাও বলছি...।"

পেছনে তাকিয়ে দেখলেন, তিনি আর কেউ নন; খোদ নবিজী ﷺ! যাহির (রা:) যখন বুঝতে পারলেন যে, নবিজী ﷺ তাঁকে ধরেছেন, তখন তিনি তাঁর পিঠ নবিজীর ﷺ বুকের সাথে লেলিয়ে দিলেন।

মজার দৃশ্যটি এখানেই শেষ হতে পারতো। কিন্তু, না। নবিজী ﷺ যাহিরের (রা:) সাথে আরেকটু মজা করলেন। তিনি উচ্চস্বরে বললেন, "কে আছো? এই গোলামটিকে কিনবে?"

অর্থাৎ, তিনি যাহিরকে (রা:) দাস হিশেবে বিক্রি করতে চাচ্ছেন। তখনকার সময়ে বাজারে দাস কেনা-বেচা হতো।

নবিজীর ﷺ এমন আহ্ববান শুনে যাহির (রা:) বললেন, "ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে কে কিনবে? আমার মতো ব্যক্তিকে বিক্রি করলে কেবল অচল পয়সাই পাওয়া যাবে (কোনো লাভ হবে না)!"

যাহিরের (রা:) কথার মধ্যে যেমন সত্যতা আছে, তেমনি মনের আক্ষেপও আছে। আসলেই তো, মানুষজন তাঁকে কিনবে কেনো?

নবিজী ﷺ মানুষের মনের বেদনা বুঝতে পারতেন। যাহিরকে (রা:) মিথ্যা সান্ত্বনা দেননি, মিথ্যা সহমর্মিতাও জানাননি। তিনি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেন।

নবিজী ﷺ বলেন, "যাহির, তুমি ভাবছো তুমি অচল? না, তুমি অচল নও। আল্লাহর কাছে তোমার উচ্চ মর্যাদা রয়েছে।"

একজন কদাকার বেদুইন, যাকে কেউ মূল্যই দিতো না, তাঁর সাথে নবিজী ﷺ কী সুসম্পর্ক রেখেছেন! যে নিজেকে মূল্যহীন মনে করছে,তাকে তিনি বুঝাচ্ছেন- তুমি মূল্যহীন নও; তোমার মূল্য বরং মানুষ বুঝতে পারছে না।

ফেসবুকে একটি উক্তি পড়েছিলাম- যমিনের অনেক 'অখ্যাত' ব্যক্তি আসমানে 'বিখ্যাত'। যমিনের অনেক 'বিখ্যাত' ব্যক্তি আসমানে 'অখ্যাত'।

হঠাৎই দেখা হয়ে গেল ডা. সালাহ আল আসিবী এর সাথে। ফিলিস্তিনি ডেন্টাল সার্জন। প্রতি বছর ৪ মাস সময় দাওয়াতের মেহনতে দিচ্ছেন। ম...
05/02/2022

হঠাৎই দেখা হয়ে গেল ডা. সালাহ আল আসিবী এর সাথে। ফিলিস্তিনি ডেন্টাল সার্জন। প্রতি বছর ৪ মাস সময় দাওয়াতের মেহনতে দিচ্ছেন। মেহনত করেন নিজামুদ্দিনের মাশওয়ারাতে। বললেন, পুরা ফিলিস্তিন নিজামুদ্দিন এর মাশওয়ারাতে চলে। এবার এসেছেন দক্ষিন আফ্রিকাতে।

অনেকে আবার প্রশ্ন করতে পারেন ওনারা জিহাদ রেখে দাওয়াতের মেহনতে কেন এলেন? এর উত্তর আছে ড. আব্দদুল্লাহ আজ্জাম রহিমাহুল্লাহর সূরা তওবার তাফসীর এর কিতাবে। যার ইচ্ছে হয় পড়ে নেবেন।

মজার ব্যপার হচ্ছে ওনাদের সাথে এক সাথীকে দেখলাম অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর নিয়েই সফর করছেন। ৫ লিটার করে ২৪ ঘন্টা অক্সিজেন লাগে। এই ডাক্তার সাহেব একই পেশার হওয়ার কারনে তাকে বললাম যে আপনার সাথীকে হিজামা করে দেই? এক কথায় রাজী হয়ে গেলেন। আর খুব অবাক হয়ে বললেন যে আপনি হিজামা পারেন? কথায় কথায় জানা গেল যে উনিও হিজামা পারেন। পরিচিত কারো লাগলে করে দেন। এও বললেন যে ওনার কাছে হিজামার কাপ নেই দেখে করতে পারছিলেন না। অনুরোধ করলেন সবাইকে হিজামা করে দিতে হবে।

ওনাদের হিজামার সিস্টেম নিয়ে কথা হলো। ওনারা ডীপ কাট করেন, আর কাপ কম বসান। আমি বললাম আমরা লাইট স্ক্র‍্যাচ করি কাপ বেশি বসাই।

সময়ের অভাবে দুইজনকে হিজামা করতে পেরেছি শুধু। ফলাফল দুই দিনের মধ্যে হাতে নাতে পাওয়া গেল আলহামদুলিল্লাহ। এখন আর ওনার অক্সিজেন লাগছে না।

দাওয়াত দিলেন আমাদের ফিলিস্তিন সফর করার জন্য।

ওনারা মাওলানা ইউসুফ সাহেবের দাওয়াতে আমাদের মতই এসেছিলেন ঈমানী মক্তব এর ট্রেনিং এ। মাওলানা ইউসুফ সাহেব মূলতঃ দক্ষিন আমেরিকায় ঈমানী মক্তব নিয়ে কাজ করছেন। এমন এমন জায়গায় মাওলানা ইউসুফ সাহেবের এই মক্তব চালু হয়েছে নিজামুদ্দিনের মাশওয়ারায়। ঈমান জাগানিয়া সব কারগুজারি শুনলাম। মাওলানা ইউসুফ সাহেব আল্লহর কাছে কসম করেছেন যে এই মেহনতের জন্য কারও কাছে কোন রকম সওয়াল করবেন না।

ব্রাজিলে আব্বাস রঃ এর বংশধর কালিমা জানে না। ওযু জানে না। তাবলীগ জামাতের কল্যানে তারা আবার কালিমা পেয়েছে, নামাজ পেয়েছে। এরপর পেয়েছে ঈমানী মক্তব।

একবার তাদের মাদ্রাসায় এক কাবিলার কিছু লোক এলো। তাদের একজন ছিল হাকীম। তিনি গাছগাছড়া দিয়ে চিকিৎসা করেন।
ওনাদের সাথে কথোপকথনঃ
হাকীমঃ আপনাদেরকে অনেক দিন ধরে দেখার সাধ ছিল।
মাওলানাঃ কেন?

হাকীমঃ আপনাদের ব্যপারে শুনেছি যে আপনারা এক আল্লহর ইবাদত করেন। আমরাও এক সৃষ্টিকর্তার ইবাদত করি।
মাওলানাঃ বলেন কি?

হাকীমঃ জ্বি।
এরপর হাকীম সাহেব বললেন আমরা নক্ষত্র এর বিন্যাস অনুযায়ী খাবার খাই। যখন এই তারা গুলো এখানে থাকে তখন আমরা এই ফল খাই, আবার এই তারাগুলো এখানে গেলে আমরা এই মাছ খাই। এভাবে পুরা বছরের হিসেব দিলেন।

এরপর একটা আজব কথা বললেন। বললেন যে আমরা একমাস ফলও পাই না, মাছও পাই না।
মাওলানাঃ তাহলে এই এক মাস কি খান?
হাকীমঃ এই একমাস আমরা হরিন খাই।
মাওলানাঃ হরিন কোথায় পান?
হাকীমঃ আমরা আমাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করতে থাকি। তখন আমাদের সৃষ্টি কর্তা আমাদের সামনে একটা হরিন পাঠিয়ে দেন। তখন এমরা ওটাকে শিকার করি।
মাওলানাঃ কিভাবে দোয়া করেন?
হাকীমঃ আমরা আসমানের দিকে হাত তুলে দোয়া করি।
মাওলানাঃ কতক্ষন দোয়া করেন?
হাকীমঃ যতক্ষন সৃষ্টিকর্তা আমাদের হরিণ না দেন।
মাওলানাঃ এতদিন আমাদের কাছে আসেন নি কেন?
হাকীমঃ আমার কোন পোশাক ছিল না, আজ ঠিক করলাম দেখা হতে দেরী করা ঠিক হচ্ছে না তাই আজকে দুই ঘন্টা ধরে দোয়া করেছি। এরপর একজন আমাকে একটা পোশাক দিয়ে গেল।

হাকীম আরও বললেন, এই যে আমাদের সৃষ্টিকর্তা আমাদের খাবার দেন, এর একটা শর্ত আছে।
মাওলানাঃ কি শর্ত?
হাকীমঃ আমরা আগামীকালের জন্য কোন খাবার জমিয়ে রাখি না।
মাওলানাঃ কেন?
হাকীমঃ যিনি আমাদের আজকে খাবার দিতে পারেন, তিনি অবশ্যই কালকেও দিতে পারবেন, তাই।

এরপর মাওলানা তাদের ইসলামের দাওয়াত দিলেন, আর ওনারা কালেমা কবুল করে ইসলামে দাখিল হয়ে গেলেন।

আল্লহ যদি শুধুমাত্র তার ওপর পরিপূর্ণ ভরসা করার কারনে ইসলাম বোঝে না এমন মানুষদের গায়েবী ভাবে সব চাহিদা পূরণ করতে পারেন, তাহলে আমরা সঠিক ইসলামের ওপর চললে আমাদের সাথে আল্লহ কেমন মুআমালা করবেন?

তাই কোন কিছু প্রয়োজন হলে আসুন টাকার দিকে না তাকিয়ে আল্লহর কাছে চাই। মাখলুকের খাজানা সীমিত, কিন্তু আল্লহর খাজানা অসীম।

এই কারগুজারী সয়ং সেই আলেমের মুখ থেকে শোনা। দক্ষিন আমেরিকাতে শুধু সেই আলেমদেরই পাঠানো হয় যারা দাওয়াতের মেহনতে অন্তত এক সাল দিয়েছেন, বিবাহিত এবং মাস্তরাতসহ চিল্লা দিয়েছেন, এরপর স্বামী স্ত্রী দুইজনেই তাবলীগের মেহনতে মাশওয়ারা অনুযায়ী লেগে আছেন। আর একটা জিনিস অনেকেরই পছন্দ নাও হতে পারে, যারা এই কাজ থেকে কোন বিনিময়ের প্রত্যাশা করেন না।

নিজামুদ্দীনের মাশওয়ারা ছিল এইখানে মেহনত করতে গেলে হিজরতে বাত্যা অর্থাৎ পার্মানেন্টলি হিজরত করতে হবে। কিন্তু এমন ভাবে থাকতে হবে যেন ওখানে তিন দিনের জামাতে গিয়েছেন। অর্থাৎ খুব ফিকিরের সাথে মেহনত করতে হবে। দুনিয়াবী কোন ফিকির করা যাবে না। মানে চাকরী, ব্যবসা, বিয়ে শাদী। এমনকি কারো কাছ থেকে কোন হাদিয়াও নেওয়া যাবে না।

ওনারা যখন এই সাহাবীওয়ালা মেহনত শুরু করেছেন, তখনই আল্লহর নুসরত আসা শুরু হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।

মাওলানা ইউসুফ সাহেব খুবই মশহুর একজন আলেম। ট্রেইনিং শেষ করার সময় বার বার আমাদের কাছে দোয়া চাইলেন।

আসুন আমরাও নিয়্যাত করি নিজেদের রসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সীরাতের ওপর ওঠাবো ইন শা আল্লহ। আল্লহ তায়ালা আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত দাওয়াতের মেহনত করার তাওফিক দান করেন। আমিন।

ডা. মোহাম্মাদ সাইফুল আলম তালুকদার।
লেনেশিয়া (ল্যান্ড অফ এশিয়া)
দক্ষিন আফ্রিকা।

15/12/2021
08/07/2021

'ইলমালানার জুন ব্যাচ আলহামদুলিল্লাহ সফলভাবে শেষ হয়েছে আল্লহ পাকের অশেষ শুকরিয়া আদায় করছি। দ্বিতীয় ব্যাচ যে শুরু করবো সত্যিই তার প্লান ছিলো না কোনো। কিন্তু সবার প্রচুর মেসেজ, কল আর রিকোয়েস্ট এ জুলাই ব্যাচ শুরু করতে যাচ্ছি।

এবার ও কোর্স ফি আপনাদের হাতের নাগালেই রয়েছে তবে কিছু চেঞ্জ এনেছি। ফর্মে বিস্তারিত আছে। ফর্ম খুব ভালো করে পড়বেন তারপর পেমেন্ট করে ফর্ম ফিলাপ করবেন। যেকোনো প্রয়োজন বা কিছু বুঝতে না পারলে বা কনফার্মেশন এর জন্য পেইজে ইনবক্স করবেন। বিকাশ নম্বরে কল করবেন না প্লিজ।

কোর্স ফিঃ

লেভেল ওয়ান L1: ৫০০ টাকা মাত্র (এককালীন)
লেভেল টু L2: ৫০০ টাকা মাত্র (মাসিক)

✅লেভেল টু এর শুধু মাত্র কায়দায় বিসমিল্লাহ, বাংলায় বিসমিল্লাহ, নাশীদ কোর্সই এই সাবজেক্ট গুলোই এক মাসের বেশী চলবে। ২-৬ মাস ধরে নিয়েছি।

✅কায়দায় বিসমিল্লাহ তে কায়দা শেষ করে দেয়া হবে ইন শা আল্লহ।
✅বাংলায় বিসমিল্লাহ তে বাংলা লিখতে, পড়তে শেখানো হবে ইন শা আল্লহ। বাংলায় বিসমিল্লাহ এর লেভেল ৩ আগামী মাসে শুরু হবে ইন শা আল্লহ।

✅কোর্স ফি, বয়স ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত ফর্মে আছে।

✅ ফি টা একটু বাড়িয়েছি। আগেরবার ফি পুরোটাই উস্তাজাদের দিয়েছি। কিন্তু একটু ভালো ভাবে কাজ করতে, ভালো উস্তাজা পেতে অফিস সহকর্মী আরো অনেক কিছুই লাগে। পাশাপাশি ফি এর একটা অংশ Sadaqah তে মাদ্রাসার এতিম গরীব বাচ্চাদের জন্য। আশা করি পাশে থাকবেন সবাই।

✅দ্রুত বিকাশ করে ফর্ম ফিলাপ করবেন সীট সীমিত। ইনবক্স করে সীট বুক করে রাখা যাবে না। আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।

✅যাদের আর্থিক সমস্যা আছে এটুকু পে করাও কষ্টকর, তারা পেইজে ইনবক্স করবেন ইন শা আল্লহ। প্রতি ব্যাচে একজন ফ্রি স্টুডেন্ট নেয়া হবে ইন শা আল্লহ।

✅ প্রিভিয়াস ব্যাচের কিছু রিভিউঃ https://www.facebook.com/101214861964550/posts/188231729929529/

ফর্ম লিংকঃ
https://forms.gle/fGzZEEwi3vuYLLFn6

'বিহ্যাইন্ড দ্য ইসলামোফোবিয়া'বর্তমান সময়ে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক একটি কাজ। সভ্যতার সংঘাতে ওদের হাতে সবকিছু। সেই বদরের ময়দানে...
07/05/2021

'বিহ্যাইন্ড দ্য ইসলামোফোবিয়া'

বর্তমান সময়ে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক একটি কাজ।
সভ্যতার সংঘাতে ওদের হাতে সবকিছু। সেই বদরের ময়দানের মতো। পাশ্চাত্য সভ্যতার হাতে আধুনিক সমরাস্ত্র, মিডিয়া, বিজ্ঞান, মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর নাটাই। সবকিছুকে ব্যবহার করে আমাদের সভ্যতাকে ডিহিউম্যানাইজ করা হয়েছে, হচ্ছে। দেশে দেশে ইসলামোফোবিয়া তৈরি করা হয়েছে। আধুনিকতা, বাঙালিয়ানা, ধর্মনিরপেক্ষতা, উদারনৈতিকতা ইত্যাদি সকল বয়ানে শক্তভাবে হাজির এই ইসলামোফোবিয়া। খোদমুসলিমদের মাঝে ইসলামোফোবিয়া নানান রূপে হাজির: কখনও ক্রিটিক্যাল থিংকিং এর নামে, ইসলামিক ফেমিনিজম, মডারেট ইসলামের সুরতে, আহলে কুরআন হিসেবে, পশ্চিমা দাঈদের চটকদার লেকচারে।

সবকিছুর মূল উদ্দেশ্য হল, ইসলামকে যারা একটা সভ্যতা হিসেবে চায়, আবার বিজয়ী দেখতে চায়, তাদেরকে অমানুষ, অসভ্য প্রমাণ করা। তাদের দুনিয়ায় বসবাসের অধিকারকে অবৈধ করা। তাদেরকে হত্যা, নির্যাতন, উৎখাত, উদ্বাস্তু করাকে পুরো দুনিয়ার সামনে বৈধ করা। এজন্যই আলেম-ওলামা গ্রেপ্তারে-হত্যায় কিছু যায় আসে না। বিনা কারণে (অস্ত্র পাওয়া যায়নি) ইরাক আক্রমণ, বিনা প্রমাণে (৯/১১ এ লা.দেনের সম্পৃক্ততার প্রমান চেয়েছিল আফগানরা) আফগান আক্রমণ, পরিকল্পিত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের দ্বারা মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষহত্যায় আমাদের কিছু যায় আসে না। অথচ ফ্রান্সের জন্য, ভারতের জন্য, আমেরিকার জন্য, ইতালির জন্য আমাদের প্রাণ কেঁদে ওঠে। এই সিলেক্টিভ মানবতার পিছনেও দায়ী ইসলামোফোবিয়া। বইটি দারুণ একটি কাজ।

যাদের লেখা রয়েছে : নোয়াম চমস্কি, ড. হাতেম বাজিয়ান, ড. ইউসুফ আল কারজাবি, ড. আব্বাস বারজিগার, যয়নব এরেইন, মানসুর আলম, আলী আব্দুর রউফ, দাম্মাহমু সালিম, হাইসাম মানা, হিশাম শাকির, মুজতবা ফারুক, জামাল কানজ, মায়ালিমুল হুদা, দীপা কুমার, হাবিবুর রহমান রাকিব, রকিব মুহাম্মদ, জাবির মাহমুদ, মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

সংকলক: রকিব মুহাম্মদ, হাবিবুর রহমান রাকিব


প্রচ্ছদ: আব্দুল্লাহ মারুফ রুসাফি


মুভমেন্ট পাবলিকেশন্স
শব্দে শব্দে বিপ্লব

24/03/2021

البحر الميت
The Dead Sea
মৃত সাগর

2019

মৃত সাগর – ইতিহাসের অজানা এক নির্মম বাস্তবতা
মৃত সাগর (আরবি: ﺃﻟﺒَﺤْﺮ ﺃﻟﻤَﻴّﺖ, ইংরেজি: ‘Dead Sea’)।
এর পশ্চিমে পশ্চিম তীর এবং ইসরায়েল, পূর্বে জর্ডান। জিবুতির আসাল হ্রদের পর এটি বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লবণাক্ত পানির প্রাকৃতিক আধার। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৪২০ মিটার (১,৩৭৮ ফিট) নিচে পৃথিবীর নিম্নতম স্থলভূমি। এর লবণাক্ততা শতকরা ৩০ ভাগ এবং এটি সমুদ্রের পানির চাইতে ৮.৬ গুণ বেশি লবণাক্ত। ফলে পানির ঘনত্ব ১.২৪ কেজি/লিটার। উচ্চ প্লবতার দরুন যে কেউ মৃত সাগরের পানিতে ভেসে থাকতে পারে।

জীব ও উদ্ভিদ বৈচিত্র
এ হ্রদে কোন উদ্ভিদ বা মাছ বাঁচে না বলেই মূলত একে মৃত সাগর বলা হয়ে থাকে। কেবল সামান্য কিছু ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক অণুজীবের সন্ধান পাওয়া যায়।
মৃত সাগর তীরবর্তী পাহাড়ী অঞ্চলে উট, খরগোশ, খেকশিয়াল এমনকি চিতাবাঘ দেখতে পাওয়া যায়। অতীতে জর্দান নদীর বদ্বীপ অঞ্চলে প্যাপিরাস এবং পাম গাছে সমৃদ্ধ বনভূমির অবস্থান ছিল। জোসেফাস তার লেখনীতে জেরিকো কে জুদিয়া অঞ্চলের সবচেয়ে উর্বরভূমি রুপে উল্লেখ করেন। রোমান এবং বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সময় ইক্ষু , সিকামোর এবং হেনা এ অঞ্চলের উদ্ভিদ বৈচিত্রে সমৃদ্ধি এনে দেয়। জেরিকোতে বালসাম গাছের রস থেকে প্রস্তুত করা হত উন্নত মানের পারফিউম এবং সুগন্ধি। ১৯ শতকের মধ্যে জেরিকোর উর্বরতা অতীত ইতিহাসে পরিণত হয়।

ইসলাম ধর্মের আলোকে মৃত সাগর:
ইসলাম ধর্মে এ অঞ্চলকে হযরত লূত (আঃ) এর অনুসারীদের আবাসস্থল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে । সমকামের দরুন এই জাতিকে আল্লাহ ধ্বংস করে দিয়েছিলেন । আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত ফেরেশতারা ভূমি উল্টে এ জাতিটিকে মাটি চাপা দেন । আল-ক্বুরআনে সূরা রুমএ এ ঘটনা উল্লেখ করা আছে । এর দরুন এ এলাকা কে বিশ্বের সবচেয়ে নিচু এলাকা বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে।
বর্তমান ইরাকের এক বিশাল রাজ্য ছিল ব্যবিলন। আর এ শব্দটির শাব্দিক অর্থ হচ্ছে দেবতার নগরী। এ রাজ্যের রাজা ছিলেন সারগন। সে খুব আত্মগর্বী, মতাদর্পী ছিল। সে আল্লাহকে ভুলে নিজেকে খোদা হিসেবে ঘোষণা দিল। এই সময়েই এক ঘরে জন্মগ্রহণ করেন হযরত ইব্রাহীম (আঃ)। বড় হয়ে তিনি এই রাজ্যের প্রত্যেককে এই জঘন্যতম কাজ থেকে বিরত থাকতে বললেন। এমনকি রাজা সারগনকেও তিনি বুঝাতে লাগলেন। কিন্তু রাজা এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে তাকে নানাভাবে অত্যাচার করতে থাকে। কিন্ত প্রতিবারই আল্লাহর সাহায্যে তিনি বেঁচে যান। এসব দেখে রাজা ভয় পেয়ে তাকে রাজ্য থেকে বের করে দেন। ইব্রাহীম (আঃ) সবাইকে নিয়ে জর্ডান নদীর পশ্চিম পাড়ে ‘হেবরন’ নামের এক ক্ষুদ্র পল্লীতে বসতি স্থাপন করেন।

হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর অনুসারীদের মধ্যে তাঁর চাচাতো ভাইয়ের ছেলে লুত (আঃ) ছিলেন। বলাবাহুল্য জর্ডান নদীর পূর্বদিকে বর্তমান যেখানে মৃত সাগর অবস্থিত সেখানে বেশ দূরে দূরে অবস্থিত ছিলো পাঁচটি সু-সমৃদ্ধ জনপদ। তারা হচ্ছে- আমোরা, আদমাহ, সেবাইম, সো-আর এবং সাদুম। এই সাদুম জনপদটি ছিল সবার দক্ষিণে। ইব্রাহীম (আঃ) লুত (আঃ) কে এই সাদুম জনপদে পাঠালেন। কেননা এই জনপদের অধিবাসীরা সীমালঙ্ঘন, নির্যাতন এমনকি বিভিন্ন জঘন্য পাপাচারে লিপ্ত থাকতো। তাই তাদেরকে ন্যায় পথে ফিরিয়ে আনবার জন্য ইব্রাহীম (আঃ) এর নির্দেশে তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

তিনি সাদুমবাসীকে পাপের শাস্তি ও পূণ্যের পুরস্কার সম্পর্কে বিভিন্নভাবে বুঝাতে লাগলেন। কিন্তু তারা উল্টো লুত (আঃ) কে অপমান ও উপহাস করতে লাগলো। লূত (আঃ)-এর কওম আল্লাহর ইবাদত ছেড়ে শিরক ও কুফরীতে লিপ্ত হয়েছিল। দুনিয়াবী উন্নতির চরম শিখরে উন্নীত হওয়ার কারণে তারা সীমা লঙ্ঘনকারী জাতিতে পরিণত হয়েছিল। পূর্বেকার ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিগুলির ন্যায় তারা চূড়ান্ত বিলাসিতায় গা ভাসিয়ে দিয়েছিল। অন্যায়-অনাচার ও নানাবিধ দুষ্কর্ম তাদের মজ্জাগত অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। এমনকি সমকামিতার মত নোংরামিতে তারা লিপ্ত হয়েছিল, যা ইতিপূর্বেকার কোন জাতির মধ্যে পরিদৃষ্ট হয়নি।
আর এদিকে তারা আইন করলো বাড়িতে অতিথি আপ্যায়ন নিষেধ। হযরত লুত (আঃ) যেহেতু একজন নবী সেহেতু তার কাছে অতিথি আসাটাই স্বাভাবিক। তাই কোন অতিথি আসলে অতি গোপনে তার সাথে সাক্ষাত করতো। কিন্তু গোপনে সাক্ষাত করতে আসলেও তারা ধরা পড়ে যেতো। কারণ লুত (আঃ) এর স্ত্রী লুকিয়ে লুকিয়ে প্রতিবেশীদের কানে পৌঁছিয়ে দিত।

লুত (আঃ) প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরে ঠিকই স্ত্রীর চালাকি বুঝতে পেরেছেন। তাই তিনি স্ত্রীকে বাইরে যেতে নিষেধ করেন। কিন্তু নিষেধ করলে কি হবে? তার স্ত্রী ছলাকলায় কম নন। সে লবন নেই বলে প্রায় সময় লবণ ধার আনার কথা বলে লুত (আঃ) কে ফাঁকি দিয়ে প্রতিবেশীকে খবর পৌঁছিয়ে দিত। আর খবর পেয়ে তারা অতিথিদের উপর চড়াও হত আর তাদের উপর দৈহিক নির্যাতন চালাতো। আল্লাহ তা’আলা এতে নারাজ হয়ে গেলেন। তাই তিনি কয়েকজন ফেরেশতাকে পাঠালেন।

আল্লাহর হুকুমে কয়েকজন ফেরেশতা মানুষের রূপ ধারণ করে প্রথমে হযরত ইবরাহীমের বাড়ীতে পদার্পণ করলেন। তিনি তাদেরকে মেহমানদারীর জন্য একটা আস্ত বাছুর গরু যবেহ করে ভুনা করে তাদের সামনে পরিবেশন করলেন। কিন্তু তারা তাতে হাত দিলেন না। এতে ইবরাহীম (আঃ) ভয় পেয়ে গেলেন (হূদ ১১/৬৯-৭০)। কেননা এটা ঐ সময়কার দস্যু-ডাকাতদেরই স্বভাব ছিল যে, তারা যে বাড়ীতে ডাকাতি করত বা যাকে খুন করতে চাইত, তার বাড়ীতে খেত না।
ফেরেশতাগণ নবীকে অভয় দিয়ে নিজেদের পরিচয় দিয়ে বললেন, ”আমরা এসেছি অমুক শহরগুলি ধ্বংস করে দিতে। ইবরাহীম একথা শুনে তাদের সাথে ‘তর্ক জুড়ে দিলেন’ (হূদ ১১/৭৪) এবং বললেন, ‘সেখানে যে লূত আছে। তারা বললেন, সেখানে কারা আছে, আমরা তা ভালভাবেই জানি। আমরা অবশ্যই তাকে ও তার পরিবারকে রক্ষা করব, তবে তার স্ত্রী ব্যতীত। সে ধ্বংসপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (আনকাবূত ২৯/৩১-৩২)। অতঃপর তারা ইবরাহীম দম্পতিকে ইসহাক-এর জন্মের সুসংবাদ শুনালেন।

আর এদিকে লুত (আঃ)এর স্ত্রী সারা যথারীতি লবণ ধার এর কথা বলে পাশের প্রতিবেশীদেরকে গোপনে খবর দিল। খবর শুনে তারা ছুটে এসে লুত (আঃ) কে বললো অতিথিদেরকে তাদের হাতে তুলে দিতে। কিন্তু এতে তিনি বাধা দিলেও প্রতিবেশী যুবকরা পরমী সুন্দরীদের মোহে মুগ্ধ হয়ে তাদের উপর চড়াও হলো। আর তখনই ফেরেশতাগণ তাদের আসল রূপ ধারণ করলো।

অতঃপর ফেরেশতাগণ হযরত লূত (আঃ)-কে স্বীয় পরিবারবর্গসহ (ক্বামার ৫৪/৩৪) "'কিছু রাত থাকতেই’ এলাকা ত্যাগ করতে বললেন এবং বলে দিলেন যেন ‘কেউ পিছন ফিরে না দেখে। তবে আপনার বৃদ্ধা স্ত্রী ব্যতীত’। নিশ্চয়ই তার উপর ঐ গযব আপতিত হবে, যা ওদের উপরে হবে। ভোর পর্যন্তই ওদের মেয়াদ। ভোর কি খুব নিকটে নয়”? (হূদ ১১/৮১; শো‘আরা ২৬/১৭১)।

আর দেখতে দেখতে পাঁচটি নগরীকে তুলো ধোলাই করার মতো মর্ত্য পাতাল এক করতে লাগলেন। তারপর পাঁচ নগরী বিশিষ্ট বিশাল অঞ্চলটা একটা বিশাল হৃদে পরিণত হলো। সেই বিশাল হৃদটি পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠলো।

আল্লাহর হুকুমে লুত (আঃ) ও তার অনুসারীরা বেঁচে গেলেও লুত (আঃ) এর স্ত্রী কি রা পেয়েছিল? না, সর্বশক্তিমান আল্লাহ তা’আলা তাকে বিরাট একটা লবণের স্তুপে পরিণত করলেন এবং তাকে আবহমানকালের মতো সেই হৃদের মাঝখানে রেখেছিলেন। আর সেই কারণেই এই হৃদের পানি এত লোনা যে, তা সাগরের লবনাক্ত পানিকেও হার মানায়।

‘অবশেষে যখন আমাদের হুকুম এসে পৌঁছল, তখন আমরা উক্ত জনপদের উপরকে নীচে করে দিলাম এবং তার উপরে ক্রমাগত ধারায় মেটেল প্রস্তর বর্ষণ করলাম’। ‘যার প্রতিটি তোমার প্রভুর নিকটে চিহ্নিত ছিল। আর ঐ ধ্বংসস্থলটি (বর্তমান আরবীয়) যালেমদের থেকে বেশী দূরে নয়’ (হূদ ১১/৮২-৮৩)।
কওমে লূত- এর বর্ণিত ধ্বংসস্থলটি বর্তমানে ‘বাহরে মাইয়েত’ বা ‘বাহরে লূত’ অর্থাৎ ‘মৃত সাগর’ বা ‘লূত সাগর’ নামে খ্যাত।

এই মাসে হিজামার সুন্নাহ এর তারিখ ৮, ১০ ও ১২ অগাস্ট ইনশা আল্লাহ।।। ▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬হিজামা একটি জনপ্রিয় সুন্নাহ ও বিজ্ঞানভ...
04/08/2020

এই মাসে হিজামার সুন্নাহ এর তারিখ ৮, ১০ ও ১২ অগাস্ট ইনশা আল্লাহ।।।

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
হিজামা একটি জনপ্রিয় সুন্নাহ ও বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি। বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুনঃ http://hijama.com.bd/what-is-hijama/

এটা রোগের জন্য চিকিৎসা, সুস্থ ব্যাক্তির জন্য রোগ প্রতিরোধক। হিজামা এন্টি এইজিং ট্রিটমেন্ট অর্থাৎ সারা দুনিয়ায় মানুষ বয়সকে ধরে রাখতে এবং স্ট্যামিনা বাড়ানোর জন্য হিজামা পছন্দ করে থাকেন।

হিজামা করলে যেসকল রোগের উপকার হয়ঃ
http://hijama.com.bd/diseases-cured/

ভিডিও দেখতেঃ
https://youtu.be/Yul4_berG9A
https://youtu.be/z-48h2eduBc

হিজামার খরচঃ http://hijama.com.bd/pricing/
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
এ্যাপয়েন্টমেন্ট করতে ফোন করুনঃ
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
+88.01610.445262 (Banani, Dhaka)
+88.0161.2877464 (Dhanmondi, Dhaka)
+88.0188.9992900 (Kuakata Branch)
+88.01841.445262 (Chittagong)
+88.01615.445262 (Khulna)
+88.01842.787924 (Jhalokati,Barisal)
+88.0184.2877464 (Bogra)
+1(716)495-4435 (Buffalo, New York, USA)
+1(512)686-6819 (Arlington, Virginia, USA)
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
ইনবক্স করতে ক্লিক করুনঃ
বনানীঃ m.me/hijama.planet.banani
ধানমন্ডিঃ m.me/bangladesh.hijama.clinic
চট্টগ্রামঃ m.me/hijama.planet.chittagong
খুলনাঃ m.me/hijama.planet.khulna
বরিশাল ও ঝালকাঠিঃ m.me/hijama.planet.jhalokati
বগুড়াঃ m.me/hijama.planet.bogra
কুয়াকাটাঃ m.me/hijama.planet.kuakata (opening soon)
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
প্রধান শাখাঃ
Hijama Planet: Cupping & Ruqyah Center
ঠিকানাঃ Building C (Ground Floor), House 91/1, Road 11A, Dhanmondi, Dhaka 1209
এ্যাপয়েন্টমেন্টঃ +88-01612-877464
গুগোল লোকেশানঃ https://goo.gl/maps/hDDwUMEPKdq
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
ওয়েবসাইটঃ
https://www.hijama.com.bd/
https://www.cupping.com.bd/
https://www.ruqyahbd.com/
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

যারা হারাম থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছেন, ডিপ্রেশন এ ভুগছেন, নিজেকে দুর্ভাগা ভাবছেন, তাদের জন্য অবশ্যপাঠ্য। দুনিয়ার সফলতার নাম...
02/07/2020

যারা হারাম থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছেন, ডিপ্রেশন এ ভুগছেন, নিজেকে দুর্ভাগা ভাবছেন, তাদের জন্য অবশ্যপাঠ্য। দুনিয়ার সফলতার নাম সফলতা নয়, দুনিয়ার ব্যার্থতার নামও ব্যার্থতা নয়। আসল সফলতা আল্লহর হুকুম পালনের মধ্যে। আর আল্লহকে রাজী করার জন্য যে দুনিয়ার মানুষকে নারাজ করে সেই মানুষগুলোকে আল্লহ ওই বান্দার ওপর রাজী করিয়ে দেন। আর মানুষকে রাজী করার জন্য যে আল্লহকে নারাজ করে আল্লহ সবাইকে সেই বান্দার ওপর নারাজ করে দেন।
----------------------
আল্লাহর অসংখ্য গুনবাচক নামের মাঝে একটি নাম হচ্ছে "الرَّزَّاقُ" অর্থ হচ্ছে রিযিকদাতা (The Provider), আল্লাহই একমাত্র রিযিকদাতা, তিনিই আপনার আমার এবং সকলের রিযিক নির্ধারণ করেছেন এবং তিনিই আমাদের কে তা দান করেন। যতোক্ষণ না পর্যন্ত আপনার রিযিক শেষ হচ্ছে, আপনার মৃত্যু হবে না। এটাই আমাদের বিশ্বাস।

রিযিক এর সাথে আল্লাহ আমাদের আরেকটি জিনিষ দিয়েছেন, এর দ্বারা তিনি আমাদের পরীক্ষা করেন, খুশী করেন এবং এর দ্বারা তিনি আমাদের বারাকাহ ও দান করেন। সুবহানআল্লাহি ওয়াবিহামদিহি! সেটা কি? তার নাম হচ্ছে তালাশ / অন্বেষণ যার সাথে আবার পরিশ্রম সম্পর্কযুক্ত। আপনার জীবনের ছোট্ট সময়ে রিযিক মওজুদ আছে কোথাও একে আপনার তালাশ করতে হবে তারপর আবার পরিশ্রমের মাধ্যমে বের করতে হবে। অনেককে আল্লাহ বিনা পরিশ্রমেও দান করেন, বিশেষ মার্সি। যেমন বনী ইসরাঈলিদের ৪০ বছর দান করেছেন তবে ম্যাক্সিমামই যথাযথ হক্ব আদায় করে নি, না শুকরিয়া জ্ঞাপন করেছে। উল্টো অভিযোগ করেছিলো। এমন যেন না হয়। বিলিভ মি, আপনার রিযিক যা আছে তা-ই আপনার কাছে পৌছাবে, ইদার ইন হালাল ওয়ে অর হারাম।

কোনটা আপনি চুয করবেন আপনার ব্যাপার। আপনি ভাববেন হারাম ভাবে না হলে আমি ধনী হতে পারবো না, পুরোটাই ভুলভাল ধারণা মাত্র। বারাকাহ এখানে আল্লাহর পক্ষ থেকে অপ্টিমাইজার। আপনি ২০০ টাকা কামিয়ে এতো সুখ পাবেন, আনন্দ পাবেন সাচ্ছন্দ্য হবেন যে ২ কোটি টাকা কামিয়েও অনেকে পায় না। এটাই বারাকাহ, শান্তি, রিলিফ সব।

তাহলে কি আমি রিযিকের জন্য দুআ করবো না? যেহেতু এটা ফিক্সড? উত্তর সহজ, অবশ্যই করবেন। উত্তম দুআ করবেন রিযিকের জন্য। স্বয়ং আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ভাগ্য বা তক্বদীর কেবল একভাবেই চেঞ্জ হতে পারে সেটা হচ্ছে দুআ। আল্লাহর কাছে আপনার দুআ কবুল হলে আপনার জন্য উত্তম রিযিকের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। আর না হলেও আপনার জন্য আখিরাতের রিযিক হিসেবে থাকলো, মর্যাদা বৃদ্ধি হলো। আল্লাহর কাছে চাওয়া মানেই পাওয়া। হয় এই দুনিয়া আর না হয় ঐ দুনিয়া। কিন্তু পাবেন, এটাতে ভুল নেই। আজীবনের জন্য ডিপোজিটেড আপনার একাউন্টে।

জীবন নিয়ে প্রচুর হতাশায় ভুগে শেষ হয়ে যাচ্ছেন, মাথায় হাত চোখে পানি, কি করবেন কিভাবে লাইফে আগে বাড়বেন। আবার যারা বিবাহিত তারা মুখ কীভাবে দেখাবেন? ভয় পাবেন না, আপনার রিযিক তো নির্ধারিত। আপনার কাছে চলে আসবেই, বা আপনি ভাবছেন আপনার ইনকাম নেই, স্ত্রী লাগবে কিভাবে বিয়ে করবেন? ওয়াল্লাহি! এসবের চিন্তা করেও আপনি কিছুই করতে পারবেন না, স্ত্রী কে হবে, কেমন হবে সেটাও মহান রব্ব লিখেই রেখেছেন।

একটা গল্প শোনাই। দৃশ্যের প্রথম অংশ থেকেই বলি।
জাহিদ রাইহান নামের এক ভাই, প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি থেকে MBA করেছিলেন তিনি, মেরিকার ইউনাইটেড হেলথ গ্রুপ ইনকরপোরেটেড লিমিটেডের নাম শুনেছেন নিশ্চয়ই, উনি সেখানে জব করতো। বেতন, পার্সেন্টেজ এতো ভালো পেত যে, ভালো উন্নত ব্র‍্যান্ডের লেটেস্ট যেকোন ফোন বা বাইক আসলেই সেগুলো তার হাতে থাকতো, আর আগের ফোনটিকে তিনি সেল বা এক্সচেঞ্জও করতেন না বরং কোন আত্মীয় বা ফ্রেন্ডকে দিয়ে দিতেন, ২০০৮ এর মাঝামাঝি সময়ে সে তার নিজের দেশে যায়, ফয়সালাবাদ তার বাড়ি, পাকিস্তান। যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল বিয়ে, বিয়েটা ঠিক হয় আরোও ৪ মাস আগে, খানদানী ফ্যামিলির মেয়ের সাথে, ছেলে এতো উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত, পাঁচ ডিজিটের বেতন সব মিলিয়ে সোনায় সোহাগা, নিকাহ হয়ে যায় তার।

চাকচিক্যের দুনিয়ায় তাদের অভাব ছিল না কিছুই! তবে তারা তখনও ছিল ক্ষতিগ্রস্ত, কারন আল্লাহর পথ থেকে তাদের দূরত্ব ছিল অনেক। নামী মুসলমান যারা ফরজ গোসল কি তাও জানে না, এই ছিল তাদের হালত। তবে আল্লাহর পরিকল্পনা তো আমাদের চিন্তার বাইরে। এমেরিকা রিটার্ণ করার ২ দিন আগে, এলাকার পাড়ার ভাইদের সাথে দুপুরে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন জাহিদ ভাই, মাইকে একটা আওয়াজ চলে আসলো অমুকের পুত্র অমুক মারা গেছেন, আশ্চর্য সকালেও লোকটাকে দেখা গিয়েছিলো দিব্যি বাজার করতে, এইতো তারসাথে দীর্ঘসময় কথাবার্তা হলো। নিজের কানকে যেন বিশ্বাস করাতে পারছেন না, তরতাজা তাগড়া মানুষ বয়স ৪০ এর ঘরে পৌঁছেছে হয়তো মাত্র, স্ট্রোকের কেইস। মন খারাপ হয়ে গেল, বাকী বন্ধুরা বললো জানাযায় আসতে, তেমন ইচ্ছে ছিল না কারন এর আগে তিনি কখনো জানাযা পড়েন নি আর সিষ্টেমও জানেন না, তবুও বাকীদের আবেদন রক্ষার্থে। ঘরে ফিরে গিয়ে টুপি খুঁজছে, জানাযায় যাবেন বলে, বাসায় জুমুআহ ছাড়া কেউ স্বলাতে যান না, তাই আপাতত সব অগোছালো খুঁজে পাচ্ছেন না, মাকে ডাক দিয়ে জিজ্ঞাসা করলো, মা বললো এখন বের করতে পারবো না, টুপি ছাড়াই চলে যাও, অবাক হয়ে তিনি বললেন টুপি ছাড়া আবার মসজিদে যাওয়া যায় নাকি? নিজের বন্ধু মালেকের মাধ্যমে একটা টুপি যোগাড় করে জানাযায় গেল, জানাযার আগে একটা ছোট্ট বয়ান হলো, ইমাম সাহেব সেখানে একটা কথা বললো যা জাহিদ ভাইয়ের কানে বোমা ফাটিয়ে গেল

آپ دیکھلو صرف یہ راستہ کہا تک لیکر جاتی ہیں آپ کو ، صبح تک تھے آدمی اور مردہ بن گیا دوپہر کو، نا جانے کل کون آئے گا اس دروازے پر ، جنازہ تو ہو جاےگا لیکن کیا ہوگا قبر پر؟

আপনি দেখে নেন এই রাস্তা কোন পর্যন্ত নিয়ে যায় আপনাকে, সকালে ছিলেন সচল ব্যাক্তি আর দুপুরেই হয়ে গেলেন মুর্দা, না জানি কালকে কে আসবে এই দরজায়, জানাযা তো হয়ে যাবে তবে কি হবে কবরে?

এই কথাগুলোর পর কিছু সাধারণ ক্ষমা প্রার্থনা করা হয় তারপর ঋণ পরিশোধ আরোও অন্যান্য সাধারণ বিষয়াদি নিয়ে কথা বলার পর জানাযা শেষ হয়, দাফন শেষ হওয়া অবধি তিনি সেখানেই ছিলেন, সব কার্যক্রম শেষ করে ঘরে ঢুকে তিনি গোসল করে শুয়ে পড়লেন, খেতে পারছেন না আজকে। ঘুম আসলো না, চোখ ভার কি যেন মনে পড়ছে বারবার। প্রতিদিন এই টাইমে তিনি তার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে কথা বলতেন তবে আজ সেটার বিপরীত।

আজ কেন যেন কিছুই করতে পারছে না যেন অন্য জগত থেকে অন্য কেউ কল দিয়ে তাকে ডাকছে, ঘড়িতে তাকিয়ে দেখলেন ১০ টা বাজে, এখনো এশার টাইম চলছে, তাই উঠে গেলেন ওযু করতে, ফিরে এসে মুসাল্লা বিছিয়ে দাঁড়ালেন কিন্তু তিনি দ্বীন থেকে এতোটাই দূরে ছিলেন যে এটাও জানতেন না ইশার সালাত কত রাকাত। এই ঘটনাটা বলার টাইমে তার চোখে পানি চিকচিক করছিলো জোব্বা থেকে দ্রুত সাদা রুমালটা বের করে চোখ মুছতে লাগলেন তিনি, পরে বললেন "ভাই সেটা আরোও প্রায় ১৩ বছর আগের কথা তখনোও ইন্টারনেট সেরকম এভেইলেবেল ছিল না, স্মার্টফোন ছিল না হাতে হাতে বা সেরকম সোর্সও ছিল না, বেশ বড় বাড়ি বানিয়েছিলেন আমার বাবা ডুপ্লেক্স বাড়ির নিচতলায় ছিল লাইব্রেরি তবে হাজারো বেদ্বীনি বই সেখানে শোভা পেলেও একটা নামাজ শিক্ষা বই সেখানে পেলাম না" পরে নিজের মায়ের কাছ থেকে একটা বইয়ের খোঁজ পেলেন তিনি। বই খুলে এনে দেখলেন যে ৪ রাকাত নামাজ ২ রাকাত সুন্নাত। কিভাবে পড়তে হবে চোখমুখ বিহীন চিত্র দ্বারা দেখানো, ৪ টা সূরা মুখস্থ ছিল আর সূরা ফাতিহা। আর কিছুই জানতেন না তেমন, সেদিনটার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন "আমি এতোই অভাগা ছিলাম যে, বিতরের কথাও জানতাম না, তাই সেদিন আর বিতর পড়ি নি৷ এখন নিজের সেই জীবনের কথা মনে পড়লে ভীষণ লজ্জা পাই, আবার অনেক গর্বও হয়। সেই জীবন ছিল নিশ্চিত কাফেরের চেয়েও খারাপ জীবন আর আমার রব্ব আমাকে ফিরিয়ে এনেছেন"

এটা ছিল তার এমেরিকা আবার রিটার্ণ করার ২ দিন আগের ঘটনা। পরেরদিন ফজরের সালাত আদায়ে ব্যর্থ হন তিনি, কারন ঘুম থেকে উঠতে পারেন নি, বাকী সালাতগুলো মসজিদে গিয়ে আদায় করেন, মুয়াজ্জিন সাহেব থেকে সিষ্টেম জেনে নিলেন সালাতের এবার বিতরও পড়া হলো, পরের দিন রাত ২ টায় ফ্লাইট, রাতে কিছুক্ষণ কথা বললেন স্ত্রীর সাথে তারপর শুতে গেলেন, একটা কথা বলা হয় নি, তার স্ত্রী বাবার বাড়ি থাকে, উঠিয়ে আনা হয় নি, কথা হয়েছিলো যে একবারে ইউএস নিয়ে যাবেন ১ বছর পর। আবার ঘটনায় ফিরে আসি, এই রাতে তার ঘুমটা ছিল পরের দিন ফজর পড়তে পারার আশা নিয়ে, আল্লাহর ইচ্ছায়, এবার তিনি কামিয়াব হলেন। এটা তার ২৬ বছরের জীবনের সেকেন্ড টাইম যেদিন তিনি ফজর পড়েছেন, মুক্তাঝড়া একটা হাসি দিয়ে বললেন কথাটা, "এর পর আমার আর ফজর মিস হয় নি, আলহামদুলিল্লাহ। তবে জামাত মিস হয়েছে, সেটার জন্য আফসোস হয়"

তো উনি ইউএস চলে গেলেন, কিন্তু কর্মক্ষেত্রে কোন রকমের ফোকাস ধরে রাখতে পারলেন না, কি যেন বারবার তাকে দূরে ঠেলে ফেলে দিচ্ছিলো এই কাজ থেকে, একিই কোম্পানিতে জব করা আরেকজন মুসলিম কলিগ ছিলেন নাম "তাহের" তার কাছে কিছু কথা শেয়ার করলেন কারন সেই ভাইকে নিয়মিত সালাতের সঙ্গী হিসেবে পান তিনি। সেই ভাই তাকে লাইটলি বললো আমাদের কাজটা হারাম তাই হয়তো এমন লাগছে, তবে অন্য উপায় নেই তাই কাজটা ছাড়তেও পারছি না, মাত্র দ্বীনের রাস্তায় নামা জাহিদ ভাই তখন শুধু এতোটুকো জানতো যে হারাম মানে গুনাহ আর হালাল মানে সওয়াব, এর ভয়াবহতা যে কুন্ডলি পাকানো আগুন তা তার মাইন্ডে সেট হয় নি তখনো! যাইহোক এভাবে কিছুদিন যেতে লাগলো তিনিও এভাবে চলতে লাগলেন, এলাকার মসজিদে যেতে লাগলেন, শুক্রবার প্রথম কাতারে পাওয়া যেত তাকে জুমুআহ তে।

এভাবে এমেরিকা এসে ২ জুমুআহ পাড় করলেন তিনি কিন্তু ৩য় জুমুআ তে কিছু একটা ঘটে গেল, খতীব সাহেব সেদিন লেকচার দিলেন জাহান্নামের ভয়াবহতা নিয়ে কবরের আযাব নিয়ে, হারাম আর হালাল নিয়ে। আগের ২ জুমায় সাহাবাদের জীবনীর আলোচনা ছিল, তবে আজকের টপিকে নিজের হুশ খুইয়ে দিলো তিনি, ধোঁয়া বের হচ্ছিলো তার শরীর থেকে, বাসায় এসে দেখলো তার প্রেশার কন্ট্রোলের বাইরে। কাল বিলম্ব করলেন না তিনি দ্রুত ল্যাপটপ নিয়ে বসে পড়লেন আগাগোড়া সব পড়লেন তার কোম্পানি সম্পর্কে, নেট থেকে সোর্স নামিয়ে দেখলেন এমেরিকান সাইটগুলো থেকে কারন তাহের সাহেব বলেছিলো এটা হারাম, কিন্তু এতো লাইটলি কেন বলেছিলেন উনি? সব দেখার পর, একটা রেসিগনেশন লেটার দ্রুত হাতে টাইপ করলেন, কাল নিজে গিয়ে এটা দিয়ে আসবেন আর তাহের ভাইকেও জানাতে হবে জাহান্নামের ভয়াবহতা সম্পর্কে, হয়তো তিনি জানেন না।

লেটার জমা দেওয়ার পর যখন তিনি তাহের সাহেবকে জানালেন, আর তিনি অবাক হয়ে বললেন 'এমন বোকামী কীভাবে করলেন? হারাম ছাড়া এখন আর কিই বা আছে? হারাম দেখে জব ছেড়ে দিবেন? সালাত পড়ে আল্লাহর কাছে মাফ চাইলেই তো হয়' যায়গায় দাঁড়িয়ে বোকা হয়ে গেলেন জাহিদ ভাই, 'হারাম' জেনেও সেখানে থাকবো? এটা মুসলিমের পক্ষে পসিবল? জব ছেড়ে সেখানেই ২ মাস ছিলেন তিনি, খুঁজছিলেন যদি কিছু করার মতো থাকে, তবে আর কোন কিছুই টানছিলো না তাকে, দিনের অনেকাংশ কেটে যেত তার ইসলামিক লেকচারস দেখে বা বই পড়ে, দ্বীনের পথে এই টাইমে সবচেয়ে বেশী লাভবান হয়েছিলো তিনি IslamQA থেকে, উনি বুঝতে পারলেন যে তথাকথিত দুনিয়াবি কাজ তার দ্বারা আর হবে না, ইতোমধ্যে দাড়িও ছেড়ে দিয়েছেন উনি। রিটার্ণ টিকেট কাটালেন, জাহান্নামের দার কতটা ভয়াবহ জানাবেন সবাইকে, বাড়িতে ফেরার খবরটা জানিয়ে দিলেন। আর ২ দিন পর যে এপার্টমেন্টে ভাড়া থাকতেন মেরিকায়, তার ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে রওয়ানা হয়ে গেলেন বাড়ির পথে।

বাড়িতে পৌছানোর পর সবারই নজর গেল তার দাড়ির দিকে বেশ ভুশার দিকে, কেউ মেনে নিতে পারলো না এসব। বাবা কড়া ওয়ার্নিং দিয়ে দিলেন, এমেরিকা ফিরে আবার আগের অবস্থানে ফিরে যেতে নাহলে ঘরে কোন ঠাই নেই, শশুড় বলে দিলেন এসব পাগলামি বাদ দিয়ে নরমাল লাইফ লীড করতে নাহলে মেয়েকে দেওয়া হবে না, তালাকের ব্যবস্থা করা হবে। ওনার পক্ষে আর কিছু করার ছিল না, তখন পাকিস্তানে লালবাজার এট্যাক তারপর মালালা তালেবান এগুলো ছিল হট টপিক, লাল বাজার এটাকের সাথে জড়িতদের নেটওয়ার্ক ছিল এমেরিকায়, তার কোন আত্মীয় তার বাবার কানে এসব ফুঁকে গেল। রাগে গড়গড় করতে লাগলেন তিনি প্রচুর চাপ প্রয়োগ করলেন শেষে বললেন যে, সে নিশ্চিত যে তিনি এখন একজন "টেরোরিস্ট"। একজন আতংকবাদীর তার ঘরে কোন জায়গা নেই, সে যেন ঘর ছেড়ে দেয়, সবার চোখেই সে তখন একজন ভিলেইন, তার নিজের বাবা তার শশুড় কে ফোন দিয়ে বললো এ আমার ছেলে নয়, আপনার মেয়েকে তার হাতে দিবেন না, তার লাইফও নষ্ট হবে, পরে তার শশুড় তাকে ফোন দিল আর কোনরকম ওয়ার্নিং ছাড়াই বললো যে তিনি তালাকের কাগজ পাঠিয়ে দিবেন কিছুদিনের মধ্যেই, জাহিদ ভাইও কোন শব্দ ছাড়া কেবল শুনে গেলেন।

আজ আর আল্লাহ ছাড়া তার কেউ নেই, লাগেজে সামান্য কিছু কাপড় জরুরি কাগজপত্র নিয়ে ঘর ছাড়লেন, যাওয়ার টাইমে দরজা ধরে তার মা দাঁড়িয়ে ছিল তবে আটকানোর সাহস ছিল না তারও, মোটামুটি শহরের বাইরে একটা হোটেলে গিয়ে উঠলো তিনি সেখানে ৬ দিন থেকে একটা বাসা নিলেন ছোটখাটো, জমানো টাকা আগেই শেষ প্রায় এমেরিকায়, খুব অল্প কিছু টাকা এখন হাতে আছে তাও শেষের দিকে। তার একাডেমিক সার্টিফিকেট তাকে বড় বড় কাজ অফার করছে ঠিকই তবে তার সবই হারাম, ব্যাংক সুদের সাথে জড়িত। তিনি আল্লাহর কাছেই আশ্রয় চাইতেন আর কেউ নেই, পথে পথে ঘুরতেন, একটা কলেজ থেকে অফার পেয়েছিলো তবে মেয়ে আছে বলে সেখানেও জবটা করেন নি, তিনি ৩ মাসে ইসলামকে এমনভাবে আকড়ে ধরেছিলেন যেভাবে পালন করতে মানুষের বছরের পর বছর লেগে যায়, একসময় তার হাতের সব টাকাই প্রায় শেষ হয়ে যায়, হাতে থাকা দামী ঘড়িটা বিক্রি করতে গিয়েও ফিরে আসতে হয় কেননা তাকে সন্দেহ করা হচ্ছিলো।

সেদিন যুহরের সালাতের পর আর বাড়ি ফেরা হয় নি, মসজিদে বসে খুব কেঁদেছিলেন, ইমাম সাহেব জিনিষটা নোটিশ করলেন বরং অনেকদিন যাবতই নোটিশ করছেন, একটা লোক মসজিদে নতুন কিন্তু সে মসজিদে অনেক সময় কাটায়। ইমাম সাহেব তাকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন যে প্রব্লেম কি?! জাহিদ ভাই সব বললেন তাকে, তার কথা শুনে তাকে জড়িয়ে ধরলেন, বললেন ভাই আমিও মুসলিম আর আপনিও মুসলিম, এবং উত্তম মুসলিম। আপনি আল্লাহর কাছে দুআ করুন তিনি আপনার জন্য অবশ্যই ব্যবস্থা রেখেছেন, আর খাবারের বা থাকার চিন্তা আপনি করবেন না, আমি একা মানুষ মাদ্রাসায় মানুষ হয়েছি আপনজন কেউ নেই, আপনি আমার খাবারের থেকে শেয়ার নিয়েন, "না না সে কি করে হয়?" জাহিদ ভাই বলেছিলেন, ইমাম সাহেব বললেন কোন কথা নেই মুসলিম হিসেবে আমাকে দায়িত্ব পালন করতে দিন, আল্লাহর পরিকল্পনা কি টের পাচ্ছেন? আল্লাহ তাকে একজন বন্ধুর ব্যবস্থা করে দিলেন যখন তার কেউ থেকেও ছিল না, তখন তিনি নিঃস্ব আর একা, আল্লাহ তখন তাকে একজন মানুষ দিলেন সঙ্গী হিসেবে, তাও দ্বীনদারদের মধ্য থেকে, আহ! রহমত, সুবহানআল্লাহ৷

এভাবে তিনি ইমাম সাহেবের সাথে খাবার শেয়ার করেছেন, একসময় ইমাম সাহেব বাড়িতে তাকে বললেন "ভাই আপনি অনেক শিক্ষিত এটার জন্য ইগো রাখবেন না, বরং কোন কাজই ছোট নয়, আপনি চাইলে আপাতত ছোটখাটো ভাবে কিছু শুরু করুন"। কি করা যায়? তার জিজ্ঞাসা ছিল, "আপনি কিতাবের ব্যাবসা দিয়ে শুরু করুন ইন শা আল্লাহ"৷ কিন্তু আমি তো এসব বুঝি না, "তাহলে আতর কেমন হয় ?" পার্ফিউম? আমার পুঁজি আসবে কোথাত্থেকে? "আমি কিছু দেই আর বাকীটা আল্লাহই জোগাড় করে দিবেন।" বাসায় ফিরে তিনি আবার ঘড়িটা হাতে নিলেন রাডো ব্র‍্যান্ডের ঘড়ি কয়েক লাখ টাকা দাম, তবে নামমাত্র মূল্যে সেল করে টাকা নিয়ে আসলেন। কাঠের শেল্ফ বানিয়ে, সেখানে সাজালেন আতর। দুপুর ১ টা বাজে দোকানে আসতেন ইশা পর্যন্ত, খেয়াল করুন একসময়ের কত বড় জব হোল্ডার কত শিক্ষিত ব্যাক্তি যাকে লাখ লাখ টাকা একসময় কামড়ে ধরেছিলো আজকে তিনি আল্লাহর দেওয়া এই ছোট্ট ব্যাবসায় খুশি, তাকে আল্লাহ বারাকাহও দিচ্ছেন।

সামনে কি আরোও কিছু চমক ছিল? হ্যাঁ ছিল।

এভাবে দিন কাটাতে কাটাতে পার হয়েছিলো প্রায় আরোও ২ মাস, একদিন তার ফোনে তার শশুড়ের ফোন থেকে একটা ম্যাসেজ এলো, জানতে চাওয়া হয়, কোথায় থাকে, তার সাথে জরুরী কথা আছে, তিনি বুঝতে পারলেন যে কাগজ পাঠানোর ব্যাপার স্যাপার। লিখে পাঠালেন তার ঠিকানা, সেদিন সন্ধ্যার দিকে তিনি যেই বাসায় থাকতেন সেখান থেকে ফোন এলো যে তার বাসায় কেউ একজন দেখা করতে এসেছেন তিনি যেন বাসায় যান, এটা অবশ্য বিজনেসের গুরুত্বপূর্ণ টাইম তবুও তিনি দোকান অফ করে সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে চলে আসলেন, এসে দেখেন আপাদমস্তক বোরখায় আর নিকাবে ঢাকা একজন মহিলা, সাথে একটা ব্যাগ, জ্বি বলুন কি চাই? তিনি প্রশ্ন করলেন, জবাবে আসলো একটা সালাম, খুব পরিচিত লাগছে ভয়েজ তিনি সালামের জবাব না নিয়েই বললেন 'আপনি কি আরুফা ?' জবাব এলো জ্বী। আরুফা তার স্ত্রীর নাম, জিজ্ঞাসা করলো কাগজ নিয়ে এসেছে কিনা! তার স্ত্রী জবাব দিলো বাসায় চলুন বলছি, বাসায় যাওয়ার পর তার স্ত্রী বললো 'কাগজ আনলেই কি তালাক হয়ে যেত, স্বামী মুখে তালাক না দিলে কি তালাক হয় নাকি? আর আমি তো আমার স্বামী থেকে তালাকপ্রাপ্তা হতে চাই না, বরং আমি তার সাথেই থাকতে এসেছি!' অবাক হয়ে গেলেন জাহিদ ভাই, এই জিনিষের কল্পনাও তো করেনি!

তার স্ত্রী তাকে বললো, সেও সবার মতোই ভুল বুঝেছিলো ভেবেছিলো যে ফিরে আসবে হয়তো ভুল বুঝতে পেরে, কিন্তু উনি আসলো না, এক টাইমে তার স্ত্রী হতাশায় ভুগতে লাগলো আল্লাহকে এটা সেটা বলতে লাগলো, তবে তার মালিক ছিল তার প্রতি দয়ালু তিনি তাকে একটা স্বপ্ন উপহার দিলেন, স্বপ্নটা আমাকে বলা হয় নি, তার স্বপ্নটাই তার দিলকে নরম আর তার মালিকের প্রতি তাকে অনুগত করে দেয়, ৭ দিনেই সে চেঞ্জ হয়ে যায়। তার বাবা তাকে চাপ প্রয়োগ করায় যোগাযোগ করতে পারছিলো না, এখন তিনি আর ফেরত যাবেন না, তিনি তার কাছেই থাকবেন যার প্রতি আল্লাহ দয়া করেছেন, তার অবস্থা যেমনই হোক না কেন, সেখানে নিশ্চয়ই বারাকাহ থাকবে। এটা ছিল জাহিদ ভাইয়ের প্রতি আল্লাহর আরেকটা দয়া, তার স্ত্রীকে তার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন তাও শরীয়তের বুঝ দিয়ে, পর্দায় আবৃত করে। আল্লাহু আকবর।

এভাবে চলতে চলতে ১ বছর হয়ে গেল, তার ব্যাবসাও এখন মোটামুটি একটু বড় হয়েছে, অবস্থাতেও পরিবর্তন এসেছে। তো কোন একদিন তিনি আসরের সালাতের জন্য মসজিদে ঢুকলেন, বা'দ আসর হালকা একটা আয়োজন আছে, মসজিদে দুজন মেহমান এসেছেন, আরবের। সভাপতি সাহেবের সাথে তাদের ভালো সম্পর্ক সেই সুবাদেই এসেছেন, সভাপতি সাহেব আবার একটা মাদ্রাসারও মুহতামীম আলেম।মানুষ, এই এলাকার নামকরা মাদ্রাসা সেটা। মেহমানগণ বা'দ আসর একটা সংক্ষিপ্ত বয়ান করলেন, আর অনুবাদ করলেন সেই ইমাম সাহেব, মেহমানদের খুব নিকটে বসে জাহিদ ভাই প্রতিটা কথা শুনলেন। বয়ান শেষে তিনি চলে যাবেন এমন টাইমে তাকে ডাক দিয়ে একজন আরব ভদ্রলোক জিজ্ঞাসা করলেন আপনার গায়ের আতরটার নাম কি? উনি আরবি বুঝলেন না, হাসিমুখে ইমাম সাহেব জানিয়ে দিলেন নাম, অনুবাদ শুনে উনি বললেন, "আপনি মাখবেন গায়ে? পকেট থেকে বের করে পুরো শিশিটাই দিয়ে দিলেন, নিন হাদীয়া আসার টাইমে বের করে নিয়ে এসেছি, নতুন।"

আরবরা কিন্তু খুব মিশুক, আমি দীর্ঘটাইম তাদের সাথে ছিলাম, অনেক বন্ধুও আছে আরবি, ওনাকে এক আরব জানালেন যে আতরটা খুব পছন্দ হয়েছে, ইমাম সাহেব আরবিতে তাদের সংক্ষেপে তার শিক্ষা আর আল্লাহর দিকে ফেরার কাহিনী জানালেন, তখন জ্বলজ্বল চোখে সেই আরব জাহিদ ভাইয়ের কাধে হাত রেখে বললেন, "আমিও আতরের বিজনেস করি, এই আতরটার উপাদান কি আপনি আমাকে সাপ্লাই দিতে পারবেন? আমি অগ্রীম পে করবো!" তিনি কথাটা বুঝে নেওয়ার পর বললেন যে হ্যা অবশ্যই পারবো, এগুলো আগর কাঠের আতর আর মিক্স আমি নিজেই করি, তিনি বললেন ঠিক আছে আপনি আমাকে তাহলে আতরই বানিয়ে পাঠাবেন, তিনি তাকে ২০০০ ওমানি রিয়েল দিয়ে গেলেন আর দিলেন তার ঠিকানা।

জাহিদ ভাই তার ব্যাবসার ফুল ফোকাস দিলেন আগর কাঠের আতরের উপর, এই আতর সবচেয়ে দামী আতরগুলোর একটি। এবং তিনি নিজেই আতরের মিক্স করতেন তার পার্ফিউম সেন্স কে কাজে লাগিয়ে, তার অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে বেশী সময় নিলো না, মাত্র ৫ মাসে তাকে আল্লাহ এতোটা ধনী বানিয়ে দিলেন যে তার উপর যাকাত ফরজ হয়ে গিয়েছিলো আর সেই যাকাতের এমাউন্ট ছিল প্রায় ৩ হাজার ৩০০ ডলারের মতো। তিনি যাকে আতর সাপ্লাই দিয়েছিলেন তারও পরিবর্তন আসলো, ওমানের বিখ্যাত আতর বদর আল গোল্ড কিন্তু জাহিদ ভাইয়েরই মিক্স। ঐ ব্যাবসায়ী তাকে ওমান ইনভাইট করলো সেখানে তিনি এককভাবে এই আতরের উপর চুক্তি করলেন তার সাথে আজীবনের আর তাকেও একটি লাইন দিয়ে দিলেন আতরের, যেটার নাম তিনি দিয়েছেন 'আত তাজিরু' জাহিদ ভাইয়ের নিজস্ব আতর ব্র‍্যান্ড। তার নিজস্ব সিগ্নেচার হচ্ছে শাজা ই ওমান, যেটা আবার দুবাইয়ে অন্যতম বিখ্যাত হারামাইনের আতরের পরেই।

এখন তিনি স্বপরিবারে ওমানে বসবাস করেন, এছাড়াও আজমান আর বাহরাইনেও তার প্রোপার্টি আছে, আল্লাহ তার ঘরে ৩ জন সন্তান দিয়েছেন, সবার বড় মেয়ে, তারপর দুজন ছেলে। তিনি ওমান শিফট হওয়ার পর হাত বাড়িয়েছিলেন তার পুরোনো বন্ধু সেই ইমাম সাহেবের প্রতিও। যেই মসজিদে বসে আমি কাহিনীটা শুনেছি সেখানের ইমাম ও খতিবের দায়িত্বে এখন নিয়োজিত তিনি, জাহিদ ভাই যখন কাহিনীটা বলছিলো তখন তিনি এটা উল্লেখ করেছিলেন যে এটা তারই ঘটনা, যদিও তাকে দেখে বুঝার উপায় নেই যে একটা টাইমে কোন অবস্থানে ছিলেন তিনি কেমন লাইফ লীড করেছেন, অহংকারের লেশ মাত্র নেই, শেষে গিয়ে যখন তিনি বললেন যে এই জাহিদ তো আমিই আগেই বললাম, আর ইনি হলো আমার পুরোনো বন্ধু সেই ইমাম সাহেব, তখন সম্পর্ক ধরে রাখার নমুনা শিখতে পেরেছিলাম। উনি হেঁটে মসজিদে আসেন, বাড়ি থেকে প্রায় ২০ মিনিটের রাস্তা, অযথা যানবাহন ইউজ করেন না, কোন দাম্ভিকতা তো নেই ই, অথচ ওনার প্রোডাক্ট ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে, অথচ আজকাল কিছু লোক সামান্য ধন সম্পদ হলেই নিজেকে খোদা ভাবতে থাকে।

পরবর্তীতে আমি তার সাথে তার অফিসেও দেখা করেছি ২ বার, সেখানেও তার বিনয় দেখতে পেয়েছি এমনকি আমাকে সাথে নিয়ে খাবারও খেয়েছেন তিনি, দস্তরখানায়, এই উপলব্ধীটা হয়ে গেছে আমার যে উনি কোন নামধারী বা পীর সুফি তরীকার মুসলিম নন, বরং হক্বের পথেই রয়েছেন, নির্ভিকভাবে জিহাদের আলোচনা করেছেন। এর দরকার কতটা তা বলেছেন, আফসোস করেছেন, তিনি নিজেও বর্তমানে একজন তালেবে ইলম। স্থানীয় একটা ইন্সটিউটে তিনি পড়াশোনা করছেন এবং কুরআনের ১৪ টি অধ্যায় হিফজ করেছেন, ইনি সেই ব্যাক্তিই যিনি ৪ টার বেশী সূরা জানতো না। এবার একটু অনুধাবন করতে পারছেন আল্লাহর সেই আয়াতটা?

فَبِاَيِّ اٰلَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبٰنِ

সবটা কিন্তু তার মুখ থেকেই শুনে লেখা আর সাক্ষীও সেখানে উপস্থিত ছিল, এবার আপনি ভাবুন তো আল্লাহ তাকে কোন অবস্থান থেকে তুলে এনেছেন, তাকে দিয়ে পরিশ্রম করিয়েছেন আর সে সব অবস্থাতেই আল্লাহর অনুগত ছিল, আল্লাহ আজ তাকে এই সম্মান আর মর্যাদা দিয়েছেন। সবকিছু আল্লাহর জন্য ত্যাগ করনেওয়ালারা কখনোই ঠকে না, আল্লাহ তাদের মহাপ্রাচুর্য দান করেন তার অফুরন্ত ধন ভান্ডার থেকে।
অথচ আমি কত নামাজী দেখেছি যারা কাজ ছাড়া আর কি কাজ করবো বলে এখনো হারামে ডুবে আছেন, তারা কি ভাবে আল্লাহ তাদের হালাল কাজ পাইয়ে দিতে অক্ষম? নাউযুবিল্লাহ। আসলে তারা নিজেরাই হারামে আসক্ত৷

এটা দেখে শিখুন, আল্লাহ কোথাত্থেকে কোথায় নিয়ে যায়, আল্লাহু আকবর। অথচ মানুষ কত গাফিলতির মধ্যে ডুবে থাকে, রিযক নিয়ে টেনশন করে, অথচ এটা তার হাতে না। সে তো কেবল হাত নাড়বে। আপনি বিয়ে করবেন? করুন। আপনার স্ত্রী তার রিযক নিয়েই আসবে আপনার কাছে, আপনার সন্তান তার রিযক নিয়েই আসবে। তবে নিজের দায়িত্ববোধ বলে একটা জিনিষ আছে, সেটা থেকেই আপনাকে স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে হবে, মহরের ইন্তেজাম করা লাগবে। তাদের রিযকই তো আপনার আয়ে বারাকাহ দেয়। দুনিয়ার মানুষ সাময়িক কষ্ট ভুলে না সারাজীবনেও আর আল্লাহর দেওয়া নিয়ামতগুলো অস্বীকার করে, হয়তো সবাই জাহিদ ভাই হতে পারে না, এই কাহিনী গুলো আনোখা বটে! তবে আপনি আপনার জীবনের কোন জিনিষটাকে অস্বীকার করবেন? চশমা খুলে দেখুন আপনাকে আপনার রব্ব কতটা নিয়ামত দিয়েছেন, আপনার চোখ নিজে থেকেই প্লাবিত হবে, শুকরিয়ার জন্য আপনার কপাল ঝুকে মাটিতে ঠেকে যাবে। আল্লাহ আপনাকে দ্বীন দিয়েছেন, রাস্তা দেখিয়েছেন অথচ আপনি কি ভাবেন আপনি এর।যোগ্য ছিলেন? বা আমিই কি এর যোগ্য ছিলাম? কক্ষনো নয়। বরং, এটাতো কেবল রব্বের দয়াই। আবারোও ৪ টি শব্দ মনে করিয়ে দেই। লা তাহযান, লা তাখাফ, লা তাগদ্বাব আর লা তাসখাত।

পয়েন্ট টু বি নোটেড যে, সর্বদা এমন হয় না বরং মুদ্রার অপর পিঠও আছে, আল্লাহ যেখানে দ্বীন দিয়ে দ্বীন নিয়ে নেয়, প্রাচুর্যতা দিয়ে আবার ধ্বংস করে দেয়। কারন তখন আপনি নফসের গোলাম হয়ে যান, আপনি আর ওয়ার্দি থাকেন না।
দ্বীনের খিয়ানতকারী রা অন্য সকল কিছুর চেয়ে হিংস্র।
আমার নিজের দেখা এরকম ঘটনাও আছে, যেখানে আল্লাহ কাউকে সম্পদ দিয়েছিলো আর তাকে তা দিয়েই লাঞ্চিত করেছে এবং সব কেড়ে নিয়েছে, আর তার মৃত্যুও ঘটেছে অল্প বয়সে নানান ফরজ কাজ তার কাধে বহন করে। ইন শা আল্লাহ, আরেকদিন এটাও লিখবো, যেন রিমাইন্ডার হিসেবে মনে থাকে। সেটা লিখবো Truth and Salvation টাইটেলে।

- নিজওয়া, ওমান। ২০১৭।
- রহমতে ভেজা গল্পগুলো।

Taemin Muqassam

Address

Tooth Planet/Hijama Planet, Building: C, House 91/1, Road, 11a, Dhanmondi
Dhaka
1209

Opening Hours

Monday 09:00 - 17:00
Tuesday 09:00 - 17:00
Wednesday 09:00 - 17:00
Thursday 09:00 - 17:00
Saturday 09:00 - 17:00
Sunday 09:00 - 17:00

Telephone

+8801612079727

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Mohammad Saiful Alam Talukder posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Mohammad Saiful Alam Talukder:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram