Dialysis Free Bangladesh

25/09/2025

25/09/2025

জন্ম ও মৃত্যু—মানবজীবনের এই দুই পরম রহস্য—আজ যেন এক যান্ত্রিক প্রহসনে রূপ নিয়েছে। জন্মের অলৌকিক বিস্ময় কিংবা মৃত্যুর মর্মস্পর্শী গাম্ভীর্য, সবই এখন প্রযুক্তির শীতল যন্ত্রণা ও প্রোটোকলের নিরাবেগ ছাঁচে বন্দী। মানুষ এখানে আর মানুষ নয়, বরং পরিসংখ্যানের একটি সংখ্যা, চিকিৎসাব্যবস্থার এক পরীক্ষামূলক কেস।

অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসাশাস্ত্র তার অগ্রগতির অহংকারে প্রায়শই ভুলে গেছে মানুষের মানবিক সত্তা। এর অপপ্রয়োগ চিকিৎসাকে করেছে আরো নির্মম, যেখানে চিকিৎসার আসল উদ্দেশ্য—মানবিক সেবা—হারিয়ে গেছে কাগজের রিপোর্ট আর যান্ত্রিক নিরীক্ষার স্তূপে।

অন্যদিকে, হোমিওপ্যাথি মানুষের সমগ্র সত্তাকে অনুধাবন করে। এটি রোগকে দেখে কেবল দেহের ব্যাধি হিসেবে নয়, বরং শরীর, মন ও আত্মার এক সূক্ষ্ম অসামঞ্জস্য হিসেবে। এই দৃষ্টিভঙ্গিই চিকিৎসাকে রূপ দেয় শিল্পে, যেখানে রোগী কেবল চিকিৎসার অবজেক্ট নয়, বরং জীবনের পূর্ণাঙ্গ মানুষ।

সুতরাং মানবিক চিকিৎসার প্রকৃত রূপ হোমিওপ্যাথির মধ্যে সবচেয়ে গভীরভাবে প্রতিফলিত—যেখানে বিজ্ঞান মিশেছে দর্শনে, আর চিকিৎসা রূপ নিয়েছে মানবিকতার শিল্পে।

করণীয়:
১. চিকিৎসার প্রতিটি স্তরে রোগীকে যন্ত্র নয়, সমগ্র মানবসত্তা হিসেবে অনুধাবন ও মূল্যায়ন করা আবশ্যক।
২. অ্যালোপ্যাথির অপপ্রয়োগজনিত যান্ত্রিকতা পরিহারপূর্বক হোমিওপ্যাথি ও প্রাকৃতিক চিকিৎসার সামগ্রিক মানবিক দর্শনকে প্রয়োগে আনয়ন করা অপরিহার্য।

31/12/2024

মুরির মতো চিকিৎসক ও ফার্মেসিতে এই সার্জেল জাতীয় ওষুধ প্রেসক্রাইব করছেন!

সার্জেল (Sergel), যা এসোমিপ্রাজল, প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর (PPI) গ্রুপের একটি ওষুধ। এটি সাধারণত গ্যাস্ট্রিক, এসিড রিফ্লাক্স, পেপটিক আলসার এবং পেটের অতিরিক্ত এসিডের সমস্যা কমাতে ব্যবহৃত হয়।

সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন: মাথাব্যথা 🤕, বমি বমি ভাব 🤢, ডায়রিয়া/কোষ্ঠকাঠিন্য 🚽, পেটব্যথা 😖, মাথা ঘোরা, মুখ শুকানো, র‍্যাশ 🩹, ক্লান্তি 💤। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী এর রয়েছে ভয়ানক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:

1️⃣ ভিটামিন B12-এর ঘাটতি।
2️⃣ হাড় ভাঙার ঝুঁকি।
3️⃣ কিডনির সমস্যা।
4️⃣ রক্তে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি।
5️⃣ গুরুতর ডায়রিয়া (ক্লস্ট্রিডিয়াম ডিফিসিল)।

সতর্কতা:
✔️ দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
✔️ লিভার, অস্টিওপোরোসিস, বা রক্ত পাতলা করার ওষুধ নিলে চিকিৎসককে জানান।
✔️ নির্দেশিত ডোজ অনুসরণ করুন।

প্রাকৃতিক সমাধান বেছে নিন এবং রাসায়নিকের ক্ষতি এড়ান । 🌱

02/09/2024

সুস্থতা ও মানসিক শান্তির জন্য বিনোদনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

জীবনের ব্যস্ততা এবং দৈনন্দিন চাপ আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এই প্রভাবকে মোকাবেলা করতে বিনোদন এবং আনন্দদায়ক ভ্রমণ অপরিহার্য। বিনোদনের মাধ্যমেই আমরা পুনরায় শক্তি সঞ্চয় করতে পারি, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখতে সহায়তা করে।

পর্যটন ও বিনোদনের উন্নয়ন:

আমাদের দেশে পর্যটন খাতের প্রচুর সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও, অনেক ক্ষেত্রেই তা সঠিকভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। আধুনিক ও সুসংগঠিত পর্যটন ব্যবস্থা এবং বিনোদন কেন্দ্রগুলোর উন্নয়ন একান্তই প্রয়োজন। সরকারি ও বেসরকারি খাতের যৌথ উদ্যোগে দেশীয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোর উন্নয়ন করলে সেগুলো আরও আকর্ষণীয় ও সহজলভ্য হবে। দেশের ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সংস্কৃতিকে প্রমোট করার মাধ্যমে পর্যটন খাতকে আরও সমৃদ্ধ করা সম্ভব।

মানসিক স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি:

যদি মানুষ দেশের ভেতরেই মানসিক শান্তি ও আনন্দের স্থান খুঁজে পায়, তবে বিদেশ ভ্রমণের প্রবণতা কমে আসবে। এতে বিদেশে অর্থ ব্যয়ের পরিবর্তে সেই অর্থ দেশেই থেকে যাবে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। একইসাথে, পর্যটন শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা দেশের বেকারত্ব সমস্যা নিরসনেও সহায়ক হবে।

আসুন, এগিয়ে আসি:

আমাদের দায়িত্ব দেশের পর্যটন ও বিনোদন খাতকে আরও শক্তিশালী করা, যাতে দেশের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং অর্থনীতি সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যায়। নিজেদের এবং দেশের মঙ্গল চিন্তা করে আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে।

শেষ কথা:

দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর উন্নয়ন শুধুমাত্র দেশের মানুষের জন্য বিনোদন এবং মানসিক শান্তি আনবে না, বরং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আসুন, সবাই মিলে এই খাতকে আরও শক্তিশালী করি এবং আমাদের দেশকে আরও সুন্দর ও সমৃদ্ধ করে তুলি।

ডা. মোঃ তাজুল ইসলাম

22/08/2024

🌧️🌧️ বন্যাকালে পানি দূষিত হয়ে অনেক রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। প্রধান পানিবাহিত রোগগুলোর মধ্যে রয়েছে:

1. ডায়রিয়া: ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা প্যারাসাইট দ্বারা সৃষ্ট, যা দূষিত পানি বা খাবারের মাধ্যমে ছড়ায়।
2. কলেরা: ভিব্রিও কলেরা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট, যা দূষিত পানির মাধ্যমে ছড়ায়।
3. টাইফয়েড: সালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট, যা দূষিত পানি ও খাবারের মাধ্যমে ছড়ায়।
4. হেপাটাইটিস এ: ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট, যা দূষিত পানি ও খাবারের মাধ্যমে ছড়ায়।
5. লেপটোস্পাইরোসিস: লেপটোস্পাইরা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট, যা দূষিত পানি বা মাটির সংস্পর্শে এলে ছড়ায়।

🌡️🌡️প্রতিকার ও প্রতিরোধ

১. বিশুদ্ধ পানি পান করা🥛🥛
• ফুটানো পানি: পানির জীবাণু দূর করতে কমপক্ষে ১০ মিনিট ফুটিয়ে পান করুন।
• পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট: ট্যাবলেট ব্যবহারের মাধ্যমে পানি বিশুদ্ধ করুন।
• ফিল্টার করা পানি: বিশেষ ফিল্টার ব্যবহার করে পানি ছেঁকে পান করুন।

২. সঠিক স্বাস্থ্যবিধি পালন😷😷
• হাত ধোয়া: খাবার খাওয়ার আগে ও টয়লেট ব্যবহারের পরে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন।
• স্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবহার: নিরাপদ ও পরিষ্কার টয়লেট ব্যবহার করুন।

৩. দূষিত পানি থেকে দূরে থাকা💧💧
• বন্যার পানি এড়িয়ে চলা: বন্যার পানি থেকে দূরে থাকুন এবং শিশুদের বন্যার পানিতে খেলতে না দিন।
• পানির সংরক্ষণ: বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করে রাখুন এবং সেই পানি ব্যবহার করুন।

৪. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস🍎🍐🍌
• বিশুদ্ধ ও স্বাস্থ্যকর খাবার: শুধুমাত্র বিশুদ্ধ ও স্বাস্থ্যকর খাবার খান। রাস্তার খাবার এড়িয়ে চলুন।
• খাবার সংরক্ষণ: খাবার ঢেকে রাখুন এবং পরিষ্কার স্থানে সংরক্ষণ করুন।

৫. প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা💊💊
• ওআরএস (ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন): ডায়রিয়া বা কলেরার জন্য দ্রুত ওআরএস,সম্বব হলে ডাবের পানি পান করুন।
• প্রাথমিক চিকিৎসা কিট: প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ঘরে একটি কিট রাখুন, যাতে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সরঞ্জাম থাকে।
• চিকিৎসকের পরামর্শ: যেকোনো রোগের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

বন্যাকালীন পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে কিছু প্রাকৃতিক উপায়ও :

১. হলুদ: হলুদে থাকা কারকিউমিন প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে। পানিতে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে পান করলে উপকার পাওয়া যায়।

২. আদা: আদা হজমে সহায়ক এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণসম্পন্ন। আদা চা বা আদার রস পান করলে পেটের অসুবিধা কমতে পারে।

৩. তুলসি পাতা: তুলসি পাতায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল গুণ থাকে। তুলসি পাতার রস পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৪. নিম পাতা: নিম পাতার রস অ্যান্টিসেপ্টিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে। পানি পরিষ্কার করতে নিম পাতা ব্যবহার করা যেতে পারে।

এই প্রাকৃতিক প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলো বন্যাকালে পানিবাহিত রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কার্যকর হতে পারে। তবে, গুরুতর অবস্থায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

13/08/2024

আমরা দেশের সিস্টেম সংস্কার চেয়েছি, তাহলে দেশ সংস্কার এর আগে দলের সংস্কারের কথা আসছে কেন।

26/04/2024

#হিটস্ট্রোক কী : অতিরিক্ত গরমের একটি মারাত্মক স্বাস্থ্যগত সমস্যার নাম হিটস্ট্রোক। প্রচণ্ড গরম আবহাওয়ায় শরীরের ত....

21/09/2023

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=794817012647691&id=100063581981739&mibextid=Nif5oz