30/03/2023
মানুষকে সাহায্য করলে তিন ধরণের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়-
এক:
কিছু মানুষকে সাহায্য করলে তারা গা ছেড়ে দেয়। সাহায্য যেহেতু আসছে কাজেই তাদের আর কিছু করার দরকার নেই- এমন একটা ভাব। যত সাহায্য আসে উনারা তত বেশী ঢিলা দিতে থাকেন। এধরণের মানুষ হলো অলস। এরা সাহায্য সহযোগীতা পেয়েও তেমন কোনো উন্নতি করতে পারে না। ফলে সাহায্য কারীরাও একসময় এদেরকে সাহায্য করার উৎসাহ হারিয়ে ফেলে।
দুই :
আরেক ধরণের মানুষ আছে যারা সাহায্যকে মূল্যায়ন করে। সাহায্যকে সুবর্ণ সুযোগ হিসাবে নিয়ে পূর্ণ উদ্যমে সেটাকে কাজে লাগাতে চেষ্টা করে। সেই সাহায্যের হাত ধরে তারা নিজেকে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিতে চেষ্টা করে। পরিশ্রম করে ও নিজের অবস্থার পরিবর্তন করে। এরা পরিশ্রমী ও কৃতজ্ঞ ধরণের মানুষ।
তিন :
আর তৃতীয় ধরনের মানুষ উপকার আর সাহায্য পাওয়ার পরে সেই উপকারীর দিকেই কিল ঘুষি ছুড়তে শুরু করে। উপকারীর মাথায় বসেই উপকারীর সমালোচনা করতে থাকে। নানা রকম তাদের অভিযোগ -সে যেভাবে চেয়েছিলো সাহায্য সেভাবে করা হয় নাই, এই এই জিনিস গুলো তার মন মতো হয় নাই ইত্যাদি। সাহায্যের কোথায় কতটুকু খুঁত ছিল তা নিয়ে সাহায্যকারীর চৌদ্দ গোষ্ঠী তারা উদ্ধার করে ছাড়ে। ফলে বেচারা সহায্যকারী এই সব ব্যক্তিদের কাঁধ থেকে ফেলে "আপন প্রাণ বাঁচান"। এর ধরণের মানুষ হলো অকৃতজ্ঞ ধরণের মানুষ।
সাহায্য করতে চাইলে দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষ খুঁজে বের করুন। প্রথম শ্রেণীর মানুষদের সাহায্য করা নিরর্থক, আর তৃতীয় শ্রেণীর মানুষদের সাহায্য করা বিপজ্জনক।
আমাদের একটা ছোট অর্গানাইজেশন আছে, যেখানে কিছু বৃদ্ধ ও অসহায় এতিমদের যাবতীয় মৌলিক চাহিদা পুরনের চেষ্টা করছি আমরা এবং বাংলাদেশের ৬৪ জেলা থেকেই সেচ্ছাসেবী ও এএক্সিকিউটিভ সদস্য সংগ্রহ করছি , কেউ আগ্রহী হলে যোগাযোগ করতে পারেন।
হ্যাপি রমাদান