যৌন সমস্যায় Germany Homeo চিকিৎসা

যৌন সমস্যায় Germany Homeo চিকিৎসা যে কোন ধরনের যৌন সমস্যার ১০০% সমাধান,

সহবাসের সময় লিঙ্গ উত্থান এবং শক্ত করার জন্য সেরা কিছু ভিটামিনঃ আপনি কি একটা ভাল সেক্স লাইফের জন্য তৈরি আছেন।পুরুষরা বিছ...
31/05/2025

সহবাসের সময় লিঙ্গ উত্থান এবং শক্ত করার জন্য সেরা কিছু ভিটামিনঃ আপনি কি একটা ভাল সেক্স লাইফের জন্য তৈরি আছেন।

পুরুষরা বিছানার উত্তাপ বাড়াতে এবং সারারাত ধরে যৌনমিলনের আনন্দ উপভোগ করতে পছন্দ করে তবে সেই সঙ্গে অনেকগুলি শারীরিক রূপান্তর তাদের যৌনতাকে প্রভাবিত করে। যদি আপনি তাদের মধ্যে একজন হন যারালিঙ্গজনিত সমস্যার কারণে সঙ্গীকে সন্তুষ্ট করতে ব্যর্থ, তবে চিন্তার কিছু নেই। সঠিক চিকিৎসার সাহায্য নিয়ে আপনি আপনার যৌন জীবনকে আবার সুস্থ জায়গায় ফিরিয়ে আনতে পারেন।

লিঙ্গ সমস্যা হওয়া, যেমনটা সকলে ভাবে, ততটাও সাধারণ বিষয় নয়। এটি শরীরকে অন্যান্য অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে নিয়ে যেতে পারে। আমেরিকায় সব বয়সের প্রায়২৫ মিলিয়ন পুরুষ ইরেকটাইল ডিসফাংশানে ভুগছে। এরকম লিঙ্গ সমস্যাগুলি সমাধান করার সময়, লোকেরা ওভার-দ্য-কাউন্টার ওষুধ যেমন আই-আর্জিনাইন এবং অন্যান্য নীল বড়ি খেয়ে যৌনতার সময় এবং স্ট্যামিনা বাড়াতে চান।

তবে আপনার উত্থানের সমস্যাগুলি সমাধান করার জন্য আপনার আর-আরজিনাইন এবং এজাতীয় কোনও ওষুধের দরকার নেই। অনেক গবেষণা পরামর্শ দেয় যে আপনি যদি ওষুধ খাওয়ার পরিবর্তে প্রাকৃতিক সমাধান এবং ঘরোয়া প্রতিকারের চেষ্টা করেন তবে আপনার একটি স্বাস্থ্যকর এবং সন্তোষজনক যৌনজীবন সম্ভব। এই ভিটামিন এবং পরিপূরকগুলি অবশ্যই আপনার ইডি (ইরেক্টাইল ডিসফাংশান) এবং অন্যান্য লিঙ্গ সম্পর্কিত সমস্যার চিকিৎসায় করতে সহায়তা করে।

কিছু কিছু জিনিস লিঙ্গ উত্থানজনিত অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে, তবে লিঙ্গের উত্থানের জন্য স্বাস্থ্যকর ভিটামিন সরবরাহ আপনার যৌন জীবনকে খুব প্রশান্ত এবং রোমান্টিক করে তুলবে। ভাল রক্তসঞ্চালনের জন্য রক্তনালিগুলি স্বাস্থ্যবান হওয়া প্রয়োজনীয়, কারণ এরাই কোষগুলিতে পুষ্টি বহন করার কাজ করে। আর ভিটামিনগুলি রক্তনালিগুলিকে ঠিকঠাক খুলতে সহায়তা করতে পারে যাতে রক্ত সঠিকভাবে সঞ্চালিত হয়ে ব্যক্তির পূর্ণ পুরুষত্ব প্রকাশ করতে পারে।

আই-আর্গিনাইন এবং ভায়াগ্রা জাতীয় ওষুধগুলি আপনার সমস্যা মাত্র কয়েক ঘন্টার জন্য থামিয়ে রাখতে পারে। কিন্তু ভিটামিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড দীর্ঘমেয়াদে এই উত্থানের সমস্যাগুলি নিরাময় করতে পারে। মনে রাখবেন, ভিটামিন এবং বাজারী ওষুধগুলি (আই-আর্গিনাইন) একসঙ্গে সেবন করা উচিত নয় কারণ এতে আপনার দেহে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। আপনার দৈনিক রুটিনে কোনও ভিটামিন যুক্ত করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে আলোচনা করুন। আই-আর্গিনাইন এবং অন্যান্য বড়িগুলি ছাড়াও, আমরা আপনার সমস্যাটি দ্রুত সমাধান করতে এবং আরও ভাল যৌন জীবন পেতে কিছু ভিটামিন দিয়েছি।

পুরুষত্বহীনতার জন্য সেরা ভিটামিন

ভিটামিন সি
ভিটামিন সি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে এবং স্বাস্থ্যের জন্যও এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ক্রমবর্ধমান যৌন পারফরম্যান্সের সঙ্গে সম্পর্কিত।

ভিটামিন ডি
গবেষকরা দেখেছেন যে যাদের দেহে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি রয়েছে তাদের তুলনায় যাদের ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি রয়েছে তাদের এই জাতীয় লিঙ্গ উত্থানজনিত অসুবিধাগুলি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। রক্তনালীগুলি সুস্থ রাখার জন্য এই ভিটামিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ডি ছাড়া রক্ত সঞ্চালন ভাল হয় না, এবং আপনার শরীরের প্রায় সমস্ত কিছু যথা আপনার লিঙ্গ শক্তিশালী হওয়ার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।

ভিটামিন বি-৩
ভিটামিন বি-৩ রক্ত প্রবাহ এবং ইরেকটাইল ফাংশন বাড়াতে সহায়তা করে এবং এর ঘাটতি ইরেক্টাইল ডিসফাংশন-এর অন্যতম কারণ।

ফলিক অ্যাসিড
ইরেক্টাইল সমস্যাগুলি কখনও কখনও কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার সাথেও সম্পর্কিত হতে পারে। যদি আপনার হার্টের স্বাস্থ্য পুরোপুরি ঠিক না থাকে তাহলে আপনার যৌনজীবনে এর প্রভাব পড়তে পারে। মাঝারি থেকে মারাত্মক উত্থানজনিত সমস্যায় ভুগছেন এমন পুরুষের ফলিক অ্যাসিড মাত্রা যেসব ছেলের এই সমস্যাটি নেই তাদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম থাকে। বি ভিটামিনকে নাইট্রিক অক্সাইডের সাথে কাজ করার জন্য দেখানো হয়েছে যা ব্যাখ্যা করবে যে এটির অভাবে কেন পুরুষত্বের সমস্যা দেখা দেয়। এটি কিছু ওষুধের চেয়ে আরও ভালভাবে ইরেক্টাইল ডিসফাংশানে সহায়তা করে বলে মনে হচ্ছে। ফলিক অ্যাসিডের সাহায্যে চিকিৎসা করার ফলে পুরুষরা তাদের ইরেক্টাইল শক্তি বৃদ্ধি করে।

দস্তা
এই খনিজটি একটি স্বাস্থ্যকর যৌনজীবনের জন্য খুবই প্রয়োজন এবং এর ঘাটতি টেস্টোস্টেরন স্তর নিম্ন হওয়ার সাথে যুক্ত যা দুর্বল উত্থানের ক্ষেত্রে অবদান রাখে। দস্তাজাত পরিপূরকগুলি যৌনজীবনে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি করতে পারে। দস্তা দিয়ে লোডযুক্ত খাবারের মধ্যে ঝিনুক, শেলফিস, বাদাম এবং বীজ অন্তর্ভুক্ত। ইরেক্টাইল ডিসফাংশন এবং যৌন জীবনে আগ্রহ হ্রাস অনেক শারীরিক এবং মানসিক কারণে হতে পারে। তাই এই ভিটামিন এবং ফাইবার এবং পুষ্টির পরিমাণ বেশি এমন একটি স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করে নিজেকে সুস্থ রাখুন। আই-আরজিনাইন এবং অন্যান্য বড়িগুলির মতো ওটিসি ওষুধগুলিকে উপেক্ষা করার চেষ্টা করুন এবং আপনার দৈনন্দিন জীবনের এই তাজা শাক সবজি, আপেল, ওট এবং পুরো শস্যগুলি অন্তর্ভুক্ত করা শুরু করুন।

আপনি যদি নিজের উত্থানজনিত সমস্যা স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে চান এবং যৌন মিলনের সময় লিঙ্গকে সঠিক উত্থান চান তবে এই ভিটামিনগুলি আপনার ইরেকটাইল ডিসফংশান বন্ধ করতে পারে। এখানে পড়ুন কীভাবে একজন লোক তার ইরেকটাইল ডিসফাংশন নিরাময়ের জন্য একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার ব্যবহার করে কিছু দিনের মধ্যে নিজেকে সুস্থ করে তুলেছিল।

যৌনতাকে দীর্ঘতর করুন সহজ ২ ব্যায়ামে,  কয়েকটি সহজ ব্যায়াম এর মাধ্যমে যৌনতায় ঝড় তুলতে পারেন।জিম করলে নাকি উত্তাল হয়ে ওঠে ...
27/05/2025

যৌনতাকে দীর্ঘতর করুন সহজ ২ ব্যায়ামে, কয়েকটি সহজ ব্যায়াম এর মাধ্যমে যৌনতায় ঝড় তুলতে পারেন।

জিম করলে নাকি উত্তাল হয়ে ওঠে যৌনতা। আপনি যত ফিট, ততই বাড় বাড়ন্ত আপনার সেক্স ড্রাইভ। তবে প্রচুর টাকা খরচ করে জিমে না গিয়েও, বাড়িতেই কয়েকটি সহজ ব্য়ায়াম করলে যৌনতায় ঝড় তুলতে পারেন। কীভাবে? রইল টিপস।

প্রথমে উপুড় হয়ে শুয়ে হাতদুটো দুপাশে মেঝেতে পাশাপাশি রাখুন। এর পর হাতের উপর ভর দিয়ে পুশ-আপের ভঙ্গিতে উপরের দিকে শরীরটাকে টেনে তুলুন। পায়ের আঙুল মেঝেতে যেন ছুঁয়ে থাকে, পিঠ আর মাথা থাকবে একই লাইনে। শরীরটাকে উপরে তোলার সময় পুরো ওজনটা থাকবে বাহু আর পায়ের আঙুলের উপর। শ্বাস টেনে বন্ধ করে যতক্ষণ পারবেন এই অবস্থায় নিজেকে রাখুন, এর পর ধীরে ধীরে নিশ্বাস ছাড়ুন। অন্তত, পাঁচবার এটা করুন।

কেগলস
পেলভিক মাসলের জোর বাড়াতে এই ব্যায়ামের বিকল্প নেই। আমরা সবাই জানি অর্গাজমের সময় পেলভিক মাসল সংকুচিত হয়।পেলভিক মাসল যদি মজবুত হয় তা হলে অর্গাজ়মের সুখও কয়েকগুণ বেড়ে যেতে বাধ্য!

ইউরিনের বেগ সম্বরণ করার জন্য আপনি যে পেশিগুলো সংকুচিত করেন, সেটাই পেলভিক মাসল। ইউরিন বন্ধ করতে হলে যেভাবে পেশি সংকুচিত করেন, ঠিক সেভাবেই সংকুচিত করুন। কম করে পাঁচ সেকেন্ড ধরে রাখুন, তারপর ছেড়ে দিন। প্রায় পাঁচবার করুন এই ব্য়ায়াম।

@@-----মেয়েদের অর্গাজম কখন হয়?----@@ # #  শরীর প্রসারিত হওয়া : প্রচন্ড উত্তেজনায় যখন আপনার স্ত্রীর শরীর টান টান হয়ে শক্ত...
24/05/2025

@@-----মেয়েদের অর্গাজম কখন হয়?----@@

# # শরীর প্রসারিত হওয়া : প্রচন্ড উত্তেজনায় যখন আপনার স্ত্রীর শরীর টান টান হয়ে শক্ত এবং ধীর হয়ে যাবে তখন বুঝবেন তার অর্গাজম হচ্ছে। পিঠে কয়েকটা আঁচড় ও খেতে পারেন এই সময়।

# # তার যোনিপথের প্রাচীর বা দেয়াল সংকোচিত হবে: আপনি অনুভব করবেন যে যোনিপথ আপনার পেনিস বা আঙুলকে চেপে ধরছে। উত্তেজনার চরম পর্যায়ে পৌছে গেলে ঠিক যেরকম আপনার পেনিস শক্ত বা দুর্দম হয়ে যায় যোনিপথও ঠিক সেরকম হবে।

# # চোখ কথা বলবে : আপনার স্ত্রীর চোখের মণি বড় হয়ে যদি উপরের দিকে উঠে যায় তাহলে বুঝবেন তার অর্গাজম হচ্ছে।এই সময় সে আপনার দিকে তাকাতে ভুলে যাবে।অবশ্য এটা খুব অল্প সময়ের জন্য হয়।

# # চোখ বন্ধ হয়ে যাওয়া: আপনি যখন দেখবেন যে তার চোখের মণি উপরের দিকে উঠে যাচ্ছে ঠিক এই মুহূর্তে সে হয়তো চোখ বন্ধ করে ফেলতে পারে। ব্যাস, অর্গাজম হচ্ছে এটা নিশ্চিত থাকুন।

# # হ্রদস্পন্দন বেড়ে যাবে: এটা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারবেন যে তার হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছে এবং এর জন্য আপনাকে তার বুকের কাছাকাছিও যেতে হবে না।

# # চেহারা দীপ্তিময় হয়ে উঠবে: একজন নারীর যখন অর্গাজম হয়ে তখন শরীর রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায় এবং এর ফলে তার শরীর বা চেহারায় একটা পরিপূর্ণ ঔজ্জ্বল্য বা তৃপ্তিদায়ক আভা ফুঠে উঠবে।

সাধরন বাঙালি নারীরা এই অসাধারন সেক্সুয়াল তৃপ্তিদায়ক অভিজ্ঞতা জীবনে খুব কম সময়েই পায়। এর জন্য দায়ী প্রধানত নারীদের সেটিসফেকশান সম্পর্কে পুরুষদের উদাসীনতা বা অজ্ঞতা এবং পারস্পরিক মিউচুয়াল আন্ডারস্টেন্ডিং।

পুরুষের তুলনায় নারীদের অর্গাজম কম হয় কেন?কল্পনা করুন আপনার সামনে প্রিয় কোনো সিনেমা বা নাটকের দৃশ্যে নারী ও পুরুষের মধ্যে...
23/05/2025

পুরুষের তুলনায় নারীদের অর্গাজম কম হয় কেন?

কল্পনা করুন আপনার সামনে প্রিয় কোনো সিনেমা বা নাটকের দৃশ্যে নারী ও পুরুষের মধ্যে একটি তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ দৃশ্য চলছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই সেখানে যৌন সম্পর্কের পর দুজনেরই অর্গাজম বা যৌনতৃপ্তি পাবার সম্ভাবনা রয়েছে।

কিন্তু এটা মোটেও বাস্তব চিত্র না।

কারণ বিপরীত লিঙ্গের কারো সঙ্গে যৌন মিলনের পর পুরুষের তুলনায় নারীদের অনেক কম অর্গাজম হয়।

একে অর্গাজম গ্যাপ বা অর্গাজম ঘাটতি বলা হয়। আর বৈজ্ঞানিকভাবে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই বিষয়ক তথ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

৫০ হাজার মানুষকে নিয়ে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট ৯৫ শতাংশ পুরুষদেরই সহবাসের সময় সাধারণত বা সবসময় অর্গাজম হয়ে থাকে, যেখানে মাত্র ৬৫ শতাংশ নারীর ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটে।

গবেষণা বলছে, কিছু মানুষ বিশ্বাস করে জৈবিকভাবেই নারীদের অর্গাজম কঠিন হওয়ার কারণে এমনটা ঘটে। তবে যদি এমনটাই হতো, তাহলে পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে নারীদের অর্গাজমের হার ভিন্ন হতো না।

এমনকি, অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে সঙ্গীর সাথে থাকার চেয়ে একা থাকা অবস্থায় নারীদের অর্গাজম বেশি হয়।

নৈমিত্তিক বা যে কারো সঙ্গে যৌনতার তুলনায় সঙ্গীর সাথে সহবাসের সময় নারীদের অর্গাজম বেশি হয়।

১২ হাজার কলেজ শিক্ষার্থীকে নিয়ে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, তাদের মধ্যে কেবল ১০ শতাংশের প্রথমবার মিলনের সময় অর্গাজম হয়েছে। আর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সম্পর্কের ক্ষেত্রে অর্গাজম হয়েছে ৬৮ শতাংশের।

অন্য কোনো নারীর সঙ্গে যৌন মিলনের সময়ও নারীদের অর্গাজম বেশি হয়।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, কোনো নারীর সঙ্গে যৌন মিলনের পর ৬৪ শতাংশ উভকামী নারীর সাধারণত বা সবসময় অর্গাজম হয়।

এমন কেন হয়?
যেসব পরিস্থিতিতে নারীরা যৌন উত্তেজনা বেশি উপভোগ করে, তার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্লিটোরাস স্টিমিউলেশন বা ভগাঙ্কুর উদ্দীপনার বিষয়টি গুরুত্ব পায়।

নারীর যোনির প্রবেশ মুখের উপরে থাকে ক্লিটোরাস বা ভগাঙ্কুর। এটির আকৃতি অত্যন্ত ছোট, দেখতে বোতামের মতো, যার মূল কাজ হল নারীকে যৌন মিলনকালে তৃপ্তি প্রদান করা।

বেশিরভাগ নারীরই অর্গাজমের জন্য ভগাঙ্কুরে উদ্দীপনার প্রয়োজন হয়। কেননা ভগাঙ্কুর ও শিশ্ন একই ধরনের টিস্যু থেকে তৈরি হয়।

আর উভয় অঙ্গই স্পর্শ-সংবেদনশীল স্নায়ু ও উত্তেজনা তৈরি করা টিস্যু দিয়ে পূর্ণ।

আমার কাজের জন্য আমি হাজারও নারীকে জিজ্ঞেস করেছি যে অর্গাজমের ক্ষেত্রে তাদের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় কী?

মাত্র চার শতাংশ নারী বলেছে, পেনেট্রেশন বা যোনিতে শিশ্নের প্রবেশের মাধ্যমে। আর ৯৬ শতাংশ বলেছে, কেবল ভগাঙ্কুর উদ্দীপনা অথবা একইসঙ্গে উদ্দীপনা ও শিশ্ন যোনিতে প্রবেশের মাধ্যমে যৌন মিলনে তারা অর্গাজম উপভোগ করে।

যেটুকু ভগাঙ্কুর উদ্দীপনা নারীদের জন্য প্রয়োজন তা না পাওয়াই অর্গাজম ঘাটতির প্রধান কারণ।

আর যৌন সম্পর্কের আধিপত্য নিয়ে সাংস্কৃতিকভাবে দেয়া বার্তাও এতে ইন্ধন জোগায়।

অগণিত সিনেমা, টেলিভিশন অনুষ্ঠান, বই ও নাটকে দেখানো হয় যে কেবল যৌন মিলনের মাধ্যমেই নারীরা অর্গাজমের আনন্দ পায়।

পুরুষদের জনপ্রিয় ম্যাগাজিনগুলোও কোন অবস্থানে যৌন সম্পর্ক করলে নারীদের অর্গাজম হবে সে বিষয়ে পরামর্শ দেয়।

কিছু অবস্থানের ক্ষেত্রে ভগাঙ্কুরে উদ্দীপনা গুরুত্ব পেলেও, মূল বার্তা এটিই রয়ে যায় যে যৌন সম্পর্কই কেন্দ্রীয় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যৌন কাজ।

এই নিবন্ধগুলোতে ব্যবহৃত ভাষা, এক কথায় বললে সাধারণভাবে পুরো সংস্কৃতিতেই যৌন সম্পর্ককে অত্যধিক গুরুত্ব দেয়ার বিষয়টি প্রতিফলিত করে এবং একইসঙ্গে একে স্থায়িত্ব দেয়।

আমরা "সেক্স" বা যৌনতা কিংবা "ইন্টারকোর্স" বা যৌন সম্পর্ক শব্দগুলো এমনভাবে ব্যবহার করি, যেন তা একই জিনিস।

যৌন সম্পর্কের আগে ভগাঙ্কুরে উদ্দীপনার বিষয়টিকে যৌন সম্পর্ক গড়ার আগের অংশ বা "ফোরপ্লে" বলে খারিজ করে দেই এই ভেবে যে, তা যৌনতার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ।

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যে এই ধরনের বার্তা যৌনতাকে কী কী ধাপে এগিয়ে যেতে হবে সেই ধারনা তৈরি করে। শুধু সহবাসের জন্য নারীকে প্রস্তুত করতে প্রথমে ফোরপ্লে, তারপর যৌন মিলন ও পুরুষের অর্গাজম, আর তারপর শেষ।

আর যৌনতার এই প্রক্রিয়ায় পুরুষের কাজ হচ্ছে দীর্ঘ সময় টিকে থেকে আর জোরে চাপ দিয়ে নারীকে অর্গাজম প্রদান করা।

অবাক করা বিষয় নয় যে গবেষণায় দেখা গেছে, যৌন মিলনের সময় নারীদের অর্গাজম হলে পুরুষরা বেশি পুরুষত্ব বোধ করে।

আর এটাও আশ্চর্যের বিষয় না যে নারীরা তাদের সঙ্গীর অহং রক্ষা করতে অর্গাজমের ভণিতা করে।

এক গবেষণায়, ৫৩ থেকে ৮৫ শতাংশ নারী অর্গাজমের ভণিতা করার কথা স্বীকার করেছে। কিছু গবেষণা বলছে, বেশিরভাগ নারী তাদের জীবনে অন্তত একবার অর্গাজমের ভণিতা করেছে।

ঘাটতি দূর করার উপায়:
যেহেতু সাংস্কৃতিক কারণগুলো অর্গাজম ঘাটতির জন্য দায়ী, আশা করা যায় যৌনতা ও যৌন মিলনের প্রতি আমাদের দৃষ্টিকোণের পরিবর্তন নারীদের যৌন অভিজ্ঞতা উন্নত করতে সাহায্য করবে।

বাস্তবে, অর্গাজমের জন্য নারীদের জৈবিক ক্ষমতা যে সীমিত নয় সে সম্পর্কে সবাইকে জানানো গুরুত্বপূর্ণ।

একইভাবে, পুরুষ ও নারীর জন্য ভগাঙ্কুর বিষয়ক শিক্ষা এই খেলায় পাশার দান উল্টে দিতে পারে।

তবুও ব্যক্তিগত স্তরে এই ধরনের জ্ঞান অর্গাজম ঘাটতি বন্ধ করবে সেই সম্ভাবনা কম।

সেক্স থেরাপি বইয়ের একটি অধ্যায় অনুসারে, এই জ্ঞানকে বাস্তবে প্রয়োগ করার জন্য নারীদের দক্ষতার প্রয়োজন।

এর মানে হল যৌনতাকে তারা কীভাবে চায় তা শিখতে নিজেকে নিজে স্পর্শের মাধ্যমে আনন্দ পেতে নারীদের উৎসাহিত করা উচিত।

এটি অবশ্যই যোগাযোগ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে করা উচিৎ, যাতে এই তথ্য তারা দম্পতির সাথে ভাগ করতে পারে।

নারীদের মনে করা উচিৎ যে তাদের আনন্দ পাওয়ার অধিকার আছে এবং তারা এই সক্ষমতা রাখে, যাতে করে সঙ্গীর সাথে ও সঙ্গী ছাড়াও তারা একই আনন্দ পায়।

সেক্ষেত্রে সবার আগে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট দম্পতিদের অবশ্যই ফোরপ্লে আর যৌন সম্পর্কের পরে যৌনতা শেষ হয়- এই পুরনো ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

এর পরিবর্তে তারা মুখ বা হাত ব্যবহার করে পালাক্রমে অর্গাজম করতে পারে। বিকল্প হিসেবে নারীরা যৌন সম্পর্কের সময় হাত বা ভাইব্রেটর দিয়ে নিজেকে স্পর্শ করতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, যে নারীরা ভাইব্রেটর ব্যবহার করে তাদের অর্গাজম বেশি হয় এবং যেহেতু অনেক নারীই যৌনতার সময় তাকে কেমন দেখায় বা তার সঙ্গীকে আনন্দ দিতে পারছে কিনা এসব বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকে, ফলে নিজের দিকে মনোযোগ দেয়াও এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।

কিন্তু অর্গাজম সমতা গুণগত মানের যৌনতার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বেশ কয়েকজন নারীই আমাকে বলেছে যে, শোবার ঘরে একবার তারা ক্ষমতায়ন বোধ করার পর বাকি জীবনে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে।

আরও জরুরি বিষয় হচ্ছে, একটি সমীক্ষা অনুসারে, আনন্দ পাওয়ার অধিকার বোধ একজন নারী তার সঙ্গীর থেকে কী চায় তা জানানোর সক্ষমতা এবং যৌনতার ক্ষেত্রে নিজেকে রক্ষা করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

এমনকি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে যৌন আনন্দ পাওয়ার অধিকার বোধ একজন নারীকে স্বাচ্ছন্দ্যমতো যৌন সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। এছাড়াও গর্ভধারণ ও যৌন সংক্রমণের বিরুদ্ধে সুরক্ষা ব্যবহার করতেও তাদের সাহায্য করে।

যৌন শিক্ষা ও আনন্দের উপর দু'জন মার্কিন স্বাস্থ্য গবেষকের লেখা আরেকটি নিবন্ধে বলা হয়েছে, যৌনতার আনন্দদায়ক দিকটি যখন তরুণরা শেখে, তখন এ নিয়ে কারসাজি করা বা ক্ষতিকারক উপায়ে ব্যবহার করার সম্ভাবনা কমে যায়।

তাই যৌনতাকে পুরুষের আনন্দের জন্য নারীদের করা 'একটা কিছু' হিসেবে দেখার বদলে এটি যে নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য আনন্দদায়ক তা শেখানো গেলে, এটি যৌন সহিংসতার মাত্রা কমাতেও সাহায্য করবে।

স্পষ্টতই নারীদের আনন্দ সম্বন্ধে শেখানো গেলে তা অর্গাজমের হার বৃদ্ধির চেয়েও আরও বেশি কিছু করবে।

*লউরি মিন্তজ ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের ইমেরিটাস অধ্যাপক। এই নিবন্ধটি মূলত দ্য কনভারসেশনে প্রকাশিত হয়েছে।

স্ত্রীকে যথেষ্ট সময় দেয়ার পরও অর্গাজম হয় না! এখন করণীয় কী?অনেক নারী সহজে উত্তেজিত হন না, ফলে তাদের অর্গাজমে পৌঁছানো একটু...
03/05/2025

স্ত্রীকে যথেষ্ট সময় দেয়ার পরও অর্গাজম হয় না! এখন করণীয় কী?

অনেক নারী সহজে উত্তেজিত হন না, ফলে তাদের অর্গাজমে পৌঁছানো একটু সময়সাপেক্ষ হতে পারে। তবে এর অর্থ এই নয় যে তারা মিলনে আনন্দ পান না বা অংশগ্রহণে কম থাকেন। বরং এ ধরনের নারীরা যদি সঠিকভাবে উত্তেজিত হতে পারেন, তাহলে তারা মিলনকে আরও উপভোগ্য করে তুলতে পারেন এবং স্বামীকেও অধিক সুখ দিতে সক্ষম হন। তবে এক্ষেত্রে পুরুষের ধৈর্য ও সক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। (AST)

নারীর দেরিতে তৃপ্তি লাভের পেছনে কিছু শারীরিক ও মানসিক কারণ থাকতে পারে-

✅ মানসিক চাপ ও উদ্বেগঃ দৈনন্দিন জীবনের স্ট্রেস, সম্পর্কের টানাপোড়েন নারীর উত্তেজনা কমিয়ে দিতে পারে। (AST)

✅ সঠিক পরিবেশের অভাবঃ গোপনীয়তা, আরামদায়ক পরিবেশ এবং মানসিক সংযোগের অভাব থাকলে, যেমন- সহবাসের আওয়াজ অন্যরা শুনতে পাবে, এরকম সমস্যা থাকলে নারীরা সহজে অর্গাজমে পৌঁছাতে পারেন না। (AST)

✅ ফোরপ্লের অভাবঃ অনেক সময় স্বামীরা দ্রুত মিলনের দিকে মনোযোগ দেন, কিন্তু নারীদের পর্যাপ্ত উত্তেজিত হওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে ফোরপ্লে প্রয়োজন এবং সঠিক নিয়মে ফোরপ্লে করতে হবে। শুধু ফোরপ্লেলে দিয়ে ও অর্গাজম সম্ভব। (AST)

✅ শারীরিক অসুবিধাঃ কিছু শারীরিক সমস্যা যেমন হরমোনাল ইমব্যালান্স, রক্ত সঞ্চালন কমে যাওয়া বা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকলে নারীর উত্তেজনা কমে যেতে পারে। (AST)

♻️ সঠিক পজিশন নির্বাচন করুন

নারীর দ্রুত ও গভীর তৃপ্তির জন্য কিছু নির্দিষ্ট পজিশন বেশি কার্যকর। এমন একটি জনপ্রিয় পজিশন হলো—

"Women on top" বা স্ত্রী স্বামীর উপরে। (AST)

🔥করণীয়ঃ

✔ ফোরপ্লেতে বেশি সময় দিনঃ নারীদের উত্তেজিত করতে দীর্ঘ সময় ধরে আলতো চুম্বন, আদর, ম্যাসাজ ও সংবেদনশীল অংশে স্পর্শ করুন। (AST)

✔ স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলুনঃ সে কোন স্পর্শ বা কৌশল বেশি পছন্দ করে, তা জানার চেষ্টা করুন। (AST)

✔ সঠিক গতি ও চাপ বজায় রাখুনঃ ধীরে শুরু করে ধাপে ধাপে গতি বাড়ান, যাতে স্ত্রী আরামদায়ক অনুভব করে। (AST)

✔ পরিবেশ উপযুক্ত করুনঃ আরামদায়ক বেড, নরম আলো এবং ব্যক্তিগত মুহূর্তের জন্য নিরাপদ স্থান বা সাউন্ডপ্রুভ রুম ইত্যাদি নারীর উত্তেজনা বাড়াতে সাহায্য করে। (AST)

✔ বিশ্বাস ও ভালোবাসা প্রকাশ করুনঃ শারীরিক সম্পর্ক শুধু যৌন আনন্দের জন্য নয় বরং এটি ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম। সঙ্গীর প্রতি যত্নশীল মনোভাব থাকলে যৌন অভিজ্ঞতা আরও উপভোগ্য হয়। (AST)

স্ত্রী যদি নিয়মিত অর্গাজমে পৌঁছাতে না পারেন, তবে একে স্বাভাবিকভাবে নিন এবং তার সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলুন। প্রয়োজন হলে যৌন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। একে অপরের চাহিদা বুঝতে পারলেই সম্পর্ক আরও গভীর এবং পরিপূর্ণ হবে। (AST)

👉এই ছোট পরিবর্তনগুলোই অন্তরঙ্গ মুহূর্তকে অনেক বেশি তৃপ্তিময় করে তুলতে পারে। চেষ্টা করে দেখুন!

আপনার সঙ্গিনীকে অনন্ত যৌনসুখ দেওয়ার কেন্দ্র 'জি-স্পট', সেটা জানেন কি!প্রতিটি মিলনে পুরুষ নিজের অর্গাজম নিয়ে যতটা মত্ত থা...
18/04/2025

আপনার সঙ্গিনীকে অনন্ত যৌনসুখ দেওয়ার কেন্দ্র 'জি-স্পট', সেটা জানেন কি!

প্রতিটি মিলনে পুরুষ নিজের অর্গাজম নিয়ে যতটা মত্ত থাকেন তার সিকিভাগও চিন্তিত থাকেন না নারীর অর্গাজম নিয়ে। ফলে দিনের পর দিন মিলনে নারী রয়ে যান অতৃপ্ত। যার প্রভাব পড়ে দাম্পত্য জীবনে। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বিবাহবিচ্ছেদ সবই এসে পড়ে বাকি সব দিকে সুখী একটি দাম্পত্য জীবনে। অথচ দাম্পত্য জীবনে সঙ্গিনীকে যৌনসুখের ভেলায় ভাসানোর সুইচ পুরুষের হাতেই আছে। যার খবর অধিকাংশ পুরুষই রাখেন না। অথচ যেটির সন্ধান পেলে খুলে যাবে দাম্পত্য জীবনে স্বর্গের চাবিকাঠি। হ্যাঁ, নারীপুরুষের যৌনতায় পুরুষের তুরুপের তাস হতে পারে 'জি-স্পট'। নারী শরীরের গোপনতম স্থান। যা লুকিয়ে আছে আবিষ্কারের অপেক্ষায়। জি-স্পট কী! এটি আপনার সঙ্গিনীর যৌনজীবনের সেরা পিকনিক স্পট। আপনাকে সেখানে গিয়ে শুধু একবার পৌঁছতে হবে। গ্রাফেনবার্গ স্পট বা জি-স্পট হচ্ছে যোনিপথের একটি ক্ষুদ্র অংশবিশেষ। যা নারীর যোনিপথের ২-৩ ইঞ্চি ভেতরে, ওপর দিকে এবং মূত্রথলির নীচে অবস্থান করে। জি-স্পটের নামকরণ করা হয়েছে জার্মান স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ আর্নেস্ট গ্রাফেনবার্গ-এর নামানুসারে। [caption id="attachment_147568" align="aligncenter" width="400"

উনিশশো পঞ্চাশের দশকে প্রায় ৪০০ জন মহিলাকে নিয়ে গবেষণা করেন ডঃ আর্নেস্ট গ্রাফেনবার্গ। গবেষণায় তিনি দেখেন নারীদের যোনির ওই অঞ্চলটিতে পুরুষের আঙুলের স্পর্শে যোনি থেকে ফ্যাট-ফ্রি দুধের মত ৩-৫ মিলিলিটার যৌনরস নির্গত হয় যা স্বাদে মিষ্ট ও গন্ধ প্রস্রাবের মতো। একই ধরনের রস অর্গাজমের সময় পুরুষের প্রস্টেট থেকে নির্গত হয়। ডঃ গ্রাফেনবার্গ তাঁর গবেষণায় জানিয়েছিলেন রাত ১১ থেকে রাত ১ টা পর্যন্ত সবচেয়ে উত্তেজিত থাকে এই অঞ্চল। এই সময় যৌনাঙ্গের এই অংশটিকে সামান্য উদ্দীপিত করা হলে নারীর শরীরে চরম পুলকের অনুভূতি ও শিহরণ জাগে। কিন্তু এই জি-স্পট নারী যোনিপথের এমন জায়গায় অবস্থিত সেখানে পুরুষাঙ্গ ও জিভ পৌঁছতে পারে না, কিন্তু আঙুল পারে। লেখার সঙ্গে দেওয়া ছবিটি থেকে আপনাকেই খুঁজে বের করে নিতে হবে আপনার সঙ্গিনীর জি-স্পট। তবে জি-স্পটে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করা হলে এটি মুত্রথলীকে মুত্রত্যাগের জন্য উদ্দীপ্ত করে। তাই আপনার সঙ্গিনীর পরিপূর্ণ ও সফল যৌনতৃপ্তির জন্য জি-স্পট-এর ওপর সঠিকভাবে অর্থাৎ ধীরে ধীরে আলতো চাপ দেওয়া উচিত হবে। নিউরোলজিস্টরা এই অনন্য সুখানুভূতির কারণ বলেছেন। তাঁরা বলছেন এর জন্য দায়ী আমাদের মস্তিষ্কের সেরিব্রামের লিমবিক কর্টেক্স নামের অংশ। এই অংশটিকে বলা হয় মস্তিস্কের আনন্দ কেন্দ্র বা প্লেজার সেন্টার। জি-স্পটে পুরুষের আলতো স্পর্শ্ব সরাসরি নারীর মস্তিস্কের প্লেজার সেন্টারকে উদ্দীপিত করে এবং নারীকে অর্গাজম বা চরম পুলকের শিহরণ জাগানো অনুভূতি দেয়। তাই সঙ্গিনীকে তীব্র যৌনসুখ দিতে চাইলে উদ্যমী পুরুষদের জি-স্পট খুঁজে বের করতে হবে। ধৈর্য ধরে পরীক্ষা চালিয়ে যেতে হবে। একবার গুপ্তধন হাতে পেলে আপনাকে আর পায় কে! আপনার সঙ্গিনীর চোখে তখন আপনিই পৃথিবীর সেরা পুরুষ, আপনিই ক্যাসানোভা,আপনিই ডন জুয়ান।

কেন সহ-বাস এতো আনন্দপূর্ণ ও তৃপ্তিদায়ক হয়? পুরুষের লি-ঙ্গের মাথায় প্রায় ৪০০০ সংবেদনশীল স্নায়ু এসে মিলিত হয়েছে। অর্থাৎ লি...
14/04/2025

কেন সহ-বাস এতো আনন্দপূর্ণ ও তৃপ্তিদায়ক হয়?

পুরুষের লি-ঙ্গের মাথায় প্রায় ৪০০০ সংবেদনশীল স্নায়ু এসে মিলিত হয়েছে। অর্থাৎ লি-ঙ্গে স্নায়ু বেশি থাকার ফলে সহ-বাসের সময় অত্যাধিক শারীরিক সুখ একজন পুরুষ লাভ করে।

অপরদিকে নারীর যো-নির মাথায় মটরশুঁটির দানার মতো ছোট্ট একটি অংশ বের হয়ে থাকে যা ক্লাইটোরিস নামেও পরিচিত। এতে প্রায় ৮০০০ সংবেদনশীল স্নায়ু এসে মিলিত হয়েছে! অর্থাৎ পুরুষের থেকে দ্বিগুণ! পুরুষ যদি সহ-বাসের সময় ক্লাইটোরিস নিয়ে আঙ্গুল দিয়ে নাড়াচাড়া করতে পারে তাহলে নারী সর্বোচ্চ সুখ লাভ করতে সক্ষম হবে।

বস্তুত লি-ঙ্গ ও যো-নির মাথায় অসংখ্য স্নায়ুর এই মিলিত হওয়ার কারণেই সহ-বাস এতোটা মধুর হয়

পুরুষদের মধ্যে যৌন সক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণ কী?যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যাওয়া বা এ ধরনের কোন কাজে উৎসাহ না পাওয়ার মতো উপসর্গ অনে...
26/03/2025

পুরুষদের মধ্যে যৌন সক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণ কী?

যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যাওয়া বা এ ধরনের কোন কাজে উৎসাহ না পাওয়ার মতো উপসর্গ অনেকের মধ্যে থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর কারণ কী তা জানেন না অনেকেই।

স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন সংস্থা এবং চিকিৎসকরা বলছেন, এ ধরনের উপসর্গের পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে টেস্টোস্টেরন নামে এক ধরনের লিঙ্গ নির্ধারণী হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়া। একে বলা হয় টেস্টোস্টেরন ঘাটতি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, মায়ের পেটে থাকার সময় একটা শিশু পুরুষ নাকি নারী হবে-সেটাও এই হরমোনের প্রভাবে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তৈরি হতে থাকে।

“বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত এই হরমোন খুব বেশি মাত্রায় না বাড়লেও ছেলেদের মধ্যে এটির মাত্রা বেশি থাকে। বয়ঃসন্ধিকালের পর এই হরমোনের মাত্রাটা হঠাৎ করে বেড়ে যায় এবং সে একজন পরিপূর্ণ পুরুষ হওয়ার জন্য তৈরি হয়। ওর দাঁড়ি-গোঁফ তৈরি হওয়া থেকে শুরু করে যৌনাঙ্গের পরিপক্বতা, জননাঙ্গের পরিপূর্ণ আকার, ঘাম, মানসিকভাবে পুরুষালি আচরণ- টোটালটাই এই হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তখন।”

মি. সেলিম বলেন, প্রজনন ও যৌন ক্ষমতা পুরোপুরিই এই হরমোনের উপর নির্ভরশীল।

“আমরা সহজ করে বলে থাকি, একটা পুরুষ দাঁড়িয়ে থাকে টেস্টোস্টেরন লেভেলের উপরে। এই লেভেলে ঘাটতি হলে বা বেশি হলে সমস্যা হতে পারে। তবে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। কারো কারো স্বাভাবিক আছে, কারো কারো কম আছে, এই সম্ভাবনাই বেশি।”

টেস্টোস্টেরন হচ্ছে এক ধরনের হরমোন যা পুরুষের মধ্যে পুরুষালি বৈশিষ্ট্যের বিকাশ ঘটায়। এ কারণে একে অ্যান্ড্রোজেন বা সেক্স হরমোন বা লিঙ্গ নির্ধারণী হরমোনও বলা হয়। এই হরমোন অণ্ডকোষে তৈরি হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের টুইন্সবার্গ ফ্যামিলি হেলথ এন্ড সার্জারি সেন্টারের এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট কেভিন এম প্যান্টালোন বলেন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার মধ্যেই টেস্টোস্টেরন হরমোন থাকে।

তবে পুরুষের মধ্যে এই হরমোনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেশি থাকে। যার কারণে পুরুষের প্রজনন কার্যক্রম বিকাশ লাভ করে ও যৌনাঙ্গ গঠিত হয়।

হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অধীনে হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেস্টোস্টেরনের এর ফলে হাড় এবং মাংস পেশীর গঠন প্রভাবিত হয়। ছেলেদের হাড় ও মাংসপেশীর ঘনত্ব বাড়ে, রক্তে লোহিত কণিকার উৎপাদন বাড়ে, কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন হয়ে তা ভারী হয়, মুখে দাড়ি হয়, শরীরের অন্যান্য অংশ লোম বাড়ে, যৌনাঙ্গের বৃদ্ধি ঘটে। একই সাথে যৌন ক্রিয়া এবং প্রজনন সক্ষমতা জাগ্রত হয়।

অনেক কিশোরদের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা সর্বোচ্চ হয় ১৭ বছর বয়সে এবং পরবর্তী দুই বা তিন দশক এর মাত্রা বেশিই থাকে। গড়ে একজন স্বাস্থ্যবান পুরুষ দিনে ছয় মিলিগ্রামের মতো টেস্টোস্টেরন উৎপাদন করে।

টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি কী?
এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট কেভিন এম প্যান্টালোন বলেন, টেস্টোস্টেরনের ঘাটতিকে মেল হাইপোগোনাডিজম বা লো-টি(Low-T) ও বলা হয়। এটা এমন একটা অবস্থা যখন অণ্ডকোষ পর্যাপ্ত টেস্টোস্টেরন উৎপাদন করতে পারে না।

তিনি বলেন, বয়সের সাথে সাথে এই হরমোন কমে যাওয়াটা স্বাভাবিক। ত্রিশ বছর বয়সের পর সাধারণত প্রতিবছর এক শতাংশ হারে এটি কমতে থাকে। তবে যখন এই কমতির হার বয়স ছাড়াও অন্যান্য নানা বিষয় দ্বারা প্রভাবিত হয়, তখনই এটিকে ঘাটতি হিসেবে ধরা হয়।

মিঃ প্যান্টালোনের মতে, প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের মধ্যে যদি ২৫০ ন্যানোগ্রাম পার ডেসিলিটারের কম টেস্টোস্টেরন থাকে তাহলে বলতে হবে যে, তার এই হরমোনের ঘাটতি রয়েছে।

হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অধীনে হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাভাবিক পুরুষদের মধ্যে বিভিন্ন মাত্রায় টেস্টোস্টেরন থাকার কথা জানা যায়। প্রতি ডেসিলিটারে ২৭০ থেকে শুরু করে ১০৭০ ন্যানোগ্রাম পর্যন্ত টেস্টোস্টেরন থাকতে পারে।

প্রতি ২৪ ঘণ্টায় টেস্টোস্টেরেনের মাত্রা উঠানামা করে। সকাল আটটায় এই হরমোনের উৎপাদন সবচেয়ে বেশি থাকে। আর সবচেয়ে কম থাকে রাত ৯টায়।

আমেরিকান ইউরোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, স্বাভাবিক পুরুষদের জন্য কমপক্ষে ৩০০ ন্যানোগ্রাম পার ডেসিলিটার থাকাটা স্বাভাবিক। এর চেয়ে কম যদি কারো টেস্টোস্টেরন থাকে তাহলে তার চিকিৎসা নেয়া উচিত।

লক্ষণ কী?
ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, টেস্টোস্টেরন কমে যাওয়ার প্রথম লক্ষণ হচ্ছে লিবিডোর মাত্রা কমে যাবে এবং এর কারণে যৌনাকাঙ্ক্ষা কমে যাবে। এটা ব্যক্তি নিজে বা তার সঙ্গী বুঝতে পারবে।

পুরুষের পেশীর শক্তি কমে যাবে। ফলে যে আগের মতো কাজ করতে পারবে না।

খাওয়ার পর কাজ করার আগ্রহ কমে যাওয়া।

অনেকের চামড়া ঝুলে যেতে পারে। তবে এটা টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি মারাত্মক হলে দেখা দেয়। কারণ পেশীর ঘনত্ব নির্ভর করে টেস্টোস্টেরনের কার্যক্রমের উপর। কমে গেলে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

পুরুষদের বিকৃত যৌন আচরণের অন্যতম কারণ হচ্ছে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি।

“তার হয়তো কোন কোন সময় আকাঙ্ক্ষা হয়, কিন্তু টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির কারণে পারফর্মেন্স খুব কমে গেছে, তখন সে পার্ভার্টেড কিছু অ্যাক্টিভিটির দিকে ধাবিত হয়। এ সম্পর্কে বলতে গেলে বলা যায়, রাস্তা-ঘাটে যে হয়রানিগুলো হচ্ছে, বাসে, ট্রেনে, যেকোন কিছু হতে পারে।”

তিনি বলেন, যাদের ক্ষেত্রে হরমোনের ঘাটতি খুব দ্রুত হয় তারা বুঝতে পেরে চিকিৎসা নিয়ে থাকে। কিন্তু যাদের মধ্যে ধীরে ধীরে হয়, সে এর সাথে খাপ-খাইয়ে নিতে নিতে বিকৃত যৌন আচরণের প্রতি আকৃষ্ট হয়।

এই হরমোনের ঘাটতির কারণে বন্ধ্যাত্বও দেখা দিতে পারে।

মি. সেলিম বলেন, “বাংলাদেশে যারা চিকিৎসা নিতে আসে তারা নির্দিষ্ট রোগের কারণে আসে। এর মধ্যে একটা হচ্ছে কেউ সন্তান নিতে ব্যর্থ হচ্ছেন, কারো কারো যৌন সক্ষমতা নিজেই বুঝতে পেরেছেন বা পার্টনার বুঝতে পেরেছে যে এটা স্বাভাবিক না, কেউ কেউ টগবগে তরুণ হলেও তার নিজেকে সেভাবে ভাবতে কষ্ট হচ্ছে তার দৈহিক আকৃতি ও সক্ষমতার জন্য, দুর্বলতার জন্য আমাদের কাছে আসে।”

যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক অ্যাকাডেমিক মেডিকেল সেন্টার ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, কম টেস্টোস্টেরনের যেসব উপসর্গ থাকে তার মধ্যে রয়েছে:

যৌন তাড়না কমে যাওয়া
যৌনাঙ্গ উত্থানে অক্ষমতা
যৌন মিলনে অক্ষমতা
অণ্ডকোষ সঙ্কুচিত হওয়া
শুক্রাণুর উৎপাদন কমে যাওয়া
বন্ধ্যাত্ব
এছাড়াও ঘুমে সমস্যা, মনোযোগে সমস্যা, কাজে উৎসাহ না পাওয়া, মাংস পেশী ও শক্তি কমে যাওয়া, হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া, পুরুষদের স্তন গঠিত হওয়া, বিষণ্ণতা, ক্লান্তি ও অবসাদ।

টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির কারণ কী?
এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, ৮৫-৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে অণ্ডকোষের কোন ধরনের ক্ষতি হলে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি দেখা দেয়।

বাংলাদেশে সবচেয়ে স্বাভাবিক কারণ হচ্ছে, বয়ঃসন্ধিকালে বা এর আশেপাশে সময়ে যদি কারো মামস হয়ে থাকে তাহলে তার মামস অরক্রাইটিস হয়। এটি গলার পাশাপাশি অণ্ডকোষকেও আক্রান্ত করে। এর ফলে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি তৈরি হওয়ার পথ তৈরি হয়। কারণ টেস্টোস্টেরন উৎপাদিত হয় এখান থেকেই।

তবে বাংলাদেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীরা এটা খেয়াল করে না।

অতিরিক্ত গরমে দীর্ঘক্ষণ থাকলেও টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন কমে যেতে পারে। কারণ এই হরমোনের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে হলে দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় এক থেকে দেড় ডিগ্রি কম রাখতে হয়।

ফলে অতিরিক্ত গরম জায়গায় বাস করলে, কাজ করলে, বাসের ইঞ্জিনের উপর বসে থাকলে শারীরিক তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে যা এই হরমোনের ক্ষতি করে।

পরিবেশে কিছু ক্ষতিকর উপাদানের কারণে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ঘাটতিকে প্রশমিত করতে পারে।

রক্তে শর্করার পরিমাণ যাদের বেশি বা যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।

মি. সেলিম বলেন, “বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটি ডায়াবেটিস রোগী এবং এদের ৯০ শতাংশের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নেই। এদের সবাই পুরুষ না হলেও যারা পুরুষ তাদের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি থাকে। এদের মধ্যে ইরেকটাল ডিসফাংশনও বেশি।”

আরেকটি কারণ হচ্ছে স্থূলতা। দেহের অতিরিক্ত মেদ সরাসরি টেস্টোস্টেরনের ঘাটতিতে অবদান রাখে।

এছাড়া যাদের বিভিন্ন ধরনের রেডিয়েশনে থাকতে হয় বা চিকিৎসাজনিত কারণে কেমো থেরাপি দিতে হয়, তাদের টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি দেখা দেয়।

আঘাতজনিত কারণ বা দুর্ঘটনার কারণে যদি কারো অণ্ডকোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, জীনগত সমস্যা থাকে, তাহলে এই হরমোনের ঘাটতি থাকতে পারে।

কারো যদি জন্মগতভাবে অণ্ডকোষ না থাকে বা সেটি যদি পরিপূর্ণ গঠিত না থাকে, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থাকে, যৌন সংক্রমণজনিত রোগ থাকে, কোন ভাইরাসের সংক্রমণ থাকে, বা টিউমার থাকে তাহলেও টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন কমে যেতে পারে।

এছাড়া মস্তিষ্কে আঘাত পেলে, লিভার সিরোসিস, কিডনির সংক্রমণ, অতিরিক্ত মদ্যপান, ঘুমে সমস্যা বা স্লিপ অ্যাপনিয়া এবং মানসিক রোগের চিকিৎসায় ওষুধ সেবন করলেও এই হরমোনের ঘাটতি তৈরি হতে পারে।

ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের এক গবেষণায় বলা হয়, পুরুষদের মধ্যে যারা স্থূলকায় তাদের ৩০ শতাংশের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কম থাকে। আর স্বাভাবিক ওজনের পুরুষদের মধ্যে এই হার মাত্র ৬ শতাংশ। আর টাইপ-২ ডায়াবেটিস রয়েছে এমন পুরুষদের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি থাকে ২৫ শতাংশের মধ্যে। স্বাভাবিক পুরুষদের মধ্যে এই হার ১৩ শতাংশ।

কীভাবে প্রতিরোধ সম্ভব?
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, যদি জীনগত কারণে, অণ্ডকোষে ক্ষতির কারণে অথবা হাইপোথ্যালামাস বা পিটুইটারি গ্রন্থিতে আঘাতের কারণে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যায়, তাহলে তার কোন চিকিৎসা করা সম্ভব নয়।

তবে কিছু জীবনযাত্রায় কিছু অভ্যাস পরিবর্তন বা সংযোজন করে টেসটোসটেরনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা যায়। এগুলো হচ্ছে,

স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
নিয়মিত ব্যায়াম করা
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
অতিরিক্ত পরিমাণ অ্যালকোহল পান ও মাদক থেকে দূরে থাকা
এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি ঠেকাতে হলে দৈহিক ওজন অবশ্যই কমাতে হবে।

দ্বিতীয়ত, অতিরিক্ত গরম ও রেডিয়েশন থেকে দূরে থাকতে হবে। রেডিয়েশনে কাজ করতে হলে সুরক্ষা পদক্ষেপগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে যাতে ঝুঁকি কমে যায়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

মামস হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে যাতে অণ্ডকোষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

কীটনাশকমুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সর্বোপরি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।

চিকিৎসা কী?
টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি কমানোর আসলে কোন একক চিকিৎসা নেই। কারণ টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির চিকিৎসা আসলে উপসর্গ ভিত্তিক। এর মাত্রা ভিত্তিক নয়।

তবে হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির মাধ্যমে কিছু উপসর্গ কমিয়ে আনা যায়। যেমন যৌন তাড়না, বিষণ্নতার সাধারণ উপসর্গ এবং কাজে উৎসাহে ঘাটতির মতো উপসর্গ কমে আসতে পারে।

হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি বিভিন্ন ধরনের হয় এবং এর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। তাই নিয়মিত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।

10/03/2025
08/03/2025

যৌন দুর্বলতার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার ঔষধ সমুহের লক্ষণভিত্তিক আলোচনা

Origanum marjorana(অরিগেনাম)
ওরিগ্যানাম ঔষধটি পুরুষ এবং নারীদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ।তবে এটি নিম্নশক্তিতে খাওয়া উচিত কেননা উচ্চশক্তিতে কোন ফল পাওয়া যায় না।

Moschus Moschiferus (মস্কাস)
ডায়াবেটিস রোগীদের ধ্বজভঙ্গে এটি ভালো কাজ করে। এটি ক্ষুদ্রাকৃতি হয়ে যাওয়া পুরুষাঙ্গকে পূর্বের আকৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

kali Bromatum (কেলি ব্রোম)
বিষন্নতা জনিত কারণে যৌন দুর্বলতায় এটি প্রযোজ্য। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণগুলি হলো স্মরণশক্তির দুর্বলতা,স্মায়বিক দুর্লতা,হাত দুটি সর্বদাই ব্যস্ত থাকে,মৃগী ইত্যাদি লক্ষণ সমষ্টিসহ যৌণ দর্বলতার রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ।

Staphisagria (স্ট্যাফিসেগ্রিয়া)
পুরুষদের যৌন দুর্বলতা দূর করার ক্ষেত্রে স্টেফিসেগ্রিয়া একটি শ্রেষ্ট ঔষধ।বিশেষত অতিরিক্ত যৌনকর্ম করার কারণে বা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে যাদের ধ্বজভঙ্গ হয়ে গেছে,তাদের ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য।এটি Q, ৩, ৬, ৩০, ২০০ ইত্যাদি যে-কোন শক্তিতে খেতে পারেন। তবে যত নিম্নশক্তিতে খাওয়া যায় তত উত্তম।রোজ পাঁচ ফোটা করে সকাল-সন্ধ্যা দু’বার।বিয়ের প্রথম কিছুদিনে মেয়েদের প্রস্রাব সম্পর্কিত অথবা যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত কোন সমস্যা হলে নিশ্চিন্তে স্টেফিসেগ্রিয়া নামক ঔষধটি খেতে পারেন। কারণ স্টেফিসেগ্রিয়া একই সাথে যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত রোগে এবং আঘাতজনিত রোগে সমান কাযর্কর।

Salix nigra (সেলিক্স নাই)
মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম,হস্তমৈথুন,স্বপ্নদোষ প্রভৃতি কারণে সৃষ্ট পুরুষদের যৌনকর্মে দুর্বলতা বা অক্ষমতার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ হলো স্যালিক্স নাইগ্রা।এসব কারণে যাদের ওজন কমে গেছে,এই ঔষধ একই সাথে তাদের ওজনও বাড়িয়ে দিয়ে থাকে যথেষ্ট পরিমাণে।পাশাপাশি অবিবাহিত যুবক-যুবতী বা যাদের স্বামী-স্ত্রী বিদেশে আছেন অথবা মারা গেছেন,এই ঔষধ তাদের মাত্রাতিরিক্ত উত্তেজনা কমিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে সাহায্য করে।এটি মাদার টিংচার (Q) শক্তিতে ২০ থেকে ৫০ ফোটা করে রোজ দুবার করে খেতে পারেন।এই ঔষধটি যাদের যৌনশক্তি স্বাভাবিকের চেয়ে কম তাদেরটা বাড়িয়ে স্বাভাবিক করবে এবং যাদেরটা স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত বেশী তাদেরটা কমিয়ে স্বাভাবিক করবে।

Sabal serrulata (সেবাল সেরুনেটা)
সেবাল সেরুলেটা পুরুষদের যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে এবং পাশাপাশি হজমশক্তি,ঘুম,শারীরিক শক্তি,ওজন (কম থাকলে) ইত্যাদিও বৃদ্ধি পায়।এটি মেয়েদেরও যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে থাকে এবং ক্ষুদ্রাকৃতির স্তনবিশিষ্ট মেয়েদের স্তনের আকৃতি বৃদ্ধি করে থাকে।বয়ষ্ক পুরুষদের প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধিজনিত যে-কোন সমস্যা এবং ব্রঙ্কাইটিস নির্মূল করতে পারে।এটি মাদার টিংচার (Q) শক্তিতে ২০ থেকে ৫০ ফোটা করে রোজ দুবার করে খেতে পারেন।

Lycopodium clavatum (লাইকোপোডিয়াম ক্লেভেটাম)
লাইকোপোডিয়াম ধ্বজভঙ্গের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ।মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের কারণে ধ্বজভঙ্গ হলে এটি খেতে পারেন।লাইকোপোডিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো এদের পেটে প্রচুর গ্যাস হয়,এদের ব্রেন খুব ভালো কিন্তু স্বাস্থ্য খুব খারাপ,এদের প্রস্রাব অথবা পাকস্থলী সংক্রান্ত কোন না কোন সমস্যা থাকবেই,অকাল বার্ধক্য, সকাল বেলা দুর্বলতা ইত্যাদি লক্ষণ সমষ্টিতে লাইকোপোডিয়াম উপযোগী।

Calcarea Carbonica (ক্যালকেরিয়া কার্ব)
ক্যালকেরিয়া কার্ব যৌনশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ।বিশেষত মোটা,থলথলে স্বাস্থ্যের অধিকারী লোকদের বেলায় এটি ভালো কাজ করে।এটি ৩০ শক্তিতে ৫ ফোটা করে রোজ সকালে একবার করে খেতে পারেন।

Natrum carbonicum (নেট্রাম কার্ব)
যে-সব নারীদের পুরুষরা আলিঙ্গন করলেই বীযর্পাত হয়ে যায় অর্থাৎ অল্পতেই তাদের তৃপ্তি ঘটে যায় এবং পরে আর সঙ্গমে আগ্রহ থাকে না, তাদের জন্য উৎকৃষ্ট ঔষধ হলো নেট্রাম কার্ব।এই কারণে যদি তাদের সন্তানাদি না হয় অর্থাৎ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়,নেট্রাম কার্বে সেই বন্ধ্যাত্বও সেরে যাবে।

Nux Vomica (নাক্স ভুমিকা)
নাক্স ভমিকা ঔষধটি যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ বিশেষত যারা শীতকাতর,যাদের পেটের সমস্যা বেশী হয়, সারাক্ষণ শুয়ে-বসে থাকে,শারীরিক পরিশ্রম কম করে,মানসিক পরিশ্রম বেশী করে ইত্যাদি নাক্স ভুমিকার নির্দেশক লক্ষণ সমষিতে প্রয়োগ করলে যৌণ সমস্যার সমাধান হবে।

Acid phos (এসিড ফস)
সাধারণত টাইফয়েড বা এরকম কোন মারাত্মক রোগের ভোগার কারণে,মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ ইত্যাদি কারণে যৌন ক্ষমতা কমে গেলে অথবা একেবারে নষ্ট হয়ে গেলে এবং সাথে অন্য আরো যে-কোন সমস্যা হউক না কেন,এসিড ফস আপনাকে সব ফিরিয়ে দিবে।এসিড ফস যৌণ দুর্বলতা আরোগ্যে একটি উপযুক্ত ঔষধ।

Selenium (সিলেনিয়াম)
যৌন শক্তির দুর্বলতা, দ্রুত বীর্য নির্গত হওয়া, স্বপ্নদোষ, মাথার চুল পড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় সেলিনিয়াম একটি প্রথম শ্রেণীর ঔষধ। বিশেষত যাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা আছে,তাদের ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে।

Aesculus Hip (ইস্কুলাস হিপ)
প্রত্যেকবার পায়খানা ও প্রস্রাবের পর প্রস্টেট গ্রন্থি থেকে রস নিঃসরণ, ঘুমের মধ্যে বীর্যস্খলন। জননেন্দ্রিয়ের নানাবিধ সমস্যায় এটি প্রয়োজনীয় ঔষধ।

Agnus castus (আগ্নাস ক্যাস্ট )
যৌন শক্তির হ্রাস।লিঙ্গ ক্ষুদ্র ও শিথিলএমন ঢিলা যে যৌন আনন্দের উত্তেজনা প্রয়োগেও লিঙ্গোত্থান হয় না। নগণ্য লিঙ্গোত্থান যৌন ইচ্ছা ছাড়াই।অণ্ডকোষ ঠাণ্ডা, স্ফীত, শক্ত এবং ব্যথাযুক্ত। ধ্বজভঙ্গ তার সাথে প্রমেহ বিশেষ করে যাদের ঘন ঘন গনোরিয়া হয়।প্রমেহ, যৌন ইচ্ছা ব্যাতিরেকে লিঙ্গোত্থান। মলত্যাগের সময় যখন কোঁত দেয় তখন প্রস্টেট গ্রন্থির রস নির্গমন, প্রস্রাবত্যাগের সময়ও যদি চাপ দেয় তখন অনুরূপ রস ক্ষরণ হয়। রেতঃরজ্জুতে একটি টান টান ভাব থাকে। দুর্বল উত্তেজনা ও মূত্রাশয় গ্রন্থি থেকে রসক্ষরণ, এর ফলে কৃত্রিম উপায়ে রেতঃপাত, যৌনাঙ্গে চুলকানি। মূত্রনালি হতে হরিদ্রা বর্ণের স্রাব। যৌন ইচ্ছা প্রচাপিত সহ গনোরিয়া।

Aleo (এলো)
যৌন ইচ্ছা বর্ধিত,ঘুম হইতে জাগ্রত হওয়ার পর, আহারের পর, সন্ধ্যায়।সকালে ও প্রস্রাবত্যাগের পর লিঙ্গোত্থান। দিবা নিদ্রাকালে অনৈচ্ছিক বীর্যপাত, সকালের দিকে যৌন উত্তেজনা, অস্থির নিদ্রা।লিঙ্গ সংকুচিত হয়ে যায়, এবং অণ্ডকোষ শীতল রোগীদের জন্য এলো উপযোগী।

Alumen(এলুমেন)
রাতে আহারের সময় লিঙ্গোদ্রেক। ঘন ঘন বীর্যস্খলন।গনোরিয়া, প্রমেহ।পেটের মধ্য লাইন থেকে ব্যাথা তীর বেগে ধাবিত হয়ে,সুতার মতো হয়ে পুংলিঙ্গের নিম্নদিকে যায়। পুংলিঙ্গের বামপাশে কাটার মতো ব্যথা এই লক্ষণ সমষ্টিতে এলুমেন উপযোগী।

Alumina (এলুমিনা)
যৌন আকাঙ্খার বৃদ্ধি অথবা প্রচাপিত।ঘন ঘন রেতঃপাত ও নৈশকালীন লিঙ্গোত্থান। লিঙ্গমুণ্ডের পশ্চাতে অধিক নিঃসরণ। লিঙ্গাগ্র চামড়া থেকে ছাল উঠা।রেতঃরজ্জুতে সংকোচক ব্যাথা তার সাথে অণ্ডকোষে সংকোচন। কাঠিন্য ও ব্যাথাপূর্ণ অনুভব একটি অণ্ডকোষ। কষ্টকর মলত্যাগের সময় প্রস্টেট গ্রন্থি থেকে রস নিঃসরণ।সঙ্গমের সময় এবং লিঙ্গোত্থান চলাকালে পেরিনিয়ামে ব্যথা। রতিক্রিয়ার পর কষ্টের বৃদ্ধি। সঙ্গমের সময় ও লিঙ্গোত্থান সময়ে পেরিনিয়ামে ঘাম।এই লক্ষনে এলুমিনা উপযোগী।

Ambra grisea (এম্ব্রা গ্রেসিয়া)
বাহিরের কোন কারণ ছাড়াই যৌনাঙ্গে ইন্দ্রিয় পরিতৃপ্তিকর উত্তেজনা ও চুলকানি। রেতঃরজ্জু অঞ্চলে ও ছোট থলিতে জ্বালা।সকালে লিঙ্গোত্থান, তার সাথে যৌনাঙ্গ অসাড়।দুই উরুর মধ্যবর্তী স্থানে কাঁচা ক্ষত। ভীষণ লিঙ্গোদ্রেক সকালে কিন্তু কামোন্মত্ততা সূচক কোন অনুভুতি নেই, সেইসাথে অঙ্গে অবশতা। এই লক্ষণ সমষ্টিতে যৌণ দর্বলতা দুর করতে প্রয়োজনীয় ঔষধ।

Ammonium carb (এমন কার্ব)
অত্যধিক যৌন ইচ্ছা, কামবিষয়ক চিন্তা ছাড়া অযথা লিঙ্গোত্থান অথবা যৌন ইচ্ছার অভাব অন্য লিঙ্গের প্রতি বিমুখতা।বারবার কৃত্রিম উপায়ে রেতঃপাত, এবং অণ্ডকোষের মধ্যে সংকোচন, হেঁচড়ানো ও ভারি অনুভুতি। কষ্টকর মলত্যাগের সময় প্রস্টেট গ্রন্থি থেকে রস নিঃসরণ এমন কার্ব উপযোগী।

Anacardium ori (এনাকার্ডিয়াম ওরিয়েন্টাল)
দিনে উত্তেজনা ছাড়াই লিঙ্গোত্থান।কৃত্রিম উপায়ে রেতঃপাত। অণ্ডকোষে সুখকর চুলকানি। যৌন ইচ্ছার বৃদ্ধি অথবা উত্তেজনা অভাব ও সঙ্গমের সময় সুখানুভূতির অভাব।প্রস্রাব ও মলত্যাগের পর প্রস্টেট গ্রন্থি থেকে রস নিঃসরণ। কঠিন মলত্যাগের সময় বীর্য নিঃসরণ।

Anagallis arvensis (এনাগেলিস আর্ভেনসিস)
লিঙ্গোত্থানের পূর্বে ও সময়ে মুত্রনালিতে জ্বালা সঙ্গমের সময় উপশম। ডান অণ্ডকোষ ও রেতঃরজ্জুতে টেনেধরা ব্যথা।রেতঃরজ্জুতে ছিন্নকর ব্যথা।সিম্ফাইসিস পিউবিসে শিহরণ।

Conium ( কোনিয়াম )
স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অধিক কিন্তু অক্ষম।সহবাস কালে সোহাগ আলিঙ্গনের সময় লিঙ্গ শিথিল হইয়া পড়ে।সেবন – শক্তি ২০০, ১ এম বা আরো উচ্চ শক্তি,২-৪ মাত্রাই উপকার হয়।

Titanium ( টিটেনিয়াম )
সঙ্গমে অতি শীঘ্রই বীর্যপাত ও বীর্যপাতলা।টিটানিয়াম যৌণ দুর্বলতা দুর করতে উপযোগী।সেবন ঃ- ৩x প্রত্যহ -২ টি করে ট্যাবলেট দিনে ৩ বার সেব্য।

Nuphar Lut (নুপার লুটিয়া)
কাম উত্তেজনার কথায় কিংবা উত্তেজনায় অসাড়ে বীর্যপাতও যৌণ দুর্বলতা নিরাময়ে প্রয়োজনীয় ঔষধ সেবন ঃ- নিন্ম শক্তি ( মাদার ) ১০ ফোটা করে সামান্য পানির সঙ্গে প্রত্যহ ৩ বার সেব্য।

Turnera (টার্নেরা)
শুক্র বর্ধক ওষুধ।রোগীর যৌণ দুর্বলতা চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ঔষধ।সেবন ঃ- নিন্ম শক্তি ( মাদার ) ১০ ফোটা করে সামান্য পানির সঙ্গে প্রত্যহ ৩ বার সেব্য।

Avena Sat (এভেনা স্যাট)
হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ বা অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস জনিত শারীরিক দুর্বলতার জন্য উপকারী। সেবন – নিন্ম শক্তি ( মাদার ) ১০ ফোটা করে সামান্য পানির সঙ্গে প্রত্যহ ৩ বার সেব্য।

Medorrhinum (মেডোরিনাম)
গনরিয়া রোগে আক্রান্ত হইয়া ধজভঙ্গ পীড়ায় প্রথমে এ ওষুধ পরে লক্ষ অনুযায়ী অন্য ওষুধ সেবন করিবে।

Phosphorus (ফসফরাস)
সুন্দর লম্বা ছিপছিপে গড়ন,চালাক সমান্য কারনে মন খারাপ। হাঁটতে সামান্য নুয়ে চলে এই ধাতুর রোগী হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ বা অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস বা অসাড়ে শুক্রক্ষরন ইত্যাদি কারনে ধ্বজভঙ্গ। সেবন ঃ- ২০০ শক্তি বা ১ এম সকাল বিকাল ২ মাত্রা সেব্য।

যৌনরোগের বায়োকেমিক ঔষধসমুহ:
Natrum Mur (নেট্রাম মিউর)

স্ত্রী লোক দেখিলে কথা বলিলে এমন কি মনে মনে ভাবিলেও অসাড়ে বীর্যপাত হয়ে যায়।সেবন ঃ- 12x বা আরো উচ্চ শক্তি ৪ বড়ি করে দিনে ২ বার সেব্য।
Kali Phos (কেলি ফস)

অতিরিক্ত বীর্যক্ষয় জনিত অনিদ্রা, কাজ কর্মে অনিচ্ছা, জননেন্দ্রিয় দুর্বলতা সেবন ঃ12x বা আরো উচ্চ শক্তি ৪ বড়ি করে দিনে ২ বার।
Silicea (সাইলেসিয়া)

স্বপ্নদোষ,হস্তমৈথুন, অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস ইত্যাদি কুফল এর জন্য উপযোগী।সেবন ঃ- 12x বা আরো উচ্চ শক্তি ৪ বড়ি করে দিনে ২ বার সেব্য।
যৌণ সমস্যার জন্য হোমিওপ্যাথ একমাত্র চিকিৎসা,দ্রুত কোনো ভালো রেজিঃ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরার্মশ নিন।হোমিওপ্যাথিক ঔষধ নিয়মিত সেবনে যৌন দুর্বলতা নিরাময় হয়।

যৌন সমস্যায় Germany Homeo চিকিৎসা নিন

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when যৌন সমস্যায় Germany Homeo চিকিৎসা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to যৌন সমস্যায় Germany Homeo চিকিৎসা:

Share