08/10/2024
সেরোটোনিন কে বলা হয় সুখের হরমোন,
তথা সেরোটোনিন কে Happy chemical বলা হয়।
এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি নিউরোট্রান্সমিটার , ইহা Intestine এ তৈরি হয়,
(from enterochromaffin (EC) cells in gut)
আমরা যেই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাই, তার মাঝে একটি Essential Amino Acid রয়েছে ।
ডিম, মাংস, মাছ, ডাল, ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমান Trytophan পাওয়া যায়,, প্রোটিন খাবার গুলি intestine এ গিয়ে Breakdown হয়ে Tryptophan তৈরী করে। এই Tryptophan আবার . ( ) ইত্যাদির সহায়তায় শেরতনিন তৈরি করে,, শরীরের মোট serotonin এর ৯০% intestin এ তৈরী হয়।
Serotonin এর কাজ হচ্ছে
১. কন্ট্রোল করা। Serotonin, Gut wall এর Contraction এর মাধ্যমে স্বাভাবিক পেরিস্টলসিস
বজায় রেখে Bowel habit স্বাভাবিক রাখে।।
২. Circulatory serotonin এর কাজ হচ্ছে
Nerve signal periphery থেকে Central এ Transmisson করা। হাইপোথ্যালামাস কে Stimulate করার মাধ্যমে সেরোটোনিন আমাদের শরীরে Mood Stablizer কেমিক্যাল হিসাবে কাজ করে, এই সেরোটোনিন আমাদের মানসিক প্রশান্তির নিয়ন্ত্রক,
আবেগ অনুভূতি নিয়ন্ত্রন করার মাধ্যমে যেই কোনো দুঃখ কষ্টের সময় ভারসাম্যপূর্ণ মানসিক অবস্থা বজায় রাখতে সেরোটোনিন ডোপামিনের সাথে মিলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শরীরে প্রতিটি ফরেন পার্টিকেলের বিরুদ্ধে যেভাবে এক প্রকার ডিফেন্স মেকানিজম চালু রয়েছে, যেমন Immuunoglobuline সমূহ ডিফেন্স মেকানিজম হিসাবে কাজ করে, ঠিক তদ্রুপ আমাদের মানসিক অবস্থাকে বাহ্যিক ডিপ্রেশন, হতাশা, ইত্যাদি থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য ডিফেন্স মেকানিজম বজায় রাখার জন্য ভূমিকা রাখে সেরোটোনিন।
Circulatory সেরোটোনিন লেভেল কমে গেলে Digestion capacity কমে যাবে, কারণ serotonin এর প্রধান কাজ সমূহের একটি হচ্ছে Digestion এ হেল্প করা, তাই সেরোটোনিন এর পরিমান কমে গেলে
digestion কমে যাবে, এবং Irritable bowel syndrom দেখা দিবে। এতে করে ডায়েরিয়া, কোষ্টকাঠিন্ন, পেটে ব্যাথা, ইত্যাদি হতে পারে। তাই আই বি এস এর চিকিৎসায় Anti depressant medicine ব্যবহার হয়, যা মূলত circulatory serotonin বৃদ্ধি করে,
স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল এর প্রভাবে সেরোটোনিন সিনথেসিস এর পরিমান কমে যায়, তাই তখন মানসিক অবসাদ, বিষন্নতা, ইত্যাদি দেখা যায়। তাই ডিপ্রেসিভ
পেশেন্টদের কিংবা Mood disorder এর
পেশেন্টদের ট্রিটমেন্টে SSRI দেওয়া হয়, যা Circulatory serotonin এর পরিমান বৃদ্ধি করে।
যেহেতু সেরোটোনিন স্বাভাবিক পরিমান থাকলে মানসিক সুখানুভূতি একটি ভারসাম্য অবস্থায় থাকে,
সেইজন্যই এইটাকে #হ্যাপী_কেমিকেল বলা হয়।
আর যেহেতু এইটা Digestion এ হেল্প করে, আর ডিপ্রেশনের সময় যেহেতু সেরোটোনিন এর পরিমান কমে যায়, তাই ডিপ্রেশন এর সময় Digestion ভালভাবে হয়না, bowel habit পরিবর্তন হয়ে যায়, ডায়েরিয়া, কোষ্টকাঠিন্ন দেখা দেয়।
এইকারণের যারা ডিপ্রেশনে থাকে, তাদের যেহেতু সেরোটোনিন লেভেল কম, তাই তাদের Associate symptoms হিসাবে Anorexia, Diarrhoea, constipation দেখা দেয়।।
সেরোটোনিন এর আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে, পর্যাপ্ত পরিমান সেরোটোনিন স্বাভাবিক Sleeping pattern নিয়ন্ত্রন করে। আর সকাল বেলায় জাগ্রত হতে হেল্প করে। আর সেরোটোনিন লেভেল কমে গেলে insomnia ডেভেলপ করে, আর সকাল বেলায় জাগ্রত
হতে সমস্যা হয়, ডিপ্রেশনের পেশেন্ট দের যেহেতু সেরোটোনিন এর পরিমাণ কম থাকে, তাই তাদের রাত্রে ঘুম হয়না, insomnia থাকে, আর সকাল বেলায়
তাদের ঘুম বেড়ে যায়। তাই insomnia পেশেন্টদের
ম্যানেজমেন্ট এর জন্য SSRI দেওয়া হয়।
সেরোটোনিন লেভেল কমে গেলে SSRI drugs দেওয়া হয়, তবে SSRI এর কারণে serotonin level স্বাভাবিক এর চেয়ে বেড়ে যেতে পারে, তখন আবার
Serotonine syndrom দেখা দিতে পারে।। তাই
SSRI প্রেসক্রাইভ করার সময় পেশেন্ট এর কন্ডিশন দেখে নিবে, সেরোটোনিন সিন্ড্রোম এর কারণে s*xual dysfunction দেখা দেয়। তাই সব সময় ডিপ্রেশন আর সেরোটোনিন এর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য
টেনশন মুক্ত থাকবে, আর সেরোটোনিন সম্পৃক্ত খাবার
তথা যেইসব খাবার খেলে Naturally Serotonin Synthesise বৃদ্ধি পায়, তা বেশি করে খাবে, তাতে করে Serotonin syndrom থেকে রক্ষা পাবে।।
ন্যাচারালি সেরোটোনিন ব্যালেন্স ঠিক রাখার জন্য যা করবেন-..
১.. Morning exercise সকাল বেলা ব্যায়াম করার মাধ্যমে অথবা দিনের যে কোনো সময় ব্যায়াম করলে একটা ভারসাম্য পূর্ণ সেরোটোনিন লেভেল বজায় থাকে, তাই ডিপ্রেশন এর সময় বেশি বেশি ব্যায়াম করুন, হাঁটাহাঁটি করুন, এতে সেরোটোনিন লেভেল বাড়বে, ডিপ্রেশন কমবে, এই কারণে ডিপ্রেশন এর মানুষ দের কে কাউন্সেলিং করা হয়, দূরে কোথাও ঘুরে আসতে, সকাল সন্ধ্যা হাঁটাহাঁটি করতে।
২। সকাল বেলার সূর্যের আলো সেরোটোনিন উৎপাদনে হেল্প করে।
৩। হাসি খুশি থাকলে স্ট্রেস হরমোন কম ক্ষরিত হয়, সেরোটোনিন উৎপাদন বাড়ে।
৪। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যথা প্রতদিন একটা ডিম, কিংবা মাছ মাংস, ছোলা, ডাল, ইত্যাদি সেরোটোনিন এর মাত্রা বাড়ায়, এবং ডিপ্রেশন কমায়, তাই ডিপ্রেশন এর সময় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খান।
৫। শরীর ম্যাসাজ করালেও সেরোটোনিন বাড়ে, তাই স্বামী টেনশনে থাকলে স্ত্রীদের উচিৎ, হালকা করে মাথা ম্যাসাজ করে দেওয়া, আর স্ত্রীরা টেনশনে থাকলে স্বামীর উচিৎ, তার মাথা ম্যাসাজ করে দেওয়া। হালকা করে চুল নাড়াছাড়া করা,
৬।মহানবী সাঃ এর উপর দূরুদ পড়ার মাধ্যমে সেরোটোনিন লেভেল এমন এক পর্যায়ে যায়, এক মিনিট দুরুদ পড়লে পরবর্তী ১০ মিনিট সেরোটোনিন লেভেল পিক লেভেলে থাকে, ৬ মিনিট পড়লে ১ ঘন্টা, তখন মনে কেবল সুখ আর সুখ অনুভূত হবে, বিশ্বাস না হলে নিজেই ট্রাই করে দেখুন,
কারণ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী মহানবী সাঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরুদ পাঠ করে, মহান আল্লাহ তার উপর ১০ বার রহমত বর্ষণ করেন। (মেশকাত শরীফ)
৬ মিনিট চোখ বন্ধ করে পড়ুন,
আল্লাহুমা সাল্লি আলা সাইয়িদিনা মুহাম্মাদ, সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
পরবর্তী ৬০ মিনিট আপনি টেনশন ফ্রি-
দুরুদ পাঠ কিভাবে সেরোটোনিন লেভেল বৃদ্ধি করে, তা সাইন্টিফিক ভাবে পরবর্তী পোস্টে আলোচনা করবো ইনশা আল্লাহ.
#ডাঃইসমাইল_আজহারি